গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া পর্ব ৪১+৪২

#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৪১
.
.
🦋
” জুনাইদ কবির কে হসপিটালের বাইরে থেকে তুলে আনার সময় সাদমান আমাকে দেখে ফেলেছে৷ ”

প্রাণো RV কথা শুনে কিছু বলতে যাবে তখনি ছো মেরে প্রাণোর ফোনটা কেউ কেড়ে নিয়ে স্বজোরে প্রাণোর গালে থাপ্পড় মারে ৷ থাপ্পড়ের জোর এতোটাই ছিলো যে প্রাণো ব্যালেন্স রাখতে না পেরে ছিটকে ফ্লোরে পরে যায়৷ প্রাণো গালে হাত দিয়ে পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে সাদমান রক্তিম চোখে তাকিয়ে আছে ৷

” দাভাই তুই আমাকে মারলি?”

সাদমান রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে বলে উঠলো ,” হ্যাঁ মারলাম ৷ আমি কখনো ভাবতে পারিনি তুই এতোটা নিচে নেমে যাবি ৷ মৌ যখন তোর বিষয়ে বলেছিলো তখন আমি মৌ’কে ভুল বুঝেছিলাম ৷ বলেছিলাম আর যাই হোক আমার বনু কখনো কোন খারাপ কাজ করতে পারে না কিন্তু তুই আমাকে ভুল প্রমানিত করে দিলি প্রাণো ৷ আমার বিশ্বাসটাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছিস তুই৷ তুই তুই কি করে আমাদের বাবার সাথে এই জঘন্য কাজ টা করতে পারলি? বল প্রাণো বল কেন করলি এটা?” সাদমান প্রাণোর বাহু শক্ত করে ধরে প্রশ্ন করতে লাগলো৷ সাদমানের থাপ্পড় এর জোর টা এতো বেশি ছিলো যে প্রাণো ঠোঁট কেটে রক্ত বের হয়ে গেছে৷

প্রাণো কোন কথা বলছে না দেখে সাদমান রেগে প্রাণোকে আবারও থাপ্পড় মারতে নিলে স্মরণ সাদমানের হাত ধরে আটকে দিয়ে উল্টো সাদমানের গালে স্বজোরে থাপ্পড় বসিয়ে দেয় স্মরণ৷ প্রাণোর গালে পাচঁ আঙ্গুলের দাঁগ আর ঠোঁটের কোন দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে স্মরণের মাথায় যেন রক্ত উঠে গেল৷

সাদমান কে থাপ্পড় মেরে স্মরণ দাঁতে দাঁত চেপে রক্তিম চোখে সাদমানের দিকে তাকিয়ে বলে, ” হাউ ডেয়ার ইউ সাদ ৷ তোর সাহস কি করে হয় আমার প্রাণোকে আঘাত করার? ”

স্মরণের কথার প্রত্ত্যুতরে সাদমান আরো রেগে বলে,” তুই ভুলে যাচ্ছিস স্মরণ প্রাণো আমার বোন ৷ প্রয়োজনে আমি আমার বোনকে শাসন করতে পারি৷”

” হ্যাঁ শাসন করতে পারিস কিন্তু আঘাত করার অধিকার আমি তোকে দেই নি৷ নেক্সট টাইম এমন দুঃসাহস দেখানোর চেষ্টা করিস তো আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না৷ ” প্রাণোকে একহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে সাদমান কে বললো স্মরণ৷

” স্মরণ আমি আমার বোনের সাথে কথা বলছি ৷ তুই আমাদের মাঝে না আসলে খুশি হবো৷”

” যেখানে আমার প্রাণোর বিষয় কথা হবে সেখানে এই স্মরণ সব সময় থাকবে৷”

” ওকে ঠিক আছে থাক তুই কিন্তু প্রাণোকে আমার প্রশ্নের জবাব দিতে বল? কেন বাবাকে কিডন্যাপ করালো RV কে দিয়ে?”

” প্রাণো এই প্রশ্নের উওর দিবে না সাদ৷ কারণ একজন সন্তানের জন্য সব থেকে বেশি লজ্জা জনক কখন জানিস সাদ? যখন সে সন্তানকে তার জন্মদাতা পিতার কুকর্ম গুলো নিজের মুখে বলতে হয়৷”

” মানে কি বলতে চাইছিস স্মরণ?”

” মানে জানতে চাস ? তাহলে শোন৷”

স্মরণ শুরু থেকে নিজের বাবার কৃতকর্ম থেকে শুরু করে জুনাইদ কবির এর সাথে জুটি বেধে অন্ধকার জগতে করা সব কুকর্ম সাদমানকে জানায় আর এটাও জানায় তার বাবা জীবন মাহমুদ এর এই অবস্থা প্রাণো নিজে করেছে৷

সবটা শুনে সাদমানের মুখে কোন শব্দ নেই ৷ সাদমান যেন কথা বলতে ভুলে গেছে ৷ সাদমান এতোটাই শক্টড হয়েছে যে পরে যেতে নিলে প্রাণো সাদমানকে ধরে ফেলে…

” দাভাই তুই ঠিক আছিস তো?”

সাদমান প্রাণোর মুখের দিকে তাকিয়ে প্রাণোকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে৷ প্রাণোর আর স্মরণের চোখ দিয়েও পানি পড়ছে ৷ সাদমান কখণো ভাবতে পারেনি তার বাবা তার আদর্শ এমন ভাবে তাদের সবাইকে ঠকাবে৷

” দাভাই আমাকে ক্ষমা করো তোমাকে শুরুতেই সবটা জানানো উচিত ছিলো৷ ”

” না বোন ক্ষমা তুই চাইছিস কেন? ক্ষমা তো আমার চাওয়া উচিত ৷ আমি সবটা না জেনেই তোকে আঘাত করেছি৷ আমাকে ক্ষমা কর বোন৷”

” দাভাই তুই আর একটাও ফালতু কথা বললে তোর খবর আছে ৷ ”

” প্রাণো বাবা না জুনাইদ কবিরকে তুই শাস্তি দিবি?”

” না দাভাই আমি পারবো না ওই বাবা নামক ঘৃন্য লোকটাকে আঘাত করতে কিন্তু শাস্তি সে পাবে ৷ আমি না দি অন্য কেউ দিবে৷ কিন্তু শাস্তি তো ওনাকে পেতেই হবে দাভাই ৷ ”

প্রাণো সাদমানের চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বলে, ” দাভাই মেয়েদের মতো ফ্যাচ ফ্যাচ করে কেঁদো নাতো দেখতে ভালো লাগে না৷ যাও ফ্রেস হয়ে এসো আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি৷”

” প্রাণো আমার খিদে নেই৷”

” দাভাই বাবার পর তোমাকে পুরো পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে তাহলে তুমি যদি এখন না খাও তাহলে দূবর্ল হয়ে পড়বে তখন পরিবার ব্যবসা কে সামলাবে? তাই এবার নিজেকে শক্ত করো ৷ আমাকে দেখো আমার কি কষ্ট হচ্ছে না? হচ্ছে তবুও আমি আমার কতর্ব্য পালন করছি তাহলে দাভাই তুই কেন পারবি না?”

” পারবো আমিও পারবো প্রাণো৷ যেখানে আমার কাছে তোর মতো একটা বোন আছে সেখানে আমি দূর্বল হই কি করে বলতো?”

” দ্যাট’স লাইক এ গুড বয় ৷ যাও ফ্রেস হয়ে এসো ৷”

প্রাণো তার দাভাই কে ওয়াশরুমে পাঠিয়ে নিচে যেতে নিলে স্মরণ প্রাণোকে আটকে দিয়ে থাপ্পড় মারার গালে চুমু দিয়ে ঠোঁটের রক্ত মুছিয়ে দিয়ে মলম লাগিয়ে দিয়ে প্রাণো কে বেডে বসিয়ে স্মরণ কিচেনে গিয়ে সাদমানের জন্য খাবার নিয়ে আসে৷

প্রাণো মুখ ভার করে বসে আছে আর এক পাশে স্মরণ আর অন্য পাশে সাদমান দুজনে প্রাণোকে খাইয়ে দিচ্ছে৷ স্মরণের খাইয়ে দেওয়া খাবার শেষ হতে না হতে সাদমান প্রাণোর মুখে খাবার ঢুকিয়ে দিচ্ছে৷ প্রাণোর ইচ্ছে করছে দৌড়ে পালিয়ে যেতে ভাই আর বর যে ভাবে খাওয়াচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে দুদিনে না হয় ঠাস করে পেট ফেটে যায়৷ প্রাণো কাঁদো কাঁদো মুখ করে স্মরণ আর সাদমানের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো , ” দাভাই স্মরণ আমি আর খেতে পারছি না ৷ এবার মনে হয় পেট ফেটে আমি মরেই যাবো৷ ”

প্রাণোর কথা শেষ হতে না সাদমান স্মরণ দুজনে প্রাণোকে রাম ধমক দিয়ে বলে উঠলো , ” আর একবার ও যদি ফালতু কথা শুনি তোমার মুখে তাহলে মার একটাও নিচে পড়বে না ৷ ঝটপট খেয়ে নেও৷ আর সাদ তুই ও খেয়ে নে ৷ তোর বোনের পেট ভরে গেছে ৷ এর থেকে বেশি খাওয়ালে বমি করে দিবে৷”

” বাহ! ভালোই তো চিনে গেছিস আমার বোনকে..”

” তোর বোন আমার বউ ভুলে যাচ্ছিস কেন সালা”

” ওহ স্যরি সত্যি তো একদম ভুলে গেছিলাম৷”

প্রাণো বর আর ভাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে দ্রুত উঠে নিচে চলে যায় এই ভয়ে স্মরণ না আবার খাওয়ার জন্য জোর করে৷

প্রাণো নিচে এসে দেখে দুটো গাড়ি এসে থামলো ৷ প্রাণো আর একটু কাছে গিয়ে দেখে সাগর নিলয় আকাশ স্মিতা সাফা ঐশী নিশিতা বেগম প্রিয়া এসেছে ৷ নিশিতা বেগম প্রিয়া দুজনে কাঁদছে তা দেখে প্রাণো সবটা জেনেও না জানার অভিনয় করে নিজের মায়ের কাছে যেতে নিশিতা বেগম প্রাণো কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে৷

” আম্মু কাঁদছো কেন তুমি কি হয়েছে? শশুর বাবা ঠিক আছে তো?”

” প্রাণো প্রাণো তোর বাবাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ ”

” কিহ! কি বলছো আম্মু! আব্বুকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না মানে! প্রিয়া কি হয়েছে আব্বু কোথায়?”

” আপুরে আব্বুকে কেউ কিডন্যাপ করেছে৷ হসপিটালের বাইরে থেকে..”

” পুলিশকে জানিয়েছো?”

” হ্যাঁ তারা খোজ চালাচ্ছে৷ কিন্তু আব্বুর কোন খোজ পাওয়া যায়নি৷ ” বলে ডুকরে কেঁদে উঠলো প্রিয়া৷

প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরে প্রাণো মনে মনে বলতে লাগলো,” স্যরিরে প্রিয়ু তোকে সত্যিটা বলতে পারছি না৷ আমি জানি সত্যিটা তুই জানলে সহ্য করতে পারবি না৷ ওই লোকটাকে যে তুই ভিষণ ভালোবাসিস ৷ সত্যি টা জানায়ে তোকে আঘাত করতে পারবো না প্রিয়ু ক্ষমা করিস আমায়…”

” কাদিস না প্রিয়ু সব ঠিক হয়ে যাবে আর আব্বুকেও খুজে পাওয়া যাবে ৷ আমি খুজে বের করবো তুই চিন্তা করিস না৷”

” সত্যি বলছিস আপু? তুই আব্বুকে খুজে এনে দিবি? ”

” হ্যাঁ দিবো আর তা আগামিকালের ভিতর , এখন রুমে গিয়ে রেস্ট নে আর আম্মু কে জোর করে কিছু খাওয়া সকাল থেকে না খেয়ে আছে৷”

” ঠিক আছে৷”

প্রাণো স্মরণের বন্ধুদের আর নিজের বান্ধবীদের ফ্রেস হয়ে খেতে বলে প্রাণো নিজের রুমে গিয়ে দেখে স্মরণ সাদমান কথা বলছে৷

” দাভাই কিছুক্ষণ পর আমি বের হবো ওই লোকটার কাছে, তুই কি আমার সাথে যেতে চাস ?”

” না আমি যেতে চাই না প্রাণো৷ ” কাট কাট গলায় উওর দিলো সাদমান৷

_______

” ম্যাম RV স্যার আমাকে সবটা বুঝিয়ে দিয়েছে ৷ আজ আপনার সাথে থেকে আপনার ওডার্র মতো কাজ করতে৷”

” হাতে ছুড়ি ধরতে পারবে অনিক?”

” পারবো ম্যাম ৷ আপনি শুধু বলুন আমাকে কি করতে হবে?”

” টর্চার সেলে চলো যা করার ওখানে করবো৷”

প্রাণো আগের মতো নিজেকে কালো জেকেট মাক্সের আড়ালে নিয়ে টর্চার সেলে গিয়ে দেখে জুনাইদ কবির মাথা নিচু করে বসে আছে ৷ অনিক সেলের দরজার লক খুলে দেয় ৷ প্রাণো ভিতরে প্রবেশ করতে সেলে সব আলো জ্বলে ওঠে৷ জীবন মাহমুদ কে যে সেলে রাখা হয়েছিলো জুনাইদ কবির কেও সেই একই সেলে রাখা হয়েছে৷

জুনাইদ কবির চোখ মেলে তাকিয়ে সামনে মাক্স পড়া কাউকে দেখে চমকে ওঠে৷ প্রাণো হাতে দুবার তালি দিতে জুনাইদ কবির কেও একই ভাবে লোহার স্ট্রেকচারে শুইয়ে দিয়ে হাত পা লোহার শেকলে বেধে দেয়৷ তা দেখে জুনাইদ কবির চিৎকার করে বলে ওঠে , ” কে তোমরা? কেন আমাকে এখানে আটকে রেখেছো? কি করেছি আমি? ছেড়ে দেও আমাকে না হলে …” বাকিটা শেষ হওয়ার পূর্বে প্রাণো বলে , ” না হলে কি মিস্টার জুনাইদ কবির ওরফে JM ?”

JM নামটা শুনে চমকে গিয়ে বলে ওঠে , ” JM , JM নামটা তোমরা কি করে জানলে? কে তোমরা?”

প্রাণো হাতে রিভালবার ঘুড়াতে ঘুড়াতে চেয়ারে গিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বলে, ” আমরা সেই যে তোর বিজনেস পার্টনার জীবন মাহমুদ এর আজ এই অবস্থা করেছি৷”

জুনাইদ কবিরের এবার বুঝতে আর বাকি নেই এই সেই টিম যাকে ধরার জন্য একের পর এক ফাঁদ পেতেও ধরতে পারেনি৷ আর না টিমের নাম জানতে পেরেছে৷

” কি মিস্টার জুনাইদ কবির চমকে উঠলেন? আমি কে জানার খুব ইচ্ছে হচ্ছে? তাই না?”

প্রাণোর কথা শুনে জুনাইদ কবির এর কেন যেন গলাটা ভিষণ চেনা চেনা লাগছে ৷

” কে তুমি সত্যি করে বলো? ”

” কেন গলাটা ভিষণ চেনা চেনা লাগছে? ”

” হ্যাঁ, এই কণ্ঠ আমার খুব পরিচিত ৷ কিন্তু কার ?”

” জানতে পারবেন খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারবেন ৷ আপনার বন্ধু তিনিও আমাকে দেখার বেশ কৌতুহল ছিলো ৷ কিন্তু পরে যখন এই মাক্সের আড়ালে থাকা মুখটা দেখলো তখন জানেন তার মুখের ভাষা হারিয়ে গেল৷ ট্রাস্ট মি আপনি তার থেকে ও বেশি শক্টড হবেন যখন আমাকে দেখবেন৷ অনিক কাজ শুরু করো৷”

” ইয়েস ম্যাম৷”

প্রাণো ঠোঁট কামড়ে ধরে কান্না আটকে রেখে অনিককে ইন্সট্রাকশন দিচ্ছে৷

” অনিক জীবন মাহমুদ কে ঠিক যে ভাবে কষ্ট দিয়ে মেরেছি ঠিক সে ভাবে এই লোকটাকে কষ্ট দিয়ে মারবে৷”

” ওকে ম্যাম ৷ আপনি শুধু দেখুন আমার হাতের কামাল!”

অনিক ধাড়ালো ছুড়ি নিয়ে জুনাইদ কবির এর হাতে রগ কেটে দিয়ে দুই বাহুতে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করতে লাগলো৷ দুই বাহুর মাংস হাড় থেকে প্রায় আলাদা হয়ে আসতে থেমে গিয়ে দুপায়ের রগ কেটে দিয়ে দু পায়ে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করতে লাগলো৷ জুনাইদ কবির যন্ত্রণায় চিৎকার করতে লাগলো ৷

অনিক প্যাকেট থেকে লাল মরিচের গুলো আর লবন নিয়ে জুনাইদ কবির এর কাটা হাতে পায়ে লাগিয়ে দিয়ে জুনাইদ কবির এর জিব্বাহ কেটে ফেলে৷ জুনাইদ কবির এর বুকে বড় বড় করে ছুড়ি দিয়ে লিখে দিলো ‘আমি ধর্ষক আমি খুনি ‘

” অনিক ইনজেকশন টা ফাস্ট ইনজেক্ট করে দেও৷”

” ওকে ম্যাম”

জীবন মাহমুদ কে যে ইনজেকশন দিয়েছিলো সেই সেম ইনজেকশন জুনাইদ কবির কে ইনজেক্ট করে দেওয়া হয়৷

জুনাইদ কবির জ্ঞান হাড়ানোর পূর্বে প্রাণো জুনাইদ কবির এর সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বলে, ” জ্ঞান হাড়ানোর পূর্বে ব্লাকরোজ এর মুখটা দেখে নিন জুনাইদ কবির ওরফে JM.”

প্রাণো মুখ থেকে মাক্স টা সরিয়ে জুনাইদ কবিরের দিকে তাকায়, জুনাইদ কবির চোখ মেলে প্রাণোকে দেখে বুকের ভিতর চিন চিন ব্যাথা শুরু হয় ৷ জুনাইদ কবির কখনো ভাবতে পারেনি তার মেয়ে যে কিনা রক্ত দেখলে ভয় পায় সে মেয়ে ব্লাকরোজ ৷ জুনাইদ কবির আর কিছু ভাবতে পারলো না তার আগেই তার দুচোখ বন্ধ হয়ে যায়৷

প্রাণোর দুচোখ দুটোই পানি টলমল করছে৷ ছোট বেলা থেকে যে মানুষটা এতো আদর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছে ৷ আজ সে মানুষটাকেই এমন নির্মম শাস্তি দিতে বাধ্য হলো প্রাণো ৷ প্রাণো ব্লাকরোজ হয়ে সে কষ্ট দমন করে নিলেও একজন সন্তান হয়ে সে কষ্ট দমন করা যে প্রচন্ড কষ্টকর সেটা প্রাণোর থেকে আর কেউ জানে না৷

অনিক প্রাণোর চোখের পানি দেখার আগেই প্রাণো চোখের পানি মুছে অনিক কে বলে , একে এভাবে ফেলে রাখো অনিক ৷ রানা JM এর ডানহাত ওটাকে আজ শেষ করবো তারপর দুটো কে ডাসবিনে ফেলে আসবে৷ ”

” ওকে ম্যাম”

অন্য সেলে রানাকে উল্টো ঝুলিয়ে পেটানো হয়েছে গত দুই দিন৷ অজ্ঞান হয়ে আছে রানা৷ রানার পুরো শরীরে মারার জায়গা গুলোয় কেটে রক্ত পড়ছে৷ ফ্লোরে রক্তের দাঁগ ৷ প্রাণোর ওডার্রে রানাকে নামিয়ে একটা ট্রিম বক্সে ঢুকিয়ে দিয়ে মাথা বের করে দেয়৷

” জানোয়ারটার জ্ঞান ফেরানোর ব্যাবস্থা কর অনিক৷”

অনিক প্রাণোর কথা মতো রানার মুখে পানির ছিটে দিতে রানার জ্ঞান ফিরে আসে ৷ পানি খাওয়ার জন্য ছটপট করতে থাকে কিন্তু প্রাণো রানার মুখে পানি না দিয়ে উল্টো বোতলের পানি রানার মাথায় ঢেলে দিয়ে বলে, ” মরার জন্য প্রস্তুত তো রানা?”

” দ,,দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন ৷ কথা দিচ্ছি কোন দিন কোন খারাপ কাজ করবো না৷”

” সে সুযোগ তুই আর পাবি না কুত্তার বাচ্চা ৷ কারণ আজ তোর জীবনের শেষ দিন৷”

কথাটা বলে প্রাণো এসিডের বোতল টা নিয়ে ট্রিম বক্সের ছিদ্র গুলো দিয়ে এসিড ঢেলে দেয়৷ এসিড রানার শরীরে স্পর্শ হতেই রানা গলা ফাটানি চিৎকার শুরু করে কিন্তু তাতে কোন লাভ হয় না কারণ এসিডের কাজ অলরেডি শুরু হয়ে গেছে৷ রানার শরীর গলিয়ে ফেলতে লাগলো৷

বিশ মিনিটের মাথায় রানা চুপ হয়ে গেল৷ অনিক রানার মাথার চুল ধরে টান দিতে রানার শুধু মাথাটাই অনিকে হাতে চলে এলো৷ আর রানার বাকি শরীরের অংশটা গলে গেছে বিধায় আর কিছু অবশিষ্ট থাকলো না৷

” অনিক এই দুই আবর্জনা কে তার জায়গায় ফেলে দিবে৷ আমি ফিরে যাচ্ছি কোন সমস্যা হলে আমাকে জানাবে৷ ”

” ওকে ম্যাম”

প্রাণো নিজের পোষাক পরিবর্তন করে অফিস থেকে বের হয়ে দেখে সাদমান আর স্মরণ দুজনে দাড়িয়ে আছে৷ রাত যেহেতু হয়েছে তাই স্মরণ কোন রিক্স নিলো না নিজেই প্রাণোকে নিতে চলে আসলো৷ সাদমান বা স্মরণ প্রাণোকে কোন প্রশ্ন না করে গাড়ির দরজা খুলে দেয়৷ প্রাণো চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসে তখনি স্মরণ সাদমান আর প্রাণোকে বলে , ” সাদ তুই প্রাণকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে যা আমি কিছুক্ষণ পর আসছি৷”

সাদমান মাথা নেরে সম্মতি জানিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টাট দেয়৷ প্রাণোদের গাড়ি চোখের আড়াল হতেই স্মরণের সামনে এসে একটা গাড়ি থামে স্মরণ বিনা বাক্য সেই গাড়িতে উঠে বসতে গাড়িটা স্মরণকে নিয়ে চলে যায়৷
.
.
.
#চলবে…………….#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৪২
.
.
🦋
সাদমান মাথা নেরে সম্মতি জানিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টাট দেয়৷ প্রাণোদের গাড়ি চোখের আড়াল হতেই স্মরণের সামনে এসে একটা গাড়ি থামে স্মরণ বিনা বাক্য সেই গাড়িতে উঠে বসতে গাড়িটা স্মরণকে নিয়ে চলে যায়৷

একটা নির্দিষ্ট স্থানে গাড়িটা থামতে স্মরণ গাড়ি থেকে বের হতেই কয়েকজন গার্ড এসে স্মরণের চারপাশে বন্দুকহাতে দাড়িয়ে গার্ড দিয়ে স্মরণকে সাবধানে বিশাল একটা বাংলোর ভিতরে নিয়ে যায়৷ স্মরণ ভিতরে ঢুকতে কতো গুলো কালো পোষাক পড়া ব্যক্তি স্মরণের দিকে এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে, ” ওয়েলকাম ওয়েলকাম মিস্টার স্মরণ ৷ আসতে কোন অসুবিধা হয়নি তো?”

” না মিস্টার এলভার্ট আমার আসতে কোন অসুবিধা হয়নি কিন্তু আমাকে এখন এখানে ডাকার কারণ কি মিস্টার এলভার্ট ?”( স্মরণ)

” মিস্টার স্মরণ আপনাকে ডাকার কারণ তো নিশ্চয়ই আছে ৷ আগামিকাল আমার বোন এলিনা আসছে আর ও আপনার সাথে কাজ করতে চায়৷ ”

” মিস্টার এলভার্ট ইউ নো দ্যাট ভ্যারি ওয়েল আমি কোন মেয়ের সাথে কাজ করছে পছন্দ করি না৷ এটা আমার রুলসের বাইরে৷ ”

” ওকে ওকে কুল ডাউন মিস্টার স্মরণ ৷ আমি আপনাকে জোর করছি না কিন্তু রিকুয়েস্ট তো করতে পারি? আপনি প্লিজ না করবেন না৷ আর আপনার কোম্পানির সাথে যে ডিল টা করেছি তার সাথে সাথে আমি আপনাকে আরো একটা ডিল পাইয়ে দিতে পারি৷ ”

” মিস্টার এলভার্ট আপনি খুব ভালো করেই জানেন আমি এক কথার মানুষ ৷ আমি যেহেতু বলেছি আমি আপনার বোনের সাথে কাজ করবো না তার মানে দুনিয়া উল্টে গেলেও আমি কাজ করবো না৷ ”

” মিস্টার স্মরণ আমাকে প্লিজ রাগিয়ে দিবেন না৷ আর আপনি ভুলে যাচ্ছেন আপনার সিক্রেট মিশণ সম্পর্কে আমি সব কিছু জানি ৷ আপনি যদি আমার কথা না মানেন তাহলে!”

” ওয়াট মিস্টার এলভার্ট? ” পায়ের উপর পা রেখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে জ্বিজ্ঞাসা করলো স্মরণ৷

” আমি আপনার মিশণটার সম্পর্কে সব ইনফরমেশন আমি তাদের জানিয়ে দিবো৷”

স্মরণ এলভার্ট এর কথা শুনে বাঁকা হাসলো শুধু, স্মরণের মুখে বাঁকা হাসি দেখে এলভার্টের কপালে ভাজ পড়ে গেল৷ এলর্ভাট কিছু বলতে যাবে তখনি স্মরণ হাতের ইশারায় এলভার্ট এর কপালে শুট করে দেওয়া সাথে সাথে পেছন থেকে একটা গুলি গিয়ে এলভার্টের কপালে গেথে যায়৷ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে এলভার্ট ৷

স্মরণের ঠোঁটের কোনে এখনো লেগে আছে সেই বাঁকা হাসি৷ স্মরণ এলভার্ট এর মৃত্যু নিশ্চিত করে স্মরণ উঠে দাড়াতে পেছন থেকে একজন গার্ড এসে বলে ,” বস গাড়ি রেডি আপনাকে এখুনি এই প্লেসটা থেকে বেড়িয়ে যেতে হবে৷ যে কোন সময় জঙ্গিরা এখানে এসে হাজির হতে পারে৷ ”

স্মরণ গার্ডের দিকে তাকিয়ে ঠান্ডা গলায় বলে উঠলো , ” একজন জঙ্গি যেন বেঁচে না থাকে মিলন ৷ প্রত্যেকের লাশ আমি নিজের চোখে দেখতে চাই৷ ”

” ওকে বস আপনি যা চান তাই হবে৷ ”

স্মরণ আর কোন কথা না বলে বাংলো থেকে বেড়িয়ে গাড়িতে উঠতে ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দেয়৷

অন্যদিকে সাদমান প্রাণো বাড়িতে ফিরতে দেখতে পায় সবার কান্না মাখা মুখ , প্রাণো সাদমানের প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে মা বোনের কান্না মাখা মুখ দেখে , কিন্তু দুজনে নিরুপায় কারো হাতে কিছু নেই অলরেডি সবকিছু শেষ হয়ে গেছে৷

প্রাণোকে দেখে প্রাণোর মা বোন দৌড়ে এসে প্রাণোকে জড়িয়ে কান্না করতে করতে বলে ওঠে , ” প্রাণোরে তোর বাবাকে পুলিশ এখনো খুজে পায়নি৷ মানুষটা কোথায় আছে কেমন আছে? কি করবো আমি বল প্রাণো?”

” আম্মু কেঁদো না আব্বুকে খুজে পাওয়া যাবে তুমি চিন্তা করো না ৷ পুলিশ তো খুজছে৷ আর আমি দাভাই চেষ্টা করছি আব্বুকে খুজে বের করার৷”

প্রিয়া ফুফাতে ফুফাতে প্রাণোর হাত টেনে আলাদা সাইডে নিয়ে গিয়ে বলে, ” আপু তুই কোথায় গিয়ে ছিলে?”

” কেন আব্বুকে খুজতে৷”

” মিথ্যে বলিস না আপু৷ তুই আব্বুকে মটেও খুজতে যাসনি ৷ তুই খুজতে গেলে তোর চোখে মুখে আব্বু কে খুজে না পাওয়ার কোন কষ্ট চিন্তা তোর চোখ মুখে আমি দেখতে পাচ্ছি না আপু৷”

” তুই আমাকে ভুল ভাবছিস প্রিয়ু ৷”

প্রিয়ু হাতের ইশারায় প্রাণোকে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলো, ” তোকে আর মিথ্যে বলতে হবে না আপু ৷ তোর চোখ মুখ বলে দিচ্ছে তুই একবিন্দু চিন্তিত নয় আব্বুর জন্য , আমার ধারণা যদি ঠিক হয় তাহলে তুই নিশ্চয়ই জানিস আব্বু কোথায় আছে?”

” কি ভুলভাল বলে যাচ্ছিস প্রিয়ু?”

” আমি কোন ভুলভাল বকছি না আপু৷ তুই অস্বীকার করতে পারিস গতকাল তুই টর্চার সেলে কাউকে নির্মম নৃশংস ভাবে টর্চার করে মেরে ফেলেসনি? নাকি এটাও অস্বীকার করবি আজ ওখানে তুই দুজন মানুষকে টর্চার সেলে ভয়ংকর শাস্তি দিয়ে মারিস নি?”

” তুই এগুলো কি ভাবে জানলি প্রিয়ু?”

” তুই ভুলে যাচ্ছিস আপু আমিও তোর টিমে কাজ করি ৷ হ্যাঁ এটা ঠিক বিয়ে হবার পর থেকে আমি তোর কোন কাজে জয়েন করতে পারেনি তবে এটা কেন ভাবছিস আমি অফিসের কোন খোজ খবর রাখি না? ”

প্রিয়ার কথা শুনে প্রাণো চমকে ওঠে ৷ প্রাণো মনে মনে ভাবতে থাকে, ” প্রিয়া সব জানতে পারেনি তো? যদি সবটা জেনে যায় তাহলে সহ্য করতে পারবে না৷ প্রিয়া কষ্ট পাবে জেনে প্রাণো চোখ মুখ ভয়ে শুকিয়ে গেল৷ প্রিয়া কঠিন মুখ করে প্রাণোর দিকে তাকিয়ে আছে ৷ প্রাণোর উওরের আশায় তাকিয়ে আছে প্রিয়া ৷ এটা ভেবে যে প্রাণো হয়তো সব সত্যিটা তাকে বলে দিবে৷ টর্চার সেলে নতুন বন্দিদের ইনফরমেশন পেলেও কে বা কারা সেই বন্দি এই ইনফরমেশন প্রিয়াকে দেওয়া হয়নি কারণ এটা তাদের রুলসের বাইরে , তাই এটা জানার জন্য প্রিয়া প্রাণোকে একের পর এক প্রশ্ন করে গেল ৷

প্রাণো ঠান্ডা স্বরে প্রিয়ার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে উঠলো, ” প্রিয়া আমি বাইরে থেকে এসেছি ৷ আমি ভিষণ ট্যায়ার্ড বাকি কথা পরে হবে ওকে৷”

প্রিয়া কিছু বলতে যাবে তার আগে প্রাণো দ্রুত পায়ে হেটে নিজের রুমের দিকে চলে গেল৷

মিহু সাজিত দুজনে প্রাণোকে লক্ষ্য করে ৷ প্রাণোকে একদম স্বাভাবিক দেখে দুজনে ভিষণ ভাবে অবাক হয়৷ কারণ তাদের বাবাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না বলে তারা পাগলের মতো করে খুজে পাওয়ার চেষ্টা করেছে৷ চিন্তায় অস্থির হয়ে ছিলো কিন্তু প্রাণোর ভিতরে সেই অস্থিরতার চিন্হমাত্র রেস দেখতে পেলো না ৷

” ভাই প্রাণো মানে ভাবি এতো নিশ্চিন্ত কি করে? যেখানে তার বাবাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না?”

” আমিও সেটাই ভাবছি মিহু৷ ভাবি এতোটা নিশ্চিন্ত কি করে? কিন্তু তুই খেয়াল করেছিস ৷ সাদমান ভাইয়ের মুখেও সেই চিন্তার ছাপ নেই বরং বিরক্তি ভাব প্রকাশ করছে ৷ ”

” কিন্তু কেন? ”

” আই ডোন্ট নো মিহু৷”

” ভাবির উপরে নজর রাখতে হবে ভাই ৷ আমার মনে হচ্ছে আমাদের আড়ালে এমন কিছু হচ্ছে যেটা আমরা কেউ অবগত নই৷ এখন আমাদের সেটাই খুজে বের করতে হবে যেটা আমাদের আড়ালে ঘটছে৷”

” ইউ আর রাইট মিহু৷ এবার আমরা নজরে রাখবো ৷ এখন তুই মায়ের রুমে গিয়ে মাকে দেখে আয় ৷ আর আমি প্রিয়া আর শাশুড়ি মাকে নিয়ে রুমে যাচ্ছি ওনার এখন একটু রেস্টের প্রয়োজন৷ ”

” ওকে যাচ্ছি তাহলে”

মিহু চলে যাওয়ার পর পর সাজিত প্রিয়াকে আর প্রিয়ার মাকে জোর করে রুমে নিয়ে যায়৷ সাদমান স্বস্থির নিশ্বাস ফেলে গেস্ট রুমের দিকে হাটতে লাগলো৷

.
.
.
.

অন্ধকার রুমে ফোনের ফ্লাশ লাইটের আলোতে কেউ ফাইল চেক করছে৷ কাক্ষিত ফাইল পেয়ে যেতে খুব সাবধানে ফাইল গুলো হাতে নিয়ে বেড়িয়ে গেল প্রাণোর অফিস রুম থেকে,,,,,

গাড়িতে বসে লোকটা কাউকে ফোন করে, ” হ্যালো বস আপনি যেটা চেয়েছিলেন সেটা পেয়ে গেছি৷”

” গুড ফাইলটা যথা স্থানে রেখে আমাকে ইনফ্রম করবে৷”

” ওকে বস ”

______

হাওয়ার গতিতে এলভার্টের মৃত্যুর খবর এলিনার কানে এসে পৌছায় ৷ খবর টা শোনার পর এলিনা ক্ষিপ্ত হয়ে বিডিতে আসার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে৷ প্রচন্ড রেগে ওয়াইনের গ্লাস ফ্লোরে আচরে ফেলে বলতে লাগলো .” আ’ম কামিং মিস্টার স্মরণ ৷ এলর্ভাট এর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আমি আসছি ৷”
.
.
.
#চলবে…………..
[আজকের পর্বটা ছোট হয়ে গেল তাই না? চিন্তা নেই নেক্সটে বিশাল এক পর্ব দিবো৷ ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here