ঘূনপোকা পর্ব ৪

#ঘুনপোকা

৪.

সোফায় হেলান দিয়ে বসে আছে সৈকত। টেবিলের কাছ থেকে চেয়ার টেনে এনে ইমরান সোফার কাছাকাছি এসে বসেছে। খাবার শেষ করেছে মাত্রই। খাবার শেষে সিগারেট খাওয়া সৈকতের বহু পুরোনো অভ্যাস। আজও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। খাওয়া শেষ করে সোফায় বসেই সিগারেটটা ধরিয়েছে সে। এ্যাশ ট্রে তে সিগারেটের ছাঁই ফেলতে ফেলতে বললো,

– সেদিন ছিলো জুনের ১৫ তারিখ৷ রুপুর সাথে আমার প্রথম দেখা। লাইট পিংক কালারের সালোয়ার কামিজ পরে এসেছিলো আমার সামনে৷ সাদা জর্জেট ওড়নায় মাথা ঢেকে এসেছিলো। আমার মুখোমুখি ওকে যখন বসানো হয় সেই সময়টা ছিলো পশ্চিমে সূর্য হেলে যাওয়ার মুহূর্ত৷ আমার মুখোমুখি সোফাটাতে ও এসে বসলো৷ পশ্চিমের জানালার গ্রিল গলে বিকেলের রোদ ওর চেহারার একপাশে এসে লেপ্টে ছিলো। ওর সেদিনের মুখটা আমার নজরে ভাসে জানো! খুব শুভ্র আর সাদামাটা একটা মুখ। মেকআপের কোনো চাকচিক্য নেই। চিকন করে কাজল জড়ানো একজোড়া চোখ আর নাকের বামপাশে চিকচিক করতে থাকা সাদা পাথরের নাকফুল৷ লম্বা চুলগুলো বেণী করা ছিলো৷ জর্জেট ওড়নার আড়ালে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম ওর বেণীটা। ওর গাল পর্যন্ত সামনের কিছু চুল কাটা ছিলো৷ মুখের দুপাশ দখল করে নিয়েছিলো চুলগুলো৷ ফ্যানের বাতাসে হাল্কা উড়ছিলো। মুখের সামনে বারবার আসছিলো আর ও চুলগুলো বারবার কানের পাশে গুঁজে দিচ্ছিলো। প্রায় আধাঘন্টা ওকে আমাদের সামনে বসিয়ে রাখা হয়েছিলো। আমি ওকে একবারের জন্যও আমার দিকে মুখ তুলে তাকাতে দেখিনি৷ বাবা মা আর সাবিহা যা জিজ্ঞেস করেছে ও শুধু মাথা নিচু করে উত্তর দিয়ে গেছে।
– আপনি কিছু জিজ্ঞেস করেননি?
– না। আমি চাচ্ছিলাম আলাদা বসে কথা বলতে। কেন যেনো মনে হচ্ছিলো ও এই বিয়েতে রাজি না। আমি চাচ্ছিলাম আলাদা বসে ওর সাথে এই ব্যাপারটা নিয়ে একটু খোলাখুলি কথা বলে নেই।
– এমন মনে হলো কেন?
– ও আমার দিকে একবারের জন্যও তাকায়নি৷ কেন তাকাবে না? যার সাথে বিয়ের কথা চলছে তাকে তো সবাই দেখতে চাইবে, তাই না?
– হুম, তা চাইবে। তারপর? কথা কি বলতে পেরেছিলেন?
– না। মা আমার পাশে বসা ছিলো। আমাকে ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞেস করলো, কি রে মেয়ে পছন্দ হয়েছে?
আমি বললাম, হ্যাঁ হয়েছে৷
মা আবার জিজ্ঞেস করলো, বিয়ে করা যায়?
আমার তখন কি হলো আমি জানি না৷ আমার কাছে মনে হচ্ছিলো রুপু অসম্ভব শান্ত একটা মেয়ে৷ হাজবেন্ড কিংবা সংসার নিয়ে আহামরি চাহিদা আছে বলে মনে হয় না। যেভাবে রাখবো সেভাবেই থাকবে৷ আর বাবা তো বলেছিলোই এমন মেয়ের সাথে জনম জনম সংসার করা যায়৷ আমি হুট করেই মা কে হ্যাঁ বলে দিলাম। সাথে এটাও বললাম, এমন মেয়েই আমি খুঁজছিলাম৷

ব্যস….. অতটুকুতেই কাজ হয়ে গেলো৷ আমার মা ভরা মজলিসে বলে দিলো মেয়েপক্ষের আপত্তি না থাকলে তিনি আজই আংটি পরাতে চান। রুপুর ভাই আর বাবা সাথে সাথেই সায় দিয়ে দিলো৷ আমার মা তো খুশিতে আটখানা হয়ে পার্স থেকে আংটি বের করে আমার হাতে দিয়ে বললো,
– কি সুন্দর মেয়েটা! একদম বাচ্চা বাচ্চা মুখ। কত্ত আদর লাগে দেখতে! তোর বাবা বললো খুব লক্ষ্মী। চেহারা দেখেই তো বুঝা যাচ্ছে মেয়েটা কি লক্ষ্মী। ওকে হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। আজই আংটি পরিয়ে যাবো৷

আমিও মায়ের বাধ্য ছেলে হয়ে আংটি হাতে নিয়ে বসে রইলাম রুপুকে আমার পাশে এনে বসানোর অপেক্ষায়। রুপুকে ধরে ওর ভাবী আমার আর মায়ের মাঝে এনে বসিয়ে দিলো। আমার মা রুপুর হাত ধরে আমার সামনে এগিয়ে দিলো আংটি পড়ানোর জন্য৷ রুপু তখনও আমার দিকে তাকাচ্ছে না। আংটি পড়ানোর ঠিক আগ মুহূর্তে ফিসফিস করে ওকে বললাম,
– আপনি কি বিয়েতে রাজি না? হ্যাঁ বা না বলুন।

রুপু খুব আস্তে শব্দ করলো,
– হুম।

আংটি পরাতে যাবো ঠিক সে সময় রুপুর ফুফু বলে উঠলো আজই বিয়ে করতে৷ এই কথা শুনে আমার মা সাথে সাথেই আমার বাবাকে বললো,
– সৈকতের বাবা, বিয়েটা করিয়ে ফেললেই বোধহয় ভালো হয়। তাই না, বলো?

বাবা কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে আমার শ্বশুরকে জিজ্ঞেস করলো,
– ভাই আপনার কি মতামত?

আমার শ্বশুর উপস্থিত সবার মুখের দিকে একবার করে তাকালো। সবার চেহারা দেখার পর বললো, উনিও একমত।

– বিয়ে হয়ে গেল?
– হুম। সেদিনই সাড়ে নয়টায় বিয়ে হয়ে গেল।
– এত জলদি? কোনো চেনা জানা ছাড়াই? কোনো কথাই তো বললেন না ভাবীর সাথে।
– আমি কেন যেনো সেদিন চুপ ছিলাম! বাবা মা যা বলছিলো আমি সব মেনে যাচ্ছিলাম৷ কেন মেনে নিচ্ছিলাম তা জানি না। আমি কিন্তু চুপচাপ বাবা মায়ের কথা মেনে নেয়ার মত ছেলে না। কিংবা চেনা জানাহীন কোনো মেয়েকে বিয়ে করবো এমন মানুষও না৷ কিন্তু সেদিন সবকিছুই বিপরীত ঘটছিলো৷ সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে যাচ্ছিলো। ঝড়ের গতিতে একটা অচেনা অজানা মেয়ে আমার বিয়ে করা বউ হয়ে গেল। তখন পর্যন্ত আমি জানতাম না রুপন্তি আসলে কি? যাকে আমি শান্ত শীতল চাঁদ ভেবেছিলাম সে আসলে একটা টর্নেডো৷ রুপন্তি নামক এই টর্নেডো আমার জীবনে আসলো আর এই আমিকে একদম এলোমেলো করে দিলো।

হেলান ছেড়ে সোজা হয়ে বসলো সৈকত। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর মাথার চুলগুলোতে আঙুল চালিয়ে একদফা ঠিক করে নিলো। ইমরান কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে রইলো সৈকতের দিকে। লোকটা টর্নেডোকে বিয়ে করেছে বলে থেমে গেল৷ কেন টর্নেডো বললো, সেই টর্নেডো তার জীবনে কি কি আঘাত হেনেছে এসব তো জানার বাকি৷ এমন টানটান মুহূর্তে কেউ গল্প বলা থামিয়ে দেয়! কৌতূহলের পীড়াপীড়িতে ইমরান বলেই ফেললো,

– চুল পরেও ঠিক করা যাবে। আগে কাহিনি বলেন।

সৈকত মুচকি হাসলো৷ বললো,
– আছেই তো সারারাত বাকি। ধীরে ধীরেই নাহয় শুনো।
– না, না৷ আমি বিরতি দিয়ে গল্প শুনতে পারি না৷ অস্থির হয়ে যাই একদম।
– রুপুও খুব অস্থির স্বভাবের ছিলো। মাথায় যখন যা আসতো তাই ই করে বসতো৷ তবে সবসময় সবার সাথে করতো না৷ বেশিরভাগ পাগলামি করতো আমার সাথেই৷ কত যে অত্যাচার করতো!
– করতো মানে? এখন করে না?
– এখনও করে। তবে অত্যাচারের ধরণ বদলে গেছে।
– কেমন?
– বলবো৷ পুরোটাই বলবো। পুরো গল্পটা শোনানোর জন্যই তো তোমাকে সারারাতের জন্য রেখে দিয়েছি।
– বিয়ের পর কি হলো?
– কোনোরকমে আমাদের বিয়েটা হয়েছিলো। ওদের বাসা থেকে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমার বাসায় ফিরতে রাত একটা বেজে গেলো।
– বউসহ ফিরেছিলেন?
– হুম। রুপুকে সাথেই নিয়ে এসেছিলাম। নতুন বউ শ্বশুরবাড়িতে পা রাখে একগাদা মানুষকে সামনে রেখে। বরণ করা হয় মিষ্টি মুখ করিয়ে৷ রুপুর বেলায় তেমন কিছুই হলো না। ওরকম কোনো প্রিপারেশন আমাদের ছিলোই না৷ আমার বিয়েতে আমার দুই মামার ফ্যামিলি, এক ফুফুর ফ্যামিলি আর আমার চার পাঁচটা বন্ধু উপস্থিত ছিলো। ওরা সবাই যার যার মত বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ওখান থেকেই বাসায় ফিরে গেলো। আর আমরা চারজন বাসায় ফিরলাম নতুন বউ নিয়ে৷ গেস্ট বলতে শুধু রুপন্তির ভাইয়ের ছেলেটা এসেছিলো আমাদের সাথে। দুইদিনের জন্য পাঠানো হয়েছিলো ওকে এই বাসায়৷ খালিমুখেই রুপুকে বাসায় আনা হলো। কারণ আমাদের বাসায় তখন মিষ্টি ছিলো না৷
– এত তাড়াহুড়ো করে বিয়ে না করলেও তো পারতেন। সপ্তাহখানেক সময় কিন্তু নেয়া যেতো। কিংবা বিয়ে করেছেন ভালো কথা, বউ না আনলেও তো চলতো৷ পরেও তো তাকে আনা যেতো। তাই না?
– হ্যাঁ, তা যেতো৷ কিন্তু তখন আমাদের সবার মাথায় কি পোকা ঢুকেছিলো কে জানে! বিশেষ করে আমার মা আর রুপুর ফুফু এই দুজনের মাথায়ই পোকা একটু বেশিই নড়াচড়া করছিলো।
– তারপর?
– দেড়টা নাগাদ যার যার ঘরে চলে আসলাম। রুপুর সাথে তখন পর্যন্ত আমার কোনো কথা হয়নি৷ সেই যে বিকেলে একটা কথা হয়েছিলো? ব্যস, অতটুকুই।
– কথা হলো না কেন?
– কি কথা বলতাম? সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন সে৷ তার উপর ওকে একবারের জন্যও আলাদাভাবে কথা বলার সুযোগ পাইনি। রুপুও কথা বলার চেষ্টা করেনি। এসব কারণেই আর কথা বলা হয়নি।
– নিজের ঘরে এসে কথা বলতে পেরেছিলেন তো? নাকি সেদিন আর কথাই হয়নি?
– হয়েছে। রুপুই কথা বলেছিলো প্রথম। ঘরের দরজা আটকে আমি ভাবছিলাম কি কথা বলা যায়! ভাবতে ভাবতে রুপুই শুরু করলো৷ লাল রঙের শাড়ীটার আঁচল দিয়ে ঘোমটা টেনে ঘরে ঢুকেছিলো৷ আমি দরজা আটকে দিতেই মাথার ঘোমটা ফেলে ড্রেসিং টেবিলের পাশে রাখা ওর লাগেজটার পাশে বসে পড়লো। লাগেজ থেকে একটা কাঠের বক্স বের করে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো,

– এটা আপনার গিফট৷

আমি একটু চমকে গিয়েছিলাম৷ হঠাৎ গিফট পেলে তো চমকে যাওয়ারই কথা! আমি বক্সটা হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
– কিসের গিফট?

ও বললো,
– আজ আমাদের বাসর না? বাসর রাতে গিফট দিতে হয় তো। জানেন না আপনি?

আমি রুপুর দিকে ভালো করে তাকালাম। ও ফ্লোরে আসন ধরে বসে আমার সাথে হেসে হেসে কথা বলছিলো৷ এতক্ষণ যেই শান্ত চুপচাপ আর লাজুক রুপুকে দেখছিলাম এটা সেই রুপু না৷ ওর চোখে মুখে শান্ত আর চুপচাপ স্বভাবের ছিঁটা ফোঁটাও ছিলো না৷ চেহারা আর হাসি দেখে তখন মনে হচ্ছিল এই মেয়ে খুব দুষ্ট৷ এই যে আমি অপরিচিত একজন যার সাথে ও আজ থেকে রুম শেয়ার করবে সেসব নিয়ে ওর কোনো ভাবনাই নেই। ওকে দেখে মনে হচ্ছিলো সব কিছু স্বাভাবিক আর আমি ওর পূর্ব পরিচিত৷ বক্সটা আমি হাতে নিয়ে ওর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। ওকে দেখছিলাম, ওকে বুঝার চেষ্টা করছিলাম৷ বক্সটা খুলছিনা বলে রুপু আমাকে বলে উঠলো,

– এখনই এভাবে হা করে তাকিয়ে থাকলে চলবে? সারারাত পড়ে আছে। আমি কি কোথাও চলে যাচ্ছি? থাকবো তো আপনার সামনেই৷ দেখতে পারবেন তো আমাকে। এখন গিফটটা একটু খুলে দেখুন।
– কি গিফট করেছিলো উনি?
– বক্সে একটা আফটার শেইভ, এক প্যাকেট সিগারেট, একটা লাইটার আর একটা পারফিউম ছিলো৷ আমি অবাক হওয়ার আরেক ধাপে পৌঁছালাম। আমি জানতাম স্ত্রী সম্প্রদায় কখনোই হাজবেন্ডের সিগারেটের অভ্যাস সহ্য করতে পারে না৷ অথচ রুপু আমাকে লাইটারসহ সিগারেট গিফট করেছে!

আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম,
– আমার সিগারেটের অভ্যাস আছে সেটা আপনি কিভাবে জানেন?
– আপনার ঠোঁট দেখে বুঝেছি।
– আমার দিকে তো একবারও তাকাতে দেখিনি!
– আরেহ্ দেখেছি দেখেছি। কারো চেহারা দেখার জন্য কি ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকতে হয় নাকি? এক মুহূর্তই যথেষ্ট।
– তাই বলে সিগারেট গিফট করবেন?
– কেন? কি সমস্যা?
– ওয়াইফরা তো কখনোই সিগারেটের অভ্যাস মেনে নিতে পারে না।
– ওহ্! তাই নাকি! আমার তো ভালোই লাগে। সেক্সি স্মেল। যে কয়টা গিফট করেছি সবগুলোর স্মেল আমার কাছে ভীষণ সেক্সি লাগে। বিশেষ করে ঐ আফটার শেইভটা। আমার ভাইয়ের ছেলেটা আছে না? রাহাত? ওকে দিয়ে সব কিনে আনিয়েছি। রাহাত আমার হাতে বক্সটা দিতেই কি এক দুষ্ট খেয়াল মাথায় এসেছিলো জানেন?
– কি?
– শুনলে তো বলবেন মেয়েটা বড্ড নষ্ট খেয়ালের। তবুও বলি….. সম্পর্কে তো আপনি আমার হাজবেন্ড। আপনি নষ্ট ভাবেন আর মিষ্টি ভাবেন আজীবন তো আপনার হয়েই থাকবো৷ আপনার কাছে আর লজ্জা করে লাভ কি? তো যা বলছিলাম, বক্সটা হাতে নিতেই খেয়াল এলো আপনি পারফিউম আর আফটার শেইভ মেখে সিগারেট মুখে আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন। একদম আমার কাছে এসে আমার মুখ বরাবর সব ধোঁয়া ফুঁ মেরে ছেড়ে দিলেন। পারফিউম, আফটার শেইভ আর সিগারেটের ধোঁয়া সবগুলোর ঘ্রান মিলেমিশে একাকার। ফ্যানের বাতাসে সেই ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে ঘরের সবখানে। আমার পুরো ঘর জুড়ে শুধু সেক্সি স্মেল। মনভরে সেই ঘ্রান নাক দিয়ে টানতেই মাতাল হবো হবো এমন সময় আপনি আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আমার ঠোঁটে একটা গাঢ় চুমু দিয়ে দিলেন।

ও এতটুকু বলেই মুখ চেপে হাসতে শুরু করলো। আর আমি! ও খোদা বলে মনে মনে দিলাম এক চিৎকার। কেউ শুনলো না আমার সেই চিৎকার। কেউ দেখলো না আমার সেই ভয়ে ছোট হয়ে যাওয়া আত্মা। ওর কথা শুনে আমি পুরোপুরি জমে গিয়েছিলাম ইমরান। ভাবতে লাগলাম, এটা আমি কাকে বিয়ে করেছি!

(চলবে)

#মিম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here