#ছুঁয়ে দিলে মন ❤️
#লেখিকা:- তানজিনা আক্তার মিষ্টি ❤️
#পর্ব:-২০
দেখা করে আশার পর থেকে তিতলি হাতের আংটির দিকে তাকাচ্ছে আর লজ্জার লাল হয়ে যাচ্ছে।
দীর্ঘ বিশ মিনিট ধরে ওর ন্যাকামি দেখে যাচ্ছি আমি। অসহ্য লাগছে আমার ।
—তিতলিইইইইইইইই
কানের কাছে চিতকার করতেই ধ্যান ভাঙলো উনার ।
—এভাবে চিল্লাচিল্লি করছিস কেন?
—কি বললি আমি চিল্লাচ্ছি ? তা তো বলবিই আমি এখন তোর কে ওই তন্ময় ই তো তোর সব তাইনা।
—-সরি ইয়ার আসলে ওই সময় টা কিছুতেই ভুলতে পারছি না । আমি কতো খুশি তোকে বলে বুঝাতে পারবো না। আমার কতো দিনের সপ্ন আজ পূরণ হয়েছে তোকে বুঝাতে পারবো না।
—-আমি বুঝতে ও চাইনা। এখন বল ওখানে কী কি হয়েছে?
তিতলি লাজুক হাসলো।
— লজ্জা বাদ দিয়ে বলতো।
— তোরা আসার পর ও আমাকে এই রিং টা পরিয়ে দিয়েছে।
—আর,
—লাভ ইউ বলেছে তারপর,
বল্লেই লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলল,
মিষ্টি ব্রু কুচকে তাকিয়ে আছে
—তারপর কী বল?
—আমার না লজ্জা করছে!
—করতে পারছো তখন লজ্জায় করে নাই এখন লজ্জা পাচ্ছিস সত্যি করে বল কি কি করেছিস।
—ও না আমার হাতে রিং পরিয়ে দিল তারপর হাতে কিস করেছে আমার মে কি লজ্জা লাগছিল বলে বুঝাতে পারবো না।
—-আর কোথায় করছে কিস?
—-আর কোথায় করবে?
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল তিতলি।
—আরে মুভীতে মে করে দেখছ নি
—আরে এইসব করে নি শুধু হাতেই।
কথাটা শুনে বড় শ্বাস ফেলল মিষ্টি।
পনেরো দিন থাকলো তিতলি।এর মাঝে ছয়বার দেখা করেছে তন্ময় এর সাথে।
একা যায় নি আমাকে ও নিয়ে গেছে আমি যেতে না চাইলেও কান্না জোরে দিয়েছে। বাসায় সবাইকে কোন না কোন ভাবে মানেজ করে ই ছারছে।
আর সেখানে গিয়ে দেখা হয়েছে জয়ের সাথে আমার অবশ্য তার সাথেই থাকতে হয়েছে কারণ ওদের নাকি প্রাইভেসি লাগবে অসহ্য।
প্রথমে ওনার সাথে থাকতে আনইজি লাগলেও পরের দিকে ভালোই লাগতো ।
একদিন আমরা চারজন মেলায় ও গেয়েছিলাম।
সেখানে একটা চমৎকার ঘটনা ঘটেছিলো।
তিতলি ওর তন্ময়ের সাথে আলাদা ঘুরছে । আর আমি একা একা পাশে অবশ্য জয় ছিলো ।
আমি ঘুরতে ঘুরতে পায়েল যেখানে ব্রিকি হয় সেখানে চলে আসি । পায়েল গুলো দেখছিলাম এমন সময় একটা মেয়ের দিকে চোখ যায়।
একটা ছেলে একটা মেয়েকে পায়ে নুপুর পরিয়ে দিচ্ছে। ছেলেটা মেয়েটাকে বয়-ফ্রেন্ড দেখেই বুঝা যাচ্ছে তারা দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসে তাদের চোখ ই বলে দিচ্ছে।
—ইশশ এমন একজন বয়ফ্রেন্ড যদি আমার ও থাকতো । সে আমাকে এখন এভাবে যত্ন করে,
আর কিছু বলতে পারলাম না স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি নিচের দিকে। জয় আমার পা নিজের হাঁটুর উপর রেখে নুপুর পরিয়ে দিচ্ছে। আমি হতদম্ব হয়ে আছি নিজের কাজ শেষ করে উঠে দাঁড়ালো।
—-এভাবে চমকাচ্ছো কেন?
—আপনি আমাকে এভাবে,
—বয়ফ্রেন্ড হয়ে না বন্ধু হয়ে পরিয়ে দিলাম।
অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে।
সেদিন থেকে তার প্রতি আলাদা অনুভুতির জন্ম হয় আমার মধ্যে।
তিন মাস পর
আজকে আমার রেজাল্ট বের হয়েছে। খুব ভালো করি না্ই । খুব খারাপ ও করি নাই।
4.68 পেয়েছি। সবাই চেয়েছিলো আরো ভাল কিছুর কিন্তু তা হলো না।
কলেজের ভর্তি হলাম। দেখতে দেখতে ছয় মাস পার হয়ে গেল কলেজে আগের কিছু ফ্রেন্ড আছে সাথে আমার নতুন একটা ফ্রেন্ড ও হয়েছে না। আরশি নাম ওর ওর সাথে আমি নিজে থেকে ফ্রেন্ডশীপ করেছি। তার অবশ্য কারন আছে।
কলেজে আগের চার ফ্রেন্ড নতুন করে পেয়েছি ওরা বলেছে নতুন কোন ফ্রেন্ড আর বানাবে না শুধু আমরা আমরা ই । তাই মেনে ও নেই।
একমাস আমরাই মজা মাস্তি করে থাকি । এর মাঝে একটা মেয়ের দিকে আমার নজর যায় শুধু একদিন প্রায়দিন
মেয়েটা একা থাকা একা বসে কারো সাথে কথা বলতে ও দেখি না। ঠান্ডা মেজাজের মেয়ে সবসময় চুপচাপ থাকে। প্রতিদিন কলেজে আসে ক্লাস করে আবার চলে যায়। তার সম্পর্কে জানতে আমি নিজের কথা বলি প্রথম দিন কথা বেশি বলে না কিন্তু আমি ও ছারার নয়।
মানিয়ে ছারি তার থেকে আস্তে আস্তে বেস্টফ্রেন্ড হয়ে উঠি।
আজকে আরশির সাথে ওদের বাসায় যাবো।
বাসায় এসে সবার সাথে পরিচিত হলাম। তারপর উপর ওর রুমে এসে গল্প করতে লাগলাম।
দুই ঘন্টা পর চলে আসার জন্য উঠে দাঁড়ালাম।
গেটের বাইরে আসতেই একজনকে দেখে থমকে দাঁড়ালাম। প্রায় নয় মাস পর আমাদের দেখে দুজন দুজনকে দেখে চমকে উঠলাম।
#ছুঁয়ে দিলে মন ❤️
#লেখিকা:- তানজিনা আক্তার মিষ্টি ❤️
#পর্ব:-২১
কালকে একটা ক্লাস পরীক্ষা আছে এজন্য বই খুলে পড়তেছি। কিন্তু পড়ায় মন কিছুতেই বসাতে পারছি না বারবার সেই সময়টা কথা মনে পড়ছে। অনেকদিন পর সেই মুখটা দেখতে পেলাম। তিতলি যতদিন এখানে ছিলততদিন প্রায়ই দেখা হতো সেসব আমাদের মাঝে বন্ধুত্বের মতন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু আর দেখা হয়নি।
আজকে আবার দেখা হলো অনেক দিন পর সে যে আরশির ভাই আমি তো কল্পনাও করি নাই।
আরশিদের বাসায় না গেলে তো জানতেই পারতাম না।
কিন্তু আমরা কেউ কথা বলি নাই আমরা দুজন দুজনকে চিনি সেটা আরশিকে বুঝতে দেই নাই। আরশি আমাদের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
কেমন বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে ছিল জয় আমার দিকে।কিছু একটা ফিলিংস আমার মধ্যে হয়েছিল প্রথমে কিন্তু এতদিন দেখা না হওয়ায় সব চলে গিয়েছিল আর আমি তাকে ভুলে গিয়েছিলাম আজকে আবার দেখা হয়ে সেটা মনে মনে জেগে উঠতে চাইছে মনে হয়।
পড়াতে মন বসাতে পারলাম না। উঠে দাঁড়িয়ে পরলাম। কি মনে করে যেন ফোনটা হাতে নিলাম। হ্যাঁ এই ফোনটার নতুন কলেজে ওঠার পর আমাকে কিনে দিয়েছে। আর একমাস হলো আমি একটা ফেসবুক একাউন্ট খুলেছি। এখন আমার ফেসবুকে ঢুকতে ইচ্ছে হচ্ছে ডাটা অন করে ফেসবুকে ঢুকলাম। ফ্রেন্ডস আড্ডা গ্রুপের একটা কথা বলার মাঝে হঠাৎ আমার জয়ের আইডি দেখার ইচ্ছা হল।আচ্ছা সে কি ফেসবুক চালায় চালাতে পারে এখনকার দিনে এমন তো কেউ নাই যে ফেসবুক চালায় না। তার নাম দিয়ে সার্চ দিতে গেলাম।
কি লিখে চার্জ দিব? তার পুরো নামটা কি যেন মনে পড়তেছে না?
জয় নাম দিয়েছেন হাজার হাজার আইডি চলে এসেছে তার আইডি পেলাম না। ধুর শুধু জয় দিলে হবেনা কিছু এর আগে পিছে তবে দিতে হবে। হঠাৎ আমার নামটা মনে পড়ে গেল।ইয়েস ভাইয়ের সাথে যেদিন দেখা হয়েছিল ভাইয়া তার পুরো নাম বলে হ্যান্ডসেট করে ছিলো।
আরাফাত হোসেন জয়। নামটা লিখে সার্চ দিতেই জয় আইডি প্রথমে চলে এলো। আমিতো আইডিটা খুঁজে পেয়ে একটা মৃদু চিৎকার দিয়ে উঠলো, কিন্তু একটা মহা ভুল করে ফেললাম।
সাথে সাথে মুখ চেপে ধরলাম কিন্তু শেষ রক্ষা হল না বাসার সবাই আমার রুমে এসে হাজির হলো।ভাবি এসে একদম আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে মিষ্টি তুমি এমন চিৎকার করলে কেনো?
ভাইয়া আম্মু দরজার কাছ দিয়ে রুমে ঢুকে তারাও একই প্রশ্ন?
চিৎকার টা মনে হয় একটু জোরে কমই দিয়েছিল কিন্তু এরা সবাই এত শুনলে কি করে তার মানে আমি খুব জোরে চিৎকার করছিল। অসহায় মুখ করে সবার দিকে তাকিয়ে আছি কি বলবো এখন মোবাইলটা কোন হাতে আছে। আমি তাদের দেখে এবার তাড়াতাড়ি মোবাইলটা টেবিলের উপর দেখে হাসি হাসি মুখ করলাম।
—কি আমার হবে কিছুই হয়নি তো?
—কিছু হয়নি তাহলে আমার চিৎকার করলে কেনো পরে শরীর ব্যথা পেয়েছিস?
—ভাইয়া কথা বলে আমার দিকে এগোলো আমি বললাম না না না ব্যথা পাই নাই তোরা চলে যা। আমার আমিতো চিৎকার করেছি অন্য একটা কারনে,
—মোবাইল হাতে নিয়ে নিয়ে চিৎকার করেছিস মোবাইলে কি হয়েছে দেখি?
বলে ভাইয়া মোবাইল নিতে যা আমি ছুটে মোবাইলটা নিয়ে বলি বললাম না কিছু হয় নাই। তোরা যা তো আমি এখন পড়বো কালকে আমার ক্লাস পরীক্ষা আছে যা যা।
বলে ভাইয়া কার আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে রুম থেকে বের করে দরজা আটকে দিলাম। ভাবি যে রুমের শেষপ্রান্তে ছিল তাকে আমি খেয়ালই করিনি।
ভাবি দিকে চোখ পড়তেই ভয়ে আতকে উঠলাম।
—ভাবি তুমি যাও নাই কেন তুমিও যাও বলে তাড়াতাড়ি ভাবি কেউ টেনে রুম থেকে বের করে দিতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না সে উল্টা আবার দরজা বন্ধ করে আমাকে নিয়ে রুমে ঢুকলো।
—কি গো ননদিনী ব্যাপারে সবাইকে তাড়াতে চায় কেন প্রেম করছো নাকি?
—আমি অবাক এর চরম সীমায় পৌঁছে গেলাম মনে হয় ভাবীর কথা শুনে রাগী রাগী ভাব নিয়ে বললাম,
তোমার কি মনে হয় আমি প্রেম করতেছি তোমার আমার কোন জিনিসটা দেখে মনে হল যে আমি প্রেম করতেছি।
—তাহলে মোবাইল নিয়ে এমন করছ কেন কাউকে ধরতে দিচ্ছ না কেন দেখি মোবাইলে কি আছে?
—ওফ আল্লাহ তোমাদের আমি কিভাবে বুঝব। পরে বলব এখন যাও প্লিজ
মিনতি সুরে বলল তাই আর নুপুর জেদ করল না বেরিয়ে গেল রম থেকে। বাইরে মেঘ দাঁড়িয়েছিল নুপুরকে বের হতে দেখে জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে?
—কি হবে কিছু না।
–তুমি মিথ্যা বলছো?
—উফ মিথ্যা কেন বলব? সত্যি কিছু হয় নাই ও ফ্রেন্ডের সাথে মজা করে চিৎকার করেছে।
মেঘ মনে হয় কথাটা বিশ্বাস করল আর কিছু বলল না স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। তারপর দুজনেই নিজেদের রুমে চলে গেল।
মিষ্টি বড় বড় কয়েকটা নিশ্বাস ফেলে নিজেকে এতক্ষন শাঁসালো তারপর ফোনটা বের করল আল্লাহ প্রথম দিন এরকম। তারপর বিছানায় শুয়ে পড়ল আজকের আর পরবে না। ফোন হাতে নিয়ে আমার আইডি তে ঢুকলো আইডির নাম আরাফাত হোসেন জয়ই দেওয়া আইডিতে ঢুকলাম। প্রোফাইল পিকচার দেখে মনে হয় ব্ল্যাক শার্ট ব্ল্যাক কোট ব্ল্যাক ফ্যাট ব্লাক এতে দেখা যায় সবকিছুই ব্লাক। কিন্তু খুব সুন্দর লাগছে একবারে পারফেক্ট। এমনিতেই জয় ভাইয়া হ্যান্ডসাম ছবি দেতো আর হ্যান্ডসাম লাগছে।চোখে সানগ্লাস পড়ে স্টাইল করে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে রইলাম প্রোফাইল এ দিকে লাইক দেখে তো আমি টাক্শি খেলাম মনে হয়। 2k লাইক। ফলোয়ার 12000। দুই দিন আগে একটা পোস্ট করেছে সেই ছবিটা আরো সুন্দর হয়েছে বাইকে বসা।বাইক কোথায় পেল তাকে তো কখনো বাইকে দেখি নাই সব সময় গাড়িতে দেখেছি।
বাইকের প্রতি সবসময় আমার একটা দুর্বলতা কাজ করে। হা করে ভাইকে দিকে তাকিয়ে আছে আর জয় 32 টা দাঁত বের করে বাইক চালানোর মত স্টাইল করছে।আমি কল্পনায় চলে গেলাম জয় বাইক চালাচ্ছে আর আমি ওর পিছনে বসে আছি।
অনেকক্ষণ এর প্রোফাইল ঘাঁটাঘাঁটি করলাম অনেক কমেন্ট আসছে এজন্য দুই একটা পোস্টের কমেন্টে পরলাম। কমেন্টে গিয়ে আমার রাগ চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল।হাজার হাজার মেয়ের কমেন্ট শুধু ছেলে একটা-দুইটা কিবা হবে আর সব মেয়েরা যত আই লাভ ইউ আই মিস ইউ সো হ্যান্ডসাম। ভালোবাসি প্রেম প্রপোজাল এসব নিয়েই।
তাই আর কমেন্ট পারলাম না কয়েকটা পরে অফলাইন হয়ে গেলাম।ঘুম আসছে না কি মনে করে যেন আবার ডাটা অন করে আবার ফেসবুকে ঢুকলাম আমার জেন্দের মেসেজ আসছে।
ওরা মেসেজ করেছে, এত রাতে কি করিস ফেসবুকে?
কতো রাত হয়েছে যে এভাবে বলছে টাইমে চেয়ে দেখি 11:30 টার ওপরে আছে ও গড বারোটার কাছাকাছি। তাতে বলছে। আমি কি মনে করে যেন আবার জয়ের আইডিতে ঢুকলাম আমার একটা মেসেজ করতে মন চাইছে।
দুই-তিনবার ম্যাসেঞ্জারে ঢুকে দেখলাম হাই বিভিন্নভাবে আবার হ্যালো কি লিখবো বুঝতাছিনা অবশেষে হাই লিখে সেন্ড করলাম।
10 মিনিট বসে রইলাম সিন হলো না তাই অফলাইন হওয়ার কথা ভুলে গেলাম ওইভাবেই ঘুমিয়ে পরলাম।
সব ফ্রেন্ডরা মিলে আড্ডা দিচ্ছি একটু পরে ক্লাস এক্সাম। কিছুই পারিনা সবাই যাও কিছু পড়েছ আমি তো পড়তে পারি নাই। ঘুমে তাকাতে পারছে না ওই ভাবেই হু হা করে বসে আছি। কত রাত জেগে ছিলাম কে জানে সকাল সকাল উঠে আবার কলেজ আসতে হয়েছে।
এক্সাম দিলাম কিন্তু কিছু লিখেছি বলে মনে হয় না। বিশের মধ্যে আমিতো দশ আন্স করেছি
ম্যাডাম তো আমাকে সেই রকমের বকলো আমি শুধু মাথা নিচু করে বকা খাইলাম।
ছুটির পর গেটের কাছে আসতেই আমার চোখ আটকে গেল একজনের উপর। সে আর কেউ না জয়।
সাদা শার্ট পরে পরেছে। সেই হ্যান্ডসাম লাগছে চোখে সানগ্লাস কিন্তু সে এখানে কেন হঠাৎ মনে পড়লো আরশিকে নিতে এসেছে মনে হয়। কিন্তু আর সেদিকে তাকিয়ে দেখলাম ও আমার থেকেও বেশ অবাক হয়েছে।
—ভাইয়া তুই এখানে?
—এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম তাই ভাবলাম তাকে নিয়েই যাই।
আরশি অবাক হয়ে ওর ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে কথাটা বিশ্বাস হচ্ছে না। তবু কিছু বলল না সাথে ফ্রেন্ড আছে।
–আচ্ছা তাহলে চল।
মিষ্টি বাই কালকে দেখা হবে।
আরশি গিয়ে গাড়িতে উঠে বসল জয় এখনো গাড়িতে উঠে নাই। আমিও সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি আমরা এখন সামনাসামনি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি আগে জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছেন?
—আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি কেমন আছো?
—আমার হঠাৎ কালকে মেসেজ পাঠানোর কথাটা মনে পড়লো রাত্রে মেসেজ সেন্ট করে নে সকালে ওঠা আমি দেখেছি মেসেজ সিন করে নাই। এখন সেই কথাটাই বলার কথা মনে পড়ল সাথে সাথে বলে উঠলাম আপনাকে আমি কালকে ফেসবুকে নক করেছিলাম আপনি আমার মেসেজের রিপ্লাই করলেন না কেন? এত ভাব দেখানোর কি আছে তিতলির সাথে যখন দেখা করতে যেতাম তখন তো ঠিকই কথা বলতেন। আর আপনাকে আমি চিনি বলেই নক করেছিলাম আর আপনি আমার সাথে,
কথার মাঝে থামিয়ে দিল,, আমি তোমার মেসেজ দেখি নাই আচ্ছা যাও রিপ্লে করবো নি।
আমি কিছু বলতে চাইছিলাম কিন্তু বলতে পারলাম না আর আরশি দরজা খুলে আবার ফিরে এসেছে। এসে বলল কিরে তোরা কি কথা বলছিস? আমি বললাম কই কিছু না।
চলবে❤️
চলবে❤️