#ছুয়ে_দিলে_মন❤
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি❤
#পর্বঃ- ২
হাটাঁ দিয়েছি বৃষ্টির মাঝেই কিছু দূর আসতেই হাতে টান অনুভব করলাম, আমাকে আবার কে টেনে ধরলো তাকে দেখার আগেই সে দ্রুত গতীতে আবার সেই আগের স্থানে নিয়ে এলো। এবার লোকটার দিকে তাকিয়ে দেখি এতো সেই ছেলে যে আমায় এতো এতো কথা শুনালো যার জন্য আমি ভিজে যাচ্ছিলাম। আমাকে টেনে আনলো কেন? আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি লোকটা মাথার চুল ঝারছে উপরের কোটটা খুলে ঝেরে আবার পরলো,
—হে ইউ আপনি আমাকে এখানে নিয়ে এলেন কেন? কিহলো কথা বলছেন না কেন আবার ওফ ঝারা পুছা ছারেন তো আমাকে টেনে নিয়ে এলেন কেন বলুন?
আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি উওরের আশায় আর সে আরামছে পানি মুছে চলেছে।
এবার চিৎকার করে বললাম তার কাছে গিয়ে,
—আরে আপনি চেচামেচি করছেন কেন? আমি তো আপনার ভালোর জন্য ই নিয়ে এলাম।
—আমার ভালোর জন্য![ অবাক হওয়ার ভঙ্গি করে ]
—হুম আপনার জন্যই তো, আপনি কিন্তু খুব জেদি বললাম আর ভিজে চলে যাচ্ছিলেন !
—আমার ইচ্ছে হয়েছে আমি যাচ্ছিলাম আপনার কি?
— আমার কিছুই না কিন্তু আমার কথা শুনে কেন যাচ্ছিলেন আবার অসুস্থ হয়ে গেলে আমাকেই দোষারোপ করবেন বকাঝকা করবেন এমনকি অভিশাপ ও দিতে পারেন সেই ভয়ে নিয়ে এলাম।
–কিহ
–জি, ” ছাতা ফুটিয়ে চাইলে চলে জান না হলে এখানে অপেক্ষা করেন বৃষ্টি কমা অবধি আর চাইলে আমার সাথে যেতে পারেন।”
—আপনি আমাকে অর্ডার করেছ !
—একদমি না।
— হ্যা আপনি আমাকে অর্ডার ই করছেন। আপনি ভাবলেন কি ভাবে আমি আপনার কথা শুনে চলবো। আমি আমার ইচ্ছে মতো চলবো আপনার বলবেন আর তাই করতে হবে আমি এখন ভিজেই যাবো।
বলেই মিষ্টি আবার হাটা দিলো কি শখ আমাকে হুকুম করে যেখানে আববু ভাইয়া আমার বাসার কেউ আমাকে কিছু তে অডার করতে পারে না। আমি তার কথা চলবো হূহ রেগে কথা গুলো ভাবছে,
–এই যে মেডাম কি বললেন আপনি কারো কথা শুনে না রিয়েলি?
আবার ওই খচ্চর লোকটা কথা বলে উঠলো, আগুন চোখে তার দিকে ফিরে তাকালাম,
–তো আপনি কি বলতে চাইছেন আমি মিথ্যা বলছি?
—বলতে চাইছি না বলছি।
–হোয়াট?
—আপনি তো খুব মিথ্যে বাদী দেখা যাচ্ছে।
–কি আমি মিথ্যে বাদী আপনি এতো বড় কথা বলে ফেললেন? আপনি আমাকে কতো টুকু চিনেন যে এতো বড় কথা বললেন।
–এই যে এখন যতো টুকু চেনার চিনলাম তো। কি বললেন কারো কথা শুনেন না নিজের মর্জি মতো চলেন এইটা তো মিথ্যা আপনি তো…
— মিথ্যা মানে,
— মানে হলো আপনি যদি কারো কথা নাই শুনেন তাহলে আমার কথা শুনে ভিজে চলে গেলেন কেন?
বলেই লোকটা ভ্রু নাচালো,
মিষ্টি কিছু বলতে গিয়ে ও বলল না আসলেই তো লোকটা তো ঠিকই বলেছে আমি তো তার কথা শুনে যাচ্ছি লাম আমি তো,
–কি হলো মেডাম আমি ঠিক বলছি তো?
আমি চোখ ঘুরিয়ে তার দিকে তাকালাম রাগে আমার শরীর কাপছে,
—ওকে কিছু না বললেন, কিন্তু এখন ভিজে গেলে আমার কথায় শুনা হবে আপনার ইচ্ছে হলে চলে যান।
মিষ্টি একবারে তাকিয়ে রইল তারপর কি মনে করে যেন ছাতা বের করে ফুটিয়ে হাটা দিলো আবার পেছনে ফিরে এগিয়ে চিৎকার করে একটা কথা বলেই চলে গেল,
এদিকে
[ এই ছেলেটা হচ্ছে আরাফাত হোসেন জয়। পেশায় একজন বিজনেস ম্যান সবে বাবার বিজনেস এ ঢুকেছে। আজকেই গাড়ি টা মাঝ রাস্তায় এসে নষ্ট হয়ে গেছ যার জন্য এখানে বসে ওয়েট করছে নিউ গাড়ি জন্য। ড্রাইভার গারেজে পাঠিয়েছে গাড়ি আর বাড়িতে গেছে গাড়ি আনতে তার জন্য অপেক্ষা। আরাফাত কে সবাই আরাফ বলে ডাকে। দুই বোন আরাফের একজন আরাফের বড় তার বিয়ে হয়েছে না আলিয়া। এক মেয়েও আছে তিন বছরের। আর এক বোন ছোট টেনে পরে নাম আরুশি। বাবা রিফাত হোসেন মা কারিমা বেগম।]
[ রাইসা সুলতানা মিষ্টি, বাবা রাদিব চৌধুরী, মা মহূয়া আক্তার, বড় ভাই মেঘ চৌধুরী। মেঘ লেখাপড়া শেষ করে বাবার সাথে অফিসের বসে। মা হাউজওয়াইফ, মিষ্টি টেনে পরে প্রচণ্ড দুষ্টু যা হয়েছে সব বাবা আর ভাইয়ের অতি আদরের জন্য ]
আরাফ বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে আছে বৃষ্টির ফোটা পরা রাস্তায় দিকে পানি জভে আছে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে একবার জোরে তো একবার ঘুরুঘুরু করে। এতো ক্ষণ ভালো লাগছিল তাও মেয়েটার সাথে ঝগড়া করে এখন একা লাগছে। আবছা দেখা যাচ্ছে মেয়েটা লাফিয়ে যাচ্ছে ছাতা ঘুরছে এক ভাবে মাঝে মাঝে পানিতে ও লাফাছে আস্তে আস্তে মিলিয়ে গেল।
–হ্যালো, স্যার আমি এসে গেছে আর দশ মিনিট লাগবে।
–আর ও দশ মিনিট করিম আধা ঘন্টা হয়ে গেছে তুমি আর ও সময় চাইছো।
–সরি স্যার, বৃষ্টির জন্য এতো লেট হচ্ছে?
রেগে আরাফ ফোন কেটে দিলো।
❤
মেঘ নিজের কেবিনে বসে আছে। আধা ঘন্টা ধরে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে আছে আর সামনে দাঁড়িয়ে আছে নুপুর [ মেঘের পি এ ] আধা ঘন্টা ধরে ফাইল নিয়ে দাড়িয়ে আছে অথচ মেঘ সেদিকে খেয়াল ই করছে না।নিজের মতো ল্যাপটপের কাজ করে যাচ্ছে। নুপুর এসে দাঁড়িয়ে আছে কিছু বলতেও পারছে না কিছু বললেই আবার চিৎকার করে বকে দিবে। আর না বললে ও বকবে কি যে করবে নুপুর ভয়ে ভয়ে বলল,
–স্যার
সঙ্গে সঙ্গে মেঘ তাকালো নুপুরের দিকে মেয়েটা এতো ভয় কন পায় বুঝি না। মেঘ তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো,
— কি হয়েছে মিস নুপুর?
–স্যার এই ফাইলটা?
—তো আপনি এই ফাইলের জন্য এসেছেন।
–হুম
—আমার তো অন্য কিছু মনে হচ্ছে?
–মানে………
–মানে খুব সিম্পুল আপনি ফাইলের নাম করে আমাকে দেখতে এসেছেন!
নুপুর অবাক চোখ তাকালো, চোখ বড় করে কি বলছেকি স্যার,
–কি বলছেন স্যার?
— হুম জানি আপনার যে আমার প্রতি র্দূবলতা আছে।
— এসব না স্যার আপনি আমাকে,
— নো আমি কোন ভুল বুঝি না। আপনি আমাকে দেখতে না আসলে ফাইল টা ধরে আধা ঘন্টা এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতেন না কিছু না বলে?
— স্যার আপনি জরুরি কাজ করছিলেন যদি কিছু বলে তাই।
— তা আপনার কাজটা বুঝি জরুরি না।
–এটাও জরুরি কিন্তু যদি
— আবার কিন্তু [ মেঘ ইচ্ছে করেই এইসব বলল ]
নুপুর ভয়ে কাপা কাপি করতে লাগলো, যা দেখে মেঘে মুচকি হেসে জোর গলায় ফাইল চাইল নুপুর চিৎকার এ কেপে উঠে, ফাইল এগিয়ে দিলো।
[ নুপুর মধ্যবিও পরিবারে মেয়ে। বাবা অসুস্থ তাই নিজের চাকরি করে সংসার চালায়। আর মা বাড়িতে থাকে। ছোট একটা বোন আছে নাম নিশা । ইন্টার পাশ করে এই চাকরি নিয়েছে অনার্সে আর ভর্তি হয় নি। দেখতে অসম্ভব সুন্দর গন কালো চুল কোমর ছারিয়ে, ফর্সা গায়ের রং, চোখ দুটো টানা টানা ঠোঁটে নিচে একটা ছোট তিল যা সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে]
#ছুয়ে_দিলে_মন❤
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি❤
#পর্বঃ- ৩
নুপুর ফাইল এগিয়ে দেয় মেঘের সামনে।
–সরি স্যার এমন ভুল আর হবে না।
–ইদানিং আপনার ভুল বেশি হচ্ছে মিস নুপুর।
নুপুর মাথা নিচু করে থাকে কিছু বলছে না যা দেখে মেঘের রাগ আর ও বেশি হয় এতো ববল কেন উনি বুঝে উঠতে পারে না কিছু তেই কিছু যায় আসে না সব কিছু শিকার করে কেন? উনার কি কোন আভিযোগ নেই। নুপুর মাথা নিচু করে একটু পর পর চুল ঠিক করছে।
–আপনি কি ঠিক আছেন?
–জি স্যার।
–এভাবে দাড়িয়ে আছেন কেন? মনে হচ্ছে পাএ পক্ষের সামনে আছেন আপনার কি আমাকে পাএ পক্ষ লাগে?
—এমা ছি ছি কি বলছেন স্যার আমি এসব কেন ভাবতে যাব?
–আমার মনে হচ্ছে আপনি এসব ই ভাবছেন। আপনার কান্ড দেখে এর থেকে বেশি কিছু ভাবতে বা বুঝতে পারলাম না। একটা কথা কান খুলে শুনে রাখুন এটা আপনাক দেখার জন্য খুলা হ য় নি যে লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু হয়ে দাড়িয়ে থাকতে হবে। এটা আমার অফিস আর আপনি একজন কর্মচারী তাই এসব লজ্জা পেলে আমার কাজ হবে না এটা আপনি অন্য জায়গায় দেখায়েন।
নুপুর এবার মাথা উচু করে তাকালো লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু মুখে কিছু বলল না,,,
–জি স্যার।
–এক কাপ কফি নিয়ে আসুন।
বলে মেঘ ফাইল দেখতে থাকে। ফাইল দেখা শেষ করে উপরে তাকিয়ে দেখে নুপুর এখন ও ভাবেই দাড়িয়ে আছে। এবার রাগ সাত আসমানে উঠে গেল এই জন্য এই মেয়েকে দেখতে ইচ্ছে করে না এতো ননসেন্স কি করে হতে পারে।
–আপনাকে একটা কাজ দিয়েছিলাম মিস নুপুর কথা কি কানে যায় না?
–আমাকে,,,
–তো আপনি ছাড়া আর কে আছে এখানে যে তাকে বলছি।
–আমি ভেবেছি অন্য কাউকে আমাকে তো কখনো এই কাজ দেন নি তাই,,,
–কখনো দেয় নি বলে আর কখনো দেবো না এমন টা কোথায় লেখা আছে।
–সরি স্যার,
–আর কতো বার সরি বলবেন নিজে ইচ্ছে করে বোকামি করে বারাবার সরি। ডাফার সরি ভাই ফুট?
–আমি এখনি নিয়ে আসছি।
বলেই নুপুর দৌড়ে বেরিয়ে গেল। মেঘ বিরক্তি নিয়ে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সারে পাচটা বাজে মিষ্টি তার মানে বাসায় চলে আসছে। আজ রাগ করে গেছে একবার ফোন দিয়ে শুনা যাক ভেবেই মেঘ বাড়িতে কল করে।
–হ্যালো মা মিষ্টি কি করছে?
–মিষ্টি কি করছে আমি জানবো কেমনে।
–তো কে জানে ও কি খেয়েছে। বাসায় এসেছে কখন?
–কি বলছিস? খাবে কি আসেই তো নি।
–হোয়াট এখন ও বাসায় আসে নি।
–না তো।
–ওর স্কুল ছুটি হয়েছে এক ঘন্টার উপরে হয়েছে তার উপর আজ আবার বৃষ্টি ছাতা দিয়েছিলে তো।
–হ্যা সেটা তো ওর ব্যাগেই রেখে দিছি।
–তাহলে এতো দেরি কেন হচ্ছে।
–আমি তো সময় দেখি নি ভাবছি সময় হয় নি মনে হয় কাজ করছিলাম ঘড়ির দেখি নি। তাহলে কি হলো মেয়েটার আধা ঘন্টা রাস্তা দের ঘন্টা লেট কেন করছে।
মিষ্টি আম্মু চিন্তিত হয়ে কথা বলছে। বৃষ্টির পানি রুমে আসছে তাই জানালা লাগাতে গেল আর সঙ্গে সঙ্গে চোখ গেল বাগানে কেউ লাফালাফি করছে। স্কুলে ড্রেস পরা মেয়ে এ আর কেউ না মিষ্টি তা বুঝতে বাকি নেয় তার। এদিকে ফোনে মেঘ কযা বলেই যাচ্ছে।
— চিন্তা করিস না তোর বাদর বোন কে পেয়েছি।
–পেয়েছো মানে ওকি বাসায় এসেছে ওর কাছে ফোন দাও এতো সময় কোথায় ছিল কি করেছে?
–সেটা তুই এসেই শুনিস এখন ওর হার গুর ভাঙবো আমি।
— হোয়াট আম্মু হারগুর ভাঙবে তুমি এ সব কি বলছো?
— হুম আমি ঠিক ই বলছি তুই থাকলে ও তাই করতি। কি অসভ্য মেয়ে ভাব আমরা চিন্তা করে মরছি আর উনি বাগানে লাফাচ্ছে। জ্বর হবে না বল আমী বকলে তো তোরা আমাকে বকিস এখন কি কলব বল এই এতো সময় ধরে নিশ্চয়ই বৃষ্টিতে ভিজেছে।
–আম্মু তারাতারি বাসায় নিয়ে আসো অসুস্থ হয়ে পরবে।
কিন্তু আম্মুর কানে কথা গুলো গিয়েছে কিনা কে জানে ফন তো কেটে দিয়েছে।
মেঘ ফোন রেখে তাকিয়া দেখে নুপুর দাড়িয়ে আছে। হাতে কফি, কখন এসেছে কে জানে ফি তো ঠান্ডা হয়ে যাবে আমাকে ডেকি দিলে কিহতো?
–স্যার আপনার কফি আপনি কথা বলছিলেন তাই ডাকি নি।
কিছু না বলে কফির কাপ হাতে নেয় মেঘ। মগ মুখের কাছে নিয়েই সব কফি মুখ থেকে থুথু দিয়ে ফেলে দেয়।
–এসব কি?
— কেন আপনার কফি?
–এটা কি আদো কফি আছে এটা তো শরবত হয়ে গেছে।
–কি বলছেন ছাড়া কফি আবার শরবত হবে কি করে।[ অবাক হয়ে]
–ইউ গেট আউট, আই সে গেট আউট মাই রুম তোমার মুখ ও দেখতে চাইছি না আমি সব কাজে ভুল ননসেন্স তোমাকে কাজে রাখায় উচিত হয়নি আমার।
–কি হয়েছে স্যার আপনি এভাবে বলছেন কেন আমি তো কফি আনছি আর প্লিজ অফিস থেকে বের করে দেবেন না তাহলে অনেক বিপদের সম্মুক্ষিন হতে হবে আমাদের আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো।
–তুমি কাজ ঠিক মতো করতে পারবে না আমি কিকরবো আর আমি তোমাকে অফিস থেকে নয় আমার কেবিন থেকে যেতে বলেছি। কোন দরকার এ কেবিন আমার সামনে এসো না প্লিজ। এই ঠান্ডা কফি খাওয়া যায় একটু মাথা ধরলো তুমি এসে পুরো মাথা টাই নষ্ট করে দাও ডাফার।
রেগে চিৎকার করে বলল কথাগুলো যা শুনে নুপুর কান্না ভাফ চলে এলো এতো কিছু করেও কেন ভুল হয়ে যায় আমার কেন? কিন্তু স্যার এর চিৎকার খুব কষ্ট হচ্ছে আমি কি কোন কিছু ঠিক মতো করতে পারবো না।
মেঘ মাথায় দুহাত চেপে চোখ বন্ধ করে বসে রইল চোখ বন্ধ করে বারবার নুপুরের কান্না মাখা অসহায় মুখ ভেসে উঠছে। এমন গোমড়া মুখ একদম সহ্য করতে পারে না মেঘ ভালোবাসে যে ও খুব ভালোবাসে এই ইনোসেন্ট মেয়েটাকে এতো ভুল করে তবুও চাকরি থেকে এই মেয়ে সরাতে পারবে তাহলে যে ওর চোখে আড়ালে চলে যাবে।
প্রথম যেদিন দেখেছিলো সেদিন ই এই মায়াবী মুখে দিকে তাকিয়ে আর তার সরলতা দেখে মেঘের হৃদয়ে গেথে গেছে।
এদিকে
মিষ্টি মনের খুশিতে বৃষ্টিতে ভিজছে। সারা বাগানের লাফালাফি করছে সবার ভয়ে কখনো বৃষ্টিতে ভিজতে পারি না আজ সবার চোখের অগোচরে ভিজবো কেউ জানতেই পারবেনা।সবাই ভাবছে আমি,,, হঠাৎ করো চিৎকার শুনে ভয়ে ভয়ে পেছনে তাকাল মিষ্টি….
চলবে❤
[