#ছুয়ে_দিলে_মন❤
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি❤
#পর্বঃ- ৪
–আহহহ আম্মু ছারু না লাগছে আমার। আম্মু এবারের মতো মাফ করে দাও প্লিজ আমার লক্ষী সোনা আম্মু, আয কখনো ভিজবো না বললাম তো। কিন্তু দোষ কিন্তু তোমাদের ও আছে !!
আম্মু ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকালো,,,, আমাদের দোষ আছে? তা কি দোষ শুনি।
–আছেই তো আলবাদ আছে। তোমরাই তো কখনো আমাকে ভিজতে দাও না তাই তো এভাবে না জানিয়ে ভিজেছি বললে কি রাজী হতে।
–না হতাম না কেন হবো নিজের চিন্তা আছে তোর একটু আনন্দ করতে গিয়ে যে এক সপ্তাহ বিছানায় লুয়ে থাকবে তা তো হতে দেওয়া যায় না।
–এই এক দোষ অসুস্থ এমনিতেই হয় এতে বৃষ্টিয়ে ভেজা নিয়ে কিন বলছো। আমি তো বৃষ্টি লাইক করি আমার ভালো লাগে খু[ হাচ্ছি ] বলেই মুখ চেপে ধরলো মিষ্টি।
–এই যে হাচ্ছি দিচ্ছিস হলো তো। ভেজার শখ মিটে যাবে এখন কতো সময় না ভিজেছিস দুই ঘন্টা। তারাতারি যা ড্রেস চেঞ্চ কর।
–হুম যাচ্ছি, আম্মু একটা কথা।
–কি?
–আববু কে আর ভাইয়াকে বলো না প্লিজ। ভাইয়া এমনিতেই রেগে আছে এখন এগুলো জানলে খুব বকবে।[ অসহায় মুখ করে বললো মিষ্টি ]
–সেটা আর সম্ভব না যা বলার বলা শেষ।
–কিহহহহহহহ?
–চিল্লাইয়া কি হবে?
–এর মাঝে বলে ও দিয়েছো আম্মু। তুমি কি আমাকে একটু ভালোবাস না বলো তো এমনিতেই ভাইয়ার রাগ রেগে আছে আমার উপর তার উপর এগুলো দূর ভাল্লাগেনা।
মিষ্টি একাই বিরবির করতে করতে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল। মাথা পাহাড় শুমান চিন্তা নিয়ে মিষ্টি রুমে এলো কি করে ভাইয়াকে মানানো যায় আমি রাগ করে থাকি তাহলেই হবে। না আমি রাগ করলে ও আজ ভাইয়া আমাকে বকেই ছাড়বে।
মিষ্টি আম্মু –ভালোবাসি কিনা সেটা বলে বুঝাত পারবো না রে। তোরা ই তো আমার সব কেন বুঝিস না তুই আমাকে কি দেখে মনে হয় আমি তোকে ভালোবাসি না। একটু বকি বলে ভালোবাসি কিনা বলিস।
মিষ্টির আম্মু ও মিষ্টি কে খুব ভালোবাসে কিন্তু একটু বকাবকি টা বেশি করে যার জন্য মিষ্টি আম্মুর থেকে আববু আর ভাইয়াকে বেশি ভালোবাসে ভাবে আম্মু তাকে কম ভালোবাসে।
আসলে এটা ঠিক না মিষ্টি ধারনা ভুল। মিষ্টির আম্মু মেয়েএ নিয়ে চিন্তা থাকে বেশি অনেক দুষ্টু মেয়েটা কারো কথা শুনেনা। নিজের মর্জি মতো চলতে চায় সব সময় এর জন্য এতো চিন্তা তার মেয়েকে নিয়ে দিন কাল ভালো না। আর মহূয়া মেয়র চিন্তায় ঘুমাতে পারে না মেয়ে যে তার খুব সুন্দরী একা রাস্তায় চলা ফেরা করে না বেশি কিন্তু মাঝে মাঝে সে হারিয়ে যায় মানে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে চলে যায়। তখন তিনি এতো চিন্তায় থাকে যে আসলে ইচ্ছে মতো বকে আর দুইজন ভাবে বকবে কিন্তু মিষ্টি এসে এমন ইমোশনাল কথা বানিয়ে বলে যে সবাই মমের মতো গলে যায়।
ছেলেটা আমার এতো বুদ্ধিমান হয়েছে তাকে নিয়ে আমার চিন্তা নেই কিন্তু মেয়েটা একটুও বুঝদার হলো না এতো নরম কেউ একটু হেসে কথা বললেই বিশ্বাস করে ফেলে এতেই আমার চিন্তা।
মিষ্টি ফ্রেশ হয়ে এসে খাটে বসলো মাথাটা ভার লাগছে ভেজা টা বেশি হয়ে গেছে। আর হাচ্ছি তো আছেই ক্ষিদে ও পেয়েছে কিন্তু নিচে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না। শুতে ইচ্ছে হচ্ছে শুতে যাবে ওমনি আম্মু এলো হাতে খাবার আমাকে আরও হাচ্ছি পারতে দেখে বকতে বকতে খাবার রেখে আবার নিচে চলে গেল একটু পর আধা চা করে নিয়ে এলো।
💙
নুপুর আজ একটু দেরি করে বাসার জন্য বেরিয়েছে অফিসে কাজ বেশি তাই লেট হয়। রাত হয়ে গেছে কিন্তু নুপুরের যেতে অসুবিধা হবে না কারণ নুপুর ইস্কুি আছে নুপুর বেরিয়েই ইস্কুি নিয়ে বাসার জন্য রওনা হলো। কিছু দূর আসতেই একটা মেয়েকে রাস্তায় ধারে দাড়িয়ে থাকতে দেখলে মেয়েটা যে খুব ভয় পেয়ে আছে মুখের র্নাভাস নেস বলে দিচ্ছে। বারবার ঘাম মুচছে নুপুর কিছুটা আচ করতে পারলো মেয়েটার কোন বিপদ হয় নি তো।
এতো রাতে এখানে কি করছে দশটা বাজে । নুপুর গাড়ি থামিয়ে মেয়েটির দিকে গেল এগিয়ে মেয়েটি নুপুর কে এগিয়ে আসতে দেখে মনে হয় সাহস পেল সেও এগিয়ে এলো।
–প্লিজ আমাকে একটু হেপ্ল করুন আমি বিপদে পরেছি।
–হুম অবশ্যই কিন্তু আপনি এতো রাতে এভাবে একা রাস্তায় কেন?
–সে অনেক কথা আপু একটু হেপ্ল করেন এখানে কথা বলার সময় নেই বিপদ হবে আমাদের একটু আমাকে বাসার পৌছে দেন প্লিজ আপু।
মেয়েটি কান্না কান্না করার মতো করে হাত জোর করছে। সে যে কিছুতে ব ড় ভয় পেয়েছে সিউর বিপদের কথা বলাতে আমি আর কিছু জিগ্গেস করলাম না তাকে নিয়ে ইস্কুির কাছে গেলাম।
–একটু থামান না এখানে দোকান আছে আমাকে একটু পানি খাওয়ান খুব পিপাসা পেয়েছে।
–আচ্ছা।
আচমকা বলাতে একটু বাজে ভাবেই ব্রেক করলাম। মেয়েটা ভয় পেয়েছে আমি পানি এনে দিলাম মেয়েটাকে এক দমে খেয়ে ফেলল অনেক টুকু পানি।
–ধন্যবাদ আপু এখন আমার অনেক বালো লাগছে। আপনার জন্য আমি সুস্থ ভাবে আছি।
–কি হয়েছে আপু বললে না যে?
–আমি বিপদে পরেছিলাম। আমার বান্ধবী সুমা আর আমি আর একটা ছেলে ফ্রেন্ড তামিম আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ সুমা কে আর পায় না কোথায় গেছে জানি ও না ওকে অনেক খুজি তামিমকে জিগ্গেস করি কই ও জানে না বলে। দশমিনিট পর ফোন করে জানায় বাসায় চলেগেছে আমাকে রেখে যাওয়াতে বকা দেয় অনেক কিন্তু ও তো চলে গেছে। এর পর থেকেই,
বলেই মেয়েটি কেদে দেয়,,
–তারপর কি বলো?
–তারপর আমার ওই ফ্রেন্ড আমার সাথে বাজে বিহেভ করে আগে কখনো ওকে আমি এমন দেখি নি। আজকে বুঝতে পারলাম ওরা সব সময় আমাকে ঘুরতে যেতে বলতো আমি রাজি হতাম না আমাদের বাড়িতে এসব হয় না কিন্তু এতো দিন ধরে বলছে তাই আর না করতে পারি নি। কি খারাপ ওই তামিম আমি কখনো ভাবিনি এমন ও খুব ভালো বন্ধ মনে করতাম।
বলেই মেয়েটি কাদতে লাগল,
🏵মেঘ বাসায় এসে জানতে পারলো মিষ্টি জ্বর হয়েছে । আগে বোনকে দেখতে এলো আইসক্রীম এনেছে কিন্তু দিলো না চকলেট বক্ম নিয়ে গেলে রুমে মিষ্টি চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। মেঘ টেবিলের উপর চকলেট বক্ম রেখে মাথায় হাত দিয়ে চেক করলো জ্বর তো ভালোই হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি চোখ মেলল,,🏵
নুপুর মেয়েটিকে নিয়ে বাসায় এলো। গাড়ি থামিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে এতো বড় বাসা। মেয়েটি জোর করে ভেতরে নিয়ে গেল। মেয়েটির নাম আরুশি। আমি যেতে চাইনি জোর করে নিলো বাসার ভিতরে যেতে একটা বাচ্চা মেয়ে দৌড়ে এলো।
–খালামনি [ বলেই চিৎকার করে আরুশির কোলে উঠে গেল]
আমি তাকিয়া আছি মেয়েটির দিকে খুব সুন্দর দেখতে গুলোমোলু একদম ফর্সা ছোট বাচ্চা টা খুব মায়াবী আমার দিকে তাকিয়ে কে জিগ্গেস করলো কিছু বলবে তার আগেই একটা মহিলা এলো ছেলোয়ার কামিজ পরা ফর্সা আরুশির মতোই দেখতে এসে আরুশিকে বকতে লাগলো আরুশি তাকে আপু বললো।
–আরুশি তোর কোন আক্কের জ্ঞান আছে তুই জানিস না রাতে বাইরে থাকা আমরা পছন্দ করি না আববু কত রেগে আছে জানিস। তুই কিভাবে এসব করতে পারলি সবাই কতো চিন্তা করছে জানিস।
–আম্মু তুমি খালামনি কে বকছো কেন?
ছোট মেয়েটা বলে উঠলো আমি হা করে দেখছি। একে একে বাসার সবাই চলে এলো।
#ছুয়ে দিলে মন❤
#লেখিকা:তানজিনা আক্তার মিষ্টি❤
#পর্ব: ৫
পরিবারের সবাই এসে জরো হয় সবাই কম বেশি কথা বলে বকে জ্ঞান দিতে থাকে আরুশিকে। আরুশি মেয়েটা চুপ করে মাথা নিচু করে আছে। আমরা এখন বাসার ভেতরে দাঁড়িয়ে আছি আমাকে কেউ এখন ও খেয়াল ই করে নি সবাই আরুশি মেয়েকে নিয়েই একেক রকম মন্তব্য করছে আর আমি কিছু বলতে ও পারছিনা এদিকে আমার লেট হচ্ছে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৯ টার উপরে বাজে। না আর দাড়ানো যাবে না এবার বেরিয়ে পরতে হবে যে ভাবা সেই কাজ কেউ এখন তার কথা শুনবেই না অযথা দাড়িয়ে সময় নষ্ট করে কি লাভ? ভেবে নুপুর দরজা দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো ওমনি কেউ পেছনে থেকে ডেকে উঠলো,,
না চাইতে ও পেছনে ফিরতে হলো একটা মহিলা মনে হচ্ছে ওই মেয়েটা মা হবে। আমার কাছে এগিয়ে এসে দাড়িয়ে আমার দিকে পা থেকে মাথা পযর্ন্ত মাথা পযর্ন্ত চেক করতে লাগলো কেমন জানি আন ইজি ফিল হচ্ছে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন?
–কে তুমি? [ কারিমা বেগম আরাফে মা কথার মাঝে হঠাৎ খেয়াল করে একটা মেয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে তাই তারাতারি এগিয়ে এসেছে কে জানতে]
নুপুর কি বলবে বুঝতে পারছে না? কে আমি কিভাবে বলি। ওনার দিকে তাকিয়ে আছি অদ্ভুত টাইপের সুন্দর মহিলাটি দেখতে বয়স্ক লাগলে ও সাজ পোশাক অনেক তার।
–আন্টি আমার নাম নুপুর। রাস্তায় আরুশির সাথে আমার দেখা হয়েছিল তারপর আমার সাথে আসে ও এখানে। আপনারা ওকে নিয়ে বিজি ছিলেন এদিকে রাত বারছে তাই বেরিয়ে যাচ্ছি লাম।
আমার কথা শেষ না হতেই এক চিৎকার দিলো মহিলা সাথে সাথে সবাই কথা অফ করে আমাদের দিকে তাকালো। আমি বুঝতে পারছি না ওনি এভাবে চেচামেচি করছে কেন?
এদিকে ওনার চিৎকার শুনে আরুশি মেয়েটা আমার কাছে ছুটে আসে আর জানতে চায় কি হয়েছে? আমি তো ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে আছি ওনার হাবভাব ভালো লাগছে না। কিন্তু আমাকে মিথ্যে প্রমাণ করে উনি যা করতে লাগলেন সাথে সবাইকে আমার হয়ে ভালো ভালো কথা বলতে লাগলেন। আমি উনার মেয়েকে সাহায্য করেছি নাহলে কি আরুশির। আমার কাছে অনেক রিণি হয়ে গেছেন ধন্যবাদ দিতে দিতে মাথা খারাপ করার অবস্থা সবাই এতো এতো কথা বললেন আমার পরিবার সম্পর্কে জিগ্গেস করলেন কি করি তাও। সবাই জোর করে সোফায় বসিয়ে দিলেন এখন নাকি খেতে দিবে কিন্তু আমার তো দেরি হচ্ছে তাই কি আর অনেক কষ্ট মানেজ করে বেরিয়ে এলাম বাসা থেকে।
লোকগুলোকে খুব ভালো লাগলো কিছু সময়ের মধ্যে কতোটা আপন করে নিয়েছে যেন কতো দিনের পরিচিত আমরা আবার একদিন যেতে বলেছে আর নাম্বার অবধি রেখে দিয়েছে।
দরজা দিয়ে বের হতে ছিলাম হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা খায় আসলে এতো ভাবছিলাম সামনে কেউ আছে খেয়াল ই করিনি।সামনে তাকিয়ে দেখি একটা ছেলে যাকে বলে মারাত্মক সুন্দর ছেলে আমি তো হা মেঘ স্যার এর পর এই ছেলে এতো সুন্দর দেখছি কিন্তু ছেলেটা একবার ফিরে ও তাকলো না সাভনে তাকিয়ে চলে গেল যাওয়ার আগেসরি বলতে ভুল করে নি। আমি অবাক এমন মানুষ ও আছে একবার তাকিয়ে দেখলো ও না কে আছে সরি বলে চলে গেল আমি পেছনে ফিরে তাকালাম না তাকায় নি সোজা চলে যাচ্ছে।
নুপুর আর কিছু না ভেবে মুচকি হাসে একদম মেঘ স্যার এর মতো আর্টিডিউট। তারপর পেছনে ঘুরে বেরিয়ে যায়।
💙
আরাফ রেগে বাসার আসে রাগে ওর শরীর কাপছে কিভাবে গাড়ি নষ্ট হলো। কতো সময় ওই পাবলিক প্লেসে ওর বসে থাকতে হয়েছে আবার যখন গাড়ি পেলাম সেটাও মাঝ রাস্তায় তেল শেষ। এতো হেনস্থা তাকে হতে হলো তাকে আরাফাত হোসেন জয় কে এভাবে হেনস্থা করেছে ওকে আবার সামনে পাই কি যে করবো। রেগে কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা সিড়ি বেয়ে উপর উঠে গেল গায়ের ব্লেজার টেনে বিছানায় ছুড়ে মারে।
বাসার সবাই সোফায় বসে ছিলো আরাফ কে এভাবে যেতে দেখেই বুঝে গেছে আরাফ রেগে আছে। প্রচণ্ড ভাবে রেগে আছে যা ওর চোখ মুখ দেখলেই বুঝা যায় ওর রাগ অসম্ভব লাল হয়ে আছে।
—এটা কি হলো আরাফ এতো রেগে আছে কেন? আমাদের দিকে দেখলো না চলে গেল সোজা রুমে।
–কি জানি ভাই তো সহজে এতো লাগে না। কিছু হতো হয়েছে?
সাথে সাথে ড্রাইভার দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে এলো। হাপাচ্ছে সে, সবাই প্রশ্ন বোধক চোখে তাকিয়ে আছে,
–এভাবে হাপাচ্ছিস কেন তুই হাসান? আর আরাফ এমন রেগে আছে কেন কি হয়েছে?
হাসান মাথা নিচু করে সব খুলে বলে সকাল থেকে যা হয়েছে আজ। সবাই তো হা এতো কিছু হয়েছে রাগান্বিত হবেই আরাম রাগ সহজে হয় না আরাফের কিন্তু যখন হয় তাকি সামলানো মুসকিল।
আরাফ শাওয়ার নিয়ে,,
—ফুলি….!![ কাজের মেয়ের নাম ]
আরাফের এক ডাকে ফুলি দৌড়ে আসে আরাফ ওকে কফি আনতে বলে। আরেক দৌড়ে নিচে চলে আসে ফুলি,,
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে আরাফ বাইরে গুটগুটে অন্ধকারের করে রেগেছে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে । আর একটু পর পর কফির মগে চুমুক দিচ্ছে। ক্লান্ত লাগছে তাই দোলনায় বসে পরে আরাব চোখ বন্ধ করে কফির সাধ নিচ্ছে হঠাৎ চোখ বন্ধ অবস্থা তেই কারো প্রতিছবি ভেসে উঠে,
একটা মেয়ে রেগে তাকিয়ে আছি রাগে তার গাল নাক লাল টুকটুকে হয়ে আছে। এটা চোখে ভাসতেই চোখ খুলে ফেলে এটা কি দেখলো। এটা তো সেই মেয়েটা বৃষ্টির বাপরে কি রাগ মেয়েটা রাগের রানী। ভেবেই আচমকা হেসে উঠে আরাফ।
—কার কথা ভাবা হচ্ছে রাগর রানীটা আবার কে?
ভ্রু কুচকে জিগ্গেস করলো আলিয়া কিছু ক্ষণ আগেই এসেছে ভাইকে এভাবে কিছু ভেবে হাসতে দেখে সাথে এই একটা কথা কানে আসে যা শুনেই সে চমকায়। এটা আবার কে যাকে ভেবে হেসে যাচ্ছে। আলিয়া আর আরাফ দের বছরের ছোট বড় তাই দুজন ফ্রেন্ডের মতো। ভাইয়ের মন খারাপ শুনে আলিয়া এসেছে জানতে মন খারাপের কারণে কিন্তু এখানে এসে সে ভাইকে হাসতে দেখছে। আরাফ আলিয়া র কথা শুনেই চমকে তাকায় এ আবার কখন এলো এখানে,
—তুই যখন তোর রানীর কথা ভাবছিলি তখন এসেছি?
আবার চমকালো,,,, রানী মানে কি বলছিস?
—আমি কি জানি তুই বল ! তুই কার কথা ভাবছিলি, আর শুনলাম রেগে আসিছ এখন তো দেখছি খুশিতে আছিস।
—কি সব বলছিস? আমি আবার কার কথা ভাববো কারো কথা নাতো।
বলেই আরাফ উঠে পরলো,
–উঠছিস কেন?
–খাবো নিচে চল।
বলে আর দাড়ালো না এক মুহূর্তে ও সোজা নিচে নেমে এলো। আলিয়া ভাবছে মনে তো কিছু চলছে নয় রানী নিয়ে ভাবতি না। ভেবে মুচকি হাসে মেয়ে ব্যাপার আমার ভাইটাও কি কোন মেয়ের প্রেমে পরলো নাকি?
চলবে❤
[ ভুলক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন]
চলবে❤