জোর করে ভালোবাসবো তোকে পর্ব ২

#জোর_করে_ভালোবাসবো_তোকে
🔴🔴🔴🔴🔴🔴🔴🔴🔴🔴
#পর্ব- ২

🍁
🔴আঁচলের শরীর থেকে শাড়ি টা সরে যায়.. আঁচল তারাতারি করে শাড়িটা দিয়ে নিজের শরীর ঢেকে ফেলে।

রেহান – আমিই তো..এভাবে প্যাকেট হওয়ার কি আছে। (মুচকি হেসে)

আঁচল – ছাড়ুন আমায়। আরো কিছু করার বাকি আছে আপনার? (রেগে)

রেহান – না তা না। তবে তুমি চাইলে করতেই পারি।

আঁচল বিরক্তির সাথে রেহানের কাছ থেকে সরে যেতে নিলেই রেহান আবার আঁচল কে নিজের বুকে ফেলে দেয়।

রেহান – জানো… ওহো তোমার নামটাই তো জানা হলো না। বাই দ্য ওয়ে… তোমার নাম কী?

আঁচল রেহানের কথা শুনে রাগে গজগজ করছে। (কেমন লোক রে বাবা! বিয়ে করেছে এতো কিছু হয়ে গেলো এখনো নাকি আমার নামটাই জানে না। ইচ্ছে করে পানিতে চুবিয়ে মারি.. মনে মনে)

রেহান – কি হলো বলো?

আঁচল – জানিনা।

রেহান – আমি জানি। (মুচকি হেসে)

আঁচল রাগি ভাব নিয়ে রেহানের দিকে তাকায়।

রেহান – তুমি কি মনে করেছো কিছু না জেনেই তোমাকে বিয়ে করেছি?
আমি সব শুনেছি এবং সব জেনেই তোমাকে বিয়ে করেছি। (শান্ত গলায়)

আঁচল অবাক হয়ে রেহানের দিকে তাকায়

রেহান – হুম জিসানের কথা আমিও জানি। আচ্ছা আঁচল সব কিছু ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করতে পারো না?
আমি কি এতোটাই খারাপ? তুমি জিসানের জন্যে আমাকে কষ্ট দিচ্ছো!

আঁচল – কষ্ট দিলাম কখন? কষ্ট দেয়ার সুযোগ দিয়েছেন আপনি? আমার কোনো কথাই তো শুনেন নি। নিজের ইচ্ছে হলো ব্যাস পূরণ করে নিলেন।

আর হ্যা জিসানের কথা যখন শুনেইছেন তবে আমাকে বিয়ে করলেন কেনো? কিশের জন্য?
আমি এখনো জিসান কেই ভালোবাসি। আর আপনি আমার সাথে জোর করে শুধু আপনার কামনা মেটাতে পারবেন।
আমি মন থেকে কখনো আপনাকে মেনে নিবো না। নেভার।

রেহান – আঁচল তুমি এখন আমার ওয়াইফ। তুমি আমার সামনে অন্য ছেলের নাম মুখে আনছো কিভাবে?

আঁচল – অন্য ছেলে না জিসানকে আমি ভালোবাসি বুঝেছেন!

রেহান রেগে একহাতে আঁচলের দু গাল চেপে ধরে বলে…

রেহান – ভালোবাসা মাই ফুট… তোর এই সব ন্যাকামি ভুলে যা। আজকের পর থেকে আমার সামনে আর কোনো দিনও কোনো ছেলের নাম নিবি না। আর রইলো তোর মনে জায়গা!!!
সেটা না পেলেও আমার কোনো আপত্তি নেই শুধু তোর শরীর পেলেই চলবে। মাইন্ড ইট। (রেগে)

আঁচলের চোখ বেয়ে পানি পড়তে থাকে। তার মানে রেহান ও শুধু তার শরীর চায়? রেহান ও ভালোবাসে নি? একটু আগেও আঁচল ভেবেছিলো রেহানের প্রতিটা স্পর্শ শুধু ভালোবাসার! কিন্তু না।
ভাবতেই আঁচলের গাল বেয়ে কয়েক ফোটা পানি পরে।

রেহান – কাঁদছো কেনো আজিব? যাই হোক.. জানো আঁচল আমার খুব ইচ্ছে ছিলো বিয়ের পর বউ এর সাথে প্রেম করবো, প্রতিদিন রাতে আমার বুকে ঘুমুতে দিবো। এখন তো দেখছি তোমার দ্বারা এসব কিছুই সম্ভব নাহ।

আঁচল অবাক হয়ে যায় রেহানের কথায়। একটু আগেই তো কত কথা বললো। এখন আবার বলছে বুকে ঘুমুতে দিবে। এই লোক টার মাঝে অনেক রহস্য!

রেহান আঁচলকে চুপ থাকতে দেখে আঁচলের দিকে তাকিয়ে দেখে আঁচল এক দৃষ্টিতে রেহানের দিকে তাকিয়ে আছে।
আঁচল কিছুক্ষন আগে রেহানের কাছ থেকে সরতে ছুটাছুটি করায় আঁচলের শরীরের অনেক টা অংশ থেকেই কাপড় সরে গেছে।
আঁচল কে এই অবস্থায় দেখে রেহানকে অদ্ভুত নেশা গ্রাস করে। রেহান নেশাসক্ত দৃষ্টিতে আঁচলের সারা শরীর দেখছে।

আঁচলের সেদিকে কোনো হুশ নেই। সে একদৃষ্টিতে রেহান কে দেখে যাচ্ছে।

রেহান – আঁচল তুমি তো দেখছি আমাকে পাগল করেই ছাড়বে। (নেশা ধরা কন্ঠে)

আঁচল রেহানের কথার কিছুই বুঝতে পারে নি। সে রেহানের চোখের দিকে তাকাতেই দেখে রেহান তাকে ঘোরগালা দৃষ্টিতে দেখছে।
: চলবে কি…….??
ভালে না লাগলে পড়বেন না দুরে থাকুন। যদি নেক্সট পার্ট পড়তে চান জানাবেন তাহলে দিবো। আর নেক্সট পার্ট পেতে আমার আইডিতে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে আমার সাথে এড হয়ে যান অথবা ফলো ফাস্ট করে রাখুন কষ্ট করে পোস্ট দেই আমার আইডিতে এড না হলে আর দিতে ইচ্ছা করে না😥
,এত কষ্ট করে গল্প খুঁজে বের করি আপনাদের জন্য,, ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে এড হোন plz, ইনশাআল্লাহ কোন পার্ট মিস হবেনা

চলবে…!!

আঁচল নিজের দিকে তাকাতেই চোখ দু’টো বড় বড় হয়ে যায়। আঁচল নিজের শরীর টা শাড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে রেখেছিলো। রেহানের সাথে মুচরামুচরি করে কখন যে শাড়ি সরে গেছে বেচারি টের ও পায়নি।

আঁচল – এই জন্যই খচ্চর টা এভাবে তাকিয়ে আছে… মনে মনে।
আঁচল তারাতারি করে শাড়িটা শরীরে দিতে গেলেই রেহান আটকে ফেলে।

রেহান – আমাকে পাগল করে দিয়ে এখন কি পালানোর ধান্দা করেছো নাকি?

আঁচল – মা…মানে.. (রেহানের কাছ থেকে সরতে সরতে)

রেহান – মানে টা দেখাচ্ছি…. বলেই আঁচল কে এক টানে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
রেহান আঁচলের ঠোঁটে চুমু দিতে থাকে। একসময় কামড় দেয়া শুরু করে। আঁচলের শরীর থেকে শাড়িটা সরিয়ে ফেলে।………..
.
.
সকালে..
রেহান এখনো ঘুমাচ্ছে। আঁচলের ঘুম ভেঙে যেতেই দেখে সে রেহানের বুকে।
রেহান তাকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে আঁচলের ছোটার কোনো উপক্রম নেই।
আঁচল অনেক চেষ্টা করেও রেহানের কাছ থেকে ছুটতে পারছে না।
আঁচল রেহানের দিকে তাকাতেই আঁচলের চোখ আটকে যায়।
রেহান এমনি তেই সুন্দর ঘুমের মধ্যে রেহান কে আরও সুন্দর লাগছে।
আঁচল রেহান কে একদৃষ্টিতে দেখে যাচ্ছে।

এদিকে রেহান ঘুম থেকে উঠে আঁচলের কান্ড দেখে মিটিমিটি হাসছে। সেদিকে আঁচলের হুশ নেই।

রেহান – আমি জানি তোহ আমি সুন্দর। তাই বলে এভাবে তাকিয়ে থাকবে? আমার ওত লজ্জা করে নাকি,,(চোখ মেরে)

আঁচল অসস্থিতে পরে যায় ,,,

আঁচল- সরুন আপনি…. আমি উঠবো।

রেহান – কেনো বউ?

আঁচল – কেনো মানে! আমি কি আপনার সাথে সারা দিন থেকে সিনেমার অভিনয় করবো নাকি?

রেহান – উহুম… রোমান্স করবে। (মুচকি হেসে)

আঁচল – অসহ্য….. বলেই উঠে যেতে নেয়। রেহান আঁচলের হাত ধরে টান দিতেই আঁচল রেহানের বুকে এসে পরে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here