নীলাভ আলোয় রঞ্জিত বাসর ঘরটা কাঁচা গোলাপ আর হাসনাহেনার সুগন্ধে মাতোয়ারা হয়ে আছে। ফুলে ফুলে সাজানো বিছানাটার ঠিক মাঝখানটায় বসে আছে নবদম্পতি। পরিবেশটা নিরব, নবদম্পতি বেশ আবেশে দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু সময়ের ব্যবধানে তারা দুরত্ব কমিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। মেয়েটির অতি কাছে এগিয়ে যেতে থাকে তার সদ্য বিবাহিত স্বামী’টি। একটু একটু করে এগিয়ে যায় সে, বউটিকে জড়িয়ে ধরার জন্য হাত বাড়ায় ঠিক সেই সময় বেজে উঠে বাঁজখাই গলার সেই গান…’বন্ধু যখন বউ লইয়া, আমার চোখের সামনে দিয়া,
রঙ্গ কইরা হাইটা যায়,
ফাইট্রা যায়, বুকটা ফাইট্রা যায়।
এমন সময় এই গান শুনে হতভম্ব হয়ে যায় ছেলেটি। বুকের ভেতর দু’তিনবার থুথু ছিটিয়ে বউটির দিকে তাকায়। বউটি রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। ছেলেটি ঢোক গিলে। আমতা-আমতা করে গলায় চিমটি কেটে বলে
“বিশ্বাস করো বউ, আমি কিছু করি নাই। এইটা ষড়যন্ত্র।
মেয়েটি দুঃখী গলায় অত্যন্ত চাপা স্বরে বলল
“সত্যি?
“তিন সত্যি।
আবারও তারা স্বাভাবিক হয়। দুজন দু’জনার গভীরে হারিয়ে যেতে থাকে। তবে হারিয়ে যাওয়া পথ থেকে আবারও আগের যায়গায় ফিরিয়ে আনে সেই তিক্ত গান.. ‘ও মাইয়া রে মাইয়া রে তুই অপরাধী রে, আমার যত্নে গড়া ভালোবাসা দে ফিরাইয়া দে”
এবার ঘাবড়ে যায় মেয়েটি। মনে মনে ভয় পেতে থাকে এই ভেবে যে, তার স্বামীটি তাকে আবার ভুল বুঝবে না তো? সবেমাত্র বিয়ে হলো তাদের, এরই মাঝে এ কেমন শত্রু এসে হাজির হলো! ছেলেটি কপাল চাপড়ায়। মেয়েটি সামান্য ভয়ার্ত গলায় প্রশ্ন করে
“আপনি কি আমায় ভুল বুঝলেন?
ছেলেটি আহত চোখে তাকায় তার সুন্দরী বউটির পানে। চোখেমুখে তার লজ্জা, অপরাধীর গলায় আবারও সে বলে
“আমার গুলুমুলু বউ, তোমারে ভুল বুঝার কোনো প্রশ্নই আসে না। কিন্তু এই সময় এই গান বাজায় কে?
“আমার কোনো বয়ফ্রেন্ড টয়ফ্রেন্ড নাই কিন্তু।
ছেলেটি নিজ জিহ্বায় সামান্য কামড় কেটে বলে
“আহ বউ, এমন কথা চিন্তা করাও পাপ। তুমি বসো, আমি আসতাছি।
“কোথায় যান? চিন্তার স্বরে বললো মেয়েটি।
ছেলেটি তার প্রসস্থ ঠোঁট টেনে হাসলো। বললো
“এইতো, আসতেছি।
কাঠের দরজাটা আস্তে করে খুলে বেরিয়ে যায় সে। বারান্দা অতিক্রম করে কিছু সেকেন্ড হাঁটার পরই উঠোনে গিয়ে পৌছায়। উঠোনের মাঝখানে বিশালাকৃতির দুটো সাউন্ড বক্স। এর মধ্যে একটা বেজে চলেছে অবিরমাভাবে। বক্সটার চারদিকে কিছু ছেলেমেয়ে চেয়ার পেতে বসে আছে। ছেলেটির কপালে ভাজ পরে। রাগান্বিত গলায় বলে
“রাত বাজে বারোটা, এখনো এইসবের মানে কি? তোগো জন্য কি মানুষ ঘুমাইবে না?
ছেলেটির কথা কারো কানে গিয়েই পৌছুলো না। সে আবারও রেগে গেলো। হনহন করে বক্সটার কাছে গিয়ে আরো দু’বার বাকিদের দিকে তাকালো। তারা চোখ বুঝে গান শুনছে। ছেলেটি আর কিছু না বলে নিজ দায়িত্বে বক্সের লাইন খুলে দিলো। সবাই হুরমুর করে তাকালো সামনে, তবে একজন এখনো আগের মতোই আছে। দুটো চেয়ার পাশাপাশি রেখে তার উপর শুয়ে মুখের উপর ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রেখেছে পুরো মুখাখানা। ছেলেটাকে এভাবে শুয়ে থাকতে দেখে তার মুখ থেকে ক্যাপখানা সরিয়ে দেয় নব বিবাহিত ছেলেটি। ক্যাপ সরিয়ে দেওয়ার মুহূর্তে ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকায় ছেলেটি। বড় ভাইকে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে উঠে বসে। শান্ত গলায় বলে
“তোর না আজ বাসর রাত ভাইয়া। তুই এখানে কি করিস?
ছেলেটি নিরাশ গলায় বললো
“আর বাসর! তো’গো গান শুনে আমার বুক একটু পর পর ধক করে উঠে।
পাশ থেকে একজন বললো
“আহ সেলিম ভাই, গান যাই বাজুক… ভাবী তো তোমার কাছেই আছে নাকি। মনে ভালোবাসা আর পাশে ভাবী থাকলে এমন গান কোনো ব্যাপারই না।
সেলিম আঁড়চোখে তাকালো। সন্দিহান হয়ে বললো
“আচ্ছা, বিয়ার দিন তোরা বিয়ার গান না বাজাইয়া ছ্যাকা খাওয়া গান বাজাস কেন? এই বুদ্ধি কার?
ছেলেটি ক্যাপ মাথায় থাকা ছেলেটির দিকে আঙ্গুল ইশারা করে বললো
“শ্রাবণ ভাইয়ের বৃদ্ধি।
সেলিম সামান্য রাগী চোখে শ্রাবণের দিকে তাকালো।
বললো
“তুই না আমার মায়ের পেটের ভাই। আজকের রাইতে এমন গান চালাইতাছোস কেন?
“আমি না তোমার মায়ের পেটের আপন ছোট ভাই! আজকের রাত্রে আমারে টাকা না দিয়ে বাসর ঘরে ঢুকলা কেমনে?
শ্রাবণের কথা শুনে সেলিম চুপসে গেলো। থতমত খেয়ে বললো
“এমন কোনো আইন আছে নাকি, যে বিয়ার রাইতে ছোট ভাই বোন গো টাকা দেওন লাগে।
“এমন কোনো আইনে নেই যে বিয়ের রাতে ছ্যাকা খাওয়া গান বাজানো যাবে না। যাও তুমি বাসর করো। আমরা আজ সারারাত এইসব গানই শুনবো৷
সেলিম দাঁতে কটমট করে বললো
“তো’রা কিন্তু বেশি করতাছোস কইলাম।
শ্রাবণ সেই কথাকে পাত্তা না দিয়ে আবারও গান চালিয়ে দিলো। সেলিম কি করবে না করবে বুঝতে পারছে না। ইচ্ছে করছে নিজের মাথাটা নিজেই বারি দিয়ে ফাটিয়ে দিক। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে সেলিম যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো, এমন সময় গান বন্ধ হয়ে গেলো। সেলিম আর শ্রাবণ দুজনেই অবাক হয়ে তাকালো গান অফ করেছে কে দেখার জন্য। সেলিমের মুখ হাসি, শ্রাবণ খানিক রাগী গলায় বললো
“ওই, তুই গান বন্ধ করলি কেন?
সামনে অগ্নিমূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওদেরই আপন চাচাতো বোন পদ্ম। বয়স বড়জোর পনেরো কি ষোল হবে। সবে ক্লাস টেনে পড়ে। পদ্ম কোমড়ে হাতে দিয়ে রাগীস্বরে শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে বললো
“শ্রাবণ ভাই, তুমি চাইছো’টা কি কইবা? আমরা কি ঘুমামু না?
“পদ্ম রে, তুই আমারে বাঁচা বোইন। ওগো জ্বালাই আমি আর তোর ভাবী একটু শান্তিতে কথাও কইতে পারতেছি না।
সেলিমের কথায় পদ্ম আবারও শ্রাবণের দিকে তাকালো। বললো
“এগুলো বন্ধ করবা নাকি আমি ভাঙমু?
শ্রাবণ এবার উঠে দাঁড়ালো। পদ্মের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ধীর গলায় বললো
“রাত অনেক হয়েছে। আর এখানে অনেক ছেলেরাও আছি, তুই ঘরে যা।।
“না আমি যামু না।
“আমি যা বলতেছি তাই কর পদ্ম। সামান্য চোখ রাঙ্গিয়ে বলল শ্রাবণ।
পদ্ম এবার ঠোট উল্টালো, যেনো এখনই কেঁদে দিবে। শ্রাবণ এবার খানিক নরম হয়ে বললো
“আহ পদ্মফুল, কাঁদিস কেন। আচ্ছা আমি আর গান বাজাবো না। তুই তবু ঘরে যা, অনেক রাত হইছে দেখতেই তো পাচ্ছিস।
পদ্ম এবার হাসলো। সেলিমের দিকে তাকিয়ে বললো
“ভাই, এবার তুমি ভাবীর কাছে যাও। আমাগো বাড়ি ভুত আছে, একলা একলা ভাবী ডরাইবো।
সেলিম দাঁত বের করে হেসে বললো
“তোর মতো বোইন যেনো বাংলার ঘরে ঘরে থাকে। আমি তাইলে যাই৷
সেলিম চলে যাবার পর পদ্মর নজর গেলো শ্রাবণের দিকে। আবছা আলোয় দেখা যাচ্ছে শ্রাবণ তার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে। পদ্ম মুখ বাকালো। এর পর হনহন করে চলে গেলো নিজের ঘরে।
পরের দিন ভোর থেকেই বাড়িতে লোকজনের সমাগম। নতুন বউ’কে দেখার জন্য আশেপাশের অনেকেই এসে জড়ো হয়েছে। যদিও বউ উঠিয়ে আনার পর থেকেই লোকজনের ভীড়। রাত পেরিয়ে সে মানুষ গুলো আবারও নববধূ দেখার জন্য এসেছে। নতুন বউকে মাঝঘরে এনে বসানো হয়েছে। তার দুই পাশে ফুটন্ত ফুলের মতো বসে আছে দুই বোন। পদ্ম আর শাপলা। শাপলা পদ্মের বড় বোন। দেখতেও সে শাপলা ফুলের মতই সুন্দর। শাপলা এবার এন্টার ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী। শাপলার পাশেই বসে আছেন নতুন বউ।
শাপলাকে বসিয়ে রেখেই পদ্ম চলে এলো বাইরে। এভাবে বসে থাকাটা তার কাছে খুব কষ্টকর। উঠোন পেরিয়ে বাড়ির সামনে একটা ছোটখাটো ঝিল আছে। পদ্ম জন্মানোর সময় এ ঝিলে প্রচুর পদ্মফুল ফুটেছিলো, যে কারণে শখ করে ওর বাবা মা নাম দিয়েছিলো পদ্ম। ঝিলের পাশে একটা মাচা বাধা৷ পদ্ম সে মাচায় গিয়ে বসে। ঝিলের সচ্ছ পানির দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। এ যায়গাটা পদ্মের বেশ পছন্দের একটা যায়গা। মাচার পেছন দিকে একটা জলপাই গাছ, সে গাছে এবার প্রচুর জলপাই ধরেছে৷
এমনিতে টক ঝালের প্রতি পদ্মের এক আলাদা টান, চোখের সামনে এলে সে টানটা বহুগুণ বেড়ে যায়। কিছুটা দূরে ছোট ছোট কয়েকটা ছেলে মেয়ে হৈ-হুল্লোড় করছে। বিয়ে বাড়ি তাই৷ যদিও বিয়েটা স্বল্প পরিসরে একদম ঘরোয়া ভাবেই হয়েছে। তবুও নিজেদের কিছু আত্মীয়রা এসেছে, বাচ্চাগুলো তাদেরই। এদের মধ্যে থেকে একটা মেয়েকে ডাকে পদ্ম।
“এই মোহনা, এদিকে আয় তো।
সাত থেকে আট বছরের একটা সুন্দর বাচ্চা মেয়ে এগিয়ে আসে পদ্মের কাছে।
“কও কি কইবা।
“আমাগো রান্না ঘরে গিয়া দেখ লবন মরিচের ডিব্বা আছে, একটু নিয়া আয় তো।
“আমি আনতে পারমু না।
“তুই যা, আম্মারে গিয়া কইলেই দিবো।
মোহনা নামের মেয়েটা এক দন্ড দেরী না করে দৌড়ে চলে গেলো রান্নাঘরে।
কিন্তু রান্নাঘরে গিয়ে সে বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছে। কিছুই খুজে পাচ্ছেনা। ঘরেও কেউ নেই। সবাই বউ এর কাছে৷ মোহনা কিছুক্ষণ বোকার মতো দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে আসার প্রস্তুতি নেয়। এমন সময় শাপলা এসে ঢুকে ঘরে। মোহনাকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখ বলে
“কিরে মোহনা! এখানে কি করিস তুই?
“পদ্ম আপা কইছে লবন মরিচ নিতে। কিন্তু আমি’তো পাই না।
শাপলা কপাল চাপড়ায়। আপনমনে বলে
“এ মেয়ের মতো আলসি মেয়ে আমি এ জীবনে দেখি নাই। একটু লবন মরিচও নিয়ে খেতে পারে না। যদি পারতো, খাবার গুলা চিবাইয়া দেওয়ার জন্যও বোধহয় লোক লাগতো তার।
“আমি কি পদ্ম আপারে গিয়া কমু লবন মরিচ পাই নাই?
শাপলা একবার মোহনার দিকে তাকালো। এরপর বললো
“পরে যা! একটু দাঁড়া।
রান্নাঘরের এক কোনায় একটা মাচা পাতা আছে৷ সেখানে থালা বাসন সহ রান্নাঘরে কাজ করার মতো যাবতীয় জিনিসপত্র রাখা হয়। শাপলা সেখান থেকে একটা ছোট্র বাটি নেয়। বাটিতে সামান্য লবন আর মরিচ নিয়ে একত্রে মেখে নেয় ভালো করে। লবণ মরিচ গুলো বাটির একপাশে সাইড করে অন্য পাশে একটা বয়াম থেকে চিনি নিয়ে রাখে। বাটিটা মোহনার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে
“সাবধানে নিয়া যা। আর পদ্মরে কইবি ঝাল লাগলে যেনো চিনি খায়। ঝাল কমে যাইবো।
মোহনা মাথা নাড়িয়ে চলে যায় পদ্মর কাছে।
আপনমনে খুব আয়েশ করে লবণ মরিচ মাখিয়ে জলপাই খাচ্ছে পদ্ম। ওদিকে বক্স বাজা শুরু হয়ে গেছে আবার। শ্রাবণ ভাই সকাল থেকে বাড়ি ছিল না, বোধহয় চলে এসেছে। এ বক্স বাজানোর শখ শুধু তারই। ভাবতে না ভাবতেই পদ্মর মাথায় কেউ পেছন থেকে টুকা দেয়৷ আঁতকে উঠে পদ্ম। ঘাবড়ে গিয়ে পেছনে তাকাতেই দেখে শ্রাবণ ভাই দাঁড়িয়ে আছে। পদ্ম ঠোঁট উল্টায়। চোখ মুখ কুচকে বলে
“আমারে টুকা দিলা কেন শ্রাবণ ভাই?
“এই অসময় এইখানে কি করিস?
পদ্ম হাসে। বলে
“জলপাই খাই।
“ভাত খাইছিস?
দু’দিকে মাথা নাড়িয়ে পদ্ম জানান দেয় সে খায় নি। শ্রাবণ কপাল কুচকায়। বলে
“ভাত না খেয়ে খালি পেটে জলপাই খাস। পেট খারাপ করবে।।
“করলে করবে। আমার পেট খারাপ করবে, তোমার কি তাতে।
“আয় খাবি আমার সাথে।
“আমি খামু না। তুমি গিয়া খাও।
শ্রাবণ পদ্মের হাত ধরে টান দেয়। টানের চোটে হাতে থাকা লবন মরিচ, জলপাই যা ছিলো সব মাটিতে পরে যায়। পদ্মের কান্না পায় এবার। তার এতো সাধের জলপায়। কিন্তু কান্না করার সময় টুকুও তাকে শ্রাবণ দিচ্ছে না। টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাকে। উঠোনের মাঝপ্রান্তে গিয়ে আচমকা পদ্মর হাত ছেড়ে দেয় শ্রাবণ। শ্রাবণের চাচী মানে পদ্মের মা আলেয়া বেগম অদ্ভুত ভাবে ওদের হাতের দিকে তাকিয়ে ছিলো। শ্রাবণ স্বাভাবিক হয়ে পদ্মর মাকে বললো
“খাইছেন চাচী?
পদ্ম’র মা মৃদু হেসে বললো
“খাইছি বাজান। তুমি খাইছো?
“না এখন খাবো।
“আচ্ছা যাও, খাও গিয়া।
এরপর তিনি পদ্ম’র দিকে তাকান। সামান্য ভারী গলায় বললেন
“ঘরে আয় পদ্ম।
চলবে..…
#ঝিলের_ওপারে_পদ্মফুল
তন্বী ইসলাম
(সুচনা পর্ব)
[সবার উৎসাহ চাই। উৎসাহ পেলে তারাতাড়ি দিবো, না পেলে আইলসামি করবো🙃]