ডার্ক ডায়মন্ড পর্ব ২

#ডার্ক ডায়মন্ড
#আফরিন ইভা
#পর্ব-০২
___________________

গ্লাসটা ভাঙ্গার সাথে সাথে রক্ত গুলো মীরার চোখের সামনে ফ্লোরে ছড়িয়ে গেলো।
রক্ত দেখে মীরার কেমন যেনো অস্বস্তি লাগছে, মাথাটা যেনো ভীষণ ঘুরছে, মীরার কেমন কেমন অস্থির লাগছে। চোখের পলক ফেললেই যেনো সব ধোঁয়াশা হয়ে যাবে, তাই মীরা এক ধ্যানেই তাকিয়ে আছে কাঁচের টুকরো গুলোর দিকে।

” মীরার এমন কান্ডে রুদ্রের আম্মা হতবাক বেশ কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো, মীরার কাছে এসে মীরার মাথায় আদর করে হাত বুলাতে বুলাতে বললো, কিরে মীরা মা, কি হয়েছে বলতো, গ্লাসটা কি নোংরা ছিলো? ”

-ভয়ে মীরার গলা শুকিয়ে আসছে, কি এমন রহস্য আছে, মীরা শয়নেস্বপনে , জাগরণে বার-বার তরতাজা রক্ত দেখতে পাচ্ছে।
আন্টির কথা শুনে, মীরা আন্টি কে গভীরভাবে জড়িয়ে ধরে কিছু একটা বলতে যাবে এমন সময় রুদ্র কে দেখতে পেয়ে থেমে গেলো।

– রুদ্র ভাই বাজখাঁই গলায় বলে উঠলো, কিরে মীরা তুই কি দিন দিন অবুঝ হচ্ছিস, আর দামড়ির মতো লম্বা হচ্ছিস?

“রুদ্র ভাইয়ের কথা শুনে দু’চোখ জুড়ে কান্না চলে আসলো, ছলছল চোখে উনার দিকে তাকালাম। ”

– উনি আমার চোখের ভাষা তোয়াক্কা না করে কর্কশ গলায় বললো, গ্লাস টা ভেঙ্গেছিস কেনো?
গ্লাসে করে কি আম্মা তোকে তেলাপোকা খেতে দিয়েছিলো?

” গ্লাসের কথা শুনে বুকটা মুচড়ে উঠলো।
মীরা গ্লাস ভাঙা টার দিকে আরো একবার তাকিয়ে দেখলো, না তো এখন তো আর রক্ত দেখা যাচ্ছে না, স্বচ্ছ পানিই দেখা যাচ্ছে। তাহলে কি সব আমার মনের ভুল, না-কি কোনো স্বপ্নতে বিভোর ছিলাম আমি।”

– আমার কোনো উওর না পেয়ে রুদ্র ভাই আমার কাছে এসে আমাকে জোরে ঝাঁকুনি দিয়ে বলে উঠলো, তোর কি আমাকে বেকার বলে মনে হয় , শুধু তোকে নিয়েই পরে থাকবো?

– আমাকে নিয়ে পরে থাকবেন মানে, আমি কি আপনাকে বলেছি আমাকে নিয়ে পরে থাকতে, রুদ্র ভাই আপনি ঠিকই আমার পেছনে পরে আছেন তা শুধু আমাকে অপমান করবার জন্য, এ পৃথিবীর মানুষগুলো সত্যি খুব অদ্ভুত, যে যাকে চায় সে তাকেই অপমান করে বেড়ায়, আমার বেলায়ও ঠিক তাই।

রুদ্র ভাইয়ের এমন আচরণে আন্টি রুদ্র ভাইকে সরিয়ে সজোরে এক থাপ্পড় মারলেন।
আমি হতবাক হয়ে দেখলাম রুদ্র ভাই গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

” আন্টি চেঁচিয়ে বলে উঠলেন, তুই একজন সাইকোলজিস্ট হয়ে কিভাবে পারিস সাইকোর মতো আচরণ করতে, ভুলে যাস না, এখানে তোর মা দাঁড়িয়ে আছে।
আমি ভাবতেও পারছি না, আমার ছেলে এতটা বেয়াদব হয়েছে। ”

– রুদ্র ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আমি নিস্তব্ধ, আন্টি উনাকে থাপ্পড় মেরেছে ঠিক কিন্তু ব্যাথাটা যেনো আমার বুকে এসে লাগলো, ব্যাথায় বুক টা চিন চিন করছে।
রুদ্র ভাই আমার দিকে এক নজর তাকিয়ে দৃষ্টি নত করে এখান থেকে চলে গেলেন।
রুদ্র ভাইয়ের এ যাওয়াটা আমায় যেনো ক্ষতবিক্ষত করে দূর্বল করে ছাড়লো।
আমি তো চাই নি রুদ্র ভাই কে কষ্ট দিতে, আমি তো চাই আমার রুদ্র ভাই আমাকে ব্যাথিত করেও সর্বক্ষণ হাসিখুশি থাকুক।

– আন্টি আমার কাছে এসে আমার হাত দু’খানা হাত উনার নিজের হাতে নিয়ে বলতে লাগলো, কষ্ট পেয়েছিস মীরা, রুদ্রের এমন আচরণে?

” আন্টির কথাটা বুকে এসে লাগলো, রুদ্র ভাইয়ের এমন আচরণে কষ্ট আমি পাইনা কখনো, আমি কষ্ট পাই ঠিক তখুনি যখন আমার রুদ্র ভাই কষ্ট পায়।
কান্না টা কোনো রকম চেপে রেখে হাসি দিয়ে আন্টি কে জড়িয়ে ধরে বললাম কি যে বলো আন্টি, কষ্ট কেনো পাবো, তোমার ছেলে তো সেই ছোটবেলা থেকেই আমার পেছনে লেগে আছে, আর তুমি তো নিজের ছেলেকে চেনোই। ”

– আন্টি আমার কপালে মিষ্টি চুমু এঁকে বললো, এ জন্যই তো আমি আমার মীরা কে এতটা পছন্দ করি,আর এতোটাই আলাদা করে ভালোবাসি।
আমার মীরা হলো সবার সেরা, ভালো থাকিস মা, চল তোকে নিজ হাতে খাইয়ে দেই।

.
.
.
ভার্সিটি থেকে আসবার সময় ভাবলাম আজ আর রিক্সা নিবো না, কিছুক্ষণ হাঁটবো, এই ভেবে একা একা হাঁটছি।
রুদ্র ভাই কে নিয়ে ভাবছি আর মুচকি মুচকি হাসছি।
রুদ্র ভাইটা আসলেই একটা সাইকো, নয়তো আজ দু’দিন হয়ে গেলো, কিন্তু আমার সাথে লাগবার কোনো নাম নেই, আচ্ছা উনি কি তাহলে আমার সাথে রাগ করলো?
না তো উনি তো রাগ করবার পাত্র নয়। কি জানি বাপু আল্লাহ হয়তো উনাকেই একমাত্র আজব প্রাণী হিসেবে এ দুনিয়ায় পাঠিয়েছে। যাক বাপু আমি উনাকে নিয়ে এতো চিন্তা করলে পরে উনার চেম্বারে গিয়েই হাজির হতে হবে।
পরে বলবে মীরা তুই আসলেই সেই মেয়েদের দলে যে মেয়েদের কথা আমি বলেছিলাম, তখন আমি উনার দিকে তাকাবো আর উনি আমার দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাসিতে ফেটে পরবেন।
আমার তখন ইচ্ছে করবে মাটি খুঁড়ে বনবাসে চলে যেতে।

হঠাৎ কেউ মীরার হাত ধরলো, মীরা থমকে দাঁড়ালো, এমন স্পর্শ মীরা কখনো আগে পায়নি, একদম শীতল স্পর্শ। কেউ একজন ফুঁ দিয়ে মীরার কপালের চুলগুলো উড়িয়ে দিলো, মীরা চোখ বন্ধ করে মনমাতানো স্পর্শে ডুবে গেলো গভীরভাবে।
কেউ একজন মীরার কপালে শীতল ঠোঁট দিয়ে আলতো করে চুমু খেলো।
মীরা বেশ কিছুক্ষণ এভাবে চোখ বন্ধ করে ছিলো, হঠাৎ চোখ খুলে সামনে তাকালো।
তাকিয়ে দেখলো একদম জনমানবশূন্য, কেউ নেই, এই স্পর্শে নানানরকম অনুভূতি জানান দিচ্ছে, না মীরা আর এই স্পর্শ নিয়ে কিছুই ভাবতে চায় না, তাই তারাতাড়ি পা চালিয়ে চলে গেলো।

বাসায় এসে কারো সাথে কোন রকম কথা না বলে লম্বা একটা হট শাওয়ার নিতে চলে গেলো।
বেশ কিছুক্ষণ ঝর্ণার নিচে দাঁড়িয়ে ছিলো, কপাল টা ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেললো, মীরা চায়না অচেনা কোনো মায়ায় নিজেকে জড়াতে।
শাওয়ার শেষ করে মীরা আনমনে চুল শুকচ্ছে, জানালা দিয়ে দখিনা বাতাস এসে মীরার চুলগুলো উড়িয়ে দিচ্ছে।
মীরা চুল গুলোকে যতটা ঠিক করছে, বাতাস যেনো মীরার সাথে পাল্লা দিয়ে চুলগুলোর সাথে খেলা করছে।

– মীরা বাতাসের তোয়াক্কা না করে অবাধ্য চুল গুলোকে বেঁধে ফেললো।
হঠাৎ আয়নায় মীরার চোখ পরলো, লাল লিপস্টিক নিজে নিজে কিছু একটা লিখছে, মীরা মনোযোগ দিয়ে আয়নাটায় তাকিয়ে থাকলো, লাল লিপস্টিক দিয়ে বড়ো করে লিখা,

“ইউ আর মা’ই ডার্ক ডায়মন্ড ”

ভয়ে মীরার মাথাটা ঘুরছে কি হচ্ছে না হচ্ছে কিছুই যেনো মীরার মাথায় ঢুকছে না, হঠাৎ মীরা মাথা ঘুরিয়ে পরে গেলো।

.
.
.
নিভু নিভু চোখে মীরা তাকিয়ে দেখলো মীরার মা হাত ধরে বসে আছে, আর দু-চোখ বেয়ে অশ্রুর ফোয়ারা বেয়ে পরছে।
মায়ের চোখে পানি দেখে মীরার বুক টা কেঁপে উঠলো।

-মায়ের সাহায্য নিয়ে মীরা উঠে বসলো।
মীরা মায়ের চোখের জল মুছে দিলো, মাকে জড়িয়ে ধরে বললো, কেনো কাঁদছো বলো, দেখো আম্মা আমি একদম ঠিক আছি, একদম তোমার কিউট মীরা হয়েই আছি, আমি কি তোমার ইরার মতো পঁচা মেয়ে বলো?

ইরা মীরার কথা শুনে দুষ্টুমাখা কন্ঠে বলে উঠলো, আম্মা তুমি বলো কে বেশি ভালো, তোমার ইরা, না মীরা?

” আম্মা দু’জনকে একসাথে জড়িয়ে ধরে বললো, আমার আদরের দু’টো কন্যাই ভালো, কারো থেকে কেউ কম নয়।
আম্মা ইরা আপুকে স্যুপ আনতে পাঠিয়ে দিলো। ”

আম্মা আমার মাথায় আলতো করে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল, আচ্ছা মীরা বলতো তুই ঠিক আছিস তো, ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়ার করছিস তো?

“আমি আম্মার কথা কেড়ে নিয়ে বললাম কি যে বলো আম্মা, না খেলে বুঝি আমি পঞ্চাশ কেজি।

” আম্মা চিন্তিত মুখ নিয়ে বললো, বুঝলাম ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করিস, তাহলে এভাবে হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে পরে গেলি কেনো?”

-আম্মার কথা শুনে বুকটা ধুক করে উঠলো, কি করে বলবো তোমায় আমি, আম্মা আমি ভালো নেই সত্যি ভালো নেই, কি সব স্বপ্ন দেখছি যা আমায় অস্থির করে তোলে, আগে স্বপ্ন দেখতাম আর এখন দেখি বাস্তবে, কিছুই যেনো বুঝতে পারছি না আমি।
আম্মা তোমার মেয়ের এতো সব উত্তর দিবে কে বলো, জানা নেই আমার।
আমি আম্মাকে চিন্তিত রাখতে চাইনা, তাই মুখে হাসি ফুটিয়ে বললাম, আম্মা তোমার মেয়ের কিছুই হয় নি, হয়তো প্রেসার একটু এদিক সেদিক, কিছুক্ষণ পর দেখবে একদম ঠিক হয়ে গেছি।
আমি আম্মাকে চুমু খেয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম।

আজ বাতাসটা বেশ ঠান্ডা বাতাস দিচ্ছে, শরীরের লোমশ গুলো যেনো পাল্লা দিয়ে ভারী হয়ে উঠছে।
এমন স্নিগ্ধ বাতাসে মনপাখি উড়ে বেড়াতে চাইছে,
মীরা চোখ বন্ধ করে দু-হাত তুলে বাতাসকে অনুভব করে যাচ্ছে।

হঠাৎ কেউ একজন কানে কানে বললো,
“ডু ইউ নো,ইউ আর মা’ই ডার্ক ডায়মন্ড ইন মা’ই ওয়ার্ল্ড।

মীরা চোখ খুলে দৌড়ে এসে রুমে প্রবেশ করলো। মীরা বুকের মাঝখানে হাত দিয়ে দেখলো হৃদপিণ্ডটা এখনো খুব করে লাফাচ্ছে।

-পেছন ফিরে মীরা যাকে দেখলো, আরো যেনো একশো ঝটকা অবাক হলো।

মীরা তাকিয়ে দেখলো, রুদ্র ভাই স্যুপ হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
রুদ্র ভাই স্যুপ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে, মাথায় সিল্কি চুলের সমাহার, মায়াবী দুটি চোখ যেনো নিরবে কথা বলছে, গোলাপি ঠোঁট দু’টো যেনো উনার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। রুদ্র এই সময় অবাক হওয়ারই কথা।

– রুদ্র ভাই কেমন করে যেনো তাকাচ্ছে,আর মুচকি মুচকি হাসছে, যেনো উনি আমাকে অনেক বছর পর দেখছে।

” রুদ্র ভাইকে কোনো কথা বলতে না দেখে আমি নিজেই বললাম, কেমন আছেন রুদ্র ভাই?

-রুদ্র ভাই জবাবে বললেন তোর কি মনে হয়?

আমি অবাক হয়ে বললাম আমার কি মনে হবে?

– তুই হয়তো ভাবছিস তোর সাথে এতোদিন দেখা না করে, কথা না বলে আমার পেটের ভাত হজম হয়নি, আমি ঘুমোতে পারিনি,তা কিন্তু মোটেও নয় বুঝলি।
বরং আমি বিন্দাস ছিলাম।
আচ্ছা এখন তুই বল তো, তুই কি দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছিস?

” আমি চোখ তুলে রুদ্র ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম, আপনার কি তাই মনে হয়?

– আমার তো অনেক কিছুই মনে হয় তোকে, এই ধর যদি মনে হয় তুই একটা রাক্ষসী তাহলে কি তুই সত্যি সত্যি রাক্ষসী, আবার ধর তুই শাঁকচুন্নি, তাহলে কি তাও তুই? আবার মনে হয়, তুই রাক্ষস, শাঁকচুন্নি দুটোই একসাথে।
নাহ্ আমিও দেখছি তোর সামনে এসে পাগলের বাতাস লাগাচ্ছি, তুই তো যে কোনো একটা হবি, দু’টো হবি কিভাবে?
আচ্ছা তুই বলতো কোনটা তুই?

” ব্যাথিত মন নিয়ে ছলছল চোখে রুদ্র ভাই কে দেখে যাচ্ছি, এতোদিন পর দেখা হলো, কথা হচ্ছে, একটু ভালো জিজ্ঞেস করবে, ভালো ভালো কথা বলবে, একটু মায়া হবে, কিন্তু না উনি ব্যাস্ত হয়ে পড়ে আছেন, আমি রাক্ষসী না-কি শাঁকচুন্নি। আল্লাহ হয়তো উনার সবগুলো ইন্দ্রিয় থেকে একটা একটা তার বাঁকা করে দিয়েছেন, তাই প্রতিনিয়ত উনার কথাগুলো এমন বাঁকা বাঁকা আসে।
মনে মনে একটা কথায় বার-বার মনে আসছে, সত্যি যদি রাক্ষসী বা শাঁকচুন্নি হতাম সবার আগে আপনাকেই বশ করতাম।
কিন্তু তা তো স্বপ্নেও কখনো হবে না, কারণ আমি যে রাক্ষসী বা শাঁকচুন্নি কিছুই না।

-রুদ্র ভাই চিৎকার দিয়ে বললো, কিরে তোর কাছে কি আমাকে কাজের ছেলে বলে মনে হয়, আর তুই শেহজাদী, তোর জন্য আমি স্যুপ নিয়ে বসে আছি, কখন শেহজাদী খাবে আর আমাকে ধন্য করবে?

“” দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমি বললাম, আমার কাছে কিছুই মনে হয় না।
মনে মনে অনেক কিছুই। মনে হয় আপনি আমার প্রেমের শেহজাদা , ইচ্ছে তো করে আপনাকে নিয়ে কোনো এক অলৌকিক রাজ্যে হারিয়ে যেতে।

– কিছু মনে না হলে এই স্যুপটা মন চাইলে খেয়ে নিস, নয়তো ফেলে দিস, আমার বাপু এতো সময় নেই , তোকে ছোট্ট খুকির মতো করে স্যুপ খাইয়ে দিবো, এখন আমি চললাম বলে উনি চলে গেলেন।

” শরীরটা বড্ড ক্লান্ত লাগছে মীরার, তাই স্যুপটা খেয়ে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে পরলো।

ঘুমের ঘোরে হঠাৎ চোখের সামনে ১০/১২ জন এসে হাজির হলো, সবাই কালো হুডি পড়া মুখ ঢাকা দেওয়া।

#চলবে—–

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here