তুই আমারই থাকবি পর্ব ১০+১১

পর্ব ১০+১১
#তুই_আমারই_থাকবি💜
#Esrat_Jahan💜
#Part_10
!
‘-একটু পর আবরার ভাইয়া মানে আমার বর মশাই বললো,আম্মু তুমি ব্রেকফাস্ট রেডি করো।প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে।সকাল আটটা বেজে গেছে এখনো আড্ডা দিচ্ছি, সবার কত খিদে পেয়েছে! তাছাড়া খুশবুও তো খায়নি!(চিন্তিত মুখে)
!
-ওহহ….হ্যাঁ।এক্ষুণি করছি, সানা তুই আয় আমার সাথে রান্নাঘরে।সবাই খালি পেটে বসে আছে!(মামানি বলল)
!
-বাবাহ,দুলাভাই? আপনি তো আমার বান্ধবীর বেশ খেয়াল রাখেন!(আনিকা বললো)
!
-উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললো,হুম। এতো পিচ্চি বউ,আমারই তো খেয়াল রাখতে হবে,আর তাছাড়া ও আমার ফুপির মেয়ে,আমার বোনও তো বটে।তাই সবকিছু মিলিয়ে ওর খেয়াল রাখতেই হবে,তাই না ফুপিমণি?
!
-জামাই পেয়েছি একটা,আমার অগোছালো মেয়েটাকে এবার টাইম মেইনটেইন করা শিখাবে!(আম্মু হাসতে হাসতে বললো)
!
-ঠিক বলেছ ফুপিমণি,সব শিখাবো।(শয়তানি হাসি দিয়ে চলে গেলো)
!
-আমি অভিমান করে মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।আম্মুটা না…..সব গোপন কথা ফাঁস করে দিলো।আমি বুঝি আম্মুর মেয়ে না।ভাইয়া ঠিকই বলে,আমাকে ওরা নদীরর পাড় থেকে তুলে এনেছিল।এমন সময় আনিকা আমায় ধাক্কা দিয়ে বলল,কিরে?
!
-বল।(গাল ফুলিয়ে)
!
-রাগ করেছিস মনে হয় আন্টির কথায়?
!
-করবো না?গুন্ডাটাকে সব বলে দিলো!(গাল ফুলিয়ে)
!
-আচ্ছা,গোল আলুর মতো না ফুলে তোর রুমটা দেখাতে নিয়ে চল।
!
-নিজে নিজে দেখে আয়।আমি যাবো না(গাল ফুলিয়ে)
!
-তুই আসলেই পাগল,আন্টি ঠিকই বলে।আমি হলাম তোর ফ্রেন্ড, আর এই বাসায় কিছু চিনি না,জানি না।ঢ্যাং ঢ্যাং করে তোর বেডরুমে চলে যাবো,আর সেটা তো আবরার ভাইয়ারও রুম।সো….. আমি বেলাজ না তোর মতো!তুই নিয়ে চল….(একগাদা ডায়লগ বলে দিলো)
!
-আমি কিছু বলার আগেই আনিকা আমায় টানতে টানতে রুমে নিয়ে এলো।
!
-ওয়াও,ফ্যান্টাসটিক!এই এইটা রুম না প্রাসাদ রে?কী কপাল,এত্তো বড় বেডরুম?হাউ সুইট।তারপর গুন্ডার ইয়া বড় ফটো দেখে আনিকার অজ্ঞান হওয়ার জোগাড়।
!
– বললো,ও মাই গড,আই কান্ট বিলিভ দিস!কি কিউট লাগছে রে…… সাধে কী মাইয়ারা ক্রাশ খায়?এতো হ্যান্ডসাম ছেলে রেখে……. বুঝলি কপাল, সবই কপাল…..আজ ছ্যাকা খাইয়া আমি ডিপ্রেশনে চইলা যামু! কথায় আছে না ‘পোলা তো নয় রে আগুনের গোলা?এতো গোছালো?(এই ডায়লগটা আমি একটা গল্প থেকে নিয়েছি)!
!
-আনিকার এসব কাণ্ডকারখানা দেখে আমার ভীষণ হাসি পাচ্ছে।আমি হাসতে হাসতে বললাম,হুহ,পোলা তো না একটা হারামজাদা,গুন্ডা।পাল্লায় পড়লে বুঝতি!
!
-যাইহোক, এত সুন্দর জামাই থাকতে আর কী লাগে?
!
-বুঝবা বুঝবা, যখন একটা শয়তান জামাই পাইবা, তখন!
!
-ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজে আমি আর আনিকা চমকে পেছনে তাকালাম।যা দেখলাম তাতে…..
!
-গুন্ডা আবরার টাওয়াল পরে খালি গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।গোসল করেছে নিশ্চয়! দৌড়ে বেরিয়ে আসতে গিয়ে দেখি হ্যাং মেরে তাকিয়ে আছে আনিকা।তাই ওকে টেনে রুম থেকে বের করে দিয়ে আমিও বেরুতে গেলাম।কিন্ত পেছন থেকে ব্যাটা ডাক দিলো। আমিও দাঁড়িয়ে পড়লাম।তাকিয়েই আছি…..
!
-গুন্ডা আবরার বলল,কী?এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
!
-আমি নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম,ইচ্ছে!
!
-হোয়াট?
!
-মানে,ওইদিন তো খুব বড় গলায় বলেছিলেন আপনি আপনার ভার্জিনিটি খুব স্ট্রং!তো এখন এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন,লজ্জা করছে না?
!
-না,আমার ভার্জিনিটি সেটা আমি দেখে নেবো।ইনফেক্ট ভেবেছি,বিয়ে যখন করেই ফেলেছি এত বাচ্চা, কিউট বউটার সাথে রোমান্স করবো না,তা তো হয় না!তো ডিসিশন চেঞ্জ!
!
-চেঞ্জ মানে?
!
-চেঞ্জ মানে চেঞ্জ!
!
-আপনি বললেই হলো?
!
-তুমি বললেই বা আমি শুনবো কেন?সবকিছু আমার ডিসিশনে হবে!
!
-ওহহ….তাই তো ওইদিন আমাকে জোর করে তুলে এনে আমার ফ্যামিলির ক্ষতি করার ভয় দেখিয়ে বিয়ে করে নিয়েছিলেন?
!
-লিসেন খুশবু,আমি সেদিন জানতাম না, তুমি আমার ফুপিমণির ছোট মেয়ে! সো…. তখন সিচুয়েশন অন্যরকম ছিল।আর এখন সব জেনে গিয়েছি আর তাই এখন থেকে আমার ডিসিশনই শেষ কথা!তো তোমার এককথা বারবার বলার ব্যাড হ্যাবিট টা এখন বাদ দাও!
!
-দেবো না।আপনি গিরগিটির মতো কতবার যে রঙ পাল্টাচ্ছেন,আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
!
-তোমার বুঝতে হবেও না।
!
-কেন?
!
-উনি আমার কথায় কখনওই পাত্তা দেন না।এবারেও দিলেন না।
!
-আমাকে অবাক করে দিয়ে বললেন,তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট শেষ করো,আমি সানাকে রুমে দিয়ে যেতে বলেছি।খাওয়া শেষ হলে ভার্সিটি যাবে!
!
-কীহহহ?
!
-ভার্সিটি যাবে।ইনফেক্ট আমি নিয়ে যাবো।বাচ্চা বউটাকে তো একা ছাড়তে পারি না।
!
-সূর্য্যিমামা আজ কোন দিকে উঠেছে?আমি কী স্বপ্ন দেখছি?
!
-না।এখন পকপক বন্ধ করো বলতে বলতে শার্ট -হাফপ্যান্ট পড়ে রেডি হলেন।হাউ সুইট লুক!
!
-তা দেখে আমি বললাম,,আপনি এসব পড়ে ভার্সিটি যাবেন?
!
-হুম।কেন?
!
-তাহলে মেয়েরা আপনার উপর সেই লেভেলের ক্রাশ খাবে!
!
-উনি চোখ গরম করে বললেন,এইসবই করো ভার্সিটি গিয়ে?পড়ালেখার নামে খোজ নাই!ক্রাশ নিয়ে ব্যাস্ত!
তোমার ডানা কেটে রেখে দিবো! (রেগে)
!
-এমন সময় সানা রুমে নাস্তা নিয়ে এলো। নাস্তাগুলো রেখে সানা চলে যেতেই উনি বললেন,পাঁচ মিনিটের মধ্যে সবটুকু ব্রেকফাস্ট শেষ করো,নষ্ট করা চলবে না।আর দুই মিনিটে রেডি হয়ে ভার্সিটি চলো।আমি নিচে যাচ্ছি।তোমার বেস্টফ্রেন্ড আনিকাকেও নিয়ে যেও!বলেই গটগটিয়ে চলে গেলো।
!
-আমিও হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।গুন্ডা আবার রুপ বদল করেছে।ভয়ানক ছেলে…….
!
-ভাবতে ভাবতে খাবারের দিকে চোখ গেলো।এ মা!এতো খাবার কীভাবে খাবো? যাইহোক, গুন্ডা রুমে নেই,জাস্ট অমলেটটা খেয়ে বাকিগুলো ফেলে দিই,,,,জানালা দিয়ে ফেললে কেউ দেখবে না।
!
-যেই ভাবা সেই কাজ!কোনোমতে খেয়ে বাকি খাবারটা আস্তে করে জানালা দিয়ে ফেলে দিলাম।
!
-মনের সুখে রেডি হয়ে নিচে গেলাম।আর…….. ‘
!

#Part_11
!
‘-আর নিচে নামতেই আনিকা বললো,তোর জামাইটা খুব ভালো।
!
-কেন?কী করেছে জামাইটা?
!
-আরে তোকে তো আজ থেকে ভার্সিটি যাওয়ার পারমিশন দিয়ে দিয়েছে!কত মজা হবে বল!
!
-হুম।
!
-আনিকা কিছুক্ষণ ভেবেচিন্তে বললো,ভাইয়া কত ড্যাশিং রে?কত হ্যান্ডসাম!কপালের আর বুকের উপরের তিলটা দেখেছিস?ওয়াও সো কিউট!(স্বপ্নালু চোখে)
!
-কালনাগিনী!তুই আমার বরটার উপর এইভাবে নজর দিলি?(সন্দেহ নিয়ে)
!
-আরে ধুর….সামনে পড়ে গেছিল দেখলি না?টাওয়াল পড়ে খালি গায়ে তোর আর আমার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো!তখন কী আর চোখ ফিরাতে পেরেছিলাম?কী হট লাগছিল ভেজা চুলে!হাউ কিউটি…….
!
-আমি বিরক্তির চরম সীমানায় পৌঁছে বললাম,স্টপ দিস ননসেন্স।তুই তোর সাদাফের কাছে যা!সেও তো কম হট না!
!
-তুই যা।এখন চল(রেগে)
!
-এখন কথা কাটাও কেন?শালি হারামি?
!
-আচ্ছা আচ্ছা,এখন চল…..আবরার ভাইয়া বসে আছে!
!
-চল!
!
-মামানি থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম।আব্বু-আম্মু সবাই রয়েছে।
!
-বাইরে এসে দেখি গুন্ডা গাড়িতে বসে আছে।ব্যাটা ড্রাইভ করবে……যাইহোক, আমি সামনের সিটে বসে পড়লাম। আনিকা পেছনে বসে পড়লো আর গুন্ডা গাড়ি স্টার্ট করলো।
!
-আনিকা?তোর মোবাইলটা দে তো!আমার একথা শুনে গুন্ডা আবরার আমার দিকে তাকালো!আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিলাম!
!
-আনিকা বললো,মোবাইলে চার্জ নেই।ভাইয়াকে বল,উনারটা দিবে….
!
-উনার মোবাইলে ধরা বারণ!আমারটাও তো বাসায়…..
!
-উনি উনার মোবাইলটা আমার দিকে ধরলেন!কিছু বললেন না!
!
-আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকিয়েই রইলাম।ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললাম,লাগবে না।ইট’স ওকে!
!
-নিতে চাইলে নিতে পারো।না নিলে আমার কিছু যায় আসবে না।আই ডোন্ট কেয়ার।বাট পরে কাউকে বলতে পারবে না যে,আমি আমার মোবাইল তোমাকে দিইনি!গট ইট?
!
-আমিও ভাব ধরে বসে রইলাম।উওর দিলাম না।
!
-ভাব নিচ্ছ?নাও।আই ডোন্ট কেয়ার!বাট এটার সাক্ষী রইলো আনিকা!
!
-আ…..মি?মানে……আমি?
!
-ডেফিনেটলি আনিকা।ও যে, আমার ফোন নিল না এর সাক্ষী রইলে তুমি!আর ভার্সিটিতে তুমি সবসময় ওর সাথে থাকবে,ওর পাশে বসবে,খাবে,কথা বলবে যা ইচ্ছে করবে……বাট কোনো ছেলের আশেপাশে যাতে ও না যায় সেটার রেসপনসিবলিটিও তোমার!গট ইট……
!
-আনিকা ভয়ে ভয়ে বলল,জ্বি…..।
!
-আমি একবার রক্তচক্ষু নিয়ে আনিকার দিকে তাকালাম।কিছু না বলে চুপ করে বসে আছি।
!
!
!
!
!
-ভার্সিটি পৌঁছে গেলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই।গাড়ি থেকে আমি আর আনিকা নামলাম।ব্যাটা গুন্ডাও গাড়ি থেকে নামলো। আমি বললাম,আমরা ভেতরে যাচ্ছি,আপনি বাসায় চলে যান!
!
-লিসেন খুশবু!আমি আমার পিচ্চি বউটাকে একা কোথাও যেতে দিবো না,আমি এখানেই থাকবো ।সো তুমি চুপ থাকো।
!
-না মানে,আপনার মতো ড্যাশিং ইংরেজ দেখলে সব মেয়েরা হা করে তাকিয়ে থাকবে, চোখ দিয়ে গিলে খাবে, তাই বলছিলাম……..
!
-তাই আমি চলে গেলে তুমি মুক্ত হয়ে যাবে!ডানা মেলে উড়বে আকাশে, তাই না?ডানা কেটে রেখে দেবো!স্টুপিড গার্ল!(রেগে)
!
-মানে বলছিলাম…..!
!
-এখানে আমার অসংখ্য ফ্রেন্ড সার্কেল আছে।আমি আড্ডা দিবো , ফুর্তি করবো, আর তোমায় পাহারা দেবো।
!
-মনে মনে বললাম,সব প্ল্যান ভেস্তে দিলো। গুন্ডা, বদ পোলা কোথাকার!ফুর্তিবাজ একটা, আমায় নাকি পাহারা দিবে…..যত্তসব!
!
-আনিকা এসব কান্ড দেখে বললো,ভাইয়া আমি ক্লাসে যাই?সুগন্ধি আপা যাবে আমার সাথে?
!
-হোয়াট?আনিকা তুমি কী বললে?সুগন্ধি?কে? (হাসতে হাসতে)
!
-আনিকা উৎসাহ পেয়ে হাসতে হাসতে বলল,আরে খুশবুর নামই সুগন্ধি!আমরা ডাকি আরকি!নামটা কেমন ভাইয়া?
!
-হাউ ফানি!(হাসতে হাসতে)
!
-উনার কিটকিটে মার্কা হাসি দেখে আমার গা জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে।তার সাথে যোগ দিয়েছে আবার আনিকা।দুজনে মিলেই হাসছে ইচ্ছেমত। মন চাইতেছে দুইটাকে নোংরা ড্রেনের পানিতে চুবাই!(আমি মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।)
!
-উনি আমার গাল টেনে দিয়ে বললেন,তো সুগন্ধি আপা আপনি আমার সাথে থাকেন আর আনিকা তুমি ক্লাসে যাও।
!
-আনিকা বললো,ওকে ভাইয়া!
!
-ক্যান্টিনে চলো।হাসতে হাসতে বললেন,
!
-বলেই উনি আমায় নিয়ে ক্যান্টিনে এলেন।আর আমি সন্দেহ ভরা চোখ নিয়ে তাকিয়ে উনার কাণ্ডকারখানা দেখছি।ব্যাটা আমায় বসতে বললেন,আমিও বসলাম।উনি ক্রমে ক্রমে হাসছেনই।
!
-আপনি এভাবে হাসছেন কেন?
!
-হাসছি না তো!
!
-ওহহ…..আমি কানা!আমি চোখে কিছুই দেখি না?আমাকে আবাল মনে হয়?
!
-এই তুমি আবাল?রিয়েলি?আই কান্ট বিলিভ….. (হাসতে হাসতে)
!
-আমি রেগেমেগে আগুন হয়ে গেলাম।বুঝলাম এই অটিস্টিকের সাথে কথা বলে মুড অফ করার দরকার নেই।তাও…..এভাবে কেউ ইনসাল্ট করলে রাগ আপনা আপনি চলে আসে!ধরে বেঁধে রাখা যায় না।আমারো হলো সেই দশা!
!
-উনি আমার চোখের সামনে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছেন আর আমি রেগেমেগে বললাম,এই!এই তোর কী হয়েছে রে?বদমাইশ ছেলে, তুই এইভাবে আমায় দেখে হাসছিস?তোর বিয়াল্লিশটা দাঁত যদি থাপড়িয়ে না খুলে দেই তো আমি শুভ্রতা জান্নাত খুশবু না!
!
-উনি হ্যাবলার মতো রেগে তাকিয়ে আছেন।আর আমি অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েছি এতগুলো কথা বলে। উনাকে যে সাহস করে এতগুলো কথা বলতে পেরেছি তাতে নিজের না যতটা আনন্দ হচ্ছে তা চেয়ে বেশি ভয় হচ্ছে।
!
-উনি চুপচাপ উঠে কাউন্টারে গেলেন।আমায় কিছু বললেন না।দুই দুইটা বার্গার আর দুইটা তন্দুরি চিকেন এনে আমার সামনে রেখে বললেন,নাও শুরু করো!
!
-আবারো সেই খাবারের টর্চার।আমি ভয়ে ভয়ে বললাম,আমি তো একটু আগেই খেয়ে এসেছি!
!
-উনি রেগে বললেন,ইউ লায়ার গার্ল।তুমি এত মিথ্যে বলতে পারো?আমি তো ভেবেছিলাম তুমি অনেক সাধাসিধে মেয়ে বাট তোমার মিথ্যে বলার ধরণ দেখে আমি সত্যিই কনফিউজড!
!
-মানে?কী মিথ্যে?
!
-তুমি সকালে খেয়েছিলে?
!
-হুম।সব খেয়েছি,বাকি রাখিনি একটুও!(ভয়ে)
!
-উনি বললেন,রিয়েলি?তো উইন্ডো দিয়ে কে ব্রেকফাস্ট ফেলেছিলো?
!
-আমি আমতাআমতা করে বললাম,কে ফেলেছিল তা আমি কী কিরে বলবো??
!
-কারণ তুমিই তো ফেলেছিলে!(রেগে)
!
-আমিও রেগে গেলাম,বললাম,হুম। আমার ইচ্ছে তাই ফেলেছি।
!
-ফেলেছ যখন এখন এসবগুলো তুমি খাবে!
!
-আপনি খান।আমি খাবো না।(রেগে)
!
-তুমি খাবে না তোমার ঘাড় খাবে!(রেগে)
!
-আপনি কী আমায় জোর করে খাওয়াবেন?
!
-ডেফিনেটলি!
!
-তারপর উনি আমায় আর কিছু বলতে না দিয়ে চিকেনের টুকরাটা মুখে পুরে দিলেন।আমিও আর না পেরে খেতে লাগলাম।উনার এসব কান্ড দেখে ক্যান্টিনের বয় আর বুড়ো লোকটা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।উনি ওদেরকে তাকাতে দেখে হাসিমুখে বললেন,বউ আমার কিছু খায়নি!বলুন তো এইসময়ে খালিপেটে থাকা কী উচিৎ?
!
-বুড়ো লোকটা বললেন,কী হয়েছে আপনের বউয়ের?
!
-উনি মুখে লজ্জা লজ্জা ভাব এনে বললেন,আর বলবেন না, প্রেগন্যান্ট আরকি!
!
-বুড়ো লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,এমন জামাই ভাগ্য করে পাওয়া যায় গো মা।যে বউয়ের এত খেয়াল রাখে। আর তুমি না খাইয়া পেটের বাচ্চাটারে কষ্ট দিবা!তা তো হয় না মা।তারপর আবরার গুন্ডার দিকে তাকিয়ে বললেন,খাওয়ান বাবা!আমি যাই!
!
-উনিও হাত দিয়ে চুল ঠিক করতে করতে বললেন,আচ্ছা চাচা!তারপর আমার দিকে ফিরে শয়তানি হাসি দিলেন।
!
-আমি না পারছি কিছু বলতে না পারছি সইতে!ধুর……..’
!

চলবে……….

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here