তুই আমারই থাকবি পর্ব ১২+১৩

পর্ব ১২+১৩
#তুই_আমারই_থাকবি💜
#Esrat_Jahan💜
#Part_12

‘উনি সেই কিটকিটে হাসি হাসছেন।আর আমার মুখে খাবার গুঁজে দিচ্ছেন।বুড়ো লোকটা ক্যান্টিনের বাইরে চলে গেলেও আরো কিছু ছেলে-মেয়ে ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
!
কী?এদিকওদিক তাকাচ্ছো কেন?(সন্দেহ নিয়ে)
!
আমি খাবারটা গিলে বললাম,আরে দেখেন ওই ছেলেটা কী হ্যান্ডসাম!আপনি একটু দেখে বলেন তো আমার সাথে ম্যাচ হবে কিনা?(ভাব নিয়ে)
!
উনি আমার থেকে দ্বিগুণ ভাব নিয়ে বললেন,আমি কিন্তু একটুও অবাক হচ্ছে না! কেনো জানো?
!
কেনো?
!
কারণ প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মেয়েদের মাথা একটু আউলা-ঝাউলা মারে!তখন নিজের সুন্দর বরকে আর ভালো লাগে না,রিকশাওয়ালা টাইপ চ্যাংড়া ছেলেদের তাদের কাছে বেশী ভালো লাগে!
!
আমি রেগে উঠে বললাম,এই!আমি প্রেগন্যান্ট? হ্যাঁ?
!
অবশ্যই!
!
তো কখন প্রেগন্যান্ট হলাম?বিয়েই তো হলো মোটে চারদিন! তো আমি প্রেগন্যান্ট হলাম কোনসময়?
আপনি এখন ভার্সিটি এসে বলছেন আমি প্রেগন্যান্ট! আমাকে কী সবার সামনে বিবাহিত মহিলা প্রুফ করতে চান?(রেগে)
!
হুম,চাই তো।আমার বউয়ের দিকে তাহলে কেউ নজর দিবেনা।দেখো না?আশপাশে তাকিয়ে দেখো, আমার পুতুল বউটার দিকে হারামী ছেলেরা কেমন তাকিয়ে আছে!তুমি আমার ওয়াইফ যদি জানতে পারে,তাহলে দেখবে তোমার পায়ের কাছে এসে পড়ে থাকবে!
!
লিসেন মিষ্টার!আপনার এসব ফালতু কাজ বন্ধ করুন।আর যাই করুন,ভার্সিটির সবার সামনে আমাকে বিবাহিত মহিলা প্রুফ করবেন না!
!
আরে!প্রবলেমটা কী তোমার?বিয়ে করার সময়ে কী আমি তোমার ডিসিশন জানতে চেয়েছিলাম? জানতে চাইনি তো?সো এখনো তোমার ডিসিশন আমি জানতে চাই না।যেটা বলেছি সেটাই হবে!(রেগে)
!
আমিও স্পষ্ট গলায় বললাম,কখনোই না!
!
উনি বললেন দেখতে চাও?আমি কী করতে পারি?(রেগে)
!
তারপর আমি কিছু বলার আগেই উনি চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন এবং গমগমে গলায় বললেন,লেডিস এন্ড জ্যান্টলম্যান!গাইজ আমি তোমাদের একটা কথা বলতে চাই!
!
উপস্থিত ছেলেমেয়েরা উৎসাহী হয়ে উঠলো। সবাই সমস্বরে বলে উঠলো,অফকোর্স! আপনি বলুন…
!
কথাটা হলো এই যে,আমার সাথে বসে থাকা এই মেয়েটি, আই মিন খুশবু মানে তোমাদের সুগন্ধি আপা এই মহিলাটি আমার ওয়াইফ! সো…..তোমরা অলওয়েজ ওকে দেখে রাখবে!ওর যাতে কোনো প্রবলেম না হয়!আর যদি কোনো প্রবলেম হয় তাহলে তো জানোই আমি কী করবো?সো মাইন্ড ইট……
!
উপস্থিত ছেলেমেয়েরা খুব গুরুত্বের সাথে উনার দেওয়া বক্তৃতা শুনলো।যেন,আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উনি।
!
ছেলেরা মনে হয় কিছুটা হতাশ হলো,আর মেয়েদের মুখটা কালো হয়ে গেলো।কেউ কেউ আমার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকাতে লাগলো,যেন আমি ওদের কলিজা ছিনিয়ে নিয়েছি….. যত্তসব!আমার প্রচণ্ড রাগ লাগতে শুরু করলো।আমিও পেঁচার মতো মুখ করে বসে আছি।
!
আমাকে বিবাহিত মহিলা প্রুফ করা!শালা মন চাচ্ছে মুরগীর পুরো টুকরাটা ব্যাটার মুখে ঢুকিয়ে দেই,যাতে গলায় আটকে আর কোনো কথা বলতে না পারে!উনিও চেয়ারে বসতে বসতে বললেন,যাও সবাই তো জেনে গেলো! এখন কী হবে খুশবু?
!
আমি মুখ কালো করে বসে রইলাম।গুন্ডার সাথে কথা বলার ইচ্ছে হলো না!
!
উনি মিটিমিটি হাসছেন আমার দিকে তাকিয়ে। সিল্কি চুলগুলো বাতাসে পতপত করে উড়ছে,উনি চুলগুলোতে আঙ্গুল বুলাতে লাগলেন!
!
আমার ইচ্ছে হচ্ছে,ব্যাটার সিল্কিচুল গুলো কেটে আলকাতরা লাগিয়ে দেই।তাহলে উচিৎ শিক্ষা হবে……
!
!
!
!
!
!
এই শুনেছিস?আনিকা বলল,
!
কী?কী শুনেছি?
!
আরে তোর ওড়নায় কে একটা ওইদিন পেছন থেকে টেনে ধরেছিল না!
!
হুম!
!
আবরার ভাইয়া তার গুন্ডা-পান্ডা লাগিয়ে ওই ছেলেকে খুঁজে বের করে আচ্ছামতো ধোলাই দিয়েছে,ব্যাটা এখন হসপিটালে হাত-পা ভাঙ্গা নিয়ে শুয়ে আছে!
!
আমি অবাক হয়ে বললাম,কীহ?কখন ঘটল এইসব?
!
আমি জানি না,ভার্সিটির কয়েকজন বলাবলি করছিলো!
!
এইজন্য! এইজন্যই বলি ব্যাটা একটা গুন্ডা! এবার বুঝলি তো কী ডেঞ্জারাস বর জুটছে কপালে?
!

#Part_13
!
-‘এতে বুঝাবুঝির কী আছে?তোর ওড়না টেনে ধরেছে তো ওই বখাটে ছেলেকে কেউ কিছু বলবে না?আজব তো!
!
-যাইহোক, এইজন্য মেরে হসপিটাল পাঠাবে?নিজেই গুন্ডা আবার আরেকজনকে গেছে শিক্ষা দিতে!ন্যাকামি দেখলে……
!
-এই তোর এত দরদ কেন বখাটেটার জন্য?মায়া লাগছে নাকি?
!
-আমি আনিকার আবোলতাবোল কথা শুনে রেগে বললাম,হুম মায়া লাগছে,খুব মায়া লাগছে,ওর জন্য দরদ আমার উতলিয়ে উঠছে,কলিজায় লাগছে! দুঃখে কষ্টে আমি মরে যাচ্ছি!
!
-বলিস কী রে?এই অভদ্র ছেলের জন্য তোর কলিজা ফেটে যাচ্ছে আর যে তোর বর তার জন্য তোর দিলে কোনো মায়া নাই?কেমনে পারিস তুই এত নির্দয় হতে?এমন ইংলিশম্যান বর থাকলে আর কী লাগে রে?আর তুই, তোর মন এতোই ছোট!
!
-ওর ফ্যাচফ্যাচ শুনে আমি বিরক্ত হয়ে এক ধমক দিলাম।বললাম,
!
-এই তোর ওড়নার আঁচলটা দে তো!
!
-কেন?তুই কী ভার্সিটির সবার সামনে আমার ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করবি?(ভ্রু কুঁচকে)
!
-এই গাধী!আমিও মেয়ে, আর মেয়ে হয়ে আমি তোর ইজ্জত নষ্ট করবো?আমি ঘাম মুছবো, দে ওড়নার আঁচল!টিস্যু আনিনি!
!
-টিস্যু আনিসনি তো নিজের ওড়না ইউজ কর।আমারটার দিকে নজর কেন?
!
-আমি দাঁত কেলিয়ে বললাম,এত কথা বলছিস কেন?দিতে বলছি দে!
!
-আমাকে পাগল পাইছো! নিজের ওড়না ইউজ কর।
!
-তার মানে দিবি না?
!
-ডেফিনেটলি!
!
-আমিও দেখে নিবো!কেমনে না দিস……
!
-দে……খি…….স!এই কে রে……বলেই পেছনে ঘুরে আনিকা হতবাক নয়নে তাকিয়ে আছে!আমিও মুচকি হেসে বললাম,আপনি?
!
-সাদাফ ভাইয়া আনিকার ওড়নার আঁচল দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে বললো,কেমন আছো, শালী সাহেবা?
!
-আমিও আনিকার দিকে তাকিয়ে দাঁত কেলিয়ে হেসে বললাম,ভালো নেই।কিন্তু আপনাকে দেখে ভালো হয়ে গেছি!
!
-আনিকা কটমট করে বলল,আপনি? এখানে কেন?আমার ওড়না দিয়ে ঘাম মুছলেন কেন?নিজের রুমাল টিস্যু নেই?
!
-সাদাফ ভাইয়া হাসিমুখে বলল,সিরিয়াসলি? তুমি নিজে আমায় প্রশ্ন করেছ?আমার কিন্তু বিলিভ হচ্ছে না!
!
-আনিকা রাগী চোখে বলল,কানা নাকি?আমিই করেছি!
!
-তাই তো, তোমাকে আমার বউ বউ লাগছে আজ!ওফফ…..সো কিউট!!আসলে আজ প্রচণ্ড গরম তো, তাই ঘেমে গেছি।রোদে পুড়ে আমার ফর্সা ত্বক লালচে হয়ে গেছে।দূর থেকে তোমার এই ঠাণ্ডা হাওয়াময় ওড়না দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না! তাই চলে এলাম….
!
-আনিকা চোখ মুখ কুঁচকে বললো,ছিঃছিঃ আমার ওড়নার কী হবে?এত ফেভারিট ছিল ওড়নাটা আর এতে ঘাম মুছে ছিঃছিঃ…বলেই আহাজারি করতে লাগলো!
!
-সাদাফ ভাইয়া বলল,আরে প্রবলেম নেই তো!তোমার সাথে আমার বিয়ে হবার পর এর চেয়ে আরো চমৎকার ওড়না কিনে দেবো! কাঁদে না সোনাপাখি….
!
-আনিকা রেগে বলল,আপনি চুপ করেন।আপনার সোনাপাখি আমি হতেও চাই না।যত্তসব বিলাই লোক!যত্তসব!বলেই আবারো আহাজারি করতে লাগলো!
!
-আমি আর সাদাফ ভাইয়া ওর কান্ড দেখে হাসছি!
!
!
!
!
!
-কিগো বউ!এখানে কী করছো?
!
-পেছনে তাকিয়ে দেখি, আইসা পড়ছে আবরার গুন্ডা!
!
-আমি কিছু বলার আগেই উনি সাদাফ ভাইয়াকে দেখে চিৎকার করে বলে উঠলো,সাদু?তুই?
!
-সাদাফ ভাইয়াও খুশিতে জড়িয়ে ধরে বলল,তুই?কখন এলি দেশে?কোনো খবর না দিয়েই!কেমন আছিস?
!
-আরে রাখ তোর ফর্মালিটি! তোর ফোন অফ ছিল।
!
-অফ ছিল?ধুর…..
!
-আরে আফসোস করিস না!সোজা হয়ে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললো!
!
-ঠিকই!
!
-আমার দিকে এক ঝলক তাকিয়ে উনি বলল,আরে দোস্ত চল তোকে আমার ওয়াইফের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই!
!
-সাদাফ ভাইয়া অবাক গলায় বলল,শালা বিয়া কইরা ফেলছিস?
!
-হুম,এই যে,আমার বউ!আমাকে দেখিয়ে…..
!
-সাদাফ ভাইয়া বাক্যহারা হলেন।বললেন,খুশবু?খুশবু তোর ওয়াইফ?
!
-হুম,এক্সিডেন্টলি বিয়েটা হয়ে গেছে।এখনো রিসিপশন পার্টি হয়নি!
!
-সাদাফ ভাইয়া বলল,খুশবু তুমি আমাকে তো বলোনি?
!
-আসলে ভাইয়া…..
!
-এই তুই ওকে চিনিস?(ভ্রু কুঁচকে))
!
-চিনি মানে?খুব ভালো করে চিনি!তারপর আনিকাকে এক পলক দেখে বললেন,ইনফেক্ট ওর ফ্রেন্ড আনিকা আমার বউ!
!
-কীহহহ???আনিকা?ওর বিয়ে হয়ে গেছে?
!
-আরে না!বিয়ে করবো।ওর পিছে আমি ঘুরি আর ও আমায় পাত্তাই দেয় না।এখনো গার্লফ্রেন্ড পর্যন্ত,,তাও ও রাজি না।ভাবছি রাজি না হলে তুলে নিয়ে বিয়ে করবো।হাসতে হাসতে সাদাফ ভাইয়া বলল…
!
-জানের জিগার দোস্ত!একদম ঠিক বলছিস,বিয়ে না করতে চাইলে তুলে নিয়ে যাবি!আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললেন!আমি তোদের ব্যাপার বুঝতে পেরেছি……
!
-আর আমি আর আনিকা বেক্কলের মতো ওদের দুজনের হাসি-দেখছি।আমি আনিকার কানে কানে বললাম,দিলি না তখন ওড়নাটা!এখন ঠিক হয়েছে!
!
-চুপ কর!ইচ্ছে করছে ব্যাটারে লাত্থি দিয়া ভার্সিটির বাইরে ফেলে দিই!আমার ফেভারিট ওড়না শালা নষ্ট করেছে!!
!
-আরে আরে…..লাত্থি দিলে তোর পায়ে ব্যাথা পাবি।তখন ব্যাটা সুযোগ পেয়ে তোকে তুলে নিয়ে যাবে!তুই তো দৌড়াতেও পারবি না।তোর মা-বাবাও কিছু বলবে না উনাকে!বিকজ ওরাও চায় তোকে সাদাফ ভাইয়ার সাথে বিয়ে দিতে!তখন ভাঙ্গা মন আর ভাঙ্গা পা নিয়া বাসর করতে হইবে!সো বি কেয়ারফুল…….
!
-আনিকা চিন্তিতমুখে বলল,ঠিকই বলেছিস!
!
!
!
!
!
-কী?এভাবে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছো কেন?
!
-সাদাফ ভাইয়া আপনার ফ্রেন্ড, তাই!
!
-আজব, তাই তাকিয়ে থাকতে হবে?
!
-হুম,সবকিছু কো-ইন্সিডেন্স নাকি সেটা বুঝার চেষ্টা করছি!
!
-এত বেশী বুঝতে হবে না।কম বুঝবা দেখবা জীবন কত সহজ!
!
-আমি বেশী বুঝবো না কম বুঝবো সেটা আমার বিষয়!
!
-থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দিবো। ছোট ছোটর মতো থাকো।
!
-আমি ফুঁসে উঠে বললাম,থাকতে দিচ্ছেন?ছোট মেয়েকে তাহলে বিয়ে করেছেন কেন?বুইড়া বয়সে কী ভীমরতি হয়েছিল?কপালে জুটলো এক বুইড়া!একেই বলে ফাটা কপাল!
!
-তোমার পকপক বন্ধ না করলে গাড়ি থেকে ধাক্কা করে ফেলে দিবো! (রেগে)
!
-বেশী সাহস?আমায় খুন করার মতলবে আছেন?বোনের মতো আমি আপনার!আর আপনি আমায় খুন করবেন?
!
-ওহহ….ড্যাম ইট!ডাফার গার্ল কোথাকার!(রেগে)
!
-আমিও কম না,বললাম,ফিরে এসেছেন আগের অভ্যাসে?তাহলে আমিও ফিরে আসি!
!
-কিসে ফিরবা?(ভ্রু কুঁচকে )
!
-আমি তো আগে আপনাকে কখনো দেখিন।মানে বড় হওয়ার পর!আমি কিন্তু অলওয়েজ আপনাকে ভাই ডেকেছি।সেই পুরানো অভ্যেস, এখন কি ডাকবো ভাইয়া?
!
-ডাকতে চাইলে ডাকো। আমার মাথাব্যথা নেই।এইসব ডাকাডাকি দিয়ে কিছু যায় আসবে না।এটুকু স্বাধীনতা দিলাম তোমাকে!!চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বললেন।(ভাব নিয়ে)
!
উনার এসব কথাবার্তা আমার আর ভালো লাগছে না।আমিও বুঝলাম অটিস্টিকটার সাথে কথা বলে লাভ ছিল না কোনোদিন,,আজ ও হবে না!চুপচাপ থাকাটাই শ্রেয়!!!তাই চুপ রইলাম।আনিকা ওর বাসায় ফিরে গেছে,সারাটাক্ষণ আমায় জ্বালিয়ে খেয়েছে বেচারি!
!
উনি ড্রাইভ করছেন একমনে!বাতাসে উনার সিল্কি লাল চুলগুলো উড়ছে।আমার চুলগুলোও উড়ছে।আমি গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলাম।খোলা মাঠ পেরুচ্ছে গাড়িটা। পিচ ঢালা রাস্তা খালি খালি লাগছে!আকাশের রঙ কালো।মেঘলা আবহাওয়া…..বৃষ্টি আসবে নাকি?আমার মন খারাপের দিন বৃষ্টিই আমার সঙ্গী।গুড়িগুড়ি বা মুষলধারে যেকোনো বৃষ্টিই আমার খারাপ মন টার ভালো হওয়ার প্রধান ঔষধ! ‘
!

চলবে……

(যারা যারা মাংসের বাটি নিয়ে বসে আছেন তাদের আবারো শুভেচ্ছা!)

(ভালো লাগলে নেক্সট পার্ট দিবো।ইনশাল্লাহ 💜💜)

হ্যাপি রিডিং 💜💜

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here