তুই যে শুধুই আমার পর্ব ১৪+১৫

পর্ব ১৪+১৫
#তুই_যে_শুধুই_আমার [❤You are only mine❤]
#Part_14
#Writer_Tanzin_Islam_Ishika

In hospital🍁

সকলেই ওটির সামনে পাইচারি করছে,, আরুশ এক জায়গায় স্থীর হয়ে দাড়িয়ে আছে,, তার সামনে আছে সায়রার বাবা মা,, আরুশের বাবা মা ও জান্নাত,, সকলের চেহারাতেই এক দুশ্চিন্তার ছাপ,,,
কিছুক্ষণ পরেই ওটি এর লাল লাইটটি অফ হয়,, আর ভিতর থেকে এক ডাক্তার আর নার্স কথা বলতে বলতে বের হয়,, আরুশ দৌড়ে ডাক্তার এর কাছে যায়,, সাথে সকলে তার সামনে গিয়ে দাড়ায়,,

আরুশঃ ডাক্তার সায়রা কেমন আছে,, ও ঠিক আছে তহ,,, কিছু হয় নি,, কি হলো আপনি কথা বলছেন না কেনো,,

ডাক্তারঃ কুল ডাউন মি. খান,, আমাকেও বলার সুযোগ দিন,,

আরুশঃ বলুন না সায়রা ঠিক আছে তহ,,

ডাক্তারঃ ইয়েস সি ইজ ফাইন,, কিন্তু এখনও সঠিক ভাবে বলতে পারছি না,, কেন না তিনি বেশ জোরেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন,, যদি ২৪ আওয়ার এ তার জ্ঞান না ফিরে তাহলে আমাদের ভয় আছে যে তার হয়তো সোর্ট টাইম মেমোরি লোস হতে পারে,,

আরুশঃ মানে,,

ডাক্তারঃ মানে তিনি হয়তো কিছু কিছু সময়ের স্মৃতি মুছে যেতে পারে বা যেকোন ব্যক্তি তার স্মৃতি থেকে পুরো পুরি মুছে যেতে পারে,,, কিন্তু এমন হওয়ার চান্স খুবই কম,, তাও আমরা কিছু গেরান্টি দিয়ে বলতে পারছি না,,

এই বলে ডাক্তাররা চলে যায়,, আর আরুশ সেখানেই ধোপ করে বসে পরে,, তার মাথায় এখন শুধু সেই ডাক্তারের বলা কথাগুলোই ভন ভন করছে,, আর নিজেই নিজেকে বলছে,,

” তাহলে কি সায়রা তাকে ভুলে যাবে,, ভুলে যাবে যে সে আরুশের সায়রা,, ভুলে যাবে যে সে আরুশকে ভালবাসে,, না সায়রা কিছুতেই ভুলতে পারবে না,, আমি ভুলতে দেব না ওকে,, ওকে আমায় মনে রাখতেই হবেই,,”

তখন জান্নাত এসে আরুশের কাধে হাত রাখে,, আর তা দেখে আরুশ বলে,,

আরুশঃ সব আমার দোষ তাই না জান্নাত,, আজ আমার জন্য সায়রা এর এমন অবস্থা তাই না,,, আমি ওকে বাচাতে গিয়ে নিজেই আঘাত করে ফেললাম,,, আমি অনেক বাজে তাই না,, আজ ওর এই অবস্থার জন্য শুধু আমি এই দায়ী,, কেন যে আমি আগে ওর কথা গুলো শুনলাম না,, কেন,,

জান্নাতঃ দেখেন ভাইয়া আমি জানি না আপনাদের মাঝে কি হয়েছে,, কিন্তু এতটুকু বুঝেছি যে হয়তো অনেক বড় কিছু হয়েছে,, যার জন্য আজ আপনাদের দুইজনের আজ এই অবস্থা,, কিন্তু আজ সায়রা এর সাথে যা হয়েছে তা অনাইচ্ছাকৃত,, আপনি তহ ওকে বাচাতে চেয়েছিলেন,, কিন্তু দূর্ভাগ্য বসতো সায়রা আঘাত পেয়ে যায়,, এইটা তে আপনার দোষ নাই,,

আরুশঃ না আমার এই দোষ,, না আমি ওকে ওইসব বলতাম আর না ও আমার সাথে রাগ করে বের হতো আর এইসব হতো,,,

কি হয়েছিল তখন তাই তহ ভাবছেন,, তাহলে চলুন কিছু সময় আগে গিয়ে ঘুরে এসে দেখি কি হয়েছিল,,,

🍁

যখন আরুশ বাসার বাইরে গিয়ে সায়রাকে খুজতে থাকে,, তখন একটু সামনে গিয়ে দেখে সায়রা রাস্তা মাঝ বরাবর হেটে চলেছে,, আরুশ পিছন থেকে অনেক বার সায়রাকে ডাকে কিন্তু সায়রা শুনে না,, এমন সময় আরুশ দেখে একটা ট্রাক ফুল স্প্রিডে সায়রা এর দিকে তেড়ে আসছে,, তাই আরুশ দৌড়ে সায়রা এর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে,, আর দিয়ে সায়রাকে বাচিয়েও ফেলে,, সে সায়রাকে নিয়ে রোডের অন্যপাশে ফেলে,, আর ট্রাকটিও অন্য পাশ দিয়ে চলে যায়,, আরুশ ভয়ে সায়রাকে আগলে রাখে,, কিন্তু শেষ আর রক্ষা হয় নি,, আরুশ উঠে যখন সায়রাকে উঠাতে যায়,, তখন সে দেখে পাশে রক্ত,, তা দেখে আরুশ ভয় পেয়ে যায়,, সে আস্তে আস্তে সায়রাকে ডাকতে থাকে,, কিন্তু না সায়রা এর কোন হেল দুল নেই,, সে সায়রাকে নিজের বাহু ধরে নিতেই দেখে সায়রা যেখানে পরেছিল সেখানে একটা বড় ইটের টুকরা,,, আর ইটের গায়ে রক্ত,, আর সায়রা এর মাথা থেকে অনাগলত রক্ত পরেই চলেছে,,আরুশের বুঝতে দেরি নেই কি হয়েছে,,
তখন আরুশ চিৎকার দিয়ে বলে উঠে,,,

আরুশঃ সায়রারারায়ায়ায়ায়ায়ায়া,,,সায়রা,, চোখ খুলো,,, এই সায়রা,,

তখন আরুশের বাবা মা আসে,, আর সায়রা এর এমন অবস্থা দেখে তারাতারি ওকে নিয়ে হসপিটালের জন্য রওনা দেয়,,

🍁

জান্নাতঃ যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে,, তা তহ এখন আমরা বদলাতে পারবো না,, এখন আল্লাহ বাদে কেউ আমাদের সাহায্য করতে পারবে না,,

এই কথা শুনে আরুশ আর দেরি না করে ওযু করতে চলে যায়,, আর হসপিটালের নামাজ ঘরে গিয়ে নামাজ পড়তে থাকে,, মোনাজাতের সময় চিৎকার করে কান্না করতে থাকে,, আর আল্লাহ এর নিকট সায়রাকে ভিক্ষা চেতে থাকে,, আরুশের এমন পাগলামো দেখে সবার চোখে পানি এসে পরে,,,



১৮ ঘন্টার মাথায় সায়রা এর জ্ঞান ফিরে,, সকলেই আল্লাহকে শুকরিয়া আদায় করে,, আরুশ এই খবর পাওয়ার সাথে আল্লাহকে শুকরিয়া আদায় করে এবং দ্রুত সায়রা এর কাছে যায়,,
সায়রা আস্তে আস্তে চোখ খুলে,, চারদিকে সকলেই ওকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে,, সকলেই একে একে সায়রাকে এইটা সেটা জিজ্ঞেস করে,, সায়রা হা হু জবাব দেয়,, আরুশ দূরে থেকে দাড়িয়ে সায়রাকে দেখছিল,,, একে একে সকলে বেরিয়ে যায়,, সায়রা দরজার দিকে তাকাতেই আরুশকে দেখতে পায়,, সে আরুশকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেয়,, আরুশ ধীর পায়ে সায়রা এর দিকে যায়,, একটা চেয়ার টেনে সায়রা এর সামনে বসে,, ওর হাত দুটো নিজেত হাতের ভাজে নেয়,, সায়রা এখনো অন্যদিকে মুখ করে শুয়ে আছে,,

আরুশঃ কি আমার দিকে তাকাবে না,, কথা বলবে না আমার সাথে,,

সায়রা অবাক হয়ে আরুশকে দেখছে,, কেন না আরুশ আজ প্রথমবার ওকে তুমি করে বলছে,, কিন্তু অতঃপর নিজেকে সামলিয়ে আবার অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়,,

আরুশঃ আমি জানি আমার কোন ক্ষমা নেই,,
আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইবোনা তুমি আমাকে শাস্তি দেও কিন্তু তা আমার কাছে থেকে,, আমি তোমার দেওয়া সকল শাস্তি মাথা পেতে মেনে নিবো,,
আমাকে তুমি শাস্তি দেও কিন্তু আমার ছেড়ে যেওনা প্লিজ আমি বাচঁবোনা তোমাকে ছাড়া,, তুমি আমায় চোখের সামনে যা দেখেছিও যা বলেছ আমি তাই বিশ্বাস করেছি কিন্তু তার পিছে লুকিয়া থাকা সত্যটা আমি বুঝতে পারি নি,, বুঝতে পারি নি তোমার ভালবাসা ,, সরি ফোর দ্যাট,, তুমি আমায় বার বার সত্যি বলতে চেয়েছ কিন্তু আমি শুনতে চাই নি,, প্রত্যকবার আমি তোমায় অপমান করেছি,,, তোমার ভালবাসাকে মিথ্যা বলেছি,,, মাফ করে দিও,,

সায়রাঃ না আছে তোমারর প্রতি অভিমান না আছে রাগ না আছে অভিযোগ,, দোষ তহ আর তোমার না আমার,, আমি এই তোমায় নিজের থেকে বেশি ভালবেসেছিলাম,, তাই তহ আজকে আমার তার মূল্য দিতে হচ্ছে,,
আমি নিজেই ভেঙ্গে গেছি আমি নতুন করে সব শুরু করতে চাই কিন্তু তা তোমারর সাথে না নিজের মত করে আমি আর সবার মত স্বার্থপর হতে চাই নিজের জন্য ভাবতে চাই সবার কথা ভাবতে ভাবতে আজ আমি নিজেই সব হারিয়েছি,, পদে পদে অপমানীত হয়েছি চরিত্রহীন প্রমানীত হয়েছি আর চাইনা কোন অপবাদ,,
তুমি আমার কাছে থাকলে আমার সেই কথা গুলো বার বার তারা করে,, আমাকে আরো কষ্ট দেয়,, বার বার তোমার বলা কথা গুলো আমার কানে বাজে,, আমি আর পারবো না এইসব সহ্য করতে,, তাই প্লিজ তুমি চলে যাও এইখান থেকে,, থাকতে দাও আমার মত আমাকে,,

বলেই হু হু করে কান্না করে দেয় সায়রা,, আরুশ তা দেখতে পারছেনা তার কষ্ট হচ্ছে খুব তাই আরুশ সায়রার কাছে যেয়ে তাকে নিজের বুকের মধ্যে জরিয়ে ধরে,, সায়রা ছুটার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না,, একে তহ শরীর দূর্বল তার উপর হাতে ক্যানাল লাগানো,,,তাই সায়রা চুপচাপ আরুশের বুকে মাথা রেখে কান্না করে যাচ্ছে,,, একটা সময় সায়রা কান্না অফ হয়,, তা দেখে আরুশ সায়রার কাছে যেয়ে তার কপালে চোখ বন্ধ করে গভীর চুমু দিয়ে কেবিন থেকে বের হয়ে যায়।

#Part_15
#Writer_Tanzin_Islam_Ishika

সূর্য অস্ত গিয়ে চারদিকে অন্ধকার ছড়িয়ে দিয়েছে,, রাস্তার পাশে সোডিয়ামের লাইটের আলোয় আলোকৃত হচ্ছে রাস্তাঘাট,, ব্যস্ত এই শহরে ছুটে চলেছে সবাই,, সকলেই সকলের কাজে ব্যস্ত,, কাউরো সময় নেই কাউকে দেখার,,
পার্কের এক বেঞ্চে বসে আছে আরুশ মাথায় দুটো হাত চেপে,, চোখ দিতে অনাবরত পানি পরে চলেছে,, ছেলেদের নাকি কাদতে নেই,, কিন্তু আজ আরুশ তা মানতে পারছে না,, কেন না তার চোখের পানি যে আজ বাধ মানছে না,,
.
আরুশ এখন নিজের জীবনের হিসাব মিলাচ্ছে,, কি থেকে আজ কি হয়ে গেল,, একসময় সে যার ভালবাসা ছিল আজ সেই তার থেকে দূরে,, একসময় সায়রা আরুশের ভালবাসার জন্য এমন ছটফট করতো আর আজ আরুশ,, আরুশ বুঝতে পারছে না তার কি করা উচিৎ,, সে কি পারবে সায়রা থেকে দূরে যেতে!! পারবে কি সায়রা ছাড়া থাকতে!!
না সে পারবে না,, কোন মতেই পারবে না,,,
আরুশ যখন এইসব ভাবছে তখন কেউ এসে ওর কাধে হাত রাখে,, এতে ওর ভাবনায় ছেদ পরে,, সে মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে জান্নাত,,
জান্নাত চুপচাপ এসে আরুশের পাশে বসে,,
আরুশ জান্নাতকে দেখে নিজের চোখের পানি মুছে ফেলে,,
আজ জান্নাতের আরুশের উপর মায়া হচ্ছে,, চুপ গুলো পুরো অগোছালো,, চোখ গুলো একদম লাল হতে ফুলে গিয়েছে,, গালের এক কোনে পানি চিকচিক করছে,, সাদা শার্টের মধ্যে থোকা থোকা রক্তের ছাপ স্পষ্ট,,

জান্নাতঃ এত তারাতারি হার মেনে গেলেন ভাইয়া,, এত সহজে হেরে যেতে দিলেন নিজের ভালবাসাকে,,

আরুশঃ কে বলেছে আমি হেরে গেছি বা আমি হার মেনে নিয়েছে,,

জান্নাতঃ তা না হলে এইখানে একা বসে বসে কেন নিজের চোখের জল ফেলছেন শুনি,,

আরুশঃ নিজেকে স্ট্রোং করছি যাতে পরবর্তীতে এই অবাদ্ধ চোখের জল যেন আর না পরে,, আর তার থেকেও বড় কথা নিজেকে টাইম দিচ্ছে যে আমার এখন কি করা উচিৎ,, একবার যদি সায়রা এর কথা গুলো শুনতাম তাহলে আজ হয়তো পরিস্থিতি এমন হতো না,,

জান্নাতঃ আমি বলবো না দোষ এইখানে শুধু আপনার,,আপনাকে তেমন দোষ দিতে পারছি না কেন না আপনাকে যা বুঝানো হয়েছে তাই বুঝেছেন,, কিন্তু তারপরও আপনার নিজের ভালবাসার উপর বিশ্বাস রাখার দরকার ছিল,,
জানেন সায়রা নিরভয়ে আপনাকে সেই কথা গুলো কিভাবে বলেছিল,,

আরুশ এইবার জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে জান্নাতের দিকে তাকায়,,

জান্নাতঃ কেন না ওর বিশ্বাস ছিল যে আপনি ঠিক ধরে ফেলবেন যে ও মিথ্যা বলছে,, ও যে কোন কারনে বাধ্য হয়ে এইসব করছে তা আপনি বুঝতে পারবেন,,
কেন না আপনি সায়রাকে ছোট থেকে চিনতেন,, আর সব থেকে ভালো আপনি ওকে চিনতেন,, ওর হঠাৎ এমন বিহ্যাভার করার পিছনে যে কোন কারণ আছে তা আপনার এক মিনিটে বুঝার কথা ছিল,,
কিন্তু আফসোস আপনি তা বুঝেন নি,, আপনি শুধু ওর মুখে বলা কথার উপরই বিশ্বাস করেছিলেন,, ওর মনের কথাটা বুঝতে চেষ্টা করেন নি,, অবিশ্বাস করেছিলেন ওকে আর ওর ভালবাসাকে,,
কিন্তু তাও সায়রা আপনার প্রতি নিজের ভালবাসাকে কমতে দেই নি,, সকল কষ্ট মুখ বুঝে সহ্য করেছে,, কেন না ওর নিজের ভালবাসার প্রতি বিশ্বাস ছিল যে আপনি ঠিক তার হবেনই,, আর ঠিকই আপনি ওরই হলেন,,

আরুশঃ বড্ড বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছি না ওকে,, আদো কি সে আমায় মাফ করবে,, মেনে নিবে আমায়,,

জান্নাতঃ এক কথা মনে রাখবেন ভাইয়া,, যদি দেখেন ভালবাসার মানুষটিকে আপনি কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছেন না,, তাহলে ভেবে নিবেন যে আপনার মনের মধ্যে কখনো তার জন্যে ভালবাসা ছিলই না,, কারন ভালবাসার মানুষ যতই কষ্ট দিক না কেনো তার ওপর রাগ করে থাকা যায় না,, আর তাকে কষ্টও দেওয়া যায় না,, তাকে কষ্ট দিলে নিজেকে তার থেকে বেশি কষ্ট অনুভব করতে হয়,, হয়তো কিছু সময় রাগ অভিমানের জন্য ভালবাসার প্রকাশ করা যায় না কিন্তু তাই বলে ভালবাসা কমে গেছে তা ভাবা বোকামি,,
তাই বলছি আপনার এখন সর্বপ্রথম দ্বায়িত্ব সায়রা এর রাগ ভাঙানো আর ওকে আপন করে নেওয়া,, ওর না চাওয়া সত্ত্বেও ওকে নিজের সাথে বেধে রাখা,, আর বাকি আপনার কি কি করতে হবে তা তহ আমার থেকে আপনিই জানেন,,

আরুশ এতক্ষন মন জান্নাতের কথা গুলো শুনছিল,, জান্নাতের কথা সে বুঝে গিয়েছে যে তার কি করতে হবে,,, সে জান্নাতকে বলে,,

জান্নাতঃ থেংক্স জান্নাত,, আজ তুমি না থাকলে আমি সঠিক ডিসিশন নিতে পারতাম না,, এখন আমি জানি আমার কি করতে হবে,,এই বলে এক গাল হাসে,,


🌸In hospital🌸


সায়রা চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে,, এমন সময় তার দম বন্ধ হয়ে আসতে শুরু করলো,, শ্বাস নিতে কষ্ট হতে থাকে,, সে চট জলদি চোখ খুলে যা দেখলো তাতে ওর মাথায় আকাশ ভেংগে পড়লো,,
আরুশ ওর ঠোঁট দুটো আকড়ে ধরেছে,, আরুশ যে এমন পরিস্থিতি এমন জায়গায় এমন কিছু করতে পারে তা সায়রা এর কল্পনারও বাইরে,, সায়রা নিজেকে সামলিয়ে ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটফট করতে লাগলো,, এক হাত দিয়ে ধাক্কা দিতে থাকে আরুশকে,, কিন্তু আফসোস সে চুল পরিমানও আরুশকে সরাতে পারি নি,,
কিছুক্ষণ পর আরুশ স্বরে আসে,, আর সায়রা রেগে বলে,,

সায়রাঃ হোয়াট দ্যা হেল,, এইসবের মানে কি??

আরুশঃ কোন সব এর,,, না জানার ভ্যান করে,

সায়রাঃ তুমি ভালো করেই জানো আমি কিসের কথা বলছি,, একটু আগে এইটা কি করলে তুমি,,

আরুশঃ ওহহ ওইটা,, কেন তুমি বুঝ না কি করসি,, বউকে আদর করসি,,,

সায়রাঃ আপনি না আমায় বউ মানেন না তাহলে এখন আবার বউয়ের কাছে আসছেন কেন,, তাও আবার আমার মত চরিত্রহীনার কাছে,,

আরুশঃ উহুম তুমি চরিত্রহীনা নো বরং তুমি তহ ফুলের মত পবিত্র,, তোমার সাথে কাউরো তুলনা হয় না,,
আর হ্যাঁ কে বলেছে আমি তোমায় বউ মানি না,, আমি তহ মনে প্রানে শিরায় উপশিরায় ধমনি হৃৎপিন্ড কলিজা হাত পা কান চোখ গলা সব কিছু দিয়ে তোমায় আমার বউ মানি,,

সায়রাঃ কিন্তু আমি এখন তোমাকে স্বামী হিসাবে মানি না,, So stay away from me,, Got it,,

আরুশঃ No!! I don’t got it,, তুমি মানো আর না মানো আমি তোমার স্বামী আর তুমি আমার বউ,, আর তুমি বললে হলো নাকি,, আমি যা বলবো তাই হবে,, বুঝলে,, এখন সরো শুতে দাও অনেক ঘুম পাচ্ছে,,

সায়রা অবাক হয়ে বলে,,
সায়রাঃ সরবো মানে,,

আরুশঃ মানে সোরো,, আমি তোমার সাথে ঘুমাবো,,

সায়রাঃ পাগল হয়ে গিয়েছ এই বেডে তুমি আর আমি এক সাথে কিভাবে ঘুমাবো,, সোফা আসে সোফায় ঘুমাও,, আর তার থেকেও বড় কথা তুমি এইখানে ঘুমাবে কেন,, বাসায় যাও,, নিজের বেডে গিয়ে ঘুমাও,,

আরুশঃ বাসায় তহ বউ নাই,, আমার যে বউ ছাড়া ঘুম আসে না,,

সায়রাঃ এহহহ ঢং,, যাও তহ এইখান থেকে,,

আরুশ আর কিছু না বলে ধপ করে সায়রা এর পাশে শুয়ে পরে,,তা দেখে সায়রা চেচিয়ে উঠে,,

সায়রাঃ আরেহ আরেহ করছো কি,, বেড থেকে নামো বলছি নামো,,

আরুশঃ উহুম,, নামবো না,,
এই বলে আরুশ আলগা ভাবে সায়রাকে জরিয়ে ধরে যাতে হাতের ক্যানালে ব্যথা না পায়,,
সায়রা বকবক করতেই থাকে কিন্তু আরুশের এতে কোন ভ্রু ক্ষেপ নাই,, একসময় সায়রা ক্লান্ত হয়ে চুপ হয়ে যায়,, আর ঘুমিয়ে পরে,,
আরুশ সায়রা এর কোন সারা শব্দ না পেয়ে মাথা তুলে দেখে সায়রা ঘুমিয়ে আছে,, তা দেখে আরুশ বলে,,

আরুশঃ তুমি চাও আর না চাও,, থাকতে তহ তোমায় আমার সাথে হবে,, একবার তোমায় নিজের থেকে দূর করে ভুল করেছি,, সেই ভুল আমি আর দ্বিতীয় বার করছি না,, চিন্তা করো না জান খুব জলদি আমি সব ঠিক করে দিব,, প্রমিস,,
এই বলে সায়রা এর কপালে এক ভালবাসার স্পর্শ একে আবার ওকে জরিয়ে ধরে শুয়ে পরে,,



#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here