তুমি এলে তাই পর্ব ৩

#তুমি এলে তাই ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ৩
.
গুঞ্জনের হাত ধরে টানতে টানতে বিল্ডিং এর ভেতরে নিয়ে গেলো স্পন্দন। গুঞ্জনের বন্ধুরাও ওদের পেছন পেছন ছুটে এলো। গুঞ্জন এতোক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলেও কী হচ্ছে ব্যাপারটা মাথায় অাসতেই ও শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রাগে চেচিয়ে বলল,

— ” হাউ ডেয়ার ইউ স্টুপিড! হাত ছাড়ো আমার। আদারওয়াইস…”

গুঞ্জন কথাটা শেষ করার আগেই স্পন্দন গুঞ্জনের হাত আরো জোরে চেপে ধরে টেনে একটা ক্লাসরুমে নিয়ে সামনের দিকে ছুড়ে মারলো। গুঞ্জন বেঞ্চের সাথে ধাক্কা লেগে একটু ব্যাথাও পেলো। গুঞ্জনের বন্ধুরা সেই রুমে ঢুকতে নেবে তার আগেই স্পন্দন দরজাটা ঠাস করে বন্ধ করে দিলো। ওরা অবাক হয়ে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে গেলো। প্রাপ্তি অবাক হয়ে বলল,

— ” এটা ইন্ডাসট্রিয়ালিস্ট স্পন্দন চৌধুরী না?”

অঙ্কুর অবাক হয়েই বলল,

— ” হ্যাঁ ঐ মেয়েটা হয়তো ওনার বোন। কিন্তু উনি গুঞ্জনের সাথে এমন কেনো করলেন। কিছুই তো বুঝছি না।”

এদিকে দরজাটা লক করেই স্পন্দন রাগী দৃষ্টিতে গুঞ্জনের দিকে তাকালো। গুঞ্জনের রাগ তো হলোই তার চেয়ে বেশি অবাক হলো। কালকের ব্যাপারটা তো কালকেই মিটে গেছে আজকে কেনো ওর পেছনে পরেছে লোকটা? ও তো এমনিই বলেছিলো লোকটা পাগল। কিন্তু লোকটা কী সত্যিই পাগল নাকি? এই রুমে আপাতত ক্লাস হচ্ছেনা তাই রুমটা পুরো ফাঁকা। গুঞ্জন একটু এগিয়ে রাগী গলায় বলল,

— ” সমস্যা কী তোমার হ্যাঁ? কথা নেই বার্তা নেই হুট করে এভাবে এখানে টেনে নিয়ে এলে? সাহস কী করে হলো? তুমি জানো আমি তোমার এগেইনস্টে কেস করতে পারি? ”

স্পন্দন পকেটের হাত ঢুকিয়ে এগিয়ে আসতে আসতে বলল,

— ” ও রিয়েলি? তো দেশের আইন কানুন কী একমাত্র আপনার জন্যেই নাকি? আপনি যা খুশি করতে পারেন আর অন্যকেউ কিচ্ছু করতে পারবেনা? এনিওয়ে কোন ইয়ার?”

গুঞ্জন হাত ভাজ করে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। স্পন্দন একটু জোরেই বলল,

— ” কোন ইয়ার?”

গুঞ্জন ঝামেলা না করে বিরক্তি নিয়ে বলল,

— ” সেকেন্ড ইয়ার।”

স্পন্দন ভ্রু কুচকে রাগী গলায় বলল,

— ” সবে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্টদের র‍্যাগ করছেন? এতোটা সাহস কে দিয়েছে হ্যাঁ?”

গুঞ্জন বেশ অবাক হয়ে তাকালো স্পন্দনের দিকে। অবাক কন্ঠেই বলল,

— ” মানে? কী করেছি কী আমি?”

স্পন্দন একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,

— ” ওহহ আপনি কিছুই করেননি? এরকম একেকটা কান্ড ঘটিয়ে কোনো মেয়ে এতোটা চিল কীকরে থাকে? মিনিমাম গিল্টি ফিলিং বা লজ্জা নেই তাইনা? থাকবে কীকরে? সেই শিক্ষাটাইতো পাননি। সেইমলেস গার্ল।”

গুঞ্জন এবার বেশ রেগে বলল,

— ” এই! কীসব আজেবাজে বকছো হ্যাঁ? আমার জানা মতে এইমূহুর্তে আমি এমন কিছুই করেনি যার জন্যে আমার গিল্টি ফিলিং বা লজ্জা থাকা লাগবে। লজ্জা তো তোমার থাকা উচিত একজন অপরিচিত মেয়েকে এভাবে ফাকা একটা রুমে টেনে নিয়ে এসছো? এরকম অসভ্যের মতো কথা বলছো। আর সঠিক শিক্ষার অভাব আমার না তোমার আছে। তাই আগে নিজেকে..”

গুঞ্জন কথাটা কম্প্লিট করার আগেই স্পন্দন প্রচন্ড জোরে ধমক দিয়ে বলল,

— ” সাট আপ! জাস্ট সাট আপ!”

বন্ধ রুমটা স্পন্দনের ধমকের আওয়াজে স্তব্ধ হয়ে গেলো। স্পন্দনের ধমকে গুঞ্জন চুপ হয়ে গেলো। না ধমকে ভয় পায়নি ও এসব ধমক ও ভয় পায়না। কিন্তু তবুও নিজের অজান্তেই চুপ হয়ে গেলো। স্পন্দন রাগী কন্ঠে বলল,

— ” আমার? স্পন্দন চৌধুরীর শিক্ষা নিয়ে কথা বলছেন আপনি? এক মিনিট আপনি কেনো বলছি? আপনি শব্দটা তোমার মতো মেয়েদের জন্যে না। তোমার মতো মেয়ে এই সম্মানটা ডিজার্ব করে না। ইন ফ্যাক্ট কোনো সম্মানই ডিজার্ব করোনা তুমি।”

গুঞ্জন কিছু না বলে দাঁতে দাঁত চেপে তাকিয়ে আছে স্পন্দনের দিকে। স্পন্দন গুঞ্জনের আরেকটু কাছে এসে বলল,

— ” আমার বোন আমার কাছে কতোটা সেটা আমিই জানি। ওর গায়ে সামান্য আঁচ সহ্য হয়না আমার। আর আজ তোমার জন্যে আমার বোন কেঁদেছে। সাহস কীকরে হয় তোমার?”

গুঞ্জন এবার হালকা চেঁচিয়ে বলল,

— ” লিসেন তুমি কিন্তু..”

স্পন্দন সাথে সাথেই গুঞ্জনের দুই বাহুতে চেপে ধরে চেঁচিয়ে বলল,

— ” ওই একদম উচু গলায় কথা বলবেনা আমার সাথে। কাল কিছু বলিনি বলে এটা ভেবোনা যে আজকেও বলবোনা। আমার সাথে উঁচু গলায় কথা বলার সাহস কেউ করেনা। আর তুমি তুমি করে কী বলছো? বয়সে তোমার চেয়ে বড় আমি তার ওপর অপরিচিত, আমার শিক্ষা নিয়ে কথা বলছিলে না তুমি? নিজের দিকে তাকিয়ে দেখেছো? যে মেয়ে মাঝরাতে একা একা নিরব রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, স্মোক করে, সকলের সাথে অসভ্যের মতো কথা বলে, র‍্যাগিং করে তার শিক্ষা কী হতে পারে আর সে কোন কোয়ালিটির মেয়ে হতে পারে সেটা জানা আছে আমার। কী ভাবো হ্যাঁ এইসব গুন্ডিপনা, এসব চালচলন দিয়ে নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করতে পারছো? আর কোয়ালিটির কথা কেনো বলছি? তোমার মতো মেয়েদের তো কোনো কোয়ালিটিই নেই।”

এটুকু বলে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দিলো গুঞ্জনকে। তার নিজের নাকের নিচের ঘামটা মুছে বলল,

— ” আর কী জেনো জিঞ্জেস করছিলে? এই বন্ধ রুমে কেনো নিয়ে এসছি তোমাকে তাইতো? তাহলে শোনো তোমাকে এই অপমানটা আমি চাইলে বাইরে সবার সামনেই করতে পারতাম। কিন্তু আমিতো তোমার মতো নই তাই যা বলার এখানে সবার আড়ালে বললাম। আমি চাইলে তোমাকে এই মুহূর্তে এই ইউনিভার্সিটি থেকে থেকে বেড় করে দিতে পারি। ইনফ্যাক্ট তোমার হোল ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে পারি। এবং র‍্যাগিং এর মতো একটা বেআইনি কাজের জন্যে জেলেও পাঠাতে পারি। কিন্তু এসব আমি করলাম না তারমানে এটা ভেবোনা আমি কিছু করতে পারিনা। নেক্সট টাইম আমার চোখে যদি এমন কিছু পরে আই উইল নট স্পেয়ার ইউ।”

রাগী কন্ঠে কথা গুলো বলে রুমের দরজা খুলে বেড়িয়ে গেলো স্পন্দন। স্পন্দন বেড়িয়ে যেতেই অঙ্কুর বলল,

— ” এতো রেগে বেড়িয়ে গেলো কেনো? গুঞ্জন কোথায়?”

প্রাপ্তি রাগী কন্ঠে বলল,

— ” আরে কোথায় আর থাকবে ভেতরেই থাকবে? চল গিয়ে দেখি।”

ওরা চারজন ভেতরে ঢুকতেই অবাক হলো। কারণ গুঞ্জন বেঞ্চের ওপর উঠে পা ঝুলিয়ে বসে নিজের হাতের নখ দেখছে। ওখানে গিয়ে অঙ্কুর বলল,

— ” কীরে? স্পন্দন চৌধুরী তোর সাথে এতো কী কথা বলল?”

গুঞ্জন ভ্রু কুচকে অঙ্কুরের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” তুই চিনিস ওই লোকটাকে?”

জিহাদ একটু হেসে বলল,

— ” ওনাকে না চেনার কী আছে? এতো বড় একজন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট সবাই খুব ভালো করেই চেনে ওনাকে। যদিও তুইতো ওসব নিউস খবর এসব দেখিস বা পড়িস না তাই হয়তো জানিসনা।”

প্রাপ্তি কৌতূহলী কন্ঠে বলল,

— ” কী বলল সেটা বলবি তো?”

গুঞ্জন বিরক্ত হয়ে বলল,

— ” সেটা জেনে তোরা কী করবি? নিউস বানাবি? নাকি এটা এক্সামের জন্যে খুব গুরত্বপূর্ণ কোনটা? দে আমার ব্যাগ দে?”

প্রাপ্তির হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে গুঞ্জন ওদের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” ন’টায় ক্লাবে চলে আসিস।”

বলেই ওই রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো গুঞ্জন। অঙ্কুর ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” নিশ্চয়ই স্পন্দন চৌধুরী বকেছে ওকে। ওনি নাকি খুব স্ট্রিকট, আর মাঝে মাঝে খুব ভয়ংকর রেগে যায়?”

জিহাদ অঙ্কুরের দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলল,

— ” গুঞ্জন যা মেয়ে। ওকে কেউ বকবে ধমকাবে আর ও এতো শান্ত থাকবে হতেই পারেনা।”

জয় হতাশ কন্ঠে বলল,

— ” কিন্তু এই মেয়ে গেলো কোথায়?”

প্রাপ্তি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

— ” দেখেতো মনে হলো মেজাজ ভালো নেই। দেখ সারাদিন হয়তো বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াবে এদিক ওদিক।”

কিছুক্ষণ কথা বলে ওরা যার যার বাড়ির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে গেলো।

______________________

বিকেলে স্পন্দন সিঙ্গেল সোফায় বসে কফি খাচ্ছে আর টিভিতে নিউস দেখছে। পাশের সোফাতেই মিস্টার এন্ড মিসেস চৌধুরী বসে চা খাচ্ছেন। হঠাৎ সিড়ি দিয়ে সারা নেমে এসে সোফায় বসলো। আসলে আজ সারারাস্তা কান্নাকাটি করেছে ও। মিসেস চৌধুরী দুপুরে কোনোরকম খাইয়ে দিয়ে ঘুম পারিয়ে দিয়েছে। ঘুম থেকে উঠে সবে নামলো। সার্ভেন্ট এসে ওকে কফি দিয়ে গেলো। স্পন্দন সারার দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” এখন মুড ঠিক হয়েছে?”

সারা নিচু গলায় বলল,

— ” হুমম।”

স্পন্দন মুচকি হেসে বলল,

— ” কালকে থেকে আর ওরা জ্বালাবেনা তোকে। আজকে যা শিক্ষা দিয়েছি লজ্জা থাকলে এই কাজ দ্বিতীয়বার করার কথা নয়।”

সারা ভাবছে স্পন্দন ঐ ছেলেগুলোর কথা বলছে তাই অবাক হয়ে বলল,

— ” ভাইয়া তোর এসব করার কী দরকার ছিলো। ঐ মেয়েটাই তো..”

সারাকে থামিয়ে দিয়ে স্পন্দন বলল,

— ” দরকার ছিলো। আজ শিক্ষা না দিলে কাল ঠিক একই ভুল করতো ওরা। তাই একটা উপযুক্ত শিক্ষার দরকার ছিলো।”

সারা কিছু বললনা। কারণ জানে এখন বেশি কথা বললে এক ধমকে বসিয়ে রাখবে ওকে। আর মিস্টার আর মিসেস চৌধুরীও চুপ করে আছেন কারণ ওনারা জানেন ওনাদের ছেলের যখন কথা বলে তখন ডিস্টার্ব করা মানেই বিপদ ডেকে আনা। স্পন্দন আবার বলল,

— ” তবে হ্যাঁ যদি ওরা এরপরেও আবার এমন কিছু করে তাহলে আমাকে জানাবি ওকে?”

সারা হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়ল। আর স্পন্দন মনে মনে ভাবছে যে কারো সাথে এতো খারাপ খুব কমই করে ও যতোটা ঐ মেয়েটার সাথে এই দুদিনে করেছে। কতোটা খারাপ মেয়ে হলে মাত্র দুদিনে কারো প্রতি এতোটা খারাপ ইম্প্রেশন তৈরী হতে পারে?

_______________________

প্রায় মাঝরাতে বাড়িতে ফিরলো গুঞ্জন। নিজের রুমের দিকে পা বাড়াতে নিলেই ড্রয়িং রুমের লাইট জ্বলে উঠলো। গুঞ্জন ভ্রু কুচকে তাকিয়ে দেখলো রিয়াদ হোসেন আর মিসেস নিলিমা দাঁড়িয়ে আছেন। গুজ্ঞন পাত্তা না দিয়ে রুমের দিকে যেতে নিলেই। রিয়াদ হোসেন বললেন,

— ” বাড়িতে ফেরার দরকার কী তোমার? সকাল বেড়োও আর মাঝরাতে বাড়ি ফেরো।শুধু এই কয়েক ঘন্টার জন্যে আসার খুব দরকার আছে?”

গুঞ্জা একটা হাই তুলে বলল,

— ” আব্বু প্লিজ আই এম সো টায়ার্ড। একটু রেস্ট করতে দাও কালকে সকালে এসব শুনিয়ো পালিয়ে যাচ্ছিনা আমি।”

মিসেস নিলিমা বললেন,

— ” তো কিছু গিলবে? না গিলে এসছো?”

তখনি অনিলা বেগল হাই তুলতে তুলতে এসে বললেন,

— ” না গিলে কী আর এসছে নাকি? এতোরাত অবধি বাইরে থেকে কী করে বোঝনা? ছেলেদের সাথে মিশে ওদের পকেটের টাকা দিয়ে ফুর্তি করে। তোমরা তো মাপা টাকা দাও। সেইজন্যেই।”

গুঞ্জন এবার রেগে বলল,

— ” আমি কোথায় যাই? কী করি সেটা একান্তই আমার ব্যাপার। আর আমি যদি অন্য ছেলেদের সাথে মিশে পকেট মেরেও থাকি তাতে তোমার কী? হু দা হেল আর ইউ? আরো মিশবো00, ফুর্তি করবো কী করবে তুমি?”

সাথে সাথেই কেউ ওর হাত ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে গালে জোরে একটা থাপ্পড় মেরে দিলো। গুঞ্জন গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে দেখে আবির রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আবির রাগী গলায় বলল,

— ” বাইরে যা খুশি করে বেড়াস। ঘরেও অসভ্যতামী? আরেকবার যদি বড়দের মুখে মুখে তর্ক করতে দেখি না? ঘর থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দেবো।”

গুঞ্জন গাল থেকে হাত নামিয়ে হালকা কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বলল,

— ” তুই কী শুধু আমার কথাগুলোও শুনতে পাস ভাইয়া ? আর কাকী যা বলল সেগুলো কানেই যায়না না?”

মিসেস নিলিমা বললেন,

— ” তোমার কাকী কিচ্ছু ভূল বলেনি। তোমার জীবণযাপন দেখে যে কেউ এটাই ভাববে। নিজেকে বদলাও সব বদলে যাবে নইলে এর চেয়ে ভালো কিছু কেউ ভাববে না।”

গুঞ্জন এবার চেচিয়ে বলল,

— ” ভাবাতে চাইও না আমি। আমি খারাপ। খারাপই খুব ভালো আছি। চাইনা আমি ভালো হতে। একদমি চাইনা। আমি যাই করি খারাপই করি কারণ আমার মতো শিক্ষাহীন, বাজে, কোয়ালিটি ছাড়া মেয়েরা এটাই করে বুঝেছো? আর ইউ গাইস হ্যাপি? এবার সেলিব্রেট করো।”

বলে নিজের রুমে গিয়ে শব্দ করে দরজাটা লাগিয়ে দিলো। রিয়াদ হোসেন আর মিসেস নিলিমা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে গেলেন। মিসেস আনিলাও একটা ভেংচি কেটে তার রুমে চলে গেলো। আর আবির গিয়ে সোফায় বসে দুহাতে নিজের মুখ চেপে ধরলো। গুঞ্জন ব্যাগটা এককোণে ছুড়ে ফেলে, ফ্রেশ না হয়েই এলোমেলোভাবে শুয়ে পরল।

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here