হঠাৎ করে দরজা বন্ধের ধুম করে আওয়াজ আসতেই অধরার হাত থেকে বেলীফুলের মালাটা মাটিতে পরে গেলো।অধরা তড়িঘড়ি করে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো সাদা রঙ্গের পাঞ্জাবি পরে দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে রক্তিম।রক্তিমের মাথা বেয়ে ঘাম ঝড়ছে ক্লান্তি আর বিরক্তি তার মুখশ্রীতে লেগে আছে।
অধরা একধ্যানে রক্তিমের দিকে তাকিয়ে আছে অধরার এহেন দৃষ্টি দেখে রক্তিম অনেকটাই বিরক্তি নিয়ে বললো,
~আমাকে কোনোদিন দেখোসনি তুই?
রক্তিমের প্রশ্নে অধরার ধ্যান ভাঙ্গে সে নিজেকে সামলে বললো,
~আপনি এখানে কেন রক্তিম ভাইয়া?
অধরার কথায় রক্তিম কোনো জবাব না দিয়ে ঢুলুঢুলু পায়ে এগিয়ে এসে বিছানায় গা এলিয়ে বললো,
~আমার রুমের কার্বাডে সবুজ রঙ্গের পাঞ্জাবি রাখা আছে সেটা নিয়ে আসো আমি তোমার ওয়াশরুমে শাওয়ার নিবো।পৃথুলা ডাইনি আমার রুমে বসে আছে সারাদিন পালিয়ে বেড়ালাম সেই আমার কাঁধেই চড়ে বসে আছে।
পৃথুলা রক্তিম আর অধরার ফুপাতো বোন মেয়েটা অনেকটাই উড়নচণ্ডী স্বভাবের।রক্তিম তাকে দুচোখে সহ্য করতে পারেনা বাসায় আসলেই তার সাথে ঢলাঢলি যা রক্তিমের পছন্দ না।অধরা বললো,
~আপনি শাওন ভাইয়ার রুমে চলে যান।
রক্তিম চোখ দুটো খুলে অধরার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে বললো,
~শাড়ি পরেছিস কার জন্য?
রক্তিমের কথা শুনে অধরা বললো,
~আজকে প্রিয়া আপুর গায়ে হলুদ সবাই পরবে তাই আমিও পরেছি।
রক্তিম শোয়া থেকে উঠে মাটিতে পরে থাকা বেলীফুলটা হাতে নিয়ে অধরার খোঁপায় পরিয়ে দিয়ে বললো,
~যত দ্রুত সম্ভব আমার পাঞ্জাবি হাজির করবি বুঝতে পেরেছিস।
রক্তিম কথা শেষ করে বারান্দা থেকে টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো অধরা কিছুই বললো না সে ধীর পায়ে বের হয়ে চলে আসলো।
অধরার পুরো নাম অধরা জাহান। বাবার নাম তৈয়ব হোসেন মায়ের নাম তাহিদা ইসলাম।অধরা একান্নবর্তী পরিবারের মেয়ে তার বাবা আর ২ চাচা একই সাথে একই বাড়িতে থাকে। সবাই একসাথে থাকলেও কারো মধ্যে মনের মিল নেই।বিশেষ করে অধরার পরিবারের সাথেই সবাই একটু কড়াভাবে ব্যবহার করে থাকে কারণ অধরার বাবা অনেকটাই অস্বচ্ছল ছোট একটা কাপড়ের দোকান তার। অধরার মা তাহিদাকে সবার অমতে বিয়ে করার জন্য তার আজ এ দশা।
রক্তিম হচ্ছে অধরার বড় চাচা আইয়ুব হোসেনের ছেলে।অধরা রক্তিম থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে কারণ রক্তিমের মা জোহোরা খাতুন তাকে সাফ সাফ বলে দিয়েছে রক্তিম থেকে দূরে থাকতে।অধরা মা-বাবার একমাত্র মেয়ে পাশাপাশি রক্তিমের এক বোন আছে যার নাম প্রিয়া আজ তার গায়ে হলুদ।অধরার ছোট চাচা তৌহিদ হোসেন আর তার স্ত্রী নাম ইলিনা চৌধুরী বড়লোকের মেয়ে তাই কারো কথা সে শুনতে বাধ্য নয় তাদের এক ছেলে এক মেয়ে।ছেলের নাম শাওন অধরার বড় আর মেয়ের নাম ইরা অধরার ছোট।
চাচাতো ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় রক্তিম,এরপর শাওন,প্রিয়া,অধরা, ইরা।
অধরা সোজা রান্নাঘরে চলে আসলো অধরার মা তাহিদা শাড়ির আঁচল কোমড়ে গুজে কাজ করছে।মায়ের দিকে তাকিয়ে অধরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
~বড় চাচী আর ছোট চাচী কোথায়?সব কাজ তোমাকে দিয়ে চলে গেছে।
তাহিদা মেয়ের কথায় কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে বললো,
~শাড়িটায় তোকে খুব সুন্দর লাগছে।
অধরা মুচকি হেসে বললো,
~মা, বাবা কবে এ বাসা থেকে আমাদের নিয়ে দূরে চলে যাবে?
অধরার কথায় তাহিদা তার মুখ চেপে ধরে বললো,
~পরিবার ছেড়ে কোথায় যাবো?আর তোকে এসব কে বলেছে?
অধরা বললো,
~বাবা আমাকে ওয়াদা করেছে সে আমাদের অন্য বাসায় নিয়ে যাবেন।মা তুমি কেন এখানে থাকতে চাও সবাই আমাদের অপমান করে।শুধু রক্তিম ভাইয়া,প্রিয়া আপু,শাওন ভাইয়া,আর ইরা বাদে আমার ভালো লাগে না মা।
অধরা কথা শেষ করে সেখান থেকে দৌড়ে চলে যায়।তাহিদা মেয়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দুফোঁটা চোখের পানি ফেলে আবার কাজে মনোযোগ দেয়।
__________♥____________
অধরা রক্তিমের রুমের সামনে এসে দাড়িয়ে আছে ভিতরে যাওয়ার সাহস সে পাচ্ছেনা। পৃথুলা বিছানায় বসে আছে অধরা গুটিগুটি পায়ে ভিতরে প্রবেশ করলো তারপর বললো,
~পৃথু আপু,কার্বাড থেকে রক্তিম ভাইয়ের পাঞ্জাবিটা নিয়ে যাই।
পৃথুলা ফোন থেকে মাথা উঠিয়ে অধরার দিকে তাকিয়ে বললো,
~রক্তিমের পাঞ্জাবি দিয়ে তুই কী করবি?
পৃথুলা আর রক্তিম সমবয়সী অধরা বললো,
~পৃথু আপু,উনি আমার রুমে শাওয়ার নিচ্ছে আমাকে বললো কার্বাড থেকে পাঞ্জাবি এনে তাকে দিতে।
পৃথুলা অধরার কথা শুনে সামনে থাকা বালিশটা তার উপর ছুড়ে মেরে বললো,
~তুই যা এখান থেকে আমি পাঞ্জাবি নিয়ে আসছি আর খবরদার তুই তোর রুমের আশেপাশেও থাকবিনা।
অধরা কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে সোজা ছাদে চলে গেলো একটুপর হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হবে তাই।
পৃথুলা পাঞ্জাবি হাতে নিয়ে বসে আছে অধরার ঘরে রক্তিম একটু পর ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলো। রক্তিম পৃথুলাকে খেয়াল না করেই বলে উঠলো,
~অধরা,মাথাটা ধরেছে এক কাপ কড়া চা প্রয়োজন।
পৃথুলা দাঁত কিড়মিড় করে বললো,
~অধরা মরে গেছে আমি আছি চলবে তোমার।
অধরা মরে গেছে কথাটা শুনে রক্তিমের চোয়াল শক্ত হয়ে আসলো সে পিছন ফিরে পৃথুলাকে ভয়ংকর নজরে দেখলো।পৃথুলা ভয় পেয়ে বললো,
~মজা করছিলাম তো।
রক্তিম রাগে কটমট করতে করতে এগিয়ে পৃথুলার হাত থেকে পাঞ্জাবি নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলো তারপর এমন এক অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করলো যার কারণে পৃথুলা থম মেরে বসে রইলো।রক্তিম পৃথুলার গালে ঠাস করে একটা চড় মেরে দিলো পৃথুলা গালে হাত দিয়ে বসে আছে।রক্তিম আঙ্গুল উঁচিয়ে বললো,
~Further কাউকে এমন কথা বলার আগে এই থাপ্পড়টা মনে রাখবি idiot.
এতটুকু বলে রক্তিম ফ্লোর থেকে পাঞ্জাবি তুলে পরে নিলো বোতাম লাগাতে লাগাতে রুম থেকে বের হয়ে আসলো।
পৃথুলা এখনও সেভাবেই বসে আছে তার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরছে সে বালিশে মুখ গুজে কান্না করতে করতে বললো,
~কেন এতো ভালোবাসা অধরার প্রতি?
অধরা ছাদে শাওনের পাশে দাড়িয়ে আছে ইরা এখন পর্যন্ত হাজার পোজে ছবি তুলে ফেলেছে।শাওন তাতে বিরক্ত হয়ে বললো,
~এক ঢঙ্গী কম ছিল যে এখন আরেক ঢঙ্গী জম্ম নিলো।
অধরা ভ্রুকুচকে বললো,
~কার কথা বলছো?
শাওন বললো,
~কার আবার আমাদের ডাইনি পৃথুলা আপাজান কোথায় দেখা তো যাচ্ছে না তাকে।
ইরা রেগে বললো,
~খবরদার আমাকে পৃথুলা আপুর সাথে তুলনা করেছে তো।তোমার চুল গায়েব করে দেবো
শাওন বললো,
~ওরে বাবা ভয় পেয়েছি দূর হ আমার সামনে থেকে।
আপন বোন বলে জানে মারছিনা ফাউল কোথাকার
ইরা অধরার সামনে এসে বললো,
~দেখেছো আপু আমায় কী বললো তোমার ভাই?রক্তিম ভাই আসুক তারপর দেখাচ্ছি।
অধরা বললো,
~দুজনই চুপ থাকো সব মেহমানরা আসতে শুরু করে দিয়েছি।তোমরা এভাবে ঝগড়া করোনা
তখনই পিছন থেকে একজন বললো,
~অধরা মামুনি যে কেমন আছো?
অধরা পিছন ফিরে দেখলো পাশের বাসার আন্টি অধরা হাসি মুখ করে বললো,
~জ্বী ভালে আপনি কেমন আছেন?
আন্টিটা বললেন,
~ভালোই আছি তা তোমাকে তো বেশ সুন্দর লাগছে।
অধরা মুচকি হেসে বললো,
~ধন্যবাদ।
আন্টি কিছু বলতে নিবে তার আগেই রক্তিম এসে হাজির হলো রক্তিম এসেই অধরাকে বললো,
~অধরা,প্রিয়া এসে পরেছে তাড়াতাড়ি ওকে নিয়ে স্টেজে চলে আয়।
অধর আর এক সেকেন্ডও দেরি না করে দৌড়ে নিচে এসে প্রিয়ার রুমে চলে গেলো সেখানে গিয়ে দেখলো
______________♥______________
প্রিয়াকে হলুদ রঙ্গের শাড়িতে একদম হলুদ পরী লাগছে কাঁচা ফুলের গহনায় তার সৌন্দর্য টাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।অধরা প্রিয়ার পাশে দাড়াতেই প্রিয়া বললো,
~কেমন লাগছে আমাকে?
অধরা বললো,
~বেশ সুন্দর তোমাকে যদি একবার রায়হান ভাইয়া এই লুকে দেখেনা তাহলে একদম শেষ।
প্রিয়া বললো,
~রায়হানকে পাঠিয়েছি ছবি দেখ কী রিপ্লাই আসে।
অধরা বললো,
~আপু তাদের পক্ষ থেকে কেউ আজ আসবেনা?
প্রিয়া গহনা ঠিক করতে করতে বললো,
~রায়হানের ছোট ভাই রাহাত আসবে।
অধরা বললো,
~আপু চলো তোমাকে স্টেজে নিয়ে যেতে বলেছে।
তখনই ঘরে প্রবেশ করলো প্রিয়ার মা জোহোরা খাতুন সে অধরার দিকে একবার তাকিয়ে হাতে থাকা বক্সটা খুলে প্রিয়ার জন্য একটা গলার নেকলেস বের করে তাকে পরিয়ে দিলো।প্রিয়া মাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
~মা এটা অনেক সুন্দর ধন্যবাদ।
জোহোরা খাতুন মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
~তোকে অনেক সুন্দর লাগছে। তোর বাবা কাজে ব্যস্ত তাই সে আসতে পারেনি।
প্রিয়া বললো,
~কোনো সমস্যা নেই।
জোহোরা খাতুন অধরার দিকে তাকিয়ে বললেন,
~প্রিয়া স্টেজে দিয়ে তুই রান্নাঘরে আসবি একটু কাজ আছে।
অধরা মাথা দুলিয়ে প্রিয়াকে নিয়ে ছাদে চলে গেলো প্রিয়ার আগমনে সবাই হৈ হুল্লোড় শুরু করে দিলো ক্যামেরা ম্যান প্রিয়াকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরলো অধরা প্রিয়াকে স্টেজে বসিয়ে দিয়ে সে নিচে চলে আসলো।রান্নাঘরে গিয়ে দাড়াতেই জোহোরা খাতুন বললেন,
~শোন তোর মা অন্য কাজে ব্যস্ত তুই এসব ফল কেটে প্লেটে সাজিয়ে রাখবি আর শোন সুন্দর করে কাজ করবি প্রিয়ার দেবর আসবে এসব ওর সামনে দিতে হবে।
অধরার মনটা খারাপ হয়ে গেলো সবাই ছাদে কতো মজা করছে আর সে এখানে কাজ করতে থাকবে।কিন্তু বড় চাচীকে সে মানা করতে পারবেনা তাই শাড়ির আঁচল কোমড়ে গুজে কাজে লেগে গেলো জোহোরা খাতুন নিজ কাজে চলে আসলো।
রক্তিম ছাদে দাড়িয়ে সব কিছুর পর্যবেক্ষণ করছে বোনের বিয়ে দেখে ভাই এতো ব্যস্ত।সাথে রয়েছে অধরার বাবা তৈয়ব হোসেন সে সব কাজেই অংশগ্রহণ করছে। রক্তিম আশেপাশে তাকিয়ে অধরাকে খোজার চেষ্টা করছে তৈয়ব হোসেন রক্তিমের দিকে তাকিয়ে বললো,
~কী হয়েছে বাবা কাউকে খুঁজছিস?
রক্তিম বললো,
~না চাচা আসলে আমি একটু নিচ থেকে আসছি আপনি একটু খেয়াল রাখেন।
তৈয়ুব হোসেন মুখের হাসিটা চওড়া করে বললেন,
~অবশ্যই বাবা।
রক্তিম মুচকি হেসে নিচে নেমে এদিক-সেদিক অধরাকে খুঁজতে লাগলো সে রান্নাঘরে গিয়ে দেখলো অধরা কাজে ব্যস্ত। রক্তিমের মাথাটা গরম হয়ে গেলো যেখানে সবাই মজা করতে ব্যস্ত সেখানে মেয়েটাকে কাজে আটকে রেখেছে।রক্তিম অধরার কাছে গিয়ে তার হাত ধরে টান মারতেই চাকু দিয়ে অধরার হাত কেটে গেলো।অধরা ব্যাথার যন্ত্রণায় আহহ করে উঠলো রক্তিম অধরার হাতের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো অধরার হাত থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছে।তা দেখে রক্তিম তার পাঞ্জাবির পকেট থেকে রুমাল বের করে অধরার হাতে চেপে ধরলো।অধরার হাত ধরে রক্তিম নিজ রুমে নিয়ে গিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে ফার্স্টটেড বক্স এনে হাতে ব্যান্ডেজ করতে লাগলো।অধরা বললো,
~আপনি উপরে চলে যান আমি করে নিতে পারবো।বড়চাচী দেখলে বকা দিবে আমার কাজ বাকী আছে
অধরার কথা শুনে রক্তিম চোখ বড় করে তার দিকে তাকিয়ে বললো,
~চুপ করে বসে থাকবি নাহলে থাপ্পড়টা তোর গালে পরবে।
অধরা চুপ হয়ে বসে রইলো রক্তিম তার কাজ শেষ করে বললো,
~সোজা ছাদে চলে যাবি।আমি মায়ের সাথে কথা বলে নিবো নে
অধরা কিছু বলতে যাবে তার আগেই রক্তিম বললো,
~৫ সেকেন্ডের মধ্যে আমার সামনে থেকে চলে যাবি।
অধরা আর অপেক্ষা না করে সোজা রুম থেকে বের হয়ে আসলো।
_______________♥________________
প্রিয়াকে সবাই হলুদ ছোয়াতে ব্যস্ত অধরা একসাইডে দাড়িয়ে আছে।শাওন এসে অধরাকে বললো,
~তোর হাত কীভাবে কাটলো?
অধরা বললো,
~ফল কাটতে গিয়ে কেটে গেছে।
শাওন বললো,
~প্রিয়ার দেবর চলে এসেছে তুই দেখা করেছিস?
অধরা বললো,
~নাহ তো।আচ্ছা ফুপি কোথায় তাকে তো দেখছিনা
শাওন বললো,
~ওই মহিলার কথা বলিস না কোনো জায়গায় দাড়িয়ে হয়তো তার গহনার হিসাব করছে।
অধরা বললো,
~আচ্ছা তার সাথে দেখা করে আসি নাহলে কথা শুনতে হবে।
শাওন বললো,
~যা বইন তুই মহান দেবী।
অধরা আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো তার ফুপি রোকেয়া হোসেন একজনের সাথে দাড়িয়ে কথা বলছে।অধরা তার পাশে দাড়িয়ে বললো,
~ফুপি কেমন আছো?
রোকেয়া হোসেন অধরার দিকে তাকিয়ে মুখ বাকিয়ে বললো,
~ফুপির কথা আজ মনে পরেছে এতোক্ষণ ধরে এসেছি কেউ তো এসে একদন্ড কথাও বলো নি।
অধরা বললো,
~ভুল হয়ে গেছে ফুপি।
রোকেয়া হোসেন বললো,
~পৃথুলা কোথায়?
অধরা বললো,
~স্টেজে প্রিয়া আপুর পাশে।
তখনই ইরা এসে অধরার হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় স্টেজে সেখানে রক্তিমও আছে।সবাই একসাথে দাড়িয়ে ছবি তুলছে ইরা অধরাকে রক্তিমের পাশে দাড় করিয়ে দিলো।তা দেখে পৃথুলার রাগটা বেরে গেলো শাওন আগুনে ঘি ঢেলে বললো,
~অধরা আর রক্তিম ভাইয়াকে মানিয়েছে কী বলিস ইরা?
ইরা বললো,
~ধুর রাখো তোমার কথা আমার ছবির পোজ নষ্ট হচ্ছে।
পৃথুলা রেগে গিয়ে স্টেজ থেকে নেমে গেলো রক্তিম অধরা একসাথে দাড়িয়ে ছবি তুলছে।
প্রিয়াকে হলুদ ছুঁইয়ে স্টেজ থেকে নামতে নিবে প্রিয়া অধরার হাত ধরে তার গালে হলুদ দিয়ে বললো,
~তোর বিয়েটা যাতে তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।
অধরা মুচকি হেসে স্টেজ থেকে নেমে পরলো তখনই কেউ বলে উঠলো,
~অধরা,তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
অধরা পিছন ফিরে দেখলো
#গল্পের_নাম_তোমাকে_চাই
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্বঃ১
[রক্তিম আর অধরাকে নিয়ে আবারো ফিরে আসলাম জানিনা কতটুকু ভালো হয়েছে।