তোমাকে চাই পর্ব -১৭

#গল্পের_নাম_তোমাকে_চাই
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্বঃ১৭
সকালে অধরা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে বের হয়ে দেখলো সবাই ঘুম থেকে উঠে ব্যাগ পত্র গাড়িতে রাখছে।১১টার দিকে সবাই রওনা দিবে তাই অধরা নাস্তা টেবিলে পরিবেশন করতে তার মামীদের সাহায্য করতে লাগলেন জোহোরা খাতুনও তাদের সাথে আছে।অধরা খেয়াল করলো জোহোরা খাতুনের চোখ-মুখ ফোলা মনে হচ্ছে সারারাত সে কেঁদে কাটিয়েছে।অধরা নিজের মনকে কোনো ভাবেই শান্ত করতে পারছেনা সে জোহোরা খাতুনের কাছে গিয়ে বললো,
~বড়চাচী,আপনার কী শরীর খারাপ?
জোহোরা খাতুন বললেন,
~নাহ তো।
অধরা জোহোরা খাতুনের হাত ধরে বললো,
~আমি জানি আপনি আমায় কোনোদিন নিজ ছেলের বউ হিসেবে চাননি। আপনি চেয়েছেন কোনো গুনী মেয়ে যে আপনার সংসারকে সামলিয়ে রাখবে আমি ততোটা গুনী না হলেও এতটুকু বলতে পারবো আপনার সংসার আমি গুছিয়ে রাখবো। নিজের সবটুকু দিয়ে হলেও আমি আপনাদের খেয়াল রাখবো একটা সুযোগ দিয়ে দেখেন আমি আপনাকে নিরাস করবোনা।
অধরার কথার পরিপ্রেক্ষিতে জোহরা খাতুন কী বলবে বুঝতে পারছেনা?অশ্রুগুলো চোখের কোটোরে এসে থেমে গেলো সে নিজেকে সামলে বললেন,
~অবশ্যই তুমি মেয়ে হিসেবে খারাপ নও আর আমি তোমাকে আপন করে নেইনি এসব কথা মাথা থেকে ঝেরে ফেলো।আমি চাই তুমি সংসার সামলাও নিজ পড়ালেখাও চালিয়ে যাও আমার তোমার উপর বিশ্বাস আছে।
জোহোরা খাতুনের কথা শুনে অধরার মনটা খুশিতে ভরে উঠলো সে হাসি হাসি মুখ করে নিজ রুমে চলে গেলো।জোহোরা খাতুন অধরার সেই মুখ দেখে মনে মনে বললেন,
~তোমাদের খুশির জন্য আমি অবশ্যই এই বড় পদক্ষেপ নিবো।
১১ টায় সবাই বাসার হলরুমে একত্রিত হয়েছে শাওন সেই কতক্ষণ থেকে সবাইকে বিরক্ত করছে।নাদিয়া শাওনের এমন কান্ডকারখানা দেখে বললো,
~আপনি কী ছোট বাচ্চা যে এমন করছেন?সবাই ঠিক সময় তো চলে আসবে।
নাদিয়ার কথায় শাওন ক্ষেপে বললো,
~তোমার উপদেশ আমি চাইনি এমনেও তুমি বেশি কথা বলো।
নাদিয়া বললো,
~তাহলে কথা বলা বন্ধ করে দিন তাহলে আর শুনতেও হবে না।
এতটুকু বলে নাদিয়া সেখান থেকে চলে গেলো শাওন বুঝতে পারলো নাদিয়া রাগ করেছে শাওনের এভাবে কথা বলাটা হয়তো নাদিয়া পছন্দ করেনি।শাওনের এখন নিজেরই খারাপ লাগছে শাওনের ভাবনার মাঝেই সবাই চলে আসলো আইয়ুব হোসেন বললেন,
~সবার সব কিছু নেওয়া হয়েছে?
রক্তিম বললো,
~হ্যাঁ বাবা আর গাড়িও একদম ঠিকঠাক আছে।
আইয়ুব হোসেন বললেন,
~তাহলে দেরি কীসের রওনা দেওয়া যাক।
সবাই বাসা৷ থেকো বের হতে যাবে তখনই জোহোরা খাতুন বলে উঠলেন,
~সবাই দাড়াও কেউ কোথাও যাবে না।
জোহোরা খাতুনের কথায় সবাই অবাক হয়ে তার পাণে তাকিয়ে রইলো শাওন বিরক্তি নিয়ে বললো,
~এখন কী সমস্যা?
জোহোরা খাতুন শাওনের দিকে তাকিয়ে বললেন,
~বিরাট সমস্যা।
রক্তিম মায়ের কাছে এগিয়ে এসে বললেন,
~কী হয়েছে মা বলবে?
প্রিয়া বললো,
~মা,আমার এখন টেনশন হচ্ছে।
জোহোরা খাতুন রায়হানের দিকে তাকিয়ে বললেন,
~রায়হান বাবা,প্রিয়াকে নিয়ে ঘরে যাও।
প্রিয়া বললো,
~আমি কোথাও যাবোনা।
জোহোরা খাতুন চোখ গরম করে বললেন,
~এখন নিয়ে যাও ওকে রায়হান।
রায়হান প্রিয়াকে নিয়ে নিজ ঘরে চলে গেলো প্রিয়া অনেক জেদ করছিলো জোহোরা খাতুনের ধমকে সে চুপ করে যায়।

________♥________

রক্তিম এবার একটু রেগে গিয়ে বললো,
~কী নাটক শুরু করেছো আমায় বলবে তোমরা?
আইয়ুব হোসেন এখন অনেকটাই ভয় পেয়ে গেছেন সে জানতেন না জোহোরা খাতুন এমন কিছু করবেন।তার কপালবেয়ে ঘান ঝড়তে লাগলো অধরা এগিয়ে এসে রক্তিমের হাত ধরে বললো,
~আপনি শান্ত হন বড়চাচীকে কথা বলতে দিন।
তৈয়ব হোসেন বললেন,
~বড়ভাবী কী বলতে চান?
জোহোরা খাতুন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,
~অধরার কিডন্যাপ হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি আর কে করিয়েছিল তাও আমরা জানি?
অধরার নানুর পরিবার পুরো চমকে গেলো তার কথাশুনে রক্তিম বললো,
~মা সব কথা সুন্দর ভাবে বলো আমার কিন্তু মেজাজ খারাপ হচ্ছে।
জোহেরা খাতুন অশ্রুসিক্ত নয়নে বলে উঠলো,
~রক্তিম আমি জানি সেই তৃতীয় ব্যক্তির নাম আমও তা বলবোও কিন্তু তুই ওয়াদা করবি তাকে কিছু করবিনা।
আইয়ুব হোসেন ধীরে ধীরে পিছাতে লাগলেন এক পর্যায়ে তার পিঠ ঠেকে গেলো দেওয়ালে।রক্তিম বললো,
~আমি শুনতে চাই সেই ব্যক্তিটির নাম তারপর সিদ্ধান্ত হবে কী করবো আমি তার সাথে?
জোহোরা খাতুন একবার আইয়ুব হোসেনের দিকে তাকিয়ে আঙ্গুল উঁচিয়ে বললেন,
~তোর বাবা এসব করেছে।
জোহোরা খাতুনের কথা শুনে পুরো রুমে নিস্তব্ধতা ছেয়ে পরলো সবাই অবাক হয়ে জোহোরা খাতুনের দিকে তাকিয়ে রইলো।এতোটা করুন সত্যি তাদের সামনে আসবে তা তারা জানতোনা জোহোরা খাতুন দুহাত মুখে চেপে সোফায় বসে কাঁদতে লাগলো।জোহোরা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
~তোদের দাদাজান অধরার নামে অনেক সম্পত্তি রেখে গেছেন তার লোভেই সে এসব করেছে সে শুধু একবার চেষ্টা করেনি বরং ছোট বেলায়ও চেষ্টা করেছে অধরা পুকুরে পরে গিয়েছিল সেটা ওনারই কাজ ছিল।
রক্তিমের কান এসব বিশ্বাস করতে চাইছেনা অধরা একধ্যানে জোহোরা খাতুনের দিকে তাকিয়ে আছে।তৈয়ব হোসেন আর তাহিদা ইসলাম বাকরুদ্ধ নিক মেয়েকে নিয়ে এতোটা নিচ ষড়যন্ত্র হয়ে গেছে আর তারা জানতে পর্যন্ত না।আইয়ুব হোসেন মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে রক্তিম আইয়ুব হোসেনর দিকে এগিয়ে এসে বললো,
~বাবা,মা যা বলছে তা কী সত্য?
আইয়ুব হোসেন কোনো কিছু বললোনা সে চুপ করে দাড়িয়ে রইলো।রক্তিম নিজ বাবার থেকে এমন প্রতিক্রিয়া পেয়ে তাচ্ছিল্য পূর্ণ হাসি দিয়ে বললো,
~সম্পত্তির লোভে তুমি এসব করেছো?তাহলে কী একদিন সম্পত্তির লোভে আমাকেও মেরে ফেলতে।
জোহোরা খাতুন বললেন,
~এসব বলে না বাবা।
রক্তিম জোহোরা খাতুনের সামনে এসে বললো,
~বান্দরবনের প্ল্যান টাও এর জন্যই করেছে?
জোহোরা খাতুন বললেন,
~জ্বী।
রক্তিম এবার সব বুঝতে পরলো রোকেয়া হোসেন আর পৃথুলার জামিন কে করিয়েছে এতো বড় খেলা তার সাথে হয়ে গেলো সে জানতে পারলোনা।
রক্তিম নিজ চোয়াল শক্ত করে বললো,
~এতো বড় খেলা খেলতে তোমার লজ্জা করেনি বাবা।একবারও আমার ব্যাপারে ভাবোনি।আমি কীভাবে বেঁচে থাকতাম?আরে মানুষতো নিজ সন্তানের কথাটাও চিন্তা করে তুমি তো তাও করোনি।
অধরা শুধু নির্বাক হয়ে সবার দিলে তাকিয়ে আছে সে কী করবে?কী বলবে কিছুই বুঝতে পারছেনা কেন তার সাথে এমন হলো?কী দোষ ছিল সে তো জানতোও না তার নামে এতকিছু আছে তাকে যদি একবার জানানো হতো তাহলে হয়তো সে সব দিয়ে দিতো তবুও রক্তিমের সাথে সে খুশি থাকতো।এসব ভাবতে ভাবতে অধরা নিজ চোখের সামনে সব ঝাপসা দেখা শুরু করে সে জ্ঞান হারিয়ে নিচে পরে যায়।

_______♥________

রক্তিম অধরাকে পরে যেতে দেখে দ্রুত তার কাছে গিয়ে অধরার কোমড় জড়িয়ে ধরে ফেললো।রক্তিম অধরার গাল থাপড়ে বললো,
~অধরা,চোখ খুলো।
শাওন বললো,
~ওকে রুমে নিয়ে যা বিছানায় শুইয়ে দে রক্তিম আর দেরি না করে অধরাকে কোলে তুলে নিলো তারপর বিছানায় শুইয়ে দিয়ে অধরার হাত ধরে শাওনকে বললো,
~ডক্টরকে কল করলো ফাস্ট।
শাওন অধরার ছোট মামার সাথে বের হয়ে আসলো ডাক্তার আনার জন্য। তাহিদা ইসলান আর তৈয়ব হোসেন মেয়ের পাশে বসে কাঁদছে। রক্তিম অধরার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো কিছুক্ষন পর শাওন আর অধরার ছোট মামা ডাক্তার নিয়ে আসলো।ডাক্তার অধরাকে ভালো মতো চেক করে বললেন,
~উনি হয়তো কোনো কিছু শুনে এতোটাই শকড হয়েছেন যে তার ব্রেন সেটা নিতে পারেনি তাই সে জ্ঞান হারিয়েছে আর
ডাক্তারের কথার মাঝেই রক্তিম বলে উঠলো,
~আর কী ডাক্তার?
ডাক্তার মুচকি হেসে বললেন,
~সে প্রেগন্যান্টও হতে পারে সিউর হওয়ার জন্য আপনি এ টেস্ট গুলো করিয়ে নিবেন যতদ্রুত সম্ভব।
সবাই দুখের মধ্যেও এক চিলতে সুখ পেয়ে গেলো সবার মুখেই হাসু ফুটে উঠলো আইয়ুন হোসেনের মনেও এক আলাদা অনুভূতি খেলা করতে লাগলো।রক্তিম অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তাহিদা ইসলাম বললেন,
~ওর জ্ঞান কেন ফিরছেনা?
ডাক্তার বললেন,
~কিছুক্ষনের মধ্যেই ফিরে আসবে আর পেশেন্ট একটু দুর্বল তাই তার খেয়াল রাখতে হবে।
ডাক্তার নিজ কাজ শেষ করে চলে গেলো রক্তিম আবার এসে অধরার পাশে বসে বললো,
~আপনারা সবাই রুমে যান আমি আছি অধরার সাথে।
রক্তিমের কথা শুনে সবাই এক এক করে রুমে চলে যায়।রক্তিম অধরার হাত ধরে বললো,
~আমি শুধু এতটুকু চাই তুমি সুস্থ হয়ে যাও আমাদের সন্তানের জন্য হলেও তুমি সুস্থ হয়ে যাও।
রক্তিম অধরার হাত ধরে সেভাবেই বসে থাকে একধ্যানে তার প্রিয়তমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।
কিছুক্ষন পর
অধরা চোখ পিট পিট করে খুলে দেখে রক্তিম তার হাত ধরে বসে আছে।অধরাকে জেগে উঠতে দেখে রক্তিমের মুখে একচিলতে হাসি ফুটে উঠে।সে অধরার হাত ধরে বললো,
~এখন কেমন লাগছে?
অধরা বললো,
~ভালো।
রক্তিম বললো,
~জানো ডাক্তার কী বলেছে?
অধরা রক্তিমের দিকে তাকিয়ে বলে,
~কী বলেছে?
রক্তিম বললো,
~তুমি সম্ভব প্রেগন্যান্ট কিছু টেস্ট করালে সিউরিটি এসে পরবে।
অধরা অবাক হয়ে বললো,
~আপনার মোবাইল থেকে ক্যালেন্ডারটা বের করেন তো।
রক্তিম অবাক হয়ে মোবাইল থেকে ক্যালেন্ডারটা বের করে অধরার সামনে রাখতেই অধরার চোখ ছানাবরা আসলেই সে খেয়াল করেনি বিষয়টা।আবার কিছুদিন যাবত শরীরটাও বেশ ভালো যাচ্ছেনা তার।অধরা বললো,
~টেস্ট করাতে আজকেই যাবো আমরা কোনো দেরি করবোনা।
হঠাৎ অধরার একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা মনে পরতেই আবার উদাস হয়ে যায় মনটা বিষাদে ছেয়ে যায় তার।

______♥______

রক্তিম অধরার মন খারাপ বুঝতে পেরে বললো,
~আমি এখনই পুলিশে ফোন দিবো অন্যায়কে প্রশয় দিতে আমি পারবোনা।
রক্তিম উঠে যেতে নিবে তখনই অধরা তার হাত ধরে বললো,
~আপনি যেটা ভালো বুঝেন সেটাই করবেন কিন্তু আমও আর সে বাড়ি ফেরত যাবোনা।আপনি কী আমার জন্য ছোট্ট একটা সংসার তৈরি করতে পারবেন না?যেখানে থাকবেনা কোনো কষ্টের রেশ না থাকবে কোন হিংসা পারবেন না?
রক্তিম অধরাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
~অবশ্যই পারবো।
আইয়ুব হোসেন হলরুমে সবার সামনে দাড়িয়ে রয়েছেন রক্তিম বললো,
~আমি পুলিশকে ফোন করবো এখনই সে এসে অপরাধীকে নিয়ে যাবে।
একথা শুনে জোহোরা খাতুন হুহু করে কেঁদে উঠলো তবুও কিছু বললোনা।তৈয়ব হোসেন এগিয়ে এসে বললেন,
~রক্তিম যা হওয়ার হয়েছে আমি চাইনা পরিবারের নাম আর খারাপ হোক এসব করার কোনো প্রয়োজন নেই।
তৈয়ব হোসেনের কথা শুনে রক্তিম অবাক হয়ে বললো,
~অধরার সাথে এতো খারাপ কাজ করেছে আর আপনি বলছেন করার প্রয়োজন নেই কিছু।
তাহিদা ইসলাম বললেন,
~ক্ষমা তো করতে পারবোনা কোনোদিন কিন্তু সাজাও তাকে দিতে চাইনা।
হঠাৎ অধরা সেখানে উপস্থিত হয়ে বললো,
~ঠিক আছে তাই হবে কিন্তু আমি আর সে বাসায় ফিরবোনা আর আমার সন্তানের ওপর তার কোনো ছায়াও পরতে দিবোনা।
অধরার কথা শুনে আইয়ুব হোসেন বললেন,
~এতো বড় শাস্তি দিয়ো না আমায় আমার বংশধরকে আমায় দেখতে দিবেনা তা আমি সহ্য করতে পারবোনা।
রক্তিম বললো,
~অধরা যা চায় তাই হবে।
জোহোরা খাতুন বললেন,
~আমাকে তোদের সাথে নিয়ে যাবি?
অধরা জোহোরা খাতুনের হাত ধরে বললো,
~আপনি আমার জীবন আর আমার সন্তানের জীবন বাঁচিয়েছেন আপনাকে ছাড়া আমি এই বিশাল পথ পাড়ি দিতে পারবোনা।
আইয়ুন হোসেন কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন আজ যে সে ছোট হয়ে গেছেন সবার সামনে।
শাওন ছাদে দাড়িয়ে আছে নাদিয়া তার পাশে দাড়িয়ে বললো,
~আপনি কী আজকের বিষয় নিয়ে ভাবছেন?
শাওন বললো,
~এ দুনিয়াটা মিথ্যার উপর চলে তা জানো?
নাদিয়া বললো,
~তা তো জানিনা কিন্তু আজকে একটা সত্য আপনাকে বলতে চাই।
শাওন বললো,
~কীসের সত্য?
নাদিয়া বললো,
~আপনাকে ভালোবাসি শাওন সাহেব এখন আপনার ইচ্ছে আমায় গ্রহন করবেন কী করবেন না।আমি এই কথাটা আর নিজ মনে রাখতে পারছিলাম না তাই আজ বলে দিলাম।
এতটুকু বলে নাদিয়া চলে যেতে নিবে তখনই

চলবে

(বিদ্রঃকেমন হয়েছে জানাবেন।আর ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো 🥰🥰। Happy Reading 🤗🤗)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here