তোমাকে চাই পর্ব -১৮ ও শেষ পর্ব

#গল্পের_নাম_তোমাকে_চাই
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্বঃ১৮ অন্তিম পর্ব
তখনই শাওন নাদিয়ার হাত ধরে তাকে নিজের সাথে মিশিয়ে বললো,
~এই একরোখা মানুষটাকে সামলাতে পারবে তো?
নাদিয়া শাওনের কান্ডে লজ্জা পেয়ে বললো,
~যদি আপনি সাহায্য করেন এই পথচলায় তাহলে অবশ্যই পারবো।
শাওন মুচকি হেসে নাদিয়াকে ছেড়ে দিয়ে বললো,
~যাও করবো তোমায় সাহায্য ধরবো তোমার এই নরম হাত।
নাদিয়া শাওনের দিকে একপলকে তাকিয়ে আছে মেঘলা আকাশ থেকে এখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পরছে।সেই বৃষ্টির পানি দুজনার শরীরকে স্পর্শ করছে নাদিয়ার চোখের কাজল বৃষ্টির পানির ছিটায় লেপ্টে।শাওনের কাছে নাদিয়াকে এখন এই ধরনীর সবচেয়ে সুন্দর রমনী বলে মনে হচ্ছে।শাওনের কালো শার্টটা তার শরীরে লেপ্টে গেছে সে তার একহাত বাড়িয়ে নাদিয়া চোখের নিচে লেপ্টে যাওয়া কাজলটিতে স্পর্শ করতে নাদিয়া হালকা কেঁপে ওঠে।শাওন নিজের হাত গুটিয়ে ফেললো এই মুর্হুতে নিজেকে তার সবচেয়ে সুখী মানুষ লাগছে।নাদিয়া শাওনের ভেজা চুল গুলোতে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,
~আমার এখন ঠান্ডা লাগছে আমি নিচে যাচ্ছি।
বলেই নাদিয়া সেখান থেকে দৌড়ে নিচে চলে আসে শাওন সেখানে দাড়িয়েই বৃষ্টিবিলাস করতে থাকে।
অধরা জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে ব্যস্ত তার মুখে বিষন্নতার ছাপ ফুটে উঠেছে কাল তারা চলে যাবে ঢাকায় রক্তিম নতুন বাসা ভাড়া করে ফেলেছে।অধরা সব টেস্ট করিয়ে ফেলেছে কাল রির্পোট পেলে ঢাকায় রওনা দিবে।অধরা ভাবছে কেন তারই সাথে এমন হলো সে তো কোনোদিন কাউকে এতোটা কষ্ট দেয়নি।ভাবতেই অধরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জানালা বন্ধ করে বিছানায় এসে বসলো।রক্তিম ঘরের দরজা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করে অধরাকে দেখে বললো,
~বাবা,ঢাকায় চলে গেছে তাই ওনার চিন্তা করে লাভ নেই।
অধরা রক্তিমের দিকে তাকিয়ে বললো,
~প্রিয়া আপু,ঠিক আছে?
রক্তিম হাতের থাকা ঘড়িটা খুলতে খুলতে বললো,
~ঠিক আছে বাহির থেকে মনের ভিতর হয়তো ঝড় চলছে।
অধরা রক্তিমের কাছে গিয়ে তার শার্টের বাটন খুলতে খুলতে বললো,
~কালকে যদি রিপোর্ট নেগোটিভ আসে তখন কী করবেন?
রক্তিম অধরার হাত ধরে বললো,
~অপেক্ষা করবো আল্লাহ তা আলা যখন চাইবে তখনই আসবে।
অধরা রক্তিমের বুকে মাথা রেখে বললো,
~ভালোবাসি আপনাকে।
রক্তিম অধরাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
~#তোমাকে_চাই প্রতিটা মূর্হুতে।
জোহোরা খাতুন বিছানায় শুয়ে কাঁদছেন স্বামীর অপরাধ তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।কিন্তু মনে শান্তনাও আছে যে সবাই সত্যিটা এখন জানে অধরার কোনো ক্ষতি এখন আর হবে না।অধরা জোহোরা খাতুনের রুমে প্রবেশ করে তার পাশে বসে বললো,
~বড় চাচী যা হওয়ার হয়ে গেছে আপনি নিজেকে কোনো কষ্ট দিবেন না প্লিজ।
জোহোরা খাতুন বিছানা ছেড়ে উঠে বললেন,
~আমি আজ যদি এটা না করতাম আমার পরিবার হয়তো শেষ হয়ে যেতো।
অধরা জোহোরা খাতুনের হাত ধরে বললো,
~আপনি আজ যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন তা করে আপনি সবাইকে এক মিথ্যা থেকে বাঁচিয়েছেন।
জোহোরা খাতুন আর কিছুই বললেন না চুপ করে বসে রইলেন অধরা নিজ হাতে তাকে খাইয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলো।

_____♥______

সকালে ঘুম থেকে উঠে রক্তিম অধরার বড় মামার সাথে হাসপাতালে চলে গেলো রিপোর্ট আনতে।অধরার অনেক টেনশন হচ্ছে তাহিদা ইসলাম অধরাকে দেখে বললেন,
~এতো চিন্তা করার কিছু নেই তুই চল খাবারটা খেয়ে নে আমরা তো একটু পরই রওনা দিবো।
অধরা বললো,
~মা আমার খেতে মন চাইছে না আমি একটু পর খাবো তুমি একটা কাজ করো খাবার প্যাকেট করে নেও গাড়িতে খেয়ে নিবো।
তাহিদা ইসলাম কিছু বলতে যাবে তার আগে জোহোরা খাতুন এসে অধরার সামনে খাবারের প্লেট রেখে কড়া গলায় বললেন,
~সবটি খাবার শেষ করো নাহলে রক্তিমের কাছে বিচার চলে যাবে।
জোহোরা খাতুনের কথা শুনে অধরা বাধ্য হয়ে সবটি খাবার শেষ করে আবার সোফায় এসে বসে পরলো।ইরা অধরার সাথে বসে বললো,
~আপু,তুমি এতো টেনশন নিও না দেখবে সব ঠিকঠাকই আসবে।
অধরা বললো,
~আমার অনেক চিন্তা হচ্ছে তুই বুঝবিনা।
ইরা অধরাকে জড়িয়ে ধরলো অধরা শুধু দরজার দিকে তাকিয়ে আছে রক্তিমের অপেক্ষায়।
রক্তিম রির্পোট হাতে নিয়ে বসে আছে তার মুখে হাসি লেগে আছে সে বাবা হতে চলেছে এর থেকে বেশি খুশি হয়তো কোনোকিছুর নেই এখন।
অধরার বড়মামা রক্তিমের কাঁধে হাত রেখে বললেন,
~বাসায় চলো অধরা অপেক্ষা করছে।
রক্তিম বললো,
~অধরা অনেক খুশি হবে মামা।
বড়মামা মুচকি হেসে বললেন,
~সবার জন্যই এটা সুখের সময় হয় আমি চাই তোমরা এই মুর্হুত টাকে উপভোগ করো।অধরার সাথে এ খুশির সময়টা উদযাপন করো
বড়মামার কথা শুনে রক্তিম উঠে দাড়ালো হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে বসলো প্রথমে সে শপিং গিয়ে সবার জন্য শপিং করে মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি নিয়ে রওনা হলো বাসার উদ্দেশ্যে।
সবাই ব্যাগপত্র নিয়ে রক্তিমের অপেক্ষা করছে সে এসে পরলেই সবাই রওনা দিবে।রক্তিম বাসায় এসে পৌছাতেই শাওনকে ফোন করে বাহিরে আসতে বললো শাওন বাহিরে আসতেই রক্তিম শাওনের হাতে কিছু ব্যাগ দিয়ে বললো,
~ভিতরে যা আমি আসছি।
শাওন বললো,
~রির্পোট পজিটিভ এসেছে তাই না ভাইয়া?
রক্তিম বললো,
~একদম ঠিক।
শাওন ভিতরে চলে আসলে সবাই তাকে অনেক জিজ্ঞেস করলো কী হয়েছে? কিন্তু কাউকেই সে কিছু বললোনা একটুপর রক্তিম বাসার ভিতরে এসে পরলো সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে অধরা ধীর পায়ে রক্তিমের কাছে গিয়ে বললো,
~রির্পোটে কী এসেছে?
রক্তিম অধরার হাত শক্ত করে ধরে বললো,
~তুমি মা হতে চলেছে অধরা।
সবাই একথা শুনে অনেক খুশি হয় জোহোরা খাতুন নিজ হাতের বালা খুলে অধরার হাতে পরিয়ে দিয়ে বললো,
~তোমার এই খবর শুনে আমি অনেক খুশি হয়েছি।
তারা সবাই অধরার নানু বাসার সবার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে বসে পরলো।অধরা মনে মনে বললো,
~আমার নতুন পথযাত্রা শুভ হোক।

_____♥______

৮মাস পর,
অধরা হাতে শাড়ি নিয়ে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে রক্তিম আয়নায় নিজের পাঞ্জাবি পরতে ব্যস্ত। অধরা নিজের উঁচু পেটটা নিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে কোমড়ে হাত দিয়ে বললো,
~সবাই শাড়ি পরবে আর আমাকে এই বলদের মতো এটা পরে যেতে হবে।প্লিজ আমাকে শাড়িটা পরতে দিন
রক্তিম মুখ গম্ভীর করে বললো,
~না অধরা তোমার শরীরের অবস্থা ভালো না আমি এই রিস্ক নিবোনা।
প্রিয়া দরজা ঠেলে ভিতরে ডুকে বললো,
~আমাকে ছেড়েই তোমরা যাচ্ছো আমার অনেক খারাপ লাগছে।
রক্তিম বললো,
~তোর ছেলের মাত্র ২দিন হয়েছে এই অবস্থায় কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
প্রিয়া বললো,
~রায়হানও আমার সাথেই রয়ে যাবে।
অধরা বললো,
~আমি তোমাকে মিস করবো।
অধরা,রক্তিম,জোহোরা খাতুন রওনা হলো আইয়ুব হোসেনের বাড়ির উদ্দেশ্যে। সেদিন তারা ঢাকায় পৌছে আর সে বাসায় যায়নি সোজা নতুন বাসায় উঠে পরেছে।প্রিয়াও সে বাসায় গিয়েই রয়েছে নিজ বাবার সাথে দেখা পর্যন্ত করেনি।
আজ ইরা শওকত আর নাদিয়া শাওনের বিয়ের উপলক্ষে সে বাসায় যাওয়া হচ্ছে তাদের।রক্তিম যেতে চাইনি অধরা তাকে অনেক বুঝিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সে বাসায় পৌছে তারা গাড়ি থেকে বের হয়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করতেই সবার সাথে দেখা হলো অধরার নানু বাসার সবাই এখানে উপস্থিত আর থাকবেনা কেন তাদের মেয়ের বিয়ে বলে কথা।এই বিয়ের জন্য শাওনকে অনেক কাঠপুড়াতে হয়েছে তার বলদতে আজকের এই দিন এসেছে।অধরা ইরাদের ঘরে চলে গেলো বউ সাজে ইরা আর নাদিয়াকে বউ সাজে দেখে অধরার মুখ একদম হা হয়ে গেলো।তারা অধরাকে দেখে দৌড়ে অধরার কাছে এসে তাকে বিছানায় বসিয়ে দিলো।অধরা বললো,
~আমাকে শাড়ি পরতে দেয়নি তাই এই গাউন পরে আসতে হয়েছে।
নাদিয়া বললো,
~তোমাকে এই গাউনে অনেক সুন্দর লাগছে।
কিছুক্ষন পর নাদিয়া আর ইরাক স্টেজে নেওয়া হলো শাওন আর শওকত তাদের অপেক্ষায় ছিল।কাজী তাদের বিয়ের কার্যক্রম শুরু করলো বিনা কোনো বাঁধাতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হলো।বিয়ে শেষ হতেই আইয়ুব হোসেন রক্তিমের কাছে এসে বললেন,
~আর কত শাস্তি দিবে আমায়?
রক্তিম কোনো কথা বললো না আইয়ুব হোসেন বললেন,
~বাসায় চলে আসো তোমাদের ছাড়া আমি অপূর্ণ। প্রিয়ার ছেলেকে আমি সেই হাসপাতালে দেখে এসেছি আর দেখতেও পারিনি।
রক্তিম বললো,
~আমার বাসার দোওয়ার খোলা আছে আপনি সেখানে গিয়ে আমার বোনের বাচ্চাকে দেখে আসতে পারবেন।
বলেই রক্তিম সেখান থেকে চলে আসলো অনেক অভিমান জমা হয়েছে তার মনে।

____♥____

কিছুদিন পর,
অধরা প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছে তাকে নিয়ে হাসপাতাল যাওয়া হয়েছে অধরা দাঁত কামড়ে ব্যাথা সহ্য করছে।রক্তিম ছলছল নয়নে অধরার হাত ধরে রেখেছে ডাক্তার অধরাকে ভিতরে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে অধরা রক্তিমকে বললো,
~আমি বড়চাচাকে মাফ করে দিয়েছি আপনিও তাকে মাফ করে দিন।তার করুন চাহনি আমি দেখতে পারছিনা আর।
এতটুকু বলে অধরা রক্তিমের হাত ছেড়ে দিলো তাকে ভিতরে নিয়ে যাওয় হলো রক্তিম শুধু তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।পুরো পরিবার হাসপাতালে চলে এসেছে রক্তিম বসে আছে আইয়ুব হোসেন ছেলের কাঁধে হাত রেখে বললেন,
~সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে অধরা আর বাবু দুজনই সুস্থ হয়ে যাবে।
রক্তিম আইয়ুব হোসেনের হাত শক্ত করে ধরে বললো,
~দোয়া করো বাবা আমার বউ আর বাচ্চার জন্য দোয়া করো।
আইয়ুব হোসেন ছেলের পাশে বসে ছেলেকে স্বান্তনা দিতে লাগলেন।কিছুক্ষন পর ডাক্তার বের হয়ে বললেন,
~রক্তের প্রয়োজন হবে প্লিজ রক্তের ব্যবস্থা করুন।
শাওন আর শওকত রক্তের ব্যবস্থা করতে চলে গেলো অনেক খোজাখুজির পর রক্ত পেয়ে গেলো।তারা রক্ত এনে ডাক্তারকে দিয়ে দিলো হঠাৎ বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসতে লাগলো পরপর দুটো বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসতে সবাই অবাক হয়ে পরলো।ডাক্তার বাহিরে এসে বললো,
~Congratulation আপনার যমজ বেবি হয়েছে একটা মেয়ে একটা ছেলে।
রক্তিম অবাক হয়ে ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে রইলো প্রিয়া বললো,
~এভাবে তাকিয়ে থেকোনা ভাইয়া।
রক্তিম ভাবনা থেকে বের হয়ে আসলো আর বললো,
~আমার ওয়াইফ।
ডাক্তার বললো,
~তিনিও ঠিক আছেন।
একটুপর বাবুদের দেওয়া হলো রক্তিম মেয়েকে কোলে নিলো আর প্রিয়া ছেলেকে।অধরার জ্ঞান ফেরার পর তারা ভিতরে চলে যায় দুই বাবুকে অধরার দুপাশে শুইয়ে দিয়ে বললো,
~বাবুদের নাম কী রাখবে?
অধরা বললো,
~যেটা আমরা ভেবেছিলাম মেয়ে হলে রুপসা ছেলে হলে রাফি আমাদের তো দুটোই আসলো।
অধরার কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো ১দিন পর অধরাকল রিলিজ দেওয়া হলো অধরা বাড়ি ফিরে আসলো। আগের বাসাতেই অধরারা ফিরে আসলো আর কতো অভিমান নিয়ে থাকবে তারা।আইয়ুব হোসেন খুশিতে আজ আকাশ ছোঁয়া। ছেলে,ছেলের বউ,সন্তান, নিজ বউ আজ ফিরে এসেছে সবাই আজ অনেক খুশি।
দুই বাবুর আকিকার পর সব এতিম খানায় দিয়ে দেওয়া হলো আত্মীয় স্বজন দের বিলিয়ে দেওয়া হলো।
সারাদিনের সকল ধকল শেষে রক্তিম রুমে এসে পরলো নিজ বাসায় এতো দিন পর এসে তার অনেক ভালো লাগছে।
রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে দেখলো অধরা আর বাবুরা ঘুম রক্তিম তাদের ডিস্টার্ব না করে বারান্দায় চলে আসলো।আকাশপাণে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো জীবনের সকল নীলনকশা।এখন তো অনেক পথচলা বাকী আছে সাথে আছে অধরা জীবনটা যে কতোটা মধুর সেটা রক্তিম এখন বুঝতে পারছে।অধরা বুকে হাত গুজে বললো,
~এইযে রুপসা আর রাফির বাবা আমাকে কী ভুলে গেলেন?
রক্তিম মুচকি হেসে অধরার হাত ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে বললো,
~তোমাকে ভুলে গেলে আমি বেঁচে থাকবো কীভাবে?
অধরা রক্তিমের গলা জড়িয়ে বললো,
~নতুন পথের বাসিন্দা আমরা দুটি প্রাণ এখন আমাদের অংশ।
রক্তিম বললো,
~সবাইকে নিয়ে আমরা সুখে থাকতে পারবো তো?
অধরা বললো,
~অবশ্যই।
অধরা রক্তিমের বুকে মাথা গুজে বললো,
~ভালোবাসি আপনাকে।
রক্তিম বললো,
~#তোমাকে_চাই আমার জীবনের সকল অনুভূতি ঘিরে।
এভাবেই ভালো থাকুক তাদের জীবন। জীবনের সকল পথে তারা যাতে সুখী থাকে ভালোবাসার এই সংসারে যাতে তারা সাফল্য অর্জন করতে পারে।ভালোবাসায় ঘিরে থাকুক তাদের এই জীবন।

সমাপ্ত

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here