তোমাতেই সীমাবদ্ধ আমি পর্ব -০৩+৪

#তোমাতেই_সীমাবদ্ধ_আমি
#লেখনীতে:মাইশা চৌধুরী
(৩)

ইয়াশ মাথা মুছতে মুছতে বের হলো।তখনই রিশাদ সাহেব রুমে এলেন।
রুমে এসেই ছেলেকে বললেন,,

“দরজাটা লাগাও কিছু কথা বলি।নাহলে তোমার মা শুনলে আবার ক্ষেপে যাবে। ”

ইয়াশ বাবার কথায় দরজা লাগিয়ে দিতে দিতে বলল,,

“তোমরা যে এতো বড় হইছো ক’দিন পর দাদু দিদা হবা এখনো এভাবে ঝগড়া করো কেন?”

“আমি না তোর মা করে।ওই মহিলার আমার সাথে শত্রুতা আছে কোনো জন্মের তারই প্রতিশোধ নিচ্ছে।”

“আম্মু একটু এমন রগচটা হলেও মনের দিকে তো ভালো বাবা।”

“তা তো ভালোই।বিয়ের পর প্রথম প্রথম ভালই ছিলো।আমার মনে হয় আমার বউ বদলে গেছে।”

“বাবা”

“আচ্ছা বাদ দিচ্ছি।যে টা বলছিলাম।মেয়ে কেমন দেখলে?”

ইয়াশের কপালে ঘাম জমতে শুরু করলো রিশাদ সাহেবের কথায়।নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,,

“ভালো তবে ওকে বিয়ে করতে পারবো না বাবা।”

“কেনো?মেয়ের কি কোনো সমস্যা আছে?”

“না বাবা তা নয়।আসলে মেয়ে আমার থেকে ছোট অনেক।”

“খুব বেশি ছোট না।তুমি এবার কলেজে জয়েন করেছো পড়াশুনা শেষ করে।আর ও ইন্টারে পড়ে।আর মেয়ে আমাদের পছন্দ। তেমন হলে ২ বছর অপেক্ষা করবো। ”

“কি দরকার বাবা বাদ দাও না।”

“আমি বাদ দিলেও তোমাট মা দিবে না।”

“তুমি বলবা তোমার মেয়ে পছন্দ না। মা করে দিবে কারন তোমার পছন্দতে আম্মুর একটুই বিশ্বাস নাই।”

“এমনে বাবাকে ইন্ডাইরেক্টলি অপমান করতে তুই পারলি ইয়াশ? ”

“কই অপমান করলাম আমি শুধু বললাম তুমি এটা বলবা।”

“তোরা আমার ছেলে হয়েও তোর মায়ের পক্ষে কথা বলিস।”

“বাবা কিসের মধ্যে কি বল?”

“ঠিকই বলি। আমি তোর বিয়েটা পিছিয়ে দেবো কিন্তু এতে আমার লাভ কি?”

“কি চাও তুমি?”

ড্রেসিং টেবিলের সামনে চুল সেট করতে করতে প্রশ্ন করে ইয়াশ।

“আজ রাতে তোর মা ঘুমুলে তুই আমাকে একটা বিয়ারের বোতল এনে দিবি।অনেক দিন খাইনা।”

বাবার কথায় চোখ চরাক গাছ ইয়াশের।

“বাবা তোমার না এসব খাওয়া নিষেধ।”

“মাঝে মধ্যে খেলে কিছু হয়না।তুই পারবি কি না বল।”

“ঠিক আছে তবে জাস্ট ১গ্লাস এর বেশি নয়।”

“হুম ওকে।”

রিশাদ সাহেব খুশি মনে ইয়াশের রুম ত্যাগ করলেন।ইয়াশ বেডে বসে ভাবছে কার বাবা এমন আজব হয়।ছেলেকে কি না শর্ত দেয়।আসলেই তার বাবা এখনও ছেলে মানুষই রয়ে গেছেে।ইয়াশ মনে মনে বলে,,

“আই লাভ ইউ আব্বু।মাই আইডল।”

________________________________

রাত ১০:৩০,,
খাবার টেবিলে সবাই উপস্থিত। খাওয়া শুরু করতেই রাহিমা বেগম সকলের উদ্দেশ্যে বললেন,,

“সবার মতামত কি?মেয়ে কেমন লাগলো?আমার কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে।”

শাশুড়ী কথায় ইরা বলে,,

“আমারো ভালো লেগেছে মামনি।”

“আমার আর মোহনার(ইরার নাম এখন থেকে মোহনা) যখন ভালো লেগেছে তখন তো আর কোনো কথাই নেই।”

মায়ের কথায় ইরফান বলে,,
“আম্মু তুমি যে জানতে চাইছো যদি বলি আমার ভালে লাগে নাই তাহলে কি বিয়ে ক্যান্সেল করবা?”

“তুই বলার কে রে?তুই তোর বাবা আর তোর ভাই ৩টা গরু।তোরা ভালো মন্দর কিছু বুঝিস না।”

“ইয়াশের মা সব কথায় আমাকে না টানলে তোমার হয়না।”(চোখ গরম করে তাকিয়ে।)

” আমি টানিনি।কথায় কথা আসলো।”

রিশাদ সাহেব ছোট ছেলের কানের কাছে গিয়ে বলে,,

“দেখলি তোর মা একটুও সম্মান দেয় না আমায়।থাকছি না এ বাসায়।”

“ইরফান তোর বাবাকে বল আমি ছাড়া তাকে সহ্য করার মতো কেউ নেই।”

“তুমি এটাও শুনেছো।”

“কান আছে আমার শুনবই তো।”

বাবা মার ঝগড়া থামাতে ইয়াশ বলে,,

“আম্মু বাবা তোমাকে কিছু বলতে চায়।”

“হুম বলো।”

“আমি বলছি কি ইয়াশের আম্মু বিয়েটা কিছুদিন পর করাও।কারন মেয়ে এখনো ছোট এইচএসসি টা দিক তারপর নাহয় বিয়ে হবে।এখন engagement টা করিয়ে রাখি।”

“না। বিয়ের পরও তো পড়াশুনা করতে পারে এখন বিয়ে হলে কি সমস্যা? ”

“আহা বুঝো না কেন?”

“বুঝি এসব রাখো আর খাও।”

“তুমি বুঝার চেষ্টা কর। ওকে সেকেন্ড ইয়ারে উঠুক মেয়ে তারপর বিয়ে দিও।।”

“হুম ঠিক আছে। ”

ইয়াশ একটা সস্তির নিশ্বাস নিলো। তারপর সবাই খাওয়া শেষ করে যে যার রুমে শুতে গেলো।

রাত ১২:১০
ইয়াশ রুমের দরজা দিয়ে মাথা বের করে উকি দিলো।

‘না কেউ নেই।”

ইয়াশ গুটি গুটি পায়ে ড্রইং রুমে এলো। এসে দেখে রিশাদ সাহেব বসে বসে ঘুমিয়ে পড়েছে।
ইয়াশ হাসে।সে তার বাবাকে ভালো করে সুইয়ে দিয়ে রুম থেকে কম্বল এনে গায়ে জড়িয়ে দেয়।

“বাবা তুমি এখনো আগের মতোই কিউট আছো।লাভ ইউ বাবা।হয়তো সামনা সামনি কোনোদিন বলতে পারবো না। পৃথিবীতে একমাত্র বাবা তুমি আছো বলেই নিজের সব চাওয়া পাওয়া পুরণ হচ্ছে। লাভ ইউ বাবা।”

কথা গুলো বলে পিছে ঘুরতেই দেখে ইরফান দাড়িয়ে আছে।

“ভাইয়া তুমি কখন এলে?”

“একটু আগে।”

“তোমার মন খারাপ কেনো ভাইয়া?”

“এমনি যা ঘুমাতে যা।তোর হাতে কি ওটা?”

ইয়াশ বিয়ারের বোতলটা লুকিয়ে ফেলল।

“কিছু নাই ভাইয়া। ”

“হুম আচ্ছা যা।”

ইয়াশ ওর রুমে চলে গেলো।

________________________________

সকাল সকাল রেডি হচ্ছে ইয়াশ আজ কলেজ যেতে হবে ক্লাস আছে।
ক্লাস শেষ করে বন্ধুদের সাথেও দেখা করতে হবে তাকে।

তারাতাড়ি রেডি হয়ে এসে ব্রেকফাস্ট করতে বসে।সবাই আছে সেখানে।রিশাদ সাহেব আর ইরফান অফিস যাবে মিটিং আছে আজ আর তাই বাবা ছেলে দুজনই সকাল সকাল যাচ্ছে।

খাওয়া শেষ করে সবাই যে যার কাজে চলে গেলো।

ইয়াশ ড্রাইভিং পারে তবুও ড্রাইভার নিয়ে এসেছে কারন ড্রাইভ করতে ওর আলসেমি লাগে।

বেশকিছুক্ষন পর কলেজের সামনে এসে গাড়ি থামলো ইয়াশ নামতেই ওর মুখে কেউ পানি ছুড়ে মারলো।

ইয়াশ সামনে তাকিয়ে দেখে আনিশা।

“এই মেয়েটাকে দেখার পর থেকেই কুফা লাগছে আমার।এখান আবার কই থেকে আসলো?”(মনে মনে)

আনিশা ওর ফ্রেন্ডদের সাথে গল্প করছিলো তখনই রাইসা (আনিশার ফ্রেন্ড) পানি খাচ্ছিলো আর আনিশা পানির বোতলটা ওর হাত থেকে নিয়ে নেয় টান দিয়ে যেহেটু বোতলের মুখ খোলা ছিলো তাই টান দেওয়ায় পানিটা এসে পড়ে ইয়াশের মুখে।

আনিশা ইয়াশকে দেখে অবাক হয়।

” একি Mr.হাফ প্যান্ট আপনি এখানে কেন?”

“কিহ!কি বললে তুমি?”

“যা শুনলেন।বাট আপনি এখানে কেন?”

” আমারো সেম প্রশ্ন তুমি এখানে কেনো?”

“আমি এই কলেজের স্টুডেন্ট আমি তো থাকবোই।”

“আর আমি এই কলেজের টিচার।তো আমিও তো থাকবোই।”

“কিহ!”

“জ্বি।”

তখনই বেল বাজে ক্লাসে যাওয়ার আনিশারা সবাই ক্লাসে যায়।

ইয়াশ ভাবে,,

“এমন বেইজ্জতি হ্যা! নাহয় ভুলে হাফ প্যান্ট পড়ে গেসিলাম। ।তাই এভাবে বলবে।?হাফ প্যান্ট পড়া ছেড়ে দিলাম আজ থেকে হুহ।”

বলে ইয়াশও চলে যায়।

আনিশা ক্লাস রুমে বসে ঘামছে।

“এটা কি করলাম।এখন যদি বাসায় বলে দেয়।ধ্যাত।তোরা আমাকে বলবি একবারো?”

“আমরা কি জানতাম নাকি তুই স্যারের সাথে এমন ভাবে কথা বলবি।”

“আল্লাহ জানে ক্লাস নিতে আসলে আবার কি হয়।আমি বুঝিনা আমার সাথে ওনার দেখা হলেই কিছুনা কিছু আজব হয়।”

“কি হলো শুনি”

“শুনবি।”

“হুম।”

আনিশা ওর বন্ধুদের সবটা বলে শুধু এটা বাদে যে ইয়াশ হাফ প্যান্ট পড়ে গিয়েছিলো।

চলবে…!!

(নেক্সট, নাইস না লিখে গল্প কেমন লাগলো সে সম্পর্কে কিছু বলে যাবেন।।)#তোমাতেই_সীমাবদ্ধ_আমি
#লেখনীতে:মাইশা চৌধুরী
(৪)

ইয়াশের সাথে মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে আনিশা ফাস্ট ক্লাসের পর,, বাকি ক্লাসগুলো করেনি যদি ইয়াশের ক্লাস থাকে এই ভয়ে।তবে লাস্ট ক্লাস করবে বলে ক্লাস রুমে এলো।আনিশা আর ওর ফ্রেন্ড রাইসা এক সাথে বসেছে।কিছুক্ষণের মধ্যে ক্লাসে ইয়াশ আসে।আর ওকে দেখে আনিশার মুখ হা হয়ে যায়।

ইয়াশ সবাইকে বসতে বলে ক্লাস নিতে শুরু করে।আনিশা বই দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছে।

ইয়াশ পড়াতে পড়াতে হঠাৎ খেয়াল করে কেউ বই দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছে। ইয়াশ তার সামনে গিয়ে বলে,,

“হেই তুমি কি নতুন?জানোনা কি ক্লাস হচ্ছে?”

রাইসা আনিশাকে হাতে গুতা দিচ্ছে।স্যারের সামনে কিছু বলতেও পারছে না ও আনিশাকে।এদিকে ইয়াশের মেজাজ খারাপ হচ্ছে।ও এবার ধমকের সুরে বলল,,
“এই মেয়ে কানে শুনো না তুমি? সেই কখন থেকে কথা বলছি কোনো রেসপন্স নেই আজব!”

এবারো আনিশা চুপ।রাইসা বলল,,

“স্যার আসলে ওর ঠান্ডা লেগেছে তো তাই কানে শুনছে না।”

“কিহ!ঠান্ডা লাগলে কেউ কানে শুনে না এমনটা তো আগে শুনিনি।”

“এটা একমাত্র ওর ই হয়। আপনি বুঝবেন না।”

“স্ট্রেইনজ।”

রাইসা একটা বলদ মার্কা হাসি দিলো।ইয়াশ আবারো পড়ানোতে মনযোগ দিলো।

আগের ক্লাসের দেওয়া পড়া সবাইকে ধরছে।এবার আনিশার পালা।ও আগের মতোই বই মুখের সামনে ধরে আছে যার জন্য ওর মুখ এখনো দেখেনি ইয়াশ।

এবার কোন উপায় না পেয়ে আনিশা বইটা মুখের সামনে থেকে সড়িয়ে ভ্যা ভ্যা করে কান্না করে দিলো।

এতে ইয়াশ সহ সবাই শকড।ইয়াশ অবাক হলেও সেটা প্রকাশ না করে জিজ্ঞেস করল,,

“কি হলো তুমি কাদছো কেন?”

আনিশা কেঁদে ই চলেছে।

“তুমি কি পড়া করে আসোনি?কাদছো কেন?”

“করেছি তো স্যার।আমি পড়া কমপ্লিট করেছি বাট…”

“বাট কি?”

“আমার খালামনি মারা গেছে স্যার। শেষ দেখা টাও দেখতে পারলাম না স্যার।”

“সেকি কেনো?”

“এই যে আপনার ক্লাস।”

“মানে?”

“মানে হলো ক্লাস মিস হয়ে যেত তাই আম্মু নিয়ে গেলো না।”

বলে কান্না করতে থাকে।এটা দেখে ইয়াশের খারাপ লাগে ও বলে,,

“আচ্ছা তুমি বসো কান্না করো না।বাকিরা এক এক করে পড়া বলো।”

আনিশা বসে পড়ে।আর তখনই রাইসা জিজ্ঞেস করে৷,,

“তোর খালামনি মা/রা গেছে আগে বলিস নি তো!”

“ম/র/লে না বলবো। ”

“তারমানে…”

“হুম। দেখ আমি আগের ক্লাসটা করতে পারিনাই ওইদিন খালামনির ছেলের বার্থ ডে ছিলো বলে আসিনাই।তাই পড়াও পাইনি তোর থেকে নিবো মনে ছিলো না আর তাই এইটা করলাম নাহলে আবার বকা খেতাম।”

“আল্লাহ তাই বলে তুই এটা বলবি স্যার যদি জেনে যায় সত্যি টা?”

“জানবে না চুপ কর।”

________________________________
কলেজ শেষে বাসায় আসতেই আনিশা দেখে তার খালামনিরা এসেছে।

আনিশা তার খালামনিকে দেখেই ঢোক গিলল।

“ও নো এখন কি হবে।এই মহিলা এসেছে মানেই আমার মাথা খাবে সারাদিন।আআআ আগেই রুমে চলে যাই।”

আনিশা পা টিপে টিপে রুমে যেতে নিলেই আনিশার খালামনি মিসেস লাবণ্য আনিশার সামনে দাড়ায়।

আনিশা একটা মেকি হাসি দিল,,

“আরেহ খালামনি কখন এলে?”

“একটু আগেই। সামনে তো তোর এনগেজমেন্ট তাই চলে এলাম।”

“ওহ।”

“হুম।তুই কিন্তু আমার দেওরের ছেলেকে বিয়ে করলেই পারতিস।কতো সুন্দর দেখতে শুধু একটু মেয়ে বাতিক আছে তাই বলে কি ও ভালো মেয়ে ডিজার্ভ করে না। ”

“নাও শুরু হয়ে গেছে।পালাই” (মনে মনে)

“কি রে কি ভাবিস।?”

“কিছুনা খালামনি। আমি ফ্রেস হয়ে আসি।”

বলে আনিশা দৌড়ে রুমে চলে যায়।

বিকাল ৩:৫৪,,

আনিশা ঘুম।হঠাৎ হাসাহাসির আওয়াজে ঘুম ভাঙে ওর।উঠে ওরনা গলায় পেচিয়ে বাহিরে আসে।

এসে দেখে এক দাঁতওয়ালি মহিলা পান খেয়ে বিকট ভাবে হাসছে।আনিশা এই মহিলাকে রাক্ষসের থেকে কম কিছু মনে হচ্ছে না এই মুহুর্তে কেননা এই মহিলাই ওর জন্য সমন্ধ এনেছিলো।

বেশ কয়েকবার এই মহিলাকে আনিশা ভাগিয়েছে।তবে এবার ইয়াশের জন্য আনিশাকে দেখতে আসার পিছে এই মহিলারই হাত আছে তাতে নিশ্চিত আনিশা।

ও ঘটক মহিলার সামনে যায়।ওকে দেখেই ভয় পেয়ে যায় লাভলি বেগম।কেননা আগের বার যখন পাত্রর ছবি নিয়ে এসেছিলো আনিশা ওনাকে মরিচের শরবত খাইয়েছিলো।

আনিশা ওনাকে সালাম দেয়।

” আসসালামু আলাইকুম। ”

“ওয়ালাইকুম আসসালাম।”

“আপনি আবার এসেছেন আপনার ওইদিনের শরবত মনে হয় বেশি ভালো লেগেছিলো তাই আবার খাওয়ার শখ হয়েছে।”

“আরেহ না মা কি বল।আমি আইসিলাম তোমার খালার সাথে দেখা করতে।”

“মিথ্যা বলবেন না একদম। ”

“কই মিথ্যা কইসি।আইচ্ছা আমি আসি। ”

বলে লাভলি বেগম কোনোরকম জান হাতে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন।

এনার সভাব খুবই খারাপ ১৮ বছরের কোনো মেয়েকে দেখলেই হয়েছে, বিয়ের জন্য পাত্রপক্ষের ডালি নিয়ে আজির হয়।

লাভলি বেগম যাওয়ার পর আনিশা দরজা লাগাতে যায়।

কিন্তু কপাল খারাপ থাকলে যা হয়।
আনিশা দরজা লাগাবে এমন সময় ২টো গাড়ি এসে থামে ওদের বাসার সামনে।

কে এসেছে দেখার জন্য আনিশা ওয়েট করে। তখনই গাড়ি থেকে ডার্ক ব্লু পাঞ্জাবি পাজামা পড়ে ইয়াশ নামে,তারপর একে একে সবাই নামে।

“এ কি এনারা এখন আমাদের বাসায় কেন?”

আনিশা তারাতাড়ি দরজা লাগিয়ে আসতেই দেখে ওর আম্মু দাড়িয়ে আছে।

“ওভাবে হাঁপাচ্ছিস কেনো?আর দরজা খুলে দে এখুনি ইয়াশরা আসবে।”

“কেনো আম্মু?”

“তোর খালামনিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো আর Engagement এর জন্য শপিং এ যাবো। তুই আর ইয়াশ ও যাবি তোদের হাতের মাপ টা লাগবে। ”

বলতে বলতেই বেল বেজে উঠে। আনিশার আম্মু দরজা খুলতে গেলেন।আনিশার মুখ দিয়ে আপনা আপনি বেরিয়ে এলো,,

“বাঁশ।”

চলবে…!!
(কমেন্ট করুন বেশি করে।পেজের রিচ একেবারেই নাই।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here