#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ১১
সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কী বলেছ সবাই জানার জন্য উৎসাহ নিয়ে তাকিয়ে আছে। আমি কিছু বলছিনা বলে অরু বললো,
–ভাবি কী ডেয়ার দিয়েছে আমাদের বলেন।
আমি অভ্রের দিকে তাকাতে ই দেখি অভ্র অন্য দিকে তাকিয়ে আছে এমন একটা ভাব করছে যেনো কিছু ই জানে না।
–যে ডেয়ার দিয়েছে, তাকে জিজ্ঞেস করো। কী বলেছে আমি শুনি নাই।
অভ্র মুখ অন্য দিকে করে ই বললো,
–মিহির ডেয়ার কমপ্লিট না করলে আমার ডেয়ার ও আমি কমপ্লিট করবো না।
অভ্রের ডেয়ার কমপ্লিট না করলে তো আমার আর সিলেট যাওয়া হলো না। আমি কোনো উপায় না পেয়ে অসহায় ভাব নিয়ে বসে আছি।
–ভাইয়া ভাবিকে আবার বল কী ডেয়ার ভাবি শোনে নাই।
–তোর ভাবি কানে কম শোনে…
এর মধ্যে ই আমি অভ্রের গালে কিসটা দিয়ে দিলাম। সবাই আমার দিকে রসগোল্লা মতো চোখ করে তাকিয়ে আছে।
–এটা কী ডেয়ার ছিলো ভাবি, নাকি ভাইয়াকে খুব সুন্দর লাগছে তাই দিলা।
অভ্র বললো,
–আরে তোর ভাই অনেক কিউট তো তাই দিয়ে দিলো এবার কমপ্লিট করেন ডেয়ার।
–এটা ই তো ডেয়ার ছিলো
–আপনি না ডেয়ার শোনেন নাই।
–ঐ টাইমে মিথ্যা বলেছিলাম।আপনি তো এটাই আমাকে ডেয়ার দিয়েছিলেন।
–ওদের সামনে লজ্জা পাচ্ছেন কেনো মিহি।
–লজ্জা কোথায় পেলাম, এটা ই ডেয়ার ছিলো।
–নাহ্ আমি বলেছিলাম,আমি আম্মুকে গিয়ে সিলেট যাবার কথা বলার পরের মিনিটে ই আপনি আম্মুকে বলবেন, আপনার শরীর ভালো না আপনি সিলেট যাবেন না।
–ভাইয়া এটা তুই ভাবির কানের কাছে গিয়ে বলেছিলি।
–হে
এটা বলে ই অভ্র মিহির হাত ধরে টান দিয়ে বললো,
–চলো দুইজন মিলে সংসার কইরা খাই,নাহ্ ডেয়ার কমপ্লিট করি।
মিহির মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে খুব রাগ হয়েছে। অভ্র তো মিহির এই মুখ দেখে বেশ মজা ই লাগছিলো। মায়ের রুমের সামনে গিয়ে অভ্র বললো,
–আমি যাচ্ছি ভিতরে, আপনি পরে এসেন
মিহি মুখানা বাকা করে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে কিছু বলে না।
অভ্র রুমে ডুকে দেখতে পেলো, অভ্রের মা কাপড়গুলো লাগেজে ডুকাচ্ছে।
–আম্মু কী করছো,,
–দেখছিস ই তো।
–আমি তোমাদের সাথে সিলেট যাবো।
অভ্রের মুখের দিকে একনজরে তাকিয়ে আছে।
–এ কাকে দেখছি আমি, তাহলে অবশেষে বউের কথায় ই রাখতে যাচ্ছিস।
–মানে
–মিহি তো বললো তোকে সিলেট যেতে রাজি করবে।
অভ্র মেকি হাসি দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
মিহি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নিজেকে দোষ দিচ্ছে, নিজের কথার জালে ই বজ্জাতটা আমাকে ফাসিয়ে দিয়ে চলে গেলো। আমি ও দেখে নিবো, হনুমানটাকে।
—এই যে, বলে এসেছি এখন আপনি যান।
মিহি অভ্রে দিকে না তাকিয়ে ভেতরে ডুকে গেলো,
–আম্মু
–ওহ্ মিহি এসেছো মা।
–হে, আম্মু দেন আমি সব গুছিয়ে দিচ্ছি।
–না মা, আমি সব গুছিয়ে ফেলেছি।
–আমাকে একবার ডাকতে পারতেন আম্মু।
–লাগবে না মা। আমি জানি তুমি কোনো কাজ ই করতে পারো না। মিনতি বলেছে।
–আমি শিখে নিবো সব আম্মু।
–তা ঠিক আছে, অভ্রকে তো রাজি করিয়ে ফেলেছো দেখছি।
–হে আম্মু কিন্তু একটা প্রবলেম হয়েছে।
–কী প্রবলেম!
— আপনার ছেলের নাকি বমি বমি ভাব হচ্ছে, মাথা ব্যাথা শরির টা নাকি ঠিক নেই।
–এখন ই তো আমার সাথে কথা বলে গেলো তা এমন কখন থেকে হচ্ছে।
–এই তো একটু আগে থেকে, আমি বলছি ডক্টর দেখাতে। আমার কথা রাখার জন্য তোমাদের সাথে যেতে চায় তাই আমি নিষেধ করতে আসলাম।
–অভ্রকে বলে দিয়ো যেতে হবে না। পরে তোমরা দুজন এক সাথে যেও কেমন৷ অভ্র সুস্থ হলে।
–তা অবশ্য ই মা। এখন যাই দেখি আপনার ছেলে কী করে। একটু সেবা করে আসি।
দিলাম ডেয়ার কমপ্লিট করে, খুব মজা লাগতাছে সব দোষ অভ্র হনুমানের ঘাড়ে চাপিয়ে।
খাবার টেবিলে সবাই বসে রাতের খাবার খাচ্ছে। আর সবাই অনেক প্লান করছে, সিলেট গিয়ে কী করবে, আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি।
–অভ্র মিহিকে আমাদের সাথে নিয়ে যাই।
–নাহ্ আমি কী একা থাকবো নাকি বাসায়।
এটা বলে ই হাত ধুয়ে উপরে চলে গেলো।
–আগে তো ভাইয়া একা ই থাকতো তাহলে এখন প্রবলেমটা কী। বেচারি মিহির যে অবস্থা মনে হচ্ছে কান্না ই করে দিবে।
–মা, আমার বোন কে ছাড়া আমার ও একা যেতে ভালো লাগছে না।
–অভ্র অসুস্থ না হয় সবার কথা ভেবে মিহিকে নিয়ে যেতাম।
–কী বলছেন মা, ভাইয়ার কী হলো।
–ওর নাকি বমি বমি ভাব হচ্ছে, সাথে মনে হয় মাথা ব্যাথা ও আছে।
মেয়েদের অসুখ ভাইয়ার কাছে কীভাবে গেলো।
অপুর এই কথা শোনে সবাই হাসা শুরু করে দিলো। মিহি এবার ভাবছে যদি কেউ আবার অভ্রকে বলে দেয় তাহলে মিহির অবস্থা খারাব বানিয়ে দিবে।
–স্বামীর সেবায় নিয়জিত থাকবেন ভাবি।
–মিহি যে দুষ্ট আর অসল মাথায় মনে হয় শয়তানের রাজপ্রাসাদ, দেখা যাবে মিহিকে ই অভ্র ভাইয়া সেবা করছে।
সবাই আবার হাসা শুরু করছে। মিহি মিনতির দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকায়।
–মিহি রাগ করেনা আম্মু খেয়ে নেয়। খাবার খেতে বসে এতো কথা বলতে হয় না। সবাই দ্রুত খাবার শেষ করো।
__________________________
সকালে অভ্রের ডাকার শব্দ ঘুম থেকে উঠলাম। উঠে দেখি ছয়টা বাজে। ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে অভ্রকে বললাম,
–এতো সকালে ডাকছেন কেনো?
–সবাই চলে যাচ্ছে। আপনি নিচে যাবেন না।
আমি মনে ই ছিলো না সবাই যে চলে যাবে। পাঁচ মিনিটে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম। গিয়ে দেখলাম সবাই রেডি চলে যাচ্ছে।
আমাকে দেখে দাদিমা বললো,
–দেখে রাখিস আমার নাতিকে। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে টাইম মতো এগিয়ে দিস।
আমি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালাম। অভ্র এসে আমার পাশে দাড়াতে ই দাদিমা আবার বলে উঠলো,
–অভ্র নিজের খেয়াল রাখিস, ঔষুধগুলো ঠিক মতো খাবি।
–কীসের ঔষুধ দামিমা।
–ঘুম থেকে উঠে, সব ভুলে গেলি নাকি অভ্র, তোর না মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব।
অভ্র আমার দিকে ভ্রু কুঁচকিয়ে তাকিয়ে আছে, বুঝতে পেরেছে এই কাজটা আমার।
–দাদিমা ঠিক হয়ে গিয়েছে সব। চলো সাতটা বেজে যাচ্ছে ট্রেন ধরতে পারবে না পরে।
সবাই বিদায় নিয়ে চলে গেলো। সাথে অভ্র ও গেলো। অভ্র শুধু স্টেশন পর্যন্ত যাবে।
___________
আপামনি আমি কালকে আসতে পারবো না,
রাহেলা, মানে কাজে লোকের মুখে এই কথা শুনে উনার দিকে তাকিয়ে বসে আছি।
–কেনো আসতে পারবেন না,
–আমার ছেলেটার খুব অসুখ আপামনি।আজকে ই আসতে চাইনি শুধু রাগ করবেন বলে এসেছি।সারাদিনের রান্না করে দিয়ে গেলাম
কী আর বলার আছে। আমি যে রান্না করি তা কেউ খেতে পারে না। সব রকমের খাবার ইউটিউব দেখে রান্না করতে পারি শুধু আমি ছাড়া কেউ খেতে পারে না।
কালকে দিনটা তাহলে আমার রক্ষে নেই।
#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ১২
সূর্য রক্তবর্ণ ধারন করে আছে। একটু পরে ই সন্ধ্যা নেমে আসবে কিন্তু অভ্র এখনো বাসায় আসেনি। পুরো বাসা ফাঁকা একা একা কী যে ভয় লাগতেছে। আমি কখনো একা কোথাও যাইনি, এতোক্ষণ বাহিরে বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলাম। আর কতো একা একা দাড়িয়ে থাকবো এইখানে।অভ্রকে কয়েকবার কল দিলাম কিন্তু রিসিভ করলো না। মায়ের সাথে কথা বললে আমি নিশ্চয়ই বলে দিবো বাসায় কেউ নাই একা একা ভয় পাচ্ছি আর মা টেনশন করতে শুরু করবে তাই মাকে ও কল দেইনি।
হঠাৎ চোখ পড়লো বাহিরের দারোয়ানকে উনি ও তো একা দাড়িয়ে আছে। যাই একটু কথা বলে আসি।
যেই ভাবনা সেই কাজ।আস্তে আস্তে হেটে গেলাম দারোয়ানের সামনে,
মধ্যে বয়স্ক একটা লোক, ইউনিফর্ম পড়া,আমাকে দেখে ই বাসা থেকে উঠে দাড়ায়। আমাকে দেখে উনি চমকে গিয়ে জিজ্ঞেসা করে,
–তুমি কীভাবে ভেতরে ডুকলে,কে তুমি কী চাই।
দারোয়ান মনে হয় আমাকে চিন্তে পারেনি, না চিনার ই কথাটা, যেভাবে আমাদের বিয়েটা হলো নিকট আত্নীয় ছাড়া তেমন কেউ ই জানে না। তাই নিজের পরিচয় দিলাম।
–আমি অভ্র কে তো চিনেন।
–হে অভ্র বাবা কে চিনবো না ছোটবেলা থেকে এই বাড়ির দারোয়ানে কাজ করছি।
–তাহলে আমি আপনার বউমা। অভ্রের বউ।
বউ বললে ভুল হবে এই বিয়েটা তো শুধু মাত্র কয়েকটা দিনের জন্য মনে মনে কথাগুলো বলে দারোয়ান চাচার মুখের দিকে তাকাতে ই দেখি কপালে কেমন ভাজ পড়েছে।
–কী হয়েছে চাচা?
–আমি কয়েকদিন অসুস্থ থাকার কারনে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলা তার মধ্যে বিয়ে করে ফেললো।অভ্র বাবা তো একটা মেয়েকে অনেক ভালোবাসতো। কিন্তু তোমাকে কেনো বিয়ে করলো।
এটা বলার সাথে সাথে অভ্রের গাড়ি গেইটার সামনে এসে দাড়ালো। চাচা চেয়ে ও আর কিছু বলতে পারলো না। গেইট খুলে দিতে ই অভ্র গাড়িটা গেইটের ভেতরে ডুকে, আমাকে দেখতে পায়। সাথে সাথে গাড়ি থেকে নেমে আমার সামনে এসে রাগান্বিত গন্ঠে বলে,
–আপনি বাসা থেকে বের হয়েছেন কেনো।
–আমি যে সুন্দর তা রাস্তার মানুষকে দেখাতে। তা আপনি এতোক্ষন কোন মহাদেশে ছিলেন।
অভ্র আমার কথার উওর না দিয়ে হাত ধরে টানতে টানতে বাসার ভেতরে নিয়ে এসেছে।
–আপনি দারোয়ান চাচার সাথে কথা বলতে গেলে কেনো।
–একা একা ভালো লাগতেছিলো না আর খুব ভয় করছিলো, তাই একটু কথা বলতে গেলাম।
–আমাকে কল দিতে পারতেন।
–অনেকগুকো কল দিয়েছি, আপনি রিসিভ করেননি
অভ্র ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে বলে,
–স্যরি আসলে একটা ইম্পরট্যান্ট মিটিং ছিলো, সারাদিন খাই নাই ক্ষুধা লাগছে খাবো। খাবার রেডি করেন।
–রুমে কোনো খাবার নাই, যা ছিলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কাজের লোক সকালে এসে রান্না করে দিয়ে গিয়েছিলো।
অভ্র আমার সাথে কোনো কথা না বলে মেইন গেইট লক করে আমাকে রুমে একা রেখে বাহিরে চলে যায়।
আমি ভয় পাই উনি বুঝতে পারে না তাও কেনো এভাবে আমাকে একা রেখে চলে যায়।রাগ হচ্ছে খুব এতো বড় বাড়িতে আমি একা তাও আবার বাহিরের থেকে দরজা লক করে রেখেছে।
অভ্র মানুষ টা এমন কেনো পুরো ই ধরা ছোয়ার বাইরে কখনো ভালো কখনো খারাপ। মাঝে মাঝে এমন একটা ভাব করে আমি যা চাই সব দিয়ে দিবে। আবার কখনো কখনো আমকে দুচোখে সহ্য ই করে পারে না।।
“কখনো আমার হৃদয়ের আকাশে মেঘ জমে
আবার কখনো বিনা নোটিশে বৃষ্টি নামে। আর সেই বৃষ্টিতে ভিজতে ই সকল মেঘ সরে গিয়ে আবার সূর্য আলো দিতে থাকে।” অভ্রের ব্যাপার টা আমার কাছে ঠিক এমন ই মনে হচ্ছে।
দারোয়ান চাচা বললো অভ্র কাউকে ভালোবাসতো। ভালোবাসতো মানে কী এখন ভালোবাসে না। যদি এখনো ভালোবাসে তাহলে আমাকে কেনো বিয়ে করলো। কাউকে ভালোবাসে বলে ই আমাকে ছয়মাস পর ছেড়ে দিবে বলছে।
এতো কেনো কেনোর ভিড়ে মনে হচ্ছে আমি নিজের নামটা ই ভুলে যাবো। আজকে আসলে সব কেনোর উওর দিতে হবে।
–মিহি,আপনি এইখানে আসছেন, আর আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম কোথায় না কোথায় চলে গিয়েছেন।
অভ্রের কথা শুনে পিছনে তাকিয়ে ই অভ্রের সামনে গিয়ে অভ্রে শার্ট এর কলারে ধরে বললাম,
–আমাকে বিয়ে করেছেন কেনো। এখন বলবে না হয় মরে ই ফেলবো।
অভ্র আমার চোখের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হাত দিয়ে পিছন থেকে অভ্রের সাথে জড়িয়ে নিয়েছে।
এখন মনে হচ্ছে আমি বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছি।
আস্তে আস্তে আমার মুখের দিকে আসছে, আমি ভয়ে আমার মুখ পিছনের দিকে নিচ্ছি। আমি যত পিছনে দিকে যাচ্ছি অভ্র তত আমার দিকে আসছে। আমি ভয়ে খিঁচে চোখ বন্ধ করে নিলাম
হঠাৎ করে অভ্র আমাকে ছেড়ে দেয়, আমি সজোরে বিছানায় পড়ি। আমার কোমরটা ভেঙ্গে গেলো মনে হচ্ছে।
–মনে হয় আমার বেডে আটার বস্তা পড়েছে।কালকে ই মিস্ত্রি দেখাতে হবে।
–আপনি আমাকে এভাবে ফেলে দিলেন কেনো।
–মেয়েরা রাগ করলে ভালোবাসা দিয়ে রাগ কন্ট্রোল করতে হয়, কিন্তু আপনি যা করলেন তা শাস্তি যোগ্য তাই হালকা একটু থেরাপি দিলাম।
–আপনি সত্যি ই একটা বজ্জাত লোক।
–কী বললেন, খেতে আসেন নয়তো ছাঁদ থেকে ফেলে দিবো।
–খাবো না আমি,আগে বলুন আমাকে কেনো বিয়ে করলেন। আমার জীবনটা কেনো নষ্ট করে দিলেন।
–অভ্র কারো জীবন নষ্ট করে না। আর আপনার সব প্রশ্নের উওর সময় হলে দিয়ে দিবো এখন খেতে চলুন। নয়তো সব খাবার আমি একা ই খেয়ে চলে আসবো। আর একা থাকলে আপনাকে ভুতে ও ধরতে পারে।৩১
ভুত শব্দটা শুনে ই উঠে অভ্রের পিছনে হাটতে শুরু করলাম,
গিয়ে দেখলাম টেবিলে উপরে খাবার গুছিয়ে রাখা।কথা না বলে দুজনে খেয়ে নিলাম।
রুমে ডুকার আগে বললো,
–আপনি আপনার রুমে যান, আমি আমার রুমে ঘুমাবো।
কোনো কথা না বলে আমি আমার রুমে চলে গেলাম। অভ্রের রুমের পাশে ই কিন্তু রুমে ডুকার পর ই ভয় করতে শুরু করলো, চারদিকে বিস্তার নিরবতা। সবাই বাসায় থাকলে এতো ভয় করে না আজকে অনেক ভয় করতেছে।
না, না, আমি একা ঘুমাতে পারবো না। আস্তে আস্তে অভ্রের রুমের দরজায় নক করলাম।
–সমস্যা কী।
–আজকের জন্য আমাকে আপনার রুমে থাকতে দিন কালকে আমি আম্মুকে বলবো আমাকে নিয়ে যেতে।
— কাজ হবে না, আপনি আপনার রুমে যান।
–প্লিজ বুঝার চেষ্টা করুন। আমি ভয় পাই।
কথাটা বলার সাথে সাথে অভ্র দরজা বন্ধ করে দিলো। আমি নিরবে চোখের জল ফেলছি, কী করবো আমি। আমার প্রতি কী একটু মায়া হয় না। কী করবো এখন আমি..
চলবে,
চলবে,
[গঠনমূলক কমেন্ট করুন, ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ]