তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায় পর্ব ৩১+৩২

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৩১
…স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বেলা। সামনের দৃশ্য দেখে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে। চোখ মুখের এক্সপ্রেশন ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। না আছে রাগের চিহ্ন আর না আছে কষ্ট দুঃখ যন্ত্রণার কোনো চিহ্ন। পুরোই এক্সপ্রেশনলেস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোখ স্থির। আর মুখ কেমন কঠিন আর ফ্যাকাশে।
.
. সাঁঝ কে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে দিশা। এক হাত মাথায় আর এক হাত গলায় জড়িয়ে রেখেছে। আর সাঁঝ এর হাত দিশার মুখে ধরে রাখা আছে। দুজন কে পিছন থেকে দেখে মনে হচ্ছে দুজন গভীর চুম্বনে মেতে আছে।
.
. বেলা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। না নড়ার শক্তি পাচ্ছে না মুখ থেকে কোনও আওয়াজ বের করার। বেলা ইউনিভার্সিটি এসেছিল সাঁঝ এর অফিসে সাঁঝ আর সে এক সাথে দুজন লাঞ্চ করবে তাই। কিন্তু কেবিনে ঢুকতেই এই দৃশ্য দেখে দাঁড়িয়ে পড়েছে বেলা। দিশা হঠাৎ মাথা ঘুরাতে বেলা কে দেখে সাঁঝ এর কাছে থেকে ছিটকে সরে যায়। আর চোখ মুখ এর এক্সপ্রেশন কেমন একটা ভাব করে। এক হাত উঠিয়ে ঠোঁট এর ওপরে বোলাতে বোলাতে বেলার পাশ কেটে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে মুখে একটা শয়তানি হাসি দেখা যায়।
.
. বেলা এখনও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সাঁঝ বেলা কে দেখে । হটাৎ করে সাঁঝ এর বুকে ধক করে ওঠে বেলার মুখ ও বেলার এক্সপ্রেশন আর মনের ভাব বুঝতে পেরে। তাড়াতাড়ি করে বেলার দিকে এগিয়ে যায় সাঁঝ। দু হাত দিয়ে বেলার কাঁধে হাত দিয়ে বেলা কে নিজের দিকে ঘোরায়। বেলা মুখ ঘুরিয়ে সাঁঝ এর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে। না। চোখের মধ্যে কোনো ভাব ফুটে ওঠেনি কেমন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে সাঁঝ এর মুখের দিকে। সাঁঝ অসহায় চোখে বেলার দিকে তাকিয়ে আছে। বেলার মুখের দিকে তাকিয়ে কি ভাবছে বুঝতে পারে।
.
–“বেলা জান । তুমি ভুল করেও অন্য কিছু ভাবতে যাবে না। সাঁঝ কেমন একটা গলায় বলে ওঠে।
.
.বেলা কোনো কথা বলে না চুপ চাপ একই ভাবে দেখে যাচ্ছে সাঁঝ কে। সাঁঝ এর কথা শুনে ঘোরের থেকে বেরিয়ে আসে। চোখ ঘুরিয়ে দেখে সাঁঝ কে। হটাৎ সাঁঝ এর গলার কাছে বেলার চোখ আটকে যায়। বেলা হাত উঠিয়ে নিয়ে যায় সাঁঝ এর গলার কাছে। এদিকে সাঁঝ বেলার ভাব বুঝতে পারছে না। হটাৎ করে বেলার এমন করাতে সাঁঝ অবাক হয়ে গেছে বেলার হাতের দিকে তাকাতেই যেনো সাঁঝ এর মাথা ফেটে যাচ্ছে রাগে। সাঁঝ এর গলার কাছে লিপস্টিক লেগে আছে আর তার সাথে শার্ট এর কলারেও। বেলা সেখানে হাত দিয়ে দেখে নিয়ে চোখ তুলে তাকায় সাঁঝ এর মুখের দিকে। যেখানে দেখতে পায় অসহায়ত্ব অনেকটাই আকুতি। আর নিজের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা। হাত উঠিয়ে মুখের কাছে নিতে গেলেই আবার ও চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটু আগের দৃশ্য টা। বেলা এক ধাক্কা দিয়ে সাঁঝ কে সরিয়ে দেয় নিজের থেকে। চোখ দুটো হঠাৎ করে পানিতে ভোরে যায়। বিন্দু বিন্দু কেটে চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে।
.
–“জান । আমার কথাটা শোনো প্লিজ। তুমি ভুল ভাবছ। আমাকে প্লিজ বলতে দাও। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
. বেলা চোখের পানি মুছে হাতে থাকা প্যাকেট টা টেবিলের ওপরে রেখে ঘুরে বেরিয়ে যায় কেবিন থেকে। পিছনে সাঁঝ অসহায় ভাবে মাথা নাড়ছে। জামার কলার ধরে লিপস্টিক এর দাগের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসে। তার পর বেরিয়ে যায়।
.
. বেলা কেবিন থেকে বেরোতে দিশা সামনে এসে দাঁড়ায়। মুখে লেগে আছে বাঁকা হাসি। বেলা কে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিয়ে অসহায় মুখ করে বলে ওঠে।
.
–“আই আম সরি বেলা।
.
–” সামনে থেকে সরে যাও। বেলা কঠিন গলায় বলে ওঠে।
.
–“বেলা প্লিজ । আই আম সরি। এখানে সাঁঝ এর কোনো দোষ নেই ট্রাস্ট মি বেলা। আচ্ছা তোমাদের কি ঝগড়া হয়েছে। বিশ্বাস করো এমন কিছু হোক আমি কখনই চাইনি। আমি তোমাদের থেকে দূরে সরে যাব। তবুও প্লিজ সাঁঝ এর সাথে রাগ করে থেকো না। আসলে সাঁঝ আর আমি ছোটো থেকেই একসাথে আছি তাই আমরা যখন এক সাথে থাকি তখন আমরা অনেকটাই ক্লোজ হয়ে যাই। তখন আমাদের কোনো খেয়াল থাকে না। একে অপরের মাঝে তখন হারিয়ে যাই। আর আজকে ও একটু ক্লোজ হয়ে গেছিলাম। কিন্তু ট্রাস্ট মি বেলা আমি আর সাঁঝ এর কাছে আসব না। কি করব বল সাঁঝ কে দেখলে যেমন আমি কন্ট্রোল করতে পারি না। তেমনই সাঁঝ আমাকে দেখলে কন্ট্রোল করতে পারে না…
.
–” জাস্ট সাট দ্য ফাক আপ । বেলা চিৎকার করে বলে ওঠে দিশা কে পুরো বলতে না দিয়ে।
.
. এদিকে বেলার এমন চিৎকার এর জন্য অফিসের সবাই উঠে দাঁড়িয়ে গেছে সবাই বেলা কে দেখতে আছে এখন। সাঁঝ ও তার কেবিনে থেকে বেরিয়ে এক পা ফেলতে না ফেলতে বেলার চিৎকার শুনে থেমে যায়। চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে সাঁঝ। সামনে তাকাতেই সাঁঝ মুখে হাত দিয়ে ঘুরে যায় একবার। কিন্তু সামনে বেলার দিকে এগিয়ে আসতে চেয়েও আসতে পারে না। এদিকে দিশার মুখ হা হয়ে গেছে বেলার মুখে স্ল্যং শুনে।
.
–“হোয়াট ইজ ইউর প্রবলেম হা। হোয়াই কান্ট ইউ কিপ আ ফাকিং ক্লাপ সাট। সিরিয়াসলি ইফ আই ডু সামথিং ওর ইফ আই ডোন্ট ডু এনিথিং ইটস নান অফ ইউর কানশার্ন। নান অফ ইউর করশার্ন। সো জাস্ট সাট দ্য ফাক আপ।
অ্যাকচুয়্যালি হ্যাভ এ বেটার আইডিয়া। ইউ কান্ট কন্ট্রোল ইউরসেল্ফ হোয়েন ইউ সি সাঁঝ। দেন ইউ ক্যান গো টু স্লিপ উইথ সাঁঝ। ইফ সাঁঝ ওয়ান্টস টু স্লিপ উইথ ইউ। দেন ট্রাস্ট মি আই উইল নট স্টপ। জাস্ট গো অ্যান্ড ফাক ইউরসেল্ফ।
.
. সবাই হা হয়ে গেছে বেলার কথা শুনে অফিসের সমস্ত স্টাফ একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে আবারো বেলার মুখের দিকে দেখছে। এদিকে সাঁঝ এর অবস্থা ও একই রকম এই প্রথম বেলা কে এত টা হাইপার হতে দেখছে। তাও আবার মুখের থেকে শান্তির বাণী ছুটছে। সাঁঝ আর শুনতে না পেরে বেলার কাছে এগিয়ে গিয়ে বেলা কে চুপ করাতে গেলে বেলা সাঁঝ এর কলার ধরে নিজের দিকে টেনে আনে। আগুনে চোখে সাঁঝ এর দিকে তাকায় বেলা। সাঁঝ দু হাত তুলে দেয় সাথে আর সমানে মুখ নাড়িয়ে যায়। বেলার চোখের দিকে তাকালে মনে হচ্ছে এখুনি ভস্ম হয়ে যাবে। সাঁঝ তার দু হাত তুলে নিয়ে বেলার কোমরে রেখে সবার সামনেই বেলার ঠোঁটে আলতো করে চুমু খায়। তার পরেই বেলা কে নিজের সাথে জড়িয়ে তুলে নিয়ে বেরিয়ে চলে যায় অফিসে থেকে। বেলা ছটফট করে নামার জন্য কিন্তু সাঁঝ এতে আরও জোরে চেপে থাকে নিজের সাথে।
.
. এদিকে দিশা এখনও মুখ হ্যাঁ করে দাঁড়িয়ে আছে। বেলার কথা গুলো এখনও সে নিতে পারেনি বেলার কথা শুনে দিশা পুরো আউট ওফ মাইন্ড হয়ে গেছে। ওখানে থাকা সমস্ত স্টাফ এবারে দিশা কে দেখে মুখ টিপে হাসছে। কেউ কেউ দিশা কে টিটকিরি করছে। দিশা এখনও চেয়ে আছে মেইন গেট দিকে যেখানে থেকে সাঁঝ বেলা কে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। আসলে দিশা প্ল্যান সাকসেস ফুল করতে চেয়েছিলো যখন দেখেছে বেলার গাড়ি অফিসে বেসমেন্টে ঢুকছে তখনই সে সাঁঝ এর কেবিনে যায়। সাঁঝ এর সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে চোখে কিছু পড়ার অভিনয় করে। আর যার ফলে সাঁঝ জাস্ট দিশার চোখ দেখে দিচ্ছিল।কাহিনী এটাই ছিল। ভুল ভাল কিছু না।
.
. দিশা চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখে সবাই তার দিকে চেয়ে মুখ টিপে হাসছে। নিজের পা ঠুকে অফিসে থেকে বেরিয়ে আসে।
.
–“এই অপমান এর শোধ আমি নেবো। আমাকে সবার সামনে এই ভাবে অপমান করা তো। দিশা কখনই তার অপমান এর কথা ভুলে যায় না। আর তোর করা কোনো অপমান তো আমি মেনে নেবো না। জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড সি। বলে ওঠে দিশা।
.
. দিশা গাড়িতে উঠতে গেলেই হঠাৎ পিছন থেকে আওয়াজ আসায় থেমে যায়।
.
–“মিস দিশা মির্জা। ইউ আর আন্ডারএরেস্ট। ম্যাডি মির্জা খুনের অপরাধে আপনাকে গ্রেপ্তার করা হল। অফিসার বলে ওঠে।
.
–” হোয়াট অফিসার? হোয়াট ডিড ইউ সে? ম্যাডির খুন?আতকে ওঠে দিশা ।
.
–“ইয়েস । অফিসার বলে ওঠে।
.
–” হোয়াট দ্য ফাক। ম্যাডি ইস মাই ব্রাদার। হাও ক্যান আই কিল হার? দিশা যেনো আকাশ থেকে পড়েছে এমন অবস্থা।
.
–” খুন করার পর সবাই একই কথা বলে ম্যাডাম। আপনাকে এখন আমাদের সাথে যেতে হবে। একজন লেডি কনস্টেবল দিশা কে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে।

————–

–“আমরা কি এখানে বসে থাকব নাকি? তোমার যদি ইচ্ছা হয় এখানে বসে থাকার তো তুমি বসে থাকো। দরকার হলে দিশা কে কোলে নিয়ে বসে থাকো। আমি আর এক মুহূর্ত তোমার সাথে থাকবো না। বেলা চিৎকার করে বলে ওঠে গাড়ি থেকে নামতে যায়।
.
. এতক্ষণ সাঁঝ বেলা কে মানিয়ে নিয়ে গাড়িতে বসে ছিল অফিসের উল্টো সাইটে। এতক্ষণ ওখানে দিশার সাথে হওয়া সব কিছু গাড়ির ব্যাক মিরর দিয়ে দেখ ছিল সাঁঝ। আর মুখে ছিল হিংস্রতা ঠোঁটে ছিল বাঁকা হাসি।
.
–“আরে আরে বেবি এত রাগ করে না এইতো যাচ্ছি আমরা। বেলার হাত আটকে গাড়ি স্টার্ট দেয় সাঁঝ।
.
–” একদম আমার সাথে লুতুপুতু করতে আসবে না বলে দিলাম। আমি তোমার কোনো কিছু লাগি না। তুমি মনে করো না তোমার এই কিলার ফেস দেখে আমি গোলে যাব। এই সব ওই নটাঙ্কি দিশা কে গিয়ে দেখাও। বেলা ঝাড়ি মেরে বলে ওঠে।
.
–” হুম আমি তাই ভাবছি। সাঁঝ বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
–“কি বললি তুই? বেলা চিৎকার করে ওঠে।
.
–“আরে কই কি বললাম। আমি তোমার কথাই হ্যাঁ বললাম। এই যে আমার এই কিলার ফেস দেখে তুমি গোলে যাবে না সেটাই তো হ্যাঁ বললাম। আবার তুই তুকারি কেনো। সাঁঝ বেলা কে থামিয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে সাইট ফিরে যায়। জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে ব্যস্ত। তার এখন সাঁঝ এর সাথে কোনো কথা বলতে ইচ্ছা করছে না। তার মনের থেকে এখনও রাগ টা যায়নি। সেটা আসতে আসতে এখনও ভিতরে বাসা বেঁধে রয়েছে। তাই এখন সাঁঝ এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নাহলে সাঁঝ এই মুখ হাসি দেখলেই বেলা সত্যি সত্যি গোলে একদম কালা ট্যাঙ্কির পানি হয়ে যাবে। বেলা এখন যেটা একদম চায় না।
.
–“আচ্ছা গভর্নমেন্ট লিডার এর বউ এর মুখে থেকে যদি কেউ শোনে যে তাদের লিডার কে তার বউ তুইতুকারি করছে তাহলে মনে হয় তারা সেখানে অজ্ঞান হয়ে যাবে তাই না। সাঁঝ চোখ মুখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা চোখ গরম করে তাকাতেই সাঁঝ মুখে আঙুল দিয়ে দেয়। কোনা চোখে দেখে বেলা এখনও তার দিকে চেয়ে আছে। অমনি বেলার দিকে ঝুঁকে গিয়ে বেলার গালে চকাস করে একটা চুমু খেয়ে নেয়। সাথে সাথে বেলা গালে হাত দিয়ে ঘুরে যায়। আর এদিকে সাঁঝ মুচকি হেসে গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে।

—————–

–“তোমার সাহস কি করে হলো ওম? তুমি আমার সাথে রিলেশনে থাকার পর ও কি ভাবে ওই মেয়েটার সাথে ওই রকম করতে পারো। জাকিয়া চিৎকার করে বলছে।
.
. সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওম মাথায় হাত দিয়ে। ওদের থেকে কিছুটা দূরে সারা বেদ রুহি শান্তা নিশান দাঁড়িয়ে আছে। সব কিছু ওদের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ করে এমন কি হল যে শান্ত সৃষ্ট থাকা মেয়ে টা হঠাৎ করে হাইপার হয়ে গেলো।
.
–“তুমি এটা কি করে করতে পারলে বল আমাকে? জাকিয়া কাঁদো কাঁদো ভাবে বলে ওঠে।
.
–” বেবি তুমি ভুল বুঝছ। ওর সাথে আমার কিছুই নেই। আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি। ওম জাকিয়ার কাছে গিয়ে বলে ওঠে।
.
–“একদম টাচ করবে না আমায়। যদি কিছু না থাকে তাহলে ওই মেয়েটা কেনো তোমায় জড়িয়ে ধরে ছিল আর কেনো বা তোমাকে কিস করলো? বলো আমাকে? জাকিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে।
.
–” হোয়াট কিস । সারা আতকে উঠে বলে ওঠে।
.
–“ভাই কে ছিল? কে কিস করেছে তোকে? বেদ ওম এর কাছে এসে ফিস ফিস করে বলে ওঠে।
.
–“ইয়েস কিস করেছে। জড়িয়ে ধরেছে। আবার দাঁত কেলিয়ে হাসছিলো দুজনে। তখন তো আমায় চোখেই দেখতে পাচ্ছিল না আর।
.
–” ভাই এটা কিন্তু ঠিক নয়। জাকিয়ার সাথে থেকেও তুই অন্য মেয়ের থেকে কিস নিচ্ছিস। নিশান মুচকি হেসে বলে ওঠে।
.
–“নিশান মেরা টাইম ভি আয়েগা। তু দেখনা উস দিন তেরা হাল বেহাল হো জায়েগি। নিশান বলে ওঠে।
.
–“এই নিশ কি হয়েছে একটু খুলে বলত। ও কার কিস করার কথা বলছে । রুহি বলে ওঠে।
.
–“আরে ইয়ার মিসা ছিল। তোরা তো জানিস ও কেমন চিপকু টাইপ। শুধু আমাকে কেনো সবাই কে অমন করে। আমরা মলে গিয়েছিলাম ওখানেই দেখা হয়ে গেছে। আর ও যেটা করে সব সময়ে সেটাই ছিল নর্মালি। ওম অসহায় ভাবে বলে ওঠে।
.
–” জাকিয়া বেবি । মিসা ওর কাজিন হয়। আর ও সবার সাথেই অমন করে তাই আর নো নো ক্রাইং ক্রাইং। রুহি বলে ওঠে।
.
–” ইয়েস নো ক্রাইং ক্রাইং ওকে বেবি । বেদ সারা শান্তা নিশান এক সাথে বলে ওঠে।
.
. জাকিয়ার মুখ দেখে সব কয়জন হেসে ওঠে। সাথে জাকিয়া ও। শুধু ওম মুখ ঘুরিয়ে নেয়। এদিকে জাকিয়া ও ওম পিছনে গিয়ে ওম এর মুখ ঘুরিয়ে টুপ করে একটা চুমু খেয়ে দৌড় দেয়। ওম কিছু ক্ষণ চুপ করে থাকে প্রথমে বুঝতে পারে না কি হল। বুঝতে পেরেই সে ও জাকিয়ার পিছনে ছোটে।
.#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৩২
.
.চারিদিকে অন্ধকারে ঢেকে আছে। দূরের রাস্তায় টিম টিম করে আলো জ্বলছে। বারান্দার প্লাস ট্যারেসে রেলিং এর মাঝে থাকা ডিজাইনিং বাল্ব গুলো জ্বলছে যা বৃষ্টির জন্য পানির সাথে আরো সুন্দর দেখতে লাগছে। । পরিবেশ কেমন একটা নেশাময় হয়ে উঠেছে।
বেলা বারান্দার থাই গ্লাস সরিয়ে চলে আসে খোলা আকাশের নিচে। আকাশ ও যেনো আজকে পুরো তার ডানা খুলে দিয়েছে।। এই সব কিছু যেনো বেলা কে নেশা ধরিয়ে দিচ্ছে। তার মনের মধ্যে থাকা সমস্ত রাগ অভিমান গুলো কে নিমেষে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিচ্ছে। বেলা দু হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি কে যেনো নিজের মধ্যে নিয়ে নিচ্ছে। খুশিতে মেতে ওঠে বেলা। আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আসতে আসতে ঘুরতে থাকে। চোখ বন্ধ বৃষ্টির পানি গুলো টুপ টপ করে বেলার মুখে পড়ছে। এতে যেনো বেলার আনন্দ আরো দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। বেলা পুরোই ভিজে চুপ চুপে হয়ে গেছে মাথার চুল পরনের ড্রেস পুরো ভিজে গিয়ে বেলার শরীরের সাথে চেপে বসেছে। চোখ বন্ধ করে তার সামনে ভেসে সাঁঝ এর মুখ। সাঁঝ এর বাঁকা হাসি সেই চোখ টিপে দেয়া অ্যাটিটিউড নিয়ে চলা সব কিছুই। তার পরেই আসতে আসতে চোখের সামনে ভাসতে থাকে একে একে তাদের এক একটা সুখের স্মৃতি। বেলা চোখ বন্ধ রেখেই মুচকি মুচকি হাসছে।
.
. সাঁঝ বেলা কে খুঁজছে। কারণ সেই অফিসের ঘটনা থেকেই বেলা রেগে আছে সাঁঝ এর ওপর। কথা বলছে না তার সাথে। সাঁঝ কিছু বললেই বেলা রেগে তাকায় তার দিকে মনে হয় তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারবে। সে একটু বাইরে গেছিলো। তাই এসেই বেলা কে খোঁজা শুরু হয়ে গেছে। রুমে এসে দেখে বারান্দার গ্লাস খোলা। সেদিকে এগিয়ে যেতেই সাঁঝ এর চোখ স্থির হয়ে যায়। সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে বড় বড় নিশ্বাস নিতে থাকে। হাত মুঠো করে নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা চালায়। বেলা কে এই মুহূর্তে দেখে তার নেশা লেগে যাচ্ছে। তার আসক্তি টা যেনো আরো দ্বিগুণ হারে বেড়ে আছে যেটা হিংস্রতার রূপ নিচ্ছে। বেলা বৃষ্টিতে ভিজে পুরো ভিজে গেছে। তার মাথার থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে যেটা ঠোঁট হতে গলায় আর সেখান গভীরে হারিয়ে যাচ্ছে। বেলার ড্রেস বৃষ্টির জন্য ভিজে গিয়ে তার শরীরে চেপে বসেছে। যার জন্য বেলার শরীরে প্রতিটা ভাঁজ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আর এর জন্য নেশা আসক্তি এক সাথে বেড়ে গেছে মনে এখুনি বেলা কে তার ভালোবাসার চাদরে মুড়ে নিয়ে আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে। কিন্তু। কিন্তু । হ্যাঁ তাদের মাঝে আর কোনো বাধা নেই কারণ বেলা তাকে মেনে নিয়েছে। সে আবারও তাকে ভালোবাসে সেটা সে নিজের মুখের স্বিকার করেছে। আর কোনো বাধা নেই তার বেলা কে নিজের করে নিতে। এগুলো ভাবতেই সাঁঝ এর শরীরে শিহরন খেলে যায়। মুখে ফুটে ওঠে এক চিলতে উজ্জ্বল হাসি।হঠাৎ করেই বেলার গলা শুনে ঘুরে দাঁড়িয়ে আসতে আসতে নিজের চোখ খোলে সাঁঝ। বেলা চোখ বন্ধ করেই দু হাত ছাড়িয়ে গেয়ে ওঠে।
.
.
. 🎶 সার্ম হাটা দে জো সাব গিরা লে
আঁখো পে~~~
প্যায়াস মিটা দে ও নামি চুরালে
হোঠো সে~~~
মে জালতি তেরি তু ও সুবহা জো
বুঝা দে~~~🎶
.
. সাঁঝ এগিয়ে এসে হটাৎ করে বেলার বাড়ানো হাত টান মেরে ঘুরিয়ে দেয়। বেলা ঘুরে সাঁঝ এর বুকের ওপর পড়ে সাঁঝ বেলার কোমরে হাত শক্ত করে নিজের সাথে জড়িয়ে নেয়. এক হাত উঠিয়ে মুখের পড়া কিছু খুচরো চুল কানে গুঁজে দেয়। হাত নিয়ে আসতে বেলার মুখে স্লাইড করতে থাকে। বেলা চোখ খুলে তাকালেই দেখে সাঁঝ দাঁড়িয়ে তার সামনে। সাঁঝ এর চোখ গুলো কেমন নেশায় ভরা ঘোর লাগানো। বেলার বুঝতে বাকি থাকে না। সাঁঝ এর দৃষ্টির মানে। বেলা ও এক হাত উঠিয়ে সাঁঝ এর ঠোঁটে স্লাইড করতে থাকে। মুখে আলতো হাসির রেস টেনে আবারো গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶 ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~~ 🎶
.
. বেলা কোমরে ধরে রেখেছে সাঁঝ।বেলা নিজে কে সম্পূর্ণ পিছনের দিকে হেলিয়ে দেয়। কোমর থেকে যেনো বডি টা কে যেনো হওয়ায় ভাসাতে চায়। দু হাত উপরে তুলে নিয়ে বেলা নিজের মাথার চুল থেকে মুখ পর্যন্ত আঙুল নিয়ে বুলাতে থাকে। বেলার এই মুভমেন্ট গুলো সাঁঝ কে আরো নেশা করে দিচ্ছে। সে এক হাত দিয়ে বেলার কোমর ধরে নিজের সাথে চেপে নেয়। আর এক হাত দিয়ে বেলার মুখের ওপর বুলাতে থাকে আঙুল দিয়ে। চোখ মুখ ঠোঁট গলা হাত আসতে আসতে নিচের দিকে নামতে থাকে। বেলার সারা শরীরে সাঁঝ এর হাত ঘুরে বেড়ায়।
.
. 🎶 আ হোঠো পে খোহাইশ তু বুনলে
বাকি জো হাসরাত ও চুনলে
বিখরে জো কাতরে মেরে
হো~হা তান সে তান উলঝালে জারা
ফির সে মান সুলগা লে জারা
চাখনে তো দে টুকড়ে তেরে
মে জালতি রাতে
তু ও সুবহা জো বুঝা দে
ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~~ 🎶
.
. সাঁঝ বেলা কে হ্যাচকা টান দিয়ে উঁচু নিজের সাথে লাগিয়ে নেয়। বেলার মুখে হাত দিয়ে মুখ টা কে নিজের দিকে আরও টেনে আনে। দুজন এর ঠোঁটের মাঝে একটি গ্যাপ নেই। ছুয়ে ছুয়ে লেগে আছে। সাঁঝ বেলার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। বেলা নিজের হাত উঠিয়ে সাঁঝ এর মাথায় রাখে আর এক হাত দিয়ে সাঁঝ এর গলায় জড়িয়ে রাখে। দুজন একে অপরের ঠোঁটে রস শুষে নিতে মেতে উঠেছে। সাঁঝ বেলার কোমরে ধরে বেলা কে ওই অবস্থায় নিজের কোলে তুলে নেয়। বেলা ও নিজের দু পা সাঁঝ এর কোমরে জড়িয়ে নেয়। এখন যেনো দুজন এর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে চুমু খাওয়ার। দুজন দুজন কে পাগল এর মত চুমু খেতে থাকে। মনে হচ্ছে আজ দুজনের মধ্যে আগুন টা সমান সমান ভাবে লেগেছে। দুজনই দুজন এর নেশায় মেতে উঠেছে। সাঁঝ আসতে আসতে হাত নামিয়ে আনে বেলার গলায়। হাত দিয়ে আসতে আসতে খুলতে থাকে বেলার শার্ট এর বোতাম। বেলা কে চুম্বনরত অবস্থায় পাশের দেয়ালে গিয়ে বেলা কে ঠেকিয়ে দেয়। বেলার সাথে লেগে দাঁড়িয়ে বেলার শার্ট কাঁধের থেকে নামিয়ে দেয় একদিকে।
.
–“আই নিড ইউ বেলা ব্যাডলি । ফিসফিসিয়ে নেশা ধরানো গলায় বলে ওঠে সাঁঝ।
.
.বেলার শরীরে সাঁঝ এর ফিসফিসিয়ে বলার জন্য শিহরন বয়ে যায়। সাঁঝ কে নিজের সাথে আরো গভীর ভাবে মিশিয়ে নেয় বেলা। সাঁঝ এর ঠোঁটে এবার সে একটা কামড় বসায়। কামড় যতো না ব্যাথার ছিল। তার থেকে ও বেশি ছিল বেলার স্পর্শের অনুভূতি এতে সাঁঝ কে আরো পাগল বানিয়ে দেয়। সাঁঝ বেলার ঠোঁটে আরো পাগলের মত চুমু খেতে থাকে। এবারে সাঁঝ বেলার শার্ট এর বোতাম পুরো খুলে ফেলে। সাঁঝ চোখ খুলে। আসতে আসতে বেলা কে দেয়ালের সাথে দাঁড় করিয়ে দেয়। বেলার শার্ট দু দিকে সরিয়ে দেয়। বেলার দু হাত হালকা করে দেয়ালের সাথে লাগিয়ে উঁচু করে দেয়। একদিকে বেলার কাঁধের থেকে শার্ট নেমে যায়। সাঁঝ আসতে আসতে বেলার থেকে কয়েক পা দূরে সরে দাঁড়ায়। বৃষ্টির পানি বেলার মাথায় থেকে বেয়ে ঠোঁট আর তারপরে গলা বেয়ে নিচে নামতে থাকে। আর সাঁঝ তা তৃষ্ণার্ত চোখে দেখতে থাকে। ঘোর লেগে গেছে সাঁঝ এর পুরো পুরো এতক্ষণ যেটুকু কন্ট্রোলে সেটাও এখন ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে। বেলা কে এই অবস্থায় দেখে যে সাঁঝ এর নেশা আসক্তি চেপে ধরেছে। বেলা তাকে নিজের দিকে গভীর থেকে গভীর ভাবে আকর্ষণ করে চলেছে। এদিকে বেলা সাঁঝ কে নিজের দিকে এই ভাবে নেশা লাগা চোখে তাকাতেই বেলা মাথা ঘুরিয়ে নেয় সরে যেতে নিলে সাঁঝ এসে আটকে দেয়। দু হাত দিয়ে বেলার হাত চেপে ধরে দেয়ালের সাথে। মুখ নামিয়ে আনে বেলার গলায়। একে একে ঠোঁটের স্পর্শ দিতে থাকে যেটা গভীর থেকে গভীর হয়ে চলেছে। তার সাথে আছে জিভ এর লেহন। বেলা সাঁঝ এর স্পর্শ আদরে আরো উত্তেজিত হয়ে পড়ছে. নিজের অনুভূতি গুলো কে বসে রাখতে পারছে না। চোখ মুখ চেপে বন্ধ করে নেয়।নিচের ঠোঁট দাঁত দিয়ে চেপে ধরে। বেলার মনে হচ্ছে সাঁঝ আজকে তাকে তার ভালোবাসার চাদরে মুড়ে আদরে আদরে ভরিয়ে তাকে দম আটকে মেরে ফেলবে।
.
. 🎶 আ এ রাতে লাম্বি তু কার দে
চিঙ্গারি রাগ রাগ মে ভার দে
সারমো সে তু সারমো হ্যায়া
হো~হা রাখলে তু লাব কো লাব পে
মে গুজরি মেরি হাদো সে
ঠ্যেহরু কাহা কুছ তো বাতা
মে জালতি রাতে তেরি
তু ও সুবহা জো বুঝা দে
ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~ভিগ লূ
আজ মে তেরি বারিস মে
ভিগ লূ~~~ 🎶
.
. বেলা সাঁঝ এর হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে সাঁঝ এর মাথা আকড়ে ধরে সাঁঝ এবার বেলার গলা থেকে মুখ তুলে বেলার চোখের দিকে তাকায়। যেখানে আছে পাগল করা চাহনি যা দেখে সাঁঝ কখনই নিজেকে আটকে রাখতে পারবে না। আবারও বেলার ঠোঁট আকড়ে নেয়। প্যাশনেটলি কিস করতে থাকে। বেলার হাত আসতে আসতে সাঁঝ এর মাথায় থেকে গলায় নেমে আসে। হাত দিয়ে সে সাঁঝ এর শার্ট এর বোতাম খুলতে থাকে। সাঁঝ বেলা কে আবারো কোলে তুলে নেয়। দুজন এর ঠোঁট এক অপরের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে আছে. মনে হচ্ছে আজ যেনো তারা তাদের সব পিপাসা মিটিয়ে নেবে। বারান্দা থেকে এসে সাঁঝ তার পা পিছন দিকে ঘুরিয়ে স্লাইডিং এ দিতেই আসতে আসতে বারান্দার গ্লাস বন্ধ হয়ে যায়। এক হাত দিয়ে পাশের পর্দা হালকা টান দিতেই পুরো পর্দা টেনে যায়। রুমে পুরো অন্ধকার হয়ে যায় শুধু ডিম লাইট এর আলো ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছে না। রুমের মধ্যে এই মৃদু আলো দুজন কে আরো নেশায় আসক্ত করে ফেলছে। সাঁঝ বেলা কে চুম্বনরত অবস্থায় নিয়ে গিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়। তার পর সেও বেলার ওপর পড়ে। বেলার ওপরে উঠেই আবারো মেতে ওঠে দুজনে একে অপরের ঠোঁটের মাঝে। বেলার হাত আবারো সাঁঝ এর শার্টে গেলেই সাঁঝ বেলা কে ছেড়ে একটু উঁচু হয়ে নিজের গায়ের শার্ট খুলে ছুড়ে ফেলে। আবারও মেতে ওঠে সাঁঝ তার বেলার মাঝে। সাঁঝ আসতে আসতে বেলার পায়ের কাছে চলে যায়। বেলার পা এর কাছে বসে আসতে আসতে স্কির্ট টা ওপরে তুলতে থাকে ঠোঁটের দ্বারা। বেলার পায়ের পাতা থেকে সাঁঝ তার ঠোঁটের স্পর্শ দিতে শুরু করে। বেলা যেনো সুখের সাগর এর মাঝে ভাসতে শুরু করেছে সাঁঝ এর এই স্পর্শ এই আদর তাকে যেনো এক আলাদা অনুভূতির সাথে পরিচয় করাচ্ছে। দু হাতে চাদর খামছে নেয় বেলা চোখ চেপে বন্ধ করে নেয়। নিচের ঠোঁট দাঁত দিয়ে চেপে ধরে। সাঁঝ আসতে আসতে বেলার পেটের ওপরে নিজের মুখ নিয়ে আসে। বেলার পেটে নাভির কাছে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিতে থাকে। হালকা করে জিভ দিয়ে লেহন করতে থাকে। আর এতেই বেলার পুরো শরীর কেঁপে কেঁপে উঠতে থাকে. তার সাথে বড় বড় নিশ্বাস আর বুকের ওঠানামা যেনো সাঁঝ এর দম আটকে দেয়। তাকে মাতাল করে দিচ্ছে বেলার এই মুভমেন্ট গুলো। আসতে আসতে সে বেলার উপরে উঠে আসে। বেলার গায়ের থেকে তার শার্ট আলাদা করে দেয় । সাঁঝ মুখ গুঁজে বেলার বুকের মাঝে। আসতে আসতে খসে পড়ে তাদের শরীর থেকে তাদের বাকি কাপড় গুলো। সাঁঝ এর প্রত্যেক টা স্পর্শে বেলার শরীর কেঁপে ওঠে যা সাঁঝ কে আরো পাগল বানিয়ে দেয়। সাঁঝ প্রত্যেক টা ভালোবাসার স্পর্শ বেলার শরীরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে। বেলার চোখের কোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে বিন্দু বিন্দু চোখের জল। দু হাতে সাঁঝ কে আকড়ে নেয় নিজের সাথে সাঁঝ বেলার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়ে আসতে আসতে আরো গভীর থেকে গভীরে অনুগমন করছে। আসতে আসতে রাতের গভীরতার সাথে তারা দুজন গভীর হতে থাকে একে অপরের মাঝে। ডুবে যায় একে অন্যের ভালোবাসা নেশায় ভরা আসক্তি এর মধ্যে। সারা রুমে বাইরের বৃষ্টির সাথে সাথে তাদের নিশ্বাস এর শব্দে ভোরে যায়। দুজন পুরো পুরি ভাবে এক হয়ে যায়। পূর্ণতা পায় এত দিন পর তাদের ভালোবাসা।
অবশেষে রাতের শেষ অঙ্কে দুজন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে দুজন দুজন কে জড়িয়ে।

—————–

ভোরের দিকে বেলার হটাৎ করেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। তবে এমনি না হঠাৎ করেই অন্য রকম অনুভূতি হওয়াতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। শরীরে মধ্যে শুড়শুড়ি অনুভব করে সে। চোখ খুলে পিট পিট করে তাকিয়ে দেখে সাঁঝ তার দিকে তাকিয়ে আছে। সাঁঝ এর হাত তার শরীরের এখানে ওখানে ছুয়ে যাচ্ছে বারবার। আর তার গলার কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে নাক ঘসে দিচ্ছে আবার ঠোঁটের স্পর্শ করছে। বেলা চোখ ঘুরিয়ে সাঁঝ এর দিকে তাকায় সে সরে যেতে নিয়েও পারে না। সাঁঝ তাকে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখেছে । সাঁঝ এর বডির অর্ধেক তার গায়ের ওপরে। সাঁঝ এর দিকে তাকাতে সাঁঝ মাথা উঁচু করে বেলার ঠোঁটে আলতো করে চুমু খায়। বেলা তাকিয়ে দেখে সাঁঝ এর চোখে আবারো কেমন নেশা আর ঘোর লেগে আছে।
.
–“কি হচ্ছে এটা। বেলা কেঁপে কেঁপে বলে ওঠে।
.
–” কই। কোথায় কি হচ্ছে হুম। বেলার গলায় নাক ঘষে বলে ওঠে।
.
–“ছাড়ো আমাকে প্লিজ। বেলা সাঁঝ এমন স্পর্শে কেঁপে উঠে বলে।
.
–” উহুহু । জান প্লিজ প্লিজ লেট মি লাভ ইউ এগেইন ফর ওয়ান লাস্ট টাইম বেবি। বলেই বেলার ওপরে উঠে বেলার গলায় মুখ গুঁজে দেয়।
.
. বেলা এদিকে সাঁঝ এর স্পর্শে কেঁপে উঠছে বারবার। সে চেয়ে ও কোনও বিরোধ করতে পারলো না। আবারও সাঁঝ তার বেলার মাঝে ডুবে যায়।

—————

সকাল নটা ফোনের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায় বেলার। চোখ পিট পিট করে তাকাতেই চারিদিকে কেমন একটা অন্ধকার অন্ধকার মত মনে হয়। রুমের মধ্যে ড্রিম লাইট এর আলো আর বাইরের আলো পর্দার ফাঁক দিয়ে উকি দিচ্ছে রুমের মধ্যে। তাই রুমের মধ্যে পুরো অন্ধকার এসে গ্রাস করতে পারিনি। বেলা তার ওপর ভারী কিছু অনুভব করে। মাথা টা কেমন ভারী হয়ে আছে। আসতে আসতে ভালো করে চোখ খুলে তাকায় । দেখে তার ওপরে সাঁঝ শুয়ে আছে। তার গলায় মুখ গুঁজে ঘুমিয়ে আছে। সাঁঝ এর উষ্ণ নিশ্বাস বেলার গলায় পড়তে বেলা কেঁপে ওঠে। এক হাত উঠিয়ে সাঁঝ এর মাথার চুলের ওপরে রাখে। সাঁঝ তাকে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখে ঘুমিয়ে আছে। বেলার কাল রাতের কথা গুলো মনে পড়তেই লজ্জায় গাল হয়ে যায়। এদিকে বারবার করে সাঁঝ এর ফোন বেজে যাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে তার কোনো হুস নেই। বেলা সাঁঝ এর মাথায় হাত রেখে ডাকতে থাকে কিন্তু এতে সাঁঝ বেলা কে আরো শক্ত করে জড়িয়ে নেয়। এদিকে বেলা কোনো রাস্তা না পেয়ে এক হাত দিয়ে সাঁঝ এর মাথার চুল গুলো খুব শক্ত করে চেপে ধরে। আর মুখ নামিয়ে সাঁঝ এর কাঁধে খুব জোরে কামড়ে ধরে।
.
–“উমমম । সাঁঝ মৃদু আওয়াজ করে চোখ খুলে তাকায় বেলার দিকে।
.
–” তোমার ফোন বাজছে। বেলা চোখ ঘুরিয়ে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ কোনো কথা না বলে আবারো বেলার গলায় মুখ গুঁজে হাত বাড়িয়ে ফোন নিয়ে কানে ধরে। আর বেলা তো চুপ করে দম আটকে রেখেছে। সাঁঝ কোনো কথা না বলে ফোন রেখে দেয়। মুখে ফুটে ওঠে বাঁকা হাসি যেটা বেলা দেখতে পায় না সাঁঝ এর মুখ নিচের দিকে থাকার জন্য। সাঁঝ সমানে বেলার গলায় মুখ তার ঠোঁট দিয়ে স্পর্শ করে যাচ্ছে এদিকে বেলা আর সাঁঝ এই লাভ টর্চার নিতে না পেরে সাঁঝ এর চুল টেনে ধরে সরিয়ে দিতে নেয়। সাঁঝ মাথা উঁচু করে বেলার দিকে তাকায়। বেলার সারা মুখে খুচরো খুচরো তার ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে আছে। যেটা হুট করে কেউ বুঝতে পারবে না। বেলার মুখের দিকে দেখে নিয়ে বেলার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়. একটা গভীর চুমু খেয়ে সরে যায়। উঠে নিজের সাথে বেলা কে সহ চাদরে মুড়ে নেয়। বেলা কোলে নিয়ে ওয়াশরুমে দিকে পা বাড়ায়। বেলা অবাক হয়ে গিয়ে পড়ে যাওয়ার ভয়ে সাঁঝ এর গলা জড়িয়ে নেয়। এদিকে বেলা কে কোনো কথা না বলতে দিয়ে ভিতরে ঢুকে যায় সাঁঝ।

————–
বেলা রেডি হচ্ছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ।ঠোঁটের কোণে লেগে আছে একটা মুচকি হাসি। আর আবারো সাঁঝ এর দুষ্টুমি গুলো মনে পড়ে যায়। পাগল টা তাকে ওয়াশরুমে গিয়ে ও জ্বালিয়ে ছেড়েছে। হটাৎ পিছন থেকে সাঁঝ তাওয়াল দিয়ে বেলার চুল মুছে দেয়। বেলা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পিছনে দাঁড়ানো সাঁঝ কে দেখতে থাকে। সাঁঝ বেলার চুল মুছে পিঠে একটা চুমু খায়। কানের কাছে মুখ এনে মৃদু ভাবে বলে ওঠে।
.
–“তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। বলেই চোখ তুলে সামনে তাকাতেই সাঁঝ এর চোখ দাঁড়িয়ে যায়।
.
. বেলা ওয়াইন কালার এর একটা রাফেল্ড শাড়ি পড়েছে। পেটের দিকে অংশ বেরিয়ে আছে। তার জন্য সেখান তার ভালোবাসার চিহ্ন স্পষ্ট দৃশ্যমান হয়ে আছে। তার সাথে বেলা কে শাড়িতে দেখে নতুন ভাবে আরও নেশা আসক্তি ভোরে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি করে চোখ সরিয়ে নেয়। বেলার গলায় একটা কামড় দেয়।
.
–“আমাকে কি তোমার নেশায় বুঁদ করে রাখার প্ল্যান আছে নাকি। তবে এতে আমার কোনো অসুবিধা নেই। সাঁঝ দুষ্টু হেসে চোখ টিপে বলে ওঠে।
.
. বেলা সরে যেতে নিলে সাঁঝ বেলা কে আটকে শাড়ির পিন খুলে দেয়। আর সাথে সাথে বেলার পেটের কাছের দৃশ্যমান অংশ টা ঢেকে যায়। বেলা ভ্রু কুঁচকে তাকাতে সাঁঝ বেলার ঠোঁটে আলতো চুমু খেয়ে বলে ওঠে।
.
–“আমার আদরের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল।
.
. বেলা লজ্জা পেয়ে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নেয়. এদিকে সাঁঝ বেলার এমন অবস্থা দেখে মুচকি হাসে। তার পরে বেলা কে নিয়ে বেরিয়ে যায়।

————–

সাঁঝ বেলা কে চোখ বেঁধে নিয়ে আসে। ভিতরে নিতেই চোখ খুলে দেয়। বেলা প্রথম চোখ খুলে চোখ চেপে বন্ধ করে নেয়। পাশে সাঁঝ এর চেপে ধরে। চারিদিকে কেমন অন্ধকারে ছেয়ে আছে। বেলা আসতে আসতে তাকাতেই এবারে তার কাছে সামনের দৃশ্য হালকা হালকা পরিষ্কার হয়। আর সাথে সাথে চোখ স্থির হয়ে যায়। মুখ দিয়ে একটা চিৎকার বেরিয়ে যায়।
.
–“দিশা….. ।বেলা কিছুটা পিছনে সরে যায়। পাশে থাকা সাঁঝ এর হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরে বেলা।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…..
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন রি-চেক করা হয়নি। সবাই নিজেদের মতামত জানবেন।

(ব্রিঃদ্রঃ- আজকে পুরো পার্ট টাই রোমান্টিক । গল্প এর নাম আর গল্প টা যেহেতু রোমান্টিক নেশায় ভরা তাই গল্পটা সেইরকম হবে। আজকের পার্টে ফুল স্টোরির হায়েস্ট রোম্যান্স দেয়া হয়েছে। আমি নিজের ভাবনার থেকে অনেকটা কন্ট্রোল করেই লেখার ট্রাই করেছি। এর থেকে আর কিছু কাটা সম্ভব নয়। যদি কারোর মনে হয় যে একটু বেশি রোমান্টিক হয়ে গেছে । এরকম না লিখলেই পারতো। বা গল্পটা কে অন্য কোনো চোখে লাগছে। তো প্লিজ দয়া করে এড়িয়ে যাবেন। আর ক্ষমার চোখে দেখবেন 🙏)

#
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন রি-চেক করা হয়নি। সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊

(ব্রিঃদ্রঃ: দিশার কেনো শাস্তি হচ্ছে না বা দিশার কথা কি সাঁঝ ভুলে গেছে। দিশা কে কোনো শাস্তি দেয়া হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে স্টার জলসা সিরিয়াল এর মত হয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশে একটাই কথা আপনারা হয়তো দিশার এন্ট্রির পর পর পার্ট গুলো ঠিক করে পড়েন নি। নাহলে বুঝতে পারতেন সাঁঝ এর উক্তি কি ছিল। যাইহোক এমনি এমনি তো আমি শাস্তি দিলাম আর শাস্তি পেয়ে গেলো এমন তো হতে পারে না। সঠিক সময় ও সঠিক ভাবে তো তার শাস্তি টা প্রেজেন্ট করতে হবে নাকি? নাহলে আমি শাস্তি দিয়ে দিলাম আর তাতে কি আপনারা খুশি হবেন? এই পার্ট থেকে দিশার কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে আশা করছি খুব সুন্দর ও ভয়ানক শাস্তি আপনাদের সামনে প্রেজেন্ট করব। আর আমার কথায় যদি কারোর খারাপ লেগে থাকে তাহলে ক্ষমার চোখে দেখবেন)

(ব্রিঃদ্রঃ ২ : স্যরি বিনা নোটিশে কারেন্ট চলে গেছিলো দুদিন কারেন্ট ছিল না তাই আমিও বিনা নোটিশে অফ হয়ে গিয়েছিলাম মোবাইল ট্যাবলেট কোনোটাই চার্জ ছিল না। তাই গল্প দিতে পারিনি। কিছুক্ষণ আগেই কারেন্ট এলো আর আমি ও তাড়াতাড়ি গল্প নিয়ে হাজির হলাম। 😊 😊 😊)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here