তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়৷ পর্ব ৩+৪

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana (Saba)
#পর্ব_৩+৪
. .
বেলা নিজের কোমরে ঠান্ডা শীতল হাতের ছোঁয়া পেতে চমকে ওঠে। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখে সাঁঝ পিছন থেকে তাকে আষ্টেপিষ্টে ভাবে জড়িয়ে ধরে ওর কাঁধে থুতনি রেখেছে। বেলা নিজের দৃষ্টি একবার সামনের দিকে তো একবার তার পিছনে থাকা সাঁঝ এর দিকে করে যে এই মুহূর্তে তাকে জড়িয়ে রেখেছে।
.
. সাঁঝ বেলার শাড়ি ভেদ করে পেটে হাত দিয়ে স্লাইড করে আলতো করে একটা চিমটি কেটে বলে ওঠে।
.
–“কি হয়েছে সুইটহার্ট। এই ভাবে আড়ে আড়ে দেখছ কেনো ।ভালো করেই দেখো। আমি পুরো টাই তোমার।
.
–“জি না। আপনি আমার হলে তাহলে দিশা কোথায় যাবে। মুখ বেকিয়ে বেলা বলে ওঠে।
.
. বেলার কথা শুনে সাঁঝ তার হাতের বাঁধন আরো শক্ত করে আর আরো গভীর ভাবে বেলার পেটে নিজের হাত স্লাইড করতে থাকে। বেলা এই অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে ছটফট করছে। সাঁঝ এর এমন করাতে তার সারা শরীর কাঁপুনি ধরে গেছে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নিশ্বাস আটকে আটকে আসছে। সাঁঝ এর হাত থেকে নিজেকে ছোটানোর চেষ্টা করলে সাঁঝ আরো চিপকে নিজের সাথে।
.
–“মনে হচ্ছে কোথাও কিছু পুড়ে যাচ্ছে। তাই না সুইটহার্ট ।আর ইউ জেলাস সুইটহার্ট ।চোখ টিপ মেরে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
–” আ..মি কে..নো জেলাস হতে যাব। বেলা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে ওঠে।
.
–“হ্যাঁ তাই তো। তুমি কেনো হতে যাবে। বলে সাঁঝ বেলার গলায় নিজের ঠোঁট ছুয়ে দেয়।
.
. বেলার এদিকে এই উষ্ণ স্পর্শে শরীর হিম ধরে আসছে সারা শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে।
.
–” আচ্ছা এখানে আমার ফটো কি করছে। আর এটা তো অনেক আগের ছবি আপনি কোথায় পেলেন। বেলা তার দৃষ্টি সামনের দিকে দেয়ালে রেখে বলে ওঠে।
.
–” হুম । এটা তুমি নাকি ? এটা তো আমার রসগোল্লা। সাঁঝ বেলার গলায় মুখ ডুবিয়ে রেখে ফিসফিস করে বলে ওঠে।
.
. বেলা নড়তে পারছেনা তার সব কথা যেনো হারিয়ে যাচ্ছে গলায় থেকে কোনও আওয়াজ বের হচ্ছে না।
.
–” দে…খু..ন হে..য়া..লি না ক..রে ব.লু.ন আ.মা..র ফ..টো আ..পনা..র কা..ছে কি কর..ছে। বেলা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে ওঠে।
.
–” এটা আমার রসগোল্লা সুইটহার্ট। আমার বেঁচে থাকার একমাত্র অক্সিজেন। আমার আসক্তি। আমার একমাত্র নেশা। ড্রিংকের থেকে বেশি এই টানা টানা গভীর চোখ এই রসালো মিষ্টি ঠোঁটের হাসি আর গুলুমলু পিচ্চি মুখটার নেশায় আসক্ত আমি। গভীর ভাবে। যেখান থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কখনও উঠতে পারব না শত চেষ্টা করে ও না। সাঁঝ বেলা কে ছেড়ে বেডের একপাশে থেকে ছবির কাছাকাছি গিয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে টুকুর টুকুর চোখে দেখছে সাঁঝ কে। সাঁঝ এর কথা গুলো তার মনের গভীরে গিয়ে লাগছে। তার এই কথার মাঝে ডুবে যাচ্ছে। হটাৎ চোখের সামনে কিছু চলে আসতে আগের কিছু কথা মনে পড়তে চোখ খিঁচে বন্ধ করে নেয়। আসতে আসতে মুখ লাল হয়ে চোখে মুখে ফুটে রাগ আর ঘৃণা।
.
–“আরে বা তোমাকে তো এই শাড়িতে খুব
সুন্দ…রী লাগছে । সাঁঝ বেলার দিকে ফিরে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিয়ে বলে ওঠে।
.
–“আমার কোনো ড্রেস আনা হয়নি তাই কাবার্ড থেকে আপনার রাখা শাড়ি পড়তে হয়েছে। তবে চিন্তা করবেন না আমি বাড়ি ফিরে আপনার শাড়ি পাঠিয়ে দেবো। বেলা কিছুটা ঘৃণা আর রাগ মেশানো গলায় বলে ওঠে।
.
.বেলা কি বলতে চাইছে বুঝতে পেরে সাঁঝ দ্রুত এসে বেলা কে কাবার্ডের সাথে চেপে ধরে বেলার কোমরে স্লাইড করে।

–” এই কাবার্ডে সব ড্রেস গুলো তোমার জন্য আমি কিনে রেখেছি। এগুলো সব তোমার জন্য। অন্য কারোর নয়। আর এখানে বিভিন্ন ডিজাইনিং ড্রেস আছে। তোমার যেটা মনে হয় পড়তে পার। বাঁকা হেসে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
. বেলার কোমর একটু চেপে ধরে চোখ মুখ লাল করে বলে ওঠে।
.
–” কি বললে আরেক বার রিপিট করো। বেলার ঠোঁটে স্লাইড করে বলে। তোমার এই মুখে যেনো বাড়ি যাওয়ার কথা না শুনি।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে চুপ করে আছে। সামনে দাঁড়ানো এই ভ্যাম্পায়ার এর জন্য। কাল তার রক্ত খেয়েছে ভেবে বিড়বিড় করে ওঠে।
.
–” ভাই ভাবি ।
.
. বাইরে থেকে চিৎকার আসতে সাঁঝ বেলা কে ছেড়ে দাঁড়িয়ে বেলার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।
.
–” তাড়াতাড়ি নিচে এসো। বলে সাঁঝ রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
.
. বেলা খানিকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ফোনের রিং বাজতে ঘোর কাটে। ফোন রিসিভ করতে ফোনের ওপারে থেকে তুমুল গতিতে প্রশ্নের ঝড় এগিয়ে আসে।
.
–“তুই বিয়ে করেছিস। বেদ বলে ওঠে।
.
–“কখন বিয়ে হল তোর কাল তো তুই আমাদের সাথে ছিলি তাহলে। রুহি বলে ওঠে।
.
–“তুই আমাদেরকে একবার ও বললিও না। নিশান বলে ওঠে।
.
–” কোথায় তুই হ্যাঁ । কার সাথে বিয়ে করেছিস। নিশ্চয়ই তোর ওই মা কোনো বুড়োর সাথে তোর বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। ওম বলে ওঠে।
.
. বেলা ওদের প্রশ্ন আর ওদের একসাথে চিৎকার শুনে ফোন টা নিজের থেকে একটু দূরে সরিয়ে দেয়।
.
–“ওদের কে অ্যাড্রেস বলে দাও। আমি গার্ড পাঠিয়ে দিচ্ছি ওদের নিয়ে আসার জন্য। দরজার মুখে দাঁড়িয়ে সাঁঝ বলে ওঠে। ফোন স্পিকার থাকতেই সাঁঝ সব শুনতে পেয়েছে।
.
. বেলা সাঁঝ এর কথা শুনে চমকে যায়। কোনো কথা না বলে ফোন স্পিকার অফ করে কানে ধরে।
.
–” বেলা ওটা কার আওয়াজ ছিল। ইয়ার কি ভয়েস। রুহি বলে ওঠে।
.
–” তোরা একটু অপেক্ষা কর তোদের আনতে যাচ্ছে। এখানে আসলে কথা হবে বাই। দাঁতে দাঁত চেপে বলে ফোন কেটে দেয় বেলা।
.
. বেলার কথা বলা দেখে সাঁঝ মুচকি হেসে ফেলে। বেলা সাঁঝ এর দিকে একটা জানলেবা লুক দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আর সাঁঝ ও হাসতে হাসতে বেরিয়ে যায়।
.
. বেলা নিচে নামতে হটাৎ করে কেউ ঝড়ের বেগে এসে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুরতে থাকে। বেলা হঠাৎ আক্রমনে স্তব্ধ হয়ে যায়। কোনো কথা না বলে চুপ করে চেয়ে আছে তাকে জড়িয়ে ধরে রাখা মেয়েটার দিকে।
.
–“হাই ভাবি। আমি সারা রওশন। তোমার একমাত্র ননদ। ফাইনালি এতদিন পর ভাই তোমাকে নিয়ে আসলো। আমি কবে থেকে ভাই কে তোমাকে নিয়ে আসার জন্য বলি কিন্তু আমার কথা শোনে না। আজ তুমি এসে গেছো আমি আর কোথাও যাবো না। তোমরা সাথে থাকবো হুম। সারা বকবক করে বলে ওঠে একদমই।
.
–“হাই ভাবি। আমি সারিফ রওশন তোমার একমাত্র দেবার। আর ভাইয়ের একমাত্র অনুগত। হালকা হেসে বলে ওঠে সারিফ।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে ওদের দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে দেয়। আর সারা তো তাকে এখনও জড়িয়ে রেখেছে।
.
–” হল তোদের পরিচয় পর্ব। শেষ হয়েছে। এবার তাহলে আমরা ব্রেকফাস্ট করতে যেতে পারি। সারা আর সারিফ কে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
–” কেয়া ভাই। একটু মাত্র ভাবীর সাথে কথা বলেছি তাও তোমার হিংসে হচ্ছে। এখন থেকে তো আমি সারাক্ষণ ভাবীর সাথে থাকবো। সারা বাচ্চাদের মত ঠোঁট ফুলিয়ে বলে ওঠে।
.
–” মারবো এক থাপ্পড়। পাকা পাকা কথা শুধু। সাঁঝ চেয়ারে বসে বলে ওঠে।
.
–“ভাবি আমাকে বাঁচিয়ে নেবে। তাই না। সারা মিষ্টি হেসে বলে ওঠে।
.
–“একদম তাই । আর তুমি সব সময়ে আমার সাথে থাকতে পারো কেউ কিছু বলবে না। বেলা হেসে সাঁঝ এর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।
.
–“নাও হয়ে গেলো ষোলো কলা পূর্ন। ভাই কপাল পুড়ে গেলো। সারিফ স্যাড ফেস বানিয়ে বলে ওঠে।
.
–“তোমার বিরহে আমি রহিব বিলীন। আহারে । সারা বলে ওঠে।
.
–” তোদের দুজনের আজকে একটু বেশি আনন্দ হচ্ছে মনে হচ্ছে একটু বেশি কথা বলছিস না। সাঁঝ দুজনের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।
.
–” বেশি কই না তো। সারিফ বলে ওঠে।
.
–” আনন্দ তো হচ্ছে। এতদিন পর ভাবি এসেছে। আনন্দ তো হবেই। সারা বলে ওঠে।
.
–” এতদিন পর মানে।কি বলতে চাইছ। বেলা ভ্রু কুঁচকে বলে ওঠে।
.
–” ও কিছু না। ভাবি তুমি আমাকে ডান্স শেখাবে তো। আমি কিন্তু শিখতে চাই।
.
–“ঠিক আছে শেখাবো। বেলা আলতো হেসে বলে ওঠে।
.
–“বেলা!!!
.
. একসাথে চার মূর্তি বাইরে থেকে ডাকতে ডাকতে ভিতরে আসছে। বেলা ওদের ডাক শুনে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সামনে এগিয়ে যায়। সাথে সাথে সব কোটা একসাথে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার ওপর। বেলা ওদের জড়িয়ে ধরে কোনা চোখে দূরে বসে থাকা সাঁঝ কে একবার দেখে নেই। যে এই মুহূর্তে তাদের দিকে সরু চোখে তাকিয়ে আছে।
.
–“বেলা মেরি জান তুই ঠিক আছিস তো। রুহি বলে ওঠে।
.
–” বেলা আমরা তোর বাড়ি যেতেই তোর ওই জল্লাদ মা আমাদের বলে তোর বিয়ে হয়ে গেছে। নিশান বলে ওঠে।
.
–“হ্যাঁ বেলা তুই বল তোর কার সাথে বিয়ে হয়েছে। বেদ বলে ওঠে।
.
–” নিশ্চয়ই কোনো বুড়োর সাথে বিয়ে দিয়েছে তোর মা। ওই বুড়ো কে মেরে আমরা তোকে নিয়ে যাব। রুহি রেগে বলে ওঠে।
.
. ওদের এই কথা শুনে বেলা ঢোক গেলে কারণ সাঁঝ চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে হুনো টা বেশ রেগে গেছে। সারিফ ওদের কথা শুনে কেশে ওঠে।
.
–“এই তোমরা বুড়ো কাকে বলছো। সারা হালকা রাগী ভাবে চোখ ছোটো ছোটো করে বলে ওঠে।
.
. সারা কথা শুনে সবাই ওই দিকে তাকায় আর সাথে সাথে তাদের চোখ বড় বড় হয়ে যায়। মনে হচ্ছে চোখের সামনে কোনও ফিল্ম স্টার কে দেখে নিয়েছে।
.
–” প্রেসিডেন্ট সাঁঝ রওশন। রুহি বলে ওঠে।
.
–“এস.আর ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির ওনার। বেদ চোখ বড় বড় করে বলে ওঠে।
.
–“মোস্ট পপুলার হ্যান্ডসাম লেডিকিলার ব্যাচেলর ওয়ার্ল্ডে থ্রি নাম্বার পজিশনে থাকা বিজনেস ম্যান সাঁঝ রওশন। নিশান বলে ওঠে।
.
–“ব্যাঙ্গালোর গভর্নমেন্ট লিডার সাঁঝ রওশন। বেলার জিন্দেগি । ওম বলে ওঠে।
.
. ওদের এইরকম রিয়্যাকশান দেখে বেলার চরম বিরক্ত হয় ওর মনে হচ্ছে যেনো সব কটার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এমন করছে যেনো কাকে না কাকে দেখে ফেলেছে।
.
–” ইয়েস সাঁঝ রওশন। আমার ভাই। আর তোমাদের বেলার একমাত্র হাজবেন্ড। সারা মুখ নেড়ে বলে ওঠে।
.
. সবাই এই কথা শুনে আরো একবার অবাক হয়ে যায়। শেষে ওদের ঘোর ভাঙে সাঁঝ এর কথা শুনে।
.
–” হাই।
.
–“হাই জিজ। রুহি তাড়াতাড়ি করে বলে ওঠে।
.
. বাকিরা ও সাঁঝের সাথে পরিচিত হয়। বেলা শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে ওদের তাল বাহনা।
.
–“ওয়েল তোমরা আজ থেকে তোমাদের প্র্যাক্টিস এখানে শুরু করতে পারো আমি তোমাদের জন্য সব অ্যারেঞ্জমেন্ট করে দিয়েছি। ওখানে তোমরা তোমাদের সব মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট পেয়ে যাবে। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” ওকে জিজ ।সবাই এক সাথে বলে ওঠে।
.
. এদিকে বেদ এক দৃষ্টিতে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সারা কে দেখে যাচ্ছে। চোখের পলক পড়ছে না বেদ এর। সারা এই কিউট ফেস দেখছে। চুল দু দিকে দুটো ঝুটি করে রেখেছে। যেটা তার কথা বলার সাথে সাথে দুলছে। হোয়াইট টপ যেটায় মিকিমাউস এর পেইন্ট করা। আর তার সাথে লাইট পিঙ্ক কালার এর শর্ট স্কির্ট পরে আছে।
.
. ওকে গাইজ তোমরা কথা বলো আমাকে বেরোতে হবে। বেলা একটু রুমে এসো। বলে সাঁঝ ওপরে রুমে চলে যায়।
.
. এদিকে সবাই মিট মিট করে হাসছে । রুহি বেলা কে ঠেলছে ওপরে যাওয়ার জন্য। বেলা একবার গরম চোখে তাকিয়ে ওপরে উঠে যায়।
.
. আর এদিকে সারিফ ও ঠিক এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রুহির দিকে। রুহি কিছুটা মারকুটে টাইপ। যে কথা বলার সময়ে চোখ গুলো বড় বড় করে নিচ্ছে। কথায় কথায় মারতে যাচ্ছে। সারিফ এটা দেখেই নিজের মনে মুচকি মুচকি হাসতে থাকে।
.
.এখানে সারিফ ও বেদ এর মনে তাদের অজান্তেই প্রেমের ঘন্টা বেজে গেছে। তাদের মনে তাদের প্রেয়সি প্রবেশ করে গেছে যেটা তারা বুঝতেই পারিনি।
.
.
. বেলা রুমে আসতে হঠাৎ হ্যাচকা টানে তাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে সাঁঝ। বেলা আচমকা এমন হওয়াতে হতভম্ব হয়ে গেছে। সাঁঝ বেলার শাড়ি ভেদ করে বেলার পেটে হাত দিয়ে চেপে ধরে।বেলা ব্যাথার ভয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়। কিন্তু আশ্চর্য ভাবে তার কোনো ব্যাথা অনুভব হয় না। বরং সাঁঝ এর ছোঁয়াতে তার শরীরে কাঁপা কাপি হচ্ছে। সাঁঝ মুখ নিচু করে বেলার মুখের কাছে নিয়ে গিয়ে বলে ওঠে।
.
–“দেরি করলে কেনো রুমে আসতে। আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
.
–” তো আমি কি করব। আপনি ডাকলে আমাকে আসতে হবে নাকি।বেলা চোখ চেপে বন্ধ করে একদম বলে ওঠে।
.
–“সেটাই তো মনে হচ্ছে। আমি ডাকলে তোমাকে আসতে হবে। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” একদম ন….
.
. সাঁঝ বেলার ঠোঁট নিজের ঠোঁটের মাঝে নিয়ে নেয়। বেলা কে আর কথা শেষ করতে দেয় না। বেলা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে যায়। নিজেকে ছাড়াতে সাঁঝ এর গায়ে ধাক্কা দিতে থাকে কিন্তু নিজের থেকে সাঁঝ কে এক চুল পরিমাণ সরাতে পারে না। বাধ্য হয়ে শান্ত হয়ে যায় বেলা।
.
. সাঁঝ নিজের মত করে বেলার রসালো ঠোঁটে মেতে আছে। বেলার ঠোঁট এর মধ্যে নিজের গভীর বিচরণ করছে। কিছুক্ষণ পর বেলার ঠোঁট ছেড়ে সরে যায়। বেলা নিজে কে ছাড়া পেয়ে দেয়ালের সাথে লেগে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে। সাঁঝ কে নিজের কাছে না পেয়ে চোখ খুলে তাকাতে দেখে সাঁঝ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চুল ঠিক করছে। সাঁঝ নিজের কাজ করতে করতে কোনা চোখে একবার বেলা কে দেখে নিয়ে নিজের ফোন নিয়ে বেলার কাছে গিয়ে বেলার কপালে একটা গভীর চুমু খেয়ে বলে ওঠে।
.
–“আমি অফিসে যাচ্ছি ভালো মেয়ের মত থাকবে। আর হ্যাঁ একদম পালানোর চেষ্টা করবে না। যদিও তুমি সেটা করে দেখতে পারো। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। কারণ বাড়ির চারদিকে সিকিউরিটি গার্ড আছে তাদের চোখ এড়িয়ে একটা মাছি ও এদিকে ওদিকে যাবে না আর তুমি তো একটা মানুষ। বলে বাঁকা হেসে ওঠে।
.
–“আমার কাছে থেকে ছাড়া পাওয়া এত সহজ নয় সুইটহার্ট তাই নিজের মাথা না খাটিয়ে নিজের নেক্সট প্রোগ্রাম নিয়ে কনসেনট্রেট করো সেটাই ভালো হবে। ওকে সুইটহার্ট। বলেই সাঁঝ আবারো মুখ নিচু করে টুপ করে বেলার ঠোঁটে চুমু খেয়ে বেরিয়ে যায়।
.
. আর এদিকে বেলা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সাঁঝ এর এমন কাজে পুরো ফ্রিজ হয়ে গেছে। নিজের ফোনের রিং বাজতে ঘোর কেটে যায় বেলার। ফোন হাতে নিয়ে দেখে একটা মেসেজ জিন্দেগি নামের সেভ করা নাম্বার থেকে।
.
–“আমাকে নিয়ে অত ভেবনা সুইটহার্ট। আমি তোমার হাজবেন্ড তুমি আমার ওয়াইফ তাই তোমাকে কিস করার এটুকু রাইট তো আমার আছে তাই না সোনা। আর আমাকে নিয়ে ভাবো ক্ষতি নেই। কিন্তু বেশি না তাহলে নেশা হয়ে যাবে।..
.
. বেলা মেসেজ টা পড়ে মুচকি হেসে আবারো মুখ বেকায়। নীচে গিয়ে সবার সাথে আড্ডা দিতে থাকে সব একসাথে হয়ে মেতে আছে তাদের নিউ ইন্সট্রুমেন্ট নিয়ে তাদের সাথে আছে সারা ও।

—————

–“ভাবি চলোনা তুমি আমাকে একটু ডান্স প্র্যাক্টিস করাবে। আর তার সাথে তোমার ও হয়ে যাবে। আর তাছাড়া ভাইদের আসতে এখন অনেক বাকি সবে তো মাত্র সাড়ে আটটা বাজে। সারা বেলা কে টানতে টানতে বলে ওঠে।
.
–” ওকে ওকে চলো।বলে বেলা সারা সাথে যেতে লাগে।
.
–“আজকে খুব মজা হয়েছে তাই না ভাবি।জানো আজকে আমি অনেক দিন পর এমন আনন্দ করেছি। আর তোমার ফ্রেন্ড গুলো ও খুব ভালো। সারা বলে ওঠে।
.
–“তাই নাকি। বেলা মিষ্টি হেসে বলে ওঠে।
.
–” ইয়েস। এখন চলো রেডি। সারা বলে ওঠে।
.
. সারা বেলার জন্য নীচে বানানো মিউজিক রুমে নিয়ে গিয়ে মিউজিক অন করে দেয়। বেলা মাঝে দাঁড়িয়ে পজিশন নেয়। শাড়ি পেটের সাথে গুঁজে নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। আর তার সাথে সারা।
.
.
. 🎶আঙ্গ লাগা দে রে মোহে রাঙ্গ লাগা দে 🎶
.
. এই গানে প্রতি স্টেপ বাই স্টেপ মুভমেন্ট দিতে থাকে আর তার সাথে সারা। বেলার সাথে মিলিয়ে সারা তার সাথে তালে তাল মেলাতে থাকে। কিছুক্ষণ নিজে করতে করতে হাপিয়ে যায় আর স্টেপ ও গড় বড় করছে বলে পাশে দাঁড়িয়ে গিয়ে বেলার ডান্স দেখতে থাকে। বেলার প্রতি টা মুভ মুভমেন্ট। প্রতিটা স্টেপ। একদম পারফেক্ট। প্রতিটা বিটে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে। বেলার নাচ দেখে সারা গালে হাত দিয়ে অবাক দিয়ে দেখছে। বেলার ফেলেক্সিবেল বডি দেখছে এদিক ওদিক সব দিক অনায়াসে ঘুরে যাচ্ছে।
.
. বেলা নিজের মত ডান্স করেছে তালে তালে প্রতি স্টেপ বাই স্টেপ। বেলা একবার নাচের মধ্যে ডুবে গেলে তার আর কোনো দিকে ধ্যান থাকে না। সে তার মত করে ডুবে যায়। বেলা হটাৎ নিজের শরীরে সাথে আরো একটা শরীর মিশতে দেখে অবাক হয়ে যায় কারণ সারা তো অনেক আগে সরে গেছে তাহলে কে। বেলা পিছনে ঘুরতে নিলে হঠাৎ তার কোমর জড়িয়ে রেখে মাটি থেকে উচু করে তোলে।
.

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৪
..সাঁঝ বেলার কোমর ধরে নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে উচু করে ওপরে তুলে ধরে বেলা নিজের বডি সাঁঝ এর ঘাড়ে ছেড়ে দিয়ে এক হাত ঘুরিয়ে হালকা মাথা পিছনে করে সাঁঝ এর গলা জড়িয়ে ধরে। সাঁঝ নিজের এক হাত আসতে আসতে বেলার কোমর থেকে ওপরে দিকে অগ্রসর করায়। বেলা কে ঘুরিয়ে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে আসতে নিচে নামায় মুখের সাথে মুখ লেগে সাঁঝ এর বডি এর সাথে বেলার বডি মিশিয়ে। সাঁঝ এক পা হেলিয়ে নিজের পায়ের সাথে ভর করায় বেলা কে। বেলা ঘোর কেটে সাঁঝ এর থেকে সরে যেতে নিলে সাঁঝ বেলা কে শক্ত করে নিজের সাথে জড়িয়ে রাখে। চোখের ইশারায় পুরো ডান্স কম্পিলিট করতে বলে।
.
. এদিকে বাইরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে টম অ্যান্ড জেরির মত মাথা বের করে উকি দিচ্ছে সারা ও সারিফ। সারার হাতে ফোন ধরে রাখা আছে ভিডিও করছে সাঁঝ আর বেলার ডান্স। আসলে সারা একটা ফোন আসতে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আর তখনই সাঁঝ রুমে এন্ট্রি নেয়।
.
.
.🎶রাত বান্জার সি হে কালে খান্জার সি হে
তেরে সিনে কি ল মেরে আন্দার ভি হে
তু হাওয়া দে ইসে তো মেরা তান জালে।
জালা দেরে সাঙ্গ জালা দেরে
মোহে আঙ্গ লাগা দেরে
মে তো তেরি জোগানিয়া তু যোগ লাগা দেরে 🎶

. বেলা নিচে বসে এক দিকে হেলে গিয়ে হাতের মুদ্রা করতে সাঁঝ পিছন থেকে বেলার ঘাড়ে নিজের মুখ লাগিয়ে দু হাত দিয়ে বেলা কে তুলে নেয়। বেলা এক পা সাঁঝ কোমরে জড়িয়ে অন্য পা লম্বা করে দেয়। সাঁঝ বেলা কে ঘুরিয়ে দিতে বেলা মেঝেতে উপুড় হয়ে যায়। সাঁঝ বেলার কোমরে সাথে নিজের হাত আর বেলার ঘাড়ে নিজের মুখ রাখে।
.
. গান শেষ হতে বেলা নিজের নাচের জগত থেকে বেরিয়ে আসে নিজের ওপর সাঁঝ কে দেখে বেলার এক্সপ্রেশন চেঞ্জ হয়ে যায়। চোখ মুখ শক্ত করে দু হাত দিয়ে সাঁঝ কে ঠেলে সরিয়ে উঠে পড়ে। বেলা বেরিয়ে যেতে নিলে সাঁঝ বেলার শাড়ির আঁচল ধরে পিছন থেকে। বেলা ঘুরিয়ে গিয়ে নিজের শাড়ির আঁচল ছাড়িয়ে নিয়ে সাঁঝ এর দিকে আঙুল তুলে চোখ রাঙিয়ে বলে ওঠে।
.
–” আমার থেকে দূরে থাকুন। না হলে এর ফল ভালো হবে না। একদম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেন না। না হলে এর পর যা হবে তার জন্য আপনি দায়ী থাকবেন। মাইন্ড ইট।
.
–” আমি অপেক্ষায় রইলাম দেখার জন্য সুইটহার্ট। সাঁঝ বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
.বেলা কোনো কথা না বলে বেরিয়ে যায়। আর এদিকে টম অ্যান্ড জেরি পগারপার হয়ে যায়। সাঁঝ মেঝেতে শুয়ে হাতের ওপর মাথা দিয়ে বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
–“তোমাকে তো আমার করে নেবো সুইটহার্ট। আমার নেশায় তোমাকে পাগল করব। ঠিক যেমন আমি তোমার নেশায় অ্যাডিক্টেড হয়েছি। তোমার আসক্তি পাগল হয়েছি। ঠিক তেমন ভাবে আমার ভালোবাসা দিয়ে মুড়ে নেবো। আমার হিংস্রতার মাঝে নেশায় আসক্ত ভরা ভালোবাসা দেখাব তোমাকে এবার। আমার অবিরাম পাগলামি আর অফুরন্ত ভালোবাসা সহ্য করার জন্য তৈরী হয়ে যাও সুইটহার্ট। মিসেস বেলা সাঁঝ রওশন।
.
. এদিকে বেলা রুমে এসে দু হাত নিজের চুল ছিড়তে লাগে। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে গেছে বেলা কে দেখতে পুরো বিধস্ত লাগছে। বেলা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখছে। আর তার সাথে সাথে একটু আগে সাঁঝ এর সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো মনে করতে নিজেই নিজের গলায় আচড় কাটছে। যেখানে যেখানে সাঁঝ তার ঠোঁট ছুঁয়েছে সেখানে নিজের হাতের নখ দিয়ে আচড় কাটছে। কেটে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। কিন্তু এতে যেনো বেলার একটু ও কষ্ট হচ্ছে না। আয়নার দিকে নিজের বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে বলে ওঠে।
.
–“ভালোবাসা না ? এই ভালোবাসা তোমার কাল হবে। তোমার এই অতিরিক্ত ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে শেষ করব। ঘৃণা করি আমি। পৃথিবীর সব থেকে বেশি আমি ঘৃণা করি তোমাকে সাঁঝ। ঘৃণা করি তোমায়। অতিরিক্ত অফুরন্ত অবিরাম। এই ঘৃণার কোনো অন্ত নেই। আমার ভালোবাসা নিয়ে খেলার পরিণতি এবার তুমি দেখবে। বিয়ে না। এবার দেখো এই বিয়ে কেমন তোমার গলার ফাঁস হয়ে যায়। যেখান থেকে বেরোনোর জন্য তুমি ছটফট করবে কিন্তু তুমি বেরোতে পারবে না। আমার প্রতি তোমার এই লোক দেখানো অতিরিক্ত ভালোবাসায় তোমার শেষ ডেকে আনবে। আমাকে করা প্রতি টা অপমান এর বদলা আমি নেবো। এই বেলা খান তার বদলা কখনও ভলে না। তৈরী হও আমার বার প্রতিরোধ করার জন্য।
.
. বেলা ওয়াশরুমে ঢুকে শাওয়ার এর নীচে বসে কাঁদতে থাকে। আজ যেনো তার কান্না করার শেষ দিন। শাওয়ার এর পানি গায়ে কাঁটা জায়গা পড়তে জ্বলে যাচ্ছে এতে যেনো বেলার কোনো ভ্রুক্ষপে নেই। সে তার মত মূর্তি হয়ে বসে আছে। চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। মুখ দিয়ে শুধু বিড়বিড় করছে।
.
–“কেনো করলে এমন সাঁঝ ? কেনো আমার ভালোবাসা কে অপমান করলে জিন্দেগি ? কেনো ? আমিতো শুধু তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম। তুমি আমার ভালোবাসা কে এই ভাবে পায়ের তলায় পিষে দিলে ? আই হেট ইউ সাঁঝ। আই হেট ইউ। বলতে বলতে আসতে আসতে পিছনে দেয়ালের সাথে ঢোলে পড়ে বেলা। আসতে আসতে নিসতেজ হয়ে পড়ে।

—————-

–“ম্যাম সাঁঝ রওশন বিয়ে করে নিয়েছে।
.
–” হোয়াট! এস.আর বিয়ে করেছে। কবে ? কার সাথে ? ফোনের ওপারে থেকে কেউ চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
–“ম্যাম । কালকে । বেলা খান কে বিয়ে করেছে।
.
–” কালকে বিয়ে করে নিয়েছে। কি করে। তোমরা কি করছিলে। তোমাদের কাল ওই বেলা কে তোলার কথার ছিল না তাহলে তোমরা কি ঘাস কাটতে গেছিলে নাকি ? আজ আমাকে বিয়ের খবর দিতে এসেছ।
.
–“ম্যাম আমাদের চোখের সামনে দিয়ে সাঁঝ রওশন বেলা কে তুলে নিয়ে গেছে। আমরা ওকে তুলতে নিচ্ছিলাম কিন্তু তখনই সাঁঝ রওশন ও তার গার্ড এসে বেলা কে তুলে নিয়ে গেছে সাথে বিয়ে ও করে নিয়েছে। আমরা কিছু করতে পারিনি।
.
–” বাহ খুব ভালো খবর। তোমাদের আমি কি আমাকে এই সব খবর দেয়ার জন্য দুধ কলা দিয়ে পুসছি। একটা মেয়ে কে তুলতে পারনা। মুখে শুধু বড় বড় বাতেলা না। আসছি আমি সব কোটা কে গরম তেলে কষা করব।
.
.তুই খুব বড় ভুল করেছিস বেলা। খুব বড় ভুল। সাঁঝ এর দিকে হাত বাড়িয়েছিস। ওই হাত আমি ভেঙে দেবো। সাঁঝ শুধু আমার। সাঁঝ আমার না হলে আর কারোর হবে না। তোকে আমি সাঁঝ এর জীবন থেকে দূরে থাকতে বলেছিলাম কিন্তু তুই শুনিসনি। এবার তো এর মাশুল গুনতে হবে বেবি। মরার জন্য প্রস্তুত হও সোনা। আসছি আমি তোমার ভালোবাসা কে আবার আরেকবার তোমার থেকে কেড়ে নিতে। তোকে সরানোর জন্য কত চেষ্টা করলাম কিন্তু তুই প্রতিবার কোনো না কোনো ভাবে বেঁচে যাস। সেটা এবার আর হবে না এবার আমি নিজে হাতে পুড়িয়ে মারব। ঠিক যেমন তোর বাবা মা কে কেড়ে নিয়েছে আমার ড্যাড । এবার ঠিক তেমন ভাবে আমি তোকে মেরে ফেলব। তোর জন্য শুধু তোর জন্য আমি আমার ড্যাড কে হারিয়েছি। তোকে আমি কিছুতে বাঁচতে দেবো না। তোর মরণ আমার হাতেই লেখা। চুল দিয়ে মুখ ঢাকা মুখ বোঝা যাচ্ছে না। হাতে বেলার ছবি যেটা সামনে থাকা ক্যান্ডেল এর আগুনে ধরে আছে। আগুন লেগে আসতে আসতে বেলার ছবিটা পুড়ছে। আর মেয়েটি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে হাসছে।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here