দিওয়ানা পর্ব শেষ

#দিওয়ানা
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_১৪

-“গাইজ সবার জন্য আরো একটা সারপ্রাইজিং অ্যানাউন্স আছে আর সেটা হল আমন ও সোহার ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন আর সেটাও এখন হবে। সম্রাট চৌধুরী সবার মাঝে দাঁড়িয়ে বলে ওঠেন।

সবার মাঝে হড়বড়ি পড়ে গেছে সবাই যেমন অবাক হয়েছে তেমন খুবই খুশি হয়েছে আর সোহা আমন একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে দুজনের মুখে অবাক হওয়ার একটা চিহ্ন ফুটে আছে। অ্যাস সাথে সাথেই লাফিয়ে ওঠে। আভা চৌধুরী ও সম্রাট চৌধুরী দুজন একসাথে জড়িয়ে নিয়েছে আমন আর সোহাকে। সবাই যখন ওদের নিয়ে আনন্দে মেতে আছে তখন অন্য দিকে মণিকা রাগে ফুলছে চোখ মুখ পুরো আগুন হয়ে আছে।

-“অ্যাকচুয়ালি এটা ছিল আমার রোদ আর আমার সোনাই মায়ের জন্য। ওরা দুজনেই কেউ পছন্দ করে না লোক দেখানো বিয়ে। ওরা মনে করে যে টাকা খরচ করে বাকিদের খাওয়ানো হবে সেটা পুরোটাই গরীব বাচ্চা অনাথ ও পথ শিশুদের খাওয়ানো ভালো বরং তারা একদিন তৃপ্তি ভরে খেতে পারবে। কিন্তু রিলেটিভদের খাওয়ানো মানেই নিজেই নিজের নিন্দা কুড়ানো। তাই ওদের জন্য এই সিম্পল ভাবে একটা আয়োজন আমার আর ওদের ড্যাড এর থেকে। আভা চৌধুরী হাসি মুখে বলে ওঠে।

সবাই মিলে একসাথে আমন আর সোহা কে চারিদিকে থেকে ঘিরে রেখেছে আমন সোহা পাশাপাশি বসে আছে। দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে হেসে উঠছে। তাদের দুজনের পাশে বসে আছে আভা চৌধুরী ও সম্রাট চৌধুরী। আর ওদের মাঝখানে পিছন থেকে ওদের জড়িয়ে রেখেছে অ্যাস । সামনে উকিল সাহেব বসে সমস্ত পেপার্স রেডি করছে। ওদের থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে প্রাণঘাতি দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে মণিকা। চোখে মুখে দেখলে মনে হবে এখনই মেরে ফেলবে।

অফিসার সমস্ত পেপার্স এগিয়ে দিতেই আমন এক দৃষ্টি সোহার দিকে তাকায়। সোহার চোখে চোখ রেখেই মুচকি মাথা নাড়ে সোহা ও আমন এর দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে মাথা নাড়িয়ে দেয়। আমন সাইন করতেই এবার সোহার দিকে এগিয়ে দেয়। সোহা একবার সামনে রাখা পেপার্স এর দিকে তাকায়। চোখ ভর্তি পানি ভরে গেছে। পিছন থেকে অ্যাস আর পাশের থেকে আমন এর মম সোহা কে জড়িয়ে ধরে। আমন এর মম সোহার কপালে একটা চুমু খায়। সোহা এবার আমন এর দিকে তাকাতেই আমন সোহার হাতে হাত রেখে চেপে ধরে। এবার সোহা ও সেম ভাবে মাথা নাড়ে আমন এর দিকে তাকিয়ে। আমন ও হেসে মাথা নাড়িয়ে দেয়। সোহার চোখ দিয়ে বিন্দু বিন্দু পানি গড়িয়ে পড়ছে। আর ঠোঁটে রয়েছে মুগ্ধতার হাসি। সোহা আমন এর হাতে এর মাঝের নিজের হাত রেখেই পেপার্স সাইন করে। সাথে সাথে চারিদিকে থেকে হাততালি আর ওপর থেকে ব্লাস্টার এর ধোঁয়াতে ভরে যায় পুরো জায়গা।

রেজিষ্ট্রেশন ম্যারেজ এর পর পরই ওপর থেকে একটা নেটের পর্দা পড়ে যায় ঠিক আমন আর সোহার মাঝে। দুজন হাতে হাত রেখে পাশাপাশি বসে থাকলে কি হবে তাদের মুখ পর্দার এপার ওপারে হয়ে গেছে এটা হতে আমন আর সোহা চমকে গেছে। ভালো ভাবে তাকাতেই তাদের মুখের থেকে হাসি ছুটে যায়। আমন এর ড্যাড আমন এর কাঁধে হাত রেখে সামনের দিকে ইশারা করে। অ্যাস আর আভা চৌধুরী দুজন এই একসাথে সোহার থুতনি ধরে সামনের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। সামনে তাদের বিয়ে বৈধ্য ভাবে হওয়ার জন্য কাজী সাহেব বসে আছেন। সোহা আমন সামনে তাকিয়ে সাথে সাথে একে অপরের দিকে তাকায়। দুজন এর চোখে রয়েছে একরাশ ভালোবাসা।

এখন সময় এসে গেছে কবুল বলার সময়। ওদের বিয়ের সমস্ত নিয়ম মানার সময়ে থেকে একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে আছে। আমন কে কবুল বলতে বললেই।

-” কবুল… কবুল… কবুল। আমন এক দৃষ্টিতে সোহার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।

সোহা ও আমন এর দিকে তাকিয়ে আছে তাদের দৃষ্টি যেনো একে অপরের থেকে সরছে না একদম চম্বুক এর মত জুড়ে গিয়েছে। সবাই ওদের দিকে দেখছে আর মিট মিট করে হাসছে । এবার সোহা কে কবুল বলতে বলা হয়।

-” ক..কবুল….. কবুল… কবুল… কাবুল।
সোহার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছে ঠোঁটের কোণে রয়েছে মিষ্টি হাসি দৃষ্টি স্থির আমন এর ওপর।

আমন একটু তাড়াতাড়ি বললে ও সোহার প্রথম একটু গলা কেঁপে যায়। ওদের এই ভাবে দেখেই সবাই সাথে সাথে হেসে ওঠে হাততালি আর চারিদিকে থেকে ব্লাস্টার ফাটাতে থাকে ওদের সারা গায়ে চিক চিকে আর কালার ভরে যায়। বিয়ে পড়ানো হয়ে যেতে পর্দা ও উঠে যায়। আর সাথে সাথে দুজন দুজন এর মুখে হাত রাখে যেনো কত জনম পর ওরা এত কাছে থেকে দেখছে।

পুরো লিভিং রুম টাকে এবার পার্টি ফ্লোর বানিয়ে ফেলে। সমস্ত লাইট চেঞ্জ হয়ে যায়। আর সাথে লেগে যায় আমন এর সমস্ত ফ্রেন্ডদের নাচাগানা। সোফায় বসে আমন সোহা পাশাপাশি ওদের দেখছেন।

একে একে সবাই পারফরম্যান্স করতে থাকে। এমনকি আমন এর মম ড্যাড পর্যন্ত ও। সবাই একসাথে হইহুল্লোড় করতে থাকে। আমন এক দৃষ্টিতে সোহা কে দেখছে ।সোহার নজর সামনের দিকে মাঝে মাঝে আমন এর দিকে তাকিয়ে কি? ইশারা করতে আমন মুচকি হেসে মাথা নেড়ে কিছু না বলে। সবাই পারফরম্যান্স করার পরই এবার অ্যাস ছুটে এসে আমন কে টেনে তোলে। সবাই এর রিকোয়েস্ট শুনে জন্য আমন সোহার দিকে তাকায় সোহা ও মুচকি হেসে মাথা নেড়ে দেয়।

আমন লিভিং রুম এর মাঝে বসে আছে হাতে আছে গিটার। আমন এর ওপর একটা আলাদা স্পট লাইট ফেলা হয়েছে আর চারিদিকে খুব সুন্দর আলোয় পুরো পরিবেশ ভরে আছে। আমন মাথা তুলে সোহার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি নিয়েই গিটার এর টিউন তুলতে থাকে।

🎶মেইনে যাব দেখাথা তুঝকো
রাত ভার বহন ইয়াদ মুঝকো
তারে গিনতে গিনতে সো গেয়ে
দিল মেরে ধাড়কাথা কাসকে
কুছ কাহা থা তুনে হাসকে
মে উসি পাল তেরা হো গেয়া
আসমানো পে জো খুদা হে
উসসে মেরি এহি দুয়া হে
চান্দ এ হার রোজ মে
দেখু তেরে সাথ মে

আখ উট্টী মোহাব্বাত নে
আঙ্গড়াই লি দিলকা সউদা হুয়া
চান্দ রাত মে
হো তেরি নাজরো নে
কুছ অ্যাইসা জাদু কিয়া
লুট গেয়া হাম তো
পেহলি মুলাকাত মে

হোওও… আখ উট্টী……. 🎶

সোহা বসে থেকেই এক দৃষ্টিতে আমন এর দিকে তাকিয়ে আছে আর তার সাথে আমন ও সোহার মুখের দিকে তাকিয়ে পুরো গানটা শেষ করে। পুরোটা গানের সময়ে সোহার ইউনিভার্সিটি দেখা থেকে শুরু করে এই পর্যন্তই সমস্ত মুহূর্ত গুলো ভেসে উঠে ছিল। সবাই এক দৃষ্টি নিয়ে আমন আর সোহার চোখের ইশারা দেখ ছিল। যেখানে আছে প্রাণ ভরা ভালোবাসা।

সবাই সবার মত পার্টি ইনজয় করছে সবাই মত্ত হয়ে আছে আমন সোহা কে নিয়ে ।এদিকে মণিকা সবার আড়ালে রাগে ফুসতে ফুসতে সবার চোখ এড়িয়ে সোফায় একা বসে থাকা সোহার কাছে চলে আসে। সোহার সোফার পিছনে বসে বসে হাতে থাকা লাইটার নিয়ে নিচে ছড়িয়ে থাকা সোহার গাউন এর নিচের পার্টে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাথে সাথে মুখে ফুটে ওঠে এক শয়তানি হাসি।

সবার নজর পার্টি থাকলেও হুট করেই আভা চৌধুরী সোহার দিকে তাকাতেই দেখে সোহার ড্রেস আগুন লেগে গেছে। নেটের ড্রেস হওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি ধরে উঠছে। আভা চৌধুরী ছুটে যাওয়ার আগেই আমন হাতের গিটার ফেলে লাফিয়ে নিজের ব্লেজার খুলতে খুলতে এগিয়ে যায়। সোহার কাছে গিয়েই সোহা কে চেপে ধরে। পাশের থেকে পর্দা টেনে ছিড়ে নিয়ে সোহার গায়ের ওপর দিয়ে আগুন নিভাতে থাকে। এদিকে সোহা এত সব কাণ্ডে পুরো ফ্রিজ হয়ে গেছে ওর মুখে কোনো রিয়াকশন নেই। পুরোই হতভম্ব হয়ে আছে। আমন সোহার ড্রেস এর আগুন নিভিয়ে দিয়ে সোহা কে শক্ত করে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে। যেনো ছেড়ে দিলে এখুনি হারিয়ে যাবে। আমন এর পুরো মুখেই ফুটে আছে আতঙ্কের ছাপ। ওখানে থাকা বাকিরা ও চুপচাপ হয়ে গেছে তারা হঠাৎ করে কি হয়েছে বুঝে উঠতে পারিনি সবাই হতভম্ব হয়ে গেছে। সবার সামনে এটা কি করে হতে পারে এটা ভেবেই সবার চিন্তা হচ্ছে।

আমন এর মম আর ড্যাড গিয়েও সোহা কে জড়িয়ে ধরে। এবার সাথে সাথে সোহা কেঁদে ফেলে। এতক্ষণ হতভম্ব হয়ে বসে থাকলেও এবার কান্নায় ভেঙে পড়ে. আসলেই যে মানুষের সাথে কখনোই ভালো কিছু হয়না সবসময়ই কষ্টের মুখো মুখি হতে হয় তারা যদি হঠাৎ একটু ভালোবাসা আর আনন্দ পাওয়ার পর আবার একই ঘটনা দেখে তাহলে ভেঙে পড়া স্বাভাবিক আর এখন সোহার ও ঠিক তেমনই অবস্থা। সোহা তার মণি ও সিম সিম কে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে। সোহা কে ধরে সোফায় বসিয়ে দেয়। আমন পানি এনে কিছুটা মুখে ছিটিয়ে দিয়ে পানি খাওয়ায়। সোহা একটু শান্ত হতে আভা চৌধুরী আমন কে সোহার পাশে বসতে বলে উঠে যায়।

-“ঠাসসসসস….. ।

এমন একটা জোরে থাপ্পড় এর আওয়াজ পেয়ে সবাই সোহার থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকাতেই অবাক হয়ে যায় । আভা চৌধুরী আগুন চোখ মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আর তার সামনে মণিকা গালে হাত দিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। এবার সবাই বুঝতে পারে আসলেই থাপ্পড় এর আওয়াজ কোথায় থেকে এলো। হ্যাঁ আভা চৌধুরী মণিকা কে থাপ্পড় মেরে দিয়েছে।

-“তোমার সাহস কি করে হয় এটা করার? আভা চৌধুরী চিৎকার করে বলে ওঠে।

-” আন্টি আমি বুঝতে পারছি না আপনি কিসের কথা বলছেন আর আমাকেই বা কেনো থাপ্পড় মারলেন কেনো? মণিকা একটু রুক্ষ আওয়াজ বলে ওঠে।

-“ঠাসসসসস… ।

সাথে সাথে আরো একটা গালে পড়ে। আর সবাই অবাক হয়ে এই দৃশ্য দেখে যাচ্ছে হঠাৎ করেই আভা চৌধুরী এর পাওয়ার সম্পর্কে সবাই অবগত হয়।

-” তোমার এত বড় সাহস যে তুমি আমার সোনাই এর ওপরে আঘাত হানো? সাহস হলো কি করে? তুমি জানো না ও কে? জানো না ওর দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে তার কি হবে? নিশ্চয়ই জানো না? আভা চৌধুরী আগের থেকে আরো বেশি গলা চড়িয়ে চিৎকার করে বলে ওঠে।

-” আপনি কি বলতে চাইছেন? মণিকা সমানে তর্ক করে যাচ্ছে।

-” তোমার হাতের এই হালকা পুড়ে যাওয়া টাই প্রমাণ করে তুমি কি করেছো তাই নাকি? তুমি এত বড় একটা অপরাধ করার পর ও কি করে উঁচু গলায় কথা বলো? আভা চৌধুরী চিৎকার করে ওঠে।

সাথে সাথে মণিকা চমকে গিয়ে নিজের হাতের দিকে তাকায়। হ্যাঁ সোহার ড্রেস এর আগুন লাগাতে গিয়ে মণিকার ও কিছুটা হাত পুড়ে গিয়েছিলো আর এখন সেটাই ধরতে পেরেছে। মণিকা ভীতু চোখে সামনের দিকে তাকায় সাথে সাথে দেখতে তিনটে জ্বলতে থাকা চোখ যেনো আগুন বের হচ্ছে।

-“তোমার সাহস কি করে হল? আজ তুমি সোহা কে ইউনিভার্সিটি অনেক অপমান করেছ তোমার জন্য আবারো সোহা মাথায় চোট পেয়েছে। আর এটা তো তোমার সব সীমা পার করে দিয়েছে। অ্যাস চিৎকার করে বলে ওঠে।

-” হোয়াট? সোনাই আবারো ওর জন্য আঘাত পেয়েছে? এটা আমাকে আগে কেনো বলনি? সম্রাট চৌধুরী এবার হুঙ্কার করে বলে ওঠে।

-” আমি কখনই মেনে নেবো না আমার সোনাই এর গায়ে একটা চোট ও। যে ওকে চোট পৌঁছেছে তাকেই আমি শেষ করে দিয়েছে একেবারে জন্য পথের ভিখারি করে ছেড়েছি। আর তুমি? তোমার সাহস হলো কি করে? আমি এর আগেও ওর্য়ানিং দিয়ে এসেছিলাম তার পর ও? সম্রাট চৌধুরী রেগে বলে ওঠে।

-” হ্যালো সম্রাট চৌধুরী বলছি। মিস মণিকা মালহোত্রা কে ইউনিভার্সিটি রাসট্রিকেট করে দাও আর তার সাথে এটা ও সিউর করো যেনো ভবিষ্যতে যেনো কোনো প্রাইভেট বা কোনো ইউনিভার্সিটি যেনো চান্স না পায়। সম্রাট চৌধুরী বলে ওঠে।

-” স্যার প্লিজ এমন করবেন না আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। আমি আর এমন কিছুই করব না। প্লিজ ক্ষমা করে দিন। মণিকা সম্রাট চৌধুরীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বলে ওঠে।

-” ক্যারিয়ার হা কিসের ক্যারিয়ার তোমার সারা জীবন জেলের কালো অন্ধকার ঘরে কাটবে। আর এটা যেনো হয় সেটা আমি দেখব। তুমি অনেক বড় ভুল করেছো আমার সোনাই এর দিকে হাত বাড়িয়ে। প্রথমে ওকে অপমান করেছো আঘাত করেছো তবুও তোমাকে ছাড়া যেতো কিন্তু তুমি পাপ করে ফেলেছ তুমি ওকে মারতে চেয়েছিলে তাই তুমি এখন অন্ধকার জেলের মধ্যে পচে মরবে। আভা চৌধুরী চিৎকার করে বলে ওঠে।

সম্রাট চৌধুরী আভা চৌধুরী এর কথা শুনে পুলিশে ফোন করে দেয়। মণিকা আর কোনো উপায় না দেখে জোরে জোরে কান্না করতে থাকে। আমন শুধু ফুসফুস করতে রয়ে গেছে কারণ এটা তার ড্যাড আর মম হ্যান্ডেল করছে মানে তাকে চিন্তা করতে হবে না। তাই সে সোহা কে জড়িয়ে নিয়ে বসে আছে। সোহা আমন এর বুকের মধ্যে বসে আছে এখনও ফুফিয়ে যাচ্ছে।

মণিকা কোনো উপায় না দেখে সোহার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু মাঝপথে মণিকা কেই আটকে দেয় তার সব বন্ধুরা। তারা এতদিন মণিকা কে সাপোর্ট করলেও তারা আজ দেখেছে মণিকা কি করতে যাচ্ছিলো আজ যদি সোহার একটা ভালো মন্দ কিছু হয়ে যেতো তাহলে কি হতো। মণিকা তার সব বন্ধুদের চোখে ও তার জন্য ঘৃণা দেখে।

-“সোহা প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি কখনই তোমার সামনে আসব না। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও। মণিকা ওখানে দাঁড়িয়ে থেকেই কান্না করতে করতে বলে ওঠে।

-” মম ওকে চোখের সামনে থেকে নিয়ে যাও নাহলে কোনো ভুল হয়ে যাবে। আমন তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে ওঠে।

-“ডোন্ট ওয়ারি মিস্টার আমন আমরা ওনাকে নিয়ে যাচ্ছি আর আমি নিজে দেখব যাতে ওনার কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি হয়। পুলিশ অফিসার বলে ওঠে।

মণিকা চিৎকার করে কান্না করছে আর মণিকা কে টেনে নিয়ে যাচ্ছে দুটো লেডি কনস্টেবল। আর বাড়ির বাকিরা ঘৃণার দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে মণিকার যাওয়ার দিকে। সোহা আমন এর বুকের মধ্যে মুখ গুঁজে আছে। আর আমন ও নিজের ভালোবাসা দিয়ে তার জেলেবি কে জড়িয়ে রেখেছে নিজের সাথে। ।
.
.
.
.💚💚💚
. চলবে…..

ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন রি-চেক করিনি জলদি জলদি লিখেছি। সবাই প্লিজ নিজেদের মতামত জানবেন। 😊 😊 😊

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here