দ্বিতীয় বাসর পর্ব ১০৮+১০৯+১১০

“দ্বিতীয় বাসর’ (গল্প),পর্ব-১০৮
হাসিনা সাঈদ মুক্তা

জামানের জীপ গাড়ীতে মিতালীকে নিয়ে বসে আছে পারুল। ওকে আদাবরের বাসায় চলে যেতে বলে বন্ধন, জামাকে ফোন করে দিয়ে আসতে বলে।
মিতু এখনও রেগে আছে বন্ধনের উপর।
ওর মনটা অশান্ত।সেতারা যাবার বেলায় মিতুকে বলে গেছে সব ঠিক হয়ে যাবে এবার। আর না হলে সে এসে নিয়ে যাবে।
মিতুর মনটা আর মানেনা।সব কিছুর প্রতি অবিশ্বাস আর বিতৃষ্ণা।
বন্ধন কেন তার সাথে এমন করলো?মিতু একবার বন্ধনের এক কলিগের কাছ থেকে জানতে পারে বন্ধন ইংল্যান্ডে গিয়েছে তার ট্রেনিং এর জন্যে।সেখানে পাঁপিয়ার সাথে বন্ধনের দেখা হয়।
আরও দুটো দেশের যেকোন একটিতে যাবার জন্যে বন্ধনকে প্রস্তাব করা হলে বন্ধন লন্ডনেই যায়।
সেখানে টানা তিন মাস থাকে বন্ধন বাবু।
“কিন্তু কেন?আমাকে একবার জানাবারও প্রয়োজন মনে করেনি বন্ধন?’
মিতুর রাগটা এটা শোনার পর যে পাঁপিয়াও ঐ দেশে ছিল যেখানে তার বন্ধন বাবু ছিল।
যে পাপী মানুষটির কারনে সে তার নিষ্পাপ বাচ্চাটিকে হারিয়েছে তার সাথে কি কারনে দেখা করেছে বন্ধন?
“আর তিনটা মাস লাগিয়ে দিলো? শুধুই কি দেখা ছিল পাঁপিয়ার সাথে না অন্যকিছু? ‘
মিতু এসব জানতে পারে পীর বাবার সাথে কথা বলার পর। যখন পীর বাবা তাকে বলে বন্ধনকে খুঁজে বের করতে, তখন মিতালী বন্ধনের একটা বুক পকেট ডায়রী থেকে ঐ কলিগের নাম্বার পায়।
আর এসব শোনার পর বিশেষ করে পাঁপিয়ার নামটা শোনার পর নিজেকে আর স্থির রাখতে পারেনি।
নিজের কাছে নিজেকে বড় ছোট মনে হতে থাকে।
মনে হয় বন্ধন ফিরে এসে আবারও তাকে নিঃস্ব করেই চলে গেছে। পরে মিতুর আর কোনো খোঁজ না নেয়ার আর কি কারন থাকতে পারে?
মিতালীর মনে হলো, বন্ধন তার অবুঝ মনের সাথে শুধুই খেলেছে, যখন ইচ্ছে হয়েছে ভালোবেসেছে,যখন ইচ্ছে হয়েছে তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।
এসব ভেবে ভেবে অসুস্থ হয়ে পড়ে মিতালী।
তাই কোনোভাবেই সে আর বন্ধনের কাছে ফিরে যাবেনা, চলে যাবে এ দেশ ছেড়ে।
এক প্রকার জিদ চেপে বসে প্রচণ্ড অভিমানে, মিতালী মিতুর।

গাড়ীতে বসে ড্রাইভ করার পূর্বে ক্যাপ্টেন জামানের সাথে কথা হয় বন্ধনের।
বন্ধন মিতালীকে তার বাসায় ভালোভাবে পৌঁছে দিয়ে আসতে বলে।
সেইদিনের কথাগুলো মনে পড়ে জামানের, যখন মিতু ভাবী নীলগিরিতে গিয়েছিল তখনও মিতালী অসুস্থ ছিল আর তার বন্ধন স্যার কাজে আঁটকে গিয়েছিল।
কিন্তু বারবার জামানের কাছে তার প্রিয় সহধর্মিনীর খোঁজ নিচ্ছিল।
ড্রাইভ করতে করতে ভাবে জামান,
“সত্যি আজব লাগে বন্ধন স্যারের এসব খামখেয়ালীপনা?অথচ দুজন মানুষ যে একজন, আরেকজনকে ছাড়া থাকতে পারেনা কেন যে ভাগ্য তাদের নিয়ে খেলছে…?’
জামান এবার মনে করে সেসব স্মৃতি।

হঠাৎ একদিন তার বন্ধন স্যার কক্সবাজারে চলে আসে।জামান ভীষন খুশী হয় তার প্রিয় স্যারকে ফিরে পেয়ে।
“স্যার আপনি কোথায় ছিলেন এতোদিন?’
“আমি ট্রেনিং এ চলে গিয়েছিলাম ইংল্যান্ডে…তুমি জানতে না?’
“স্যার কি করে জানবো?আপনার তো কোনো খোঁজই পাচ্ছিলামনা স্যার…!মিতুভাবী আপনার চিন্তায় কেমন হয়ে গেছে…। ‘
“আমি সব জানি জামান।’
“তাহলে আর দেরী করবেন না স্যার তার কাছে ফিরে
যান, যে আপনার পথ চেয়ে বসে আছে… মিতু ভাবী প্রতিদিনই আমাকে ফোন করে শুধু আপনার একটা খোঁজের জন্যে…।’
“আমি তোমার ভাবীর কাছে গিয়েছিলাম জামান…।’
“আমি জেনেছি স্যার, পারুল জানিয়েছিল…. ঐদিন আমার আর পারুলের বাগদান ছিল কিন্তু তারপর আপনি চলে আসলেন কেন স্যার ভাবীকে না জানিয়ে?মিতু ভাবী খুব ভেংগে পড়েছে…।’
“তোমার কি মনে হয় জামান আমি ভেংগে পড়ি নাই?মিতুর জন্য আমার কষ্ট হয় না?’
“তাহলে?’
“তুমি বলো জামান যাকে এত ভালোবাসি তার কাছে এতদিন পর ছুটে গিয়ে যদি দেখি, সে অন্য কারো সাথে ..! ‘
“অন্য কার সাথে?কি দেখেছেন…?’
“মিতুর মামাতো ভাই হীমেলকে দেখেছি।আমার শ্বশুর মারা যাবার দিন প্রথম তাকে দেখেছি। আজকাল প্রায়ই দেখি তোমার ভাবীর আশেপাশে।’
“স্যার ব্যাপারটা আমিও খেয়াল করেছি অনেক আগে থেকে তবে ভাবীর এখানে কোনো দোষ নাই,মিতু ভাবী এমন নয়…।’
“এমন নয় তো কেমন?তুমি বলো বাচ্চাটা হারানোর পর যতবারই আমি ওর কাছে ছুটে গেছি ও তো তার মামাতো ভাই নিয়েই ব্যস্ত।তারপর আমাকে সে চেনেনা রীতিমতো ঘৃনা করে,তবু তার কাছে গিয়েছি তাকে বোঝাতে, একটু কাছে পেতে….তবু সে ঐ লোককে নিয়েই ব্যস্ত! হীমেল সাহেবও মিতুর বাসায় পড়ে থাকে,রাতবিরাতে যখন তখন,মিতুকে সেও বুঝিয়েছে আমি এখন তার কেউ নই,সেই সবকিছু…।’
বেশ উত্তপ্ত মস্তিষ্ক বন্ধনের।
জামান কিছুটা থতমত খেয়ে যায় বন্ধন স্যারের কথা শুনে।
তবু বোঝাতে থাকে জামান,
“স্যার আপনি একটু শান্ত হোন….. কোথাও কোনো ভুল হচ্ছে…।’
(চলবে)”দ্বিতীয় বাসর’ (গল্প),পর্ব-১০৯
হাসিনা সাঈদ মুক্তা

বন্ধনের কথাগুলো ছেলেমানুষের মতো মনে হচ্ছিল তখন।তারপরও বন্ধনের মুখ থেকে সব শোনার পর জামান বুঝতে পারে বন্ধনের এ অভিযোগ অবান্তর নয়।
মিতুকে সে তার প্রাণের চাইতে ভালোবাসে সেটা জামান নিজের চোখে দেখেছে হসপিটালে এমনকি কক্সবাজারেও। যখন প্রথমবারের মতো মিতু মা হয় তখন মিতুকে ধরে ধরে প্লেনে ওঠানো,যদিও তা পরে কলিগের কাছ থেকে জেনেছে জামান; তারপর হঠাৎ করে কাজ পরে যাওয়ায় বন্ধনের আলাদা হওয়া এবং ফোনে বারবার মিতুর জন্যে তার ব্যাকুলতা সবই মনে আছে জামানের।
যে মানুষটা তার প্রিয়তমার চোখের পানি,শরীরের আঘাত যা পাঁপিয়া তাকে দিয়েছিল তা সহ্য করতে পারেনি প্রতিশোধ নিতে গিয়েছিল তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে এমনকি পরে ইংল্যান্ডে এই কারনেই গিয়েছিল পাঁপিয়ার সাথে শেষ বোঝাপড়া করতে….শেষতক পবিত্র নগরী মক্কা শরীফে গিয়ে যার সুস্থতা ও সুখী জীবনের জন্যে প্রার্থনা চেয়ে চোখের পানি ফেলে এসেছে, সে যদি দীর্ঘদিন পরে ফিরে এসে দেখে তার ভালোবাসার মানুষকে অন্য কোন পুরুষ অন্তরঙ্গভাবে মিশতে চাইছে,তার বিরুদ্ধে তাকে কথা বলছে তাহলে সে হৃদয় কেন ভেঙে পড়বে না?
বন্ধনের অনুযোগও তো মিথ্যে নয়?
সবকিছু ভালোভাবে শোনার পর জামানের আর বুঝতে বাকি রইলো না যে সমস্যাটা আসলে কোথায়।
মনে মনে ভাবে জামান,
মিতু ও বন্ধন দুজন দুজনের কোমল চেহারার আড়ালে রয়েছে একটা অবুঝ মন।দুজনাই বেশ আবেগপরায়ণ।
কেউ কাউকে সে নিজে ছাড়া অন্য কাউকে ভাগ দিতে চায়না।

কিছুক্ষন ভেবে জামাব বলে ওঠে এবার,
“স্যার আপনার কষ্টটা কোথায় আজ বুঝলাম কিন্তু আপনার হৃদয়ে যে কারনে আজ ভগ্নদশা আর যার কারনে আগুন জ্বলছে তাকে সে প্রিয় মানুষটিকে আপনি কি সব খুলে বলেছেন?’
“আর বলে কি হবে,সে কি বোঝে না আমাকে?আমি কি চাই সে কি রেখেছে খোঁজ?নিঠুরের মতো ব্যবহার, দূরে ঠেলে দিয়েছে আমায়…ভালোই তো আছে সে আমাকে ছাড়া?’
“না ভালো নাই স্যার?যে আপনার প্রাণ, আপনার নিঃশ্বাসে যার নাম তাকে ছাড়া সে কি করে ভালো থাকবে?একবার ভাবুন স্যার….আপনার সব রাগ এখানে সঠিক, কিন্তু ভাবেন তো বন্ধন স্যার আপনিও কিন্তু মিতু ভাবীকে কম শাস্তি দেন নাই?’
“আমি শাস্তি দিয়েছি!কি বলছো জামান?’
“দিয়েছেন হয়তো ইচ্ছাকৃত নয়,ইংল্যান্ডে চলে গেলেন দীর্ঘ তিনমাস সেখানে ছিলেম,ভাবীকে কোনোভাবে সে কথা জানাননি এমনকি আমাদের কাউকে নয়…এই একই আগুন আপনার বুকে জ্বলেছিল সেদিনই,যেদিন মিতু ভাবীর জন্মদিন ছিল, ভাবী আপনাকে চিনতে পারেনি,খারাপ ব্যবহার করেছিল ঐদিন,আর এ উত্তম সুযোগটা নিয়েছে ভাবীর মামাতো ভাই হীমেল…এর বেশী কিছু নয়।স্যার কেন বুঝতে পারছেন না,পাঁপিয়া যে কারনে শুধু আপনাকে পাবার আশায় মিতালী ভাবীর কাছ থেকে আপনাকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল,সেই একই কারন ঐ থার্ড পারসন হীমেল ঘটাতে চেয়েছিল….কিন্তু মিতু ভাবীর যখন আস্তে আস্তে সব মনে পড়ল,ভুল ভাঙলো,পাগলের মতো আপনাকে খুঁজেছে।স্যার ভাবীর জন্যে যেমন ব্যাকুল হতে আমরা আপনাকে দেখেছি,ঠিক একইভাবে আপনার জন্যে দিনের পর দিন ভাবীর পথ চেয়ে থাকা, চোখের জলে ভেসে গিয়ে নিজেকে নিঃশেষ হতে যাওয়া সেও আমি ও পারুল,মুহিন, সেতারা আপু নিজের চোখে দেখেছি।প্লিজ স্যার এবার ক্ষান্ত দিন…’
“কি বল্লে জামান?মিতু নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়েছে!হ্যা তুমি ঠিকই বলেছো শেষ যখন ওকে দেখি কেমন শুকিয়ে গেছে আমার মিতু?ওর ভাসা ভাসা চোখ দুটো কোটরে প্রায় ডুবতে বসেছে…. কেন এমন হচ্ছে বলোতো জামান?’
“সব ঠিক হয়ে যাবে স্যার,বাবাইকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন,নানুকেও নিয়ে আসেন স্যার।আপনাদের সোনার সংসার এভাবে উজাড় হতে দেবেন না…।’

জামানের কথায় যেন স্বস্তি ফিরে পায় বন্ধন বাবুর।
এবার ওর বুকটা কেমন হু হু করে ওঠে মিতুর জন্যে,সত্যি মিতুর উপর ওর রাগটা একটু বেশী হয়ে গিয়েছিল….দরজার একপাশে প্রবল জোরে হাতটায় আঘাত করে বন্ধন।
“মিতুকে না জানিয়ে এভাবে দূরে থাকা উচিত হয়নি,যদি সত্যি ওর কিছু হয়ে যেতো?আমাকে ক্ষমা করে দাও সোনা,খুব তাড়াতাড়ি তোমার শুন্যে বুকটায় আমি উজাড় করে ভরিয়ে দিবো….আর মাত্র কয়দিন পর আমাদের বিশেষ একটা দিন…বাসরের প্রথম রাতে আমাদের কোনো মধুময় স্মৃতি ছিলনা,কিন্তু এইবার…?
এইবার আর কোনো ভুল হবে না….কথা দিলাম খুব তাড়াতাড়ি আমি তোমায়,তোমার সেই স্বপ্নের বাসরে নিয়ে আসবো… আর তো কয়টা দিন…একটু অপেক্ষা করো মিতু…!’ (চলবে)”দ্বিতীয় বাসর’ (গল্প),পর্ব-১১০
হাসিনা সাঈদ মুক্তা

সেতারাকে বিদায় দিয়ে বাসায় ফেরে মিতালী।
ঘরে আসার পর ওর বুকটা যেন শুন্য হয়ে যায় …বাবা মারা গেছেন মাত্র ছয় মাস হয়েছে, মাকে হারিয়েছে শৈশবে।
আর যে মানুষটাকে এতো বেশী ভালোবেসেছে,সে কেবলই তাকে ফাঁকি দিয়েছে।কখনো ভাবেনি তার পথ চেয়ে কেবলই রাত জাগা পাখীর মতো কতনা ছটফট করেছে মিতু।
কিন্তু তাতে বন্ধনের কিছু মাত্র জ্ঞান ছিলনা।যদি থাকতো তবে এতোটা রূঢ় সে হতে পারতো না…।
আবারও সেই একই ভাবনায় ক্ষতবিক্ষত মিতু।
সেতারা যাবার বেলায় বারবার করে বলে গেছে তার আদরের ছোট বোনকে অযথা এসব ব্যাপার নিয়ে যেন একদমই না ভাবে।বাচ্চাটার কোনো ক্ষতি এখন করতে দেয়া যাবেনা।প্রয়োজনে তাদেরকে দ্রুত নিয়ে যাবে কথা দিয়ে গেছে মায়ের মতো বড় বোন সেতারা।

রহিমা খালা, রশিদ চাচা ঘুমিয়ে গেছেন তাদের ঘরে ততক্ষনে।
মুহিন আসে তাদের আব্বুর রুমে।ঐ রুমেই ঘুমায় মিতালী।
হাতে রেসুরেন্ট থেকে আনা খাবার ।
বোনকে সুধায়,
“আপু খাবানা?চলো খাই ভীষন ক্ষুধা লেগেছে।’
“তুই খা আমি খাবো না…।’
“কেন?কি হলো আবার?’
“আমার ভাল লাগছে না মুহিন।’
মুহিন হাঠু গেরে মিতুর কাছে এসে বসে ফের বলে,
“আপু শুনো এখন কোনো জিদ করা চলবে না,তোমাকে খাওয়ানো ও দেখাশোনা করা এখন আমার শাহী দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আমাকে পালন করতেই হবে…আর তুমি না খেলে আমিও কিন্তু খাবোনা।’
বেশ একটা মুরব্বীর মতো ভাব নিয়ে বলে মুহিন।
মুহিনের ভাব দেখে হেসে দেয় মিতালী।চোখের পানি মোছে, বলে-
“শাহী দায়িত্ব? তা কে দিলো রে আপু বুঝি?’
“হুম…আরও একজনও দিয়েছে..। ‘বিড়বিড় করে মুহিন।
খাবারের বাক্সগুলোর দিকে তাকায় মিতু।জিজ্ঞেস করে ,
“এই খাবারগুলো কোথায় পেলি মুহিন?’
মুহিন রান্না ঘর থেকে বাটি,চামচ, প্লেট নিয়ে আসে।
ফের সুপের ব্যাগটা খুলে বাটিতে ঢালতে ঢালতে বলে,
“রেস্টুরেন্ট এর খাবার।’
“সেটা তো বুঝলাম,কিনে দিলো কে?’
মিতুকে বাটিতে সুপটা এগিয়ে দেয় মুহিন,আমতা আমতা করে ফের বলে,
“কেন আমি কিনতে পারিনা?আর তুমি এতো প্রশ্ন করছো কেন?খাও তো…?’মনে মনে কি যেন বলে ওঠে ফের।
“তোকে না বলেছি,আজেবাজে অপচয় করবিনা?তোর কতই বা বয়স এখন?সেদিনই তো কতো টাকা খরচা করে বাজার এনেছিস,আমাকে আর সেতারা আপুকে নিয়ে গতমাসে শপিং করে দিলি?তুই তো একদম টাকা জমাতে পারবিনা মুহিন,এইভাবে খরচ করলে?’
“এতো টাকা জমিয়ে কি হবে মিতু আপু?কদিন পর তো তুমিও আমাকে ছেড়ে চলে যাবে….তারপর না হয় জমাবো?’
ভাই এর কথায় আপ্লুত মিতু,
মুহিনের মাথাটা কাঁধে নিয়ে বলে,
“তোকে ছেড়ে কোথায় যাবো রে পাগল?আর যেখানেই যাই তোকে সঙ্গে নিয়ে যাবো বুঝলি?’
বোনের কথায় খুব ধীরে একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুহিন,ফের মনে মনে আওরায়,
“আমাকে সঙ্গে নিতে হবে না আপু,তুমি যার সঙ্গে থেকে ভালো থাকবে,তার সঙ্গেই থাকো, আমি চাই কালই তুমি তার সাথে থাকো,যে তোমার জন্য আজ এই খাবার গুলো কিনেছে……।'(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here