ধূসর প্রেমের অনুভূতি পর্ব -১২

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_১২
.
.
.
ফারহা ভদ্র মেয়ের মতো উপরে চলে গেল৷ ফারহা ফারিহার রুমে ঢুকতে একটা ভারি অর্নামেন্টস বক্স ছুড়ে মারে ফারহার দিকে, ফারহা দ্রুত বক্সটা ধরে ফেলে ফারিহার গালে থাপ্পড় মেরে বসে ফারহা৷ ফারহা অগ্নি দৃষ্টিতে ফারিহার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,

” তোর সাহস কি করে হয় আমাকে আঘাত করার ফারিহা?”

” তোকে তো মেরে ফেলা উচিত ফারহা ৷ তুই বলেছিলি অর্নিলকে আমার লাইফ থেকে সরিয়ে দিবি? এই জন্য অর্নিলকে আমি শেষ করতে চেয়েও করেনি৷ কিন্তু এখন তুই বল অর্নিল কি করে এই খুন অভিযোগ থেকে মুক্তি পেল?”

ফারহা ফারিহার চুলের মুঠি ধরে মুখের সামনে এনে দাঁত কিড়মিড় করে বলল,” তোর কথা মতো সবটাই যে হবে এটা কেন তুই এক্সপেক্ট করিস ? আমার প্লানের বাইরে কিছুই হবে না এটা তুই ভালো করেই জানিস৷ ”

ফারিহা তার রক্তিম চোখে ফারহার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে, ” কিং ফায়ার তোকে ছাড়বে না ফারহা৷ তুই যে কিং ফায়ার আর আমার পেছনে নতুন কোন খেলা খেলছিস এটা আমি খুব ভালো করে বুঝে গেছি৷ কিন্তু তুই চাইলেও কিছু করতে পারবি না ফারহা৷ কিং ফায়ার সেটা হতেই দিবে না৷ ”

ফারিহার কথা শুনে ফারহা রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে বলল,” তোর কিং ফায়ার আমার কিচ্ছু করতে পারবে না আর না আমি তার সুযোগ দিবো৷”

ফারহা কথা গুলো বলতে বলতে ফারিহাকে ছেড়ে দিয়ে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার খুলে ক্লোরোফর্ম স্প্রে বের করে ফারিহার মুখে স্প্রে করে দেয়৷ ফারিহা সাথে সাথে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে৷ ফারিহাকে বেডে শুইয়ে দিয়ে ফারহা ফারিহার হাতের বালা দুটো খুলে নিজের হাতে পড়ে নিয়ে নিচে চলে যায়৷

” ওই তো ফারহা এসে গেছে৷” আইরিন বেগম ফারহাকে উদ্দেশ্য করে বললো৷ তা শুনে ফারহা সবার উদ্দেশ্য বলে উঠলো ,” মম আমি ফারিহা৷”

ফারিহা নামটা শোনা মাত্র অর্নিলের চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো৷ অর্নিলের মা ফারহার হাত ধরে অর্নিলের পাশে বসিয়ে বলে ,” ফারিহা মামুনি আমরা তোমার আর অর্নিলের বিয়ে দু’মাস পর ঠিক করেছি ৷ তোমার কোন আপত্তি নেই তো?”

” না আন্টি আমার কোন আপত্তি নেই৷”

” আলহামদুলিল্লাহ ৷ তাহলে ভাবি আপনারা মিষ্টিমুখ করুন ৷ আর আজ না আপনাদের খেয়ে যেতে হবে কিন্তু কোন না শুনবো না৷”

” না না ভাই সাহেব আজ নয় অন্য দিন না হয় এক সাথে খাওয়া যাবে৷ আজ আমাদের যেতে হবে ৷ ”

ফায়েজ খান অনেক বলেও আমান খন্দকার কে রাজি করাতে পারলো না৷ তারা বেশ কিছুক্ষণ থেকে চলে নাস্তা করে চলে যায়৷

২৭.

মেঘ তার টিম নিয়ে আজ প্রচন্ড ব্যস্ততার ভিতর কাটাচ্ছে৷ ফারহা দু’বার মেঘকে কল করেছিলো কিন্তু মেঘ কল রিসিভ করতে পারেনি৷ ফারহার বেশ রাগ হয় মেঘ তার কল রিসিভ না করায় ৷ ফারহা এবার ফোন হাতে নিয়ে আদিলকে ফোন করে ৷ আদিল ফারহার কল আসতে দেখে সময় নষ্ট না করে কল রিসিভ করে৷

” পিচ্চি কাজটা হয়েছে?”

” হ্যাঁ আপু , অর্নিলের বায়ো ডাটা তো আমি আগেই পাঠিয়ে দিয়ে ছিলাম আর এখন রাফি পরের কাজটা সামলে নিয়েছে৷ ”

” গুড , তুই এখন কোথায় আছিস?”

” বাড়িতে আছি আপু৷”

” ওকে তাহলে দ্রুত খান মন্জিলের পেছনের গেটে গাড়ি নিয়ে চলে আয়৷ আর একটা কথা তোর ফ্লাটের চাবি নিয়ে আসতে ভুলবি না৷”

” ওকে আপু৷ ”

ফারহা কল ডিসকানেক্ট করে ফারিহার ড্রেস চেন্জ করিয়ে দিয়ে , ফারিহার কিছু ড্রেস একটা ব্যাগে ভরে নিয়ে ফারিহার হাত বেধে দেয় শক্ত করে৷

ত্রিশ মিনিট পর আদিল তার গাড়ি নিয়ে খান মন্জিলের পেছনে চলে এসে ফারহাকে কল করে জানায়৷

ভর সন্ধ্যেবেলায় ফারহার বাবা মা দুজনে নিজেদের রুমে থাকায় ড্রইংরুম ফাঁকা ছিলো আর যে সারভেন্টরা ছিলো তাদের ফারহা অন্য কাজে পাঠিয়ে দিয়ে ফারিহাকে নিয়ে বাড়ির পেছনের দরজা পর্যন্ত এগোতে আদিল এসে ফারিহাকে কোলে তুলে নিয়ে বলে,” আপু ফারিহা আপুর কি হয়েছে?”

” কি হয়েছে না হয়েছে তা নিয়ে পরে কথা হবে ৷ এখুনি ওকে গাড়ির ভেতরে নিয়ে যা৷ ”

আদিল ফারহার কথা মতো ফারিহাকে ব্যাকসিটে শুইয়ে দেয়৷ ফারহা ফ্রন্ট সিটে বসে আদিলকে বলে দ্রুত গাড়ি চালাতে ৷ আদিল কোন প্রশ্ন না করে দ্রুত গাড়ি চালাতে লাগলো৷

এদিকে জ্যাক আর তার লোকজন ঝোপঝাড়ে দাড়িয়ে মশার কামড় খাচ্ছে আর মেঘের মুন্ডুপাত করছে৷

” ওহ গড এখানে দাড়িয়ে থেকে আর কতো মশার কামড় খাবো? স্যার আমাকে কাজ দিয়েছে নাকি এই মশা গুলোকে আমার ব্লাড খাওয়ার জন্য কাজ দিয়েছে বুঝতে পারছি না৷ ”

জ্যাকের রাগ সাথে দুঃখের কথা শুনে পাশে থাকা দুজন লোক বলে উঠলো ,” জ্যাক স্যার আপনি বরং মেঘ স্যারকে ফোন করে বলুন আপনি কাজটা করতে পারবেন না৷”

লোকটার কথা শুনে জ্যাক চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলে,” আর ইউ ম্যাড ? আমি স্যারকে এই সব বলবো আর স্যার আমাকে জিন্দা কবর দিক তাই না? এতো কথা না বলে কাজে মন দেও৷”

” যাক বাবা ভালো উপদেশ আজ কাল দোষ হয়ে যায়৷”

আদিলের ফ্লাটের একটা রুমে ফারহা ফারিহাকে চেয়ারে বসিয়ে বেধে রাখে৷

” আপু ফারিহা আপুকে এখানে কেন নিয়ে আসলে? আর আসলে তো বেধে কেন রাখলে?”

” পিচ্চি আগামিকাল দেশে ধামাকা হওয়ার থেকে আটকাতে আমাকে যে ফারিহাকে আটকাতে হতো৷”

” ম,,মানে কি বলতে চাইছিস আপু? আমি সত্যি কিছু বুঝতে পারছি না৷”

” এখন তোকে আমি কিছুই বুঝাতে পারবো না তবে একটা কথা মনে রাখবি ৷ ফারিহা যেন কিছুতেই এখান থেকে বের হতে না পারে৷ ”

” ওকে তুই যা বলবি তাই হবে৷ ”

ফারহা আদিলের থেকে একটু দুরে দাড়িয়ে কাউকে ফোন করতে ফোনের ওপাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠলো ,” তুই ঠিক আছিস তো ফারু?”

” হ্যাঁ, আমি ঠিক আছি ৷ শোন তোকে আর্জেন্টলি দেশে ফিরতে হবে তনু৷ ”

” ফারু সব ঠিক আছে তো? ফারিহা কোন ঝামেলা করেনি তো?”

ফারহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তনুকে বলে,” তনু তুই ফারিহাকে তো ভালো করেই চিনিস? ওর স্বভাবের সাথে তুই আমি পরিচিত ৷ আগামিকাল রাজধানীতে ধামাকা হবে তনু আর এটা আটকাতে হলে ফারিহাকে আমাকে আটকাতে হবে৷ ”

” আমি বুঝতে পেরেছি তোর না বলা বাকি কথা৷ ডোন্ট ওয়ারি ফারু আমি আর্জেন্ট টিকিট কেটে এখুনি বের হবো৷ তুই শুধু ততোক্ষণ ফারিহার দিকে নজর রাখ ৷ আমি এসে না হয় বাকিটা সামলে দিবো৷”

” ওকে বাট আগুন যেন কোন ভাবে টের না পায় তনু ৷ তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে৷”

” ডোন্ট ওয়ারি ফারু ৷ কিং ফায়ার কিচ্ছু জানতে পারবে না৷ আমি খুব সাবধানে ফিরবো৷ আর একটা কথা ফারু , তুই যেটা করছিস সেটা যদি কিং ফায়ার জানতে পারে তাহলে তোকে মেরে ফেলতে সেকেন্ডবার ভাববে না তাই যা করার খুব সাবধানে করবি ৷ ”

” ওকে, তুই সাবধানে আয় আর দেশে এসে আমাকে টেক্সট করিস আমি তোকে এড্রেস পাঠিয়ে দিবো৷”

” হুম বাই৷”

২৮.

মেঘ মধ্যে রাতে বাড়িতে ফিরে নিজের রুমে ঢুকে দেখে শ্রাবণ তার বেডে হাত পা ছড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে৷ সারাদিন ছুটাছুটির পর মেঘের শরীর প্রচন্ড দূর্বল অনুভব করছে ৷ মেঘ কোন কথা না বলে ওয়াশরুমে গিয়ে লম্বা একটা শাওয়ার নিয়ে রুমে এসে দেখে শ্রাবণ দু’গালে হাত দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে৷

” এভাবে তাকিয়ে কেন আছিস ভাইয়া?”

” তোকে দেখছি ভাই?”

” আমাকে দেখার আবার কি হলো?”

” দিন দিন তুই কত্তো সুন্দর হয়ে গেছিস মেঘ?”

মেঘ তার ভাইয়ের কথা শুনে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে বলে,” কি চাই তোর সত্যি করে বলতো ভাইয়া?”

” বিয়ে করতে চাই মেঘ৷” ঠোঁট উল্টে বলল শ্রাবণ৷

শ্রাবণের কথা শুনে মেঘ ঠোঁট কামড়ে ধরে হাসে৷ এই মুহূর্তে এমন সিরিয়াস বিষয়ে দাঁত বের করে হাসা টা ভিষণ দৃষ্টিকটু দেখায় তাই মেঘ ঠোঁট কামড়ে হাসি আটকানোর চেষ্টা করতে লাগলো৷

” মেঘ সুন্দরী ভাই আমার মম ড্যাডকে বল না আমার বিয়ের কথা৷ দেখছিস তো অলরেডি টুয়েন্টি নাইন হয়ে গেছে বয়সটা ৷ আর কিছুদিন গেলে আমি বুড়ো হয়ে যাবো তখন আর কেউ বিয়ে করবে না৷ ”

” কেন তোর সামিরা ভাবির কি হলো?”

সামিরার নাম উঠতে শ্রাবণ আবার ঠোঁট উল্টে কাঁদো কাঁদো গলায় বলে,” ভাই আমাকে তোর ভাবি কাট কাট গলায় বলে দিয়েছে ৷ যদি এই মাসের ভিতর তাকে বিয়ে না করি তাহলে নাকি অন্য কোথাও বিয়ে করে নিবে৷ তখন আমার কি হবে মেঘ? আমি সতীন নিয়ে ঘর করতে হবে? এটা আমি কিছুতেই মানতে পারবো না ৷”

মেঘ এবার হাসি চেপে না রাখতে পেরে হো হো করে হাসতে লাগলো৷ মেঘ হাসতে হাসতে বলল ,

-” ভাইয়া আমি আগে জানতাম মেয়ে মেয়ে সতীন হয় কিন্তু ছেলে ছেলে সতীন হয় এটা তো জানতাম না!”

শ্রাবণ বোকা বোকা ফেস করে মেঘকে বলে,” তাহলে সতীনের মেইল ভার্সন টা আগে খুজে বের কর তারপর না হয় মম ড্যাডকে তোর বিয়ের কথা বলবো৷ এখন আমার বেড থেকে নেমে নিজের রুমে চলে যা৷”

শ্রাবণ বেড থেকে এক লাফে নেমে বলে,” আমি এখুনি গুগলে সার্চ দিচ্ছি ৷ তুই কিন্তু আজকেই মম ড্যাডকে বলবি আমার আর সামিরার বিয়ের কথা নাহলে তোর বিয়েটাও আমি এবছর থেকে সামনের বছর করে দিবো৷ ” কথাটা বলে আর দাড়ালো না শ্রাবণ ৷ মেঘ তার ভাইয়ের কথা না শুনে ফোন চার্জে রেখে, ধুপ করে বেডের উপর শুয়ে পড়লো ৷

জ্ঞান ফিরতে ফারিহা নিজেকে একটা ফাঁকা রুমে বাধা অবস্থায় আবিষ্কার করে৷ মাথায় টিপ টিপ ব্যাথা সাথে ঝিম ঝিম করছে৷ ফারিহা পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে দেখে রুমে শুধু একটা সোফা আর টেবিল রাখা ৷ ফারিহার মাথার ভিতর সবটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে৷ গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে৷ ফারিহা বসা থেকে উঠে দাড়াতে নিলে খেয়াল করে , তার হাত পা খুব শক্ত করে মোটা দড়ি দিয়ে বাধা ৷ ফারিহা উঠতে না পেরে রাগে চিৎকার করতে থাকে৷

রুমের বাইরে ড্রইংরুমে বসে আদিল ফারিহার চিৎকার শুনতে পাচ্ছে কিন্তু ওই যাওয়ার কোন নির্দেশ দেয় নি ফারহা৷ ফারহার কড়া নির্দেশ ফারিহা চিৎকার করতে করতে মরে গেলেও ওই রুমে কেউ যাবে না ৷

আদিল ফারহার কথা মতো ফারিহার চিৎকার চেঁচামেচি শুনেও না শোনার ভান করে রইল৷

অন্যদিকে ফারহা নিজের রুমে এসে কাপবোর্ড থেকে একটা ছোট্ট বক্স বের করে ৷ ফারহা তার ফোন থেকে একটা সিম কার্ড বের করে সেই ছোট্ বক্স থেকে একটা সিম বের করে ফোনে সেট করে নিয়ে কাউকে কল করে৷

________

২৯.

” কিং ফায়ার আপনার প্লান মতো আরু আর মারু কাজটা সময়ের ভিতর শেষ করেছে৷”

” গুড, আগামিকাল বাংলাদেশে সব চেয়ে বড় ধামাকা হবে তাহলে!”

” ইয়েস কি ফায়ার, আরু আর মারু দুজনে অত্যান্ত নিখুত ভাবে বোম গুলো ঠিক ঠাক জায়গায় সেট করে দিয়েছে৷ আগামিকায় দুপুর বারোটা থেকে একের পর এক শহরে বোম ব্লাস্ট হবে৷ পুলিশ কোন দিক ছেড়ে কোন দিকে যাবে তা নিজেরাও জানে না৷ ”

আরু মারুর কথা উঠতে কিং ফায়ারের মুখটা কঠিন হয়ে এলো৷ ফারহার কথা বিহেবিয়ার এখনো ভুলতে পারছে না কিং ফায়ার ৷ ফারহাকে যতোদিন না নিজের করে নিতে পারছে ঠিক ততোদিন যেন কিং ফায়ারের চোখে কোনে ঘুম নেই৷

কিং ফায়ার চোখের পাতা বন্ধ করে তার লোককে বলতে লাগলো,

” হ্যারি আই নিড আরু ৷ ” কিং ফায়ারের কথা শুনে হ্যারি চমকে ওঠে ৷

” কিং ফায়ার আ,, আপনি কি বলছেন? আ,, আরুকে!”

” ইয়েস আরুকে আমার চাই এক দিনের জন্য নয় হ্যারি সারা জীবনের জন্য কারণ একমাত্র আরুই পারবে এই দলটাকে আমার পরে লিড করতে৷ ”

” কিন্তু কিং ফায়ার আরুকে আপনি এতো সহজে পাবেন বলে মনে হয় না৷ এতো বছর এই দলে থেকে ওকে আমি কখনো দেখেনি কোন রিলেশনে জড়াতে না কাউকে সায় দিতে৷ ”

” হ্যারি আরুকে তো আমার চাই, বাই হুক ওর বাই ক্রুক ৷”

হ্যারির কলিজা কাঁপছে এটা ভেবে আরু(ফারহা) যখন জানবে কিং ফায়ার তাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য উতলা হয়ে উঠেছে তখন কি হবে এটা ভেবেই হ্যারির প্রচন্ড ভয় হচ্ছে৷

ভোর ছয়টায় ফোনের কর্কষ শব্দে বিরক্তি নিয়ে ঘুম থেকে উঠে যায় মেঘ৷ ফোনের স্কিনে সিনিয়র স্যার তারেক শেখের নাম্বার দেখে মেঘের চোখের সব ঘুম উধাও হয়ে যায়৷ মেঘ দ্রুত কল রিসিভ করতে ফোনের ওপাশ থেকে তারেক শেখ বলে ওঠে ,
.
.
.
#চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here