#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_২৬
.
.
হাইস্পিডে গাড়ি ড্রাইভ করছে মেঘ ৷ যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব হেড কোয়াটার্সে যেতে হবে তাদের ওখান থেকে বোম ডিফিউজ করে এমন কয়েকজন অফিসার কে নিয়ে বোম সেট করা স্থান গুলোয় পৌছাতে হবে তাদের, কিন্তু হঠাৎ করে একটা বড় গাড়ি এসে মেঘের গাড়ির সামনে এসে দাড়ায় আর তখনি মেঘ গাড়ি খুব জোড়ে ব্রেক মারে৷ ফারহার সিট বেল লাগানো ছিলো বিধায় ফারহার আঘাত লাগতে লাগতেও লাগেনি৷ মেঘ অগ্নি দৃষ্টিতে সামনের দিকে তাকাতে দেখে ব্লাক হুডি সানগ্লাস সাথে মাক্স পড়া একজন ব্যাক্তি গাড়ি থেকে বের হয়ে মেঘ ফারহার দিকে আসতে লাগলো৷
ফারহা সেই লোকটাকে দেখে চমকে ওঠে৷ ফারহা মেঘের দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিলে মেঘের উদ্দেশ্য বলল,” মেঘ কাম ডাউন ৷”
” ওয়াট কাম ডাউন ফারুপাখি? গাড়ি থামাতে যদি আর একটু লেট হতো তাহলে কি হতে পারতো জানো তুমি? এই লোকটাকে তো আমি ছাড়বো না৷ ”
মেঘ গাড়ি থেকে বের হতে নিলে ফারহা মেঘের আগে গাড়ি থেকে সেই লোকটার দিকে এগিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে৷ এদিকে মেঘ প্রচন্ড রেগে যায় তার সামনে অন্য কাউকে ফারহা জড়িয়ে ধরে আছে৷ মেঘ প্রচন্ড রেগে ফারহা আর সে লোকটার কাছে যেতেই ফারহা লোকটিকে ছেড়ে দিয়ে বলতে লাগলো,” ভাই তুই ঠিক আছিস তো? তোর কোন ক্ষতি করেনি তো কিং ফায়ার?”
“ভাই” সম্মোধন শুনে মেঘ থমকে যায়৷
” ভাই! ফারুপাখির তো কোন ভাই নেই৷ তাহলে ফারুপাখি কাকে ভাই বলছে?”
মেঘের ভাবনার মাঝে ফারহা বলে ওঠে,” মেঘ আমাদের হাতে সময় খুব কম৷ আমাদের এখন হেড কোয়াটার্সে যাওয়ার সময় নেই৷ ”
” তাহলে বোম কি ভাবে ডিফিউজ করবো?”
” ডোন্ট ওয়ারি মিস্টার মেঘ চৌধুরী৷ বোম ডিফিউজ করার জন্য আমি আছি৷ আর আপনার সহধর্মিণী তো আছে সে একাই একশ৷ ”
” গাইজ এখন কথা বলে সময় নষ্ট করার মানে হয় না৷ এখন আমাদের যাওয়া উচিত৷”
মেঘ আর কথা বাড়ালো না৷ দ্রুত গাড়িতে গিয়ে বসে৷ ফারহা গাড়িতে গিয়ে বসে সেই লোকটি তার গাড়ি নিয়ে আগে বেরিয়ে গেল৷
“মেঘ ভাইয়ের গাড়ি ফলো করো ফাস্ট৷”
ফারহার কথা মতোই সামনের গাড়িটা ফলো করতে লাগলো৷ মেঘ এতো কথার মাঝে লোকটার নাম জ্বিজ্ঞাসা করতে ভুলে গেল৷
মেঘ ফারহা আর সেই লোকটি কিছুদুর যেতে একটা ভয়ংকর শব্দ শুনে গাড়ি থামায়৷
” ওহ শিট! মেঘ আর ডি এক্স এখন এক এক করে ব্লাস্ট হবে৷ আমাদের হাতে আর সময় নেই৷”
” ফারুপাখি বোম ব্লাস্টের মধ্যকার সময় তো কিছুটা আগে পরে সেট করে কিং ফায়ার তাই না?”
” ইয়েস ফিফটিন মিনিটস ৷”
” দ্যাটস গ্রেট৷ তাহলে আমাদের এই সময়ের ভিতর যা করার করতে হবে৷”
” রাইট”
ফারহা সামনের গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকা ব্যক্তিকে ফোন করে৷ তিনি ড্রাইভ করতে করতে কল রিসিভ করে বলে,” ডোন্ট ওয়ারি আরু প্রথম ব্লাস্টে তেমন কিছু ক্ষতি হয়নি৷ ব্লাস্টটা ফাঁকা জায়গায় হয়েছে৷ ”
” বাকি বোম গুলো কোথায় সেট করেছে কিং ফায়ার?”
” আমি জানি কোথায় কোথায় বোম গুলো সেট করেছে৷ আরু আমাকে ফলো করো ফাস্ট , সময় আর বেশি নেই৷”
বোম ব্লাস্ট আটকাতে অনেকটা দেরি করে ফেলে মেঘ ফারহা আর সেই আগুন্তক ৷ শহরে নানা স্থানে বোম ব্লাস্টে অনেক মানুষ মারা যায়৷ বাতাসে আজ রক্ত ও লাশের পোড়া গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসছে সবার৷ মেঘ ফারহা আর আগন্তক মাত্র কয়েকটা বোম নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়৷ নিরিহ মানুষদের বাঁচাতে না পেরে তিন জনের অবস্থা খুব সচনীয়৷ ফারহা রাগে দুঃখে দাঁতে দাঁত চেপে কান্না আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ মেঘ ফারহার অবস্থা বুঝতে পেরে একটানে বুকে সাথে জড়িয়ে ধরতে ফারহা হু হু করে কেঁদে ওঠে৷ মেঘ এবং সেই আগন্তকের ও খুব খারাপ লাগছে৷ দুজনের আজ ইচ্ছে করছে কিং ফায়ারকে নিজের হাতে টুকরো টুকরো করে কেটে কুকুরদের দিয়ে খাওয়াতে৷
(৪৯)
ফারিহা নাস্তা করে ড্রইংরুমে বসে টিভির চ্যালেন চেন্জ করে দেখতে লাগলো৷ হঠাৎ একটা নিউজ চ্যালেনে এসে ফারিহার চোখ দুটো আটকে যায়৷ নিউজে স্পষ্ট দেখাচ্ছে৷ শত শত মানুষের হাত পা বিহিন আগুনে ঝলসানো শরীর৷ এতো নৃশংসতা কে বা কারা করতে পারে তার ধারনা ফারিহার আছে বিধায় সে আর বসে থাকতে পারলো না৷ শরীরে ব্যাথা না থাকায় ফারিহার বাড়ি থেকে বের হতে নিলে অর্নিল এসে ফারিহার সামনে এসে দাড়ায়৷
” অর্নিল আমার পথ ছাড়ো৷ আমাকে যেতে হবে৷ ওই কিং ফায়ার কে আমি আজ নিজের হাতে শেষ করবো৷”
” তুমি পারবে ফারিহা! না মানে তুমি নিজের শরীরের দিকে একবার চেয়ে দেখেছো? এই ক্ষত বিক্ষত অসুস্থ শরীর নিয়ে তুমি যাবে টেরোরিস্ট কিং ফায়ার কে শেষ করতে? নাইস জোকস৷ একবারও কি ভেবে দেখেছো? কিং ফায়ার তোমাকে হাতের কাছে পেলে কি করবে? এক মুহূর্তের জন্য দেরি না করে তোমাকে শেষ করে দিবে৷ নিশ্চিন্হ করে দিবে তোমার অস্থিত্ব ৷”
” তাহলে তুমি আমাকে কি করতে বলছো অর্নিল ৷”
ফারিহার কথা শেষ হতে পেছন থেকে মিসেস খন্দকার বলে ওঠে,” বউমা তুমি এখন নিজের রুমে গিয়ে বিশ্রাম নিবে৷ কারণ তুমি কোথাও যাচ্ছো না৷ তোমার বোন ফারহা আমাকে ফোন করে বলেছে তোমাকে যেন বাড়ি থেকে বের হতে না দি৷”
” আপু কখন আসবে আন্টি?”
” তোমার আপু কিছুক্ষনের মধ্যে চলে আসবে৷ কিন্তু তুমি আমাকে কি বললে বউমা?”
” কেন আন্টি?”
” তুমি আমার একমাত্র ছেলের হবু বউ ৷ আমার বউমা সেহেতু আমাকে অর্নিলের মত মম বা মা বলে ডাকবে৷”
” স্যরি আন্টি থুক্কু মা৷ আর এই ভুল হবে না৷”
” গুড৷ এখন রুমে গিয়ে মেডেসিন গুলো খেয়ে বিশ্রাম করো৷ আর অর্নিল এভাবে খাম্বার মতো দাড়িয়ে না থেকে বউয়ের সেবা কর৷ বউমাকে উপরে নিয়ে যা৷”
” এ্যা,এ্যা,বউ ঘরে আসতে না আসতে নিজের মম ও এখন আমাকে ইনসাল্ট করে৷ এ কেমন দিন এলোরে বাবা!”
অর্নিল ফারিহাকে রুমে নিয়ে আসার পর মেডেসিন গুলো খাইয়ে দিয়ে বলে,” আমি জানি আমার বউ সোনা এখন স্বার্থপরের মতো শুধু নিজের কথা ভাবে না৷ সে এখন দেশের কথাও ভাবে৷ কিন্তু আমার বউ সোনা কি জানে সে যদি এখন এই অসুস্থ শরীর নিয়ে কিং ফায়ারের সাথে ফাইট করতে যায় তাহলে নিজের হেরে যাওয়ার চান্স এইটটি পার্সেন ? ”
ফারিহা তার শীতল দৃষ্টি অর্নিলের উপর নিক্ষেপ করে বলে,” তাহলে বলছো হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে?”
অর্নিল কিছু বলতে যাবে তার আগে পেছন থেকে কেউ বলে উঠলো,” হাত পা গুটিয়ে থাকতে হবে এমন কথা যদি অর্নিল বলে থাকলে ভুল বলেছে ফারিহা৷ তবে হাত পা না গুটিয়ে ঘরে বসে অনেক কিছু তুই করতে পারিস৷”
গলার আওয়াজ শুনে ফারিহা বুঝে যায় কে এসেছে৷ ফারিহা উঠে ফারহাকে জড়িয়ে ধরে৷
” উফফ এই মেয়েটাও না দিনকে দিন ইমোশনাল হয়ে পড়ছে৷ ফারিহা এবার তো আমাকে ছাড় দেখ তোর জিজু এসেছে৷”
ফারিহা ফারহাকে ছেড়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে বলে,” কেমন আছো জিজু?”
” আলহামদুলিল্লাহ ভালো শালী সাহেবা ৷ তুমি কেমন আছো?”
” এই তো দেখছোই কেমন আছি৷”
মেঘ অর্নিলের দিকে তাকিয়ে বলে, ” তা মিস্টার খন্দকার আপনি কেমন আছেন?”
অর্নিলের ঝটপট উওর,” বউ ছাড়া যেমন থাকা যায় আর কি তেমনই আছি৷”
অর্নিলের কথা শুনে ফারিহা অর্নিলের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাতে অর্নিলের দাঁত দেখানো বন্ধ হয়ে যায়৷ ফারিহা অর্নিলের দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ফারহার দিকে তাকিয়ে বলে,” আপু তুই থাকতে শহরে এতো বড় বোম ব্লাস্ট কি করে হলো?”
ফারহা গম্ভির গলায় বলে উঠলো ,” ইনফরমেশনটা আমি অনেকটা দেরিতে পাই ৷ যার দরুন অনেক গুলো বোম ব্লাস্ট আমি আটকাতে পারেনি৷ তবে তোকে নিয়ে এই সব ভাবতে হবে না৷ তুই এখন অর্নিল এবং নিজের কথা ভাব৷ আগামি মাসে মানে যে দিন আমার আর তোর জিজুর রিসিপশনের ডেট ফিক্সড হয়েছে ঠিক সেদিন তোর আর অর্নিলের বিয়ে হবে৷”
বিয়ের ডেট ফিক্সড হয়েছে শুনে অর্নিলের মনে মনে নাচতে লাগলো কিন্তু যখনি শুনলো বিয়েটা এই মাসে নয় পরের মাসে হচ্ছে৷ তখন অর্নিলের মন খারাপ হয়ে যায়৷
__________
দুপুরে লাঞ্চ না করিয়ে মিস্টার এবং মিসেস খন্দকার ফারহা মেঘ কে আসতে দেয়নি ৷ তাই বাধ্য হয়ে সেখানে দুপুরে লাঞ্চ করে বের হয় মেঘ ফারহা৷ ফারহার মুড অফ শুরু থেকে শুধু মাত্র সবার সামনে মুখে প্লাস্টিক হাসি ফুটিয়ে রেখে হাসি মুখে কথা বলেছে৷ মেঘ গাড়ি চালাতে চালাতে কিছু একটা ভাবতে লাগলো৷ হঠাৎ করে কেউ ফারহাকে লক্ষ করে শুট করে কিন্তু নিশানা মিস্টেক হয়ে যাওয়ায় গুলিটা মেঘ ফারহার গাড়িতে লেগে যায়৷ মেঘ ফারহা দুজনে বুঝতে পারে এটা ওই টেরোরিস্ট দলের কাজ৷ মেঘ গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে দিলো৷
ফারহা মেঘের রিভালবার নিয়ে পেছনে থাকা গাড়িটার টায়ারে শুট করে দিতে গাড়ির টায়ার পাঞ্চার হয়ে যায়৷
” গাড়ি টা আর আমাদের ফলো করতে পারবে আর না এট্যাক করতে৷ মেঘ ফাস্ট আমাদের খান মন্জিলের ফিরতে হবে৷ ”
” ওকে”
মেঘের গাড়ি খান মন্জিলের সামনে থামতে ফারহা গাড়ি থেকে বেড়িয়ে দৌড়ে খান মন্জিলে প্রবেশ করে ৷ মেঘ পেছন পেছন ছুটে আসে৷ ফারহা তার রুমে এসে ড্রয়ার থেকে ল্যাপটপ এবং অন্য আর একটি স্মার্ট ফোন বের করে৷ ফারহা প্রথমে তার ফোন দিয়ে ফারিহাকে ফোন করে কিং ফায়ারের ল্যাপটপ ফোন হ্যাক করতে বলে৷ ফারিহা অর্নিলের ল্যাপটপ কাজে লাগিয়ে দশ মিনিটের মাথায় কিং ফায়ারের ফোন ল্যাপটপ হ্যাক করে ফেলে৷
” আপু অল ডান এখন কি করবো?”
” কিং ফায়ারের ল্যাপটপে টপ টেরোরিস্ট দলের লিস্ট এন্ড যারা যারা তাদের আড়ালে থেকে হেল্প করছে তাদের নাম নিশ্চিত থাকবে ৷ সেটা বের কর৷ আর হ্যাঁ কিং ফায়ারের নেক্টস প্লান গুলো কি হবে আর কোথায় কোথায় এট্যাক করবে তার বড় ছোট্ট সব ডিটেইলস কিং ফায়ার তার ল্যাপটপে সেভ করে রাখে ফারিহা৷ আমি চাই তুই সব কিছু তোর আন্ডার কন্ট্রোলে রাখবি৷ কিং ফায়ারের ফোনে কার ম্যাসেজ কল’স লোকেশন সব কিছু যেন তোর জানা থাকে৷ প্রত্যেকটা ইনফরমেশন কালেক্ট কর৷”
” ওয়েল আপু, আমি সব কিছু নিজের কন্ট্রোলে রাখছি৷ কিং ফায়ার যাতে বাহিরের কারো সাথে কানেকশন না রাখতে পারে তার দায়িত্ব আমার৷ ”
” ওকে আমি রাখছি৷”
ফারহা কল ডিসকানেক্ট করতে মেঘ অবাক চোখে ফারহার দিকে তাকিয়ে বলে,” তোমরা দু’বোন আর ঠিক কি কি পারো বলবে আমাকে ফারুপাখি?”
পাখি ম্লান হেসে বলে, ধীরে ধীরে সবটাই জানতে পারবে মেঘরাজ৷ তখন আবার পুলিশের হাতে তুলে দিবে না তো?” খানিকটা মজা করে বললো ফারহা৷
” তোমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার মতো যদি তুমি কিছু করতে তাহলে আমি দু’বার ভাবতাম না পুলিশের হাতে তুলে দিতে ৷ ”
” তাহলে বলতে গেলে আমাকে তোমার পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে খুব শীগ্রই ৷ ”
” মানে!”
” মানেটা খুব সোজা মেঘ কারণ খুব শীগ্রই আমার হাত জোড়া লাল রক্তে রঙিন হয়ে উঠবে৷”
(৫০)
শ্যাম্পেইন , ওয়াইন, ককটেল নানা রকমের ড্রিংক নিয়ে সেলিব্রেশন করছে কিং ফায়ার হ্যারি আর তার লোকেরা৷ আজ তারা প্রচন্ড খুশি আরু মারুর কোন ক্ষতি করতে নাই পারুক না কেন তাদের দেশের তো ক্ষতি করতে পেরেছে৷ কিং ফায়ার শ্যাম্পেইনের গ্লাসে আইস কিউব দু পিস দিয়ে চুমুক দিয়ে হ্যারিকে বলে,” আই এম সো হ্যাপি হ্যারি৷”
” আই নো কিং ফায়ার ৷ আরু মারুর কোন ক্ষতি করতে না পারলেও তার দেশের জনগনদের তো ক্ষতি করতে পেরেছি৷ চারিদিকে রক্তের হলি খেলা হচ্ছে কিং ফায়ার ৷ এতো রক্ত যে পুলিশ ডক্টর স্লিপ কেটে পড়ে যাবে৷”
” এবার নেক্টস প্লান এক্সিকিউট করতে হবে হ্যারি৷”
” কিং ফায়ার আমি এখুনি লিও কে ফোন করছি৷ আমাদের নেক্সট প্লান এক্সিকিউট করবে লিও৷ আপনি তো জানেন ফারহা আর লিওয়ের সম্পর্ক কতোটা খারাপ! ”
” হ্যারি আমার ফোন থেকে লিওকে ফোন করো৷”
” ওকে কিং ফায়ার৷”
হ্যারি কিং ফায়ারের ফোন থেকে লিওকে কল করতে ……
.
.
.
#চলবে