ধূসর প্রেমের অনুভূতি পর্ব -২৭

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_২৭
.
.
” কিং ফায়ার আমি এখুনি লিও কে ফোন করছি৷ আমাদের নেক্সট প্লান এক্সিকিউট করবে লিও৷ আপনি তো জানেন ফারহা আর লিওয়ের সম্পর্ক কতোটা খারাপ! ”

” হ্যারি আমার ফোন থেকে লিওকে ফোন করো৷”

” ওকে কিং ফায়ার৷”

হ্যারি কিং ফায়ারের ফোন থেকে লিওকে কল করতে ফারিহা সবটা জানতে পারে৷ লিও বারে বসে ড্রিংক করছিলো হঠাৎ কিং ফায়ারের কল দেখে বাঁকা হেসে কল রিসিভ করে৷

” হ্যালো লিও৷”

” ইটস ইউ হ্যারি?”

” ইয়েস লিও৷”

” হঠাৎ আমাকে স্মরণ করার কারণ টা কি হ্যারি?”

” ওহ কামঅন লিও৷ আমি জানি জানি তুমি সবটাই জানো৷”

হ্যারির কথা শুনে লিও উচ্চস্বরে হেসে উঠলো৷ হ্যারির কাছে লিওয়ের এমন এটিটিউড কখনোই পছন্দ ছিলো না৷ কিন্তু এখন যেহেতু কাটা দিয়ে কাটা তুলতে হবে তাই হ্যারি লিওয়ের এই এটটিটিউড হজম করে দাঁতে দাঁত চেপে নরম কন্ঠে বলে উঠলো,” লিও এবার তোমার আরু মারুর উপর প্রতিশোধ নেওয়ার সময় এসেছে৷ এখন তুমি চাইলেই ওদের উপর প্রতিশোধ নিতে পারো৷ ”

” ওহ হ্যারি৷ আরু মারুকে তো আমি এমনিতেও ছাড়তাম না কারণ আরু মারু আমাকে কিং ফায়ারের সামনে যে অপমান করেছে৷ তার প্রতিশোধ তো আমাকে নিতেই হবে৷ হ্যারি আম কামিং ভেরি সুন৷”

” আই উইল ওয়েটিং ফর ইউ ৷ ”

হ্যারি আর কথা না বাড়িয়ে কিং ফায়ার এর চোখের আড়ালে রহস্যময় হাসি দিয়ে বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,” আরু মারু লিও এই তিনটে গুটিকে একবারে আউট করে কিং ফায়ার কে হা হা হা….”

” হ্যারি লিওয়ের সাথে কথা হয়েছে?”

” ইয়েস কিং ফায়ার , হি ইজ কামিং সুন৷”

” গুড৷ এবার আরু মারুকে শেষ হতেই হবে৷ কারণ এবার যে সাপ নেউল এর যুদ্ধ হবে৷ ”

” ইয়েস কিং ফায়ার , আরু মারুর সাথে টক্করে টক্করে লড়াই শুধু মাত্র লিও করতে পারবে৷ আপনি বা আমি করতে পারবো না৷ ”

” এবার শুধু লিওয়ের আসার অপেক্ষা ৷”

(৫০)

” হেই তনু আপু আমাদের বাংলাদেশে কেন নিয়ে এসেছেন?”

” কেন রোজা আমি তো তোমাকে এবং আন্টিকে শুরুতেই বলেছি সবটা তাহলে এখন কেন প্রশ্ন করছো?”

তনুর কথা শুনে রোজার মম রোহিনী বলে উঠলো ,” দেখো মা আমরা এতো গুলো বছর যাবত ইতালিতে লুকিয়ে ছিলাম যাতে আমার কুলাঙ্গার ছেলের ছায়াটাও যেন আমার এবং আমার মেয়ের উপর না পরে৷ কিন্তু তোমার ভাষ্য মতে আগুন অরফে কিং ফায়ার এখন বাংলাদেশে উপস্থিত আছে৷ আর ও যদি জানতে পারে আমরা এখানে তাহলে আমাদের ওর কাছে আটকে রাখবে৷ আমি এমন কোন সন্তানের কাছে থাকতে চাই না৷ যে ছেলে আইনের বিরুদ্ধে যায়৷ শুধু আইন নয় দেশের বিরুদ্ধে ষরযন্ত্র করে নিরিহ মানুষদের খুন করে৷ সে কখনো আমার ছেলে হতে পারে না মা৷”

” আই এম স্যরি আন্টি৷ কিন্তু আপনার এখানে আসা টা খুব প্রয়োজন ছিলো৷ আর কেন সেটা না হয় আরু আপনাদের জানাবে৷”

” ওয়েল তাহলে আরুর কাছে আমাদের নিয়ে চলো ৷”

তনু মুচকি হেসে এয়ারপোর্টের বাইরে দাড়াতে ফারহার পাঠানো গাড়ি আর ড্রাইভার কে দেখে তনু তাদের নিয়ে গাড়িতে উঠে বসে৷

অন্যদিকে ফারহা তার কাপবোর্ড খুলে কাপড় সড়িয়ে একটা ছোট্ট কালো বাটনে চাপ দিতে সামনের কাপবোর্ডের পেছনের অংশটা খুলে যায়৷ সেখানে আলাদা লুকানো তাকে ভিন্ন ভিন্ন অস্র রাখা৷ মেঘ একবার ফারহা আর একবার কাপবোর্ডের দিকে তাকায়৷ মেঘ ভাবতে পারছে না তাদেরই রুমে কাপবোর্ড যেখানে তার কাপড় রাখতো তার পেছনে এমন লুকানো কিছু থাকতে পারে৷ তাক গুলোয় বিভিন্ন রকমের আগ্নিয় অস্র ৷ যেগুলো এখনো মার্কেট প্লেস হয়নি৷ ফারহা সেগুলো বের করে মেঘের হাতে দিয়ে বলে,” এগুলো একবার ঠিক ঠাক আছে কিনা দেখে নেও৷ যেন অপারেশনের সময় কোন সমস্যা না হয়৷”

” কিন্তু এতো অস্র দিয়ে তুমি কি করবে?”

ফারহা মেঘের হাত ধরে বেডে বসিয়ে শীতল গলায় বলে,” মেঘ আমার এই প্রস্ততির কারণটা জানতে চাইছো তাই না! তাহলে শোন আজ বা কাল আমার শত্রু এদেশে আসবে শুধু মাত্র আমাকে মেরে ফেলতে৷ ”

মেঘের বুকটা মোচর দিয়ে উঠলো ফারহার কথা শুনে৷ মেঘ তৎক্ষনাৎ ফারহাকে জড়িয়ে ধরে বলে ,” ফারুপাখি তোমার মেঘরাজ বেঁচে থাকতে তোমার শরীরে একটা নখের আঁচড়ও পড়তে দিবো না৷ যে আসুক না কেন আমি তোমার হয়ে তার সামনে ঢাল হয়ে দাড়াবো৷ ”

ফারহা মেঘকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে মেঘে হাতদুটো শক্ত করে ধরে বলল,” মেঘরাজ তুমি আমাকে বিশ্বাস করো তো?”

” নিজের থেকেও বেশি করি ফারুপাখি৷”

” তাহলে আমাকে আমার লড়াইটা লড়তে দেও৷ আর তুমি এর মাঝে আসবে না৷ ”

” এটা সম্ভব নয় ফারুপাখি ৷”

” অসম্ভব ও নয় মেঘরাজ৷ আমি জানি না কাল কি হতে যাচ্ছে ৷ তবুও কাল যাই হোক না কেন তুমি এর মাঝে আসবে না৷ এন্ড দিস ইজ মাই ফাইনাল ডিসিশন৷”

মেঘ আর কিছু বললো না৷ ফারহার সামনে বসে সবটাই মেনে নিলো মেঘ৷ কিন্তু আদৌ কি মেঘ সবটা মেনে নিয়েছে? সেটা না হয় সময় বলবে৷

তনু রোজা আর তার মা রোহিনীকে নিয়ে খান মন্জিলে প্রবেশ করে৷ মেঘ একটু তাড়াতাড়ি অফিসে চলে যায় কারণ সিনিয়র অফিসার তাকে আর্জেন্ট ডেকেছে৷ এদিকে ফারহা ড্রইংরুমে এসে তনু আর তার সাথে রোহিনী আর রোজাকে দেখতে পেয়ে মিষ্টি করে হেসে তাদের দিকে এগিয়ে যায়৷ রোজা ফারহাকে দেখে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে৷

” কেমন আছো আরু আপু?”

” আলহামদুলিল্লাহ ভালো৷ তোমরা কেমন আছো?”

” কেমন আর থাকবো! তুমি তো সবটাই জানো৷ ভাইয়ার জন্য আমাদের কতোবার বিপদে পড়তে হয়েছিলো৷ আর প্রত্যেকবার তুমি আমাদের সেভ করেছো৷ ”

” রোজা বোন এখন এই সব কথা কেন? আর আন্টি আপনাদের আসতে কষ্ট হয়নি তো?”

” না আরু মা আমাদের আসতে কোন কষ্ট হয়নি৷ কিন্তু এতো বড় বাড়িতে তুমি থাকো?”

” জ্বি আন্টি এখানে শুধু আমি একা থাকি না৷ আমার মম ড্যাড বোন আমার হাসবেন্ট তনু আর মেইড সারভেন্টরা তো আছে৷”

রোজা ফারহার কথা শুনে বলে,” আপু তুমি বিয়ে করেছো?”

” ইয়েস কিউটিপাই৷” রোজার গাল টেনে দিয়ে বললো ফারহা৷

” কি পচাঁ গো তুমি আপু৷ আমাকে একবার ও জানালে না তোমার বিয়ের কথা৷”

ফারহা রোজার কথা শুনে মুখ ভার করে বলে,” আমি তো নিজেও জানতাম না আমার বিয়ে তাহলে তোমাকে কি করে বলতাম রোজা?”

” মানে! নিশ্চয়ই কোন কাহিনী হয়েছে আমি শিওর৷ আমি ইতালিতে থাকতে ইউটিউবে বাংলা সিনেমা দেখতাম ওখানে দেখেছি বাঙ্গালী বিয়েতে কোন না কোন গন্ডগোল হবেই হবে৷ এবার তোমার টা বলো৷”

” সবটাই শুনবে তবে পরে এখন রুমে গিয়ে রেস্ট করো৷ আমি তোমাদের খাবারের ব্যবস্থা করছি৷ ”

তনু রোজা আর তার মাকে নিয়ে গেস্ট রুম দেখিয়ে দেয়৷ তারপর সে নিজের রুমে চলে যায়৷

ফারহার নির্দেশে সারভেন্টরা খাবার রেডি করে তাদের রুমে পৌছে দিয়ে আসে৷ ফারহা তার মম ড্যাডকে আগেই সবটা বলে রেখেছিলো বিধায় তারা চমকায়নি বরং রোজা এবং তার মায়ের সাথে ইজিলি মিশে গেছে৷ বিকেল থেকে তিনজন বসে গল্প করছে৷ এদিকে রাফি আদিল ফারহার আর্জেন্ট মেসেজ পেয়ে সন্ধ্যায় খান মন্জিলে চলে আসে৷

মেঘ দুপুরেও বাড়িতে আসেনি৷ গতকাল ব্লাস্ট হওয়ায় তার তদন্য করার ভার মেঘের উপর পরেছে৷ টেরোরিস্টের জীবিত অথবা মৃত ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মেঘকে৷ মেঘ স্বাচ্ছ্যেন্দে নির্দেশ মেনে নিলো৷ মেঘ নিজেও যেন এটাই চাইছিলো৷ যেন টেরোরিস্ট দলটাকে ধরার পার্মিশন যেন সে পায়৷ মেঘ এবার মনে মনে তার পুরো প্লানটা সাজিয়ে নিলো৷

(৫১)

প্রাণ দিতে চাই
মন দিতে চাই
সবটুকু ধ্যান সারাক্ষণ দিতে চাই
তোমাকে ও… তোমাকে৷

স্বপ্ন সাজাই, নিজেকে হারাই
দুটি নয়নে রোজ নিশুতে যাই
তোমাকে ও,,,তোমাকে৷

জেনেও তোমার আখি চুপ থাকে
রোজ দুই ফোঁটা যেন আরো ভালো লাগে
গানে অভিসারে, চাই শুধু বারে বারে
তোমাকে,,, ও,,, তোমাকে৷

যেদিন কানে কানে সব বলবো তোমাকে
বুকের মাঝে জাপ্টে জড়িয়ে ধরবো তোমাকে৷

পথ চেয়ে রই, দেরি করো না যতোই
আর ভোলা যাবে না জীবনে কখনো
তোমাকে,,, ও তোমাকে৷

পাশে কারো উপস্থিতি বুঝতে পেরে গান থামিয়ে দেয় ফারিহা৷ অর্নিল পেছন থেকে ফারিহাকে জড়িয়ে ধরে বলে,” বাহ! আমার বউয়ের গলাটা দেখছি ভিষণ মিষ্টি এতো সুন্দর গান করো তুমি? ”

” আপুর কাছ থেকে শেখা বলতে পারো৷ আপুর গানের গলা আরো সুন্দর তুমি যদি আপুর গলায় গান শুনো তাহলে তুমি আপুর প্রেমে পড়ে যাবে৷”

” উহু আমি অলরেডি কারো প্রেমে পড়ে গেছি ৷ এখন আর প্রেমে পড়ার সুযোগ নেই সুইটহার্ট৷ আর তোমার আপুর প্রেমে আমি পড়তাম যদি না তোমার আগে তোমার আপুর সাথে দেখা হতো৷ ”

অর্নিলের কথা শুনে ফারিহা কিটকিটিয়ে হেসে দিয়ে বলে, ” তুমি কতোটা বোকা অর্নিল৷ তুমি আজ পর্যন্ত এটা জানো না? আপু আমার জায়গায় তোমার সাথে কয়েকবার দেখা করেছে৷ প্রথমবার তোমার ফ্লাটে ওই মেয়েটার সাথে আর তারপর তুমি আপুকে নিয়ে লং ড্রাইভে গিয়ে ছিলে ৷”

ফারিহার কথা শুনে অর্নিল হতভম্ব অবাক কিংকর্তব্যবিমূঢ় ৷ অর্নিল ফারিহা ভেবে ফারহাকে জড়িয়ে ধরেছিলো কয়েকবার হাত ধরছিলো৷ এগুলো ভেবেই অর্নিল শুকনো ঢোক গিলে বলে,” তোমরা দু’বোন আসলে ভিষণ ডেন্জারাস৷ তুমি জানো না আমি তোমায় ভেবে ফারহাকে জড়িয়ে ধরে ছিলাম৷ ”

” থাপ্পর খাওনি তাই না? ”

” না সে জন্য ভিষণ অবাক হয়েছিলাম৷ ”

” আপু হলো ঠান্ডা মেজাজের ৷ তার রাগ অভিমান তার চোখে মুখে প্রকাশ পায় না৷ কিন্তু একবার রেগে গেলে আপু আর মানুষ থাকে না৷ বলতে গেলে বাঘিনীর থেকেও যদি বেশি কিছু থাকে সেটা হয়ে যায়৷ ”

” ফারিহা আর বলো না প্লিজ ৷ প্রতিদিন তোমাদের দুবোনের আর কত সিক্রেট জানবো আল্লাহ জানে৷ একএক সময় এমন এমন কথা জানতে পারি! কবে না জানি হার্টফেল করে মারা যাই৷”

ফারিহা অর্নিলের বুকে কিল মেরে বলে, আমাকে এক ফেলে মরতে যাওয়া নট এলাউড মিস্টার খন্দকার৷”

অর্নিল ফারিহার কপালে ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে বলে,” আমি কোথাও যাচ্ছি না আমার জান কে ফেলে৷ বাঁচতে হলে এক সাথে বাঁচবো আর মরতে হলে এক সাথে মরবো৷”

ফারিহা পরম শান্তিতে অর্নিলের বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে৷

________

রাতে ডিনারে ফারহার মম ড্যাড তনু রাফি আদিল রোজা রোহিনী মেঘ ফারহা এক সাথে খেতে বসে৷

রাফি খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে আড়চোখে বার বার রোজার দিকে তাকায়৷ রোজাও দেখতে পায় রাফি যে তাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে৷ আদিল তনু ফারহা মেঘ বেপার দেখে মিটি মিটি হাসছে৷ মেঘ তো হাসতে হাসতে বলে ফেললো,” বাবা আপনার দুই মেয়ের বিয়ের দেওয়ার একই সাথে আপনার বোনের ছেলেদেরও বিয়ে দিয়ে দিলে কেমন হয়?”

কথা টা আদিলের কর্ণধার হতে বেষম লেগে গেল৷ এদিকে রাফি মেয়েদের মতো লজ্জা লজ্জা মুখ করে আছে৷ যেন এখানে একমাত্র শুধু তার বিয়ের কথা চলছে৷ রোজা রাফির লজ্জা মাখা মুখটা দেখে হাসি চাপিয়ে না রাখতে পেরে হেসে ফেলে৷

সবার নজর এখন রোজার উপর, কেন হাসছে রোজা? এই প্রশ্ন সবার মনে৷

তনু কথা চেপে না রেখে বলল,” রোজা এভাবে হাসছো কেন? নিশ্চয়ই কোন বেপার আছে?”

” আছে তো আপু৷ তুমি এই ভাইয়াটার মুখের দিকে তাকাও ৷”

” কার কথা বলছো তুমি?”

” এই নীল টি-শাট পড়া ছেলেটার কথা বলছি৷”

এবার সবার নজর রোজার উপর থেকে সরে রাফির উপর পড়লো৷ রাফির ফর্সা গাল লাল হয়ে গেছে৷ রোজা যে সকলের সামনে এভাবে তাকে লজ্জা দিবে বুঝতে পারেনি৷ রোজাকে ভালো লেগেছে রাফির সেটা ফারহা আদিল তনু ভালো করে বুঝতে পেরে ফারহার বাবা ফায়েজ খান কে বলল,” আঙ্কেল জিজু ঠিক বলেছে৷ আদিলের তো আগে থেকে এঙ্গেজমেন্ট হয়ে আছে আলফার সাথে এবার না হয় রাফির জন্য আমরা মেয়ে দেখি?”

তখন হুট করে রাফি খাওয়া ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে বলে,” মেয়ে দেখার কি আছে? নিজের বাড়িতে তো মেয়ে আছে তাহলে বাইরে কেন দেখতে যাবে?”

কথাটা বলে আর এক মুহূর্ত না দাড়িয়ে চলে গেল রাফি৷ এদিকে রাফি যেতেই সবাই মিটমিটিয়ে হাসছে রোজার দিকে তাকিয়ে, রোজা বুঝতে পেরে মাথা নিচু করে রইল৷

_____________

পরেরদিন মেঘ ফারহা তনু আদিল রাফি রেডি হয়ে নিয়ে ড্রইংরুমে এসে জড়ো হয়৷ ফারহা তনু আদিল আর রাফির হাতে রিভালবার তুলে দিয়ে বলে,” নিজেদের সেইফটির জন্য এটা সাথে রাখবে৷ বিপদ দেখলে সাথে সাথে রিভালবার চালাবে৷”

” ফারু এখন আমরা যাচ্ছি কোথায়?”

তনুর কথার প্রত্ত্যুতরে ফারহা রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে উঠলো,” আমরা কোথায় যাবো সেটা তো কিং ফায়ার আর নিও ঠিক করবে তনু?”

“মানে!”

” মানে টা হলো কিং ফায়ার লিও যেখানে আমার হাতে মরতে চায়৷ আমরা সেখানে যাবো৷ দেরি করো না অলরেডি লিও বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছে৷ আমাদের এখুনি বের হতে হবে৷ আর মেঘ তোমাকে কি করতে হবে নিশ্চয়ই জানো? ”

” ডোন্ট ওয়ারি আমার ফোর্স সব রেডি আছে৷”

” গুড৷ আর মম ড্যাড আন্টি আর রোজাকে অন্যত্র রাখতে হবে৷ যাতে কিং ফায়ার ওদের খুজতে এখানে এলেও খুজে না পায়৷”

” ফারু তোদের খান মন্জিলের অন্য অংশটা তো খালি পরে আছে৷ ওখানে যদি আন্টি আঙ্কেল রোজা থাকে তাহলে কিং ফায়ার ওদের খুজে পাবে না৷”

তনুর কথায় সবাই সায় জানালেও মেঘ জানালো না৷ কেন যেন মেঘের মনটা আজ বড্ড খচখচ করছে৷ যেন বড় কোন অঘটন ঘটতে চলেছে৷

তনুর প্লান মতো ফারহার মম ড্যাড আর রোজা এবং তার মাকে নিয়ে যাওয়া হলো সেখানে যেখানে ফারিহাকে লুকিয়ে রেখেছিলো ফারহা৷ ওখানে ওদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে মেঘ ফারহা আদিল রাফি তনু বেড়িয়ে পড়লো৷

অন্য দিকে কিং ফায়ার হ্যারি আর তাদের লোকেরা লিওকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে সরাসরি খান মন্জিলে চলে যায়৷
.
.
..(সত্যি কি বড় কোন অঘটন ঘটতে চলেছে? মেঘ ফারহা কি পারবে এই এই যুদ্ধ জিততে? নাকি হার জিত এই খেলার মাঝে ভয়ংকর কিছু ঘটতে চলেছে?)
#চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here