ধূসর প্রেমের অনুভূতি পর্ব -২৫

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_২৫
.
.
তুমি ভুল বুঝে আমায় তোমার থেকে দুরে সরিয়ে দেও যদি? আমি জানি মেঘ তুমি এখন সবটাই জানো৷ তারপরও তোমার জানার মাঝে অজানা আরো অনেক কিছু আছে সেটা আমি তোমাকে আজ বলবো তারপর না হয় তুমি যা ডিসিশন নিবে তাই হবে৷ যদি আমাদের বিচ্ছে….. বাকিটা বলতে পারলো না তার আগে মেঘ ফারহার গলা চেপে ধরে চিৎকার করে বলতে লাগলো৷

” কি বলতে যাচ্ছিলি তুই হাহ! বিচ্ছেদ! তোকে আমি আমার থেকে আলাদা করবো! এটা তুই ভাবলি কি করে? তোকে পাওয়ার জন্য এতো গুলো বছর কষ্ট পেয়েছি৷ তোর ভালোবাসার আগুনে প্রত্যেকটা দিন প্রত্যেকটা ক্ষণ আমি পুড়েছি ৷ আজ এতো ইজিলি বলে দিলে বিচ্ছেদের কথা? কথাটা বলতে একবারও কলিজা কাঁপলো না তোমার?”

মেঘ ফারহার গলা ছেড়ে দিয়ে একটু দুরে দাড়ালো৷ ফারহা গলা ধরে কাঁশতে লাগলো৷ মেঘ তৎক্ষনাৎ গাড়ি থেকে পানির বোতল এনে ফারহাকে পানি খাইয়ে দেয়৷ পানি খেয়ে ফারহা জোড়ে জোড়ে কয়েকবার শ্বাস নিয়ে ছলছল চোখে মেঘের দিকে তাকিয়ে জড়িয়ে ধরে৷

” আই এম স্যরি মেঘরাজ৷ আমি বুঝতে পারেনি মেঘরাজ তুমি আমার ছোট্ট কথায় এতোটা কষ্ট পাবে৷ যদি জানতাম তাহলে কখনো এই শব্দ আমি মুখে আনতাম না৷ বড্ড ভালোবাসি তোমায়৷ এতোটাই ভালোবাসি যে তোমায় হাড়িয়ে ফেলার ভয় প্রত্যেকটা মুহূর্তে আমাকে তাড়া করে বেড়ায়৷ আমি সত্যি ভয় পেয়ে গেছিলাম মেঘরাজ আমি একজন টেরোরিস্ট জানতে পেরে আমাকে ভুল বুঝে দুরে সরিয়ে দেও৷ তাই প্রত্যেক দিনের কষ্ট পাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ওই কথাটা বলেছিলাম৷”

মেঘের বুকে মাথা রেখে কাঁদতে কাঁদতে বলল ফারহা৷

” ফারুপাখি ভালোবাসি তোমায়৷ এতো সহজে ভুল বুঝে দুরে সরিয়ে দিবো? এটা তুমি ভাবলে কি করে? হুম খানিকটা অভিমান হয়েছিলো কিন্তু সেটা কখনো তোমার ভালোবাসার থেকে বেশি নয়৷ আর একটা কথা আমি অনেক আগে থেকে জানতাম তুমি এবং ফারিহা টেরোরিস্ট দলের সাথে যুক্ত৷ ”

” তাহলে আমাদের এরেস্ট করোনি কেন?” মেঘের বুক থেকে মাথা তুলে তাকিয়ে বলল ফারহা৷

” কারণ আমি দেখতে চাইছিলাম আমার কিউট লাভলি বউটা কতোটা ইন্টিলিজেন্ট ৷ আমি জানি তুমি শহরে বিভিন্ন স্থানে লাগানো বোম গুলো ডিফিউজ করেছো৷ বলতে গেলে সিক্সটি পারসেন কাজ তুমি পুলিশ ডিপার্টমেন্টদের করে দিয়েছো রাইট?”

” হুম বাট তুমি জানলে কি করে?”

” সিক্রেট জানেমন৷”

” যাহ! তো তোমার অজানা আরো কিছু জানতে চাও?”

” হুম চাই ৷ দেশেকে সুরুক্ষা রাখার জন্য আমাকে যে সেসব অজানা সব তথ্য জানতে হবে ফারুপাখি৷”

” ওয়েল তাহলে শোন আজ যে আগুন নামের লোকটি খান মন্জিলের আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো৷ সে আর কেউ নয় কিং ফায়ার ৷ টেরোরিস্ট দলে কিং ৷ বাংলাদেশে কিং ফায়ারের লোক ত্রিশ হাজার ছড়িয়ে আছে৷ আর পুরো বিশ্বে তো লাখ লাখ টেরোরিস্ট ঘুড়ে বেড়াচ্ছে৷ কিং ফায়ারের সাথে হ্যারি থাকে সব সময়৷ তবে কিং ফায়ারের ডান হাত আমি আর বাম হাত ফারিহা৷ ফারিহার বোকামির জন্য আমাকে তনুকে এবং ফারিহা তিনজনই টেরোরিস্ট দলের সাথে বাধ্য হয়ে যুক্ত হয়েছিলাম৷”

ফারিহার কথা তুলতে মেঘের চোখে মুখে রাগ ফুটে উঠলো৷

” যাস্ট সাটআপ ফারুপাখি৷ বোনের দোষ ঢাকার জন্য আর কতো মিথ্যে বলবে? আমাদের বিয়ের দিনই সবটা জানতে পেরেছিলাম৷ ফারিহা হিংসাত্মক হয়ে তোমার সাথে করা প্রত্যেকটা অন্যায়ের কথা শুনেছি আমি৷ ”

” কিন্তু কিভাবে?”

” মনে করে দেখো ফারুপাখি৷ তুমি তোমার ড্যাডকে যখন ফারিহার গুন গুলো বলছিলে তখন আমি আড়ালে দাড়িয়ে সবটা শুনেছিলাম৷”

মেঘের কথা গুলো শুনে ফারহা নদীর দিকে তাকিয়ে বলে,” দেখো মেঘ এই নদীটা এখন কতোটা শান্ত৷ কিন্তু কেউ কি বলতে পারে? কখন এই নদী উত্তাল বন্যা হয়ে সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাবে? নাকি বলতে পারো এই নদীর মোর কখন কিভাবে পাল্টে যাবে?”

” কোনটাই তোমার পক্ষে বলা সম্ভব নয় আমি জানি৷ ঠিক তেমনি ফারিহা কখন তার খারাপ রুপের আবরণ খুলে নিজের রুপে ফিরে আসবে! আমরা কিন্তু কেউ জানি না? ভুল নয় পাপ অন্যায় করেছে ফারিহা আর তার যথাযথ শাস্তি ফারিহা পাবে৷ তার সাথে সাথে আমাকেও সেই একই শাস্তি পেতে হবে৷ ”

” শাস্তি তো সে পাবে যে অন্যায় করেছে৷ কিন্তু তুমি তো কোন অন্যায় করোনি বরং আড়ালে থেকে পুলিশ ডিপার্টমেন্টদের সাহায্য সহযোগিতা করেছো৷ ইভেন অন্যান্য দেশের যতোজন টেরোরিস্ট পুলিশ ধরতে পেরেছিলো তাদের খবর তুমি পুলিশদের দিয়েতো তাই তো?”

” হ্যাঁ কিন্ত তুমি জানলে কি করে?”

” ভুলে যাচ্ছো কেন তোমার হাসবেন্ট একজন গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ৷ তার নিজের বউ সম্পর্কে খবর রাখবে না? এটা কি করে সম্ভব?”

ফারহা তার ভ্রুজোড়া কিঞ্চিৎ কুচকে মেঘের দিকে তাকিয়ে বললো,” তার মানে তুমি আমার পিটপিছে গোয়েন্দাগিরি করো?”

” যার বউ টেরোরিস্ট দলের সাথে যুক্ত তাকে তো তার বউয়ের উপর নজর রাখতেই হবে তাই না?”

” মেঘরাজের বাচ্চা…” চিৎকার করে ফারহা মেঘকে মারতে নিলে মেঘ ফারহার হাত জোড়া আটকে বলে,” ওহ নো ফারুপাখি তুমি তো ভুল বললে৷”

” কি ভুল বললাম আমি হাহ্?”

” ওই যে বললে মেঘরাজের বাচ্চা৷ জানেমন আমাদের তো এখনো বাচ্চাই হলো না তুমি বাচ্চা পেলে কোথায়? ওহ এবার বুঝতে পেরেছি তুমি নিশ্চয়ই ফ্যামিলি প্লানিং করে ফেলেছো এর ভিতর৷ তা বলো কয়টা বেবি নিবে? একটা দুটো তিনটা নাকি পুরো ক্রিকেট টিম বানাবে বলো? ”

ফারহা পারে না মেঘকে খুন করতে৷ রাগে নাকের পাটা ফুলিয়ে মেঘের দিকে তেরে যেতে মেঘ দৌড়ে গাড়ির ভিতর চলে যায়৷ চলতে লাগলো মেঘ ফারহার খুনসুটি৷

(৪৮)

” হ্যারি আর কতোক্ষণ সময় লাগবে আর ডি এক্স বোম তৈরি করতে?”

“বেশি সময় না কিং ফায়ার ৷ আর মাত্র পনেরোটা বানানো বাকি আছে৷ তারপর আপনার কথা মতো শহরে হবে ধুমমম ৷”

“হ্যাঁ, বাংলাদেশের রাজধানীকে আমি ধুলোর সাথে মিশিয়ে ফেলতে চাই৷ অনেক হয়েছে চোর পুলিশ খেলা৷ এবার শুধু এই কিং ফায়ার খেলবে৷ ”

” কিং ফায়ার কিছু যদি মনে না করেন৷ তাহলে একটা প্রশ্ন করতে পারি?”

” ওয়াট!”

” কিং ফায়ার মারু তো পালিয়েছে বুঝলাম কিন্তু আরু কেন একজন গোয়েন্দা বিভাগের প্রথম শ্রেনীর অফিসারকে বিয়ে করলো?”

” তার প্রশ্নের উওর তো আরু দিবে৷ ”

” আরুতো এখন অব্দি আমাদের নতুন ডেরায় আসলো না৷ আরু কি কোন ভাবে আমাদের দলের সাথে বেইমানী করছে না তো কিং ফায়ার?”

কিং ফায়ার হ্যারির কথা শুনে দাঁতে দাঁত চেপে কটমট করে হ্যারির দিকে তাকিয়ে বলে,” আরু আর মারু অলরেডি আমার দলের সাথে বেইমানী করেছে হ্যারি৷ আর আমার দলের সাথে বেইমানী করার শাস্তি কি?”

” মৃত্যু কিং ফায়ার৷”

” আমি আরু আর মারুকে মৃত দেখতে চাই হ্যারি৷”

কিং ফায়ারের কথা শুনে হ্যারি মনে মনে প্রচন্ড খুশি হলো৷ অবশেষে মেঘ না চাইতে যেন বৃষ্টি পেল হ্যারি৷ তার পথের কাঁটা আরু মারু সরে গেলে কিং ফায়ারকে হাতের মুঠোয় নিতে বেশি সময় লাগবে না হ্যারির৷ তারপর কিং ফায়ারের পরিবর্তে হ্যারি দলের সর্বেসর্বা হয়ে দল লিড করবে৷ এটা ভেবেই হ্যারির এখন নাঁচতে ইচ্ছে করছে৷ হ্যারি তার খুশি মনের মধ্যে চেপে রেখে বলল,” ওকে কিং ফায়ার আমি শহরে এখুনি দুটো দলে ভাগ করে লোক পাঠাচ্ছি৷ একটা দল মারুকে খুজে বের করে শেষ করবে তো অন্য একটা দল আরুকে শেষ করবে আর সাথে ওর হাসবেন্টকেও মেরে ফেলে সেই নির্দেশ দিচ্ছি৷ ”

” গুড, টেরোরিস্টের অধিপতিকে অপমান করার শাস্তি তো আরুকে পেতেই হবে৷ ” হঠাৎ কিং ফায়ারের তার বোন মায়ের কথা মনে পড়তে হ্যারিকে বলে,” হ্যারি আরুকে মৃত নয় জীবিত আমার কাছে নিয়ে আসবে৷ ”

হঠাৎ কিং ফায়ারের মতের পরিবর্তন হতে দেখে মনে মনে চরম বিরক্ত হলো হ্যারি৷

” বাট হুয়াই কিং ফায়ার?”

” বিকজ আমি বলেছি তাই৷ নাও গো৷”

হ্যারি দাঁত কিড়মিড় করতে করতে বেড়িয়ে গেল৷

কিং ফায়ার রাগে দুটো ফাঁকা ফায়ারিং করে বলতে লাগলো,” একবার যাস্ট আমার মম আর বোনকে পেয়ে যাই আরুপাখি৷ তারপর তোমাকে আমি নিজের হাতে শেষ করবো৷ ”

সূর্যের কিরণ ছটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে অনেক আগে৷ ফারহা আড়মোড়া হয়ে চোখ মেলে তাকিয়ে মেঘের ঘুমন্ত মুখটা দেখে মিষ্টি করে হেসে মেঘের কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে উঠতে নিলে মেঘ তার হাতের বাধনে আষ্ট পিষ্টে ফারহাকে জড়িয়ে ধরে বলে,” মিসেস চৌধুরী আপনার লজ্জা করে না৷ একটা ঘুমন্ত নিরহ পুরুষের ইজ্জত হনন করতে?”

মেঘের কথা শুনে ফারহার চোখ জোড়া কপালে উঠে যাওয়ার উপক্রম ৷
” কি বলছো তুমি আ,, আমি কখন তোমার ইজ্জত হনন করলাম?”

” এই যে কিছুক্ষণ আগে আমার কপালে চুমু খেলে৷”

” হু চুমু দিয়েছি তাতে তোমার বাপের কি? আমি আমার বরকে চুমু খাবো না তো পাশের বাড়ির মফিজকে চুমু খাবো? যাও সরো তো৷ ”

কথা গুলো বলে রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে ফারহা বেড থেকে উঠে ওয়াশরুমে ঢুকে গিয়ে হাসতে লাগলো৷ এদিকে ফারহা হঠাৎ রেগে যাওয়ার কারণটা বুঝতে না পেরে আহাম্মকের মতো হা করে তাকিয়ে রইল৷

ফারহা শাওয়ার নিয়ে চেন্জ করার সময় বুঝতে পারে ৷ আসার সময় কাপড় আনে নি সাথে , তাই বাধ্য হয়ে মেঘকে ডাকতে লাগলো, ” এই যে শুনছো৷”

মেঘ ফারহার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো,” বাহ কি নারী জাতী কিছুক্ষণ ভয়ংকরী রুপ আমাকে বকে ওয়াশরুমে ঢুকলো আর কিছুক্ষণ পর মুখ থেকে যেন মধু বের হচ্ছে কাহিনীটা কি? আগে জানতে হবে৷”

” হুম বলো?”

” কাপবোর্ড থেকে আমার ড্রেস বের করে দেও না৷ আমি না ড্রেস নিতে ভুলে গেছি৷”

মেঘ ফারহার কথা শুনে ঠোঁটের কোনে শয়তানি হাসি ফুটে উঠলো৷ মেঘ কাপবোর্ড থেকে কালো রঙের একটা মসলিন শাড়ি সাথে প্রয়োজনীয় জিনিস বের করে বলে৷

” ফারুপাখি দরজা না খুললে ড্রেস দিবো কি করে?”

মেঘের কথা শুনে ফারহা দরজা খুলে সামান্য ফাঁক করে হাত বাড়াতে , মেঘ সে সুযোগে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়৷ ফারহা হতভম্ব হয়ে যায় মেঘের কান্ড দেখে৷

” মেঘঘঘঘ তুমি ওয়াশরুমে ঢুকলে কেন? বের হও এখুনি আমি চেন্জ করবো৷” ফারহা শক্ত করে টাওয়াল পেচিঁয়ে ধরে রেখে রাগি গলায় বললো৷

” জানেমন আমি এখন তোমার সাথে শাওয়ার নিবো তাই ঢুকেছি৷”

” মেঘ ভালো হবে না বলে দিচ্ছি৷ আমি মাত্র শাওয়ার নিয়েছি৷”

” এবার না হয় আমার সাথে আর একবার শাওয়ার নিবে না হয়৷ ” বলে মেঘ শাওয়ার অন করে দিলো৷ ফারহা আবারও ভিজে জুবুথুবু অবস্থা ৷ মেঘ ফারহা দুজনে ভিজছে ৷ মেঘ নেশাভরা চোখে তার প্রিয়তমার দিকে তাকিয়ে আছে৷ পানির প্রত্যেকটা ফোঁটা ফারহার কপাল চোখ ঠোঁট ছুঁয়ে যাচ্ছে ৷ মেঘের চ্ছে করছে ফারহার ওই কাঁপা কাঁপা ঠোঁট জোড়া ছুঁয়ে দিতে৷ মেঘ ফারহা কোমড় চেপে ধরে যেই না ফারহার আরো কাছাকাছি আসতে যাবে তখনি ফারহার ফোনটা বেজে ওঠে৷ ফারহা দ্রুত মেঘকে সরিয়ে দিয়ে বলে , মেঘরাজ আর্জেন্ট ফোন হতে পারে ৷ আমাকে এখুনি চেন্জ করতে হবে৷”

মেঘ ফারহার নাক টেনে দিয়ে বলে ,” ওকে ফারুপাখি তুমি চেন্জ করে নেও ৷ আমি বাইরে আছি৷”

মেঘ ভিজে অবস্থায় বের হয়ে যায়৷ ফারহা ঝটপট কোন ভাবে শাড়িটা পেচিয়ে বেরিয়ে এসে কল লিস্ট চেক করে ৷ পুনরায় সেই একই নাম্বার থেকে কল আসতে ফারহা কল রিসিভ করতে ফোনের ওপাশ থেকে যা বললো তা শুনে ফারহা ধপ করে বেডের উপর বসে পড়ে৷

মেঘ ফারহার এই অবস্থা দেখে বলে,” কি হয়েছে ফারুপাখি? ”

” মেঘ দ্রুত ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নেও৷ আমাদের এখুনি বের হতে হবে৷”

” কি হয়েছে বলবে তো?”

” কিং ফায়ার আবারও রাজধানীতে এট্যাক করেছে মেঘ৷ আর ডি এক্স বোম যে কোন মুহূর্তে ফেটে যেতে পারে৷ সাধারণ মানুষদের জীবনের ব্যাপার ৷”

মেঘ আর কিছু জ্বিজ্ঞাসা করলো না৷ দ্রুত কাপবোর্ড থেকে ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো৷

হাইস্পিডে গাড়ি ড্রাইভ করছে মেঘ ৷ যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব হেড কোয়াটার্সে যেতে হবে তাদের ওখান থেকে বোম ডিফিউজ করে এমন কয়েকজন অফিসার কে নিয়ে বোম সেট করা স্থান গুলোয় পৌছাতে হবে তাদের, কিন্তু হঠাৎ করে একটা বড় গাড়ি এসে মেঘের গাড়ির সামনে এসে দাড়ায় আর তখনি……
.
.
.
#চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here