#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৩৫
.
.
(৬৪)
চোখে মুখে পানির ছিটে পড়তে টিপ টিপ করে চোখের পাতা মেলে কিং ফায়ার সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটাকে দেখে ভয় পেয়ে চমকে উঠলো৷ সেই তীক্ষ্ম চোখ সেই মুখের বাঁকা হাসি আর চোখে মুখে হিংস্রতা৷ কিং ফায়ার কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলো, ” আ,,আরু?”
” কেমন আছো আগুন? উপস স্যরি কিং ফায়ার?” আগুনের হাতের বাধন খুলতে খুলতে বললো ফারহা৷ ফারহাকে দেখে কিং ফায়ারের কলিজা শুকিয়ে গেছে৷ তার উপর এমন অজানা অচেনা জায়গায় নিজেকে গাড়িতে আবিষ্কার করবে এটা কিং ফায়ার কল্পনাও করতে পারেনি৷ মেঘ ফারহার হাতে মার খাওয়ার পর কিং ফায়ার এখনো সুস্থ হয়ে ওঠেনি৷ আর আজ আবার আরুর সামনে সে এর পর আরু তার সাথে ঠিক কি কি করবে? তবে আরু কি ভাবে তাকে ওই ফ্লাট থেকে কিডন্যাপ করলো এটা কিং ফায়ার বুঝতে পারলো না কারণ জেসিকা তাদের তিন জনকে সেইফ জনে রেখেছিলো৷ কিং ফায়ারের মাথায় চট করে হ্যারি আর লিওর কথা স্মরণ এলে মনে মনে বলতে লাগলো,” হ্যারি লিও কোথায়? আরু ওদের কোথায় রেখেছে? নাকি ওদের কে নয় শুধু আমাকে কিডন্যাপ করেছে?”
হঠাৎ ফারহার হাতের তুরির শব্দে কিং ফায়ারের ধ্যান ভেঙে যায়৷ ফারহা কিং ফায়ারের অসহায় ফেসটা দেখে ঠোঁটের কোণে পৌশাচিক হাসি ফুটে উঠলো৷ কিং ফায়ারের গালে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইট করতে করতে বলতে লাগলো,” কি ভাবছো আগুন? এটাই যে শুধু তোমাকে কিডন্যাপ করেছি নাকি তোমার দুই চামচাকেও তোমার সাথে কিডন্যাপ করেছি৷ তাই তো?”
কিং ফায়ার তার ভয়টা চেপে কঠোর গলায় ফারহাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো ,” লিভ মি আরু আদার ওয়াইজ আই উইল কিল ইউ৷ ”
কিং ফায়ারের কথা শুনে ফারহা হো হো করে হেসে ওঠে, তা দেখে কিং ফায়ার কিছুটা দমে যায়৷ কিং ফায়ারের কাছে অস্র বা কোন এমন কোন বস্তু নেই যেটা দিয়ে আরুকে(ফারহা) আক্রমন করতে পারে৷
হঠাৎ হাসি থামিয়ে ফারহা কিং ফায়ারের শার্টের কলাট ধরে গাড়ি থেকে বের করে খালে দিকে ধাক্কা মারে৷ একটুর জন্য কিং ফায়ার খালে পড়ে যায়নি বরং পাড়ে মুখ থুবরে পড়ে যায়৷ আদিল রাফি দু’জনে দাড়িয়ে তাদের বোনকে দেখছে৷ আজ তার বোনফারহার চোখে মুখে অদ্ভুত এক হিংস্রতার ছাপ দেখতে পেলো আদিল রাফি৷ রাফি আদিলের হাত শক্ত করে ধরে আদিলের কানের কাছে মুখ এনে বলে,” ভাই দি কি এখন আবার মার্ডার করবে?”
” জানি না রাফি৷ আপু কখন কি করে সেটা আজ পর্যন্ত বুঝতেই পারলাম না৷ কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আপু ভয়ংকর কিছু একটা করতে চাইছে৷ যেটা দেখার জন্য আমাদের দু’জনকে মানুষিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে৷”
আদিলের কথা শুনে রাফির গলা বুক শুকিয়ে আসছে৷ শুকনো ঢোক গিলে রাফি ভয়ার্ত অসহায় দৃষ্টিতে আদিলের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ,” ভাই আমি বাড়ি যাবো৷”
রাফি কথা আদিলের কান অব্দি পৌছানো মাত্র আদিল দাঁত কটমট করে রাফিকে বলল,” আপু তোকে কি করবে জানি না রাফি কিন্তু আমি তোকে এবার এই খালে ফেলে দিবো৷ আর যদি একটাও বাড়তি কথা তোর মুখ থেকে আমি শুনতে পাই৷”
রাফি মুখটা কাচুমাচু করে রইল৷ আর কিছু বলার সাহস পেল না৷
_______________
রুমে বদ্ধ অবস্থায় তিনজন নার্সকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে জেসিকার কেন যেন সন্ধেহ হলো৷ জেসিকা সামনে এগিয়ে নার্স তিনকে ডেকে তোলার চেষ্টা করে কিন্তু তাদের কোন রেসপন্স না দেখে পাশের টেবিল থেকে পানির বোতল এনে নার্সদের চোখে মুখে ছিটিয়ে দেয়৷ কিছুক্ষণের মধ্যে নার্সদের জ্ঞান ফিরে আসতে, জেসিকা তাদের উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে, ” তোমরা এখানে এভাবে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে ছিলে কেন? আর দরজা বা কেন লক ছিলো বাইরে থেকে?”
জেসিকা নার্সের কথা শুনে নার্স মাথায় হাত দিয়ে বলল,” ম্যাম আমি কিছু জানি না৷ হঠাৎ করে পেছন থেকে কেউ চোখ চেপে ধরে মুখে কিছু একটা স্প্রে করে তারপর আর কিছু মনে নেই ম্যাম৷”
তিনজন নার্সের কথা একই থাকায় জেসিকা আর এক মুহূর্ত দেরি না করে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে হ্যারি লিও এর রুমে সামনে গিয়ে দেখে বাইরে থেকে দরজা লক করা৷ জেসিকা দ্রুত দরজা লক খুলে ভেতরে ঢুকে হ্যারি লিওকে দেখে স্বস্থির নিশ্বাস ফেলে৷ তৎক্ষনাৎ জেসিকার কিং ফায়ারের কথা মনে আসতে দ্রুত কিং ফায়ারের রুমের সামনে এসে দেখে রুমের দরজা খোলা ৷ জেসিকা রুমে ঢুকে কোথাও কিং ফায়ারকে খুজে না পেয়ে জেসিকা রাগে ফুসতে ফুসতে চিৎকার করে বলে উঠলো, ” ফারহা……”
(৬৫)
” স্যরি স্যার ম্যামকে কোন ভাবে ট্রেস করতে পারি নি৷ ”
” ইটস ওকে আসলাম৷ আমি খুব ভালো করেই জানি ফারুপাখিকে আজ কোন ভাবে ট্রেস করা যাবে না তবে;”
” তবে কি স্যার?”
” আর একটা ওয়ে আছে ফারুপাখিকে ট্রেস করার৷ ”
” কি উপায় স্যার?”
” রাফি বা আদিলের ফোন নাম্বার ট্রেস করো৷ আমি জানি ওরা দুই ভাই ফারুপাখির সাথে আছে৷”
” কিন্তু স্যার আপনি কি করে এতোটা শিওর হলেন? আর ওরা যে ম্যামের সাথে থাকবে তার গ্যারান্টি কি?”
” সব প্রশ্নের উওর পেয়ে যাবে আসলাম যখন ওদের কে ট্রেস করতে পারবে৷”
” ওকে স্যার আমি এখুনি ওদের ট্রেস করছি৷”
আসলাম তার ল্যাপটপ নিয়ে কাজে বসে পড়ে৷ অন্যদিকে মেঘ তার আঙ্গুলের ফাঁকে পেন ঘুড়াতে ঘুড়াতে বলতে লাগলো,” আই নো ফারুপাখি তুমি আজ ভয়ংকর কিছু করবে৷ কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে তোমায় নিয়ে; তোমার কোন ক্ষতি হয় তাহলে আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না৷ বিকজ ইউ আর মাই লাইফ মাই লাইফ লাইন মাই লাভ৷ যাই হোক না কেন তোমাকে আমি এই জীবনে ছাড়ছি না৷ তুমি আমার এবং শুধু আমার হয়ে থাকবে৷ থাকুক না ধূসর প্রেমের অনুভূতি ৷ হোক লুকুচুরি খেলা কখনো চোর পুলিশ খেলা তো কখনো অনুভূতি প্রকাশে মেলা৷ ”
মেঘের ভাবনার মাঝে আসলাম ঝড়ের বেঁগে মেঘের কাছে ছুটে এসে বলে, “স্যার আদিলের ফোন নাম্বার ট্রেস করা গেছে৷ তাদের অবস্থান শহর থেকে বেশ দুরে৷”
” গাড়ি বের করো আসলাম আমরা এখুনি বের হবো৷ গো ফাস্ট আসলাম৷”
” ওকে স্যার৷” আসলাম ল্যাপটপ রেখে ফোন নিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল৷
মেঘ দুটো রিভালবার কোমরে গুজে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো৷
________________
খালের পাশে বড় গাব গাছের ডালটায় কিং ফায়ারকে দরি দিয়ে উল্টো ঝুলিয়ে রেখেছে ফারহা৷ গাব গাছের বড় ডালটা খালের মাঝ বরাবর বিধায় ওই গাছটাই বেঁছে নিলো ফারহা৷ আদিল রাফি দু’জনে গাড়ি থেকে পানির বোতল বের করে ঢকঢক করে পানি খেয়ে ফারহার সামনে এসে দাড়ায়৷
কিং ফায়ারকে পানি থেকে এক পাঁচ ইন্চি উচুতে ঝুলানো বিধায় পানিতে থাকা রাক্ষুসে মাছ গুলো বারংবার পানি থেকে লাফিয়ে তাদের ধাড়ালো বিশাক্ত দাঁত দিয়ে কিং ফায়ারকে কাঁমড়ে যাচ্ছে৷ কিং ফায়ার নিজেকে বাঁচাতে ফারহার কাছে বার বার ক্ষমা চাইছে ৷ কিন্তু ফারহা নির্বিকার হয়ে তাকিয়ে আছে কিং ফায়ারের দিকে; এদিকে কিং ফায়ারের সুন্দর চেহারার অবস্থা কাহিল করে ফেলেছে রাক্ষুসে মাছ গুলো৷ কয়েকটা মাছ কিং ফায়ারের হাত দুটো দাঁত দিয়ে কেটে নিয়ে চলে গেল পানির গভীর তলদেশে৷ খালের কাঁদা পানির রং লাল বর্ণে ইতোমধ্যে ধারণ করেছে৷ রক্তের স্বাদ রাক্ষুসে মাছের কাছে পৌছাতে চারিদিক দিয়ে রাক্ষুসে মাছের দল ঝাঁক ধরে আসতে লাগলো৷
এদিকে আদিল রাফি এই ভয়ংকর মাছের দৃশ্য দেখে দুজনের অবস্থা বেশ নাজুক৷ ফারহা তার দুই ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ম্লান হেসে বলে,” কিরে খুব ভয় লাগছে? যদি খুব বেশি ভয় লাগে তাহলে চলে যেতে পারিস৷ এখন আর তোদের উপর কোন বিপদ আসবে না৷ আর এখানটা আমি নিজে সামলে নিতে পারবো৷”
ফারহার কথা শুনে আদিল রাফির দুজনে বেশ খারাপ লাগে৷ একজন মেয়ে হয়ে তার চেয়ে বড় কথা তাদের বোন যদি এই দৃশ্য চোখের সামনে দেখে সহ্য করতে পারে তাহলে তারা কেন পারবে না? এটা ভেবে আদিল তার মুখে ভাব ভঙ্গি পাল্টে ফেললো৷ রাফি আরো এক ঢোক পানি খেয়ে নিয়ে ফারহাকে বলে,” দি যেখানে তোর মতো এমন সাহসী বড় বোন আছে৷ সেখানে আমরা ভয় পাবো ভাবলি কি করে? আমি জানি দি তোর উপর এতো গুলো বছর কি ঝড় বয়ে গেছে৷ বাট ট্রাস্ট মি দি আমরা যদি আগে এতো কিছু জানতে পারতাম তাহলে তোকে কখনো ওই নরকে থাকতে দিতাম না৷ তোকে আমরা ঠিক উদ্ধার করে নিয়ে আসতাম৷ ”
রাফির কথা শুনে ফারহা তাচ্ছিল্যর হাসি দিয়ে বলে,” যে নরকে নিজের আপন বোন ঠেলে দিতে পারে সেখানে তোরা আমাকে উদ্ধার করার কথা বলছিস?”
“আমার লাইফে বড্ড গোলমেলে রাফি ৷ আমার আজ পরিচয় আমি একজন টেরোরিস্ট ,দেশদ্রোহী ৷ ”
” তুই ভুলছিস আপু৷ কারণ তোর পরিচয় তুই ফারহা খান আর এখন তুই ওয়াইফ অফ মেঘ চৌধুরী ৷ ”
ফারহা আদিলের মুখের দিকে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থেকে আবার কিং ফায়ারকে দেখায় মনোনিবেশ করলো৷
________________
” স্যার গাড়ি বা’দিকে নিন৷ ”
” আসলাম বা দিকে ঘণ জঙ্গল৷ গাড়ি নিয়ে ঢোকাটা বেশ টাফ৷”
” তাহলে স্যার আমরা হেটেই জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করি?”
” হুম এখন এখন এ ছাড়া আর কোন রাস্তা খোলা দেখছি না৷ ”
মেঘ গাড়ি লক করে আসলামকে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর প্রবেশ করে৷ বেশ কিছুদুর হাটতে হাটতে মেঘের চোখে হঠাৎ জঙ্গলের ভিজে মাটিতে গাড়ির টায়ারের চিন্হ দেখতে পেলো৷ এখন যেহেতু শীত পড়ছে সেহেতু রাতে নিশির পড়ায় জঙ্গলের মাটি এখনো ভিজে আছে৷ জঙ্গল ঘন হওয়ায় সূর্যের আলো খুব কম প্রবেশ করে৷ তাই মাটি এখনো ভেজা৷ মেঘ মাটিতে গাড়ির টায়ারের চিন্হ দেখে দেখে পথ এগোতে থাকে৷ হাটতে হাটতে মেঘ আসলাম সেই খালের সামনে এসে থামে৷ মেঘ আসলাম দুজনে আশে পাশে কাউকে না দেখতে পেয়ে বেশ নিরাশ হয়৷ আসলাম ট্যাবে আদিলকে ট্রেস করতে গিয়ে হঠাৎ খেয়াল করে ট্যাব অফ হয়ে গেছে৷ আসলাম ভয়ে ভয়ে কথাটা মেঘকে বলতে নিলে হঠাৎ চোখ পড়ে খালের মাঝ বরাবর ঝুলন্ত পানিতে ডোবা অর্ধেক মানুষের শরীর৷ এই দৃশ্য দেখে আসলাম মেঘকে বলে ওঠে, ” স্যার ওই যে দেখুন কাউকে খালে অর্ধেক ডুবিয়ে রেখেছে৷”
মেঘ আসলামের কথায় খেয়াল করে দেখে সত্যি কোন পুরুষকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে৷
” আসলাম ফাস্ট ওই গাছের কাছে যাও ৷ দেখো দরিটা গাছের সাথে বাধা আছে৷”
” ইয়েস স্যার৷ ”
আসলাম দ্রুত গাব গাছের কাছে গিয়ে দরিটা দেখতে পেয়ে খুলে টেনে ধরে, সাথে সাথে কিং ফায়ারের অর্ধভাগ মৃত শরীর পানি থেকে উঠে যায়৷ এটা দেখে আসলাম মেঘ দু’জনে বেশ ঘাবড়ে যায়৷ কিং ফায়ারের অর্ধভাগ মৃত অবস্তায় শরীর টা পানি থেকে তুলতে পানির ভেতরে থাকা রাক্ষুসে মাছ গুলো পানি থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে কিং ফায়ারের শরীরে কামড়ে ধরে আছে৷ মেঘের বুঝতে আর বাকি নেই এই কাজটা কার হতে পারে!
মেঘ তার চোখে মুখে কাঠিন্য ভাব ফুটিয়ে তুলে আসলামকে নির্দেশ দেয়৷ পুরো পুরি ভাবে অর্ধভাগ মৃত শরীর টা খালে ছেড়ে দিতে৷ আসলাম মেঘের নির্দেশ মতোই দরিটা ছেড়ে দেয়৷ কিং ফায়ারের অর্ধেক লাশটা পানিতে পড়তে রাক্ষুসে মাছেরা লাশটাকে মুহূর্তে ছিড়ে খেয়ে ফেলে৷
__________________
” উফফ দি আর একটুর জন্য জীজুর কাছে ধরা পড়তে গিয়েও পড়লাম না৷ যদি না তুমি জীজু আর তার পিএ আসলাম ভাইয়ের গলা শুনতে৷ ”
” হুম রাফি তুই ঠিক বলেছিস৷ আপু যদি জিজুর গলা না শুনতো তাহলে আমরা আজ ধরা পড়ে যেতাম৷ কিন্তু আপু আমার না তোর কিং ফায়ারকে মারার স্টাইল টা ভালো লাগে নি৷ ওকে আরো কষ্ট দিয়ে মারা উচিত ছিলো৷ ”
ফারহা গাড়ি ড্রাইভ করতে করতে রাফি আদিলের কথা শুনে নিরবে হাসতে লাগলো৷ ফারহা হাসি থামিয়ে রাফি আদিলকে বললো,” তোরা আজ তোদের বাড়িতে ফিরে যাবি৷ ফুফি যদি কিছু জানতে চায় তো বললি তোদের অফিসের কিছু ইম্পট্যার্ন্ট ফাইল রেখে গেছিস৷ আজ চৌধুরী ম্যানশনে তোরা যাবি না৷ ”
” কিন্তু কেন আপু?”
” কারণ আজ তোদের চৌধুরী ম্যানশনে থাকাটা নিরাপদ নয়৷ আর হা তোরা আজ আর কোথাও বের হবি না৷”
” ওকে আপু৷”
ফারহা আদিল আর রাফিকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে ফারহা চৌধুরী ম্যানশনে চলে আসে৷
ফারহা বাড়িতে ফিরে ড্রাইভার কে দিয়ে গাড়ি ওয়াশ করতে পাঠিয়ে দেয়৷ ফারহা চায় না মেঘ কোন ভাবে কোন ক্লু খুজে পাক৷ তাই সব প্রুফ মিটিয়ে দিতে চায়ছে৷
বাড়িতে প্রবেশ করে তনুকে ড্রইংরুমে দেখে ফারহা সেখানে দাড়িয়ে যায়৷ তনু তার ফোন দেখায় এতোটাই ব্যস্ত যে ফারহা তার পাশ দিয়ে উপরে চলে গেল সেটা টের পেল না৷ ফারহা ধীরে ধীরে নিজের রুমের দিকে এগোতে লাগলো৷ তখনি হঠাৎ পেছন থেকে কারো গলা শুনে থমকে ফারহা…….
.
.
.
#চলবে……..
[