নক্ষত্র বন্দনা পর্ব ৫

#নক্ষত্র_বন্দনা

#পর্ব_৫

#লেখায়_জারিন

২৩.

ইরিন এখনো মাথা নিচু করে বসে আছে। এমন উদ্ভট ধরণের মিথ্যা বলায় ভেতর ভেতর কেমন ভয় ভয় করছে তার। বিয়ের একরাতও গেলো না। নতুন বরকে মিথ্যা বললো সে। এখন যদি ধরা পড়ে যায়? ভীষণ রকম লজ্জায় পড়তে হবে। আর যদি এ কথা নক্ষত্র কাউকে বলে দেয়… শশুড় বাড়িতে জানাজানি হয়ে যায়,তখন?? হাসির খোরাক হয়ে উঠবে সে। ছিঃ ছিঃ কি একটা বিচ্ছিরি ব্যাপার হবে তখন! ভাবতেই ইরিনের চোখ মুখ কুচকে এলো। সেটা খেয়াল করলো নক্ষত্র। কিন্তু, কিছু বললো না এ নিয়ে। প্রসঙ্গ পাল্টে ইরিনকে বললো, ‘ফজরের নামায পড়বে না? ‘

এম্নিতেই ভয়ে, অস্বস্তিতে কাটা হয়ে ছিল ইরিন। তারওপর আচমকা নক্ষত্রের কথায় চমকে উঠলো সে। একপলক নক্ষত্রকে দেখতেই আবারও দুঃখে- বিরক্তিতে চোখ ফিরিয়ে নিল সে। ধীরকন্ঠে জবাব দিল, ‘হুম…পড়বো। ‘

_ঠিক আছে। আমি মসজিদে যাবো। অযু করে আসি পরে তুমি অযু করে নামায পড়ে নিও। ফ্লোরে শুয়ে ঘুম হয়নি বোধয় ঠিকমত। নামাযের পর ঘুমিয়ে নিও কিছুক্ষণ। এখানে সকাল ৮ টায় ব্রেকফাস্ট হয়। তার আগেই উঠে ফ্রেশ হয়ে নিও।

কথাগুলো বলে নক্ষত্র আর দেরি করলো না। দ্রুত উঠে ওয়াসরুমে চলে গেল। ইরিন এতক্ষণ মাথা নিচু করে কথাগুলো শুনছিল। নক্ষত্র সামনে থেকে উঠে চলে গেছে বুঝতে পেরে এবার সেও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। এতক্ষণ যাবৎ বুকের কাছে চেপে রাখা বালিশটা বড্ড অলস ভংগিতে সরিয়ে মেঝেতে রাখলো। যে পাতাটায় লেখা শেষ করেছিল, কলমটাও সেখানেই রাখা ছিল। সেটা বের করে মলাটে গুঁজে দিল আবার। আরেক নজর ওটাকে দেখে কোলের উপর রাখলো।তারপর, আড়মোড়া দিয়ে ক্লান্তির সাথে ঘুমের আভাস হিসেবে বিস্তর এক হাই তুললো সে। আস্তে ধীরে উঠে দাঁড়ালো। ঘুমে ঢুলতে ঢুলতেই নিজের আনা লাগেজের কাছে গেল। ওটা খুলে তাতে কাপড়ের ভাঁজে সুন্দর করে তুলে রাখলো ডায়রিটা। কাজ শেষে আবার ঢুলতে ঢুলতেই বিছানায় এসে বসলো, যেখানটায় নক্ষত্র ঘুমিয়েছিল। খালি বিছানা পেয়েও একদম কিনারা ঘেঁষেই শুয়ে পড়লো সে। আবারও তলিয়ে গেল গভীর ঘুমে।

অযু করে এসে নক্ষত্র দেখলো ইরিন আবার ঘুমিয়ে গেছে। নামায পড়া হলো না তার।কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণ হলো নক্ষত্রের। তবে, ঘুমন্ত ইরিনের শরীর যতটা না বিছনায় তার চাইতেও বেশি বাইরে ঝুলছে। এ দেখে বড্ড হাসি পেল তার। সে মনে মনে আওড়ালো, “এভাবে ঝুলে ঝুলে ঘুমালে রাতে গড়াগড়ি করে মেঝেতে তো পড়বেই! স্টুপিড একটা, ঠিক করে ঘুমাতেও শেখেনি। ” এরপর, বেরিয়ে গেল সে মসজিদের উদ্দেশ্যে।

২৪.

বাড়ি ফিরেও নক্ষত্র ইরিনকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেলো। ঘড়িতে তখন সময় সকাল ৭’৩০ মিনিট। আর মাত্র আধা ঘন্টা পরেই নীচে সবার ডাক পড়বে সকালের নাস্তার জন্য। অথচ ইরিন এখনো ঘুমাচ্ছে। সেটাও ভীষণ অগোছালোভাবে। নিজের ঘরে, নিজেরই বিছানায় কোন নারীকে এভাবে দেখে বেশ লজ্জা পেল নক্ষত্র। কিন্তু, ইরিনকে ডেকে তোলা দরকার। বাড়ি ভর্তি বিয়ে উপলক্ষে আসা মেহমান। নক্ষত্র চায় না প্রথম দিনই ইরিনকে এই ব্যাপারে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হোক। এমনিতেই তারা সুযোগ পেলেই নক্ষত্র কেন্দ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে ছাড়ে না। বিশেষ করে, তার আম্মুর বড় বোন।কিন্তু, ইরিনকে কেউ কিছু বলার সুযোগ না পাক, এটা নক্ষত্র খুব ভালো করেই খেয়াল রাখার চেষ্টা করে।

সময় নষ্ট করলো না নক্ষত্র। কাছে গিয়ে ইরিনকে ডাকলো। কিন্তু ইরিন উঠলো না। নক্ষত্র মনে মনে ধারণা করে নিল, ইরিন বোধয় বড্ড ক্লান্ত। শুধুমাত্র ডাকাডাকি করে এত দ্রুত তাকে ঘুম থেকে তোলা সম্ভব না। তাই, ইরিনের মাথার কাছে গিয়ে বসলো। অগোছালো চুলগুলোকে যথাসম্ভব গুছিয়ে ইরিনের দিকে তাকাতেই কোন এক অজানা নেশায় পড়লো যেন। ছবিতে দেখেই ইরিনকে ভালো লেগেছিল তার । আর ইরিনের বর্তমান জীবন সম্পর্কে জানার পর ওর প্রতি আলাদা এক মনোভাব তৈরী হয় নক্ষত্রের।

যদিও সে ইরিনের মতামত না জেনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে না বলেছিল,কিন্তু ইরিনের থেকে ইতিবাচক উত্তর পেয়ে আর না করতে পারেনি। তার আম্মুর পছন্দ আর নিজের ভালো লাগাকে প্রশ্রয় দিয়ে বিয়ে করে ইরিনকে। অথচ, ইরিন জানেই না এই মানুষটার কাছে তার জায়গাটা ঠিক কতটা!

এবারেও ইরিনের ঘুমন্ত অবস্থার সুযোগ নিতে ছাড়লো না নক্ষত্র। নিজের অনুভূতির পালে হাওয়া দিয়ে ইরিনের খুব কাছাকাছি গেল সে। তারপর, ইরিনের ছোট্ট কপালে জুড়ে দিল নিজের প্রথম চুম্বন। বেশ সময় নিয়ে সযত্নে স্পর্শ করে রইলো তাতে।

নিজের উপর ভারী কিছুর অস্তিস্ত্ব বোধ হতেই ঘুমের মাঝেই নড়েচড়ে উঠলো ইরিন। সরে এলো নক্ষত্র। নিজেকে সামলে নিল দ্রুত। এরপর, কড়া গলায় ডাকলো, ‘ইরিন “!

ঘুমে ভাটা তো আগেই পড়েছিল ইরিনের, নক্ষত্রের এমন ভারী ভারাকাম ডাকে তা একেবারে ছুটে গেল। দ্রুত চোখ খুলে কয়েকসেকেন্ড সিলিং এর দিকে তাকাতেই অচেনা ঠেকলো তা। নতুন সিলিং এর ব্যাপারটা মাথায় ধরতেই নক্ষত্রের কথা মনে পড়লো তার।

নক্ষত্র ততোক্ষণে বিছানা ছেড়ে উঠে গেছে। ওয়াসরুমের দিকে যেতে যেতে বললো, ‘পরে ঘুমিয়ে নিও। এখন নীচে যাওয়ার সময়। গেট রেডি। ”

ইরিন কিছু বলার সুযোগ পেল না। ড্যাবড্যাব করে নক্ষত্রের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো কেবল।

২৫.

খাবার টেবিলে সবাই নিজেদের মত খেতে, গল্প গুজব করতে ব্যস্ত।এদিকে নতুন বউ এসে যে এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে সেটা কেউ খেয়ালই করেনি। ইরিনের শাশুড়ি শায়লা খাবার টেবিলে সবার তদারকিতে ব্যস্ত। হঠাৎ ইরিনকে দেখতে পেয়ে ব্যস্ত পায়ে এগিয়ে গেল তার দিকে। হাস্যজ্জ্বল মুখে ইরিনের দিকে তাকাতেই হাসি মিলিয়ে গেল তার।

আপাদমস্তক নজর বুলাতেই দেখলো, জামরাঙা একটা জামদানি শাড়ি পড়েছে ইরিন।এটা তাকে বিয়ের তত্ত্বে দেওয়া হয়েছিল। খুব সুন্দর মানিয়েছে ইরিনের ফর্সা শরীরে। কিন্তু, শরীরে গয়না বলতে শাড়ির সাথে মিলিয়ে দু হাতে এক গোছা করে কাঁচের চুড়ি।গলায় একটা ইমিটিশনের লকেটসহ চেইন।আর কানেও ছোট দুটো দুল।
ইরিনকে এভাবে দেখে হতাশ হলেন তিনি। ইরিনের হাত ধরে চাপা স্বরে বললেন, ‘এ কি! এভাবে নিচে এসেছো কেন?’
ইরিন প্রথমটায় বুঝলো না তার শাশুড়ি কিসের কথা বললো। তাই অপ্রস্তুত হয়ে প্রশ্ন করলো, ‘এভাবে মানে?’

‘তোমার গয়না কই? নতুন বউ তুমি।এভাবে সাদামাটা হয়ে ঘুরে বেড়ালে সবাই কি বলবে! এটুকু তো খেয়াল রাখা উচিৎ ছিল রে মা’।

শাশুড়ির কথা বুঝতে পেরে লজ্জা পেল ইরিন। সত্যিই ভুল হতে গেছে কাজটা। খেয়াল রাখা উচিৎ ছিল। কিন্তু, বিয়েতে পাওয়া সব গয়নাই মুটামুটি বেশ দামী আর ভারী। এমন গয়না পড়ার অভ্যাসই কোনকালে ছিল না ইরিনের। বিয়েরদিন বেশ কষ্ট হয়েছে সামলাতে।তাই,ঘরের ভেতর এসব পড়ে ঘুরে বেড়ানোর কথাও ওর মাথায় আসেনি। লাগেজে শাড়ি ব্যাতিত অন্য পোশাক কিছু ছিল না বলেই শাড়ি পড়েছে। কিন্তু, গয়নার ব্যাপারটা বুঝতে পারেনি।

শাশুড়ি কথার জবাবে বেশ লজ্জিত ভঙ্গিতে বললো, ‘ভুল হয়ে গেছে মা। আসলে গয়নাগুলো অনেক ভারী তো আর অভ্যাসও নেই বাসায় এমন সেজে থাকার তাই বুঝতে পারিনি। মাফ করবেন। ‘

ইরিনের কথায় স্মিত হাসলেন শায়লা। চারদিকে একবার দেখে নিয়ে ইরিনকে তাড়া দিয়ে বললো, ‘ব্যাপার না। আমি অদ্রিকে দিয়ে কিছু হালকা গয়না পাঠিয়ে দিচ্ছি। তুমি ওগুলো…

শায়লার আর এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়ে উঠলো না। তার আগেই সেখানে উপস্থিত হলো তার বড় বোন আফিয়া । মহিলার স্বামী পুলিশের বড় কর্মকতা। বাপের বাড়ি তো বটেই শশুড়বাড়ির পরিবারও যথেষ্ট ধনী। তাই অর্থ ও অহংকার তার আপাদমস্তক জুড়ে। সেই সাথে কথাবার্তায় খানিক লাগামহীন স্বভাবও।

ইরিনকে দেখেই চোখমুখ কুচকে ফেললেন। তাদের কথার মাঝেই শায়লাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিসের গয়না পাঠাবি রে শালু?’

কথায় আছে..যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা হয়। শায়লা মনে মনে এমন কিছুর আশংকা করেই ইরিনকে ঘরে পাঠাতে তাড়া দিচ্ছিলেন। কিন্তু, বিধি বাম। সেই আফিয়ার সামনেই পড়তে হলো। তার বোনের কথার কোন লাগাম নেই। নক্ষত্রকে তো তিনি সহ্যই করতে পারেন না। কেবল মাত্র, শায়লার অনুরোধে তিনি বিয়েতে এসেছেন। এখন ইরিনকে পেয়ে কি না কি বলে বসে সেই ভয়েই শুকনো ঢুক গিলে বললেন, ‘ ইরিনের গয়না আপা। আমার কাছে রাখা। এই জন্যই দেখোনা গয়না ছাড়াই নীচে নেমে এসেছে। বাড়ি ভর্তি মেহমান। নতুন বৌকে এভাবে দেখলে কি ভাববে, তাই বলছিলাম যে গয়না পাঠিয়ে দিলে যেন পড়ে নেয়। ‘

‘বিয়েতে তো এত এত গয়না দিলি। আরও লাগবে? এত গয়না দিয়ে কি করবে ও! অবশ্য কপালও বটে এ মেয়ের। ঘুরে ফিরে কোন ফকিন্নির ছেলের কপাল গুণে এত বড়লোক বাড়ির বউ হয়ে গেল। জীবনে যা না পেয়েছে সেসব পেয়েও এখন আরও লাগবে। হুহ!এদের এত পেয়েও কেন যে পেট মন ভরে না আল্লাহ ভালো জানে। ‘

আফিয়ার কথায় একেবারে হতভম্ব হয়ে গেলো ইরিন। আফিয়ার এত অপমানজনক কথার মাঝেও ‘ফকিন্নির ছেলে ‘ কথাটা খট করে মস্তিষ্কের নিউরনে গিয়ে তীব্রভাবে নাড়া দিল। বিস্ফোরিত চোখে শায়লার দিকে তাকাতেই দেখলো তার মুখ ইতোমধ্যে চুপসে গেছে। ইরিনের সাথে চোখাচোখি হতেই লজ্জিত ভঙ্গিতে ইশারায় অনুনয় করলেন চুপ থাকার জন্য। ইরিন চুপ করে রইলেও তার মনে শব্দ দুটো খচখচ করতে লাগলো।

শায়লা আমতা আমতা করে বললেন, ‘এসব কি আজেবাজে কথা বলছো আপা। নক্ষত্র এ বাড়ির একমাত্র ছেলে। ওর বউ হিসেবে সব তো ইরিনই পাবে। এইসব গয়নাগাটি তো সামান্য ব্যাপার। ‘

‘তুই চুপ থাক শালু। তুই যে কি বুঝে ওই ছেলেকে এত আহ্লাদ করিস বুঝিনা আমি। ‘

‘আমার ছেলে আমি আদর আহ্লাদ করবো এটাই তো স্বাভাবিক। আর তুমি কি নিয়ে পড়লে বলো তো। যাও নাস্তা করতে বসো। আমি আসছি ওখানে। ‘

‘আল্লাহ যে তোকে কি দিয়ে বানায়ছে আল্লাহই ভালো জানে। ওই ফকিন্নির ছেলে…

‘আপা! ‘এবার কড়া গলায় বাঁধ সাধলেন শায়লা। কন্ঠের গম্ভীরতা বজায় রেখেই বললো, ‘তোমাকে নাস্তা করতে যেতে বলেছি। বাড়ি ভর্তি মেহমান। কোন তামাশা করো না প্লিজ।’

শায়লার এমন প্রতিবাদে প্রচন্ড অপমানিত বোধ করলেন আফিয়া। রাগে গমগম করতে করতে চেঁচিয়ে বললেন,’ আমি তামাশা করি? এই অপমান তুই আমায় করবি বলেই এত অনুরোধ করছিলি বিয়েতে আসার জন্য? আমি তো শুধু তোর মুখের কথায় এই বিয়েতে আসছি। নইলে ওই ছোটলোকের বাচ্চার ছেলের বিয়েতে আমি আমার পায়ের ধুলাও দিতাম না। ‘

এতক্ষণ ব্যাপারটা ঘরের একটা কোণায় চলতে থাকলেও আফিয়ার চেঁচানোতে তা পুরো ডাইনিং জুড়ে ছড়িয়ে গেল। খাওয়া, কথা বার্তায় মুখোরিত পরিবেশ থমকে গেল নিমিষেই। ঘটনা কি ঘটেছে তা ঠিকঠাক কিছু বুঝে উঠার আগেই আচমকা কোথা থেকে নক্ষত্র এসে ইরিনের হাত ধরলো। স্থান ত্যাগ করার আগে শায়লাকে উদ্দেশ্য করে বললো, ‘খালার যেন কোনরকম কোন অসুবিধা না হয়, একটু খেয়াল রাখবেন আম্মু। ইরিনকে নিয়ে যাচ্ছি আমি। ওর খাবারটা কাউকে দিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দিবেন প্লিজ। ‘

‘হুম। নিয়ে যাও। আমি এদিকে দেখছি সবটা। ‘ শায়লা নক্ষত্রকে আশ্বস্ত করে বললেন।

শায়লার কথায় তার দিকে তাকিয়ে ম্লান হাসলো নক্ষত্র। তারপর আফিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললো, ‘আম্মুর কথায় এখানে এসেছেন বলে ধন্যবাদ। কিন্তু আম্মুকে ভুল বুঝবেন না প্লিজ। আম্মু আপনাকে অপমান করে কিছু বলেননি। যান, নাস্তা করে নিন। ‘

কথা শেষ করে নক্ষত্র একমূহুর্তও দাঁড়ালো না। ইরিনের হাত ধরেই টানতে টানতে নিয়ে গেল ওখান থেকে। আর ইরিন! সে কেবল বিষ্ময়ে হতবিহ্বল হয়ে দেখলো সবটাই। কিছু বলার বা বোঝার সুযোগ কোনটাই তার হলো না।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here