না_চাইলেও_তুমি_আমার পর্ব শেষ

#না_চাইলেও_তুমি_আমার💞
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_২৫ [ শেষ পর্ব ]




কিছুদিন পর সামিরা গ্রামে ফিরে যায়, জিহানের বাবা মা সামিরার বাবা মার সাথে কথা সেরে ওদের বিয়ের তারিখ ঠিক করে সামিরা বিয়েতে অমত জানায় নিই,সামিরা আর জিহানের বিয়ের বাকি এখনো এক মাস, এর মাঝে ওদের ফোনে মাঝে মাঝে কথা হয়, ওরা দুজন দু চোখ হাজার স্বপ্ন বুনছে আগামী দিন গুলোর জন্য।আর এদিকে আমরা ও সবাই অনেক ভালো আছি, মার বাড়ীতে মাঝে মাঝে যাই মার সাথে দেখা করে আসি,এই বাড়িতে মা সমতুল্য শাশুড়ী মা, আর বাবা সমতুল্য শশুড় যারা কোনো সময় আমাকে কম স্নেহ করেন নিই,আর রইলো কাব্যের কথা, আমার জীবনের সুখের এক অধ্যায় হলো কাব্য।এই কাব্য নামের অধ্যায়ে আমি আমার জীবনের সব সুখ শান্তি অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়েছি।আমি আমার মাঝে কাব্যের একটা অংশকে ধারন করেছি, যে দিনের পর দিন আমার মাঝে একটু একটু করে বেড়ে উঠছে।সেই দিনের কথা মনে আছে যখন জানতে পারি আমি প্রেগন্যান্ট। হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ায় সবাই খুব ভয় পেয়ে যায়,আমার যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি কাব্যের মা আমার পাশে বসে আছে, আমি তাড়াতাড়ি শোয়া থেকে উঠে বসলাম, উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,,মা আমার কি হয়ে ছিল। কাব্য মা হাসি রাঙা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে আমাকে বলল,তখন মনে হয় কিছুখনের জন্য ঘোরে হারিয়ে গিয়ে ছিলাম ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না, পৃথিবীর বড় বড় সুখ গুলোর মধ্যে একটা হলো মাতৃত্বের সুখ যা এখন আমি অনুভব করতে পারছি।কিছুখনের মাথায় কাব্য অফিস থেকে ছুটে আসে আমরা মাথা ঘুড়ে পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে। এসেই চিন্তিত হয়ে বলতে লাগল,, কি হয়েছে তোমার আমার একটা কথাও শোনো না কেন কত বলি নিজের প্রতি যত্ন নেও দেখলে তো অসুস্থ হয়ে পড়লে।মা আর আমি শুধু মুচকি হাসছি কাব্য আমাদের দেখে ভ্রু কুচকে বলল,, এতে হাসার কি আছে। মা বলে উঠল,,, ইতি তুমিই ওকে বল আমি আসছি।বলেই মা রুম থেকে চলে গেলো, কাব্য আমাকে বলল,,কি হয়েছে মা কি বলতে বলল।আমি মুচকি হেসে কাব্যের হাতটা নিয়ে আমার পেটে রাখলাম কাব্য অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো,তারপর কাপা কাপা কন্ঠে বলল,, আআ,আমি যা ভাবছি তা কি ঠিক।আমি শুধু মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলাম।ওই দিন কাব্যের পাগলামো গুলোর কথা ভাবলে এখনো খুব হাসি পায়।আমার এখন নিজেকে এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবতী নারী মনে হয়।

আজ অবশেষে সামিরা আর জিহানের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো, আজ সামিরা আর জিহান ভাইয়ার গায়ে হলুদ,আমি মেয়ে পক্ষ আর কাব্য ছেলে পক্ষ, ঢাকাতেই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে, আমি আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের সাজ চেক করছি সব ঠিক আছে নাকি কাব্য হঠাৎ পিছন থেকে আমার কোমড় জরিয়ে ধরলো, হঠাৎ এমন হওয়ায় আতকে উঠলাম,ওকে দ্রুত সরিয়ে দিয়ে বললাম,,আরে কি করছো।ও আমার হাত ধরে এক টান দিয়ে ওর কাছে নিয়ে ওর হাত দিয়ে আমার মুখের সামনের চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে বলল,,, বুঝতে পারছো না কি করছি।বলেই নিজের ঠোট আমার দিয়ে আনতে লাগলো আমি এক আঙ্গুল দিয়ে আটকে দিলাম, ও সাথে সাথে ভ্রু কুচকে ফেলল,আমি বললাম,,এখন কি কোনো সময় আমাদের অনুষ্ঠানে যেতে হবে।ও অসহায়ের মতো মুখ করে বলল,,,প্লিজজজজ।আমি বললাম, না।

কাব্য গাল ফুলিয়ে বাহিরে চলে গেল,আর ওর এমন গাল ফুলানো দেখে হাসতে হাসতে আমার অবস্থা খারাপ।কিছুখন পর আমি সামিরার অনুষ্ঠানে গেলাম,সামিরাকে দেখে হা হয়ে গেলাম দেখতে ঠিক হলদেটিয়ার মতো দেখাচ্ছে ,আমি গিয়ে ওর পাশে বসলাম আর বললাম,,,কিরে তোকে যা দেখাচ্ছে না জাস্ট বলার মতো না।সামিরা লাজুক হেসে বলল,,,তোমাকে তো কম সুন্দর দেখাচ্ছে না।আমি বললাম,,হুম জিহান ভাইয়া এখন তোকে দেখলে দ্বিতীয় দফা আবার প্রেমে পড়তো।সামিরা মুখে লাজুক একটা হাসি দিয়ে বলল,,আপু চুপ কর।ওর এমন লজ্জা পাওয়া দেখে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলাম।

অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়িতে ফিরলাম,বাড়িতে ফিরে দেখলাম কাব্যও জিহান ভাইয়ার ওখানে থেকে চলে এসেছে।আমি ওর কাছে গিয়ে বললাম,,,ওখানে অনুষ্ঠান কেমন হয়েছে এদিকে তো আমরা খুব মজা করেছি।বলার সাথে সাথে কাব্য বসা থেকে উঠে বাহিরে চলে গেল।আমি তো অবাক হয়ে গেলাম ওর কি হলো আবার পরক্ষনেই মনে পড়লো কেন ফুলে আছে।আমি ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম ওতো ভারি সাজগোজ জাস্ট বিরক্ত লাগছিল।রাত ১ টা বেজে গেছে কিন্তু এখনো কাব্যের আসার খবর নেই কোথায় গেল।অনেক খন ধরে চোখ বন্ধ করে ছিলাম, হঠাৎ বুঝতে পারলাম পাশে কেউ এসে শুয়ে পড়েছে আর বুঝার বাকি নেই কে হতে পারে,উল্টো দিকে ঘুরে ওর ওপরে উঠে পড়লাম, ও রেগে বলল,,কি করছো।আমি দুষ্টু হেসে বললাম,,কেন বুঝতে পারছো না।ও আমাকে নিচে ফেলে বলল,,আমার নকল কর তবে রে।

পরের দিন সামিরা আর জিহানের বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ হলো, জিহান কখন থেকে দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে কিন্তু কাব্য আর বাকি বন্ধুরা কেউ জিহানকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না।জিহান কাব্যের দিকে তাকিয়ে বলল,,,ওই আমাকে ভিতরে ঢুকতে দে ও অপেক্ষা করছে।কাব্য আর ওর বাকী বন্ধুরা হেসে বলল,,কাব্য ওকে যেতে দে ওর তর সইছে না।কাব্য বলল,,, না না না এত কিসের তাড়া জিহান সাহেব।জিহান বলল,,তুই আমাকে ভিতরে যেতে দিবি না।কাব্য দাত কেলিয়ে বলল,,আর একটু পরে যা মাএ রাত ১২ টা বাজে।জিহান কাব্যের দিকে তাকিয়ে বলল,,তুই আমাকে যেতে দিবি না। কাব্য দাত কেলিয়ে বলল,,,না। জিহান সাভাবিক ভাবে বলল,,ওকে আমি ইতিকে নিখোঁজ করে দেবো আজ রাতের জন্য, আজ তুই ও বউ ছাড়া থাকবি।কাব্য বললে উঠলো,, কি???? আর সবাই হাসতে লাগলো।

কিছুখন পর জিহান রুমে ঢুকলো, সামিরা ঢুকার আওয়াজ পেয়ে গুটিসুটি হয়ে বসলো, জিহান এসে সামিরার পাশে বসার পর সামিরা হার্টবিট বেড়ে গেলো।জিহান সামিরার ঘোমটা টা তুললো, জিহান সামিরার হাত ধরার সাথে সাথে সামিরা মনে হয় বড়সড় শকট খেলো,সামিরা লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেলল,সামিরার এমন লজ্জা পাওয়া দেখে জিহান মুচকি হাসলো।
জিহান সামিরাকে বলল,,কি হলো এই পাগলি তুমি আমাকে ভয় পাচ্ছ।

জিহান সামিরারকে বুকে জরিয়ে ধরলো আর বলল,,,দেখো আজ তুমি আর আমি বিয়ের নামের পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি আমি তোমাকে যে দিন প্রথম কাব্যের রুমে দেখি তুমি মোবাইলে বারবি গেমস খেলছিলে আর হাসছিলে কিছুখনের জন্য তোমার ওই বাচ্চামোর মাঝে আটকে গিয়ে ছিলাম,তারপর যখন তুমি এসে আমাকে বললে আমি কে, বলতে পার এক প্রকার ইচ্ছে করে তোমার সাথে ঝগড়া করে ছিলাম যেন এই অজুহাতে তোমার সাথে আমার কথা হয় একটু হলেও আমার কথা ভাবো,কেন জানি না তোমার প্রতি আমার একটা অনুভূতি তৈরী হলো, তোমাকে সবার থেকে স্পেশাল মনে হলো সত্য বলতে তারপর থেকে তোমার সামনে গেলেই আমার হার্টবিট ফাস্ট হয়ে যেতো, আমি তখনি ঠিক করে নিই আমার জীবনে সব ছোট বড় বিষয়ে আমার তোমাকে প্রয়োজন, আমরা জীবনের সব খারাপ সময় ভালো সময় তোমাকে সাথে রাখতে চাই, আমি নিজের অজান্তেই তোমাকে ভিশন ভালোবেসে ফেলেছি তুমি বাড়বে না আমার সাথে কষ্ট করে সারাটা জীবন পাড় করে দিতে,আমাকে ভালোবাসতে।সামিরা জিহানের বুক থেকে মাথা উঠিয়ে মুচকি হেসে মাথা নাড়িয়ে সাই দিল, কারণ আনন্দের জন্য সামিরার মুখ থেকে কথাই বের হচ্ছে না।সামিরা সম্মতি দিয়ে আবার জিহানের বুকে মাথা রাখলো।জিহান মুচকি হেসে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো সামিরাকে।

——–পাঁচ বছর পর———-

আমি রান্না ঘরে মার সাথে রান্নার কাজে সাহায্য করছি, হুট করে পিছন থেকে কেউ জরিয়ে ধরলো তাকিয়ে দেখি, আমার আর কাব্যের ছোট পরীটা।আমি পিছনে ঘুরে বললাম,,,আম্মু কি হয়েছে। ও বলল,,,আম্মু আয়ান কখন আসবে আমি ওর সাথে খেলবো।আমি মুচকি হেসে বললাম,,,খুব দ্রুত, তোমার আব্বু নিয়ে আসতে গিয়েছে।ও খুশি হয়ে গিয়ে ওর দাদু ভাইয়ের গলা জরিয়ে ধরে বলল,,,দাদু দেখেছো আয়ান আসছে আমরা তিনজন মিলে খেলবো।বাবা হেসে বললেন,, অবশ্যই খেলবো দিদিভাই।তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,মামনি আমাকে এক কাপ চা দাও।আমি গিয়ে উনাকে চা দিলাম।

আয়ান হলো জিহান ভাইয়া আর সামিরার ছেলে।আজ ওরা আমাদের এখানে আসছে এখানেই থাকবে কিছু দিন। সন্ধ্যার একটু আগে ওরা আমাদের বাড়ীতে আসলো সামিরা এসেই আমাকে জরিয়ে ধরে বলল,,আপু কেমন আছো।আমি বললাম,,দেখতেই তো পাচ্ছিস ভিশন ভালো আছি তোর কি খবর। সামিরা কিছু বলার আগেই জিহান ভাইয়া বলে উঠল,, ওর কাছে কি জিজ্ঞেস করছো প্রশ্ন কর আমার কাছে।আমি জিহান ভাইয়ার কথা শুনে সামান্য হেসে বললাম,,,কেন ভাইয়া সামিরা কি খুব জ্বালায় নাকি।জিহান ভাইয়া বলে উঠলেন,,,জ্বালায় মানে আমার যে ছোট একটা ছেলে আছে ওর থেকে বেশী জ্বালায় আর ওর মাথায় সারাক্ষণ শুধু দুষ্টুমি বুদ্ধি ঘরে আমাকে এক সাথে দুইটা বাচ্চা সামলাতে হচ্ছে। জিহান ভাইয়ার কথা শুনে আমি কাব্য হাসতে হাসতে ক্লান্ত, জিহান ভাইয়াকে বললাম,,কেন ও কি করেছে।জিহান ভাইয়া বলল,,,কি করে নিই জানো আমাদের আসতে দেরি হয়েছে কেন। কাব্য ভ্রু কুচকে বলল৷ কেন??

জিহান ভাইয়া বললেন,,,আসার জন্য গাড়িতে উঠে দেখি গাড়ির টায়ারের হাওয়া নেই, তখন চিন্তায় পড়ে গেলাম আমি তো নতুন টায়ার লাগিয়েছি, কিছুখন পর দেখি ও মুচকি মুচকি হাসছে ওকে যখন বললাম,এটা তুমি করেছো ও বাচ্চাদের মতো হেসে বলল হ্যা ওর নাকি টায়ারের হাওয়া বের করতে খুব মজা লাগে। জিহান ভাইয়ার কথা শুনে সবাই আবার কয়েক দফা আসলো, সামিরা গাল ফুলিয়ে অন্যদিকে হাটা দিল। জিহান ভাইয়া বলল,,,ও নো আমার বউটা মনে হয় ফুলে গেছে আমি যাই ও আয়ান কোথায়।কাব্য বলল,,, ও কুহুর সাথে খেলছে চিন্তা করিস না সাথে বাবা ও আছে।জিহান ভাইয়া বলল,, ঠিক আছে আমি গেলাম।জিহান ভাইয়া সামিরার পিছনে গেলো, আমি কাব্যকে বললাম,,জিহান ভাইয়া কত ভালোবাসে সামিরাকে তাই না।কাব্য হঠাৎ আমাকে জরিয়ে ধরে বলল,,আমি ও।আমি কাব্যের দিকে ভ্রু কুচকে বললাম,,,কি তুমিও সামিরাকে ভালোবাসাে।কাব্য আমার কথা শুনে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো ওর এমন ফেস দেখে খিলখিলিয়ে হেসে দিলাম।

রাতের দিকে সবাই খাবার শেষ করে আড্ডায় বসলাম, সবাই নিজেদের মন ভাব প্রকাশ করছি, আর কুহু আর আয়ান পাশের রুমে বাবা আর মার সাথে খেলছে।জিহান ভাইয়া কাব্যকে বলল,,তো বন্ধু সব ঠিক চলছে তো। কাব্য হেসে বলল,,,হুম খুব ভালো চলছে।আমি সামিরাকে বললাম,,তাহলে সামিরা জিহান ভাইয়া যত্ন নেয় তো।সামিরা মুচকি হেসে মাথা নাড়িয়ে বলল,,হুম।জিহান ভাইয়া কাব্যকে বলল,,দোস্ত একটা গান গা।কাব্য বলল,,না। জিহান বলল,,আরে কি সমস্যা গান গা আমার গানের গলা ভালো না আমি গাইতে শুরু করলো কেউ বসে থাকতে পারবে না।জিহান ভাইয়ার কথা শুনে সবাই হাসা শুরু করলাম, কাব্য বলল,,ঠিক আছে ওয়েট আমি গিটার নিয়ে আসছি।

কাব্য গিয়ে গিটার নিয়ে আসলো তারপর বসে গিটারে সুর তুললো,তারপর গাইতে শুরু করলো

হুমম বকুলের মালা শুকাবে
রেখে দিব তার সুরভী.
দিন গিয়ে রাতে লুকাবে….
মুছো নাকো আমারই ছবি
আমি মিনতি করে গেলাম……
তুমি চোখের আড়াল হও
কাছে কিবা দূরে রও
মনে রেখো আমিও ছিলাম..
এই মন তোমাকে দিলাম…..
এই প্রেম তোমাকে দিলাম….
ভালোবেসে আমি বারেবার..
তোমারিও মনে হারাবো……..
এ জীবনে আমি যে তোমার
মরনেও তোমারি রবো…….
তুমি ভুলো না আমারই নাম….
তুমি চোখের আড়াল হও
কাছে কিবা দূরে রও
মনে রেখো আমিও ছিলাম
এই মন তোমাকে দিলাম
এই প্রেম তোমাকে দিলাম……

আমি কখন থেকে কাব্যের দিকে তাকিয়ে আছি আর ওর গাওয়া প্রত্যকটা লাইন অনুভব করছি,কাব্য গান শেষ করে আমার দিকে তাকালো তারপর হেসে বলল,,এমন করে তাকিয়ে আছো কেন খেয়ে ফেলবা নাকি। আমি ওর কথা শুনে ভ্রু কুচকে হেসে দিলাম, তারপর সামিরা আর জিহান ভাইয়ার দিকে তাকালাম, তাকিয়ে দেখি জিহান ভাইয়া মুচকি হাসছে সামিরাকে দেখে আর সামিরা জিহান ভাইয়ার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে।জিহান ভাইয়া কাব্যকে বলল,,তোর গান শুনে আমার বউ ঘুমিয়ে পড়েছে।জিহান ভাইয়ার কথা শুনে কাব্য আর আমি হেসে দিলাম।জিহান ভাইয়া সামিাকে কোলে তুলে বলল,,কাল সকালে দেখা হবে গুড নাইট।
বলেই জিহান ভাইয়া আমাদের বারান্দা থেকে নিজেদের রুমে চলে গেলো।আমি উনাদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি তখনি কাব্য হঠাৎ আমাকে কোলে তুলে নিলো আমি অবাক হয়ে বললাম,,আরে কি করছো।কাব্য বলল,,দেখতে পাচ্ছো না।আমি বললাম,,আমি জেগে আছি ঘুমিয়ে না।কাব্য বলল,,তো।আমি মুচকি হেসে ওর নাক টেনে বললাম,,পাগল।

ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন💙

★★★★★★সমাপ্ত★★★★★★

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here