সিক্রেট_গ্যাংস্টার পর্ব ১+২

ভার্সিটির সবার সামনে মাঠের মধ্যে কান ধরে দাঁড়িয়ে আছি।
ঘেমে নেয়ে গেছি।
আমার পাশেই একটু দুরে দাঁড়িয়ে আছে ভার্সিটির ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট এর প্রোফেসর, যার দেওয়া শাস্তি হিসাবে আমি গত ১ ঘন্টা যাবত কানে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
সবাই দেখে হাসছে।
এটা তো হাস্যকর ব্যাপার লজ্জায় আমার কান্না আসছে।
এদিকে আমার মুখ লাল হয়ে গেছে।
এতেও স্যার এর কোন দয়া হচ্ছে না । সে ছায়ার মধ্যে হাত খানা পকেটে পুরে দাঁড়িয়ে আছেন।
এভাবে বেশ কিছু সময় থাকার পর উনি আমার সামনে আসলেন,
–এই শাস্তি এর পর আমি আশা করবো না , তুমি আর জীবনে এমন কোন কাজ করবে না যা আমার পছন্দ না।
রাগে, দুঃখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি কোন কথা বলছি না।
–হাত নামাও আর সং সেজে থাকতে হবে না সবার মাঝে।
কথাটা বলে হনহনিয়ে তার গাড়ির মধ্যে উঠে ভার্সিটি থেকে চলে গেল লোকটা।
আমি কান থেকে হাত নামিয়ে হাঁটতে যাবো কি চোখের সামনে কালো হয়ে এলো।
তখনি পেছন থেকে ঋতু আমাকে ধরে বসল,
–দোস্ত ঠিক আছিস।
–হুম ঠিক আছি রে।
–না রে ঠিক নাই । সরি দোস্ত, দোষ টা আমার শাস্তি তুই পেলি।
–ধুর বাদ দে তো । একটা রিকশা দেখ আমি না আর পারছি না।
–হ্যাঁ দেখছি।
ঋতু গিয়ে রিকশা দেখলো।
একটা রিকশায় উঠলাম আমি আর ও।
বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
–দোস্ত তোর খুব খারাপ লাগছে ?
–শরীরের খারাপ লাগার থেকে মনের খারাপ লাগাটা বেশি রে।
–দোস্ত আমি সরি রে।
–ধুর আর সরি বলিস না । ওই লোকটা তো সব সময় ধান্দায় থাকে আমাকে নিচু দেখানোর জন্য।
–বুঝি না স্যার এমন কেন !
–সত্যি বলছিস ! যদি বুঝতে পারতাম রে তাহলে তো হয়ে গেছিল।
রিকশা তার আপন গতিতে চলছে।
আমি রিকশার উপরে বসে আছি, ঋতু আমাকে ধরে রেখেছে যাতে পরে না যাই । কারন ২ ঘন্টা রোদে দাঁড়িয়ে থেকে অবস্থা আমার খুব খারাপ।
পরিচয় দেয়,
আমি জান্নাতুল মেঘ। এবার অনার্স ১ ম বর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
বাবা মা আর আমি মিলে ছোট্ট একটা সংসার আমাদের।
বাবা অতটা উচ্চবর্তী স্থান এর মানুষ নয়।
সল্প আয়ের সংসার আমাদের।
মা গৃহিণী।
যে আমাকে এতোটা সময় রোদে দাঁড় করিয়ে রেখেছে সে হলো ঢাকা ভার্সিটি এর ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট এর প্রোফেসর।
আমার ডিপার্টমেন্ট ও ইংরেজি।
ওনার নাম আমান খান।
শহরের নাম করা বিজনেসম্যান আরিফ খানের বড়ো ছেলে।
আমি বুঝি না তাঁর আমাকে নিয়ে সমস্যা টা কি ! সব সময় আমাকে এভাবে হেনস্তা করে লাভটা কি পায় উনি।
ক্লাসের সবার সাথে ভালো করে কথা বলে আমার বেলায় তুই তোকারি করেন সব সময়।
আজ শুধু শুধু আমাকে এতো বড়ো বাজে শাস্তি দিলেন উনি,
সকালে ভার্সিটি তে এসে ঋতুর সাথে ক্লাসে এলাম।
তখন ঋতু বলল,
–দোস্ত তোর ভাইয়া আমাকে একটা চিঠি দিতে এতে চেয়েছে।
–কিসের চিঠি?
–জানি না জীবনের প্রথম চিঠি দিচ্ছে ও আমাকে।
–ওহ তা ভালো।
–হুম কিন্তু সমস্যা হইছে,
–কি সমস্যা,
–দাদা না আমাদের পাশের বিল্ডিং এ আসছে আজকে।
–কেন তোর দাদা এখানে কেন?
–জানি না একটা দরকারে । তুই প্লিজ চিঠিটা এনে দে।
–এখন?
–হ্যাঁ এখন।
–ওকে সমস্যা নাই ক্লাস শুরু হতে এখনো ১০ মিনিট দেরি আছে আমি নিয়ে আসছি।
–ওকে।
ওকে কথাটা বলে আমি বাইরে বের হলাম।
বের হতে দেখি ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে,
–আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।
–ওয়ালাইকুম আসসালাম ।
কেমন আছো আপু?
–আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি?
–আলহামদুলিল্লাহ এই যে চিঠি।
–দিন।
ওনার হাত থেকে চিঠিটা আমি নিবো এমন সময় চিঠিটা অন্য এক জন ছো মেরে নিয়ে গেল।
আমরা দু’জন ই তার দিকে তাকিয়ে পরলাম।
তার দিকে তাকাতে কলিজার পানি আমার অটোমেটিক শুকিয়ে যাচ্ছে।
এটা তো আমান স্যার।
চিঠিটা উনি খুলে পড়লেন।
আমি আর ভাইয়া পাথরের মতো তাকিয়ে আছি,
–কি ব্যাপার কিরন তোমার না ইতিহাস ডিপার্টমেন্ট?
–জ্বি স্যার।
–তাহলে এই ডিপার্টমেন্ট এ কি?
–স্যার আসলে,
–আসলে ফাসলে শুনতে চাচ্ছি না এক্ষুনি ৫ মিনিটের মধ্যে আমার চোখের সামনে থেকে সরো।
–জ্বি স্যার।
সবাই স্যারকে খুব ভয় পায় যার জন্য ভাইয়া কিছু না বলেই চলে গেল।
আর আমি দাঁড়িয়ে রইলাম ।

ভাইয়া যেতেই সবার সামনে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিল আমার গালে।
গালে হাত দিয়ে ছল ছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
–লজ্জা করে না হিন্দু একটা ছেলের সাথে এসব করতে?
–ওটা আমার,
–চুপ একটা কথা বলবি না তুই,
ওই মাঠ দেখছিস সবার সামনে ওখানে কান ধরে ২ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকবি ঠিক ২ ঘন্টা।
–কিন্তু স্যার,
–তুই আর একটা কথা বললে তোকে আমি এখান থেকে বার করে দিবো । তুই জানিস এ ক্ষমতা আমার আছে ।
স্যারের কথা শুনে আর কিছুই বলার শক্তি ভেতরে থাকলো না।
চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম।
কারন সে চাইলে সত্যি আমাকে বার করে দিতে পারে।
বর্তমান,
–দোস্ত বাসায় চলে আসছি।
–ওহ ধন্যবাদ ঋতু তোর বাসা ছেড়ে তুই আমাকে এগিয়ে দিলি,
–আরে ধন্যবাদ তো তোকে আমার দেওয়া উচিৎ আজ তো তুই আমার জন্য,
–থাক বাদ দে,
–হুম।
আমি নেমে বাসার মধ্যে চলে এলাম ।
এক দম ওয়াসরুমে গিয়ে লম্বা সাওয়ার নিয়ে বিছনায় শরীর এলিয়ে দিলাম।
গালটা ব্যাথা হচ্ছে।
দারুণ জোরপ চড়টা মেরেছে।
সত্যি এলটা আস্ত রাক্ষস।
সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।
,
,
,
–হ্যালো ঋতু।
–জ্বি স্যার।
–তোমার বান্ধবির কি অবস্থা?
–বাসায় পৌঁছে দিয়েছি মনে হয় ঘুম…..
–ওহ আচ্ছা।
তুমি ওকে বলো না ওর খরব নিয়েছি তোমার থেকে।
–জ্বি স্যার।
–ওকে রাখি।
–জ্বি স্যার।
,
আমান ফোনটা কেটে দেয়।
হাতে থাকা চিঠিটা দিকে লক্ষ্য করে,
চিঠিতে লেখা ছিল,
–ভালোবাসা কি তা তুমি না জীবনে আসলে বুঝতাম না।
তুমি সে প্রথম নারী যে আমার জীবনে এসে পুরো জীবন টাকে আলোকিত করেছো।
এটা আমার লেখা প্রথম চিঠি প্রিয় আজ তবে এতটুকু লিখি ভালোবাসি।
আমায় প্রিয় ঋতু,
নিচে আমার প্রিয় ঋতু লেখাটুকু আমান এখন লক্ষ্য করে দেখছে।
আসলে ও চিঠির প্রথম দুই লাইন পড়ে এতোটাই রেগে গেছিল যে নিচের কিছু পড়েই নি।
–হায় আল্লাহ মেয়েটাকে এতো কঠিন শাস্তি দিলাম আমি।
ঠিক হয় নি এটা করা।
,
এদিকে,
সন্ধ্যা হয়ে গেছে । মেঘকে এভাবে ঘুমাতে দেখে মেঘের মা গিয়ে মেঘকে টেনে তুলে,
–মা শরীর খারাপ নাকি?
–না মা।
–তাহলে এভাবে ঘুমিয়ে আছিস কেন।
–এমনি মা ডাকো নি যে।
–ওহ আয় খেতে আয় । তুই তো খাস নি।
–হুম খাবো।
–আয়।
মায়ের সাথে খেয়ে নিলাম।
তার পর বই নিয়ে বসলাম।
কাল তো ওনার ক্লাস আছে। কিন্তু আজ যা হলো এর পর কিভাবে যাবো আমি ভার্সিটি তে।
লজ্জা আর লজ্জা ! এই স্যার টা ভীষন খারাপ।
বই টা বার করে কিছুই ভালো লাগছে না শুধু বার বার ওই কথা মনে হচ্ছে।
–ধুর ভালো লাগে না।
উঠে জানালার কাছে এসে জানালা খুলে চুল আঁচড়াতে লাগলাম।
তখনি হটাৎ পেছন থেকে কিছু একটার শব্দ পেলাম।
চিরুনি টা হাত থেকে রেখে দেখতে গেলাম কিসের শব্দ।
তখনি হটাৎ পেছন থেকে কেউ,
চলবে,#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#পর্ব_০২
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
হটাৎ পেছন থেকে কেউ এসে আমাকে ধরে বসে।
তৎক্ষনাৎ আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখি একটা মুখোশ পরা লোক আমার হাত দুটো সামনের দিকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে,
–কে আপনি? মা মা
–চেচিও না তোমার মা এখন নাই চেঁচালে কিন্তু সমস্যা হবে।
ভয়ে চুপচাপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম ।
ডাকাত নিশ্চিত কি করব চিৎকার দিবো কিন্তু ভয়ে গলা দিয়ে সাউন্ড বার হচ্ছে না।
লোকটা তার পকেট থেকে একটা লকেট সহ চেইন বার করে আমার গলায় পরিয়ে দিলো।
কি ব্যাপার ডাকাত তো নিতে আসে এ লোক কি আমাকে দিতে আসছে নাকি।
–এটা সব সময় পরে থাকবা। খুললে খবর আছে।
কথাটা বলে আমাকে ছেড়ে দিলো।
কিছু সময় এভাবে তাকিয়ে রইলাম লোকটার কাছে আসা ভয় দিচ্ছে, কিন্তু কেন জানি না ভালো লাগা কাজ করছে।
কিছু সময় এভাবে তাকিয়ে থাকার পর লোকটা দৌড়ে জানালা দিয়ে লাফ দিলো।
আমি আয়নার সামনে পাথরের নেয় দাঁড়িয়ে রইলাম।
কিছু সময় পর হুস আসতে দৌড়ে জানালা বন্ধ করলাম
হচ্ছে টা কি এসব আমার সাথে।
গলায় হাত দিয়ে লকেট টা দেখলাম
এটা পাথরের সেই লকেট টা যেটা আমি ৫০ টাকার জন্য কিনতে পারি নি। কিন্তু আমার খুব বেশি পছন্দের ছিল।
কিন্তু উনি কে ছিল এভাবে কি করে আসলো আর এটা বা কেন দিলো।
ধুর সব কেমন গুলায় যাচ্ছে। কিন্তু সত্যি বলতে লকেট টা খুলতে ইচ্ছে হচ্ছে না মোটেও৷
লকেট টার দিকে তাকিয়ে কিছু সময় বসে রইলাম তার পর বই নিয়ে আবার বসলাম

অনেকটা সময় পড়ালেখা করার পর উঠে বাইরে এলাম।
মায়ের ডাক শুনতে পেয়ে,
,
এদিকে,
সেই মুখোশ পরা লোকটা তার ল্যাপটপ এর স্ক্রিনে মেঘের সব কান্ড দেখে হাসছে
–একটা বাচ্চা মেয়ের প্রেমে পরছি আমি।
সত্যি মেয়েটা আমার জীবনের উপর যেভাবে প্রভাব ফেলেছে ওকে ছাড়া বাঁচা সম্ভব না।
–স্যার আপনার খাবার সময় হয়ে গেছে। বড়ো স্যার আপনাকে ডেকেছেন ডাইনিং টেবিলে
–হুম আসছি,
,
,
অন্য দিকে,
আমান তার বাবার সাথে বসে গল্প করছে
–আমান বিয়ের সময় হইছে বাবা।
বিয়ে কথাটা শুনে আমান কিছু সময় চুপ থেকে উত্তর দিলো,
–বিয়ের সময় কি আদোও হবে বাবা কখনো
কথাটা বলে মাথা উঁচু করে বাবার দিকে তাকিয়ে হেঁসে দিলো আমান,
আমনের হাসির গভীর মানে টা তার বাবা বুঝতে পেরে তার ঘাড়ে হাত দেয়,
–মহান আল্লাহ তায়লা চাইলে সব হবে।
–আমি জানি বাবা কিন্তু তুমি তো জানো যে,
–স্যার ক্ষমা করবেন আপনাদের মধ্যে চলে আসলাম আসলে বাইরে এক জন বৃদ্ধ মহিলা এসে বার বার আমান স্যারের কথা বলছে,
আমান কথা থামিয়ে গার্ড এর সাথে সেই বৃদ্ধ মহিলার কাছে চলে এলো,
বৃদ্ধ মহিলা আমানকে দেখে খুব খুশি হলেন,
–আমার আকাশের চান্দ তুই আইছিস বাবা এখানের কেউ আমাকে তোর কাছে যেতে দেয় না রে বাপ।
–দাদি মা তুমি কি দরকার বলো।
ওনাকে ছাড়ো।
গার্ড রা মহিলাকে ছেড়ে দিলো,
–বাবা আমার একখান নাতনী ছিল যে পাতানো মনে আছে তোর?
–হ্যাঁ মনে আছে,
–ওর না ভিশন জ্বর অনেক নুন পানি মিশিয়ে পোট্টি দিছি কিন্তু কাম হয় না তুই যদি ওরে একটু হাসপাতালে নিতি তাহইলে মনডা কয় নাতনী আমার বাঁইচা যাইতো বাপ।
–তুমি চিন্তা করো না দাদি মা আমি দেখছি।
আমান সেই মহিলার সাথে কিছু লোক পাঠায় তার নাতনী কে হসপিটালে নিতে এবং কিছু টাকা দিয়ে দেয়
বৃদ্ধ মহিলা খুবই খুশি হয়।
,
,
,
রাতে মেঘ বিছনায় শুয়ে শুয়ে বার বার সেই মুখোশ পরা লোকটার কথা ভাবছে আর তার হাতটা ঠিক সেই লকেট টায়।
তার স্পর্শ কোন মতেই ভুলা সম্ভব না।
ঘুমই হচ্ছে না মেঘের।
খুব কষ্টে নিজেকে সামলে ঘুমিয়ে পরে,
এদিকে,
এগুলা দেখছে সেই অচেনা আগন্তুক,
–আমার বোঝা হয়ে গেছে যতোটা আমি তোমাকে চাই ততোটা তুমিও আমাকে চাও।
ভালোবাসার কমতি হবে না।
,
,
,
সকালে সূর্য উঠেছে চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির ডাকে মেঘের ঘুম ভেঙে যায়,
ঘুম ভাঙতে উঠে তার নামাজ শেরে মর্নিং ওয়াক এ বের হয় ।
–ধুর এই ঋতু রোজ লেট করবে করবে তো করবেই ওকে আমি ধরে মারব।
কথাটা বলতে বলতে ঋতুকে ফোন করলাম,
–হ্যালো।
–হ্যা হ্যালো দোস্ত এই তো দুই মিনিট।
–তোরে আমি,
–সরি দোস্ত সরি,
–জলদি আয়,
–হ্যা এই তো তোর পেছনে,
পোছনে ফিরে দেখি ঋতু সাথে কিরন ভাইয়া।
ওদের দু’জন কে মানাই ভালো
কিরন ভাইয়া পুরো নাম কিরন দত্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস ডিপার্টমেন্ট এর স্টুডেন্ট, চিকুন চাকান ফর্সা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চির এক জন লম্বা ছেলে। আমার বান্ধবি কিন্তু কম সুন্দর না। হলুদ ফর্সা ভাইয়ার মতোই চিকুন চাকান একটা মেয়ে। ওদের দু জন কে খুব বেশি মানায়।
সত্যি বলতে দু জন দু’জন কে ভিশন ভালোবাসে।
–কিরে চল (ঋতু)
–হুম দুই প্রেমের পাখিদের সাথে আমার কাজ নাই তোমরা আগে হাঁটো আমি পেছনে হেডফোন কানে হাটবো।
–কি যে বলো বোন (কিরন ভাইয়া)
–কি বলব বলেন ভাইয়া বলতে তো অনেক কিছু ইচ্ছে হয় (দাঁত কটা বের করে কথাটা বললাম)
–মেঘ মার খাবি। (ঋতু)
–না বেব মার খাবো না।
–আপু কালকে জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
–বাদ দিন ভাইয়া কালকের কথা না মনে করি।
–হুম চলো হাটি।
–হুম চলুন,
ওরা সামনে আর আমি পেছনে কানে হেড ফোন গুঁজে হাটছি।
বেশ কিছুটা সময় পর আসছে এলটা গোলি এটা পার হলে উল্টো দিকে ঘুরে বাসার দিকে রওনা হবো।
তখন ভাইয়া বলল,
–মেঘ তুমি সামনে এসো এই যায়গা টা ভালো না।
–না ভাইয়া সমস্যা নাই হাঁটেন আমি আপনাদের পোছন পেছনই আসছি।
–সত্যি তো।
–হ্যাঁ ভাইয়া।
ওরা হাঁটছে আমি পেছন পেছন।
হটাৎ করে হাতে হেঁচকা টানে পাশের একটা দোয়ালের আড়াল হয়ে গেলাম।
আমি চিল্লাতে যাবো তখনি সামনে থাকা মানুষ টা আমার মুখ চেপে ধরল,
চোখ তুলে তাকিয়ে দেখি সেই মুখোশ পরা লোকটা,
–উম উম
–কি উম উম তোমায় দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল এর থেকে ভালো জায়গা পাই নি তাই চলে এলাম।
মাতুব্বরি করে ভাইয়াকে সামনে পাঠালাম এবার যদি এই ব্যাটা কিছু করে ভেবেই কলিজা কেঁপে উঠছে রে।
আমি সমান তালে ছুটাছুটি করছি কিন্তু লোকটা আমাকে ছাড়ছেই না।
কিছু সময় পর ক্লান্ত হয়ে লোকটার দিকে তাকালাম।
লোকটা পলক হিন ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তার চোখে কোন খারাপ মানসিকতার ছাপ দেখছি না আমি দেখতে পাচ্ছি খুব বেশি ভালোবাসার ছাপ।
আমি আবার শব্দ করে উঠলাম
এবার লোকটা আমাকে ছেড়ে দিলো,
–যাও,
আমি দৌড়ে বের হলাম।
এসে দেখি ভাইয়া আর ঋতু আমাকে খুঁজছে,
আমাকে দেখে ঋতু এসে জড়িয়ে ধরে,
–গেছিলি কই গাধি।
–কোথাও না রে,
–মার খাস নি অসভ্য ভয় পাইছি জানিস।
–সরি।
–চল আর হাঁটতে হবে না বাসায় যাবো ক্লাস আছে আজকে।
–হুম চল।
ভাইয়া আমাদের দু’জন কে বাসায় পৌঁছে দিলো
বাসায় এসে গোসল করে খেয়ে রেডি হলাম ভার্সিটির জন্য।
কাজ আমি কাজের মতো করছি কিন্তু বার বার সুধু সেই অচেনা লোকের মুখোশ পরা মুখটা আমার সামনে ভেশে উঠছে।
কথাটা কাউকে বলতে তো পারছি না কিন্তু আমার কেন জানি না বার বার সেই লোকটার কথাই ভাবতে মন চাইছে,
চলবে,
( আসসালামু আলাইকুম,
গল্পের নামের শুরুতে সিক্রেট কথাটা উল্লেখ আছে আমি আশা করবো ধৈর্য করে গল্পটা পড়বেন যা ধারনা করছেন তার কিছুই হবে না ধিরে ধিরে সিক্রেট বের হবে।
খারাপ মন্তব্য করতে হলে গল্পটা শেষ হলে করবেন আপনার মন্তব্য আমি মাথা পেতে নিবো কিন্তু এখন গল্প সম্পর্কে কিছু বাজে বলবেন না।
আর এতো এতো ভালোবাসা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ❤️।)
#সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
#পর্ব_০১
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
(গল্প সম্পর্কে সবার মতামত আসা করছি সবার ভালো লাগলে ইনশাআল্লাহ লিখে যাবো)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here