না_চাইলেও_তুমি_আমার পর্ব ২১+২২

#না_চাইলেও_তুমি_আমার💞
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_২১




কাব্য কখন থেকে রাগী লুকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, দু একবার ঢোগ গিলে জোর পূর্বক হাসার চেষ্টা করলাম কিন্তু হাসি আসছে না মুখে, এতটা রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে যে ভয়ে আমার অবস্থা খারাপ।এর মাঝে কাব্যের মা রুমে আসলো এসে বলল,,,এখন কেমন লাগছে তোমার আম্মু।আমি বললাম,,,এখন ভালো কিন্তু আপনার ছেলে যদি এভাবে তাকিয়ে থাকে,
তাহলে আমি আবার অসুস্থ হয়ে যাব মা ওকে বলেন না আমার সাথে কথা বলতে কত খন ধরে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে একটা কথাও বলছে না।

কাব্যের মা কাব্যের দিকে তাকিয়ে বলল,,,কিরে তুই মেয়েটাকে ভয় দেখাচ্ছিস কেন। কাব্য বলল,,,কি করব তাহলে ওকে কে বলে এইসব করতে। কাব্যের মা বলল,,,যা হওয়ার তো হয়েই গেছে এখন ওকে রাগ দেখিয়ে কিছু হবে না।

তার কিছু খন পর কাব্যের মা চলে গেলো, কাব্য এবার বসা থেকে উঠে গিয়ে দরজা আটকে দিল তারপর আমার উপর অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো,আমি জোর পূর্বক হেসে বললাম,,,কি হয়েছে চোখ দিয়ে খেয়ে ফেলবে নাকি দেখো তুমি যদি এভাবে আমার সাথে রাগ দেখাতে থাকো, আমি কিন্তু তোমার সাথে কথা বলব না।

ও বলল,,তো কি করব কে বলে তোমাকে এইসব করতে দুই হাত পুড়ে বসে আছো।আমি বললাম,,,আমি ইচ্ছে করে পুড়েছি নাকি তা তো তোমার জন্য বিরানি রান্না করতে গিয়ে পুড়ে ফেলেছি।

কাব্য আমার গালে হাত দিয়ে কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলল,,,আমার মন পুড়িয়ে পেট ভরার কোনো দরকার নেই আর যদি কখন এমন কিছু কর আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।আমি বললাম,,ঠিক আছে কিন্তু তুমি একটা জিনিস ভুলে গেছো।কাব্য ভ্রু কুচকে বলল,, আমি কি ভুলে গেছি।আমি লাজুক হেসে আমার কপাল এগিয়ে দিলাম।

ও মুচকি হেসে বলল,, ও সরি সুইটহার্ট একদম ভুলে গিয়েছিলাম তোমার হাত পুড়ার খবর পেয়ে আমি অস্থির হয়ে গিয়ে ছিলাম তাই মাথা থেকে বেড়িয়ে গেছে।বলেই আমার কপাল নিজের ঠোঁট ছুড়ালো।তারপর বলল,,,,হাতের যন্ত্রণা এখন কেমন। আমি বললাম,,
– এখন জ্বালা একটু কমেছে
– আর কখন এমন বোকার মতো অসচেতন হয়ে কাজ করব না
– ঠিক আছে ঠিক আছে আর করব না
– প্রমিস কর
– প্রমিস করলাম
– এই তো আমার লক্ষী বউ
– হুম আমার ডেভিল

রাতের দিকে, আমি অসহায় চোখে কাব্যের দিকে তাকিয়ে আছি,কাব্য বলল,,এভাবে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই সব খাবার শেষ করতে হবে।আমি বললাম,,, না প্লিজ এত খাওয়া যায় আমার তো মনে হচ্ছে খাবার আমার গলায় ভরাট করে ফেলেছে।কাব্য আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল,,,মাএ কয়েকবার নিয়েই তোমার পেট ভরে গেছে মুখ খোল।আর উপায় না পেয়ে মুখ খুললাম।

তারপর আমাকে বলল,,দেখি তোমার চুলটা বেধে দেই।আমি হেসে বললাম,,কি চুল বেধে দেবে তুমি পার মেয়েদের চুল বাধতে।ও ভ্রু কুচকে বলল,, না পারার কি আছে।আমি বললাম,,,ওকে তাহলে দেও।আমার চুল নিয়ে সংগ্রাম করে কাব্য আমার চুল বেধে দিল। আমি বললাম,, দাড়াও আয়নায় দেখে আসি।ও বলল,,,না না দেখার প্রয়োজন নেই। আমি ভ্রু কুচকে বললাম,,,কেন দেখি চুলের কি অবস্থা করেছো।তারপর উঠে আয়নার সামনে গিয়ে দারিয়ে চুল দেখে হাসতে হাসতে আমার অবস্থা খারাপ আর কাব্য বাচ্চাদের মতো গাল ফুলিয়ে বসে আছে

আমি ওর সামনে গিয়ে বললাম,,,এই যে মাই ডিয়ার ডেভিল তোমাকে আমি এক পৃথিবী সমান ধন্যবাদ দিলাম।ও মুখ পেচার মতো করে রেখে বলল,,,মজা নিচ্ছো আমার সাথে। আমি বললাম,,,একদম না। ও বলল,,তাহলে। আমি মুচকি হেসে বললাম,,,চুল বাধার জন্য ধন্যবাদ দেই নিই আমাকে এত এত এত ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছি।এখন আমার ডেভিলটার মুখে হাসি ফুটে উঠলো।

এভাবে কেটে গেলো দিন গুলো, আজ আমার ডেভিলটা গম্ভীর ভাব মুখে নিয়ে বসে আছে, আমি ওর দিকে তাকিয়ে ওর গলা জরিয়ে ধরে বললাম,,,কি ব্যাপার এমন গম্ভীর ভাব কেন মুখে।ও বলল,,,আমার সাথে কথা বলবে না আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই না।আমি বললাম,,, কেন আমি আবার কি করলাম।ও বলল,,,কি কর নিই তুমি যে চট্টগ্রাম যাবে আমি তোমাকে ছাড়া থাকব কি করে।

আমি বললাম,,,,দেখো নানু যেতে বলেছে অনেক দিন হয়েছে নানুকে দেখি না। কাব্য বলল,,,আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকব প্লিজ যেও না তোমার নানুকে এখানে নিয়ে আসো তাহলেই তো হয়।আমি বললাম,,,
– নানুর বয়স হয়েছে এত পথ জার্নি করলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, তুমিও চল আমাদের সাথে
– তুমি তো জানো কাজের জন্য আমি যেতে পারছি না, বাবা ও নেই, অফিসের সব দায়িত্ব আমার
– তাহলে আর কি করার বলো
– প্লিজ যেও না মা – বাবা কেউ নেই, আমি পুরো একা হয়ে যাব
– প্লিজ এমন কর না
– ঠিক আছে যাও

বলেই গিয়ে শুয়ে পড়লো,আমি ওর কাছে গিয়ে বললাম,,এই শোনো এই।ও কোনো কথা না বলে উল্টো দিকে ঘুরে শুয়ে আছে।আমি ওকে আর কিছু না বলে ওকে জরিয়ে ধরে শুয়ে পড়লাম।

আজ চার দিন হলো আমি চট্টগ্রামে, এই চারদিনে একবারও কাব্য আমাকে ফোন করে নিই আর নাই আমার কোনো ফোন কল রিসিভ করেছে, কিন্তু মাকে দিয়ে কথা বলিয়ে জেনে নিতাম কেমন আছে, সবার সাথে উঠানে বসে আছি যে যার মতো কথা বলছে, আমি ওদের মাঝে থেকেও ওদের মাঝে নেই, আমার মন যে আমার ডেভিলটার কাছে পড়ে আছে।

হঠাৎ জোরে চেচিয়ে উঠলো আমার মামাতো বোন সামিরা, ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললাম,,কি হয়েছে এমন গরুর মত হম্বাহম্বা করছিস কেন।ও বলল,,না তোমার ধ্যানই নেই কখন থেকে ডাকছি তাই এক প্রকাশ বাদ্ধ হয়ে চেচাতে হলো।পাশ থেকে নানু বলল,,,কিরে ধ্যান কোনে থাকে জামাইয়ের কাছে।

আমি হুট করে বললাম,,, নানু থাকলাম তো চারদিন আমাকে এবার যেতে দেও ওর অনেক অসুবিধা হচ্ছে ওখানে। আমার কথা শুনে সবাই হাসা শুরু করলো, আমি ওদের কিছুখন রেগে তাকিয়ে থাকলাম, আমার রাগ দেখে ওরা চুপ হয়ে গেলো, ওদের এমন ফেস দেখে আমি খিলখিলিয়ে হেসে উঠলাম।

পাশ থেকে নানু বলল,,,তা তো বুঝলাম নাতনি তো সুখবর কবে পাব।আমি কথার আগা মাথা না বুঝে বললাম,,,কি সুখবর মানে। পাশ থেকে আমার মামাতো ভাইয়ের বউ, মানে ভাবি বলে উঠল ,,, সুখবর মানে হলো ওয়াওয়া। ভাবির কথা শুনে সবাই হাসা শুরু করলো।
#না_চাইলেও_তুমি_আমার💞
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_২২




আজ ছয় দিনের মাথায় কাব্যকে না জানিয়ে বাড়ীতে চলে এসেছি সকাল সকাল,বাড়ীতে চুপি চুপি ঢুকলাম, কাজের খালা আমাকে দেখে জোরে বলতে গেলো,, আর,,,

তার আগেই আমি ইশারায় চেচাতে না করলাম, খালা চুপ হয়ে গেলো,তারপর আমার কাছে এসে বলতে লাগল,,তুমি এমন হঠাৎ কইরা আসলা যে তোমার তো আর এক দিন পর আসার কথা ছিল।আমি বললাম,,তোমার কাব্য বাবাকে সারপ্রাইজ দিতে তাড়াতাড়ি চলে এসেছি, ও কোথায়।খালা বলল,,,,উপরে আসে আমি একটু আগে চা দিয়া আসলাম।আমি বললাম,,,ঠিক আছে আমি রুমে যাই।

রুমে গিয়ে দেখি কাব্য ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে হাতে ঘড়ি পড়ছে।আমি পিছন থেকে
গিয়ে জোরিয়ে ধরে বললাম,,,ও আমার স্বামী কত মিস করেছি এই কয়েক দিন।ও ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে আমার সামনের থেকে চলে গেলো।যা বাবা এর কোনো রিয়াকশনই নেই,
বুঝতে পেরেছি মিস্টার অভিমান করেছে, তোমাকে আমি ওই অভিমানের রাজ্যে বেশী খন চলা ফেরা করতে দেব না।

রাতে দিকে,,,লাল পাড়ের মধ্যে সাদা রঙের একটা শাড়ি পড়লাম, আজ শাড়িটা বাঙালিদের মতো পড়লাম যাকে বলে বাঙলা শাড়ি,তারপর হাতে লালা সাদা কাচের চুড়ি পড়ে নিলাম।,চুল গুলো ছেড়ে বেলী ফুলের মালা চুলে জরিয়ে নিলাম, ঠোটে লাল লিপস্টিক আর চোখে কালো কাজল।পুরো বউ বউ সেজে আছি, রুমটা রেড কেন্ডেল আর গোলাপের পাপড়ি দিয়ে রুমটা কিছুটা সাজিয়েছি।

কিছুখন পর আমার অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটিয়ে কাব্য রুমে আসলো এসেই হা হয়ে গেলো সব কিছু দেখে হয় তো এমন কিছু আশা করে নিই।আমি বারান্দা থেকে ওর সামনে গেলাম,আমাকে দেখে ওর হাত থেকে অফিস ব্যাগটা নিচে পড়ে গেলো,তা দেখে পেট ফেটে হাসি পাচ্ছে।

কাব্য কিছুখন তাকিয়ে থেকে আমার সামনের থেকে ওয়াসরুমে চলে গেলো।যা বাবা একটা কথাও বলল না, কিছুখন পর ওয়াসরুম থেকে বেড়িয়ে বারান্দায় চলে গেলো।আমি ওর পিছনে গিয়ে পিছন থেকে ওকে জরিয়ে ধরলাম।ও কোনো রিয়াকশন না নিয়ে আগের মতো দাড়িয়ে আছে।এবার আমি বললাম,,,ওই আমার সাথে কথা বলবে না সরি বললাম তো। এবারও কোনো কথা বলল না, এবার ওর পিছন থেকে সামনে গিয়ে দাড়ালাম,একবারের ওর মুখ বরাবর, ও এবার মাথা অন্য দিকে ঘুড়িয়ে নিলো,আমি ওর গাল টেনে আমার মুখ বরাবার আনলাম,ও আবার অন্য দিকে মাথা ঘুড়িয়ে নিলো,আমি আবার ওকে আমার দিকে করলাম,তারপর বললাম,,আমার দিকে তাকাও দেখো তোমার জন্য কত সেজেছি আমাকে কেমন লাগছে।

কাব্য কিছুখন তাকিয়ে থেকে আবার অন্য দিকে তাকালো।এবার রেগে ওর সামনের ভিতরে চলে যেতে নিলাম আর ও পিছন থেকে আমার হাত টেনে ওর বুকের মাঝে টেনে নিয়ে আসলো আর বলল,,কি ব্যাপার রাগ করেছি আমি কই আমার রাগ ভাঙ্গাবা তা না করে নিজেই রাগ দেখাচ্ছো।আমি গাল ফুলিয়ে বললাম,,,আমি তো চেষ্টা করলাম তুমি তো মানার পাএ না। ও বলল,,তাই বলে এত তাড়াতাড়ি হার মেনে নিলে। ও আমার দিকে কিছুখন তাকিয়ে থেকে বলল,,আমার বউ তো একবারে নতুন বউের মতো সেজেছে।আমি খুশি হয়ে বললাম,,ভালো দেখাচ্ছে আমাকে।ও মুচকি হেসে বলল,, হুম অনেক।

বলেই আমাকে সামনের দিকে ঘুরিড়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে আমার কাধে ওর মাথা রেখে বলল,,,জানো এই কয়েকটা রাত একদম শান্তি পাই নিই চোখে ঘুমই আসে নিই।আমি বললাম,,,
– আমারও ভালো লাগে নিই তোমাকে ছাড়া
– তাই তাহলে আরও আগে আসলে না কেন
– আসতে দিলে তো আসতাম, ও সামিরা এসেছে
– কি ও এসেছে সেই বিয়েতে দেখে ছিলাম
– হুম আমাদের ওই বাড়ীতে আছে কিছু দিন থাকবে তারপর আবার চলে যাবে
– আমাদের এখানে নিয়ে আসো
– হ্যা আনবো কালই গিয়ে নিয়ে আসবো

বলেই হঠাৎ আমাকে কোলে তুলে নিলো আমি অবাক হয়ে বললাম,,,কি হলো।ও মুচকি হেসে বলল,অনেক কিছু হচ্ছে।বলেই আমাকে রুমে নিয়ে গেলো।

পরের দিন সকালে, কাব্য অফিসে যাওয়ার পর আমি সামিরাকে নিয়ে আমাদের বাড়ীতে চলে আসলাম,সামিরা বলল,,আপু তোমার শশুর শাশুড়ী কোথায়।আমি বললাম,,,
– উনারা বাহিরে গেছে আসতে আরো কিছু দিন সময় লাগবে
– তো কাব্য ভাইয়ার কি রাগ ভেঙ্গেছে।
– হুম
– আচ্ছা তুই রুমে বস আমি আসছি।
– কোথায় যাচ্ছো
– আরে বারান্দায় যাচ্ছি

বারান্দায় গিয়ে মাকে একটা ফোন করলাম যে আমরা বাসায় চলে এসেছি, এর মাঝে রুমের ভিতরে কথার আওয়াজ শুনে আমি বারান্দার দরজার সামনে এসে ভিতরের অবস্থা দেখছি, জিাহন ভাইয়া এসেছে, সামিরাকে বলছে,,,
– এই মেয়ে তুমি কে আর এই রুমে কি করছো
– তার আগে এটা বলেন আপনি কে, ও বুঝেছি চোর
– এই কথা ঠিক মতো বলো
– এই আপনার ভয় করে না এভাবে অচেনা অজানা মানুষের বাসায় চুরি করতে এসেছেন দেখে তো ভদ্র ঘরের মনে হয় তাহলে এই কাজ করেন
– জাস্ট সাট আপ
– ইশশ আমাকে ভয় দেখায়,ইউ সাট আপ
– দাড়াও তোমার ব্যবস্থা করছি ইতি ইতি
– আপু আপু

আমি ভিতরের আগুন দেখে দৌড়ে ভিতরে গেলাম, গিয়ে বললাম,,,
– কি হয়েছে জিহান ভাইয়া
– এই মেয়েটা কে নতুন কাজে নিয়েছো নাকি

সামিরা রেগে বলল,,ও হ্যালো আমাকে দেখে আপনার কাজের লোক মনে হয়। জিাহন ভাইয়া রেগে বলল,,,হ্যা।সামিরা ও রেগে বলল,,তাহলে আপনিও চোর।আমি এবার ওদের থামিয়ে বললাম,,আরে কি হচ্ছে সামিরা উনার কাছে সরি বল। সামিরা গাল ফুলিয়ে বলল,,কিন্তু আপু।
তার আগেই আমি বললাম,,,যা বলতে বলেছি তা কর।সামিরা জিহান ভাইয়ার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রেগে বলল,,,সরিররররর।বলে সামনের থেকে চলে গেলো, সরি বলল নাকি ধমক দিল এটাই বুঝার উপায় নেই।জিহান ভাইয়া আমাকে বলল,,,
– ইতি ও কে
– ভাইয়া ও আমার মামা তো বোন কালই এসেছে কিছুদিন এখানে থাকবে
– ও, এত রাগী কেন
– কি জানি ও কখনো কার সাথে চেচামেচি করে না আজই দেখলাম
– ভালো

জিহান ভাইয়ার কথা শুনে আমার ভ্রু কুচকে গেলো, আমি বললাম,,,কি ভালো।জিহান ভাইয়া হেসে বলল,,সময় হলেই বুঝতে পারবে।আমি আর কিছু বলতে যাব তার আগেই জিহান ভাইয়া বলল,,,আমি আসলে কাব্যের কাছে এসে ছিলাম কিন্তু ও মনে হয় একটু আগেই চলে গেছে
– হ্যা ভাইয়া ও তো চলে গেছে
– ঠিক আছে, আমি এখন আসি
– বসেন না কিছুখন
– এখন না কাল তো শুক্রবার কাল আসবো
– ঠিক আছে

বলেই জিহান ভাইয়া চলে গেলো, জিহান ভাইয়া চলে যাওয়ার পর সামিরা আমার রুমে আসলো এসে বলল,,,
– আপু ওই চোরটা কে ছিল
– আরে তুই চোর বলছিস কেন
– আর কি বলব হঠাৎ রুমে চলে এসেছে
– উনি হচ্ছেন জিহান ভাইয়া, কাব্যের বন্ধু, শুধু বন্ধু না বেস্ট ফ্রেন্ড।
– যাই হক আমার উনাকে একদম পছন্দ হয় নিই
– কেন বিয়ে করবি নাকি
– কাকে উনাকে উনি এই পৃথিবীর একমাএ ছেলে থাকলেও আমি উনাকে কখনো বিয়ে করব না
– হা হা হা হা
– হাসছো কেন থামবা
– ওকে

চলবে,,,,,
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
চলবে,,,,,,
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here