নিশ্বাস পর্ব ৩

#নিশ্বাস
#পর্ব_৩
#লেখক_Mohammad_Asad

অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠে নিশাত।
ছাদিক নিশাতের বুকে মাথা দিয়ে সুয়ে আছে। মুচকি হেঁসে উঠে মেয়েটা। ছেলেটা মাঝরাতে আমাকে কোলে তুলে খাটে সুয়ে দিয়েছে। পাগল একটা।
নিশাত ছাদিকের মুখের দিকে তাকিয়ে ডেকে উঠে।
-এই যে শুনছেন।
-উঁহহু
-আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ। সকালের নাস্তা তৈরি করতে হবে তো।

“ছাদিক ঘুমের মাঝে মেয়েটাকে শক্ত করে জরীয়ে ধরে, আর বলে।”
-আজকে তোমাক নাস্তা তৈরি করতে হবে না।
“নিশাত মিস্টি হেঁসে বলে”
-তাই
-হুম তাই
-সকালের নাস্তা তৈরি না করলে খাবে কি শুনি!
“ছাদিক নিশাতের ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলে”
-ভাবি আছে তো। ভাবি সকালের নাস্তা তৈরি করবে। আর, তাছাড়া কালকে তো আমাদের বাসর রাত ছিলো তাই না। আজকে তোমাকে নাস্তা তৈরি করতে হবে না।
-উঁহহু না।
-কি না হুম, তুমি সুয়ে থাকো। সরাদিন কাজ করো তুমি। এতো কাজ কিভাবে করো তুমি, বলো তো।
“নিশাত ছাদিকের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে”
-কাজের মেয়ে আমি। কাজ না করলে খাবো কি শুনি, পেটে তো কিছু দিতে হবে তাই না।
“ছাদিক নিশাতের ঠোঁটে একটা আঙুল দিয়ে বলে”
-এই তুমি কাল থেকে কাজের মেয়ে কাজের মেয়ে বলছো কেন বলো তো। তুমি আমার বউ এটাই এখন বড় পরিচয় তোমার।
“নিশ্চুপ”
-আমার ঘুম পাচ্ছে গান শুনাও।
-আমি গান তো পরি না।
-পাগলী একটা।

নিশাতের বুকে মাথা দিয়ে সুয়ে আছে ছাদিক। আর নিশাত ছেলেটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। সকাল ৮;০২ মিনিটে ভাবি রুমে আসে দুজনকে ডাকতে সকালের নাস্তা করার জন্য।

ছাদিক আর নিশাত দুজনে ফ্রেস হয়ে টেবিলে যায় সকালের নাস্তা করার জন্য।
আব্বু আম্মু ভাইয়া সকলে বসে আছে টেবিলে। আর মুচকি মুচকি হেঁসে যাচ্ছে।
তিন্নি ভাবি মুচকি হেঁসে বলে।
-তাহলে তো বাড়ির কাজের মেয়ে। বাড়ির বউ হয়ে গেলো।
“নিশাতের হ্যাঁসিখুশি মুখটা চুপসে যায় ভাবির কথা শুনে। ছাদিক ভাবির দিকে তাকিয়ে মিস্টি হেঁসে বলে।”
-ভাবি তুমি এমন করে বললে কেন বলতো। নিশাত কাজের মেয়ে ছিলো তবে, এখন তো আর না। নিশাতের এখন বড় পরিচয় সে আমার স্ত্রী।
-বাবারে বাবা ছাদিক ভালোই তো কথা বলতে শিখেছিস। নিজে তো একজন ধর্ষক তুই।

ছাদিকের আম্মু বলে,
-বউমা তুমি কি বলছো এইসব। তোমার মাথায় কি কোন বুদ্ধি নেই।
-কেন মা ঠিকি তো বলেছি।

ছাদিক সকালের নাস্তা না খেয়ে খাবার টেবিল থেকে উঠে রুমে চলে আসে। মনটা আবার খারাপ হয়ে যায় ছেলেটার। টেবিলে বসে ফোন টিপছে ছাদিক। কিছুক্ষণ পর নিশাত রুমের মধ্যে সকালের নাস্তা গুলো নিয়ে আসে।
-এই যে খাবার টেবিল থেকে রুমে আসলেন কেন?
“ছাদিক নিশাতের দিকে তাকিয়ে বলে”
-শুনলে না ভাবি আমাকে কি বললো। আমি নাকি ধর্ষক, হ্যাঁ ঠিকি তো আমি একজন ধর্ষক।

“নিশাত ছাদিকের মুখের দিকে তাকিয়ে মিস্টি হেঁসে বলে।”
-এতো রাগ কিসের হুম। খাবার নিয়ে এসেছি খেয়ে নেন।
-আমার খিদে নেই।
-আচ্ছা বাবা আমি খাইয়ে দিচ্ছি। তাহলে খাবে তো?
-আচ্ছা ঠিক আছে, খাইয়ে দেও আমাক তাহলে খাবো।
-পাগল একটা।

“চলবে?”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here