নিশ্বাস পর্ব ৪

#নিশ্বাস
#পর্ব_৪
#লেখক_Mohammad_Asad

-নিশাত কোথায় তুমি অফিসে চলে যাচ্ছি আমি।
“নিশাত দৌড়ে রুমে আসে এসেই বলে।
-ভালোভাবে যাবেন কেমন!
-আচ্ছা ঠিক আছে।
-ওকে তাহলে যান।
-রাতে এসে অনেক আদর করবো তোমায়।
-নাহ্
-কি নাহ্ হুম?
-আপনি অনেক খারাপ, আমাকে কষ্ট দেন।
-তাই
-হুম তাই
-আচ্ছা তাহলে আমি এখন আসি।
-আচ্ছা ঠিক আছে ভালোভাবে যান।

ছাদিক নিশাতের কপালে ছোট করে চুমু এঁকে দেয়। বলে,
-ভয় পেও না। রাত ৮টার সময় চলে আসবো আমি।
“নিশাত মুখটা পাকিয়ে বলে”
-এই কি বললেন, আমি ভয় পাই তাই না। এই ৪ বছরে ভয় পেয়ে কখনো কি এসেছি আপনার কাছে আমি।
-হুম তাই তো।
-আচ্ছা আপনি অফিসে যান। অনেক কাজ পরে আছে আমার।
-কিহ্ এতো কাজ কিসের হুম। নতুন কাজের লোক নিয়েছি। তোমাকে কাজ করতে হবে না।
-তা বললে কি হয় বলুন। আমি তো আপনাদের বাসার কাজের মেয়ে। এখন আপনার বউ হয়েছি, এটাই আমার জন্য অনেক। আর তাছাড়া নতুন কাজের লোকটা তো আসেনি।
-হ্যাঁ কাল থেকে আসবে বলেছে।
-হ্যাঁ তাকে বলুন, আসতে হবে না।
-কেন?
-আমি তো আছিই তাই না।

ছাদিক নিশাতের দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে। নিশাত একটু ভয় পেয়ে বলে।
-এই এভাবে কি দেখছেন?
-তোমাকে দেখছি। তোমার তো সাহস দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। আমার মুখের উপর কথা বলো তুমি।
“নিশাত এবার মাথাটা নিঁচু করে নেয়।”
-এই আবার মাথা নিঁচু করলে কেন?
-আমি তো কাজের মেয়ে তাই নাহ……..।

ছাদিক একটা ধমক দেয়। নিশাত ভয় পেয়ে মাথাটা নিঁচু করে নেয়।
-এই তোমাকে বলেছি না। নিজেকে কখনো কাজের মেয়ে বলবে না তুমি।
-কেন,
-ধুর থাক তুমি, আমার ভালো লাগে না ধুর। কাজের মেয়েকে বউ বানিয়ে সত্যি ভুল করেছি আমি। আমার সাথে তোমার যায় না।
“ছাদিক কথাগুলো বলে রুম থেকে চলে যায়। নিশাত মাথাটা নিঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিকি তো আমি কাজের মেয়ে আমার সঙ্গে তার যাবে কি করে। নিশাতের চোখ দিয়ে অঝরে বৃষ্টি ঝড়তে থাকে।
.
.
দুপুরের ভাত তরকারি রান্না করছে নিশাত। আজকে মনটা অনেক খারাপ। তিন্নি ভাবি রান্নাঘরে এসে বলে।
-কিরে নিশাত কি রান্না করছিস?
-এই তো ভাবি, কালকের কিছু গরুর মাংস ছিলো সেগুলো রান্না করছি আলু দিয়ে।
-হ্যাঁ ভালোই করেছিস। তুই আছিস এই বাড়িতে তাই আমাকে কিছু করতে হয় না। ছাদিক ভালোই করেছে কাজের মেয়েকে বিয়ে করে। আচ্ছা একটা কথা বলি তোকে।
“নিশাত মাথাটা নিঁচু করে বলে”
-জ্বি ভাবি বলেন।
-আমি খারাপ হতে পারি তবে, সত্যি কথা বলতে ভালোবাসি। শোন বাবা-মা ছাদিকের বিয়ে ঠিক করেছে।
-কি বলছেন এইসব ভাবি।
-হ্যাঁ ঠিকি বলেছি। ছাদিকের উপর থেকে যেন ধর্ষকের চিন্হটা মুছে যায়। তাই তোর সঙ্গে ছাদিকের বিয়ে দিয়েছে বাবা-মা। সবকিছুই প্লান ছিলো।
-কি বলছেন ভাবি এইসব!
-হ্যাঁ ঠিকি বলছি। আর শোন এই ব্যাপারে ছাদিক কিছুই যানে না।
-ভাবি কি বলছেন এইসব। বাবা-মা এইসব বলেছে।
-হ্যাঁ বাবা-মা এইসব বলেছে।
.
.
নিশাত দৌড়ে শ্বাশুড়ির ঘরে যায়। দরজার কাছে যাবার পর বলে।
-মা,
-হ্যাঁ নিশাত কিছু বলবি।

নিশাত মাথাটা নিঁচু করে বলে,
-আচ্ছা মা আপনি কি বিয়ে ঠিক করেছেন?
–কার বিয়ে ঠিক করেছি নিশাত!
-ওনার,।
-ছাদিকের কথা বলছিস।
-হুঁ
-হ্যাঁ ছাদিকের বিয়ে ঠিক করেছি। বড় লোকের মেয়ের সঙ্গে।
-কি সব বলছেন মা আপনি!
-আরে তুই এতো চিন্তিত হচ্ছিস কেন? কাজের মেয়ে হয়েও কি বেশি স্বপ্ন দেখছিস নাকি? শোন তুই কাজের মেয়ে ছিলিস আর এখনো আছিস।

নিশাত রুম থেকে বের হয়ে চলে যায়। চোখ দিয়ে অঝরে অশ্রু ঝড়ে যাচ্ছে। ঠিকি তো আমি কাজের মেয়ে। আমার স্বপ্ন দেখা মানায় না। একটু বেশি স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি। আমিতো খেলার পতুল, যে কেউ আমাকে নাঁচাবে।

চোখের জল মুছতে মুছতে রান্নাঘরে যায় নিশাত। তিন্নি ভাবি নিশাতের চোখের জল দেখে বলে।
-আরে নিশাত তুই কান্না করছিস কেন?
-“নিশ্চুপ”
-আমি যানি তুই কেন কান্না করছিস! শোন বাবা-মা আর যাই বলুক ছাদিক কিন্তু ব্যাপারটা যানে না। ছাদিক চাইলে বিয়েটা ভেঙে দিতে পারে। আর ছাদিক যদি তোকে নিয়ে খুশি থাকে তাহলে বাবা-মা ছাদিকের বিয়ে দিবে কেন?

“চলবে”

আসসালামু আলাইকুম, এই ২দিন আমি ভুল করে ফোন বাসায় রেখে, পোরশা মাহফিলে গেছিলাম । তাই গল্প দিতে পারিনি তার জন্য দুঃখিত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here