#নিস্বার্থ ভালোবাসা
#পর্ব:৪
#লেখিকা:তাসনিম জাহান রিয়া
অন্ধকার রুমে একটা ছবির সামনে বসে আছে একটা লোক।
অজানা: শুভ্রতা তুমি শুধু আমার। তোমাকে আমি আর কারও হতে দিব না।
—————————-
সকালের মিষ্টি রোদের আলো জানালার ফাক দিয়ে এসে শুভ্রতার চোখে পড়ে। শুভ্রতা চোখ মুখ কুচকে কিছুক্ষণ পরে পিটপিট করে চোখ খুলে। চোখ খুলে নিজেকে রিদের বুকে আবিষ্কার করে। তাকে একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। শুভ্রতা রিদের চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
শুভ্রতা: ইশ আমাকে জড়িয়ে ধরে কেমন বাচ্চাদের মতো ঘুমোচ্ছে। ইচ্ছে করছে গাফুস করে এই গুলুমুলু বাচ্চাটাকে খেয়ে ফেলি। কী সুন্দর মায়বী নিষ্পাপ চেহেরা। নাকের ওপর ঐ তিলটা দেখলেই ইচ্ছে করে কামড়ে কুমড়ে খেয়ে ফেলি। এই তিলটা দেখলেই নেশা লেগে যায়।
শুভ্রতা আর নিজের ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখতে পারলো না টুপ করে রিদের নাকে চুমু দিয়ে দেয়। রিদ ধপ করে চোখ খুলে ফেলে। রিদ এভাবে চোখ খুলাতে শুভ্রতা থতমত খেয়ে যায়।
রিদ: তুই আমাকে ভালোবাসিস তাহলে মিথ্যে কেনো বললি?
শুভ্রতা: আমি মোটেও তোমাকে ভালোবাসি না।
রিদ: ভালোবাসিস না তাহলে সকাল সকাল এমন ভালোবাসাময় পরশ কেনো?
শুভ্রতা: আমি কিছু করি নাই তুমি স্বপ্ন দেখছো।
রিদ: কালকে যা হলো সেগুলো কী স্বপ্ন। আমি না হয় ড্রাংঙ্ক ছিলাম তুই তো নিজের মধ্যে ছিলি তাহলে আমাকে বাধা দিলি না কেনো?
শুভ্রতা: নো রেসপন্স।
রিদ: তুই তো আমাকে ভালোবাসিস তাহলে কেনো এমন করছিস। শুভ্রতা ছাড়া এই রিদ যে প্রাণহীন।তুই আমাকে কোনোদিন ছেড়ে যাবি না তো।
শুভ্রতা: নো রেসপন্স।
রিদ: ওকে তুই চলে যা আমি তোকে আটকাবোনা। তুই চলে গেলে তো আমি এমনি বাঁচবো না। তাই তুই চোখের সামনেই আমার মৃত্যুটা দেখে যা।
শুভ্রতা: এসব কী বলছো তুমি?
রিদ: ঠিকই তো বলছি তুই তো আমাকে ভালোবাসিস না তাহলে আমি বাঁচি কী মরি তাতে তোর কী?
শুভ্রতা: একদম এসব কথা বলবে না। আমি ও তোমাকে অনেক ভালোবাসি। কোনদিনও তোমাকে ছেড়ে যাবো না।
শুভ্রতা রিদকে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে কেঁদে দেয়। রিদও তার প্রেয়সীকে পরম আবেশে জড়িয়ে ধরে।
রিদ: এভাবে থাকলে কিন্তু নিজেকে আর আমি কনট্রোল করতে পারবো না। পরে কিছু করে বসলে কিন্তু আমার দোষ দিতে পারবি না। ( দুষ্টুমি সুরে)
শুভ্রতা লজ্জা পেয়ে রিদকে ধাক্কা দিয়ে বিছানা ফেলে ওয়াশরুমে চলে যায়।
রিদ: ত্রুটি সবার মাঝেই থাকে কেউ একেবারে পারফেক্ট হয় না।
রিদ একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। হয়তো কোনো কিছু না পাওয়ার কষ্টে। শুভ্রতা শাওয়ার নিয়ে একটা কালো শাড়ি পড়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে। চুল থেকে পানি পড়ছে। রিদ সেদিকে ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে আছে। রিদ বেড থেকে আস্তে আস্তে নেমে গিয়ে শুভ্রতাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে পিঠে নাক ঘষতে থাকে। তখনি কেউ তাদের রুমের দরজায় নক করে। বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে দরজার দিকে তাকায়। শুভ্রতা রিদের বিরক্ত মাখা মুখ দেখে খিলখিলিয়ে হেসে দেয়। রিদ দরজা খুলে দেখে পাঁপড়ি( রিদের বোন) দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দাঁত কেলাচ্ছে যা দেখে রিদের মেজাজ আরো গরম হয়ে যায়।
রিদ: এখন দাঁত কেলাচ্ছিস না। দেখিস তোর বাসর ঘরে আমি আমার এক হালি বাচ্চা ঢুকিয়ে দিবো।
এক হালি বাচ্চার কথা শুনে শুভ্রতা রিদের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকায়।
পাঁপড়ি: আমার কী দোষ বাবাই তো বললো তোদেরকে ব্রেকফাস্ট করার জন্য নিচে ডাকতে।
পাঁপড়ি মুখ ভেংচিয়ে চলে যায়। রিদ ফ্রেশ হয়ে আসে। রিদ আর শুভ্রতা নিচে নেমে যায়। রিদ গিয়ে পাঁপড়ির পাশে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ে। রিদের পাশের চেয়ারটা খালি এনা ওটাতে বসতে গেলেই শুভ্রতা এসে ধপ করে বসে পড়ে।
শুভ্রতা: থ্যাংক ইউ।
শুভ্রতা একটা মিষ্টি হাসি দেয়। সবাই মিটিমিটি হাসছে। এনা ফুসতে ফুসতে অন্য একটা চেয়ারে বসে পড়ে।
—————————-
শুভ্রতা: আমার জামাইয়ের সাথে ঢলাঢলি করা তাই না। এখন মজা বুঝবি শাকচুন্নি।
শুভ্রতা এনার রুমের দরজার সামনে অনেকটা তেল ফেলে রেখে দিয়েছে যাতে এনা রুম থেকে বের হলেই ধপাস করে পড়ে যায়।
#নিস্বার্থ ভালোবাসা
#পর্ব:৫
#লেখিকা:তাসনিম জাহান রিয়া
শুভ্রতা: আমার জামাইয়ের সাথে ঢলাঢলি করা তাই না। এখন মজা বুঝবি শাকচুন্নি।
শুভ্রতা এনার রুমের দরজার সামনে অনেকটা তেল ফেলে রেখে দিয়েছে যাতে এনা রুম থেকে বের হলেই ধপাস করে পড়ে যায়। শুভ্রতা তাড়াতাড়ি লুকিয়ে পড়ে।
কিছুক্ষণ পরে,
এনা: আআআআআ
এনার চিৎকার শুনে সবাই দৌড়ে এনার রুমের সামনে আসে।
রাইহান: এনা তুই পড়লি কী করে?
এনা: ওমাগো আমার কোমড়টা গেলো গো।
আনিকা: আহ তোমার কী দিন দন বুদ্ধি লুপ পাচ্ছে। এখন এসব প্রশ্ন করার সময়। রিদ এনাকে কোলে নিয়ে রুমে আয়।
রিদ যেই এনাকে কোলে নিতে যাবে তখনি শুভ্রতা রিদের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকায়। ইশারায় বুঝিয়ে দিচ্ছে তুমি যদি এনাকে কোলে নাও তাহলে আমি তোমার হাত কেটে ফেলবো। রিদ শুভ্রতার এমন ভয়ংকর চাহনি দেখে এনাকে কোলে নেওয়ার সাহসটা দেখায় না।
রিদ: মামুনি আমি রহিমকে বলছি এনাকে কোলে নিয়ে রুমে দিয়ে আসতে।
এনা: আমি ঐ কাজের লোকটার কোলে কিছুতেই ওঠবো না। রিদ তুমি আমাকে একটু কোলে করে দিয়ে আসো। (ন্যাকা সুরে)
শুভ্রতা: রিদ তোমাকে কেনো কোলে নিবে। রিদের কোলে নেওয়ার জন্য আস্ত একটা বউ আছে। (মুখ বাকিয়ে বলে)
শুভ্রতা রিদের হাত ধরে টানতে টানতে ঐ স্থান ত্যাগ করে।
আনিকা: শুভ্রতা একটুও চেইন্জ হয়নি। এতো বড় হয়ে গেছে অথচ বাচ্চামোগুলো এখনো যায় নি।
রাইহান: হুম। ছোটবেলা থেকেই রিদের কোলে কাউকে ওঠতে দিত না।
—————————-
শুভ্রতা: রিদ তোমার হাত কাটলো কী করে? তোমার হাত থেকে তো র…
আর কিছু বলার আগেই শুভ্রতা সেন্সলেস হয়ে যায়। শুভ্রতার রক্তে মারাত্মক ফোবিয়া আছে। লাল রঙ দেখেও ভয় পায়।
রিদ: শুভ্রতা। (চিৎকার করে)
সবাই দৌড়ে রিদের রুমে আসে। এসে দেখে শুভ্রতা সেন্সলেস হয়ে গেছে আর রিদ শুভ্রতাকে ডাকছে। রাইহান ডক্টরকে ফোন করে। ডক্টর এসে শুভ্রতাকে দেখে ইনজেকশন দিয়ে যায়। আর বলে যায় এখন ঘুমোবে ২ ঘন্টা পর সেন্স আসবে।
২ঘন্টা পর শুভ্রতার সেন্স আসে। সবাই শুভ্রতার সাথে দেখা করে চলে যায়। রিদ শুভ্রতার হাত জড়িয়ে ধরে বসে আছে। চোখ দুটো টলমল করছে।
রিদ: আমার জন্যই সবকিছু হয়ছে। আমার মনে রাখা উচিত ছিল তোর রক্তে ফোবিয়া আছে।
শুভ্রতা: এতে তোমার কোনো দোষ নেই। এটা যাস্ট একটা এক্সিডেন্ট।
রিদ শুভ্রতাকে শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে।
পরেরদিন
রিদ অফিসে বসে আছে কাজ করছিল তখনি রিদের ফোনের মেসেজ টোন বেজে ওঠে। আননোন নাম্বার থেকে মেসেজগুলো আসছে। রিদ মেসেজ ওপেন করতেই থমকে যায়। শুভ্রতাকে একটা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে আছে।শুভ্রতা আর ঐ ছেলের অনেকগুলো পিক।
#নিস্বার্থ ভালোবাসা
#পর্ব:৫
#লেখিকা:তাসনিম জাহান রিয়া
শুভ্রতা: আমার জামাইয়ের সাথে ঢলাঢলি করা তাই না। এখন মজা বুঝবি শাকচুন্নি।
শুভ্রতা এনার রুমের দরজার সামনে অনেকটা তেল ফেলে রেখে দিয়েছে যাতে এনা রুম থেকে বের হলেই ধপাস করে পড়ে যায়। শুভ্রতা তাড়াতাড়ি লুকিয়ে পড়ে।
কিছুক্ষণ পরে,
এনা: আআআআআ
এনার চিৎকার শুনে সবাই দৌড়ে এনার রুমের সামনে আসে।
রাইহান: এনা তুই পড়লি কী করে?
এনা: ওমাগো আমার কোমড়টা গেলো গো।
আনিকা: আহ তোমার কী দিন দন বুদ্ধি লুপ পাচ্ছে। এখন এসব প্রশ্ন করার সময়। রিদ এনাকে কোলে নিয়ে রুমে আয়।
রিদ যেই এনাকে কোলে নিতে যাবে তখনি শুভ্রতা রিদের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকায়। ইশারায় বুঝিয়ে দিচ্ছে তুমি যদি এনাকে কোলে নাও তাহলে আমি তোমার হাত কেটে ফেলবো। রিদ শুভ্রতার এমন ভয়ংকর চাহনি দেখে এনাকে কোলে নেওয়ার সাহসটা দেখায় না।
রিদ: মামুনি আমি রহিমকে বলছি এনাকে কোলে নিয়ে রুমে দিয়ে আসতে।
এনা: আমি ঐ কাজের লোকটার কোলে কিছুতেই ওঠবো না। রিদ তুমি আমাকে একটু কোলে করে দিয়ে আসো। (ন্যাকা সুরে)
শুভ্রতা: রিদ তোমাকে কেনো কোলে নিবে। রিদের কোলে নেওয়ার জন্য আস্ত একটা বউ আছে। (মুখ বাকিয়ে বলে)
শুভ্রতা রিদের হাত ধরে টানতে টানতে ঐ স্থান ত্যাগ করে।
আনিকা: শুভ্রতা একটুও চেইন্জ হয়নি। এতো বড় হয়ে গেছে অথচ বাচ্চামোগুলো এখনো যায় নি।
রাইহান: হুম। ছোটবেলা থেকেই রিদের কোলে কাউকে ওঠতে দিত না।
—————————-
শুভ্রতা: রিদ তোমার হাত কাটলো কী করে? তোমার হাত থেকে তো র…
আর কিছু বলার আগেই শুভ্রতা সেন্সলেস হয়ে যায়। শুভ্রতার রক্তে মারাত্মক ফোবিয়া আছে। লাল রঙ দেখেও ভয় পায়।
রিদ: শুভ্রতা। (চিৎকার করে)
সবাই দৌড়ে রিদের রুমে আসে। এসে দেখে শুভ্রতা সেন্সলেস হয়ে গেছে আর রিদ শুভ্রতাকে ডাকছে। রাইহান ডক্টরকে ফোন করে। ডক্টর এসে শুভ্রতাকে দেখে ইনজেকশন দিয়ে যায়। আর বলে যায় এখন ঘুমোবে ২ ঘন্টা পর সেন্স আসবে।
২ঘন্টা পর শুভ্রতার সেন্স আসে। সবাই শুভ্রতার সাথে দেখা করে চলে যায়। রিদ শুভ্রতার হাত জড়িয়ে ধরে বসে আছে। চোখ দুটো টলমল করছে।
রিদ: আমার জন্যই সবকিছু হয়ছে। আমার মনে রাখা উচিত ছিল তোর রক্তে ফোবিয়া আছে।
শুভ্রতা: এতে তোমার কোনো দোষ নেই। এটা যাস্ট একটা এক্সিডেন্ট।
রিদ শুভ্রতাকে শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে।
পরেরদিন
রিদ অফিসে বসে আছে কাজ করছিল তখনি রিদের ফোনের মেসেজ টোন বেজে ওঠে। আননোন নাম্বার থেকে মেসেজগুলো আসছে। রিদ মেসেজ ওপেন করতেই থমকে যায়। শুভ্রতাকে একটা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে আছে।শুভ্রতা আর ঐ ছেলের অনেকগুলো পিক।
চলবে….
( ছোট করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। এক্সাম দিয়ে মাথা প্রচন্ড ব্যথা করছে। তাই বড় করে দিতে পারলাম না।)
চলবে….
( ছোট করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। এক্সাম দিয়ে মাথা প্রচন্ড ব্যথা করছে। তাই বড় করে দিতে পারলাম না।)
চলবে…..