#নিয়তি
#সেলিনা আক্তার শাহারা
#পর্ব—৪
________________
তুর্জের এমন কর্কশ কন্ঠের আওয়াজে তুর্জের মা লজ্জিত, তার ছেলে হয়ে কিনা এমন বেয়াদবি ছি ছি,
তুর্জ আর কথা বলেনি ওখান থেকে সোজা ছাদে চলে গেলো তুলিকে নিয়ে,
নন্দিনিও আর জোর করেনি কেনইবা জোর করবে তুলিতো ওর মেয়ে নয় যে জোর করে নিয়ে জাবে, তা উনার মেয়ে কে না দিলে না দিবে,
নন্দিনিও রাগ করে কাপর গুছিয়ে রেডি হয়ে গেলো, সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিলো কিন্তু যাওয়ার বেলা একবার তুলির দেখা পেলো না এতে নন্দিনির মনটা বড় ছট ফট করছে,
নন্দিনির বাবার মনটাও ভালোনা এমন ব্যাবহার তুর্জের কাছে উনি আশা করেন নি, খুব ভালো ছেলে জানতাম ওকে, তাই নিজের মেয়ের ইচ্ছার গলা টিপে দিয়ে ওর সংসার গুছাতে পাঠিয়ে ছিলাম,
আর কি হল মেয়েটার জীবনই পালটে গেলো?
নন্দিনি কয়েকবার ছাদে পা বারিয়েও জায়নি কেন জাবে, ওনার মেয়ে বলে যা জোর খাটালো তা কি করে ভুলি, নন্দিনিও অভিমান করে আর গেলো না, সোজা বেরিয়ে গেলো , নন্দিনিদের বাড়ি বেসি দূরে নয় ৪০/৪৫ মিনিটে একটানে চলে আসা জায়, তবে জ্যাম থাকলে ঘন্টা লেগে জায়।
ওদের পৌছাতে তেমন সময় লাগেনি,
বাসায় পৌছে নিজের রুমের গন্ধ নিচ্ছে নন্দিনি যেনো কত বছর পর এলো,
নন্দিনির জেঠু জেঠিমা এসেছেন কদিনের জন্য গ্রাম থেকে,
গ্রামের চেয়ারম্যান উনি,
নন্দিনিকে একা দেখে এর মধ্যেই নন্দিনির মাকে দুচার কথা শুনিয়েছেন ওর জেঠিমা,
বিয়ে দিলে ২ দিন পার না হতেই তোমার মেয়ের জামাইর এত তেজ বাবাহ সম সম্পত্তির মালিক হবে , বিয়াইত্তা পোলা তাও এত তেজ কার মেয়ের জামাই এত কিছু পায় শুনি তাও এত দেমাগ কিসের,
নন্দিনির মা কহিনুর বেগম উনার কথায় রাগ হয় নি বরং উল্টো বলে দিয়েছে
ভাবি আমার মেয়ের জামাইর যথেষ্ঠ আছে ওর কিছু চাইনা আর সব জেনে শুনেই বিয়ে দিয়েছি আমরা তুর্জ খুব ভালো ছেলে আর শহরের বেস নাম করা উকিলও বটে,
নন্দিনির মনটা একটু ছট ফট তুলির জন্য, শুধুই তুলির জন্য!!!
নাকি বুড়ো টাকেও মিস করছে একটু হলেও,
রাতে খাবার খেতে বসেছে সবাই, নন্দিনির বাবা আর জেঠু তাদের অন্য দুনিয়ায় মগ্ন তারা গ্রামের শহরের হালচাল খুজতে ব্যাস্ত,
নন্দিনি খাবারের প্লেটে আকি বুকি করে জাচ্ছে,
নন্দিনির জেঠিমা ঠিকই বুঝতে পেরেছে, খেতে খেতে বলে উঠলো জামাই ছারা থাকতেই যখন পারবিনা তাহলে এলি কেন থেকে জেতি ওখানে।
, অবশ্য ওনি ঠাট্টা করেই কথা টা বলেছিলো,
তবে নন্দিনির ঠাট্টাটা ভালো লাগলো না।
না খেয়েই উঠে গেলো, সোজা রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পরলো,
নন্দিনির জেঠিমা নন্দিনির মাকে ঠেস দিয়ে বললো মেয়ের তেজ দেখছো সামাল দাও এখন।
এদিকে তুর্জের বাড়িতে অব্যস্থা গরম,
তুলিকে কিছুতেই খাওয়ানো যাচ্ছেনা, শুধু কান্না করছে আর মাম্মা মাম্মাই করে জাচ্ছে, মাম্মা ডাকে তুর্জের বুকে বার বার আঘাত করছে,
শিলা বেগম রেগে আগুন, কারন তুর্জের জন্যই তুলিকে নেয় নি নন্দিনি নে এবার সামলা, সপ্না সোহাম সবাই ক্লান্ত কিন্তু তুলির কান্নার বেগ আরে বেরেছে কমেনি,
তুর্জ ও একটু নরম হল মেয়েটাকে কি জাদু করলো দুদিনে যে ওকে ছারা তুলি নাওয়া খাওয়া ছেরে কান্না করছে দুদিন আগেও তো সব ঠিক ছিলো বাবা তার দুনিয়া ছিলো এখন সেই দুনিয়ায় আরো একটি নাম জরালো “”” নন্দিনি তুলি মাম্মা “””””
তুর্জের মা তুর্জের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো বাবারে তুলির সুখের জন্য সব পারিস তাহলে এটাও মেনে নে,
হয়তো #নিয়তির এই এই লিখনটাই ছিলো মেনে নে বাবা নন্দিনিকে তুলির জন্য হলেও ওর একটা মা চাই,
তুর্জের কানে শুধু তার মায়ের কথাই বাজছে,।
না তুলির জন্য হলেও নন্দিনিকে চাই তুর্জের তবে সায়মার জাগয়াটা নিয়ে এখন অনেক সংকুচ তার,
রাত ১১ টা নন্দিনির মোবাইলে অচেনা এক নাম্বারে কল আসছে,
নন্দিনি উদাস হয়ে আছে ফোন ধরার মন মানুসিকতা এখন তার নেই,
নন্দিনির মনটা বড় ছট ফট করছে নিলয়দের বাড়িতে একবার জাওয়ার,
নাহ কি করে জাবে এখন সে অন্যের হয়ে গেছে জদি তার বৌ বা ও দেখে খারাপ ভাবে,
ভাবতে ভাবতেই বাহিরে কারো গলার আওজায় পাচ্ছে কে এলো!!!
নন্দিনির মুখে চাদঁ মাখা হাসি নিয়ে দৌড়ে রুম ছেরে বেরিয়েছে,
তুলি আর তুর্জকে দেখে নন্দিনি খুশিতে আত্ত হারা,
দৌড়ে এসেই তুর্জকে জরিয়ে ধরেছে নন্দিনি, এতে তুর্জ নয় বরং সবাই অবাক কান্ডটা কি করল!!!!
নন্দিনির জেঠিমা হেসে বললো বাবা দুদিনেই জামাই পাগল হয়ে গেলি নাকি রে নন্দি , জেঠির কথায় তুর্জকে ছেরে বোকা হয়ে রইলো, নাহ আসলেইতো এটা কি হল!!!!
কি করলাম আমি এই বুড়াকে জরিয়ে ধরলাম শেষ মেস ছি ছি,
তুর্জকে ছেরে তুলি কোলে নিয়ে আদর করতে শুরু করলো নন্দিনি , তুর্জ এবার গলা ছেরে বললো তুলি কিছু খাচ্ছিলোনা আর কান্না করছিলো আপনার জন্য তাই বাধ্য হয়ে এত রাতে আসতে হল”””
তুলিকে বসিয়ে খাবার নিয়ে ধিরে ধিরে খাওয়াচ্ছে নন্দিনি, তুর্জ এক মনে চেয়ে আছে নন্দিনি আর তুলির দিকে,৷
নন্দিনির বাবা তুর্জকে ডেকে নিয়ে বললো এসো বাবা খেয়ে নাও তুর্জও অমত করলো না, কারন ঐ সময়টা অনেক খারাপ ব্যাবহার হয়ে গিয়েছিলো না চাইতেও এমন ব্যাবহার করে ফেলেছিলো,
চুপ করে খাচ্ছে তুর্জ, নন্দিনির মা আর তার জেঠিমা তারাহুরা করে হালকা পুলকা রান্না করেছে,
তাই দিয়েছে খেতে, তুর্জও খাচ্ছে কারন রাতে তারও খাওয়া হয় নি,
খাওয়া ছেরে অনেক গল্প জোরেছে নন্দিনির বাবা মা জেঠু জেঠিমা সবাই,,,
নন্দিনি তুলিকে নিয়ে বসেছে , তুর্জ বেস জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে নন্দিনির বাবার সকল অভিজোগ মিটে গেছে,
নন্দিনির প্রায় ঘুমিয়ে গেলো গেলো, তাই তুলিকে নিয়ে রুমে চলে গেলো,
নন্দিনির মা তুর্জকে ঘুমাতে জেতে বলছে, সবাই একে একে জার জার রুমে চলে গেছে,
তুর্জ রুমে ঢুকে দেখে কত সুন্দর করে দুজন ঘুমাচ্ছে ,
তুর্জ খাটের কিনারা আধ শোয়া হয়ে রয়েছে,
বার বার চোখটা নন্দিনির দিকেই যাচ্ছে,
কি কাজটাই না করল সবার সামনে আমায় জরিয়ে ধরল!!
কিন্তু কেন! সে তো বুড়ো ছারা ডাকেই না তাহলে কেন এমন টা করল!!
আমায় মিস করছিলো! না না কি ভাবছি হয়তো তুলিকে নিয়ে এসেছি তাই খুশি হয়ে জরিয়ে ধরেছে,
তুর্জের চোখ আটকাতেই পারছেনা নন্দিনির কাছ থেকে,
ওর এলো মেলে চুল গুলি একবার ছোয়ে দিতে ইচ্ছা করছে,
তবে বাধা আসছে প্রচন্ড বাধা কোথায় জেনো গিয়ে আটকে গেলো তুর্জ,
তাই চুপ করে জোর করে চোখ বুজে নিলো,
সারা রাত এক ফুটা ঘুম হয় নি তুর্জের, একেই তো অন্য জায়গায় সে ঘুমাতে পারেনা তার উপর একটা দ্বিধা কাজ করছে তার নন্দিনির উপর,
আজানের একটু আগে চোখ লেগেছে তুর্জের।
সকালে ঘুম থেকে উঠে তুর্জ অবাক তুলি বা নন্দিনি কেও রুমে নেই, বাহিরে বের হয়ে দেখে নন্দিনির বাবা মা সবাই তুলিকে নিয়ে খেলা করছে তুলি হাটছে আর একেজনের কাছে গিয়ে চুমু দিয়ে একটা করে চকলেট নিচ্ছে,
নন্দিনির বাবা সালাম সাহেব আজ অফিসে জাবেনা কারন তুলিকে পেয়ে অফিস জেতে তার মন চাইছে না,
নন্দিনির মা কহিনুর বেগম হাসতে হাসতে শেষ, যে লোকটা কাজ ছারা কিছুই বুঝেনা সে কিনা আজ অফিস জাবেনা বা বাহ কি টান নাতনির জন্য,
সবার হাসি ঠাট্টা দূরে আরালো দারিয়ে তুর্জ দেখছে,
সত্যি মানুষ গুলো ভালো তুলিকে কত আপন করে নিয়েছে,
শুনেছি বাচ্চারা আপন পর বুঝতে পারে তাই হয়তো নন্দিনি ওকে আপন করে নিয়েছে তাইতো কাল ওর জন্য এমন করলো,
তুর্জ হাফ ছারল হয়তো মেয়েটা মা পেয়েছে এবার একটু আদর পাবে মায়ের!!
জদি কোন দিন নন্দিনির নিজের বাচ্চা হয় তখন কি এমন ভাবেই আদর করবে তুলিকে??
আনমনে তুর্জের ভাবনার ছেদ ঘটলো নন্দিনির জেঠুর ডাকে,
আরে জামাই বাবাজি ওখানে কি করো এখানে এসো না,
তুর্জও হাসি মাখা মুখ নিয়ে সকলের সংগে তাল মিলিয়ে বসেছে,
আরেকটু আড্ডার পর তুর্জ জানায় তারা চলে জাবে তাই নন্দিনিকে এই প্রথম বারের মত তুমি করে আল্ত করে ডাক দিয়েছে তুর্জ,
নন্দিনি শুনো আমরা একটু পর চলে জাবো রেডি হয়ে নাও,
তুর্জের এমন ডাক কেন জানি নন্দিনির খুব ভালো লাগলো, চোখটাও একটু ভিজে এসেছে, তবে আজ চলে গেলে নিলয়ের খুজটা পাবোনা কি করি,
সালাম সাহেব তুর্জের মাথায় হাত দিয়ে বলে তোমার বাবা নেই তাই আমি তোমার বাবার মতই তাই একটা অনুরুধ আজকের দিনটা থেকে জাও, কাল না হয় চলে যেও বাধা দিব না,
সালাম সাহেবের এমন আকুতি তুর্জ ফেলতে পারেনি, তাই মাথা নারিয়ে হ্যা সূচক সমত্তি দিলো,
এতে সালাম সাহেব ও বেশ খুশি হল,
নাস্তার টেবিলে বসে নন্দিনির জেঠু আর বাবা দুজনই রান্নার খুদ ধরছে,
এটা এমন কেন ওটা ভালো হয়নি, এতে এক প্রকার ঝগরাই হল,
কহিনুর বেগম তো রেগে টেবিল থাপরিয়ে বললো তোমরা কি বুজবে রান্নার কত ঝামেলা, কোন দিন কি রান্না ঘরে পা ফেলেছো,
তুর্জ এবার তার শাশুরিকে বললো আরে মা ছেলেরাও রান্না জানে খুব ভালো করে,
এটা সে নরমালি বলেছে, কিন্তু নন্দিনি এবার বললো ওহ তাই নাকি তাহলে দেখান দেখি কেমন রান্না জানেন!!!
মহিলারা সবাই তালে তাল মিলালো,
সালাম সাহেব ও উঠে বললো আমরা সব পারি কামাতেও পাড়ি খেতে পারি রান্নাও পারি আজ তা দেখিয়ে দিবো,
আর তোমরা করইবা কি সব তো কাজের মেয়েরা করো রান্না ঘরে গিয়ে একটু চামচ নাড়লেই রান্না হয় নাকি???
নন্দিনিও হাসি দিয়ে বললো তাহলে ঠিক আছে দেখা জাক দুপুরের রান্না তোমাদের আর আমরা টেষ্ট করে বলবো কেমন হল,
তুর্জ বেচারা মহা বিপদে সে তো দুধ কিভাবে রান্না হয় তাই জানেনা সাথে কি কিছু দেয় কিনা, আর আজ এমন ঝামেলায় পরলো,
যাহ আমার জন্য সব ছেলেদের নাম খারাপ হবে নাকি।
নাস্তা খাওয়া শেষ তুলিকে হাটাচ্ছে আস্তে আস্তে অবশ্য সে পারে তবে সারা দিন সবাই কুলে রাখে বলে নামতে চায় না, কিন্তু নন্দিনি তা হতে দিবেনা তুলিকে হাটাতেই হবে।
সেই কখন থেকে সালাম সাহেব তুর্জ আর জেঠু রা মিলে রান্না ঘরে কি করছে আল্লাহই জানেন, শুধু ভিতর থেকে ভাংগার আওয়াজ আসছে, কি যে ভাংছে কে জানে,
তুর্জকে সালাম সাহেব বললো বাবাজি তুমি সবজি কাটো, বলেই ছুরি আর সবজি হাতে ধরিয়ে দিয়েছে,
আরেহ বাপ রে এখন কি হবে তুর্জ বেচারা তুই তো ফেসে গেলি রে সবজি কি করে কাটতে হয় তাতো জানিনা এখন উনাদের বললে উনারাই আমার উপর হাসবে, আর নন্দিনিতো সারা জীবন খুটাই দিবে,
নন্দিনি চুপি চুপি দরজার আরালে দারিয়ে তুর্জকে দেখছে মুখ দেখেই বুঝা জাচ্ছে সে সবজি কাটতে পারবেনা,
তবে মুখটা দেখে মায়াও লাগছে বেচারা,
তুর্জকে চুড়ির আওয়াজে ইশারা দিয়ে দেখাচ্ছে কিভাবে কাটতে হয়, সে হাতে দেখাচ্ছে আর তুর্জের মাথার ব্রেন তা খুব জলদি ক্যাচ করেছে, সব কাটা শেষে বিজয়ি হাসি দিয়ে নন্দিনকে ইশারায় ধন্যবাদ দিয়েছে তুর্জ,
কহিনুর বেগম সব দেখছে তবে বাধা দেয় ওদের সম্পকের যা হাল একটু আকটু এমন হওয়ার খুব দরকার,
রান্না শেষ হল , একটা ভাব নিয়ে সবাই একে একে রান্না ঘর থেকে বেরুলো,
গোসলটা করতে হবে গায়ে যা পেয়াজ পুরার গন্ধ ছি,
তুর্জ কি পরবে সে তো কোন কাপর আনেনি,
তাই তোয়ালেটা হাতে নিয়ে চুপ করে দারিয়ে আছে, সালাম সাহেব আগে থেকে জামাইর জন্য বহু শার্ট পেন্ট কিনে রেখেছিলো জামাই এলে সব দেবে,
নন্দিকে কাপর গুলো দিয়ে কহিনুর বেগম বললো যা ওকে দিয়ে আয়,
তবে রুমে ঢুকে তুর্জকে দেখে আর মন চাইছে না কাপর গুলো দিতে,
মুখটা সব সময় এমন মলিন থাকে কেন উনার উনিকি হাসতে জানেন না??
নন্দিনি সয়তানি করে বললো এখন কি পরবেন এক কাজ করুন আমার একটা শাড়ি পরুন সমস্যা নাই কেও দেখবে না আমিইতো, আর আপনার কাপর শুকালে না হয় পরে নিবেন বলেই মুখ টিপে হাসছে,
তুর্জ বেচারা কি করবে ওকে কিছু বলছেও না কারন ওর হাসিটা বেশ ভালোই লাগছে, নন্দিনি আলমারি থেকে একটা শাড়ি বের করে তুর্জের হাতে দিয়ে বলে নিন এটা পরে নিন হুম,,,,
তুর্জ শাড়ি নিয়ে বোকার মত ওর দিকে চেয়ে রয়েছে,
নন্দিনির হাসি এবার বাধন ছারা, সে পেট ধরে জোরে জোরে হাসতে হাসতে বিছানায় গরা গরি প্রায়।
এই হাসিটার নেশায় পরেছে তুর্জ তাই আজ ঝগরা না করে শুধু দেখছে মন ভরে,
মাতাল হয়ে নন্দিনির কাছে এগুচ্ছো তুর্জ,
চলবে!!!