নিয়তি পর্ব -০৯

#নিয়তি
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা
#পর্ব—-৯
__________________

নন্দিনি ব্যাগ গুলোর কাছে গিয়ে একটা ব্যাগ খুলবে ঠিক সেই সময় তুর্জ ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে এলো,
নন্দিনি হাত থেকে ব্যাগ টা পুনোরায় রেখে দিলো,
তুর্জ মুখটা তোয়ালে দিয়ে মুছতে মুছতে বললো খুলে দেখে সমস্যা কি,,,,

নন্দিনি খুবই উস্সুক হয়ে ব্যাগ খুললো,
ওমা কি সুন্দর শাড়ি চোখ আটকে জাওয়ার মত, কিছু সুতি শাড়ি,
একটা বক্স!!! এটা আবার কি,,,
নন্দিনি কাপর গুলে রেখে বক্সটা খুললো খুব সুন্দর বক্স কাঠের একটা বক্স মনে হয় এটা কাঠ দিয়ে তৈরি, বক্সটা খুলতে নন্দিনির চোখ কপালে,কারন বক্সটিতে রেশমি চুড়িতে ভরা কত্ত রকমের চুড়ি, সব কয়টা শাড়ির রংগের সাথে মিলে জাবে,

নন্দিনি মুখে চিতল হাসি দিয়ে তুর্জের দিকে তাকিয়ে বললো এগুলো কার জন্য,???

তুর্জ তোয়ালেটা বিছানায় রেখে দুই হাত প্যান্টের পকেটে গুজে একটু কাছে এসে বললো, ওমা আর কার হবে এগুলোতো এনি……… আর বলা হল না নন্দিনি সব ছুরে ফেলে উঠে গেলো,

রাগে গিজ গিজ করতে করতে রুম থেকে বের হতে নিলো,তুর্জ হাতটা ধরে কিছুটা কাছে এনে বললো আরে আমার পুরো কথা শুনে তো জাবে নাকি!!!

নন্দিনি ঠায় দারিয়ে রইলো তুর্জ নন্দিনির হাতে বক্সটা দিয়ে বললো এগুলো তো আর এনির জন্য নয়, আমার বৌ এর জন্য এনেছি,….

নন্দিনি হাতটা ছারিয়ে বললো তাহলে আপনার বৌ এর জিনিস আমায় দিচ্ছেন কেন??

বলেই নন্দিনির মুখে হাসি চলে এলো বৌ মানে!! আমিইতো উনার বৌ তাহলে এগুলো আমার,,,…..

না চাইতে নন্দিনি তুর্জকে ঝাপটে ধরে গালে একটা কিস দিয়ে দিলো, নন্দিনি নিজের হুসেই নেই সে সব খুটে খুটে দেখছে, চট করে এক মুঠ চুড়ি নিজের হাতে পড়ে নিলো আর তা শব্দ করছে দুহাত ঝাকিয়ে, তুর্জ বেচারা গালে হাত দিয়ে কখন থেকে দারিয়ে আছে,তা তো নন্দিনি খেয়ালই করেনি, চুড়ি গুলো পরে তুলিকে কোলে নিয়ে বের হয়ে গেলো,,,,,,

তুর্জ গাল থেকে হাতটা সরিয়ে হাসি দিতে গিয়েও থেমে গেলো সায়মার ছবিটা চোখে পরতেই,,, না না আমি সায়মাকে ঠকাচ্ছি নাতো???

না না ওর অধিকার আর কারো নয় আমার সায়মাই সব ও নেই তাতেকি ওর সৃত্মি তো আছে…..

বির বির করে রুম ছেরে বের হয়ে গেলো…
~~~~~~

রাতে খেতে বসেছে সবাই,,, শুধু শিলা বেগম ছারা উনি উনার বোনের বাড়িতে গেছে, উনার বোনের শরিলটা খারাপ তাই,,,

সোহাম আর সপ্না তুর্জ আর নন্দিনির দিকে তাকাচ্ছে আর হাসছে’ সোহাম তো গান ধরেছে “””””এক চুম্মা এক চুম্মা তো বানতা হে……..

সপ্নাও কম নয় সেও গান শুরু করলো এক খান চুম্মাতে কারেন্ট লাগাইলি দুই খান চুম্মাতে…..
বলেই সোহাম আর সপ্না অট্রহাসিরে মেতে উঠেছে, নন্দিনি খাবার চিবুচ্ছে আর ওদের গান শুনছে, কিছুই মাথায় ঢুকছেনা ওর কি গান এমন গাও কেউ ছোট ভাই আর তার বৌ এর সামনে গায় নাকি!!!গল্পের লিখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা।

তবে তুর্জের গলা দিয়ে খাবার নামছেনা কারন সে বেশ বুঝতে পারছে তখন নন্দিনি চুমু দেয়ার সময় তারা দেখেছে. তাই এমন গান ধরেছে,
নন্দিনি খাওয়া শেষ করে সপ্নার ও কাজের মেয়ের সাথে হালকা কাজ করলো…
টেবিল পরিস্কার, প্লেট পরিস্কার………..

তুর্জ এখন ও টেবিলে বসা, কারন সোহাম তুর্জের হাত ধরে মুচকি হাসি দিয়ে বসে আছে,

কিছুই বলছেনা সোহাম, শুধু তুর্জের দিকে চেয়ে হাসছে আর ভ্রু নাচাচ্ছে/

তুর্জ বিরক্ত হয়ে বললো কি ভাইয়া কিছু বলবে?? বললে বলো আমার ঘুম পাচ্ছে..

সোহাম তুর্জের হাত ছেরে দিয়ে গালে হাত দিয়ে বসেছে,আর চোখে ইশারা দিয়ে নন্দিনিকে দেখিয়ে মুখে চুম্মার ভংগি করছে….

তুর্জ বেশ লজ্জা পাচ্ছে ছি ভাইয়া you jast……. বলেই চলে গেলো,,,
এবার সপ্না ও নন্দিনি কিচেন থেকে বের হলে নন্দিনির পথ আটকে দারিয়েছে সোহাম…

নন্দিনির দিকে তাকিয়ে মুখে কি অগিং ভগিং করছে তা নন্দিনি কিছুই বুঝতে পারছেনা ।।।

নন্দিনি নিজের মুখটা অদভূত রকমের করে বললো ছি ভাইয়া. ভাবি তোমার বরকে নিয়ে পাবনা দিয়ে এসো,

বলেই সোহামকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে রুমে চলে গেলো,,,

সপ্না ও সোহাম আবার হাসিতে মেতে উঠেছে,

তুলিকে নিয়ে খেলা করছে তুর্জ…

তাই নন্দিনি রুমে ঢুকে হাত থেকে চুড়ি গুলো খুলে নিলো কাচের চুড়ি ভেংগে জেতে পারে.
খাটে গিয়ে শুয়ে পরলো,

নন্দিনি আবার শোয়া থেকে উঠে বললো আচ্ছা এই চুড়ি শাড়ি কখন নিলেন আমিতো দেখিনি???
তুর্জ তুলির সাথে খেলতে খেলতে জবাব দিলো আগেই কেনা ছিলো এগুলো ছবি দেখেই দোকানে অর্ডার করে দিয়েছিলাম,
গল্পের লিখকা সেলিনা আক্তার শাহারা।
আর এই রেশমি চুড়ি গুলোওও…

নন্দিনি মুখে হালকা হাসি টেনে আবার পশ্ন করলো আচ্ছা ভাই আর ভাবির কি মাথায় সমস্যা আছে নাকি??
ওরা এমন গান গাইছিলো কেন?

কথাটা নন্দিনি বলার সাথে সাথে তুর্জ খালি মুখেই বিশুম খেলো..

কোন মতে নিজেকে থামিয়ে বাকা করে নন্দিনির দিকে তাকাতেই নন্দিনি বালিশে মুখ লুকিয়ে নিলো,
কারন তখন তো আমিই উনাকে…
ছি ছি তাই ওরা এমন করছিলো…

আর তুর্জের দিকে একবারও তাকায় নি। লজ্জা করছে উনার চোখের দিকে তাকাতে / ভিসন লজ্জা।

~~~~~~~~~~~~

রোজ সকালে তুর্জের কোর্টে যায়, তবে রুজ তেমন কাজ না থাকলেও বাড়িতে বেশি থাকেনা, কারন বাড়িতে থাকলেই নন্দিনির দিকে চোখ আটকে থাকে, যা নন্দিনি বুঝতে পারলে ভয়ংকর কান্ড হতে পারে।
তাই দূরে দূরেই থাককা ভালো।

~~~~~~~“
৪ মাস কেটে গেছে তুর্জের ও নন্দিনির বিয়ের,
তুলির মুখে বেশ কিছু কথা ফুটেছে, সারা দিন সারা বাড়ি টই টই করে ঘুরে বেরায়,

তুর্জের আর নন্দিনির সম্পর্কটা আরেকটু গভির ও হয়েছে বটে, তারা বন্ধুর মতই একে অপরের মনের কথা বলে, অনেক সময় পর্যন্ত বারান্দায় তুলিকে নিয়ে বসে আড্ডা দেয়,

সোহাম সপ্নাও মাঝে মাঝে আড্ডায় জোগ দেয়,
তবে তুর্জের সাথে কিছু নিয়ে কথা হলে ওর মন মত না হলেই তুর্জের চুল ছিরতে ঝাপিয়ে পরে,

কয়দিন আগেই সায়মার বাবা মা আর বোন এসেছিলো, এই প্রথম বারের মত এসেছিলো,
সায়মা ভালোবেসে বিয়ে করেছিল তাই বিয়েতে এক প্রকার মত দেয়া হয়নি ওদের, বিয়ের পর ও একবারের জন্য মেয়েকে দেখতে আসেনি ওরা, এমনকি সায়মা মারা জাওয়ার খবর শুনেও আসেন নি, নাতনির মুখ একবার দেখতে, কেমন বাবা মা আল্লাহ জানেন,

তবে সেদিনের আসার কারন টা অন্য রকম ছিলো, তারা তুলির ছবি দেখেছিলো ফেসবুকে তুর্জ নন্দিনি আর তুলি এক সাথে কিছু ছবি তুলে পোষ্ট দিয়েছিলো,

তবে এসে বসেই বেশি দেরি করলো না তাদের উদ্দেশ্য জানানোর,

সবাই উপস্থিত নন্দিনির কোলে তুলি ওর গালে মুখে চুমু দিচ্ছে আর মাম্মা মাম্মা বলে ডাকছে,

সায়মার মা নন্দিনির কাছে থেকে তুলিকে কোলে নিতে চাইলে তুলি জেতে চাইলোনা, নন্দিনির গলা ধরে অন্য পাশ ফিরে রইলো,
হয়তো ছোট্ট মেয়েটা কিছুই বুঝতে পারছেনা এরা কারা এর আগে কখন দেখেনি,
তাই হয়তো জেতে চাইলোনা, হয়তোবা আপন আপন গন্ধটা ওদের কাছ থেকে আসছেনা,

সায়মার মা হাত গুটিয়ে নিয়ে তুর্জের কাছে এসে বললো,

দেখো তুর্জ সায়মা আর নেই ওর সাথে রাগ নয় আমাদের অভিমান ছিলো,আর বিয়ের পর একবার তুমি বা সায়মা আমাদের সাথে জোগাজোগ ও রাখোনি, জদি রাখতে হয়তো তখন আর অভিমান করে থাকতাম না,

যে দিন খবর পেলাম সায়মা আর নেই তাও বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে, তখন আসিনি কারন জীবিত মেয়েকে যখন একনজর দেখতে পাইনি , তখন মৃত মেয়কে দেখে লাভ কি,

শুনলাম তুলি খুব ভালো আছে তোমাদের কাছে, আর মেয়ের হারানোর কারন তুলি ছিলো তাই ওকে দেখার আগ্রহ ছিলোনা,

এখন তুমি আবার বিয়ে করে সংসার পেতেছো,
আর তুলি এখন এখানে ভালো থাকার চান্স কমে গেছে, কারন সতৎ মায়ের সংসারে ওর সুখ হবে কিনা জানিনা,
কিন্তু আমাদের কাছে খুব ভালো থাকবে, তাই তুলিকে আমরা নিয়ে জেতে চাই,

তুর্জ এত ক্ষন চুপ চাপ সব শুনছিলো, একটা কথার উওর দেয়নি,

কিন্তু নন্দিনি চুপ থাকতে পারলোনা, চিৎকার করে সায়মার মা কে বললো তুলি আমার মেয়ে আমি ওর মা সায়মা নয়, ও জন্ম দিয়েছে মানছি কিন্তু আমিই ওর মা আসল মা, আর ওকে আমার কাছ থেকে কেও নিয়ে জেতে পারবেনা কেও না……..

সায়মার মা নন্দিনির কাছে এসে আচল পেতে বললো দিয়ে দাও মা তুলিকে এক মেয়েকে হারিয়েছি নাতনির মুখে মেয়েকে দেখতে পাচ্ছি ওকে দিয়ে দাও,

তোমার সংসার নিয়ে তুমি সুখে থাকো, তোমাদের তো আবার বাচ্চা হবে তাহলে তুলিলে দিয়ে দাও না মা দাওনা,

নন্দিনি তুলিকে জাপটে ধরেছে বুকের মাঝে কি করে থাকবে তুলি বিহিন নন্দিনি, সে তো এক সেকেন্ট থাকতে পারেনা তুলি ছারা, হয়তো নিজের পেট থেকে হয় নি তাই বলে আমি কি ওর মা নই….!

নন্দিনি তুলিকে নিয়ে তুর্জের পিছনে লুকিয়ে বললো কি হল কিছু বলছেন না কেন আপনি, ওরা তো তুলিকে নিয়ে জেতে চাইছে আর আপনি চুপ করে আছে???

শিলা বেগম নন্দিনির কাছে গিয়ে বললো বৌ মা তোমার মেয়ের গোসলের টাইম হয়েছে এখানে দারিয়ে আছো কেন??

যাও ওকে নিয়ে রুমে যাও, আর এখানের দিকটা তোমায় ভাবতে হবে না জাও, আর বড় বৌ মা রান্না ঘরে জাও, মাথাটা খুব ধরেছে তাই এককাপ চা নিয়ে আমার রুমে দাও,

সপ্না দৌড়ো রান্না ঘরে চলে গেলো,
সায়মার বাবা মা বেশ বুঝতে পারছে ওরা কেও তাদের কথায় কান দেয় নি,
কিন্তু নন্দিনি তুলিকে ঝাপটে ধরে কাদছে,
তুর্জ এবার নিরবতা ভেংগে নন্দিনিকে টেনে সামনে এনে বললো, আরে কাদঁছো কেন?
ওরা নিতে চাইলে দিয়ে দেবো নকি তোমার মেয়েকে, তোমার মেয়েকে তোমারই সামলাতে হবে,
আর বিকেলে তোমার মা বাবা আসবে তদের নাতনিকে দেখতে,
যাও রুমে জাও ,
নন্দিনি হা হয়ে দেখছে তুর্জকে উনি এত শান্ত কেন?? তুলিকে নিতে চাইলো তাও শব্দ করলো না আবার এখন আমায় শান্তনা দিচ্ছে,

তুর্জ নন্দিনির চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো, কি হল যাও ভিতরে,
নন্দিনি তুলিকে নিয়ে দৌড়ে রুমে ঢুকে দরজা লক করে নিলো।

তুর্জ এবার সায়মার মা কে ধরে সোফায় বসিয়ে দিলো, সায়মার বাবা আর মায়ের হাত ধরে বললো দেখুন, আপনাদের মেয়েকে হারিয়েছেন মানলাম আমিই ওও তো আমার প্রানপ্রিয়সি কেও হারিয়েছি, ওর একটা শেষ চিন্হকে আগলে ধরে বেচেঁ আছি,
আপনাদের অভিমান এতই গভির ছিলো এতটা বছরে আজ মনে হল? একবার জানতে চেয়েছেন এই টুক দুধের বাচ্চা কিভাবে বেঁচে আছে,……..

সায়মার বোন এসবের আগা গুরায় নেই সে বসে মোবাইল নিয়েই ব্যাস্ত,

তুর্জ এবার দারিয়ে পরলো, আর বললো দেখুন তুলি নন্দিনিকে পেয়ে ওর মায়ের অভাব দূর হয়েছে, একটা বাচ্চা মেয়ে একটা বছর মা হারা ছিলো, আর ওকে নিয়ে মা হারা করবেন না প্লিজ,

আর আপনাদের উপর আমাদের কারো রাগ বা ক্ষোব নেই, তাই যখন খুশি ওকে এসে দেখে জাবেন,
আর কখনো বলনেন না আপনারা ওর কে সায়মা কে,আমি চাই তুলি নন্দিনির পরিচয়ে বড় হোক, নয়তো মেয়ে বড় হয়ে মানুষিক যন্ত্রনায় ভুগবে,প্লিজ একটা অনুরুধ আপনাদের কাছে,

সায়মার মা কিছু বলবে তার আগেই সায়মার বাবা বলে উঠলো ঠিক আছে বাবা তাই হবে,এটাই আমাদের পাওনা ছিলো,
সায়মার মাকে নিয়ে সেদিনের মত ওরা চলে গিয়েছিলো ঠিকই তবে তুর্জের পুরোনো ঘায়ে আবার আচর কেটে গেছে,

কত রাত সায়মা তার মা বাবার জন্য কেদেছে, আর ওরা একবার মেয়ের খবরটা নেয়নি, শেষ বারও সায়মা দেখতে পায়নি তার মা বাবা কে,

তার যেনো সায়মার চোখের পানি সামনে ভাসছে,,,

তুর্জের চোখ লাল হয়ে গেছে, নিরবে কাদঁছে সে,

রাতে সেদিন উদাস হয়ে বারান্দা দারিয়ে ছিলো তুর্জ,তুলি
কে ঘুম পারিয়ে নন্দিনি তুর্জের কাছে গিয়ে দারাতেই দেখতে পেলো তুর্জ কাদঁছে,

নন্দিনির ভিতরটা কেমন মুচর দিয়ে উঠলো, এই মানুষটার খুব কস্ট সে বুঝতে পারছে তাও সেই কষ্টের ভাগ নিতে পারছেনা,

তুর্জের কাধে হাত দিতেই তুর্জ নন্দিনিকে জরিয়ে ধরেছে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরেছে নন্দিনিকে,
সেদিন খুব কেদেঁছিলো তুর্জ, নন্দিনি তুর্জের মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করতে পারেনি।
বহু কষ্টের চাপা কথা জানিয়েছে তুর্জ, নন্দিনিকে।

~~~~
সেদিনের পর থেকে তুর্জ মন খুলে নন্দিনির সাথে কথা বলে,
তবে এখনো নন্দিনি তুর্জের সাথে সব শেয়ার করতে পারছে না বলতে পারছেনা নিলয়ের কথা,

তুলিকে নিয়ে দিন চলে জায় নন্দিনির কিন্তু নিলয়ের জন্য তার মনটা খুব খা খা করে,

আজ কাল খুব রাত করে বাড়ি ফিরে তুর্জ, আসলে কোথায় থাকে কে জানে,???

নন্দিনিও জানতে চায়নি, কারন ওনার লাইফ ওনার ইচ্ছায় চলুক না।

আজ ও নন্দিনি বসে আছে তুর্জের অপেক্ষায়, তুলিকে ঘুম পারিয়েছে সেই কখন। ঘুমানোর আগে শুধু বাবাই বাবাইয়ের কাছে জেতে চেয়েছিলো।
বসে থাকতে থাকতে নন্দিনির চোখ লেগে গেলো,

“””
এত রাতে কে কলিংবেল টিপছে তাও এত করে,

সপ্না আর সোহামের ঘুম ভেংগে গেলো,
সোহাম দরজা খুলতেই তুর্জ সোহামের উপর ঢলে পরে……
সোহাম তুর্জকে দার করিয়ে দিতেই আবার টলমলে যাচ্ছে, ঠিক মত দাড়াতেও পারছেনা তুর্জ,

সোহাম নিজের নাকটা চেপে ধরে বললো কিরে তুই নেশা করে এসেছিস!!!!!

তুর্জ নিজেকে স্থির রাখার বৃথা চেষ্টা করেই যাচ্ছে,
চোখ নিভো নিভো হয়ে যাচ্ছে, নিজের বড় ভাই ও ভাবির সামনে খুব ছোট লাগছে,
তুর্জ হেসে বললো না ভাইয়া ঐ একটু আর কি আজ একটা কেস জিতেছিলাম তো সেই জন্য আজ পার্টি ছিলো তাই লেট হল আর কি,

সে টলমলিয়েই যাচ্ছে, সোহাম তুর্জকে ধরে তার রুমে নিয়ে গেলো,
দরজা খুলার শব্দে নন্দিনির বন্ধ চোখ খুলে এসেছে, চট করো উঠে দাড়িয়ে তুর্জের দিকে তাকাতেই ওকে মাতাল অবস্থায় দেখে হা হয়ে আছে,,,

তুর্জের কাছে গিয়ে বললো আপনি নেশাও করেন নাকি??

তুর্জ সোহামের উপর হেলানি ছেরে দারিয়ে বললো কই না তো একদম না আমি কোথায় নেশা করলাম, নেশাতো তোমায় দেখলে হয়….

সোহাম একটু লজ্জা পেলো এই পাগলটা আমার সামনেই না আবার রোমান্স শুরু করে দেয়,

নন্দিনির চোখ বন্ধ হয়ে এলো তুর্জের কথায়, ভাইয়া ভাবির সামনে কি সব বলছে উনি।

সপ্না পিছন থেকে এসে বললো নন্দিনি তুর্জকে নিয়ে শুইয়ে দাও, নয়তো মা জেগে গেলে আর রক্ষা নেই,

সপ্না আবার রুমের ভিতরে ঢুকে ঘুমন্ত তুলিকে কোলে নিয়ে নেয়, তুর্জকে খাটে বসিয়ে দিলো সোহাম, নন্দিনি তুলিকে সপ্নার কাছে দেখেই বললো আরে ভাবি ওতো ঘুমিয়েই আছে তা কোলে নিলেন কেন???

সপ্না হাসি দিয়ে বললো আগে বাচ্চার বাপ সামলাও পরে না হয় বাচ্চা….

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here