নিয়তি পর্ব -১০

#নিয়তি
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা
#পর্ব—–১০

_______________________

সপ্নার কথায় নন্দিনি হা হয়ে আছে কি বললো ভাবি এটা!!!

নন্দিনি আর কিছু বলবে তার আগেই সোহাম আর সপ্না রুম থেকে তুলিকে নিয়ে উধাও,,

নন্দিনি আর কিছু না ভেবে তুর্জের কাছে এসে দেখে নেশায় পুরো গ্রাশ হয়ে আছে,
তাই চট করে রুম থেকে বেরিয়ে রান্না ঘড় থেকে লেবুর শরবত বানিয়ে এনেছে,

তুর্জকে শোয়া থেকো উঠিয়ে শরবত টুকু জোর করে গলার নিচে নামিয়েছে,
তার পরও আবল তাবল বকছে,যেওনা প্লিজ আমায় ছেরে যেও না, একবার যা হারিয়েছি তা দ্বিতিয়বার হারাতে চাইনা, বলেই আবার নন্দিনির কোলে ঢলে পরে,
নন্দিনি তুর্জের কথা আগা গুরা কিছুই বুঝতে পারছেনা হয়তো নেশায় বকছে!
তাই তুর্জকে উঠিয়ে ধরে ওয়াসরুমে নিয়ে গেলো, তুর্জ ঢলতে ঢলতে এগিয়েছে,
ওয়াসরুমে নিয়ে শাওয়ারের নিচে দার করিয়ে দেয়, হয়তো মাথায় পানি পরলে একটু নেশা কাটতে পারে।

শাওয়ারের নিচে তুর্জকে ধরে রাখতে গিয়ে নন্দিনি নিজেও ভিজে গেছে,

তুর্জকে একটা হাপ হাতার গেন্জি আর একটা পেন্ট হাতে দিয়ে বললো পরে নিন,

নন্দিনি বাহিরে বের হয়ে আরেকটা সুতি শাড়ি নিয়ে নিলো, তুর্জ কোন মত কাপরটুক পরে বের হয়ে এলো,

একটু নেশা টা কেটেছে, নন্দিনিও আবার ওয়াস রুমে ঢুকতে গেলেই তুর্জ হাতদিয়ে দরজা আটকে ধরে!!!

আরে কি হল সরুন আমি ভিজে গেছি শাড়িটা পাল্টে আসি।
তুর্জ নন্দিনির কাছে খুব কাছে এগিয়ে এসেছে নন্দিনির কানের কাছে গিয়ে ধির কন্ঠে বললো পালটাতে হবে না আমিই হেল্প করছি —

নন্দিনির কিছু বলার সেই সোজগটা হয় নি তার আগেই তুর্জ আচলটা টান দিয়ে শাড়িটা শরিল থেকে আলাদা করে দিয়েছে নন্দিনির।

নন্দিনি নিজেকে দুহাতে ঢেকে নিয়েছে, তবে এটাকে ঢাকা বলা চলেনা চেষ্টা করছে বলা যায় আর কি।গল্পের লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা।
নন্দিনি লজ্জায় শেষ সাথে ভিশন রেগে আছে এসব কি করছে উনি,

নন্দিনি তুর্জকে ধাক্কা দিয়ে শরিয়ে নিজের থেকে দূরে দিতে গিয়েও পারলো না তুর্জ ওর দুই হাত পিছনের দিকে নিয়ে চেপে ধরেছে ,
নন্দিনি কিছু করার শক্তি নেই মুখ দিয়ে শুধু বললো প্লিজ ছারুন লাগছে! আর কি পাগলামু শুরু করেছেন?

তবে মনে হয় না নন্দিনির কথা ওর কানে গিয়ে পৌছেছে,
তুর্জ আরো নেশা মগ্ন নন্দিনির ঠোটের কাছে গিয়ে ঐ ঠোটে ডুপ দিয়েছে।

~~~~~~~~~~~

সকাল ৭ টা…..

নন্দিনি এলো মেলো হয়ে নিচে বসে আছে, চোখে নোনা জল শুকিয়ে গেছে, তবে তার দাগটা এখনো রয়েছে,

কাল রাতে তুর্জকে নিজের কাছ থেকে সরানোর বহু চেষ্টাই করেছে সে,
পুরুষদের সাথে জোরে কোন কালেই মেয়েরা জিততে পারেনি তবে আজ কি করে নন্দিনির জয় হবে?

তুর্জ অনেক ক্ষন ঠোটের নেশায় মগ্ন থেকে উঠেই নন্দিনিকে কোলে তুলে বিছানায় নামিয়ে ওর উপর শুয়ে পরলো,
নন্দিনির কোন আকুতি কিছুই শুনেনি,
তুর্জকে ছারাতে ওর পিছে বহু আচর কেটেছে তবুও তুর্জের হুস হয় নি,

সারা রাত নন্দিনির নেশায় কেটেছে তুর্জের,
একেইতো মাতাল অবস্থা ছিলো দ্বিতিয় নন্দিনিকে কাছে আটকে রাখার একটা টেকনিকওও ছিলো বটে,…….. তা তো নন্দিনির জানা নয়।

নন্দিনি নিজের মনকে শান্ত করছে উনিতো স্বামী হয় তাহলে উনার দিক থেকে ঠিকইতো আছে, আমিই তো বিয়েতে মত দিয়েছিলাম,
উনার ভালোমানুষি তো এতটা দিন দেখলাম এবার না হয় খারাপ লোকটাই দেখবো, নন্দিনি নিজের চোখের পানি মুছে নিয়ে নিজেকে শক্ত করে নিলো, হ্যা নিলয় তো কখনো আমায় চায়নি সে এতটাই সার্থপর, আমার ভালোবাসাটাও চোখে আটকায় নি,
এটাই নিয়তি আমাকে উনার সাথেই হয়তো এভাবেই দিন কাটাতে হবে!!

বাপের বাড়ি পরে থেকে বদনাম হওয়ার চেয়ে এখানে উনার নামের সাথেই জরিয়ে থাকি তবে চেষ্টা করব সব মেনে নেয়ার, যখন হাপিয়ে যাবো তখন তো ছাদ টা আছেই নিচে ঝাপিয়ে পরার জন্য…….

নিজেকে স্থির করে উঠে নিজের শাড়িটা হাতে নিয়ে শরিলে কোন মত জরিয়ে নিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে গেলো,

অনেক ক্ষন শাওয়ার নিয়ে বের হয়েছে চোখে মুখে অনেক পানির ছিটা দিয়েছে যাতে চোখের লালচে ভাব কিছুটা দূর হয়,
কারন সারা রাত ঘুমোতে পারেনি তুর্জের কারনে, তাও আবার কান্নায় আরো লাল করে ফেলেছে চোখ জোরা।

তুর্জের ঘুম এখনো ভাংগেনি, নেশার রেশ এখনো হয়তো রয়ে গেছে আর ক্লান্ত শরিলও বটে…..

নন্দিনি ওয়াস রুম থেকে বের হয়ে এসেছে,
এসে তুর্জের দিকে একবার তাকিয়ে দেখে নিলো, কি সুন্দর বুকের উপর ভর দিয়ে শুয়ে আছে, সারা রাত অন্যের ঘুম নষ্ট করে এখন প্রশান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে।

নন্দিনি আবার নিজেকে এক নজর আয়নায় দেখে নিলো ফুলা ঠোটে হালকা লিপস্টিক লাগিয়ে নিলো,
দরজাটা হালকা করে লাগিয়ে চলে গেলো বাহিরে,
সোজা রান্না ঘরেই ঢুকে গেলো কারন এই সময় নাস্তা তৈরিতে সপ্নার হেল্প করা দরকার,কারন কাজের মেয়েদের হাতের রান্না কারো পছন্দ নয়।

সপ্না নন্দিনিকে দেখে হালকা হাসি দিয়ে বললো যাক ঘুম ভাংলো তাহলে…
নন্দিনিও ঠোটে হালকা টেনে বললো ভাবি তুলি…

ওহহ তুলিকে নিয়ে তোমার ভাসুর হাটতে বের হয়েছে, চলে এলো বলে, সপ্নার কথা শুনে আবার কাজে মন দিলো।

নাস্তা বানানো শেষ নন্দিনি অধির হয়ে আছে তুলির জন্য কত ক্ষন হয়ে গেলো,
কিছু ক্ষন পর সোহাম তুলিকে নিয়ে হাজির, তুলি নন্দিনিকে দেখে মাম্মা মাম্মা করে পাগল হয়ে নন্দিনির কোলে ঝাপিয়ে পরেছে, নন্দিনিও তুলিকে বেশ আদর করছে,

শিলা বেগম চশমাটা মুছতে মুছতে তার রুম থেকে বের হয়েছে, নাস্তার টেবিলে একে একে নাস্তা এনে রেডি করেছে

সবাই টেবিলে বসেছে তুর্জ নেই দেখে শিলা বেগম নন্দিনিকে উদ্দেশ্য করে বললো আরে ছোট বৌ মা তুর্জ কোথায়,

নন্দিনি মা মানে ঐ..
কিছু বলবে তার আগেই সোহাম বলে উঠলো মা কাল রাতে তুর্জ খুব রাতে বাড়ি ফিরেছিলো,ওর কোন ক্লাইন্ডের পার্টি ছিলো তো তাই.
শিলা বেগম ওহহ বলে নাস্তা খেতে লাগলো,
সবার নাস্তা শেষে চলে গেলো, নন্দিনির মন চাইছে না রুমে জেতে, কারন তুর্জকে দেখার ইচ্ছাটা নেই,

তাই তুলিকে কোলে করে ছাদে চলে গেলো,

“”” প্রায় অনেক বেলা হল

এদিকে তুর্জের ঘুম ভাংলো, চোখ কচলাতে কচলাতে আবার মাথায় দুই হাত চেপে ধরল, ইস মাথা টা কি ঝিম ঝিম করছে,

নিজেকে চাদর থেকে সরিয়ে নিতেই বিছানায় নজর গেলো, বিছানায় কিছু একটা দেখে তুর্জের কালকে রাতের কথা মনে হল,

তুর্জ নিজের কাছেই নিজেকে ছোট লাগছে, নন্দিনি কি ভাববে ছি ছি…
এবার রাগে না জানি আমার গলায় ছুরিটা চালিয়ে দেয়,
তুর্জ আর কিছু না ভেবে সোজা ফ্রেস হতে চলে গেলো।
ফ্রেস হয়ে নাস্তার টেবিলে এসে দেখে কেও নেই, সপ্না তুর্জকে ঢেকে বললো তোমার বৌ ছাদে, আর নাস্তা করে নাও সবার খাওয়া শেষ।

তুর্জ মনে মনে বির বির করছে তোফান ছাদে না বাবা না ছাদে জাবোনা যদি ধরে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে দেয়।
খুব খিদে পেয়েছে আগে খেয়ে শক্তি করে নেই আজ চুল ছারা যে কি কি ছিরবে কে জানে!!!!!

নাস্তা শেরে তুর্জ ছাদের দিকে পা বাড়ায়,
ছাদে গিয়ে তুর্জের চোখ নন্দিনির দিকে আটকে গেলো,দোলনায় না বসে নিচে এভাবে তুলিকে নিয়ে বসে আছে কেন???
তুর্জ নন্দিনির কাছে গিয়ে দারালো, কিন্তু অবাক কান্ড নন্দিনি একবার ও তুর্জের দিকে তাকায় নি সে চুপ করে বাসে আছে,
তুর্জ নন্দিনিকে ডাক দিয়ে বললো সরি নন্দিনি আসলে কাল…..
আর কিছু বলবে তার আগেই নন্দিনি উঠে বললো সরি কিসের আপনার অধিকার আছে আর তাই আদায় করেছেন, আর বিয়ে তো হয়তো এর জন্যেই করা হয় নিজের প্রাপ্তির জন্য তাই নয় কি???

তুর্জ বুঝতে পারছে নন্দিনি ভিসন রেগে গেছে, তাই এমন কথা বলছে,
তুর্জ নন্দিনির কাধে হাত দিতেই নন্দিনি রেগে আগুন হয়ে হাতটা এক ঝটকায় শরিয়ে বললো এখন আবার চাই বুঝি!!!

তুর্জ কি বলবে বুঝতে পারছেনা, শুধু বোকার মত চেয়ে রয়েছে ওর মুখটার দিকে।
নন্দিনি বসা থেকে উঠে তুর্জের হাত টান দিয়ে বলে উঠলো চলুন তাহলে বিছানায়!!

আপনার হক বলে কথা তাই যখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারবেন চলুন”””
তুর্জ নন্দিনিকে কিছু বলবে তার সোজগ নেই, নন্দিনির কাছ থেকে তুলিকে কোলে নিয়ে নিলো তুর্জ,
তুলি চুপ হয়ে রয়েছে কি হচ্ছে তা একেক বার একেকজনের মুখের দিকে তাকাচ্ছে,
নন্দিনি আবার তুর্জের হাত ধরে টানতে টানতে নিচে নিয়ে এলো আনার পর তুলিকে কোল থেকে নিয়ে সপ্নার কোলে দিলো, সপ্না কিছুই বুঝতে পারছেনা নন্দিনি কাদঁছে কেন? আর কি হয়েছে তুলিকে দিয়ে দিলো!!!! তুর্জকেই বা কেন গাধার মত টেনে আনলো?

তুলিকে দিয়েই আবার তুর্জের হাত ধরে রুমের দিকে ছুটছে তুর্জ বেচারা কিছু বঝতেও পারছেনা আর বলতেও পারছেনা,
রমে এনে দরজাটা লক করে নিজের শাড়ির আচলটা বুক থেকে শরিয়ে বললো নিন এটাই তো চাই!! তাহলে দেরি করছেন কেন, তুর্জের এবার রাগ বেসামাল হয়ে গেলো কষিয়ে এক চড় বসিয়ে দিলো নন্দিনির গালে,
চড় টা বেশ জোরে লাগায় ছিটকে বিছানায় পরে গেলো, তুর্জ কাছে এসে নন্দিনির হাত চেপে ধরে বললো কালরাতে তো আমি হুসে ছিলাম না তাই একটু ভুল হয়েছে, আর আজ ক্ষমাও চাইলাম, আর তুমি হুসে থেকে এভাবে আমায় অপমান করছ!

আমি জদি তোমার শরিলটাই চাইতাম তাহলে তো এত দিন চুপচাপ বসে থাকতাম না কবেই অধিকার কেরে নিতাম, কিন্তু কালকের জন্য আমি খুবই দূখিঃত কারন কাল আমার হুস ছিলেনা,

তার পরও তুমি ছি ছি নন্দিনি ছি, আর জদি তুমি এটাই ভাবো আমি এমন আর তুমি এটাই এখন চাইছো তাহলে তাই হক””””

নন্দিনি তুর্জের দিকে তাকিয়ে শুধু একটা কথাই বললো হ্যা শরিলই তো চান নাহলে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এসব করতে পারতেন না,

তুর্জ বার বার ক্ষমা চাইলো সে হুসে ছিলেনা বুঝাতে চাইলো তাও বুঝলোনা নন্দিনি!!
তবে তুর্জ ছেরে দেওয়ার পাএ নয় সব সময় ওর ইচ্ছা চলবে না,

তাই নন্দিনির উপর নিজের ভরটা ছেরে দিয়ে বললো হ্যা তুই যখন তাই ভাবিস তাহলে তাই শরিলটাই চাই, আর এখনও চাই রোজ চাই, বলেই নিজের ঠোট নন্দিনির ঠোটে মাখিয়ে নিলো,
নন্দিনির চোখ বেয়ে পরা পানিতে তুর্জের গাল ভিজে আসছে , তবুও সে রাগে ঠোট কামড়ে ধরে আছে,…

~~~~~~~~

~~~~~~
প্রায় ২ ঘন্টা পর তুর্জ নন্দিনিকে ছেরে দিলো, নিজের ঘামা শরিলটা নিয়ে সোজা ওয়ারুমে ঢুকে গেলো,
নন্দিনি এখনও বিছানায় শুয়ে কাদঁছে, তুর্জ কাল রাতে নেশার মধ্যেও এমন পশুর মত আচরন করে নি, কিন্তু এখন সে পশুর চেয়ে হিংস্র ভাবেই নন্দিনির কাছে এসেছে,
নন্দিনির শরিলে বহু দাগ কেটেছে তুর্জ,
ব্যাথায় জরজরিত নন্দিনি বিছানা ছেরে উঠা বড় দায় হয়ে পরেছে,
তু্র্জ ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে নন্দিনির কাছে গিয়ে বললো কালকের জন্য সরি বলেছিলাম, মানলেনা এখনের জন্য আর বলবোনা তুমি ঠিক বলেছো এটা আমার অধিকারই তাই নো সরি,

বলেই তুর্জ রুম ছেরে বেরিয়ে গেলো,
নন্দিনির শরিল ব্যাথায় উঠতে পারছেনা প্রায়, সে শুয়েই আছে,

এদিকে তুলি খুব কান্না করছে মাম্মামের কাছে যাবে বলে, শিলা বেগম আর সপ্না সামলাতে পারছেনা, তুর্জটা এই সময় কোথায় গেলো???

শিলা বেগমের পশ্নের কোন উপর সপ্নার কাছে নেই,

আর নন্দিনই বা কোথায়?? এই বেলায় শোয়ে আছে কেন? শরিল খারাপ নাকি?

শিলা বেগম নন্দিনির রুমে পা বারাতেই সপ্না পথ আটকে বললো মা আমি দেখছি আপনি আরাম করুন………….

শিলা বেগম আর অমত করলো না, সোহামের কাছে তুলিকে দিয়ে সপ্না নন্দিনির রুমে গেলো, গিয়ে সপ্নার শরিল শিউরে উঠলো একি নন্দিনি তোমার এই অবস্থ্যা কেন??

দৌড়ে নন্দিনির কাছে এসে ওকে ধরে বসিয়ে দিলে,
সপ্না খুটে খুটে সব দেখলো এক নজর, তার পর নন্দিনির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো চলো ফ্রেস হয়ে নাও,
সপ্না নন্দিনিকে ধরে ওয়াসরুমে নিয়ে গেলো,

একটা শাড়ি এনে নন্দিনির হাতে ধরিয়ে বললো জাও আমি বাইরে আছি,….

নন্দিনি কোন মত ফ্রেস হয়ে বাইরে এলে,

সপ্না নন্দিনিকে আবার শুয়ে থাকতে বললো।।

তুমি শুয়ে পরো..
নন্দিনি হাটতেও পারছেনা, ধরে নিয়ে শুইয়ে দিলো সপ্না,

মাথার কাছে অনেক ক্ষন বসে থেকে নন্দিনিকে মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো শুনো বোন

পুরুষ যত দিন বিড়ালের মত আছে তাকে সেভাবেই থাকতে দাও, আর জদি এর চেয়েও বেশি চাপো ইদুঁর হওয়ার জন্য তখন কিন্তু উল্টা সিংহ হয়ে উঠবে,
তুর্জ কেন এমন করল আমি তা জানিনা তবে, এখন থেকে সামলাও নয়তো দিন আরো ভংয়ক্কর হয়ে উঠবে…….

নন্দিনি সপ্নার কথায় কিছুটা হেসে বললো ভয় কিসের ভয় ভাবি কোন ভয় আর নেই যে ভয় ছিলো তা শেষ তাই ভয় নেই….

সপ্না কিছুটা অবাক নন্দিনির কথায়।

নন্দিনি এমন কেন বললো সে কি তুর্জকে স্বামী বলে মানেনা তাই তুর্জটা এমন করল নাতো!!

চলবে।

(ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)

আপনার ফ্রেন্ডের পেজে ইনভাই করার অনুরুধ রইলো।

কেমন হল তা জানাতে ভুলবেন না।

( লিখতে খুব কষ্ট হয় তবু লিখি/ কিন্তু দুএক লাইন মতামতে এত কষ্ট হয় কেন কিপ্টামি ছারেন😥😥😥)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here