নীলাম্বুর গহীনে পর্ব ১৩

#নীলাম্বুর_গহীনে
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ১৩
( কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।)
.
.
দুপুর ২:৪৫ বাজে। বাস এসে থেমেছে একটি হোটেলের সামনে। ব্যাগপত্র সব বাসে রেখে একে একে সবাই নেমে পড়লাম বাস থেকে। হোটেলের সামনে মোটামুটি উঠানের মত একটা জায়গা ছিল। যেটা পুরো টাই কাঁচা অর্থাৎ উঁচু নিচু মাটি ভরা।পাকা করা ছিল না। যার দরুণ কিছু অংশ বিশেষে ছোট বড় অসংখ্য ঘাসের ঝোঁপ দেখা যাচ্ছে। আর সেখানে গিয়েই আমরা সবাই দাঁড়ালাম। পেছনে আর সামনে তাকিয়ে দেখলাম, আমাদের আরও তিনটি বাস পর্যায়ক্রমে থেমে রয়েছে। যার মধ্যে আমাদের বাসটি ছিল দু নম্বর। এরই মাঝে স্যারদের থেকে নির্দেশ এলো প্রতিটি বাসের মেম্বারদের দু ভাগে ভাগ করার জন্য। প্রথম ভাগ খাওয়া হলে দ্বিতীয় ভাগ এসে খাবে। আর যাদের খাওয়া শেষ হবে তারা যেন সোজা বাসের দিকে চলে যায়। এভাবেই চলবে কার্যক্রম। যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। যদিও আমাদের বাস দু নম্বরে ছিল তারপরও স্যারদের নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের বাসের টার্ম পড়ে সবার শেষে। তাই আমরা সবাই এদিক ওদিক হেঁটে হেঁটে গল্পগুজব করছিলাম। হঠাৎই খেয়াল হলো আশেপাশে সমুদ্র নেই। এদিক ওদিক ঘাড় ফিরিয়ে তাকাতেই কিছুটা দূরে অর্থাৎ রাস্তার অপজিট পাশে দেখতে পেলাম সমুদ্রকে। একটি টং দোকানের ভেতর বসে কী যেন করছে। তবে ও একা নয়, পাশে কেউ একজন আছে। কিন্তু কে আছে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। অপরিচিত জায়গা তাই আর একা গেলাম না, ওসমানকে সাথে করে নিয়ে গেলাম রাস্তার ওপারে। টং দোকানটির কাছে যেতেই পা দুটো থমকে গেল। চোখ দুটো ভরে উঠল বুক ভরা গর্ভে। একদিন সমুদ্র আমাকে বলেছিল, ‘ভালো কাজ কখনো কাউকে দেখিয়ে নয় গোপনে করবি। তাতেই সুখ মিলে। মিলে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন। ‘
কথাটি মনে পড়তেই তৎক্ষণাৎ আমি ওসমানকে নিয়ে দ্রুত পায়ে চলে এলাম সেখান থেকে। আমি চাইনি সমুদ্র আমাদের দেখে ফেলুক আর নিজের কর্মের থেকে প্রাপ্ত সুখের ছোঁয়া হতে বঞ্চিত হোক। তবে সমুদ্র যে ইতিমধ্যে অদৃশ্য সুখের সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছিল সেটা পাশে থাকা ভিক্ষুক বৃদ্ধার মুখে নিজ হাতে খাবার তুলে দেয়ার সময় সমুদ্রের অপলক চাহনি আর মুচকি হাসির পাতলা রেখা দেখেই বুঝে ফেলেছি। আর সেই হাসির বলিদান দিতে আমার মোটেও ইচ্ছে করেনি।তাই সবার মাঝে ফিরে অন্য কথায় মনোনিবেশ দিলাম। তবে মনটা পড়েছিল সমুদ্রের সেই মুচকি হাসির পাতলা রেখার টানে।
ঘন্টা খানেক পার হওয়ার পরই হোটেলের ভেতর আমাদের ডাক পড়ল। অবশ্য এর মাঝে সমুদ্রও এসে পড়েছিল।তাই ডাক পড়তেই দ্রুত চলে গেলাম হোটেলের ভেতর। দশ মিনিটের মাঝে সবাই দ্রুত খাবার খেয়ে উঠে পড়লাম। যদিও স্যারদের তাড়া দেয়ার ফলেই দ্রুত খাওয়া হয়েছে আমাদের। স্যার’রা হোটেলের বিল চুকিয়ে এসে ড্রাইভারকে বলল,’ এই লাঞ্চ ব্রেকের জন্য এমনি ঘন্টার উপর সময় নষ্ট হয়েছে। আর কোথাও থামা থামি করবে না। সোজা কক্সবাজার গিয়েই থামবে।’
ড্রাইভারও মাথা নাড়িয়ে বাস ছেড়ে দিল।
বাস ছেড়েছে ঘন্টা হলো। তবে সমুদ্র আর আমার মাঝে কোনো কথা নেই। যে যার মত আনমনে বসে আছি। আমি আছি চোখ বুজে নিঃসঙ্গতায় ডুবে। আর সমুদ্র আছে প্রকৃতির সৌন্দর্যে ডুবে। আমাদের দেখলে কেউ বলবেই না আমরা দু’জন প্রেমিক প্রেমিকা। এমনকি ফ্রেন্ড বলাও যেন দুষ্কর হয়ে পড়বে! একেবারে পুরোই বেখাপ্পা। অপরিচিত, অচেনা বললেই মানাতো।
চোখ বুজে থাকতে থাকতে যেই চোখে ঘুম এসে ভর করল ওমনি সমুদ্র পাশ থেকে বলে উঠল,
” কষ্ট করে রাস্তার এপার থেকে ওপারে গিয়েছিলি কিন্তু সামনে এলি না কেন? তুই তো জানিস, বাহিরে বের হলে আমার নজর সর্বক্ষণ সর্বদিকে থাকে। তাহলে নিজেকে আড়াল করার বৃথা চেষ্টা কেন করলি?”
আমি ঘুম ঘুম চোখ মেলে পিটপিট করে তাকিয়ে বললাম,
” তুই-ই তো বলেছিলি ভালো কাজ কাউকে বলতে নেই। আড়াল থেকে করতে হয়। তাই তোকে আড়ালে থাকতে দিয়েছি।”
সমুদ্র আর কিছু বলল না, কেবল তাকিয়ে রইলো আমার মুখশ্রীর পানে। অন্যদিকে আমি সমুদ্রের সেই দৃষ্টিকে পাত্তা না দিয়ে চোখ বুজে তলিয়ে গেলাম ঘুমের দেশে।
.
রাত ৯:৪৩। বাস এসে থামল একটি হোটেলের সামনে। যার নাম ছিল হোটেল শৈবাল। নামটা যেরকম সুন্দর, হোটেলটা দেখতেও ঠিক ততটা সুন্দর ছিল। আমরা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম হোটেলটি। বিশেষ করে আমি,সারা আফরোজা। কেননা পরিবার ছাড়া তাও আবার এরকম হাইফাই জায়গায় এই প্রথম আসা আমাদের। এর আগে কখনো হোটেলের ‘হ’ আমরা দেখিনি। লোকমুখে শুনেছি বেশ পুরনো ছিল হোটেলটি। প্রায় ৭০-৮০ দশকের দিকে নির্মিত হয়। কিন্তু হোটেলের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সাইড পর্যবেক্ষণ করে তা বুঝার উপায় ছিল না। মনে হয়েছে একদম নতুন একটি হোটেল। তাই ঘুরে ঘুরে দেখার ইচ্ছেটা আরও প্রবল হয়ে ওঠে। যদিও দূরে কোথাও যাইনি সবার কাছাকাছি থেকেই দেখেছি। তার মাঝেই স্যার বলে উঠলেন, ” আজ আর কোনো বাহিরে যাওয়া হবে না। এমনিতেই ১৪ ঘন্টার জার্নি করতে হয়েছে। এখন সবারই বিশ্রামের খুব প্রয়োজন।তাই এখন সবাই নিজ নিজ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আবার নিচে ফিরে আসবে। ডিনার করতে। হোটেলে সবকিছু বলে দেয়া হবে তোমরা এলেই ডিনার সার্ভ করে দিবে।তারপর দ্রুত খাওয়া শেষ করে যে যার রুমে গিয়ে সোজা ঘুমিয়ে পড়বে। কারণ কাল সকালে আবার খুব ভোরে উঠতে হবে। সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে সূর্যদয় দেখার জন্যে। সবাই কি বুঝতে পেরেছ আমার কথা?”
সবাই আমরা একত্রে ‘জি স্যার’ বলতেই স্যাররা এগিয়ে গেলেন হোটেলের দিকে। রুমের চাবি নিয়ে আমাদের মাঝে ডিস্ট্রিবিউশন করে দিলেন। প্রতি তিনজনকে একটি রুমে শিফট করলেন। বারবরের মতই আমি, সারা আর আফরোজা এক সাথেই পড়লাম। আর সমুদ্র, ওসমান, তামীম অন্যরুমে। আমরা ছিলাম ২০৩ নাম্বার রুমে আর সমুদ্ররা ২০৪। তবে আমাদের মধ্যে তেমন কোনো কথাই হলো না। যে যার রুমে নিঃশব্দে চলে গেলাম।
.
রাত ২ টা। সারা, আফরোজা দু’জনেই আরামের ঘুম ঘুমাচ্ছে। আর আমি বেলকনির ইজি চেয়ারে হেলান দিয়ে আকাশের অগণিত আঁকাবাঁকা পথে মিটমিট করা তারাগুলো গুণার বৃথা চেষ্টা করছি। অবশ্য তিন চারটির বেশি গুণে উঠতে পারছি না। একে তো অসংখ্য হিজিবিজি তারা, তারউপর বাঁধ না মানা চোখের পানি। দুটো মিলিয়ে চোখ পুরো ঝাপসা হয়ে উঠেছে। তবে আমিও যে হার মানার পাত্রী নই। বারংবার চোখের জল মুছে তারা গুণার মত অবান্তর কাজ করতে লাগলাম। কিন্তু তারপরও চোখের জলের সাথে সাথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো উত্তাল সমুদ্রেরর ঢেউ তীরে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ার শো শো শব্দ। প্রতিটি শব্দ যেন আমার বুকে সুঁইয়ের মত বিঁধছিল। ঝাঁঝরা করে দিচ্ছিল বুকের মধ্যভাগ। সমুদ্রের সাথে পথ চলা থেকে শুরু করে সবকিছু চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। সুখদুঃখের মিশ্রণে ভরা প্রতিটি ঘটনা উঁকি দিচ্ছিল মনের বদ্ধ ঘরে। আর পারছিলাম না বসে থাকতে। হাত পা অসাড় হয়ে আসছিল। মাথা ঝিমঝিম করছিল। তাই দ্রুত বেলকনি ছেড়ে ঘরে চলে এলাম। লাগিয়ে দিলাম বেলকনির দরজা। যেন সমুদ্রের মায়া ভরা ডাক আমার কর্ণপাত ছুঁয়ে যেতে না পারে।
.
ভোর ৫ টা। গায়ে একটি পাতলা শাল জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছি সমুদ্র পাড়ে। আহামরি শীত পড়েছে তা না, বছরের শেষ দিক হলেও কক্সবাজারে ভালোই গরম পড়েছে। তবে শাল পড়েছিলাম হাতের নাগালে ওড়না না পাওয়ার জন্যে। একদিকে সবাই চলে আসছিল অন্যদিকে সারা আর আফরোজার তাড়া। তাই আর ব্যাগ খুলে ওড়না খোঁজার সময় হয়নি।তারমাঝে সূর্যদয়ের সময় এতই সংকীর্ণ ছিল যে, হাতমুখ ধোঁয়া তো দূরের কথা, মাথায় চিরুনী অবধি লাগানোর সুযোগ পাইনি। যার ফলে এলোমেলো চুলগুলো টেনে হাত খোপা করেই ছুঁটতে হয় সমুদ্র তীরে। ঘুম থেকে উঠেই এতো ছুটোছুটি করায় মেজাজ প্রচন্ড ভাবে বিগড়ে গিয়েছিল।কিন্তু সেই বিগড়ে যাওয়া মেজাজ সতেজ হয় জন মানবহীন ভোরের সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য দেখে। মিনিট পাঁচেকের জন্য আমরা সবাই যেন থমকে গিয়েছিলাম। স্তব্ধতা যেন ঘিরে ধরেছিল আমাদের চারিদিক থেকে। তবে এই স্তব্ধতার মাঝেই যেন অফুরন্ত সুখের ছোঁয়া পেয়েছিল সবাই। তাই তো নিঃশব্দে চক্ষুস্নান করেছে সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ তরঙ্গে।
অনুভূতি স্বাভাবিক হতেই যে যার মত ভোরের সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য উপভোগ করছে। কেউ উপভোগ করছে পরিষ্কার টলটলে পানিতে নেমে। তো কেউ আবার আনমনে সূর্যদয় আর সমুদ্রের মাঝে প্রতিটি ঢেউয়ের ধাপের মিল বন্ধ খুঁজতে। ঠিক যেমনটা আনমনে আমি নিজেও খুঁজছিলাম। আচমকাই সমুদ্র আমার পাশে এসে দাঁড়ায়।সমুদ্রের পাতলা গড়নের ঢেউ পায়ের কাছে আছড়ে পড়তেই সমুদ্র বলে উঠে,
” সমুদ্রের ঢেউ তার গতিবিধি ধীরস্থির করে তীরে এসে আছড়ে পড়ার আসল কারণ কি জানিস ইউশরা?”
” কী?”
“দূর দেশ থেকে আসা সমুদ্রের ঢেউয়ের গভীর টানে যেন অপরিপক্ক বালু কণা গুলো ভেসে না যায়। কেননা এ বালু কণা গুলোই যে সমুদ্রের প্রাণ।সমুদ্রের বুক ভরা নিঃশ্বাস নিয়ে জুড়ানোর স্থান। এই বালু কণা মুছে গেলে সে ভীড় জমাবে কার বুকে? স্বস্তির নিঃশ্বাস হাতরাবে কার তরে? সেজন্যেই সমুদ্র কখনো ভারী ঢেউ নিয়ে তীরে আসে না। পাতলা গঢ়নের ঢেউ এনে কেবল ছুঁয়ে যায় তার স্বস্তির নিঃশ্বাসকে।”
ইউশরা মুচকি হেসে বলল,
” নিষ্প্রাণ সমুদ্র রাও বুঝে তার স্বস্তির নিঃশ্বাসের গুরুত্ব। তবে প্রাণ থাকা সত্ত্বেও তুই সমুদ্র বুঝলি না, নিজের স্বস্তির নিঃশ্বাসের গুরুত্ব ।”
সমুদ্র তার গভীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করল আমার পানে। হয়তো আমার মনের গাঢ় ব্যাথার উৎপত্তি স্থলের সন্ধান করতে। তবে আমি সেই সুযোগটি সমুদ্রকে দেইনি। মনের আনাচকানাচে তো বহু ব্যাথা। ক’টার সন্ধান করবে সমুদ্র? খুব স্বাভাবিক ভাবে সমুদ্র পাশ কাটিয়ে চলে এলাম সারা আফরোজার কাছে। ওরা দু’জন বিভিন্ন কথাবার্তা বললেও সেগুলোর একটি কথাও আমার কর্ণলতা স্পর্শ করতে পারল না। যার বুক ফেটে নোনাজলের ধারা ভাঙে তার বুঝি অন্যের সুখের কথা ভালো লাগে!
আমার নীরবতা লক্ষ করে সারা আমার হাত স্পর্শ করল। বলল,
” কোথায় আছিস? এ ভুবনে না-কি সমুদ্র নামক অন্য ভুবনে?”
আফরোজা আর সারা দু’জনেই খিকখিক করে হেসে উঠল। আমি কথা এড়াতে বললাম,
” ট্যুর ক’দিনের রে?”
আফরোজা আর সারা দু’জন দু’জনের মুখের দিকে চাওয়া চাওয়ি করে বলল,
” কেন? তুই জানিস না?”
” জানি না বলেই হয়তো তোদের জিজ্ঞেস করেছি। ”
সারা বলল,
” ট্যুরে এসেছিস তবে ক’দিনের জন্য এসেছিস তা জানিস না। এটা কী মানার মত? সে যাই হোক….দু’দিনের ট্যুরে এসেছি আমরা। যদিও এটা ট্যুর বললে ভুল হবে, কেননা আমরা পিকনিকে এসেছি।আমার জানামতে ট্যুরে সাধারণত হাতে বেশি সময় নিয়ে আসে। দু’দিনের জন্যে তো পিকনিকে আসে।”
” সে যাই হোক….আমরা তাহলে ব্যাক করছি কবে কাল না-কি পরশু?”
” কাল রাত ১২ টার বাসে।”
” ওহ্! ”
” হুম। স্যারদের বলতে শুনলাম, আজ এই সমুদ্র তীরেই দিন কাটাবে। কাল দুপুরের দিকে কাছে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে আসতে আসতে বিকেল কিংবা সন্ধ্যা হয়ে যাবে। তারপর রাতের খাবার খেয়ে ব্যাগপ্যাক করে ক্ষানিকটা বিশ্রাম নিতেই বাসের সময় হয়ে যাবে। আর সকালে ঘুম থেকে উঠেই চোখের সামনে কলেজ। পিকনিক শেষ। ”
” ওহ্! ”
” হুম।”
আমি আবারও নিস্তব্ধতায় ডুবে গেলাম। আফরোজা আমার হাত ধরে বলল,
” কী হয়েছে তোর? এভাবে মনমরা হয়ে আছিস যে? কোনো সমস্যা? ”
আফরোজার প্রশ্নের জবাবে আমি কেবল মুচকি হাসলাম। কিছু বললাম না। সারা, আফরোজা দু’জন ভ্রু কুচকে তাকাতেই আমি কিছুটা দূরে গিয়ে সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে স্বচ্ছ নোনাজলের উপর দিয়ে হাঁটতে লাগলাম।
.
.
চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here