নেশা ২ পর্ব ৮

নেশা💞
Season 2
Ayusha Akter Usha
“”8″”
সকালের মিষ্টি রোদ মুখের ওপর পরতেই কুয়াশার ঘুম ভেঙে গেল।সম্রাট তাঁকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে।সম্রাটের দিকে চোখ পরতেই কুয়াশার ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠল।কাল রাতের কথা মনে করতেই সে লজ্জায় সম্রাটের বুকে মাথা রাখল।আবার কিছুক্ষণ পর মাথা তুলে সম্রাটের বুকে থুতনি ঠেকিয়ে তার দিকে তাকায়।সম্রাটকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে কুয়াশার ভালোই লাগছে।সম্রাটের বুকে একটা পশম ও নেই।কুয়াশা একদৃষ্টিতে সেদিকে তাকালো।মানুষ বলে বুকে পশম না থাকলে নাকি মানুষের মন নিষ্ঠুর হয়।কিন্তু সম্রাট তাঁদের সবার কথা ভুল করে দিয়েছে।যার মনে এতো ভালোবাসা সে কি করে নিষ্ঠুর হতে পারে।কুয়াশা একটু উঁচু হয়ে সম্রাটের মুখের দিকে যায়।কত সুন্দর লাগছে তার ঘুমন্ত সম্রাটকে।ইচ্ছে করছে একটু ঠোঁট টা ছুঁইয়ে দেয়।নিজের ভাবনাতে নিজেই হেসে ঊঠল কুয়াশা।হাত দিয়ে সম্রাটের দাড়িগুলো নিয়ে খেলতে লাগল।এমন সময় তার হাতে হেচকা টান মেরে সোজা করে শুইয়ে দিয়ে সম্রাট তার উপরে আধশোয়া হয়ে শুলো।এরকম আচমকা ঘটনায় কুয়াশা কিছুটা চমকে যায়।সম্রাট ভ্রু নাচিয়ে বলে
-কি হুম কি করছিলে এতক্ষণ ধরে আমাকে নিয়ে।
-আব ইয়ে মানে আআ আপনার দাড়ি গুলো অনেক সুন্দর তাই দেখছিলাম।
-তাই নাকি
বলেই কুয়াশার গালে দাড়ি ঘষে দিল।
-আউচচচ
বলে কেকিয়ে উঠল কুয়াশা।
-কি করছেন কি।।
-কেন তোমার তো আমার দাড়ি খুব পছন্দ হয়েছে তাই একটু এর কামাল দেখালাম।
-ধুর সরুন তো।আমি ফ্রেশ হবো।
কুয়াশা উঠতে চাইলে সম্রাট কুয়াশা দুই হাত বেডে আরো শক্ত করে ধরে বলে
-এই এক্ষুণি কথায় যাচ্ছো।
বলেই কুয়াশার গালে নাক ঘষতে লাগল।
-কি করছেন ছাড়ুন আমাকে।
-উহুম এখন আর ছাড়ছিনা।
বলেই সম্রাট কুয়াশার গলায় মুখ গুজে দিল।কুয়াশা নিজেকে ছাড়াতে চেয়েও আর পারলো।ভালোবাসার মানুষটার কাছে নিজেকে সপে দিল।এইভাবেই চলতে লাগল তাদের ভালোবাসার দিন গুলি।দিন কাটতে লাগল সাথে তাদের ভালোবাসাও বাড়তে লাগল।এটাই হয়তো সত্যিকারের ভালোবাসা।দিনে দিনে ভালোবাসা বেড়েই চলে।একদিন কুয়াশা ঠিক করল সে সম্রাটকে একটা সারপ্রাইজ দেবে।তাই সে সম্রাট কে না জানিয়েই শপিং করতে বেরিয়ে পরে।অবশ্য সম্রাটের দুই বডিগার্ড তার সাথে ছিল।শপিংমলে ঢুকেই কুয়াশা তাঁদের এক জায়গায় দাঁড়াতে বলল।সে চায়না এরা তার পিছু পিছু ঘুরুক।তাঁদের একজায়গায় দাঁড় করিয়ে রেখে কুয়াশা শপিংয়ে মন দিল।শপিং শেষে যখন কুয়াশা মল থেকে বেরোতে যাবে তখন দেখে কালো কাপড় পড়া কত গুলো গার্ড দাঁড়িয়ে।কুয়াশা অবাক হয়ে গেল।নিশ্চয়ই সম্রাট তার বাইরে আসাটা জানতে পেরে গেছে।তাই এতো গার্ডস পাঠিয়ে দিয়েছে।উফফ উনি এমন কেন।এমন বিহেভ করে যেন বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেই সে কিডনেপ হয়ে যাবে।গার্ডসরা এসে কুয়াশাকে ঘিরে ধরল।কুয়াশাও কিছু না বলে চুপচাপ হাঁটতে লাগল।তার পিছু পিছু গার্ডসরাও চলতে লাগল।মলের বাইরে কতগুলো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।একটা গাড়ির দরজা খুলে দিলেই কুয়াশা গাড়িতে গিয়ে বসে পরে।তার দু পাশে দুটো গার্ড বসল।এই জিনিস টা কুয়াশার কেমন জানি লাগল।তবুও চুপ করেই রইল।কিছুদুর যাওয়ার পরেই কুয়াশার এদের হাবভাব কেমন জানি লাগতে লাগল।হঠাৎই তার মনে হলো পেছনে কতগুলো গাড়ি তাঁদের পিছু করছে।আর তাঁদের গাড়িও ফুল স্পিডে চলছে।কুয়াশা কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না।সে অস্থির হয়ে পরেছে।বারবার সম্রাটের কথা মনে পরছে।মনে মনে সম্রাটকে বারবার ডাকছে।এমন সময় কিছু গাড়ি এসে তাঁদের গাড়ির সামনে এসে দাড়ালো।এতে তাদের গাড়ি থামতে বাধ্য বলো।কুয়াশার বুক ধরফর করছে।গাড়িতে থাকা গার্ডস গুলো বেরিয়ে গেলো।শুধূ কুয়াশার পাশে থাকা দুটো গার্ড বাদে।এরি মাঝে কতগুলো গুলির শব্দে চারিদিকে মেতে উঠল।কুয়াশা ভয়ে কুঁকড়ে গেল।তখন তার পাশে থাকা গার্ডস দুটো তার দিকে বন্দুক তাক করে।কুয়াশার চোখ বড় বড় হয়ে যায়।গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়।ওরা কুয়াশাকে ধরে জোর করে গাড়ির বাইরে বের করে।কুয়াশা গাড়ি থেকে নেমে যা দেখল তাতে কুয়াশা মোটেও প্রস্তুত ছিল না।সম্রাট তার সামনে দাঁড়িয়ে।তার পেছনে কতগুলো গার্ডস বন্ধুক হাতে দাঁড়িয়ে আছে।সম্রাটের হাতের বন্ধুক থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে।কুয়াশা চোখ বড় বড় করে সেদিকে তাকিয়ে আছে।
-সম্রাট চালাকি করার একদম চেষ্টা কর না নয়তো আমার বন্দুকের সবকটা গুলি তোমার বউয়ের মাথা ফুরে বেরিয়ে যাবে।
কুয়াশার মাথায় বন্দুক তাক করে বলল একজন গার্ড।কিন্তু সম্রাট তাদের কথার কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে পরপর দুটো গুলিতে দুজন গার্ডের দেহ নিথর হয়ে পরে যায়।কুয়াশা অবাকের চরম মাত্রায় গিয়ে চোখ বড় বড় করে তার পাশে থাকা নিথর মানুষ দুটোর দেহ দেখছে।
to be continue…
দয়া করে গঠন মূলক কমেন্ট করুন💝💝

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here