পবিত্র সম্পর্ক পর্ব ১৯+২০

#পবিত্র_সম্পর্ক
লেখক : রিদন রায়হান
পর্ব : ১৯

মুন্না এবং তার সহযোগী এগিয়ে যাচ্ছে গাছের আড়ালে থাকা লোকটার দিকে। সুরক্ষার জন্য গাড়ি থেকে সাথে নিয়েছে চাকু।
গাছের আড়ালে থাকা রায়হান এখন আর মৃত্যুকে ভয় পায় না। ধর্ষক নামের অমানুষদের পৃথিবী থেকে না সরালে একদিন এ পৃথিবী ধ্বংস হবে তা ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে। তবে ওর একার পক্ষে এ কাজ সম্ভব না। তার জন্য প্রয়োজন কঠোর আইন ব্যাবস্থা, জেগা উঠা দরকার প্রতিটা ধর্ষিতার পরিবারকে, ধর্ষিতার হয়ে লড়াই করতে হবে প্রতিটা ভাইয়ের, ধর্ষণ হলে চুপ থেকে নয় আজও উঠাতে হবে সকলের, তাহলেই ধর্ষকরা ধর্ষণের আগে শতবার ভাববে। তাহলেই বিনাশ হবে ধর্ষণ।

মুন্না তার সহযোগী কর্ন এবার গাছের খুব কাছাকাছি চলে গেল। মুন্না হতে থাকা চাকুটা নিয়ে প্রস্তুত হলো আঘাত করার জন্য। আবারো বলল,
— ” গাছের পিছনে কে?”

কোন শব্দ না পেয়ে গাছের পিছনে দেখতে যাবে ঠিক তখনি রায়হান প্যান্টের পকেটে থাকা ছুরিটা বের করে মুন্নার বুক বরাবর আঘাত করল। বুক চিড়ে রক্ত ছিকটে মুখে এসে পড়ল রায়হানের। মুন্নার হাত থেকে চাকুটা মাটিতে পরে গেল, বসে পড়ল মাটিতে। মুন্নার অবস্থা দেখে লড়াইয়ের ক্ষমতা হয়রালো কর্ন। সহযোগী বন্ধুকে ফেলেই পিছন ঘুড়ে দৌড় লাগালো সে। তা দেখে রায়হান হাসল। মুন্নাকে উদ্দেশ্য করে বলল,
—” দেখ! তোর বন্ধু তোকে বিপদে ফেলেই চলে গেল। এমন বন্ধু রাখতে নেই, ‘কথায় আছে বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু’। ”
কথাটা বলেই রায়হান সেদিকে তাকিয়ে দেখল কর্ন দৌড়ে প্রায় হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। দৌড়ে ধরা প্রায় মুশকি তছাড়া কর্ন মেইন রোডে চলে গেল বড়ই বিপদ।

পিছন ফিরে একবার মুন্নাকে দেখল রায়হান। মুন্নার পক্ষে এখান থেকে পালানো কিছুতেই সম্ভব না। তবে কিছু একটা মনে করে মুন্নার ক্ষত স্থানে সজোড়ে লাথি মেরে গড়িতে চরে বসল রায়হান। গাড়ি ফুল স্পিডে চালিয়ে রায়হান মুহূর্তেই কর্নের কাছে চলে গেল। গাড়ির স্পিড এত বেশি ছিল যে ব্রেক চাপতে চাপতে কর্নকে ধাক্কা দিয়ে বসে, সাথে সাথে কর্ন ছিটকে দূরে গিয়ে পরে।

সকালে এই জায়গায় মানুষের আনাগোনা দেখেছিল রায়হান তাছাড়া এখান থেকে মেইন রোড বেশি দূরে নয়; এখানে কর্নকে মারলে লোকজনের কাছে ধরা পরে যেতে পারে ভেবে, আচেতন কর্নকে টেনে হেঁচড়ে গাড়িতে তুলল রায়হান। ডান হাত ভেঙ্গে হাড় বেরিয়ে গেছে কর্নের। সে যায়গা থেকে গতিবেগে রক্ত বেরিয়ে চলছে। গাড়ির সাথে ধাক্কায় মেরুদণ্ডে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে সে। ছিটকে দূরে গিয়ে পরায় ছাঁকনার হাড় ভেঙে গুরিয়ে গেছে। মৃত্যু যন্তনায় ছটফট করছে কর্ন। রায়হান সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে গাড়ি চালাচ্ছে।

গাড়ি নিয়ে মুন্নার বাড়ির কাছে পৌছাল রায়হান। গিয়ে দেখল গাছের সাথে হেলান দিয়ে বসে বুক ব্যাথায় কাতরাচ্ছে মুন্না। গাড়ির ভেতর গোঙানির শব্দ শুনে কর্নের দিকে চোখ পড়ল রায়হানের। কর্নকে টেনে গাড়ি থেকে নামাল রায়হান। মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরানো কর্নকে দেখে বলল,
—” এখন কেন কাতারাচ্ছিস। যখন একটা মেয়েকে গন ধর্ষণ করিস তখন সেই মেয়েটা বাঁচার জন্য ঠিক এমনি কাতরায়। কই তখন তো মেয়েটাকে ছেড়ে দিস না উল্টো আরো মজা নিস। তোদের মন জানোয়ারদের…”

কথা শেষ না করেই রেগে গাড়িতে উঠে বসল রায়হান। গিড়িটি ব্যাকে দিয়ে বেশ কিছুটা পিছনে নিয়ে গেল। এবার গাড়ি দ্রুত গতিতে সামনে এগোতে লাগল। মাটিতে শোয়া কর্নের মাথার উপর গাড়ির একটি চাকা তুলে দিল রায়হান। মাথাটি হাতুড়ি দিয়ে ডিম ফাটানোর মত চারিদিকে ছড়িয়ে পরল। এই দৃশ্য দেখে মুন্নার রুহ কেঁপে উঠল। মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হলো না ওড ভয়ে শরীর থেকে জান চলে যেতে চইছে যেন ওর।

রায়হান এবার আস্তে আস্তে গাড়ি সামনে এগোতে লাগল। কর্নের বুকের হাড় গুড়িয়ে গেল সব। গাড়ি আরো কিছুটা এগোতেই গাড়ির চাপে কর্নের পেট ফেটে আঁতুড়ি বেরিগে গেল। রক্ত ছিটকে পরল চারিদিকে। কিছুটা রক্ত এবার মুন্নার শরীরের উপর গিয়েও পরল।

রায়হান গাড়ি থেকে নেমে এসে মুন্নার সামনে বসল। মুন্না ফেলে দেওয়া চকুটা নিয়ে রেডিই ছিল রায়হান এসে বসতেই চাকু দিয়ে সজোরে আঘাত করতেই রায়হানের বা-হাতে আচর পরে। রায়হান মুন্নার হাত থেকে চাকুটা কেড়ে নিয়ে মুন্নার নাক বরাবর শরীরের জোরে আঘাত করে। মাটিতে গড়িয়ে পরে মুন্না নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। রায়হান দাড়িয়ে মুখ বরাবর দশ-এক লাথি মারে। মুখ গাল কেটে বিভৎস রকমের ভয়নক দেখতে লাগে মুন্নাকে। রায়হান নিচু হয়ে মুন্নার চুল মুঠো করে ধরে, বসা থেকে মুন্নকে টেনে তোলে। দাঁড়াতে দাঁড়াতে মুন্না বলে,
—” কে তুই? কেন আমাদের এইভাবে মারতে চাইছিস?”

রায়হানের রাগে ওর চুলগুলো আরো জোরে টেনে ধরে। বলে,
—” আমি সেইসব ধর্ষিতার ভাই যাদের তোরা জানোয়াররা গন ধর্ষণ করেছিলি। আমি সেই ধর্ষিতা মেয়ের বাবার সন্তান যে বাবা মেয়েকে ন্যায় বিচার দেয়ার জন্য বছর ধরে ঘুরে বেরাচ্ছে। আমি সেই মেয়ের ভাই যে মেয়েটা অর্থের জন্য তোদের বাড়িতে কাজের জন্য এসে ধর্ষিত হয়ে খুন হয়েছে। আমি সেই ধর্ষিতা মেয়ের স্বামী যাকে তোরা ধর্ষণ করে পথর চাপা দিয়ে মারতে চেয়েছিলি। জানি না আরো কত মেয়ের জীবন তোরা জানোয়াররা ধ্বংস করেছিল। ”

—” ভুল হয়ে গেছে আমার। আমাকে ছেড়ে দে ভাই। আমি আর জীবনে এমন অন্যয় করবো না। ”

—” আরে রাখ তোর ছাড়াছাড়ি। ফিরিয়ে দিতে পারবি সেই সব ধর্ষিতা মেয়েদের স্বাভাবিক জীবন। বল, ফিরিয়ে দিতে পারবি সেই সব ধর্ষিতা মেয়েদের প্রাণ যাদের ধর্ষণ করে খুন করেছিস? ”

—” এটা তো সম্ভব না। তুই অন্য কিছু বল যে করা সম্ভব আমি করবো। ”

—” সম্ভব না তাই তো? তাহলে তোকে ছাড়াও আমার পক্ষে সম্ভব না।”

—” প্রচন্ড ব্লিডিং হচ্ছে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। প্লিজ আমাকে ছেড়ে দে ভাই। ”

—” তোর বাকি বন্ধুরাও বলেছিল ওদের ছেড়ে দিতে আমি একেবারে ছেড়ে দিছি। উপরে পৌছেদিছি চিরতরে। নাও ইস ইউর টার্ন।”

—” আমার বন্ধু যদি জানে তুই আমাদের বন্ধুদের মেরেছিস তহলে তোকে সোজা উপরে পাঠাবে। ভালোয় ভালোয় বলছি আমাকে ছেড়ে দে। ”

এই কথা শুনে রায়হান প্রচন্ড রেগে গেল। বলল,
–” আমাকে উপরে পাঠানোর আগে আমি তোকে উপরে পাঠাবো।”

বলে রায়হান মুন্নার শরীর থেকে শার্টটা একটানে খুলে সেটা দিয়ে ওর হাত দুটো পিছনে নিয়ে বেধে দিল। গাড়িতে তখন লাইজার দেখেছিল রায়হান। দৌড়ে গিয়ে সেটা হাতে নিল গাড়িতে খুঁজেই পেট্রোল পেয়ে গেল সেটা নিয়ে মুন্নার সমনে এলো। মুন্না এসব দেখে চিৎকার করতে লাগল এটা জেনেও যে এখানে যত চিৎকারই করুক না কেন কোন লোকের কান পর্যন্ত তা পৌঁছাবে না। রায়হান ওর চিৎকার শুনে হাসল।
—” দেখি, এই চিংকার শুনে তোকে বাঁচাতে তোর বন্ধু আসে কি না। যখন একটা মেয়েকে গন ধর্ষণ করিস সে মেয়েটাও বাঁচার জন্য এমনই চিৎকার করে। এখন তোকেও করতে হচ্ছে। কথায় বলে না, যেমন কর্ম তেমন ফল? এখন তা টের পাচ্ছিস তো?”



মিম আর হৃয়দকে এম্বুলেন্সে হস্পিটালে নিয়ে যাওয় হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ডাক্তাররা জানিয়েছে, মিমের মাথা কিছুটা ফেটে গেছে তাছাড়া চিন্তার কোন বিষয় নেই; তারা ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে। কিন্তু হৃদয়কে সময়মত হাসপাতালে না আনলে হয়তো খারাপ কিছু ঘটতে পারতো তবে হৃদয় এখন পুরোপুরি সুস্থ। হৃদয়কে বাসায় নিয়ে যেতে পারবে। এই খারাপ সময়টাতে রায়হানে খুব প্রয়োজন ছিল সকলের কিন্তু রায়হানকে না পাওয়ার অনেক কষ্টে সবদিক সামলাতে হয়েছে সাদিয়া ও আমজাদ চৌধুরীকে। সাদিয়া সেই কখন থেকে রায়হানের নাম্বারে কল দিয়ে যাচ্ছে তবে মোবাইল বন্ধ থাকার কারনে কথা বলতে পারে পারে নি একবারের জন্যও। এখন বেশ চিন্তা হচ্ছে সাদিয়ার….



রায়হান মুন্নাকে বাড়ির পেছন পুকুর পারে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গেল। মুন্নার কোমড় থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত প্যাট্রোল ঢেলে দিল রায়হান। মুন্না আতঙ্কিত হয়ে বলল,
—” আমাকে ছেড়ে দে প্লিজ। আমি মারা গেলে তোকে কিছুতেই ছাড়বে না রা….”
—” বল, বল। নাম বল। ”
—” আমি নাম বললেও আমাকে মারবি আর নাম না বললেও মারবি। তুই যখন কর্নকে ধাওয়া করছিলি আমি তখন তোর ছবি আমার বন্ধুকে পাঠিয়ে দিছি। আমি ফোনে সব বলে দিছি তুই কে? ওই সাদিয়া নামের মালটা তো বউ তাইনা? তুই দেখিস! তোর ওই সাদিয়াকে তুলে যদি আবার আরেক দফায় ধর্ষণ না করে আমার বন্ধু আমার নামও মুন্না না। ”

সাদিয়ার নামটা শুনেই রাগ অতিমাত্রায় বেরে গেল রায়হানের। মুন্নার পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে লাইজার ধরিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিল মুন্নার শরীরে। পা থেকে কোমড় পর্যন্ত ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলতে লাগলো মুন্নার শরীরে। মুন্না আর্তনাদ শুনে সাদিয়ার প্রতি রাতের আর্তনাদ মনে পরে গেল রায়হানের। চোখ জোরা ভিজে গেল রায়হানের। হাটু গেরে বসে কাঁদতে লাগল।

—” তোর এই আর্তনাদের মত আমার জানটাও প্রতি রাতে আর্তনাদ করে। শুধু তোদের জন্য জানোয়ার। মেয়েদের ধর্ষণ করে নিজেদের জ্বালা মিটাস তাইনা?
এখন জ্বলতে কেমন লাগে? এতই জ্বালা মিটানোর শখ হলে তো নিষিদ্ধ পল্লীতেই যেতে পারিস নিষ্পাপ মেয়েদের জীবন ধ্বংস করে কেন?”

মুন্না জবাই করা মুরগীর মত দাপাচ্ছে। পশেই পুকুর তবে শেখানে গিয়ে নিজেকে বাঁচাতে পারছে না সে। চিৎকার করে শুধু এতটুকুই বলছে, ” ও মা বাঁচাও। মা…ও মা ”

আগুণ শরীর বেয়ে একটু উপড়ে উঠতেই হাতের বাঁধনটা পুড়ে গেল মুন্নার। উঠে দাঁড়িয়ে দৌড়ে গিয়ে পুকুরে ঝাপ দিল সে, সাঁতার না সত্ত্বেও। আগুন তো নিভে গেল তবে সাঁতার না জানার কারনে হাবুডুবু খেতে লাগল। পোড়া যায়গুলো মরিচের মত জ্বলছে মুন্নার মনে হচ্ছে শরীরের চামড়া ছেলে কেউ মরিচের গুঁড়ো লাগিয়ে দিয়েছে।

রায়হান ভাবলো মুন্না এবার পানিতে ডুবে মারা যাবে। পকেট থেকে মুন্নার মোবাইলটা বের করে খুঁজতে লাগল মুন্না কাকে ওর ছবি দিয়েছি।

এদিকে মুন্না হাবুডুবু খেতে খেতে পড়ে এসে পৌছাল। মাটি খামচে উপড়ে উঠে আসল। রায়হান এবার ওকে দেখে চমকে গেল। পানি থেকে উঠল কিভাবে মুন্না? ভাবতেই মনে পড়ল কিছুক্ষণ আগে সাদিয়াকে নিয়ে মুন্নার বলা খারাপ কথাটা। রেগে গেল রায়হান। আশেপাশে তাকাতেই একটা আস্ত ইট চোখে পড়ল। ইটটা হতে নিয়ে মুন্নার মাথাটা থেতলে দিল।
হঠাৎ মোবাইলে একটা মেসেজ আসল। মোবাইলের ফ্লাসটা জ্বলতেই রায়হান দেখল, রাত ৭টা বাজতে চলল। রায়হান মনে মনে বলল,
—“তাড়াতাড়ি বাসায় যাওয়া উচিৎ। সাদিয়া আমার জন্য অপেক্ষা করছে হয়তো। ”


ভোর পাঁচটা বাজতে চলল। সাদিয়া চেয়ে আছে সদর দরজার দিকে। রায়হান কোন দেখা নেই।

চলবে.#পবিত্র_সম্পর্ক
লেখক : রিদন রায়হান
পর্ব : ২০

ঘড়িতে সকাল পাঁচটা বাজতে চলেছে। সাদিয়া চেয়ে আছে সদর দরজার দিকে। রায়হানের কোন দেখা নেই। রায়হানের অপেক্ষা করতে করতে একটানা সারারাত না ঘুমিয়ে বসেই কাঁটিয়ে দিয়েছে সাদিয়া।

বেচারা আমজাদ চৌধুরী রায়হানের অফিস থেকে সুরু করে কোথায় কোথায়ই না খুঁজেছে ছেলেকে। রেহানা বেগমের তো ছেলের চিন্তায় প্রেশার হাই হবার কারনে দুইবার মাথা ঘুয়িয়ে পরেছে ফ্লোরে তিনি। অসুস্থ হৃদর আর মিমতো রায়হানের বিষয়ে কিছুই জানে না।

কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি যেন শুকিয়ে গেছে সাদিয়ার। এখন আর চোখ দিয়ে পানিও বের হচ্ছে না ওর। চিন্তায় চিন্তায় পাগল হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।


কোন এক পাখির ডাকে ঘুম ভাঙলো রায়হানের। ঘুমের ঘোরে থাকায় কোন পাখির ডাক সেটা বুঝতে পারল না রায়হান। চোখ খুলতেই দেখল ও মাটিতে শুয়ে আছে। উঠে বসে ভালোভাবে চারোদিকে তাকাতেই দেখল এটা ধর্ষক মুন্নার বাড়ি। অস্ফুট স্বরে বলে উঠল, ” কাল রাতে আমি বাড়ি যাইনি? ”
ভাবতেই মনে পড়ল কাল বাসায় যাওয়ার জন্য যখন রায়হান পা বাড়াচ্ছিল ঠিক তখনি পরপর দুটো মেসেজ আসে মুন্নার ফোনে। রায়হান মেসেজ চেক করতেই দেখে এম.ডি. ইকবাল হাসান শাহরিয়ার নামে কেউ একজন লিখেছে, ” মুন্না তুই ঠিক আছিস তো? ” “ওই শালাকে যা বলতে বলেছিলাম বলেছিস? আবার আমার নাম বলে দিসনি তো?”

লোকটার মেসেজ দেখে রায়হানের মনে হচ্ছে এইটাই সেই পঞ্চম তম ধর্ষক, মুন্না, ফাহিম, ইশান, রকির বন্ধু এবং মেয়ে পাচারকারী। তবুও আরেকটু নিশ্চিত হতে রায়হান মুন্নার এবং ইকবালের পূর্ববর্তী মেসেজ চেক করতে লাগল। কিছু কিছু মেসেজ দেখে রায়হান সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে গেল। যেখানে ইকবাল মেয়ে পাচের বিষয় থেকে শুরু করে কোথা থেকে কাকে তুলবে এসব নিয়েও পরিকল্পনা করছে।

রায়হান ইকবালের প্রফািলে চলে গেল এবার। সেখানে ইকবালের ছবি সেথে শুরু করে ইকবাল কোথায় থাকে সব ডিটেইলস পেয়ে গেল রায়হান। ইকবালে প্রফাইলের সবকিছু ঘটে দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে তা খেয়াল নেই রায়হানের।

ভাবনা থেকে বেড়িয়ে আসল রায়হান। শার্ট-প্যান্ট রক্তের ফোটা লেগে আছে। বসা থকে উঠে দাঁড়াল রায়হান পড়নে শার্ট টা খুলে ছুড়ে মারল পুকুরে। হেটে পুকুরের সামনে গিয়ে; প্যান্টে লেগে থাকা হালকা রক্ত পানি দিয়ে মুছে নিল, সাথে প্যান্টে থাকা ময়লাও। হঠাৎ পানিতে চোখ পড়ল রায়হানের। চোখ পড়তেই দেখলো নিজের রক্তমাখা মুখটা। ধর্ষকের রক্ত লেগে আছে ভাবতেই পুকুরের জলে নিজের মুখটা ধুয়ে নিল। হাত মুখ ধুয়ে এসে সাথে করে নিয়ে আসা শার্ট-টা পরে নিল। আগেরবারের মত ভুল করেনি এবার রায়হান। সেইবার রক্তমাখা জামা পাল্টে বাধ্য হয়ে ধর্ষকের জামা পরতে হয়েছিল তাই এবার সাথে করে শার্ট-প্যান্ট নিয়ে এসেছে যাতে করে ধর্ষকেরটা না পরতে হয়।

রায়হান মোবাইল দেখল, পাঁচটা বেজে দশ মিনিট। “আমার জন্য বাসায় সবাই খুব চিন্তা করছে হয়তো। সারারাত কেউ ঘুমায়নি, আমার জন্য জেগে আছে হয়তো।” ভাবতেই বাসার রওনার উদ্দেশ্য পা বাড়ালো রায়হান। একটুজ জন্য ওর পা পরে যাচ্ছিল ওর লিখা “আমি মুন্না,একজন ধর্ষক এবং নারী পাচারকারী।” — এই বাক্যটার উপর। রায়হান পা সরিয়ে নিয়ে সাইড কেটে সেখান থেকে চলে আসল।

সকাল হয়ে গেছে। কেউ রায়হানকে দু’দুটো লাশের সাথে দেখে ফেললে ঘোর বিপদ। ভেবে সাবধাণে চারিদিকে নজর রেখে সমনে এগিয়ে চলল রায়হান। যখনই বাড়ির পেছন দিকটা থেকে রায়হান বেরিয়ে আসবে ঠিক তখনি কিছু সংখ্যক মানুষের কথাবার্তার আওয়াজ শুনতে পায় রায়হান। আড়ালে থেকেই দেখার চেষ্টা করে লোকগুলো কারা। দেখতে পায় কর্নের লাশের পাশি কিছু লোক দাঁড়িয়ে আছে সাথে তিন চারজন পুলিশ তাদের সাথে কথা বলছে, হয়তো জিগ্যাসাবাদ করছে। খুব সাবধানে এখান থেকে বেরতে হবে রায়হানকে। একটু ভুল হলেও ধরা পরার চান্স আছে।



সদর দরজায় আওয়াজ শুনে ফ্লোর থেকে উঠে দাঁড়াল সাদিয়া।

রায়হান বাইরে থেকে সদর দরজায় নক করতেই দেখতে পেল দরজা খোলে। মুন্না কথাটা মনে পরতেই ভয় জাগল মনে। সাদিয়া ঠিক আছে তো? আর বাসার সবাই?
দরজা ঢেলে ভিতরে ঢুকতেই দাঁড়িয়ে থাকা সাদিয়াকে দেখলো রায়হান। সস্তির নিশ্বাস ফেলে সাদিয়ার কাছে যেতেই সাদিয়া ওর বুকে বরাবর ধাক্কা দিয়ে বলল,
—” কোথায় ছিলে সারাদিন, সারারাত? আমাদের বুঝি চিন্তা হয় না? ফোন বন্ধ ছিল কেন তোমার? একটা ফোন করে জানানো যেত না? ”

এক নিঃশ্বাসে বলে বলে জিগ্যাসু দৃষ্টিতে তাকালো সাদিয়া। রায়হান সাদিয়াকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলল,
—” শান্ত হও সাদিয়া। আমি বলছি সব। ”

সাদিয়ার লাল চোখজোড়া থেকে এবার অশ্রুপাত ঘটতে লাগব। সাদিয়া রায়হানের কলার চেপে ধরে বলল,
—” কি শান্ত হবো আমি? সেই দুপুরে বেরিয়েছ, সারারাত বাসায় ছিলে না। না কোন ফোন, না আছে কোন খোঁজ। ‘তোমার যদি কিছু হয়ে যেত!’ এটা ভাবতে ভাবতেই দম আটকে যাচ্ছিল আমার। মা দুইবার মাথা ঘুরিয়ে পরে ঘেছে। চিন্তায় বিপি হাই হয়ে গেছে বাবার, তোমাকে কোথাও খুজে না পেয়ে। তারপর বলছ আমাকে শান্ত হতে? কি করে পারলপ তুমি এমন একটা কাজ করতে? বলো আময়? বলো?”

সাদিয়ার চিৎকার শুনে ছুটে ড্রয়িং রুমে আসল আমজাদ চৌধুরী আর রেহানা বেগম। ছেলেকে দেখেতে পেয়েও সাদিয়া কথা বলছে বলে কিছু বলল না তারা। মেয়েটি সারারাত রায়হানের অপেক্ষায় বসে ছিল। পাগলের মত একটু পরপর ফোন দিয়েছে রায়হানকে। তাই তারা ছেলেকে কিছু বলল না।

রায়হান বাবা-মাকে দেখতে পেল চোখের ইশারায় কিছু বলল তাদের। তারা সেটা বুঝলেন কিনা তা জানা নেই রায়হানের।

রায়হানকে চুপ থাকতে দেখে সাদিয়া রায়হানের দুই বাহুতে চেপে ধরে, ঝাঁকুনি দিয়ে বলল,
—” কি হলো চুপ কেন? কিছু বলছেন না যে?”

সাদিয়া হাতে আঙুলের নখ এবার রায়হানের ক্ষত স্থানে লাগতেই রায়হান ‘উফফ’ বলে একটা শব্দ করলো। চমকে রায়হানের দিকে তাকল সাদিয়া। ঠিক তখনি ওর হাতে তরলীকৃত কিছু অনুভব হলো। সাদিয়া সেদিকে তাকাতেই দেখল রায়হানের শার্টের হাতা রক্তে ভিজে যাচ্ছে। সাদিয়া চেঁচাল এবার। বলল,
—” কি হয়েছে হাতে? রক্ত বের হচ্ছে কেন?”

এ কথা শুনে দৌড়ে রায়হানের কাছে আসল আমজাদ চৌধুরী আর রেহানা বেগম। রায়হান শার্টের বোতাম খুলে চেষ্টা করতেই সাদিয়া বাঁধা দিল। স্বযত্নে একটা একটা করে বোতাম খুলে, শার্টটা রায়হানের শরীর থেকে খুলে দিল সাদিয়া। দেখেই বোঝা
যাচ্ছে ছুরি অথবা ধারালো কিছু দিয়ে বেশ ক্ষত হয়েছে হাতে।
রেহানা বেগম দেখে বলল,
—” কিভাবে এত ক্ষত হলো? ”
আমজাদ চৌধুরী বউকে নিন্দা করে বলল,
—” ছেলেটার হাতের অবস্থা খারাপ রক্ত বের হচ্ছে কত আর তুমি আছো কিভাবে কাটলো তা নিয়ে? যাও ফাস্ট এইড বক্সটা নিয়ে আসো জলদি। ”

স্বামীর কথা শুনে দৌড়ে গেল রেহনা। মিনিটেই চলে আসলেন তিনি। সাদিয়া রায়হানকে ধরে সোফাতে বসাল। রেহানা বেগম হতে হ্যাক্সিসল নিয়ে ক্ষত স্থানের চারপাশ ভালোভাবে পরিস্কার করে নিল। কাটাছেঁড়ার ক্রিম লাগিয়ে সযত্নে ব্যানডেজ করে দিল। ব্যানডেজ শেষ হতেই রেহানা বেগম আবার জিজ্ঞেস করল ছেলে কোথায় ছিল সারা রাত? হাত কিভাবে এতক্ষণি কাটল?

উত্তরে রায়হান বলতে লাগল,
—” অফিসের কাজে একজায়গায় গিয়েছিলাম। একটা মিটিং ফিক্সড হয়ে গিয়েছিল হঠাৎ তাই সেখানে যাওয়াটা জরুরী ছিলো। যাওয়ার সময়ই ছিনতাইকারী ছিনতাই করার সময় চাকু দিয়ে আঘাত করে। ”

—” বলিস কি অন্য কোথাও যদি চাকুর আঘাত লাগত?যাক আল্লাহ বাঁচাইছে। আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া। ”

—” হ্যাঁ, মা। তোমাদের দোয়া আছে আমার সাথে আমার কিছু হবে না।”

আমজাদ চৌধুরী কিছু একটা ভেবে বলল,
—” আমি তোর অফিসের সবাইকে ফোন করেছিলাম কই কেউ তো কিছু জানালো না এমনইকি তুই নাকি আজ অফিসেই যাসনি বলে জানাল সবাই। ”

রেহানা বেগম এবার তখন কথা শোনানোর প্রতিশোধ নিতে আমজাদ চৌধুরীকে বলল,
—” কি শুরু করছো আমার ছেলেটার সাথে? অফিসের কাজেই তো কোথায় যেন গিয়েছিল বলল, তাহলে অফিসে যাবে কিভাবে ? আর ও কি মিথ্যা বলছে নাকি আমাদের সাথে?”

” মিথ্যাই তো বলছি মা। আমাকে তোমরা মাফ করে দিও। হে আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিও। ” মনে মনে কথাটা বলেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো রায়হান। রায়হানের নিশ্বাস এসে পড়ল সাদিয়ার হাতের উপর। রায়হানের মুখের দিকে তাকাল সাদিয়া…

রেহানা বেগম সাদিয়া আর রায়হানকে উদ্দেশ্য করে বলল,
—” সাদিয়া, মা।ওকে একটু ঘরে নিয়ে যা তো। যা বাবা ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে, আমি খাবার গরম করছি। সাদিয়াও তো রাতে কিছু খায় নি এসে খাবি দুজন। ”

বলে তিনি চলে গেলেন খাবার গরম করতে। আর আমজাদ চৌধুরী নিজের ঘরে দিকে এগোলেন। সাদিয়া উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ” ঘরে চলেন। ”

রায়হান বলল, “একটু ধরে উঠাবা না?”

সাদিয়া কিছু টের পেয়ে বলল, “ব্যাথা তো পেয়েছেন হাতে। পায়ে তো পাননি, হেটে তো আসতে পারার কথা। ”

—” তখন পরে গিয়েছিলাম তো। পায়েও ব্যাথ্যা পেয়েছি। আমার কিন্তু খিদে এতে বুক পেটে জ্বালাতন করছে।”

সাদিয়া এবার কাছে আসল রায়হানের। এসে রায়হানের হাতটা নিজের কাঁধে তুলে নিল। সাদিয়ার কাঁধে আলতো ভার দিয়ে উঠে দাড়ালো রায়হান। ” আমি পুরো ভার দিলে তো তোমাকে আার খুজে পাওয়া যাবে না। ” মনে মনে কথাটা বলেই মুখ টিপে হাসতে লাগল সে। তা দেখে সাদিয়া বলল,
—” কি হলো হাসছেন কেন?”
—“নাহ এমনি।”

সাদিয়ার কাঁধে হাত রেখে হাঁটছে রায়হান। সাদিয়া ওর কোমল হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে রেখেছে। এক অদ্ভুত মুগ্ধতা অনুভব হচ্ছে রায়হানের। যে অনুভূতি শত চেষ্টাও বক্ত্য করতে পারবে না সে।

ঘরে নিয়ে রায়হানকে ওয়াশরুমে যেতে বলল রায়হানকে। রায়হান ওর মুখের দিকে তাকিয়ে অনমনে দাঁড়িয়ে রইল। তা দেখে সাদিয়া বলল,
—” আপনি মা-বাবাকে মিথ্যা বললেও আমার চোখ তা এড়ায়নি। আপনার চোখে মুখে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম আমি সেই মিথ্যা তাছাড়া আপনার সেই বুক ফাটা দীর্ঘশ্বাস। বাবা যখন বারবার অপনার অফিসের লোকজনদের ফোন করছিল তারা বলেছিল আপনি অফিসে যাননি। বাবা এটাও জিগ্যেস করেছিল অফিস কোন কাজে আপনি গিয়েছেন কি-না তারা সোজা নেগেটিভ উত্তর দিয়েছিল। তবে আমি বিশ্বাস আপনি না পারতেই আমাদের মিথ্যা বলেছেন। আর এটাও বিশ্বাস করি আপনি কখনো কোন ভুল করবেন না। ”

সাদিয়ার কথা কিছুটা অবাক হলো রায়হান। কিভাবে বুঝে ফেলল আমি যে মিথ্যা বলেছে? ভাবলো রায়হান তবে সাদিয়ার শেষ কথাগুলো হৃদয়ে পৌঁছাল। রায়হান শান্ত কন্ঠে বলল,
—” আমি কোথায় ছিলাম? কিভাবে হাতে ক্ষত হলো? এই সবের উত্তর! আমি সত্যিই চাইনি তোমাদের দিতে। আর চাইলেও দিতে পারতাম না সাদিয়া। আমাকে বিশ্বাস করো, আমি কখনো কোন ভুল কিছুই করবো না। আমার খুব ভালো লাগছে। এতা শুনে যে, তুমি আমাকে এতটা বিশ্বাস করো। আসলে প্রতিটা সম্পর্কে এই বিশ্বাস জিনিসটা থাকা দরকার। বিয়ের পরই স্বামি-স্ত্রীর সম্পর্কটা একটা ‘পবিত্র সম্পর্ক’ পরিনত হয়। কিন্তু সে সম্পর্কটাতে এই বিশ্বাস, ভালোলাগা, ভালোবাসা, দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ, রাগ, অভিমান, সুখ দুঃখের ভাগাভাগি, সকল পরিস্থিতীতে একে অপরের পাশে থাকা, এই সবকিছু যদি সম্পর্কে না থাকে তাহলে সেই পবিত্র সম্পর্কটা পরিপূর্ণ হয় না। যখন এই সব দুজন স্বামি-স্ত্রীর সম্পর্ক থাকে তখনি তা #পবিত্র সম্পর্কে পরিনত হয়। আমি চাইতাম যেন এই সবকিছু আমাদের সম্পর্কের মধ্যেও থাকে আর আমাদের সম্পর্কটা একটা #পবিত্র সম্পর্কের রূপ নেয়। আজ তা বাস্তবিক রূপ নিচ্ছে।”

সাদিয়া বিস্ময়কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রায়হানের দিকে। উনি এসবও ভাবে জানা ছিল না সাদির। আজ প্রথম একসাথে এত কথা বলতে দেখল সাদিয়া রায়হানকে।

সাদিয়াকে পলকহীন তাকিয়ে থাকতে দেখে, জরিয়ে ধরে রায়হান সাদিয়ার কপালে আলতো চুমু এঁকে দিল। আচমকা রায়হানের এমন কান্ডে সাদিয়া বিস্ময়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেল। রায়হান সাদিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে সুস্থাবস্থায় হেটে ওয়াশরুম চলে গেল। সাদিয়া চেয়ে রইল রায়হানের সুস্থভাবে চেলে যাওয়ার।

“তারমানে উনি পায়ে ব্যাথা পায়নি? আমাকে মিথ্যে বলেছে? ব্যাথা না পেলে কেন আমার কাঁধে ভর দিয়ে এই পর্যন্ত আসলো সুধু সুধু? ” বিড়বিড় করে বলে রেগেমেগে রান্নাঘরে উদ্দেশ্যে চলল সাদিয়া।

রায়হান শাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুম থেকে ট্রাউজার পরে বেরিয়ে এসে টি-শার্ট খুজতে লাগল। সাদিয়া খাবার ট্রে হাতে নিয়ে ঘড়ে ঢুকে রায়হানকে বলল,
—” কি হয়েছে? কি খুঁজছেন এদিক সেদিক? ”
—” টি-শার্ট, কোথয় কি রাখো তুমি কিছগ খুঁজে পাইনা।”
সাদিয়া খাবার ট্রে রেখে কাবার্ড থেকে টি-শার্ট নিয়ে রায়হানের সামনে এগিয়ে ধরে বলল, “এই নিন।”
—” নাহ। এখন তো ঘুমাবোই শার্ট পরা লাগবে না। যে গরম পরেছে শার্ট পরে ঘুমানো যাবে না। ”
—” ঘুমাবেন মানে নামাজ পড়বে কে?”


চলবে….

[ বিঃদ্রঃ – ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটা যাদের প্যাচ মনে হয় তাদের না পড়ার অনুরোধ। সামনে আরো কিছুটা প্যাচ আসবে। গল্পটা খুব শিগগিরই শেষ করবো। ধন্যবাদ ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here