#পরানের দুলাভাই”
#সেলিনা আক্তার শাহারা”
#পর্ব– ১০
+————
নিতু মুগ্ধর দিকে চেয়ে কাদঁছে,
মুগ্ধ এবার মিতুকে বললো, আপনি আসছেন বেরান খান দান, আমাদের সমস্যা নেই তবুও কোন আশা রাখবেন না পুরুনো জিনিস এর,
মিতু মুগ্ধর কথা এরিয়ে গিয়ে নিতুকে বলতে লাগলো,দিলিত আমার সব শেষ করে এখন তুই শান্তি তো আমার সব কেড়ে নিলি ,
বলেই মিতু বসে পরে কান্না শুরু করে দেয়,
মুগ্ধ কিছু বলবে তার আগেই নিতু মিতুর কাছ গিয়ে বসে বলে” নাহ আপু আমি তোমার কিছুই ছিনিয়ে নিয়ে জাইনি, তোমার মুগ্ধ তোমারই আছে এত দিন এ আমি মুগ্ধকে পেয়েও পাইনি, কারন আমি তার দায়িত্ব ছিলাম ভালোবাসা না, তাই ছিনিয়ে নেয়ার পশ্নই উঠেনা, তোমার মুগ্ধ তোমার কাছেই থাকবে, আমিই চলে জাবো বহু দূরে অনেক দূরে, তোমাদের ছায়াও মারাবোনা,
মিতু এবার কান্না থামিয়ে নিতুকে বুকে জরিয়ে বলে তুই আমায় জিবন ফিরিয়ে দিয়েছিস নিতু।
নিতু মিতুর চোখের পানি মুছে দিচ্ছে।
মুগ্ধ এবার বলে উঠলো, তোমায় আমি কখন বলেছি নিতু তুমি আমার দায়িত্ব ভালোবাসা নও,
তুমিই আমার সব নিতু আমি তোমায় ভালোবা–
পুরো কথা বলার আগে নিতু হাত দেখিয়ে মুগ্ধকে আটকে দেয়,
নিতু এবার নিজের চোখ মুছতে মুছতে বললো, না দুলাভাই এসব বলে আমার বোন কে কষ্ট দিবেন না, আমার বোন এর কষ্ট আমার সজৎ হবে না,
মা বাবার আসতে সকাল হয়ে জাবে ওনারা ফুপিদের বাড়ি গেছে, তাই আজকের রাতটা আমি আপনাদের বাড়িতে থাকব,
কাল সকাল হলেই চলে জাবো, আপনি আর আপু আবার নতুন জীবন শুরু করবেন, বলেই নিতু দৌড়ে মুগ্ধের রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,
গিয়ে গেস্ট রুম ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়,
মুগ্ধ সহ বাড়ির সবাই অবাক, কনিকা আর অনিকা রাগে গজ গজ করছে, মিতুকে চিবিয়ে খেতে মন চাইছে,
মুগ্ধর বাবা এবার বললো বাবা জীবন টা তর তোর সিধান্তই আমাদের সিধান্ত আর আমি জানি তুই আমার ছেলে হয়ে ভুল সিধান্ত নিবি না,
মুগ্ধ তার বাবার হাত ধরে বলে বাবা নিতু পাগল হয়ে গেছে আমি করে ছারা বাচঁবনা ও আমার বেচে থাকার সম্বল ( লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে বললো মুগ্ধ)
তার বাবা ও খুশি কারন সেও নিতুকেই এবাড়িতে চায়,
অনিকার স্বামি একটু গম্ভির সভাব এর, তাই কিছু না বলে রুমে চলে গেলো,কনিকার স্বামিও কিছু বললোনা কি বলবে বুঝতে পারছে না তবে মিতুকে মানতে পারছেনা,
অনিকার স্বামি এমন চুপচাপ স্বভাবের ছিলো না
বিয়ের ৫ বছর হল কিন্তু বাচ্চা হল না সেই শুকে, এমন হয়ে গেছে, কোন কথাই বলে না তেমন কারো সাথে,
আর কনিকা ইচ্ছা করেই বাচ্চা নেয় না, সে চায় আগে অনিকা আপুর কোলজুরে সন্তান আসুক,কনিকার স্বামিও অমত করে নি।
এদিকে সন্ধা গরিয়ে এলে,
নিতু এখনও নিজেকে আটকে রেখেছে,
মিতু মুগ্ধর রুম ছেরে একচুলও নড়ছেনা,
রাত হয়ে গেলো নিতু বের হয় নি মুগ্ধ ও গিয়ে নিতুর রুম এর দরজার সামনে দরজায় হেলান দিয়ে বসে আছে, কারন মুগ্ধ জানে নিতু ও দরজার ওপাশে বসে কাদঁছে, মুগ্ধর অবস্থা করুন,
কি করে নিতুকে বুঝাবে সে নিতুকে চায়, মিতুকে নয় কারন ভালোবাসা নিতু শিখিয়েছে, আর মিতু শুধু ভালোবাসার নামে ছলনাই করেছে এত বছর ভালোবাসার পর ও মিতুকে পেয়েও পায় নি সব সময় তার নিজের মতইচলেছে অসংখ্য ছেলে বন্ধু তার, তার পর ও মুগ্ধ সব মেনেও মিতুকে চেয়েছিলো আকরে বাচঁতে, কিন্তু মিতুতা হতে দেয় নি, আজ যখন একটু শান্তিতে বাচঁতে চাইছে তখন এসে সে সব তছনছ করে দিচ্ছে কেন কেন??
(মুগ্ধর মনে এমন হাজার পশ্ন)
নিতু দরজার ওপাশ এ বেসে কাদছে আর মুগ্ধ এপাশে বসে কাদঁছে, নিতুও জানে মুগ্ধ দরজার পাশেই বসা,
রাত ঘনিয়ে এসেছে আজ বাড়িতে কারো খাওয়া হয় নি, মোট কথা রাতের রান্নাই হয় নি,
মুগ্ধর মা অনেক বার নিতুকে মা মা বলে ডেকে গেছে, নিতু দরজা খুলে নি,
কনিকার স্বামি সবার জন্য খাবার এনেছে হোটেল থেকে কিন্তু কারো খাওয়া ইচ্ছা নেই,
সবাই যার যার রুম এ, শুধু মুগ্ধর মা বসে আছে কারন তার ছেলের মন এ ঝর এই ঝর কিভাবে থামাবে তার জানা নেই, মিতুও দারিয়ে আছে আর মুগ্ধ কে ধোকাবাজ বাটপার বেইমান যা তা বলে জাচ্ছে তাতে মুগ্ধর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
মা তুমি তোমার ঘরে জাও, আর আমাদের মেহমান কে বলো গিয়ে বিশ্রাম নিতে, এটা আমার আর আমার বৌ এর পার্সনাল ব্যাপার এখানে আমি কাওকে চাই না বাস,( বলেই মুগ্ধ মিতুর দিয়ে কঠিন ভাবে রেগে চাহনি দিয়ে আছে জেনো চোখদিয়ে গিলে খাচ্ছে)
মিতু কখনও মুগ্ধকে এমন দেখেনি কারন মুগ্ধ শান্ত ছেলে, তাই মিতু ভয় পেয়ে সরে দারায় আর ড্রইং রুমে বসে পরে, এখানে বসেও মুগ্ধকে দেখা জায় কারন সব কয়টা রুম ড্রইং রুম এর চারদিক ঘিরা।
মুগ্ধ আবার আস্তে করে বললো নিতু নিতু প্লিজ দরজা খুলোনা বৌ আমার না ঘুম পাচ্ছে অনেক ঘুম পাচ্ছে, তুমিতো জানোই আমি তোমার বুকে মাথা না রেখে ঘুমাতে পারিনা প্লিজ দরজাটা খুলো,
মুগ্ধর মা কাদঁতে কাদঁতে তার নিজের রুম এ চলে গেলো,
মিতু রেগে গিয়ে বলতে লাগলো মুগ্ধ তু- কিছু বলার আগেই মুগ্ধ তেরে এসে মিতুকে কষে একটা চর মেরে দেয়,
মিতু ব্যালেন্স না রাখতে পেরে পরে জায়,
মুগ্ধ মিতুর হাত চেপে ধরে বলে শুন তুই তর যে নাগর এর সাথে পালিয়েছিলি সে মনে হয় তকে মেনে নেয় নি তাই আবার ফিরে এসেছিস, তোকে কে ভালোবাসবে তুইতো তোর আপন বোন এর সংসারএ ও আগুন লাগাতে পারিস তাহলে তুই ভাবলি কি করে তোকে কেও ভালোবাসবে,
সকাল হতেই তুই এখান থেকে বিদায় হবি বাস,
বলেই মিতুকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো নিতুর রুম এর সামনে,
মিতু এবার ভয় পাচ্ছে তাহলে কি মুগ্ধ সব জানতো না না এ হতে পারেনা ও কি করে জানবে, বসে বসে ভাবছে, জাইন ও চলে গেছে বেস কিছুক্ষন হল।
মুগ্ধ আবার নিতুকে ডাক দিয়ে বললো নিতু বৌ আমার দরজা খুলে দাও তুমি জদি দরজা না খুলো আমি এই মূহুর্তে বাড়ি ছেরে চলে জাবো, যে দিকে মন চায়, বলার সাথে সাথেই নিতু দরজা খুলে দেয়,
কারন সে জানে মুগ্ধ তাকে ভালোবাসে মিতুকে নয়, তবুও মিতুকে কষ্ট সে দিতে চায় না বলে এমন করছিলো, আর এখন দরজানা খুললে মুগ্ধ কিছু একটা করে ফেলবে তাই ভয় পেয়ে দরজা খুলে দেয়,
দরজা খুলতেই মুগ্ধ ভিতরে ঢুকে গেলো আর দরজা লাগিয়ে দিলো, নিতুর চোখ ফুলা মুগ্ধ বেস ভালো করে নিতুকে দেখছে,
নিতু আর নিজেকে সামাল দিতে না পেরে হাও মাও করে কান্না করে দেয় আর মুগ্ধকে জরিয়ে ধরে, অনেক চেপে ধরে আছে নিতু জাতে মুগ্ধকে কেও নিতে না পারে তার কাছ থেকে।
মুগ্ধ নিতুকে জরিয়ে ধরে রেখেছে , নিতু মুগ্ধকে ছেরে দিয়ে অসংখ্য চুমু দিতে থাকে মুগ্ধকে মুগ্ধ শুধু নিতুকে দেখছে, মুখে চোখে বুকে ঘারে শুধু চুমুতেই ভরিয়ে দিচ্ছে আর কান্না করছে,
এবার মুগ্ধ নিতুর চুল হাত দিয়ে মুঠ করে ধরে নিজের ঠোটএর কাছে নিতুর ঠোট নিয়ে আসে
নিতু কাপা কাপা গলায় বললো আমায় আপন করে নিন না আজ রাতটুকু প্লিজ আর বলব না, নিন না কাছে টেনে, নিতু কে আর কিছু বলার সোজোগ না দিয়ে মুগ্ধ নিতুর ঠোটজোরা নিজের দখলে নিয়ে নেয় অনেক ক্ষন ঠোট এর স্বাদ নেয়ার পর নিতুকে ছেরে দিয়ে কোলে তুলে নেয় আর বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দেয়,
নিতু একমনে শুয়ে মুগ্ধর শার্ট এর বুতাম খুলছে, আর কান্না করছে কারন নিতু আর মুগ্ধকে কাছে পাবে না, তাই তার সব টুকু তে শুধু মুগ্ধ থাকবে, তাই আজ শেষ বারের মত এই রাত টুকু তাকে বিলিয়ে দিয়ে জেতে চায়, আর নিজেও এই রাত টুকু আকরে ধরে বাকি জিবন টা চলতে চায়, কারন মুগ্ধকে রেখে জাওয়ার পর অন্য কারো কথা চিন্তাও করবে না সে শুধু মুগ্ধর ভালোবাসা নিয়েই বাচতে চায়। ( নিতুর মনে হাজার চিন্তা)
মুগ্ধ এসব নিতুর চিন্তা থেকে অজানা
নিতু মুগ্ধকে এবার এক টানে নিজের কাছে নিয়ে এসে আদর করতে থাকে মুগ্ধও তাকে পালটা আদর দিতে ভুলছে না,
এভাবেই একে অপরের মাঝে ডুবে গেলো সারা রাত কেউ ঘুমায় নি, তারা এক ভালোবাসার খেলায় মেতে আছে,
মুগ্ধ ভেবে নিয়েছে নিতু এবার আর পাগলামু করবেবা আমাকে ছেরে জাওয়ার জন্য,
নিতু আর আমি মিলে এই মিতুর সয়তানি শেষ করেই ছারবো (ভেবেই মনে মনে খুশি মুগ্ধ)
আজান শুরু হলে মুগ্ধ নিতুকে ছেরে দেয় আর নিতুর বোকেই মাথা রেখে শুয়ে পরে, তার তো এটা রোজকার অভ্যাস নিতুর বুকে ঘুমানোর,
নিতুও মুগ্ধর মাথা হাত বুলাচ্ছে, নিতু খুব ক্লান্ত তাই কখন জেনো ওরও চোখ লেগে জায়,
/
সকালে ৮ টার দিকে ঘুম ভাংগে মুগ্ধর, পাশে চেয়ে দেখে নিতু নেই” হয়তো বাহিরে গেছে ভেবেই মুগ্ধ ওয়াস রুম এ চলে গেলো।
মুগ্ধর মা অনিকা কনিকাও খুশি মুগ্ধ কে রাতে নিতু রুম এ টেনে নিয়ে ছিলো, তার মানে সব ঠিক,
আপন মনে রান্না করছে তিন জন মিলে রাতে কারো খাওয়া হয় নি তাই সকলে এক সাথে খাবে,
মুগ্ধ ফ্রেস হয়ে বাহিরে আসে তার মন টাও খুব ভালো রাতে কান্না করলেও এখন তার মুখে হাসি,
তার হাসি দেখে সবাই যা বুঝার বুঝে নিয়েছে,,
মুগ্ধর মা মুগ্ধর কাছে এসে তার কপালে চুমু দিয়ে বললো বাবা আয় খাবি সবাই এক সাথে বসবো,
বলার সাথে সাথেই মিতু এসে নিতুর চেয়ার এ বসে পরে, আর প্লেট নিয়ে বসে পরে,
মুগ্ধ বা কেউ সে দিকে খেয়াল দিলোনা,
কনিকা এবার বললো আরে যা নিতুকে ডেকে নিয়ে আয় সবাই উঠে গেছে, এখন ও উঠে নি তাই আমার জাওয়াটা ঠিক হবেনা তোদের প্রাইভেট রুম এ ( বলেই হেসে দেয়)
মুগ্ধ লজ্জা পেয়ে জায়,
মিতু রাগে গজ গজ করছ আর ভাবছে মুগ্ধ তুমি কাজটা ঠিক কর নি এর পরিনাম ভালোহবে না—–
মুগ্ধ এবার বলে উঠলো নিতু উঠেছে আপু,
ওহ তা কই বাহিরে বের হতে তো দেখলাম না কোথায় গেলো( অনিকা)
হয়তো ছাদে হবে( কনিকা)
সবাই ভাবলো ছাদেই হয়তো, কিন্তু মুগ্ধর বোকটা মুচর দিয়ে উঠলো তাই দৌড়ে ছাদে গেলো ছাদের প্রতিটা কোনা দেখলো নিতু নেই,
দৌরে নিচে এসে সবাইকে বললো,
মিতু খুশি হল মনে মনে ভাবছে, আমার ছোট্ট বোকা বোন ভালো করেছিস নয়তো তোকে মরতে হত আর তোকে মারার ইচ্ছা আমার নেই কারন বোন তো তাই, ভেবেই বাকা হাসি দিলো,
এতক্ষনে বাড়ির কোনায় কোনায় খুজলো নিতু নেই অনিকা আর কনিকার স্বামি গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেছে অলরেডি, আর মুগ্ধর বাবাও কিছু লোক লাগিয়েছে,
মুগ্ধ পাগল পাগল নিতুর ফোনটাও বন্ধ,
এবার মুগ্ধ রাতের কথা গুলো বুঝতে পেরেছে,
ধপ করে ফ্লোরে বসে আছে মুখে কোন কথা নেই,
এর মধ্যে কলিং এর আওয়াজ— টিং টং।
মুগ্ধ বলে উঠলো আমার নিতু চলে এসেছে আমার নিতু নিতু বৌ আমা আমার বৌ বলেই দৌড়ে দরজা খুলতে চলে গেলো, সবাই পিছন পিছন এ গেলো,
দরজা খুলতেই সবাই অবাক,
মিতু পিছন থেকে বলে উঠলো তুমি এখানে-/////
চলবে।
( বহু লিখলাম এবার আপনারা লিখে বলুন নিতু কই)