পরানের দুলাভাই পর্ব -২০ ও শেষ পর্ব

#পরানের_দুলাভাই
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা
#পর্ব——★★২০ বা শেষ পর্ব★★
——————————-
সকালে নিতু ঘুম থেকে উঠে দেখে বাপ ছেলে কেউ রুমে নেই,
হুম গেলো কই হয়তো ছেলেকে নিয়ে খেলা করছে,

নিতুর মুখে প্রশান্তির এক হাসি একে ফ্রেস হয়ে নিচে আসে, অনিকা রান্না ঘরে, দেখেই নিতু ত্যারে এলো,

আপু আপনি কেন এলেন শুনি আমায় যখন কাজ করতে দেন নি তখন আমিও দেবোনা বেরহন এখনই যান টেবিলে বসুন নাস্তা দিচ্ছি,

কনিকা হাই তুলতে তুলতে বের হল, দেখে মনে হয় ঘুম হয় নি 🤗
অনিকা মুগ্ধর কাছ থেকে অনিক কে নিয়ে সোফায় বসে খেলা করছে মুগ্ধ খবরের কাগজে মুখ লুকালো,

বিলাশ আর সাগর নাস্তার টেবিলে ওয়েট করছে, সাগরের মিজাজ আজ কাল খুব ফুরফুরে থাকে,
থাকবেইনা কেন তার অনি তাকে এত খুশি দিলো, কখন সাগর একটার বেসি দুটা কথা বলে নি তবে আজ খাবার টেবিলে বসে নিতুকে জ্বালিয়ে মেরেছে তার দূষ্টু মিষ্টু কথায়,
এতে সবাই অবাক এ কেমন রুপ সাগরের বাবা হওয়ার খুশিতে পাগল টাগল হয়ে গেলো নাকি, কনিকার এমন বিরবিরানি সাগরের কানে পৌছাতে দেরি হয় নি,

সাগর হালকা হাসি দিয়ে রুটির একটা টুকরো তে মাংশ নিয়ে কনিকার মুখে দিয়ে বলে শালিকা বুঝবানা পাগলই হইছি,

বলতেই বাড়ির সবাই হেসে দিলো,
~~~~
দিন তো ভালোই যাচ্ছিলো মুগ্ধ তাদের ব্যাবসায় অনেক টাকা প্রায় লাভ হয়েছে তার মধ্যে গরিবদের বিলিও করেছে,

দিন যাচ্ছে আর অনিকার বায়না বারছে ওটা না এটা খাবেনা সুন্দর মজার রান্নাও তার কাছে বিষ লাগে,
সাগর বেচারা অনিকার ফরমাইস পুরন করতে করতে শেষ,
হবেই না কেন একটা মেয়ে যখন মা হয় তখন সেই মেয়েটা শুধু বাচ্চাই জন্ম দেয় না জন্ম দেয় নিজের এক রুপ কেও,

মিতুর কোন খুজ এখনো মিলেনি খুবই হতাশ হওয়ার মতই ব্যাপার টা কিন্তু কিছু করার নেই,
সবাই খুজেছে তবে খুজ পায় নি তার, সবারই মনটা একটু হলেও খারাপ কারন আপন জন তো তাই, সে হয়তো আপনের মর্ম বুঝেনি,

~~~~~~

৩ বছর পেরিয়ে গেলো মিতুর কেন খুজ আদো পাওয়া জায় নি,
জাইন বেচারা খুব কষ্ট পেয়েছিলো জাকেই চাইলো তাকেই হারাতে হয়, ১ বছর ধরে তার খুজ নেই কোথায় আছে বা কি কেউ জানেনা তার বাবা মার কোন রিয়েক্শন নেই ওর ব্যাপারে হয়তো ছেলের খবর জানেন!!!

অনিক বড় হচ্ছে ধিরে ধিরে অনিকাকে ফুপ্পিমা বলে কনিকাে ছোট ফুপ্পি মা, তবে কথা গুলো স্পষ্ট নয় তাই সবার হাসিও পায়,

মুগ্ধর বাবা এখন অফিসে জায় না তারা তিন জন খুব শক্ত হাতে হাল ধরেছে
মুগ্ধর বাবা বাচ্চাদের নিয়েই মেতে থাকে একটা রুম শুধু বাচ্চাদের খেলনায় ভর্তি অনিক অর্পা কে নিয়ে খেলা হয় খুশি কেবল একপা দুপা হাটা শিখেছে,

অনিকা আর সাগরের একটা মেয়ে হয়েছে নাম অর্পা”””
২ বছরের উপরে হলো বয়স,
বিলাশ ও কনিকার মেয়েই হয়েছে অনেক আদরের ছোট মেয়ে বলে কথা বাড়ির,
সবার খুশি হয়ে নামটাই খুশি রেখেছে, একপা দুপা হাটে আর কি, গল্পের আসল লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা। এই নামেই গল্পের পেজ লেখিলার।

অনিকের বায়না যখন তখন ঘুরতে জাওয়া, আদরের বাপ মুগ্ধের অনিক মানাও করেনা একবারও সব কাজ ফেলে অনিকের ইচ্ছাই পূরন করতে ব্যাস্ত সে,

নিতু আর কনিকা একটু শপিং এ বেরিয়েছে অনিক আর খুশিকে অনিকার কাছে দিয়ে,

মুগ্ধও আছে সাথে ড্রাইভ করছে, কর নানান কথা বলেই চলছে,

মার্কেটে জাওয়ার পর জাইনকে দেখতে পেলো নিতু,
জাইন ভাই জাইন ভাই বলে ডেকেও জাইনের খেয়ালে এলোনা তার কুলে ছোট্ট একটা বাচ্চা!!!!!!

এটা কার বাচ্চা!! উনি এখানেই আছে তাহলে কারো সাথে জোগাজোগ নেই কেন??

হাজার প্রশ্ন মনে ঘুর পাক, মুগ্ধকে সব বলায় মুগ্ধ গাড়ি নিয়ে জাইনের পিছু নেয়,

জাইন সিএনজিতে ছিলো তাই ফলো করে জাচ্ছে কনিকা আর নিতু অধির হয়ে বসে আছে গাইবি মানিষের দেখার আশায়,

অনেক ক্ষন পর সিএনজিটা থামে একটা বাড়ির সামনে, বাড়িটা তেমন বড় নয় একতলা একটা বাড়ি ছোট খাটো মোটামুটি মধ্যবিওদের থাকার স্থল,

নিতু গাড়ি থেকে নেমে একাই বাড়িতে ঢুকে পরে চুপি চুপি,

ভেতরে কান্ড গুলি তাকে হাপিয়ে তুলেছে,

জাইনের কোলের বাচ্চাটাকে একটা মেয়ের কোলে দিয়ে বলছে নাও তেমার ছেলেকে টিকার ডোজ দেয়া হয়ে গেছে হাসি মাখা মেয়েটার মুখ দেখে নিতু দু কদম পিছিয়ে পরলো,

মিতু আপু শব্দটা তার মুখ থেকে না চাইতেই বেড়িয়ে এলো,
কনিকা ও মুগ্ধ বাড়ির ভিতরে চলে এলো,

নিতু কি দেখছে জাইন আর মিতু আপু!!! তারা বিয়ে করলো কবে এটা তাদের বাচ্চা🙄

নিতু বোবা হয়ে দারিয়ে আছে
মিতু একটু ভিতু হয়ে বাচ্চাটাকে জাইনের কোলে দিয়ে ধিরে পায়ে নিতুর কাছে এসে নিতুর পা ধরে বসে কান্না জোরে দেয়!!!

নিতু হচকিয়ে দূরে এসে পরে কি করছো আপু এগুলা কি কোথায় ছিলা এত দিন আর এসব কি মানে কিছুই মাথায় আসছেনা,

মিতু উঠে দারিয়ে নিতুর দুই হাত চেপে ধরে আকুল কন্ঠে বলছে নিতু বোন আমার আমায় ক্ষমা করে দে সে দিন আমি…. বলাটা শেষ করতে দেয় নি নিতু মিতুর কে থামিয়ে তাকে জরিয়ে ধরে বলছে,গল্পের আসল লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা এটাই পেজ গল্পের।
তাই চুর থেকে সাবধান।

আপু সেদিনের জন্য আমি তোমায় কবে ক্ষমা করে দিয়েছি আর জানি মুগ্ধ এমন কাজ করতে পারে না তবুও তাকে নয় তোমায় বিশ্বাস করেছিলাম কেন জানো!!

কারন তুমি আর আমি এক রক্তের বাবা আমাদের এমন শিক্ষা দেয় নি সেই শিক্ষাকে বিশ্বাস করেছিলাম,

তাই বলে রাগ করে আর কতই বা থাকতাম তুমি কোথায় ছিলো এতো দিন!!!

মিতু চোখের পানি ছেরে দিলো নিতুর কথায় আসলে সে নিতুর বোন হওয়া জোগ্গ্যই নয়,

আসলে নিতু আমি আমার পাপের জন্য খুবই লজ্জিত ছিলাম তদের কে মুখ দেখানোর ইচ্ছা আমার ছিলোনা,
তবে আত্বহত্যা করার মত সাহস ছিলো না রে বোন!!!!

তাই অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম সবার কাছ থেকে,

কিন্তু জাইন আমার পিছু ছারেনিরে সে ঠিক পেয়ে গেলো, তাকে আমি ফেরাতে পারিনি সবাইকে শুধু কষ্টই দিয়েছি জিবনে, তাই জাইনকে নিয়ে শান্তিতে তাকে আকরে বাচঁতে চেয়েছিলাম, -বহু জায়গায় গল্প চুরি হচ্ছে তাই মনে রাখবেন গল্পটা সেলিনা আক্তার শাহারা।

সেলিনা_আক্তার_শাহারা। পেজ

আমি বারন করেছিলাম তদের কে বলতে তাই বলে নি,

কথাটা শেষ করেই ছোট্ট একটা বাচ্চাকে এনে নিতু কাছে দিয়ে বললো আমার আর জাইনের ছেলে বর্ন,

নিতু হাসি দিয়ে বাচ্চাটাকে কুলে নিয়ে অনেক আদর করলো,
বাচ্চাটার বয়স ৩/৪ মাস হবে হয়তো!!!

অনেক মান অভিমান সেরে মিতুকে নিয়ে নিতুদের বাড়ি জায় নিতুর মা কান্নায় ভেংগে পরেছে নিজের নারি ছেরা ধন তো ছিলো তাই হয়তো এই মা টা অনেক কষ্টই পেয়েছিলো!!!

মান অভিমান ছেরে জাইনের বাবা মিতুকে মেনে নিয়ে ঘরে তুলেছে।

নিতুরাও বাসায় চলে এসেছে সবাইকে সব বলায় সবাই খুশিও হয়েছে,

মুগ্ধও খুশি আর মিতু অন্তত্ব জ্বালাবে না ভেবে।

কয়েক দিন এখাবেই কাটছিলো,

আজকাল অনিকের বায়না বেড়েই চলছে সবাইতা মানছে সাগরের আদরের খুব অনিকারও সবাই আদর করে তাকে,
সে আসার পরইতো সবার সংসারে শান্তি এসেছিলো ,

মুগ্ধ রাতে বসে বসে অনিকের সাথে বই নিয়ে অক্ষর শিখাচ্ছিলো,

মুগ্ধ হাপিয়ে উঠে বললো বাবারে বাবা তুমায় শিখাতে গিয়ে নিজেই সব ভুলে জাবো উফ নিতু আমি পারবনা তোমার ছেলেকে সামলাতে তুমই পড়াও ওকে কিছু অ আ শিখলে সামনে স্কুলে দেওয়া জাবে!!লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা।
আসল পেজ https://www.facebook.com/সেলিনা-আক্তার-শাহারা-120123586413987/

নিতু আলমারি তে গুছিয়ে রাখতে রাখতে বললো হুম একটাতেই হাপিয়ে গেলেন আরেকটা আসলে কি করবেন দুলাভাই!!

দুলাভাই না দুলাভাই দেখাচ্ছি মজা বলেই মুগ্ধ নিতুকে পিছন থেকে জরিয়ে বললো আমি দুলাভাই হই নাহহ দারা রে তবে আজ বলেই মুগ্ধ থমকে গেলো কারন একটু আগে নিতু কি বললো আরেকটা হলে মানে???

নিতু কি বললে তখন মানে কি!!!!

নিতু হালকা হাসি দিয়ে বললো মানে নেই!!
মুগ্ধ নিতুকে কোলে নিয়ে বললো তা কবে আসছে আমার মা টা!!!

৭/৮ মাস পর!!
আর মা হবে কে বললো বাবাও আসতে পারে,

না না আমারতো মা চাই ৪/৫ টা মা চাই, বলে দুজন অট্রহাসিতে মেতে উঠলো অনিক কিছুনা বুজেই হাসতে লাগলো।

বাড়িটায় এখন এক আমেজ লেগে থাকে নিতুর আবার বাচ্চা হবে আরো ৩ টা বাচ্চা বাড়িতে সবাই শান্তি,

মিতুও আসে মাঝে মাঝে তার ছেলেকে নিয়ে
আর বলে তর এবার মেয়ে হবে আমি তাকে নিজের ছেলের বৌ বানাবো মুগ্ধকে বেয়াই বানাবোই বানাবো!!!!!

সবাই শুধু হাসে মিতুর কথায় এই পাগল মানুষ তো অনত্বতো হল না,,,,

(সমাপ্তি)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here