#পরানের দুলাভাই
#সেলিনা আক্তার শাহারা
#পর্ব—১৯
———————–
জাইন এসেছে, এসেই মিতুকে এক থাপ্পর দিয়ে বলে তুই এখানে কেন কি দেখতে এসেছিস মরে গেছে কিনা!!!
মিতু চুপ হয়ে দারিয়ে আছে, আর জাইন রাগে কট মট করতে করতে চিৎকার করে বললো নিজের বোন এর এত বড় ক্ষতি তুই করতে পারলি,
নিতু কে চাইতাম তাই বলে ওর ক্ষতি কখনোই চাইতাম না নিতু মা হবে শুনে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম, আর তোর মরা কান্নায় নিজেকে জরিয়ে তোকে মেনে নিয়েছিলাম, কিন্তু তুই ছলনাময়ি তে আগেই ছিলি এখনও আছিস বেরিয়া জা এখান থেকে।
বলে জাইন চলে এলো,
এদিকে সবাই বাহিরে দারিয়ে আছে ঠায় হয়ে,
একটু আগে মুগ্ধ যখন তাদের ছেলে অনিক কে নিয়ে নিতু কাছে শুইয়ে দিয়েছিলো, তখন অনিকের কান্নার আওয়াজে নিতু চোখ খুলে তাকিয়ে ছিলো নিজের সন্তানের পানে, সেলাইন লাগানো হাতটা ফুলে বালিশ হয়ে ছিলো তাও হাতটা বারিয়ে ছেলের মাথায় পরেছিলো,
এমন কান্ডে মুগ্ধ চিৎকার করে ডাক্তারকে ডাকে,
নিতু এখন সুস্থ মোটামুটি আধশোয়া হয়ে আছে বেডে সবাই দেখা করেছে নিতুর সাথে নিতু বাচ্চাকে কোলে নিয়ে অনেক চুমুই খেয়েছে তার নারি ছেরা ধন বলে কথা,
মুগ্ধ একবারও নিতুর সামনে আসেনি, আসবেই কি করে নিতুতো ওকে বারন করেছে ছুতে তার উপস্থিতিতে জদি আবার নিতু কিছু বসে সেই ভয় মুগ্ধকে গ্রাস করছে,
নিতু বাচ্চাকে ফিডিং করাচ্ছে, তবে রুমের বাহিরে একটা ছায়া দেখতে পারছে বেশ বুজতে পারছে ছায়াটা কার,
মুখে দাড়িয়ে ভরা শার্টটা ঢিলা ঢালা, বোতাম উলট পালট করা নিতুর বোকটা একটু ছেত করে উঠেছে এমন তো সে নয় এরকম সৌখিন মানুষটা এমন হাল কেন করেছে, তাহলে কি আমার চিন্তায়!!!
না না এ হতে পারেনা ওই লোকটা আমার চিন্তা হবে কেন একটা চরিএ হীন লোক,
নিতু একাই মনের সাথে যুদ্ধ করে জাচ্ছে, মন মানছেনা মুগ্ধ এমন কাজ করতে পারে, আর নিজের মায়ের পেটের বোন তো মিথ্যা বলবেনা কারন আমার বাবার আদর্শ এত নিচ নয়,
হাজারো চিন্তা নিতুকে খাচ্ছে, নিতু বাচ্চাকে খাওয়ানো শেষ হলে অনিকা হাসি মুখে রুমে ঢুকে নিতুর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে ওর নাম অনিক রেখেছি তুমি রাগ হও নিতো!!!
নিতু একগাল হাসি দিয়ে বললো না আপু খুব সুন্দর নাম রেখেছো তোমার নামের সাথে মিল আছে,
অনিকা বাবুকে কোলে নিয়ে বললো আছে বলেই তো নিলাম, অনিকা খুব খুশি আজ তবে কেন তা কারো জানা নয়,
মনটা খুবই ফুরফুর লাগছে তার,
মিতুর কোন খুজ নেই দুদিন হল কেউ খুজেও নি কেন খুজবে এমন মেয়ে মরে গেলেও ভালো নিতুর মার চরা কথা,
নিতু কে বাড়ি নিয়ে জাবে আজ তবে নিতু নিতু চাইছেনা মুগ্ধর কাছে জেতে, আবার তাকে না দেখেও থাকতে পারবেনা বাচ্চার উপর তারওতো দাবি আছে সেই তো জন্মদাতা,
নিতুকে নিতে ওর শাশুরি এসেছে নিতুও কোন কথা না বলে বাড়ি আসে,
এলেই কি মুগ্ধর মুখটা একবারও দেখেনি সে কোথায় গেলো মানুষটা মানুষটাকে কি ভুল বুজলাম নাকি তাই অভিমান করলো!!!
নিতুর চোখ মুগ্ধকে খুজছে, তবে রুমে বসে বুঝতে পারছে বাহিরে তার ছেলেকে নিয়ে খেলা হচ্ছে মুগ্ধর কোলে অনিক হাটাহাটি করছে,
রাতে সাগর এলো নিতুকে আর বাবুকে দেখে চলে গেলো নিজের রুমে,
সাগর রুমে গিয়ে অবাক অনিকা রুমে বাবুদের ছবিতে ভরে ফেলেছে,
সাগর হাতে ব্যাগটা রেখে সব দেখছে অনি কি পাগল হয়ে গেলো নাকি এটা রুম নাকি চাইল্ডহোল্ড,তাছারা এমন কান্ডের মানে কি!!!
অনিকা রুমে এসে পিছন দিয়ে সাগর কে জরিয়ে দরেছে, সাগরও জানে কে এই ছোয়ার মালিকটা, হাতটা টান দিয়ে নিজের সমনে এনে গলার মাঝে দুহাত দিয়ে সাগর বললো পাগল হলে নাকি এসব কি করেছো রুমে অনি!!!!
অনিকা সাগরের হাত সরিয়ে বললো তোমার কথার জবাব দিতে আমরা বাধ্যনই,
কি বলোনা অনি তোমারা মানে তুমি আর কে!!! কথাটা বলেই সাগর থমকে গেলো মানে কি বলতে চাইছো অনি!!!
অনিকা হাসছে চোখে পানি সাগরের চোখের পানি গালবেয়ে পরছে,
অনিকার দিকে তাকিয়ে আবার তার পেটের দিকে চেয়ে আছে কারন তার অংশটা নাকি এখানে এসেছে একোন সুখ অনি একেমন ভালোলাগা বলেই ধপ করে হাটু গেরে অনিকার সামনে বসে পরে সাগর,
অনিকার শাড়িটা পেট থেকে শরিয়ে ঐ পেটে চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে সাগর,
অনিকা চোখ বন্ধকরে আছে তার শোখের পানি সাগরের উপর পরছে,
সাগর পেটে মুখ লুকিয়ে বললো অনি কি সুখ দিলে আমায় বলো কি চাই তোমার!!!
অনিকাও সাগরের পাশাপাশি বসে সাগরের চোখের পানি মুছে গালে হাত দিয়ে বললো তোমায় চাই শুধু তোমায় আমার সাগর কে চাই তার ভালোবাসা চাই আমি আর আমাদের বাচ্চা একটা সুখের সংসার সাজাতে চাই,
কথা বলা শেষ করতে না করতেই সাগর অনিকাকে কোলে নিয়ে বাহিরে চলে আসে, অনিকা জাস্ট হা হয়ে আছে আরে করছেটা কি সবার সামনে ছি ছি ছি, সাগরের এতে হেল দোল নেই,
ড্রইংরুমে সবার চোখ অনিকা আর সাগরের দিকে
সাগর অনিকাকে কুলে নিয়ে হাসি মুখে বললো আরে আমিতো ফুপা হয়েছি এবার বাবাও হয়ে গেলাম,
এই কথা শুনে মুগ্ধর মা বেহুস হয় হয় আরকি কনিকা তো খুশিতে লাফিয়ে বিলাশকে জরিয়ে ধরেছে, বিলাশ নিশ্বাস ছেরে বললো এবার তো আমাদের পালা,
বাড়ির সবাই লজ্জায় পরেছে দুই জামাইয়ের কান্ডে মুগ্ধর বাবা লজ্জা পেয়ে বললো বাধাই করে রাখার মত আমার মেয়ে জামাইরা,
ডিনার করতে সবাই বসেছে মুগ্ধ আসেনি খেতে বাবুকে নিয়ে কনিকার রুমে বসে আছে,
আর একাই বিলাপ করছে কি মার ঘরে হলিরে বাবা, আগুনের গুলা এত তেজ তোর মায়ের তাতো জানতাম না,
খাওয়া শেষ হলে নিতু রুমে আসার পর মুগ্ধ খাওয়া সারে,নিতু আশা বসে আছে কখন মুগ্ধ রুমে আসবে,
অনেক রাত হয়েছে মুগ্ধ রুমে আসার নাম নেই,
নিতু শরিলটা ভালো লাগছিলোনা তাই বাচ্চাকে শুইয়ে গাটা হেলিয়ে দিলো বিছানায়,
~~
আজান শুনে নিতু চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে মুগ্ধর জায়গাটা খালি তাহলে কি রাতে বাসায় আসেনি???
ভাবতেই সোফায় চোখ আটকে গেলো,
মুগ্ধ সোফায় গুটিমেরে শুয়ে আছে,
নিতুর বেশ কষ্ট হলো মুগ্ধকে এমন দেখে,
কিছুনা বলে আবার শুয়ে পরে নিতু,
সকালে নাস্তার করতে বসেছে মুগ্ধ কারন নিতু রুমে বসে খাচ্ছে
নিতু গিয়ে চট করে তার প্লেটটা ছোমেরে নিয়ে জায়
মুগ্ধ সবে মাএ একবাই মুখে নিবে এর আগেই এমন কান্ড!!!
নিতু ইশারা দিলে নিতুর শাশুরি চলে জায় ওখান থেকে কান ছেলে আর বৌ এর এমন চলতে থাকলে সংসারে সুখ আসবে না তাই তাদের মিল হওয়াটা জরুরি,মুগ্ধ কিছু না বলেই উঠে জেতে নিলো,
নিতু করা গলায় বললো আজ জদি চুল কেটে সেফ না করে বাসায় এসেছেন তাহলে না পাবেন খাবার না পাবেন অনিক কে এমন নোংরা লোক কে আমার ছেলের কাছে জেতে দেব না,
মুগ্ধ নিতুকে এমন শাশনি গলায় কখোনো দেখে নি কারন সে খুবই লক্ষি সব কথা মানে মুগ্ধর কখোনো বায়না করে না তবে আজ বাবাগো,
মুগ্ধ ভয়ে চুপসে আছে কারন নিতুর রাগের সাথে সে পরিচিত হয়ে গেছে সে দিনই,
দুপুরে মুগ্ধ দারি কামিয়ে চুল কেটে সুন্দর টুপটপ হয়ে বসে আছে,
কনিকার কোল থেকে অনিক কে নিয়ে আদর করছে,
নিতু আর চোখে মুগ্ধকে দেখছে কারন এটাই তার মুগ্ধ এই দারিমুছ ওয়ালা পাগলটা নয়।
নিতুর মনের খচখচানি দূর হচ্ছে না কোন মতেই এই লেকটা আমায় ধোকা দিতে পারেনা, হয়তো বিষ মিশানোর মত নাটক করেছে মিতু!!!
ওর জন্য নিজের মুগ্ধকে হারা পারবেনা,
সেদিন এমন রিয়েক্ট করাটা ঠিক হয় নি আমার, নিতুর চোখে অনূতপ্ত হওয়ার জন্ত্রনা, তাকি মুগ্ধের চোখে পরেছে???
১ সপ্তাহ হয়ে গেলো নিতু ঘুমানোর পর মুগ্ধ রুমে আসে, আবার উঠার আগেই চলে জায়।
নিতু মুগ্ধের এমন অবহেলা নিতে পারছে না,
আজ এমনটা হতে দিবোনা নিতু, সে জেগে থাকবে,
রাতে জলদি খেয়ে বাবুকে ঘুম পারিয়ে ঘুমিয়ে পরার নাটক করে শুয়ে পরেছে নিতু,
যাতে মুগ্ধ রুমে আসে,
মুগ্ধ একটু পর রুমে ঢুকো ফ্রেস হয়ে এসে অনিককে আদর করে,
এবার নিতুর কপালে একটা চুমু একে চলে জায় সোফায়,
সেফায় শুয়েও নিতুর দিকে চেয়ে আছে মুগ্ধ,
লাইট অফ করায় নিতুর খুলা চোখ হয়তো মুগ্ধ দেখেনি,
মুগ্ধ নিজের চোখটা বন্ধ করতেই নিজের শরিলের উপর আরেকটা শরিলের উপস্থিটি টের পায় তবে সে কে তাও জানে।
মুগ্ধ চোখ মেলে দেখে নিতুকে কাছ থেকে সে কাদঁছে, খুব কাদঁছে,
মুগ্ধ কিছু বলবে তার আগেই নিতু মুগ্ধর ঠোট হাত দিয়ে চুপ থাকতে বলে,গল্পের আসল লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা,
আর ওর কপালে চুমু একে বলে কি হল কথা বলেন না কেন আমার সাথে!!
কি আমায় আর মনে ধরেনা নাকি একবাচ্চার মা হয়েছি তাি এমন অবস্থা, ৩/৪ টা হলেও আমায় বাড়িতেই রাখবেন না,
নিতুর এমন দূষ্টুমি মাখা কথায় মুগ্ধ হে হো করে কেঁদে দেয়,
আর নিতুকে জরিয়ে ধরে বলে i love u,,, নিতু. আমি বাচবেনা তেমায় ছারা প্লিজ আমায় ছেরে কোথাও জেওনা তুমি চলে গেলে আমি —- আর কিছু বলার সোজোগ দেয় নি নিতু,
মুগ্ধর ঠোট নারিয়ে বলবে কিভাবে তার ঠোট তো নিতুর অধিনে চলে গেছে সেই কখন,
একটু পর মুগ্ধকে ছেরে মুগ্ধর কপালে চুমু দিয়ে বলে আমায় ক্ষমা করে দিন সেদিন আমি ভুল বুঝেছিলাম আমার জানা উচিত ছিলে এই মানুষটা এমন কাজ করতে পারবে না কখনোই না,
মুগ্ধ নিতুকে চেপে ধরেছে নিতু এবার দম বন্ধ হওয়ার মত, তাই ওর হাতে কামর দিয়ে বললো আমাকে মারার প্লেন হুম!!!
মুগ্ধ চট করে নিতুকে উপর থেকে শরিয়ে নিতুর উপর শুয়ে পরে আর বলে এতেই মরে গেলে ,
একটু আগে না কি বলছিলো!!!
নিতু বুঝতে পেরেও না বুঝার ভান করে বললো কই কখন কি বললাম??
মুগ্ধ হাসি দিয়ে নিতুর পেটে হাত দিয়ে বললো আমার এখান থেকে আরো ৫ টা বাবু চাই আর সব মেয়ে চাই সব মেয়ে,
মুগ্ধর কথায় নিতু বেহুস কি বলে কি এটা আমার পেট নাকি ড্রাম,
ড্রামই অনিক একটু বড় হক তার পর দেখো না কি করি,
নিতু এবার মুগ্ধর শার্টের কলার চেপে ধরে মুগ্ধর মুখটা কাছে নিয়ে বললো কি করবো তা দেখি একটু!!!!!
মুগ্ধ হেসে বলে উঠলো দারাও বলেই নিতুর ঠোটটা দখলে নিয়ে নিলো,
নিতুও মুগ্ধকে চেপে ধরেছে, খুব আকরে আছে একে অপরকে,
ভালেবাসার এই ঢেও সামাল দিতে পারবেতো???
অনেক দিন ধরে জমে থাকা ভালোবাসার সব টুকু বিলিয়ে দিবো তুমায়, গল্পের লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা।
মুগ্ধর এমন কথায় নিতু বলে উঠলে আমিও তো তাই চাই বহু কষ্ট করেছো এত দিন নাও বিলিয়ে দিলাম নিয়ে নাও সব টুকু শুধে আসলে,,
মুগ্ধ নিতুর কানের কাছে দিয়ে বললো তাহলে দাও সামাল পরে আমায় বলে না কিন্তু,
নিতু লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে বললো দেখা জাবে,,,,
মুগ্ধ এবার নিয়ে নেয় তার আয়ত্বে নিতুর শরিল টা,,
ভালেবাসা মেখে দিচ্ছে নিতুর শরিলে—-
চলবে।
ভুল ত্রুটি মাফ করবেন, বানান ভুল হতে পারে আজ আর দ্বিতিয় পড়ে পোষ্ট দিলাম না।