পরিত্রাণ পর্ব ১৪

#পরিত্রাণ
অরিত্রিকা আহানা
পর্বঃ১৪

আরিয়া এই বাড়িতে আছে, প্রায় দেড়মাসের মত হয়েছে। এর মাঝে হাতেগুনে চারপাঁচবার অনিকের সাথে দেখা হয়েছে তাঁর। বাকিটা সময় সে অনিককে দেখা মাত্রই লুকিয়ে পড়েছে। মানুষটাকে তাঁর খুব ভয় করে। সেই
ভয়টা আরো বেড়ে গিয়েছে অনিলা চৌধুরী কৃতকর্মের ইতিহাস জানার পর।
হ্যাঁ! অনিলা চৌধুরী এবং শরীফের অনৈতিক সম্পর্কে সব খুলে তাকে সব খুলে বলেছে রুমু। যদিও মেয়ের কাছে মায়ের এমন লজ্জাজনক ইতিহাস বলতে তার বুকটা খানিকটা হলেও কেঁপে উঠেছিলো কিন্তু এই ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না। পুরোনো সব কাহিনীর মাঝে অনিকের দুর্বিষহ শৈশবের ইতিহাসও বাদ যায় নি। কতটা কষ্ট, ব্যথা, দুঃখ নিয়ে বড় হয়েছিলো অনিক সবটা তাঁকে খুলে বলেছে রুমু।

আরিয়া প্রথমে বিশ্বাস করে নি। ছলছল চোখে একরাশ ঘৃণা নিয়ে তাকিয়েছিলো রুমুর দিকে। তার মৃত মা,বাবাকে নিয়ে কি কুৎসিত কাহিনীটাই না বানিয়েছে রুমু! ঘৃণায় সমস্ত শরীর রি-রি করে উঠলো। চোখের পানি ঠেকিয়ে থমথমে গলায় রুমুকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলো,’আপনাদের যদি অসুবিধে হয় আমাকে বলে দিন আমি এক্ষুনি চলে যাবো। যার কেউ নেই তাঁর আল্লাহ আছে। আল্লাহ কাউকে ঠেকায় না। আমার বিশ্বাস আমাকেও ঠেকাবে না। কিন্তু আমাকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য আমার বাবা মায়ের সম্পর্কে এমন অশ্লীল, কুৎসিত কাহিনী গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই। কারণ, আমি একফোঁটাও বিশ্বাস করবো না।’

আরিয়ার রাগে বিন্দুমাত্রও বিচলিত হলো না রুমু। সে আগেই ধারণা করে রেখেছিলো এরকম একটা রিয়েকশনই আসবে তার কাছ থেকে। কোন সন্তানই তার বাবা মা সম্পর্কে এমন জঘন্য কথা বিশ্বাস করতে চাইবে না।
আরিয়া তো না-ই! কারণ অনিলা চৌধুরী এবং শরীফ মিলে তার কাছ থেকে সব কিছু গোপন করে গেছে। তাই তখনকার জন্য থেমে গেলেও দুইতিন বাদে ঠিকই আরিয়াকে নিয়ে অনিলা চৌধুরী বাপের বাড়িতে গেলো সে। সেখান থেকে আরিয়ার দাদার বাড়ি গেলো। অনিলা চৌধুরীর কথা জিজ্ঞেস করতেই বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ ঘৃণাভরে চেয়েছিলো তাদের দিকে। তাদের চোখে অনিকের প্রতি একরাশ ভালোবাসা, ইউসুফ চৌধুরীর জন্য সহানুভূতি থাকলে কন্ঠে ছিলো তীব্র অভিসম্পাত অনিলা চৌধুরীর প্র‍তি!

সত্যিটা জানার পর হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দিয়েছিলো আরিয়া! হায়! এ কি জঘন্যতম ইতিহাস রচনা করে গিয়েছে তার মা-বাবা? এত লজ্জা, এত গ্লানি কোথায় রাখবে আরিয়া! একনিমিষেই অভিশপ্ত হয়ে গেছে আরিয়ার গোটা জীবনটা! বাসায় ফিরে ইউসুফ সাহেবের পা জড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদলো সে! কোনভাবেই তাঁকে শান্ত করতে পারছিলো মা রুমু। অনিলা চৌধুরী যেদিন মারা গেছেন সেদিনও বোধহয় এতটা অসহায় লাগে নি তাঁকে! উপায়ান্তর না পেয়ে ইউসুফ সাহেব ব্যতিব্যস্ত হয়ে টেনে তুললেন তাঁকে। পিতৃস্নেহে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,’তোমার ওপর আমার কোন রাগ নেই মা! তুমি নিষ্পাপ! যে অন্যায় করেছে শাস্তি তাঁর পাওনা। ইহকালে হোক কিংবা পরকালে! তুমি কেন শুধুশুধু কষ্ট পাচ্ছো?’ তারপর অনেক্ষন যাবত ইউসুফ সাহেব তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে, নানারকম ভাবে বুঝিয়ে শান্ত করেছিলেন তাঁকে।

দিশেহারা হয়ে ইউসুফ চৌধুরীর কাছে মাফ চাইলেও ভয়ে অনিকের কাছে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে পারে নি আরিয়া! পাছে অনিক একরাশ ঘৃণা ছুঁড়ে দেয় তাঁর দিকে! কেননা তাঁর শরীরে বইছে তাঁরই বিশ্বাসঘাতক পিতামাতার রক্ত! যারা নিজেদের সন্তানদের জন্য রেখে গেছেন এক নির্লজ্জ করুণ ইতিহাস! সেই ইতিহাসের প্রতিটি পাতা তাদের সন্তানের প্রতিটা মুহূর্তকে মৃত্যুযন্ত্রণার চাইতে বেশি কষ্টদায়ক করে দিয়েছে! তিনদিন নিজেকে ঘরবন্ধি করে রেখেছিলো আরিয়া। তারপর আস্তে আস্তে রুমুর যত্ন, ইউসুফ চৌধুরী স্নেহ অনিকখানিই স্বাভাবিক করলো তাঁকে। ইউসুফ সাহেব মানুষটা খুবই কোমল হৃদয়ের! একটুতেই ইমোশোনাল হয়ে যান। বাড়িতে এসে আরিয়ার প্রথম প্রথম তাঁকে একটু একটু ভয় লাগলেও সেদিনের ঘটনার পর থেকে ভয় পুরোপুরি দূর হয়ে গেছে! মনেপ্রাণে এই মানুষটাকে শ্রদ্ধা করে সে! নিজের পিতামাতার চাইতে অনেক, অনেক, অনেক উপরে বসিয়েছেন এই মানুষটাকে! ইউসুফ চৌধুরী যখন রুমুকে নিয়ে গল্প করতে বসেন তখন আরিয়াও চুপচাপ গিয়ে তাঁর গল্প শুনতে বসে যায়। ঘন্টার পর ঘন্টা মুগ্ধ হয়ে শোনে পিতৃসম বৃদ্ধ, নিষ্পাপ মানুষটার জীবনের গল্প, যার বেশিরভাগ অনিকের সাথে যুক্ত!


রান্নাঘরে নাশতা বানাচ্ছিলো রুমু এবং আরিয়া, কথার প্রসঙ্গে রুমু হঠাৎ আরিয়াক বললো,’তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে কথা বলো না কেন আরিয়া?’

আরিয়া চোখমুখ ছোট করে করুণ গলায় বলল,’উনাকে আমাকে ভীষণ ভয় করে ভাবী। উনি খুব রাগী!’

রুমু হেসে উঠে বললো,’তোমার মাথা। তোমার ভাই মোটেও রাগী নয়।’

-‘কিন্তু আমার লজ্জা করে তাঁর সামনে যেতে। উনি হয়ত ভাবছেন আমিও আমার মায়ের মত!’

-‘ভাই বোনের মাঝে আবার লজ্জা কিসের?’

এবার আরিয়ার মুখটা পূর্বের তুলনায় আরো বেশি করুণ হয়ে গেলো। মলিন মুখে বললো,’আপন বোন তো নই ভাবি?’

রুমুও থমকে গেলো। স্থিরদৃষ্টিতে আরিয়ার মুখের দিকে চেয়ে তৎক্ষণাৎ মিষ্টি হেসে বললো,’এসব ভাবো তুমি? তোমার ভাই তোমার পর?’

-‘এসবই তো সত্যি!’

আরিয়ার চোখে পানি টলমল করছে! এই পৃথিবীতে কেউ নেই তাঁর! একা সে! রুমু তার ছলছল চোখে পানে চেয়ে বললো,’শোনো বোকা মেয়ে, সত্যি নিজে বিশ্বাস করলে সত্যি, না বিশ্বাস করলে নয়। তুমি যদি মনে করো তোমার ভাই তোমার আপন নয়, তোমার সৎ ভাই তবে সে কখনো তোমার আপন হবে না। আর তুমি যদি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করো তোমার ভাই-ই তোমার সবচেয়ে আপন তাহলে দেখবে তাঁকে ভালোবাসার জন্য, বাকিসব দেখার কোন প্রয়োজনই হবে।

আরিয়া জবাব দিলো না। অনিকের জন্য তাঁর মায়া হয়, খুব মায়া হয়। কষ্টও হয়! একটা মানুষ ছোটবেলা থেকেই যন্ত্রনা আর কষ্ট নিয়ে বড় হয়েছে। যেমনই হোক না কেন, আরিয়ার শৈশব তো এমন কাটে নি। তার শিশুবয়সে তাঁর মায়ের কুকীর্তির জঘন্যতা ইতিহাস শুনতে হয় নি। নিজের জন্মপরিচয় নিয়ে , আত্মগ্লানিতে পড়তে হয় নি কিন্তু অনিক? সে তো ছোটবেলা থেকেই মনের ভেতর একরাশ ক্ষোভ, ঘৃণা, দ্বিধা আত্মগ্লানি নিয়ে বড় হয়েছে! তাই অনিকের জন্য আরিয়ার কষ্ট হয়, খুব কষ্ট হয়। কিন্তু আফসোস সেটা সে অনিককে কোনদিন বোঝাতে পারবে না। অনিক হয়ত বিশ্বাসই করবে না!

সকাল দশটা। আজকে অফিসে যায় নি অনিক। দুপুরের পর রুমুকে চেকাপে নিয়ে বেরোবে। খাটের ওপর আধশোয়া হয়ে, ল্যাপটপ কোলে নিয়ে কাজ করছিলো সে। এমন সময় দরজায় মৃদু করাঘাত পড়লো।

-‘আসবো?’

দরজার বাইরে আরিয়াকে দাঁড়ানো দেখে চমকে উঠলো অনিক। চোখ মুখের ভাব খানিকটা কঠিন হয়ে উঠলো। থমথমে গলায় জিজ্ঞেস করলো,’কি চাই?’

আরিয়া ঘাবড়ে গেলো। অনিকের চোখের দিকে তাকানোর সাহস হলো না। কিছুক্ষন উসখুস করে অবনত মস্তকে অপরাধির নয়ায় মুখ করে বললো,’ইয়ে মানে, ভার্সিটিতে একটা ছেলে রোজ আমাকে ডিস্টার্ব করে! তাঁর সাথে সম্পর্ক করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। গতকালকেও চিঠি দিয়েছিলো! ভাবিকে বলেছিলাম তিনি আপনাকে জানাতে বলেছেন।’

অনিক খেয়াল করলো,কথাগুলো বলার সময় আরিয়ার চোখেমুখে স্পষ্টত ভয় ফুটে উঠলো! ফুটফুটে সুন্দর মুখটা তীব্র ব্যথার ছাপ দেখা দিলো! নিজের কাছে হার মেনে গেলো সে। কি করে চুপ থাকবে অনিক ? সেও তো একটা মানুষ! মায়া, মমতা, স্নেহ অনুভূতি তাঁরও তো আছে। এই মেয়েটা তাঁর বোন! ফুলের মত টুকটুকে দেখতে! বয়সই বা কতটুকুন হয়েছে! এই এতটুকুন একটা মেয়ে, এই বয়সেই সবাইকে হারিয়েছে! তাঁর চোখের দিকে তাকালেই কষ্টের গভীর ছাপ দেখতে পায় অনিক! না বলা জমাট ব্যথায় আঁধার যেন তার চোখদুটো! সেই বোন অসহায় হয়ে তাঁর কাছে ছুটে এসেছে নিজের সমস্যার কথা জানাতে! এরপরেও ভাই হয়ে তাঁর বোনকে প্রটেক্ট করাটা অনিকের উচিৎ নয় ? তার বোনকে কেউ হয়রানি করছে এসব জানার পরেও কি আদৌ চুপকরে বসে থাকা সম্ভব? নাহ! অনিকের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। তবুও নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করে বললো,’ঠিক আছে, আজকে ভার্সিটিতে যাবে তো তুমি?’

আরিয়া হ্যাঁ-সূচোক মাথা নাড়ালো। অনিক নিজের গাম্ভীর্য বজায় রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করে বললো,’যাওয়ার সময় আমাকে ডাক দিও।’

খুশিতে চকচক করে উঠলো আরিয়ার কোমল মুখখানা। অবিশ্বাসী দৃষ্টিতে ভাইয়ের মুখের দিকে চেয়ে রইলো সে। যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। অনিক তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নিলো। অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে নিজের কাজে মনোযোগ দিলো সে।

ভার্সিটিতে আরিয়া পৌঁছে দিয়েছে বাসায় চলে এলো অনিক। রুমুকে নিয়ে চেকাপে বেরোলো। চেকাপ শেষে রুমুকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে পুনরায় ভার্সিটিতে গেলো সে। ক্লাস শেষে তাঁকে গেটের সামনে দাঁড়ানো দেখে অবাক হলো আরিয়া। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলো না! তাঁর খুশির বাধ যেন উপচে পড়ার দশা! উত্তেজনা চেপে রাখতে পারলো না। দ্রুত গেটের কাছে দৌঁড়ে গেলো। হাঁপাতে হাঁপাতেই খুশিখুশি গলায় বললো,’আপনি আমাকে নিতে এসেছেন?’

অনিক মুখ ঘুরিয়ে নিলো। আরিয়ার উচ্ছ্বাসের বিপরীতে শান্ত করে বললো,’হ্যাঁ। গাড়িতে ওঠো!’
অনিকের মুখের দিকে চেয়ে সম্বিৎ ফিরে পেলো আরিয়া। খানিকটা লজ্জাও পেলো। এতটা উচ্ছ্বাস দেখানো বোধহয় ঠিক হয় নি। চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসলো সে।

সেদিন বাড়ি গিয়ে রুমুকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কেঁদে ফেললো আরিয়া। রুমু মুচকি হেসে বললো,’বোকা মেয়ে কাঁদছো কেন? ভাই বোনের জন্য করবে না তো কার জন্য করবে? তোমার ভাই কি তোমাকে ফেলে দেবে? এটা কখনো হয়?’
বুদ্ধিটা রুমুই দিয়েছিলো আরিয়াকে! ভার্সিটির কোন ছেলে আরিয়াকে ডিস্টার্ব করে না। ইচ্ছে করে আরিয়াকে দিয়ে মিথ্যেটা বলিয়ে ছিলো রুমু
তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো আরিয়াকে কেউ ডিস্টার্ব করে জানতে পারলে অনিক চুপ থাকতে পারবে না। মুখে যতই না বলুক বোনের জন্য ভাইয়ের মায়া থাকবেই! ভাই বোনের সম্পর্কগুলো হয়ই এমন! এক্ষেত্রেও তাঁর প্রমান পেয়েছে রুমু!
এই বাহানায় দুজনের ভেতরকার আড়ষ্টতা কিছুটা হলেও ভাঙ্গতে শুরু করেছে! হয়ত এর মাধ্যমেই দুইভাইবোনের ঘনিষ্ঠতা বাড়বে। তখন নাহয় অনিককে সব খুলে বলবে সে !

এরপর থেকে রোজ অফিসে যাওয়ার সময় আরিয়া নামিয়ে দিয়ে যায় অনিক। আরিয়া গেটে ঢুকে যাওয়ার পরেও বেশ কিছুক্ষন করে সে। ফেরার পথেও একই কাজ করে! কিন্তু এভাবে তিনচারদিন অপেক্ষা করেও
আরিয়ার চারপাশে কোন ছেলের নামনিশানাও খুঁজে পেলো না । পরেরদিন ক্লাস ছুটির পর আরিয়াকে নিতে এসে গম্ভীর মুখে জিজ্ঞেস করলো সে,’তোমাকে যে ডিস্টার্ব করে সেই ছেলেটার নাম কি?’

ভয়ে ফ্যাকাশে হয়ে গেলো আরিয়া মুখ। হায় আল্লাহ! অনিকের এই প্রশ্নের এখন কি জবাব দেবে আরিয়া? এইমুহূর্তে রুমু থাকলে নাহয় একটা বুদ্ধি বের করে ফেলতো। কিন্তু আরিয়া কি করবে? সত্যিটা বললে তো আরিয়ার অবস্থা খারাপ করে দেবে অনিক! জীবনে আর কখনো আরিয়াকে বিশ্বাস করবে না সে। তাই আন্দাজে একটা নাম বলে দিলো ,’শুভ!’

-‘কোন ডিপার্টমেন্ট?’

-‘ফিনান্স!’

-‘ঠিক আছে গাড়িতে ওঠো।’

গাড়িতে উঠার মনে মনে দোয়া পড়ছিলো আরিয়া। আল্লাহ! ফিনান্স ডিপার্টমেন্টে শুভ নামের কোন ছেলে না থাকলেই হয়। তখন নাহয় বলা যাবে যে ছেলেটা নিজের এবং ডিপার্টমেন্টের নাম ইচ্ছে করে ভুল বলেছিলো আরিয়াকে, হয়ত অনিককে দেখে ভয়ে সামনে আসছে না সে। কিন্তু সত্যিই যদি কোন ছেলে থেকে থাকে?
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here