পুরোনো ডাকবাক্স পর্ব -১৪

#পুরোনো_ডাকবাক্স
#তানিয়া_মাহি(নীরু)
#পর্ব_১৪

“একটু জড়িয়ে ধরতে দেবেন?

আলিজার কথা শুনে নাবোধক মাথা নাড়ায় আরসাল। আলিজা তার নিষেধ না শুনে জড়িয়ে ধরে। আরসাল বারবার নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে আলিজা আরও শক্ত করে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে আরসালকে। আরসাল আর বৃথা চেষ্টা করে না। তবে নিজেও নিজের দুইহাত দিয়ে বুকে জড়িয়ে নেয় না।

” কি হলো আপনি আমাকে জড়িয়ে কেন ধরছেন না?

” এখন কথাও বলবেন না? আমি কি এসবের জন্য এখানে থেকে গেলাম।

” কে থেকে যেতে বলেছে আপনাকে?

” আবার আপনি! ধুর কিছু ভালো লাগে না।

” আমি ভালো লাগার মতো মানুষও না।

আলিজা এবার আরসালকে ছেড়ে দেয়। আরসালকে ছেড়ে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

” ভালো হবেন না তাই না? বর মানুষ করার দায়িত্ব আমাকে এবার নিতেই হবে?

” মানে?

” আমি তো আপনার অতীত মেনে নিয়েই আপনার সাথে আছি তবু কেন এরকম করছেন?

” আছেন কথা শুনাতে যেটা আমাকে প্রতি সেকেন্ডে মে*’রে ফেলছে বুঝিয়ে দিচ্ছে আমার বেঁচে থাকার অধিকার নেই। জীবনের একটা ভুল আমার বেঁচে থাকা কঠিন করে তুলেছে।

” আর এমন হবে না, তবুও আপনি ডিভোর্সের কথা মাথায় আনবেন না প্লিজ। আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। দেখুন বলতে গেলে আপনি ছাড়া আমার কেউ নেই। আপনি আমাকে ছাড়লে থাকার জায়গার তো অভাব হবে না কিন্তু আপনার মতো মানুষের অভাববোধ করব খুব।

” আমি কারও জীবনের অভাব হবো না কখনও। আচ্ছা ঘুমিয়ে যান, অনেক রাত হয়ে গিয়েছে।

আরসাল চলে যেতে নিলে আলিজাও পিছনে যাবে এমন সময় শাড়িতে পা আটকে আবার পায়ে ব্যথা পেয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে।
আরসাল সাথে সাথে ঘুরে তাকায়। পিছনে তাকিয়ে দেখে আলিজা বিছানায় হাত রেখে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

” বলেছিলাম আমি, এভাবে চলাচল না করতে। আমার কথা কেউ শুনবে না। দেখি পা উঁচু করো।

” ভালোবাসি।

” এখন মজা করার সময় না আলিজা।

” ভালোবাসি।

” হুম।

” ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি।

” পা উঁচু করতে বলেছি শাড়ি আটকে আছে।

” ভালোবাসি কথাটার জবাব না দিলে পা উঁচু করব না।

আরসাল এবার আলিজাকে কোলে তুলে নেয়। বিছানায় শুইয়ে দিতেই নিজে আর সোজা হতে পারে না কারণ আলিজা গলা ধরে রেখেছে।

” ছাড়ুন।

” ছাড়ব না, আমার জামাইকে আমি ধরেছি আপনার কি?

” ছাড়বেন না?

” উহু ছাড়ব না।

” ছাড়তে বলেছি আলিজা।

” আপনি কি আমার সাথে ভালো করে কথা বলবেন না? তখন মজা করে একটা কথা বলায় কেমন ব্যবহার করছেন একটু তাকিয়ে দেখুন নিজের ব্যবহার।

” ব্যবহার দেখা যায় না, ছাড়ো।

আলিজা আরসালের কোন কথা না শুনে তার ঠোঁটের দিকে অগ্রসর হয়। আরসাল বুঝতে পেরে মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়। এবার আলিজার কেমন যেন লাগে বিষয়টি। ছেড়ে দেয় আরসালকে, আরসালও সোজা হয়ে দাঁড়ায়। আলিজা অন্যদিকে হয়ে শুয়ে পরে। আরসাল বুঝতে পারে আলিজা তার ব্যবহারে রাগ করেছে। নাহ ভুল বুঝাবুঝি আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। এখান থেকেই নাহয় এবার সব ভুলে দুজনের যাত্রা শুরু হোক!

আরসাল আলিজাকে টেনে বসিয়ে দেয়, নিজেও পাশে বসে পড়ে।

” কি হলো?(আলিজা)

” দেখতে ইচ্ছে হলো।

” আমাকে কারও দেখতে হবে না। বিয়ের পর তো কখনও স্ত্রীর অধিকার পাই নি, এখন তো ভালো ব্যবহারটাও পাই না। আমার ভাগ্য….

” উহু আর কথা নয়, চুপ থাকো।

” তুমি করে বলছেন যে!

” বউয়ের সাথে আপনি করে কথা বলতে ভালো লাগে না, আমার বউ চাইলে সেও তুমি করে বলতে পারে।

” স্যারের এখন কি হলো?

” প্রেম পেলো….

” আমি কি কিছু বলব?

” একদম না, এই অনুভূতিটা প্লিজ নষ্ট করে দিও না।

” কিসের অনুভূতি?

” ভালোবাসার।

” ভালোবাসেন?

” যদি বলি তোমাকে খুব প্রয়োজন সারাজীবনের জন্য তবে তোমার প্রশ্নের উত্তর কি ধরে নেবে?

আলিজা একপলকে আরসালের দিকে তাকিয়ে থাকে। আরসালও যেন আজ আলিজার চোখে এক অদ্ভুত নে*’শা খুঁজে পাচ্ছে।

” এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?

” জানি না ভালো লাগছে, আজ তোমার প্রতি এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।

আরসাল এবার নিজেই আলিজার দিকে ঝুঁকতে থাকে, আলিজা দূরে যাবে এমন সময় কোমর ধরে টান দিয়ে এক ঝটকায় নিজের খুব কাছে নিয়ে আসে। আলিজা এবার ভীষণ লজ্জা পেয়ে যায়। আলিজার লজ্জামাখা মুখ দেখতে একটু বেশিই ভালো লাগছে আরসালের। আলিজা চোখ বন্ধ করে আছে আর আরসাল তার দিকে তাকিয়ে আছে। এভাবেই যে দুজনের নতুন জীবনের সূচনা হয়, ভালোবেসে একসাথে থাকা দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হয় দুটি হৃদয়। সবকিছু ভুলে আরসালের বুকটা এবার আলিজার ব্যক্তিগত মানুষের বুকে রূপান্তরিত হয়। এই মানুষটা যেন আজ থেকে তার, শুধুই তার।

*****

আলিজা সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে পাশে আরসাল নেই। ঘুম ঘুম চোখেই উঠে বসে সে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে প্রায় এগারোটা বাজতে চলল। এত লেট হয়ে গিয়েছে! তাহলে তো আরসাল এখন কলেজে, সে ডেকে দেয় নি কেন! তাড়াতাড়ি করে উঠতে গিয়ে আবার আঙুলে ব্যথা পায়, উফ এই আঙুলটা বড্ড জ্বা*’লিয়ে মা*’রছে। পাশেই তাকিয়ে দেখে এক টুকরো কাগজ রাখা। নিশ্চিত আরসাল রেখে গিয়েছে কিছু লিখে এটা ভেবে কাগজের টুকরোটা হাতে নেয়। খুলে দেখে, ” আমি তো রান্না করতে পারি না আম্মি রুটি বানিয়ে ফ্রিজে রেখে গিয়েছিল দেখলাম ওটা ভেজে খেয়ে এসেছি। তুমি একটু কষ্ট করে ওটা খেয়ে নিও নইলে ফল আছে। আমি দুপুরে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসব, আসার সময় খাবার বাহিরে থেকে নিয়ে আসব তোমার রান্না করতে হবে না। তুমি ঘুমাচ্ছিলে তাই ডাকি নি, আমি ব্রেক টাইমে কল দেব তোমায়।” লেখাটা দেখেই মন ভালো হয়ে যায় তার। বিছানা ছেড়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে খাবার বানিয়ে খেয়েও নেয়। এখন পা একটু ঠিক হয়েছে হাটাচলা করা যাচ্ছে। রুমে বসে বারবার ঘড়ি দেখছে প্রায় দুপুর হতে চলল আরসাল কল দেয় নি আর। সে ঘুম থেকে ওঠার আগে দিয়েছিল রিসিভ করতে পারে নি। বসে বসে আরসালের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে সে।

*******

বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাহিরের পরিবেশ দেখছিল আলিজা। আরসাল এর মধ্যে রুমে চলে আসে আলিজা বুঝতেই পারে না।

” ওখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?

কথাটা শুনেই পিছে তাকিয়ে দেখে আরসাল রুমে। সেও আর দেরি না করে রুমে চলে আসে।

” কখন এলেন?

” এই তো মাত্র, গোসল দিয়েছো?

” হ্যাঁ আজকে নাকি তাড়াতাড়ি আসবেন?

” কলেজে মিটিং ছিল, তোমাকে কল দিয়েছিলাম ফোন সাইলেন্ট কেন রাখো তুমি?

” আগে থেকে রেখে রেখে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।

” আচ্ছা এসো খেয়ে নিবে আমি খাবার নিয়ে এসেছি। এই কয়েকদিন তোমার রান্না করতে হবে না আমি প্রতিদিন খাবার নিয়ে আসব।

” এমন ভালো বর কই পাওয়া যায়!

” তুমি তো পেয়ে গিয়েছো, এখন আর কই পাওয়া যায় সেটা খুঁজতে হবে না।

” খুব ক্ষিধে পেয়েছে।

” তুমি খাবার টেবিলে যাও আমি আসছি ফ্রেশ হয়ে।

” ঠিক আছে।

দুজন একসাথে দুপুরের খাবার খেয়ে রুমেই ছিল। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে চলল। আলিজা দুপুরে শুয়ে শুয়ে আরসালের সাথে গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। কলিংবেলের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তার। আরসাল বসে টিভি দেখছিল, বাসায় তো কেউ নেই তাহলে এখন কলিংবেল কে বাজাচ্ছে। আলিজা উঠবে তখনই আরসাল বলল সে দেখছে বিষয়টা।
আরসাল উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিলে দেখে বাহিরে তার বাবা মা আর নওরীন দাঁড়িয়ে। দরজা খুলে দেওয়ায় একে একে তিনজনই ভেতরে ঢুকে আসে। গতকালই গেল সবাই সামনে শুক্রবার বিয়ে তাহলে আজকেই কেন চলে আসতে হলো কিছুই বুঝতে পারছে না আরসাল। সেও মা বাবার সাথে সাথে তাদের রুমে চলে যায়, এতক্ষণে আলিজাও চলে এসেছে।
সবাই একসাথেই বসে আছে, তিনজন মুখ গম্ভীর করে বসে আছে।

” কি হয়েছে মা তোমরা আজকেই চলে এলে কেন?

” আজকালের ছেলে-মেয়ের ওপর কোন ভরসা নেই।

” কেন কি হয়েছে?

” আমরা গতকাল বাসায় পৌঁছানোর আগেই বিয়ের কনে কোন ছেলের সাথে পালিয়েছে।

” কি বলছো! বিয়েতে মত ছিল না?

” মত থাকলে কি পালাতো?

” কি যে করে সবাই আবেগের বশে।

” বাবা মায়ের সম্মানের চেয়ে এসব আজকাল বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের সময় এসব ছিল না। বাবা মা যার সাথে বিয়ে ঠিক করেছে তার সাথেই বিয়ে হয়েছে।

রুমে সবার কথাবার্তা অনেকক্ষণ চলতে থাকে। সবাই বসে নিজেদের মধ্যে কথা বলাবলি করছে। এমন সময় আবারও কলিংবেলের সাউন্ড শুনতে পাওয়া যায়। এবার নওরীন বের হয় রুম থেকে দরজা খুলে দিতে।

দুই মিনিট পর নওরীন রুমে ফিরে আসে।

” কি রে, কে এসেছে?(মোহনা)

” আম্মি….

” কি হয়েছে কে এসেছে?

” তিথি…….

নামটা শোনামাত্র আরসাল আলিজার দিকে তাকায়। আলিজার মুখ এতক্ষণে কালো হয়ে গিয়েছে। মি. নেওয়াজ চোখের ওপর হাত রেখে চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিলেন। নওরীনের কথা শোনামাত্র উঠে বসে পড়েন।

” তিথি মানে ওই মেয়েটা?(নেওয়াজ)

” হ্যাঁ বাবা, ভাইয়ার…….

” আরসাল, তুমি এখনও ওই মেয়ের সাথে কথা বলছো?

” না বাবা উনি তো আর কথা বলেন না।(আলিজা)

আলিজার কথা শুনে মিসেস মোহনা আর নেওয়াজ আরেক দফায় চমকে যান, দুজন মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে থাকেন।

” তুমি তিথির বিষয়ে জানো?( মোহনা)

” হ্যাঁ আম্মি, আমি জানি।

” থামো সবাই আমি দেখছি। এই নওরীন কোথায় ও?(আরসাল)

” বাহিরে বসেছে।

” আপনি প্লিজ মাথা গরম করবেন না।(আলিজা)

” চিন্তা করো না, আমি দেখছি।

” কেউ বাহিরে যাবে না আরসালকে বিষয়টা হ্যান্ডেল করতে দাও।(নেওয়াজ)

নওরীন গিয়ে আলিজার হাত ধরে তার পাশে দাঁড়ায়।আরসাল রুম থেকে বেরিয়ে গিয়ে দেখে সত্যি সত্যি তিথি বাহিরে বসে আছে। আরসালকে দেখে মুখে হাসি ফুটে যায় তিথির, বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। আরসাল বিদ্যুৎগতিতে গিয়ে তিথির হাত ধরে টেনে নিজের রুমে নিয়ে গিয়ে হাত ছেড়ে দেয়। তিথি আরসালের অন্যরূপ দেখতে পায়। এভাবে টেনে নিয়ে আসায় হাপাতে থাকে সে।

” এভাবে রুমে নিয়ে এলে কেন তুমি?(তিথি)

” তুমি কোন সাহসে বাসায় চলে এসেছো?

” তোমার বউকে দেখতে এসেছি, যে তোমাকে আমার কথা ভুলিয়ে রেখেছে আমার থেকে দূরে করে রেখেছে তাকে দেখে রাখতে হবে না?

” আমাকে বলতে ছবি পাঠিয়ে দিতাম। বাসায় কেন আসতে গেলে?

” তুমি গতকাল থেকে আমার সাথে খুব বাজে ব্যবহার করছো আরসাল। কি হয়েছে তোমার?

” ভেবেছিলাম তোমার আসল চেহারা দেখেছি দেখেছি সেটা তোমাকে জানাবো না কিন্তু তুমি সেটা হতে দিলে না।

” মানে কি বলতে চাইছো তুমি?

” শিহাব কে?

” শি শিহাব কে মা মানে?

” হ্যাঁ যার নাম শুনে তুমি তোতলাচ্ছো সে কে?

” তোতলাবো কেন? কে শিহাব আমি তাকে চিনি না।

” আমি চিনিয়ে দিচ্ছি দাঁড়াও।

আরসাল নিজের ফোন বের করে সব ছবি, মেসেজ দেখানো শুরু করে। তিথির মুখ নিচু হয়ে গিয়েছে সে হয়তো ধারণাই করতে পারে নি যে আরসাল কখনও এসব জানতে পারবে।

” আর কিছু বলবে তুমি? আমি চাইছিলাম না একসময় আমি যাকে ভালোবেসেছিলাম তাকে ছোট করতে কিন্তু তুমিই ছুটে এসেছো এখানে। প্লিজ তিথি আমার থেকে দূরে থাকো, আমি আর তোমার ছায়াও মাড়াতে চাই না।

” প্লিজ আরসাল, আমার কথাটা শোনো।

” এখনও কিছু বলার মতো মুখ আছে তোমার?

” প্লিজ শোনো আমার কথা, আমার ভুল হয়ে গিয়েছে আর আমি এখন সেটা বুঝি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও। তুমি যদি আমাকে এভাবে দূরে ঠেলে দাও, অস্বীকার করো তাহলে আমি নিজেকে শেষ করে দেব বলে দিলাম।

তিথির কথা শেষ হতেই তিথির গালে চড় বসিয়ে দেয় আরসাল। তিথি এক নজরে তাকিয়ে থাকে তার দিকে।

” আর একটাও কথা নয়, যা করবে আমার চোখের সামনে থেকে দূরে গিয়ে করো।

” আরসাল!

” বলেছি না একটা কথাও নয়।

কিছুক্ষণ তর্কবিতর্ক চলে দুজনের। আরসালের বাবা আলিজাকে আরসালের কাছে যেতে বললে আলিজা তাড়াহুড়ো করে নিজেদের রুমের দিকে দৌঁড়ায় কারণ আরসালের মাথা গরম হলে যা তা করে ফেলতে পারে। আলিজা দরজার সামনে যেতেই দেখে আরসাল বেরিয়ে যাচ্ছে, আরসালকে ডাকলে আরসাল পিছনে না তাকিয়ে সোজা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আলিজা কি করবে বুঝতে না পেরে নিজের রুমেই প্রবেশ করে। ভেতরে গিয়ে দেখে তিথি এখনও রুমে উপস্থিত।

এরপর প্রায় দশ মিনিট কেটে যায়, কারও তেমন চিৎকার বা কথা শোনা যাচ্ছে না দেখে নওরীন চলে আসে। কিন্তু রুমে ঢুকে যা দেখে তাতে তার চোখ বড় বড় হয়ে যায় সাথে সাথে মা’ বলে চিৎকার দেয়।

চলবে……

কেমন হলো অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। আজকে কমেন্ট না করে যাওয়া নিষেধ কিন্তু😒

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here