প্রণয়ের আসক্তি পর্ব -৩১

#প্রণয়ের_আসক্তি
৩১.(অন্তিমের প্রথম অংশ)
#WriterঃMousumi_Akter

–আপু আমাকে যেখানে আটকে রেখেছিলো ওখানে দুজন মানুষ কে আটকে রাখা আছে,তারা ও অনেক কষ্টে আছে।

–নিরবের কাছে বেশ অবাক লাগলো কথা টা শুনে, সেখানে আরো দুজন কে আটকে রাখা ছিলো।তাহলে তারা কারা।তাদের ও কি পাচারের জন্য আটকে রাখা হয়েছে।

–তোমাকে কোথায় আটকে রেখেছিলো মৃথিলা?

–রহিম চাচার বাগান বাড়িতে?

–ওহ মাই গড।এইজন্য ওই বাড়ি থেকে গোঙানির আওয়াজ আসছিলো।আর আমি এগিয়ে যেতেই আমার মাথায় কেউ বাড়ি মেরে ফেলে দিয়েছিলো।

–কি বলছেন কবে?

–বেশ অনেক দিন আগের কথা।তোমাকে বলি নি আমি।আমার মনে হচ্ছিলো কেউ ওখানে কষ্ট পাচ্ছে।কারো গোঙানির আওয়াজ হচ্ছিলো।সেদিন ফোনে নেটওয়ার্ক পাচ্ছিলো না তাই আমি বাইরে গিয়েছিলাম।আর সেদিন ই কেউ আমার মাথায় বাড়ি মেরেছিলো।

–চলুন না আজ যায়,উনারা কারা দেখে আসি।হয়তো তারাও মুক্তির অপেক্ষায় আছে।আমাকে ওখানে নেওয়া হলে ওদের কাঁন্না দেখে মনে হচ্ছিলো আমি ওদের আপন কেউ। ওদের চোখে মুখে ভীষণ কষ্ট ছিলো।

দুজনেই বেরিয়ে পড়লো মৃথিলাদের সেই বাড়িতে।মৃথিলাদের বলাটা ভুল।মেধাদের বাড়িতে।যে বাড়ির বাগানে রহিম চাচার বাড়ি।

আজ অনেক দিন পর এই অভিশপ্ত বাড়িতে পা রেখেছে মৃথিলা।বাড়িতে কেউ নেই, কোথাও হয়তো গিয়েছে।এই বাড়িতেই রহিম চাচা মৃথিলাকে রেখে রহস্যময় অভিশপ্ত জীবন দিয়েছে।অনেক খারাপ স্মৃতি জড়িয়ে আছে মৃথিলার জীবনের।মৃথিলার জীবন টা অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছিলো এই বাড়িতে থেকেই।রহিম চাচা মৃথিলার জীবন টা একটা তামাশা বানিয়ে রেখেছিলো।এই বাড়িতে কখনো মৃথিলার ফিরে আসার ইচ্ছা ছিলো না।কিন্তু নিয়তি আজ আবার ও নিয়ে এসছে।নিরবের মনে হচ্ছে ওই মানুষ দুইটা এমন কেউ হবে যে নিরব বা মৃথিলার কাছের কেউ হবে।না হলে রহিম চাচার বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে কেনো?

দুজনে রহিম চাচার বাড়ির দিকে এগিয়ে গেলো।বাড়িতে তালা মারা,নিরব তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলো।এই বাড়ির স্টোর রুমেই আটকে রাখা তাদের।মৃথিলা স্টোর রুমের দরজা খুলতেই দেখতে পেলো মুখে টেপ মেরে চেয়ারে হাত পা বেঁধে রাখা হয়েছে তাদের।এই ছোট্ট স্টোর রুমে না জানি কত দিন জীবন কেটেছে তাদের।মানুষ দুজন মৃথিলার দিকে তাকিয়ে আছে এক নজরে।তাদের চোখ ভরা মায়া মমতা।নিরব তাদের মুখের টেপ খুলে, হাত পায়ের বাঁধণ খুলে দিলো।মানুষ দুটো খুব কাঁদছে।মৃথিলার খুব খারাপ লাগছে তাদের কাঁন্না দেখে।নিরব কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না।তারা উঠে এসে মৃথিলাকে জড়িয়ে ধরলো।নিরব দেখেই হতভম্ব হয়ে গেলো।তাদের চোখে মৃথিলার জন্য ভালবাসা ভরপুর।নিরব সব থেকে বেশী অবাক হয়েছে এই মানুষ দুজন কে দেখে,কারণ তাদের ছবি নড়াইল থেকে মিসেস শিরিনা দেখিয়েছিলো।মৃথিলা সেই ঊনিশ বছর আগের ছবি দেখে খেয়াল করতে পারে নি সেটাই সেই মিসেস শিরিনার ছেলে আর বৌমা।নিরব দেখেই চিনে ফেললো,নিরব স্যালুট দিয়ে বললো আহনাফ স্যার আপনি?

–মৃথিলা অবাক হয়ে বললো,কি বলছেন উনি আহনাফ স্যার মানে।

–হ্যাঁ মৃথিলা উনি আহনাফ স্যার,তুমি হয়তো চিনতে পারো নি।

–আহনাফ মাহমুদ বললো তুমি আমাকে কিভাবে চিনো বাবা নিরব।

–নিরব বললো আপনি আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর গর্ব,আপনাকে না চিনলে আপনার মতো নীতি,আদর্শবান অফিসার কে অপমান করা হবে।আপনি গোয়েন্দা ডিপার্টমেন্ট সহ সমস্ত পুলিশ বাহিনীর মনে শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালবাসা নিয়ে বেঁচে আছেন স্যার।সিনিয়র জুনিয়র দের আদর্শ আপনি।চাকরিতে জয়েন করার পর থেকে চেষ্টা করেছি আপনাকে অনুসরণ করে নিজের দায়িত্ব পালন করতে।আমি হাজার বার জন্ম নিলেও আপনার মতো হিরো হতে পারবো।

আহনাফ মাহমুদ আবেগে আরো বেশী কেঁদে দিলো।কেউ তাকে আজ ও মনে রেখেছে ভেবেই বুকটা খুশিতে ভরে গেলো তার।ডুকরে ঢুকরে কাঁদছে আহনাফ মাহমুদ।

–নিরব বললো স্যার আপনি আমার নাম জানেন কিভাবে?

–আমার মেয়েকে যে ভালবাসে,আমার মেয়েকে যে আগলে রেখেছে তাকে না চিনলেও যে নিঃস্বার্থ ভালবাসার অপমান করা হবে।

–বলুন না স্যার কিভাবে চিনেন?

–আমাকে এখানে আটকে রাখা হলেও বাইরের সব কিছুই বলা হয়েছে,দেখানো হয়েছে।
আহনাফ মাহমুদ বললো,আমাদের আবার বেঁধে রেখে চলে যাও তোমরা।হাতে সময় নেই,না হলে মঈন সিদ্দিকী আমার মেয়েকে মেরে ফেলবে।

–নিরব বললো,স্যার ভয় পাবেন না।মঈন সিদ্দিকী আর বেঁচে নেই।তার ফাঁসি হয়েছে।

–তার কিভাবে ফাঁসি হলো,সে তো কিছুক্ষণ আগেই এখানে এসছিলো।

–কথাটা শুনেই নিরবের সমস্ত শরীর কাঁপতে শুরু হলো।মাথার মাঝে ঘুরছে।তাহলে কার ফাঁসি দিয়েছে নিরব।মঈন সিদ্দিকী যদি এখনো বেঁচে থাকে।চারদিকে মনে হচ্ছে ভূমিকম্পন শুরু হয়েছে।

–নিরব মৃথিলাকে বললো,মৃথিলা তোমার মা বাবা উনারা।।

মৃথিলার মা মেয়েকে আদর করেই যাচ্ছে।

–মৃথিলা আশ্চর্যজনক ভাবে নিরবের দিকে তাকিয়ে বললো কি বলছেন এটা?

–নিরব হেসে বললো হ্যাঁ মৃথিলা ওনারাই তোমার মা বাবা।

–মৃথিলার মা কেঁদে দিয়ে বললেন,মৃথিলা সোনা তুমি ই আমাদের সন্তান।তুমি আমাদের না চিনলেও আমরা চিনি তোমাকে।তোমার বড় হওয়া এই রুমে বসেই ওই ল্যাপটপে সারাক্ষণ দেখেছি আমরা।তুমি ওই বাড়িতে কখন কি করতে সব দেখাতো হতো আমাদের।

মৃথিলার কাছে সব টা কাকতালীয় মনে হলেও বুঝতে বাকি রইলো না এই মানুষ দুইটা তার আপন কেউ।কেননা মা বাবা যতই দূরে থাকুক তাদের চিনতে বেশী সময় লাগে না।মা বাবার সাথে সন্তানের যে আত্মীক টান,রক্তের টান তা চিনতে একটুও সময় লাগে না।

মৃথিলা ছল ছল চোখে মা বাবাকে জড়িয়ে ধরে ভীষণ কাঁদলো।ঊনিশ টা বছর পর মা বাবা ফিরে পেলো তাদের সন্তান।অসহায় মেয়েটা ফিরে পেলো তার ফ্যামিলি।

আহনাফ মাহমুদ বললো,নিরব আমার মেয়েকে মঈন সিদ্দীকি মেরে ফেলার আগে তোমরা চলে যাও এখান থেকে প্লিজ চলে যাও।

নিরব বললো না স্যার,আপনি আর ভয় পাবেন না।এই মঈন সিদ্দিকীর খেল শেষ এবার।আপনারা চলুন আমার সাথে।

নিরব অফিসার আহনাফ কে নিজের বাসায় নিয়ে এলো।মৃথিলা মা বাবাকে পেয়ে আনন্দে কি রেখে কি রান্না করবে বুঝে উঠতে পারছে না মৃথিলা।জীবনের ঊনিশ টা বছর পরে বাবা মাকে কাছে পেয়েছে মৃথিলা।জীবন টা বুঝি এতটাও সুন্দর হয়।মা বাবার ভালবাসা এতটা মধুর হয়,পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নিয়ামত কি মৃথিলা বাবা মায়ের ভালবাসা পেয়ে বুঝতে পেরেছে।নিরবের আম্মু ও আজ ভীষণ খুশি মৃথিলার খুশি দেখে।মৃথিলা নিজের মা কে গোসল করিয়ে নিজের একটা শাড়ি পরিয়ে দিলো।মৃথিলার মা মেয়ের কপালে চুমু দিয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরলো।

রাতে বসার ঘরে বসে আহনাফ মাহমুদ,উনার ওয়াইফ,নিরবের আম্মু,নিরব,মৃথিলা বসে গল্প করছে।নিরব বলছে স্যার,মঈন সিদ্দিকীর এতটা ধূর্ত আমরা বুঝতে পারে নি।এতক্ষণে তাকে এরেস্ট করা হয়েছে।কিন্তু স্যার রহিম চাচা কে আমরা মঈন সিদ্দিকী ভেবে হয়তো ভুল করেছি কিন্তু সে ও তো মঈন সিদ্দিকীর থেকে কম নয়।

আহনাফ মাহমুদ কেঁদে দিয়ে বললো,ওর নাম মঈন বা রহিম কোনটায় নয়।ওর নাম নেওয়াজ।আজ আমাকে আমার মেয়েকে আর ওর স্ত্রী,সন্তান কে বাঁচাতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিলো দীর্ঘ একটা কষ্টের চাপা নিঃশ্বাস নিলো আহনাফ মাহমুদ।নিরবের বুকের মাঝে একটা চাপা কষ্ট অনুভব হলো কৌতুহল বাড়তে থাকলো নিরবের।নিরব বললো কি বলছেন স্যার এসব।

আবার ও দীর্ঘনিঃশ্বাস নিলো ঘন ঘন আহনাফ মাহমুদ।

নড়াইল বাড়ি আমার আর নেওয়াজ এর।এক ই সাথে কলেজে পড়তাম দুজনে।আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলো।ওর বিয়ের সাক্ষী ও আমি ই ছিলাম।তখন ও ঢাকায় চাকরি করতে আসে।পালিয়ে বিয়ে করার জন্য ফ্যামিলি থেকে মেনে নিয়েছিলো না।তাই টাকার জন্য পাগল ছিলো নেওয়াজ।ওই সময়ে টাকার খুব প্রয়োজন ছিলো ওর।তখন ঢাকায় ওর চাকরির জন্য অনেক ছুটাছুটি দেখে মঈন সিদ্দিকী তার সুযোগ নিয়ে নেওয়াজ কে সহযে বিজনেস এর মাধ্যমে টাকা কামানোর নামে পাচার এর কাজে জড়িয়ে নেয়।নেওয়াজ সেটা বুঝতে পারে না।অল্প পরিশ্রমে অনেক টাকা পেয়ে নেওয়াজ ও টাকার প্র‍তি আসক্ত হয়ে পড়ে।পরে যখন নেওয়াজ বুঝতে পারে ও পাচার কারী টিমে জড়িয়ে পড়েছে তখন ও সরে আসতে চাইলেও আর পারে নি মঈন সিদ্দিকী বিভিন্ন ব্লাকমেইল করেছে।নেওয়াজ এর স্ত্রী সন্তান কে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।নেওয়াজ আর পারে নি সরে আসতে।আমার কাছে নেওয়াজ সব খুলে বলে।আমি নেওয়াজ এর সাহায্য নিয়ে মঈন সিদ্দিকীর সমস্ত কুকর্ম রেকর্ড করেছিলাম।মঈন এতটায় ধূর্ত বিদেশ থেকে পাচারকারী দের সাহায্য নিয়ে মুখোশ মানুষের মুখোশ নিয়ে আসে।যে মুখোশ পরলে একটা মানুষ দেখতে সম্পূর্ণ আলাদা একটা মানুষের মতো হয়ে যেতো দেখতে।নেওয়াজ কোথাও কোনো পাপ করে নি।নেওয়াজ কে সামনে রেখে আড়ালে সমস্ত পাপ করে গিয়েছে মঈন সিদ্দিকী। সেদিন আমি সমস্ত প্রমাণ জোগাড় করার পরে মঈন বুঝে যায় যে আমার কাছে সব প্রমাণ আছে।সেদিন আমরা ট্রেনে করে আসছিলাম,মঈন ইচ্ছাকৃত এক্সিডেন্ট ঘটিয়েছিলো আমাকে আর আমার স্ত্রী কে ওখান থেকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এসেছিলো।মঈন আজ ও এটা জানে না যে নেওয়াজ আমার ই বন্ধু।নেওয়াজ কে দিয়েই আমাকে কিডন্যাপ করানো হয়।নেওয়াজ সেদিন খুব কাঁদছিলো।আমি নেওয়াজ কে বলেছিলাম আমার মেয়ে মঈনের কাছে আছে।নেওয়াজ আমাকে বলেছিলো,সে আমার মেয়েকে যেভাবেই হোক বাঁচিয়ে রাখবে।মঈন অনেক চালাক হলেও নেওয়াজের সাথে পেরে ওঠে নি।নেওয়াজ নিজের পুরো জীবন টা স্যাক্রিফাইস করে গেলো।নিজের একমাত্র মেয়ে কলিজার টুকরো তাকে ছেড়ে থাকতে হয়েছে বছরের পর বছর।নিজের মেয়ের প্রাণ বাঁচাতেই নিজের মেয়ের থেকে দূরে থেকেছে।চাইলে পালিয়ে যেতে পারতো কিন্তু যায় নি বন্ধুত্ত্বের জন্য।আমার মেয়েকে চোখের আড়াল করে ফেলবে এজন্য।আমি যে ভালবাসা দিতে পারিনি সেটা নেওয়াজ দিয়েছে।নেওয়াজ বার বার আমার মেয়েকে রক্ষা করেছে।যতবার পাচার হতে গিয়েছে নেওয়াজ ততবার ই কোন না কোনো ভাবে পুলিশ কে জানিয়ে দিয়েছে।মঈন সিদ্দিকীর টিম অনেক বড়, তাইতো নেওয়াজ ভয়ে কিছুই করতে পারে নি।নেওয়াজ যেখানেই গিয়েছে মঈন চোখে চোখে রেখেছে।ওই বন্ধ ঘরে আমাদের সুখ, দুঃখের সাথি ছিলো নেওয়াজ।আমার মিথু মা যে বেঁচে আছে সেটা নেওয়াজের জন্য ই।কিন্তু মঈন সিদ্দিকী কোনদিন বুঝতেই পারে নি নেওয়াজ মঈনের বিপক্ষে কাজ করে চলেছে।আর আমাকে এখানে আটকে রেখেছে সেটা নেওয়াজ এর ই জন্য।মঈন চেয়েছিলো আমাকে,মৃথিলা আর মৃথিলার মাকে মেরে ফেলতে।কিন্তু নেওয়াজ আমাদের বাঁচিয়ে রাখতেই মঈন কে বুদ্ধি দিয়েছিলো যে মৃথিলাকে বাঁচিয়ে রেখে বড় হলে পাচার করতে।আর আমাদের আটকে রেখে অসহনীয় কষ্টের জীবন দিতে।আর আমাদের কাছে থাকা প্রামণ উদ্ধার করানোর জন্য আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে বলেছিলো।নেওয়াজ অনেক রকম বুদ্ধি দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে।বলেছিলো আমার কাছের যে প্রমাণ সেটা এমন কারো কাছে রেখেছি আমাকে মেরে ফেললে সেটা ব্লাস্ট হয়ে যাবে।বিভিন্ন রকম চালাকির মাধ্যমে নেওয়াজ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে।নিজের পরিবারের সাথে সমস্ত যোগাযোগ অফ রেখে মঈনের বিশ্বাস অর্জন করেছে।মঈনের বাড়িতে রহিম নামক কাজের লোক হয়ে জীবন কাটিয়ে আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে মঈন হয়েই মঈনের পাপ ঘাড়ে নিয়ে মৃত্যু কে আপণ করে নিয়েছে।যখন নেওয়াজ কে গ্রেফ তার করা হলো নিজের মেয়েকে বাঁচাতেই সে মঈন হওয়ার নাটক চালিয়ে গেলো।নিয়তি এত নিষ্টুর কেনো?

চলবে,,

(নেওয়াজ নামক চরিত্র টা পুরো গল্পের ইমোশনাল একটা চরিত্র,উপন্যাসের থিম টা যখন ভেবেছিলাম এই চরিত্রর জন্য ভীষন মায়া লেগেছিলো।কেমন যেনো মন খারাপ লাগছে।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here