প্রথম প্রেম পর্ব ২৯+৩০

#প্রথম_প্রেম
২৯ তম পর্ব।

শাওন রেজাল্ট পেয়ে, দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে কাঁদছে, এ কান্না আনন্দের, বেদনার নয়। বি.সি.এস এর লিখিত পরীক্ষায় সে উত্তীর্ণ হয়েছে।

সাইবার ক্যাফের বারান্দায় দাঁড়ুয়ে আছে শাওন, তিন তলার উপর বারান্দা, নিচে অগণিত গাড়ী ছুটছে, নিজ গন্তব্য, হর্ণের প্রচন্ড শব্দ হচ্ছে, কিন্তু শাওনের কানে কোন শব্দে যাচ্ছেনা, সে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, তার দুচোখ ভর্তি স্বপ্ন ডানা চারিদিকে মেলছে।

শাওন সাথে সাথে মাকে খবর জানিয়ে দিল, তিনি শুধুই বলছেন, বাবা, এখন শুধু তুমি শুভ সংবাদ পাইবা, আল্লাহ আমাদের দিকে মুখ তুইলা চাইছেন। আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া, আমার শোকরানা নামায আদায় করতে অইবো, এখন রাখি। তুমি তোমার ভাইজান রে জানিও বাবা।

উর্মি খবর শুনে বলছে, আজকের দিনের মতো আনন্দের দিন আর নেই, আমি জানি তুমি ভাইবা পাশ করবে, ফরেইন ক্যাডার হবে, আমরা দেশে দেশে ঘুরে বেড়াবো। তাইনা?
– আমার যেকোনো ক্যাডারে হউক, আমি খুশি।
– শোনো, আল্লাহর কাছে যখন চাইবে, বেশি করে চাইতে হবে।
– হুম, তা ঠিক।
– তুমি আমার সাথে দেখা করবেনা?
– নতুন ব্যাংকের চাকরি, বুঝোই তো!
– আর কত বুঝবো। মানুষ কত ডেটিং করে, ঘুরে, হাত হাত রেখে রিকশায় ঘুরে৷ আর তুমি?
– আমি আপাদমস্তকই তোমার আর কি চাই?
– হুম তাইতো বলবা!

মুন্নি দেবরের খবর শুনে খুব বেশি খুশি হতে পারলেন না, তিনি সজিব কে বলছেন,
আমার মামাতো ভাই কত বার পরীক্ষা দিল হইছে নাকি?
– তোমার মামাতো ভাই প্রিলি পরীক্ষা দিয়েছে। আর ও প্রিলি রিটেন পাশ করেছে, এখন ভাইবা দিবে।
– ভাইবা পাশ না করলে, ঘটনা একই।
– তুমি বুঝবেনা, কে যে তোমারে ডিগ্রি পাশের সার্টিফিকেট দিয়েছে, দেখতে ইচ্ছে করে।
– ওমা! ভাইয়ের প্রতি দরদ হয়েছে দেখি!
– একজন ভালো রেজাল্ট করছে, তাকে উৎসাহ দিব না?
– দাও, বেশি করে দাও।
– কোথায় যাচ্ছ?
– একটু বাইরে?
– কি, রুনা ভাবীকে খবর দিবা? নাকি বিয়ের প্রুপোজাল দিবা?
– রুনা ভাবীর ঠ্যাকা পরছে, তোমাদের ফকির গোষ্টিতে মেয়ে বিয়ে দেবে।

মুন্নি দরজা লাগিয়ে চলে গেলেন, সজিবের আজ ভেতরে ভেতরে খুশি লাগছে। এক ঘরে দুই ভাইয়ের বি.সি.এস হলে বেশ ভালোই হয়!

আজ নববর্ষ, উর্মি সকালেই সাদা রঙের লাল পার শাড়ি পরে সেজেছে। বেশ দারুণ লাগছে। উর্মি অনেক বার বলেছে, শাওন কে দেখা করতে আসতে, কিন্তু শাওনের নতুন চাকরির ঝামেলায় আসতে পারিনি।

বাসা থেকে বের হবার সময় অনিক ফোন দিল,
হ্যালো
– উর্মি শাড়ি পরেছ নাকি?
– হ্যা
– ভার্সিটি যাবে?
– না, সাইয়ারার সাথে ঢাবি তে যাবো। এখন রাখি, রিকশা খুঁজতে হবে।
– কেন? আংকেলের গাড়ী?
– আম্মু আজ নানুর বাসায় গিয়েছেন, গাড়ী নিয়ে।
,- গিভ মি ফাইভ মিনিট, আমি আসছি।
,- না, আমি যেতে পারবো।
– শোন, আমি আজ পাপার গাড়ী নিয়ে বের হয়েছি, আর আমি তোমার বাসার কাছেই আছি।
– না করলাম তো অনিক!
– ও তোনার ন্যারো মাইন্ডেড বয় ফ্রেন্ড কি না করেছে?
– হি ইজ মাই উড বি হাজবেন্ড।
– বিয়ে ঠিক নাকি?
– আমরা ঠিক, আবার ঠিক করা লাগে নাকি?
– বুঝলাম। তুমি নামো, আমি অলমোস্ট চলে এসেছি।
– অনিক, আমি না করলাম তো!
– আরে, এতো ভাব ধর কেন? আমি তোমার বন্ধুই তো? তাইনা?
– ওকে!

উর্মি জানে, এই ছেলে নাছোড় বান্দা। সে আসছে যখন গাড়ীতে তুলবেই।

উর্মি গাড়ীর পিছনের দরজা খুলতে যাচ্ছে, তখন অনিক বললো, হ্যালো ম্যাম আই এম নট ইউর ড্রাইভার! সামনে আসো।

উর্মির বেশ সংকোচ লাগছে। কেমন খারাপ ও লাগছে।

অনিকের হাতে একটা আইস্ক্রিম, উর্মি কি দিয়ে বললো, নাও খাও। বাইরে কি বিশ্রি গরম, গাড়ীর এসি এজন্য আগে ছেড়ে, ঠান্ডা করেছি।
– থ্যাংক ইউ।
– অনেক সুন্দর লাগছে বন্ধু
– ধন্যবাদ।

এরপর থেকে প্রায়ই উর্মিকে ড্রপ দে অনিক। প্রথম প্রথম উর্মির খুব বিরক্ত লাগতো। এখন উর্মি বেশ মিশেছে অনিকের সাথে। সে আসলেই উর্মিকে বন্ধুর মতো পছন্দ করে। এবং বার বারই বলে আমি শুধু তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড হতে চাই।

কিন্তু উর্মি শাওনের সাথে কথা বলা, এবং ঠান দুটোই আগের মতো আছে। শুধু অনিকের সাথে বন্ধুত্বের কথা শাওন কে জানায়নি উর্মি। তবে, ইদানীং অনিকের সাথে কথা না হলেও খারাপ লাগে কারণ সে আসলেই সাইয়ারার মতো আরেকজন বন্ধু তার…

আজ দেড় মাস পর, ঢাকা যাচ্ছে শাওন। প্রচন্ড রকমের আনন্দ হচ্ছে শাওনের। মা এবং উর্মি দুজনের সাথে দেখা হবে। তাছাড়া সজিব বার বার করে ফোন দিয়ে বলেছেন, যেন একবার বাসায় এসে, দেখা করে। তাই শাওন আজ ভাইয়ের কোয়ার্টারে ও যাবে।

রাতের ট্রেনে ঢাকা যাবে শাওন, স্টেশনে বেশ আগেই চলে এসেছে। শাওন বসে বই পড়ছে, তখনই সাইয়ারার
কল,
হ্যালো।
– ভাইয়া, আমি সাইয়ারা।
– কেমন আছ? উর্মি কি ফোন দিতে বলেছে?
– আরে না। ভাইয়া কিভাবে শুরু করবো?
– আমার উর্মি ঠিক আছে তো?
– হুম,
-তাহলে?
– আসলে ভাইয়া, উর্মি তো আজ প্রায় এক মাস ধরে অনিকের বাইকে, গাড়ীতে ঘুরাঘুরি করে। বাইরে খেতেও যায়।
– অনিক ওর কাজিন?
– না৷ ওই যে ওকে পছন্দ করতো!
– হয়তো বন্ধুত্ব হয়েছে, এক ক্লাসে পড়ে।
– আপনাকে বলেছে নাকি?
– হয়তো বলেনি, তবে বলবে।
– ভাইয়া, ওদের দেখে শুধু বন্ধু মনে হয়না!
– আচ্ছা, আমি কাল উর্মিকে জিজ্ঞেস করবো! কাল ওর সাথে সিটিং আছে।
– প্লিজ, আমার কথা বলবেন না।
– না, না, বলবো না। ভালো থেকো তুমি।
– জি।

শাওনের মাথা দিয়ে কিছুই যাচ্ছেনা। অনেক দিন আগেই অনিকের ব্যাপারে সব না বলতে বলেছিল শাওন, হয়তো এজন্যই ভয়ে বলেনি। সে শুধুই শাওনের। না, উর্মি কখনো অন্য কারোর হতে পারেনা।
শাওন আবার ভাবছে, তার ফুলের মতো পবিত্র ভালবাসার মেয়েটিকে নিয়ে কি ভাবছে! সে অবশ্যই ভালো, ভালো এবং ভালো।

সকাল বেলা ভাইয়ের ফোন পেয়ে শাওন সরাসরি ভাইয়ের বাসায় গেল। হাতে রসমালাই মিষ্টি দই।

মুন্নি বেশ খাতির করছেন দই মিষ্টি দেখে!

সজিব বললেন এই, তুই বিসিএসে চান্স পেলেই, তোর ভাবী উর্মির বাসায় বিয়ের প্রুপোজাল নিয়ে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে।
– কি যে বলো, উর্মি এখন বুয়েটে পড়ে। তাছাড়া ওর তো অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক। প্রতিদিন ছেলে বাইকে করে নিতে আসে। আজকেও দেখবে নয়টার সময় আসবে।

শাওনের মুখ টা অন্ধকার হয়ে গিয়েছে, সব এলোমেলো লাগছে। শাওন ভেবেছিল আজ ও আগের মতো তার উর্মিকে দেখবে, এজন্য টেক্সট করতে চেয়েছিল, কিন্তু এখন ইচ্ছে হচ্ছেনা।

এখন ঘড়িতে সাড়ে আটটা বাজে, শাওন নয়টার অপেক্ষা করছে, দেখার জন্য সত্যি কি তার উর্মি অন্য কারো বাইকে যাবে? যেতেই পারে, সে জিগ্যেস করবে, কি বলবে তখন? মিথ্যা বলবে কি উর্মি? নাকি এই সবার কথাই মিথ্যা, কিছুই ভালো লাগছেনা, সে শুধু নয়টার অপেক্ষায় আছে….
#প্রথম_প্রেম
৩০ তম পর্ব।

শাওন জানালার দিকে তাকায়ে আছে, হঠাৎ দেখলো অনিক এসে কোয়ার্টারের গেইটের পাশে এসে মোবাইল বের করে কল দিচ্ছে, কিন্তু কল দেওয়ার আগেই উর্মি এসে বাইকের পিছনে খুব ইজিলি বসে গেল, এবং এক হাত দিয়ে অনিকের কাঁধে হাত রাখলো।

শাওন তার চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছেনা, সত্যি কি উর্মি এরকম হতে পারে? হয়তো বন্ধুত্ব হয়েছে তাই ওর সাথে যাচ্ছে আসছে। শাওন নিজেকে শান্ত রাখার খুব চেষ্টা করছে, কিন্তু মন অস্থির লাগছে খুব।

মুন্নি বললো, কি বিশ্বাস হলো?
– কি ভাবী?
– উর্মি যে প্রেম করছে।
– করুক, আমি কি করবো?
– শাওন শোন, আমি ঘাস খাইনা!
– জানি, তুমি ভাত খাও। ভাবী এক কাপ চা দিবা? মাথা ধরেছে।
– এই সিন দেখলে মাথা ধরবেই, আচ্ছা দিচ্ছি!

শাওন বার বার নিজেকে বলছে, না, শাওন তুমি তোমার উর্মিকে ভুল বুঝতে যাচ্ছ…তোমার উর্মি শুধুই তোমার। শাওন উর্মি কে দুই বার কল দিল, কিন্তু উর্মি রিসিভ করেনি। এই জন্য মন টা আরও খচখচ করছে।

এক ঘন্টা পরে উর্মি কল দিল,
হ্যালো!
– কেমন আছ?
– ভালো, সরি আমি বাইরে ছিলাম শুনতে পাইনি কল।
– এখন কোথায়?
– ভার্সিটিতে। আর কোথায় থাকবো।

শাওন কিভাবে উর্মি কে জিজ্ঞেস করবে? যদি উর্মি কষ্ট পায়? যদি সেরকম কিচ্ছু না থাকে।

উর্মি রাস্তায় কি জ্যাম?
– না, জ্যাম নেই।
– গাড়ী দিয়ে গিয়েছ?
– হুম, বাবা নামিয়ে দিয়ে গেল, আচ্ছা, আমি একটু পরে কল দিচ্ছি, ক্লাস শুরু হবে এখন।
– বিকালে কিংবা দুপুরে ফ্রি আছ?
– কেন?
– আমি ঢাকায় এসেছি!
– কি?
– হুম, আচ্ছা ক্লাস করে কল দিও।

শাওনের ইচ্ছে করছে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে কেন তার উর্মি তার সাথে মিথ্যা বলছে? কেন? শাওন ভাবীর কাছ থেকে চায়ের কাপ নিয়ে ছাদে গেল।

ছাদে যেতেই মনে পড়ছে, আহারে, সেদিন কত মুধুর ছিল যখন তার উর্মি তাকে এক নজর দেখার জন্য পাগল ছিল! আর আজ যখন সে উর্মির জন্য পাগল, উর্মি তাকে মিথ্যা বলছে।

উর্মির ক্লাসে মন বসছেনা, কেন এবার শাওন তাকে বা জানিয়ে ঢাকা এসেছে? তার কন্ঠ এমন ভারী ভারী শুনাচ্ছে কেন? উর্মির কিছুই মাথায় ঢুকছেনা! দম বন্ধ লাগছে।

শাওন অনেকক্ষণ ছাদে বসে আছে, মনে হচ্ছে বুকে বিশাল পাথর জমে গিয়েছে, মনে হচ্ছে তারচেয়ে পিঁপড়া ও আজ অনেক সুখী। ঘন্টা খানেক পর শাওন যখন ছাদ থেকে নামছে, তখন রুনা খানম ও সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছেন।

শাওন সালাম দিতেই বললেন, আরে! শাওন কেমন আছ?
– জি ভালো আছি।
– শুনলাম রিটেন হয়ে গিয়েছে, ব্যাংকার ও হয়ে গিয়েছ! পাত্রী দেখে বিয়ে করে নাও। দেখবো নাকি?
ভাবী হিসেবে কিছু দায়িত্ব আছে, তাইনা?
– জি, জি।

শাওন আর বেশি কিছু না বলে, তাদের ফ্ল্যাটে চলে গেল। শাওনের ইচ্ছে হচ্ছে বলতে, আম্মাজান আমার বউ তো আপনার কাছে, কিন্তু সে আজ কেন এমন করছে, তাই ভেবে পাচ্ছিনা।

দুইজন মিলে ধানমন্ডি লেকে দুপুরে দেখা করতে আসবে, ঠিক করলো। আজ শাওন লেকের একদম পাশে বসেছে, আজ কোন আনন্দ হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে লেইকের পানি কত শান্ত, আর তার মনে যে কি উথাল পাতাল ঢেউ উঠছে কে বুঝবে।

উর্মি এসে বললো কেমন আছ?
– ভালো আছি। তুমি?
– আমি এই মুহুর্তে খুব ভালো আছি, কারণ তুমি আমার পাশে। তুমি পাশে থাকলে আমি সব সময় ভালো থাকি?
– তাই?
– ইয়েস।

শাওন কিভাবে শুরু করবে, বুঝতে পারছেনা। এই মায়াভরা চেহারা, এই মায়াবী সম্পর্ক কি সত্যিই মিথ্যা?
কি হবে একটু পর?

উর্মি শাওনের হাত ধরে বসে আছে।

শাওন বললো উর্মি তুমি কি আমাকে আগের মতোই ভালবাস? আমার বালিকা উর্মির মতো?
– আরও বেশি। কোন সন্দেহ আছে?
– আচ্ছা উর্মি আজ তুমি কার বাইকে করে ভার্সিটি গেলে?

উর্মি সাথে সাথেই বললো, কি? কে বললো?
– আমি নিজের দুই চোখ দিয়ে দেখলাম।
– মানে?
– মানে, আমি ভাইয়ার ফ্ল্যাট থেকে দেখলাম।
– হি ইজ মাই ফ্রেন্ড, শাওন। তুমি এরকম সন্দেহ বাতিক গ্রস্থ কবে হলে?
– আমি কি খারাপ কিছু বলেছি?
– অবশ্যই, তুমি তাই মিন করছো। হি ইজ মাই বেস্ট ফ্রেন্ড নাও। আই লাইক হিম এজ মাই ফ্রেন্ড।
– আমাকে বলনি কেন?
– তুমি তাকে পছন্দ কর না, তাই।
– আচ্ছা, আমার পরিবর্তে যদি ও আমার জায়গায় আসে, তুমি খুশি হবে? তাইনা?
– তুমি কি পাগল নাকি?
– তুমি কি ওকে পছন্দ কর?
– হি ইজ মাই ফ্রেন্ড, নাথিং এলস।
– তুমি তাকে নিয়ে এই জায়গায় নাকি প্রায়ই আসো!
– কি বলছে?
– ইয়েস অর নট?
– আসি, কারণ আমি ক্লাস করে খুব হ্যাং হয়ে থাকি, তখন আসি।
– তুমি একদিন বলেছিলে, এই জায়গায় তুমি আমাকে ছাড়া আসা ভাবতেই পার না
– তুমি আর ও কি সেইম। আমি তোমাকে আমার হাজবেন্ড মনে করি।

শাওন খুব শান্ত ভাবে উর্মিকে বললো উর্মি তুমি আমার জীবনের সব,সব মানেই সব। কিন্তু তুমি এই দুইমাসে অনেক ঘুরাঘুরি, অনেক কিছুই করেছ। অনিক তোমার ফ্রেন্ড, তাতে আমার সমস্যা নাই। কিন্তু এভাবে সব কিছু আমাকে লুকিয়ে করলে এটাই আমার কষ্ট।
– আই এম সরি।
– উর্মি, সরি তে সব কিছু হয়না। যাই হউক আজ আমি বাড়ি যাচ্ছি। আমি পড়শু সকালে ফিরবো। তুমি পড়শু দিন শুধু আমাকে জানাবে এই দুই মাস তুমি কি করেছিলে? দ্যান আমি সব ভুলে যাবো।
– তুমি আমাকে বিশ্বাস কর না?
– আর কিছু আপাতত বলতে ইচ্ছে করছেনা, তুমি আমাকে আজ কাল আর ফোন দিওনা, পড়শু জানিও কি করবে! আসি।

শাওন আর কিছু না বলেই, হাঁটা শুরু করে দিল। পিছন দিকে ফিরেই দেখছেনা। খুব খারাপ লাগছে শাওনের, তবুও সে তার সম্পর্কে সবকিছু ক্লিয়ার করেই আগাতে চায়, উর্মি কে সামান্য সন্দেহ করা আর, তার নিজেকে ছোট করা একই।

শাওন পড়শু দিনের অপেক্ষা করছে, কি বলবে সে? সে যাই বলুক সব মেনে নিয়েই তাকে ভালবাসবে। কিন্তু হাইড করলে সেটা সমস্যা। শাওনের এই দুই দিন বাড়ীতে কি অবস্থায় কাটবে, এটা শুধু সে জানে। তবুও সে ভালো কিছুর অপেক্ষা করছে…

চলবে..

আন্নামা চৌধুরী।
০৬/১০/২০২১
চলবে…

আন্নামা চৌধুরী।
০১.১০.২০২১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here