প্রাণস্পন্দন পর্ব ১১+১২

#প্রাণস্পন্দন
#পর্বঃ১১
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি

শহিদ মিনারে সামনের দিকের সিঁড়ির দুইপাশে নয়নতারা ফুলগাছের সারি।সাদা,গোলাপী,লাল রঙের নয়নতারা তারার মতোই ফুটে আছে।কয়েকটা প্রজাপতি দোল খেলে যাচ্ছে সেই ফুলের ওপর।উড়ে উড়ে ফুলের সৌন্দর্য যেনো কয়েকগুন বাড়িয়ে তুলেছে।কিন্তু সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো ব্ল্যাকবেরি রঙের নয়নতারা।বিশেষ নিরাপত্তাও আছে তাদের জন্য।প্রিন্সিপ্যালের কড়া নির্দেশে তাতে হাত দেওয়াও মানা।

সেই সিঁড়িতে হাসি ঠাট্টায় বাতাস কাঁপিয়ে তুলছে সবাই।নিষ্প্রান শুধু শ্রবণ করছে।খানিক সময় পর সেখানে উপস্থিত হয় আয়েন্দ্রি আর কুসুম।কুসুমকে দেখেই ভূত দেখার মতো চমকে বললো সীমান্ত—

“কিরে সেদ্ধ ডিমের কুসুম!বাইরিয়া আইলি কইত্তে?তোরে তো হেরিক্যান দিয়া খুঁজতাছি।”

কুসুম আলতো হেসে বললো—

“গ্রামে গিয়েছিলাম।”

সীমান্ত অবাক হওয়ার ভান করে দুই গালে হাত চেপে ধরে বললো–

“কি কস?ওই বিয়া টিয়া কইরা ফালাইছোস নাকি?দেখ বিয়া করলে ক্ষতি নাই কিন্তু বাসর আমাগো ফালাইয়া করবি না।আরে আমাগো তো একটা হক আছে।”

সীমান্তের কথায় মুচকি হাসে নিষ্প্রাণ।আয়েন্দ্রি ঠোঁট চেপে হাসি রোধ করার চেষ্টা করে।অপ্রস্তুত হয় কুসুম।প্রাবিশ ঝাঁড়া মেরে উঠে—

“চুপকর।অশ্লীল কোথাকার!

“হ মামা আমি কইলেই অশ্লীল।এরা যে তলে তলে শ্লীলতাহানি করে তার বেলা।”

কুসুম গাঢ় গলায় বললো—

“এমন কিছু নয়।মায়ের শরীরটা ভালো ছিলো না তাই।”

“তাইলে ঠিক আছে।”

আয়েন্দ্রি অবাক হয়।নিষ্প্রাণ এক এক করে সবার দিকে তাকালেও তার দিকে একবারও তাকায়নি।কিন্তু কেন?

আয়েন্দ্রি মৃদু গলায় প্রশ্ন ছুঁড়ে —

“কেমন আছো?

প্রাবিশ,সীমান্ত সবাই তাকালেও ফিরে তাকালো না নিষ্প্রাণ।আয়েন্দ্রির মন ক্ষুন্ন হয়।কিঞ্চিৎ রাগও হয়।জমাট গলায় বলে উঠে—

“তোমার কী আমার সাথে কথা বলতে কোনো সমস্যা?

তখনই আযান হয় আছরের।নিষ্প্রাণ ব্যাগটা কাঁধে তুলে নেয়।হাঁটা ধরে মসজিদের উদ্দেশ্যে।আয়েন্দ্রি যারপনাই অবাক হবে নাকি তাকে ইগনোর করার জন্য রাগ করবে বুঝতে পারছে না।আয়েন্দ্রির ভরাট মুখটা চুপসে একটু খানি হয়ে যায়।প্রাবিশ গম্ভীর মুখে বললো—

“আয়েন্দ্রি!এনি থিংক রং?

সীমান্ত ফিচেল হেসে ঠাট্টারছলে বললো—

“কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু ছাইড়া যাইবা যদি…।”

ফিক করে হেসে ফেলে কুসুম।তার হাসির আওয়াজে কটমটিয়ে তাকায় আয়েন্দ্রি।তৎক্ষনাৎ ঠোঁট দুটো ভেতর দিকে চেপে ধরে কুসুম।কোমল হাসে প্রাবিশ।আয়েন্দ্রি প্রতিবাদ করে বললো–

“মোটেও না।আমি প্রেমে পড়িনি।”

সীমান্ত যেনো গুপ্তধন পেলো।প্রাবিশের পিঠে ঠাসা এক চাপড় মেরে বললো—

“আমি আবার কহন কইলাম আন্দি প্রেমে পড়ছে।সারছে নিষ্প্রাইন্না।এই আন্দি যদি নিষ্প্রাইন্নার গলায় ঝুলে জীবনটা ফালা ফালা কইরা দিবো।”

প্রাবিশ দুই হাত জোড় করে মাথায় ঠেকিয়ে বললো—

“চুপকর ভাই।ভগবানের দোহায় লাগে।কী শুরু করলি তুই!

প্রাবিশ আয়েন্দ্রির দিকে তাকায়।মুচকি হেসে বললো—

“তুই নাকি ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রামে গান গাইবি?

সীমান্তের হাতে লাগলো চাঁদের হাট।সিঁড়ির উপর গাটা এলিয়ে দিয়ে আকাশের দিকে সরল দৃষ্টি দিয়ে বললো–

“অনুষ্ঠান কোনদিন রে?কইয়া দিছ।ভার্সিটি আমু না সেদিন।এই আন্দির গান শুইনা আমার বিয়ে ছাড়া বউডারে বিধবা করতে চাই না।”

আয়েন্দ্রি অস্বস্তিকর গলায় বললো—

“এই তুই যাবি?নাকি একাই চলে যাবো?

প্রাবিশ আলতো হেসে বললো–

“আজ তোকে একাই যেতে হবে।আমার একটু কাজ আছে।”

হনহন করে হাঁটা ধরে আয়িন্দ্রি।সীমান্ত সন্দিগ্ধ গলায় নির্বিকার হয়ে বললো—

“আন্দির মতিগতি আমার ভালো ঠেকতাছে না।”

কুসুমের বাসা ভার্সিটির পাশেই।তাই সে একাই হাঁটা ধরে।
,
,
,
নামায শেষ করে মসজিদ থেকে বের হয় নিষ্প্রাণ।আজ প্রাবিশ সীমান্তের বাসায় যাবে।তাই আর ভার্সিটির দিকে এগোলো না নিষ্প্রাণ।বড় রাস্তার দিকে হাঁটা ধরে।একটা ক্লান্ত গলা শুনে থমকে যায় নিষ্প্রাণ।

“প্রাণ!

নিষ্প্রাণের দেহপিঞ্জর কাঁপতে থাকে।ভারী হতে থাকে শ্বাস।পেছন ফিরে মুক্ত গলায় বললো—

“নিষ্প্রাণ।”

আয়েন্দ্রি মুক্ত হাসে।হেসে হেসে বললো—

“নিষ্প্রাণ!এ কেমন নাম!নিষ্প্রাণ মানে প্রাণহীন,জড়।তুমি তো তা নও।তাই তুমি প্রাণ।এখন থেকে আমি তোমাকে প্রাণ বলেই ডাকবো।এনি প্রবলেম?

নিষ্প্রাণ মুগ্ধ হাসে।আয়েন্দ্রি খেয়াল করে নিষ্প্রাণ মুচকি হাসলে তার ঠোঁটই হালকা প্রসারিত হয় শুধু যা অন্যদের সময় দাঁত বেরিয়ে আসে।আর নিষ্প্রাণের চোখের পাতা নেচে উঠে তার সাথে।গ্লাসের ফাঁক দিয়েও চোখদুটো তে কেমন মায়া লাগে।নিষ্প্রাণ চোখ তুলে তাকায়নি আয়েন্দ্রির দিকে।আয়েন্দ্রি গভীর মনোযোগে সেটাই দেখছিলো।ফুটপাতেই বসে আছে একজন পাগল লোক।মাথাভর্তি চুলে ময়লা জড়ানো।গায়ে ছেড়া শার্ট।ধূলোবালিতে যেনো গোসল করে এসেছে।তার সামনেই একটা কুকুর কী যেনো শুঁকে যাচ্ছে।

ফিকে গলায় প্রশ্ন করে আয়েন্দ্রি—

“আমি কী দেখতে খুব খারাপ?

নিষ্প্রাণ গুমোট হাসে।বুকের ভেতর জ্বলে ভয়ংকর সেই আগুনের লেলিহান শিখা।চোখে ভাসে সেই ঠোঁট।সেই লাল তিল,সেই হাসি।আর কানে বাজে,”বিয়ে করবি আমায়?
আয়েন্দ্রি ভ্রু কুঞ্চি করে বিস্ময়কর দৃষ্টিতে তাকায়।দেখতে পায় নিষ্প্রাণ উন্মনা হয়ে কিছু একটা ভাবছে।আর তাতে তার ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠেছে অমায়িক হাসি।আয়েন্দ্রি উৎসুক মন ভাবে,এই ছেলেটা এতো কম কথা কী করে বলে?শুধু হাসে।

“প্রাণ!

পূর্ণ নজরে আয়েন্দ্রির দিকে তাকায় নিষ্প্রাণ।তার শান্ত অক্ষিযুগল বিদ্ধ হয় আয়েন্দ্রির অধরে।সেই লাল তীলে।অস্ফুট আওয়াজে বললো–

“হুম।”

“একটা হেল্প করবে আমায়?

নিষ্প্রাণ কিছুক্ষণ থেমে বললো—

“বলো।”

আয়েন্দ্রি দ্বিধান্বিত গলায় ভেঙে ভেঙে বললো—

“শুনেছি তুমি নাকি সব সাবজেক্টের নোট তৈরি করে রাখো?
আমাকে ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রির নোটটা দিবে।দুই দিন পরই ফেরত দিয়ে দিবো।”

নিষ্প্রাণ প্রসন্ন গলায় বললো—

“ওকে।কাল নিয়ে আসবো আমি।”

“থ্যাংক ইউ।”
#প্রাণস্পন্দন
#পর্বঃ১২
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি

ঝলমলে শুভ্র, নির্মেঘ অন্তরীক্ষের দাবদাহে ভীষণ ক্লান্ত পরিবেশ।প্রভাকরের উষ্ণ লীলায় যেনো আজ কার্পণ্য নেই।বহমান সমীরেও নেই চঞ্চলতা।চক্ষুদর্পণে তা নিরাক ধরে নেওয়া যায়।দুপুর রোদের এই চাঞ্চল্যতায় মন ক্ষুন্ন বসুন্ধরার।বিধ্বস্ত সে,বিমূঢ় সে।

ক্যান্টিনের গোল টেবিলের ঠিক উপরে ভনভনিয়ে চলছে ফ্যান।ত্রিধার খোলা ক্যান্টিনের ভেতরেও নেই সামান্য শীতলতা।গরমে হাঁসফাঁস করা আয়েন্দ্রি তার স্বীয় ওড়নাটা গলদেশ থেকে কিঞ্চিৎ নামিয়ে বুকের অপর এনে দেই।তাতেও রক্ষে নেই।ঘুর্ণায়মান ফ্যানের কলকলানি বাতাস কাঁপালেও শরীরের লোম যেনো তা আস্বাদন করতে পারছে না।হাঁপিয়ে উঠা গলায় বললো আয়েন্দ্রি—

“এই গরমে তো মরে যাবো রে!

সীমান্ত একগাল হেসে বললো–

“আরে মরতি না।মাইয়া মানুষের জান কই মাছের জান।এতো সহজে ধরনী হালকা হইতো না।”

সীমান্তের কথায় হোঁচল খায় আয়েন্দ্রি।অক্ষিপল্লব বিস্তৃত করে বললো–

“তোর সমস্যা কী?সব সময় পেছনে লেগে থাকিস কেন?

সীমান্ত সরল দৃষ্টি দিয়ে নিজের আশপাশ দেখে বললো—

“কই দেখলি পেছন?আমি তো তোর সামনে।”

প্রাবিশ এতোক্ষণ হাসি চেপে রাখলেও এইবার ফট করে হেসে ফেলে।চোখ জোড়া মিনমিনে করে প্রাবিশের দিকে তাকায় আয়েন্দ্রি।নিষ্প্রাণ বইয়ে মুখ গুঁজে রেখেছে।তার গ্লাসের উপরের ফাঁক দিয়ে লম্বা পল্লব দেখে চলছে আয়েন্দ্রি।চকিতে নিষ্প্রাণের কাঁধে এক বিশাল থাবা বসায় সীমান্ত।ফিচেল হেসে বললো—

“মামা সাবধান।তুমি মামা বাঘিনীর নজরে পড়ছো।মাংস নিয়া টানাটানি করলে উই ডোন্ট নো।”

নিষ্প্রাণের ঠোঁটে সেই আলতো হাসি।হট করেই বলে উঠে আয়েন্দ্রি—

“তুই বেশি কথা বলিস।আজকেই তোর বাবার কাছে গিয়ে বলে আসবো।”

সীমান্ত প্রাণোচ্ছল হেসে বললো–

“কিতা কইবি বইনা?আমার বাপরে গিয়া ক এইসব কেমেস্ট্রি ফেমিস্ট্রি আমারে দিয়া হইবো না।বিয়া করাইতে আমরে।তোগোরে চাচ্চু আর ফুফু বানামু।”

“ছিঃ!অশ্লীল!

সীমান্ত ঠোঁট বাকিয়ে বললো—

“আ মর জ্বালা।বিয়ার কথা কইলেও অশ্লীল!

আয়েন্দ্রি তর্ক করা বন্ধ করে।সেখানে দৌঁড়ে আসে তৃণা।স্যার প্র্যাকটিসের জন্য ডাকছে আয়েন্দ্রিকে।আয়েন্দ্রি যেতে চাইছে না।তৃণা জোর করে নিয়ে যায় তাকে।

বই থেকে মাথা তোলে নিষ্প্রাণ।বই বন্ধ করে ব্যাগের ভেতর রেখে সামনে তাকাতেই সীমান্তের সন্দিগ্ধ চোখ জোড়া চকচক করে উঠে।সন্দিহান গলায় প্রশ্ন ছুঁড়ে—

“নিষ্প্রাইন্না !সমস্যা কী তোর?আন্দিরে দেখলেই সাপের মতো মোড়ামোড়ি করছ ক্যান?

নিষ্প্রাণ আলতো হেসে মোলায়েম গলায় বললো—

“এমন কিছু নয়।ওর কাছে আমার একটা নোট আছে।নিয়ে নিস।আমি গেলাম।”

প্রাবিশ কৌতূহলী গলায় বললো—

“কোথায় যাচ্ছিস?ক্লাস করবি না?

“না।মেসে যাচ্ছি।কাজ আছে আমার।ব্রেক আওয়ারের পর আসবো।আসি এখন।”

সীমান্ত আর প্রাবিশের অদৃশ্য চিন্তায় আবিষ্ট অক্ষিজোড়ার পল্লব ধীরে ধীরে উঠানামা করছে।
,
,
,
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটা রেস্তোরাঁয় এসে ঢুকে নিষ্প্রাণ।একদম কোণার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে বসে পড়ে।গায়ের পোলোশার্টটা ঘেমে চেপে আছে শরীরের সাথে।ঘমার্ত মুখের চোয়াল বেয়ে নামছে উষ্ণ জলের স্মিত ধারা।ভ্রুযুগলের কার্ণিশে কার্ণিশে ঘামের নহর।সামনের চুলগুলো লেপ্টে আছে কপালে।নিষ্প্রাণ চোখের চশমাটা খুলে টেবিলের উপর রাখে।পকেট থেকে সফেদ রঙের একটা পাতলা রুমাল বের করে ঘামে ভেজা মুখটা মুছে নেয়।ফর্সা মুখে ঘামের ফোটা মুক্তোর মতো ঝুলছে।
নিষ্প্রাণের এই অবস্থা দেখে সামনের ভদ্রলোক অমায়িক হাসলেন।নির্বিঘ্ন গলায় বললেন—

” আর ইউ অলরাইট নিষ্প্রাণ?

নিষ্প্রাণ চট করেই রুমালটা পকেটে ঢুকিয়ে নেয়।চমৎকার হেসে বললো—

“ইয়েস।আই এম ফাইন।কেমন আছেন আপনি?

ভদ্রলোক ছোট্ট করে জবাব দিলেন—

“ভালো।”

“দাদু কেমন আছেন?তার বুকের ব্যথাটা কমেছে?

ভদ্রলোক চিরাচরিত ব্যবহারসুলভ নিষ্প্রাণের সামনে একটা খাম রাখলেন।মৃদু গলায় বললেন–

“জ্বী,তিনি ভালো আছেন।আপনার এই মাসের হাত খরচ।”

নিষ্প্রাণ খাম হাতে নিয়ে বললো—

“আমার কিছু বই কিনতে হবে।বাড়তি টাকার কথা বলেছি দাদুকে।তিনি কী তা দিয়েছেন?

ভদ্রলোক স্মিত হেসে বললেন—

“জ্বী।আপনার বইয়ের জন্য তিনি বাড়তি দু’হাজার টাকা দিয়েছেন।সব মিলিয়ে এখানে দশ হাজার আছে।”

নিষ্প্রাণ প্রসন্ন হাসলো।কৃতজ্ঞতার সুরে বললো—

“ধন্যবাদ।আমি তাহলে এখন আসি।আমার ক্লাস আছে।”

ভদ্রলোক উঠে দাঁড়ালেন।উষ্ণ আলিঙ্গন করলেন নিষ্প্রাণের সাথে।তার থেকে বিদায় নিয়ে চঞ্চল পায়ে হাঁটা ধরে নিষ্প্রাণ।ব্রেক আওয়ার শেষ হওয়ার আগেই তাকে ভার্সিটির প্রাঙ্গনে ঢুকতে হবে।
ভদ্রলোক রেস্তোরাঁ থেকে নিষ্প্রাণের যাওয়ার গতিপথ দেখলেন।মোবাইলটা নিয়ে কল করলেন কাউকে।অতি সানন্দে বললেন—

“হি ইজ ফাইন।পড়ালেখা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত।আপনার উপরও বিশ্বাসী।খামে দু’হাজার টাকা কম আছে।কিন্তু সে আমার কথা অনুযায়ী বিশ্বাস করে নিলেন সবটা।তাই আর খুলে দেখলেন না।”

ওপাশের ব্যক্তি শুধু শুনলেন।কোনো কথা বললেন না।

চলবে,,,
চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here