“প্রিয় অসুখ পর্ব ১২

প্রিয় অসুখ
পর্ব ১২
মিশু মনি
.
শ্রবণাকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখে শীতুল ভাবলো, মেয়েদের সহজাত বৈশিষ্ট্য’র মধ্যে একটি হচ্ছে কথায় কথায় মন খারাপ করা। শীতুলেরও তো কষ্ট আছে, কই মন খারাপ করে বসে থেকে সময় নষ্ট করার তো কোনো মানে হয় না।

এমন সময় বাতাসের ঝাঁপটা এসে লাগলো। ভ্যাপসা গরমের মাঝে এরকম দমকা খাওয়া খুবই দরকার ছিলো। শ্রবণা অভিভূত হয়ে সামনে তাকিয়ে বললো, ‘উফফ অবশেষে!’
– ‘ হে পবন, তুমি বয়ে যাও বয়ে যাও। আমার প্রিয় শ্রবণার মন ফুরফুরে করে দাও হে দখিণা হাওয়া।’

শ্রবণা হেসে বললো, ‘কি যে বলেন!’
– ‘আমি তোমার বন্ধু না? মাঝখান থেকে আপনি টা সরিয়ে তুই কিংবা তুমিতে চলে আসো।’
– ‘তুই করে বলতে আমার সংকোচ লাগবে।’
– ‘তাহলে তুমিটাই চলুক।’

দুজনে মিলে পরিবেশ নিয়ে কথা বলছিলো। শীতুল হঠাৎ উঠে গিয়ে বকুল ফুল কুড়িয়ে দুহাত ভরে এনে শ্রবণার সামনে হাঁটুগেরে বসলো। দুহাতে ফুলগুলো শ্রবণার হাতে তুলে দিয়ে বললো, ‘গ্রহণ করো হে প্রিয়, বকুলের মালা করে গলায় ঝুলিয়ে রেখো আমায়। শুকিয়ে গেলেও ফেলে দিও না যেন, পরম যত্নে হাতে পেঁচিয়ে রেখো।’

শ্রবণা দুহাতে ফুল নিতে নিতে শীতুলের চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। এত কাছ থেকে শীতুলের চোখ দেখে কোথায় যেন ঢিপঢিপ করতে আরম্ভ হয়ে গেছে। শ্রবণা তাকিয়ে থাকতে পারছে না। শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে উঠছে। এই বুঝি দুম করে মাথা ঘুরে পড়ে যাবে। ঘোর ঘোর লাগছে ভীষণ। শীতুল একটা ধাক্কা দিয়ে বললো, ‘এই শ্রবণা..’

শ্রবণা চমকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলো। মাথা চুলকে বললো, ‘সরি শীতুল, সরি সরি।’
– ‘তুমি ঠিক আছো?’
– ‘শীতুল আই লাভ ইউ।’
– ‘কিহ!’

শীতুল আচমকা এমন কথায় বড়সড় ধাক্কা খেয়ে গেলো। চোখ মুখে বিস্ময় নিয়ে শ্রবণার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। শ্রবণা চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করছে। দুম করে এই কথা বলে ফেলবে এটা ও নিজেই বুঝতে পারে নি। হঠাৎ এরকম কেন হলো কে জানে!

শীতুল শ্রবণার পাশে ধপ করে বসে পড়লো। শ্রবণা এবার মাটিতে বসে শীতুলের মুখের দিকে তাকিয়ে হাত দুটো পরম আবেশে ধরলো। তারপর নরম গলায় দ্রুত বলতে লাগলো, ‘প্রথম দেখেই আমার মনে হয়েছে তুমি আমার স্বপ্নের রাজকুমার। আমার ভালোবাসার মানুষটা নিয়ে বিশাল বড় ফ্যান্টাসি ছিলো আর সেই মানুষটা যে তুমিই, তোমাকে প্রথমবার দেখে আমার মন এটাই বলেছে। আমি বোধহয় তারপর থেকে অসুস্থ হয়ে গেছি। কি কি পাগলামি করে ফেলেছি তুমি তো জানো।’

এতটুকু বলতে বলতে শ্রবণা হাঁফাতে শুরু করলো। জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে নিতেও ওর যেন দম আটকে আসছিলো। তারাহুরো করে বললো, ‘আমি তোমাকেই ভালোবাসি। হ্যাঁ, শুধুমাত্র তোমাকেই ভালোবাসি। আমার নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি। প্রচন্ড প্রচন্ড প্রচন্ড ভালোবাসি শীতুল।’

কথাটা বলতে বলতে শীতুলের হাতের উপর মুখ চেপে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। শ্রবণার পুরো শরীর কাঁপছে। শীতুল পুরোপুরি স্তব্ধ। এরকম পরিস্থিতির জন্য সে একটুও প্রস্তত ছিলো না। মাথার ভিতর যেন বনবন করে ঘুরছে। শ্রবণা মুখ তুলে একবার তাকালো, তারপর উঠে শুরু করলো একটা ভোঁ দৌড়। কেন যে ছুটছে নিজেও জানেনা, ছুটে কোথায় যাচ্ছে তাও জানেনা। খামারবাড়ির দিকে ছুটতেই লাগলো। শীতুলের মনে হচ্ছিলো মেয়েটা একা একা যেতে পারবে না, হয়তো দুম করে উষ্ঠা খেয়ে পড়ে যাবে। তবুও শীতুল উঠতে পারলো না। থ মেরে বসে রইলো।

১৪
বন্ধুবান্ধবরা শীতুলকে দেখে নানান প্রশ্ন করতে আরম্ভ করেছে। কিন্তু শীতুল কারো সাথে একটা কথাও না বলে শুধু বললো, ‘আমার কিছু ভালো লাগছে না। আমি বাসায় যাবো।’

সবাই কৌতুহল ভরা চোখে শীতুলকে দেখছিলো। ওর মুখ দেখে শ্রবণার কথা জিজ্ঞেস করার সাহস কেউই পেলো না। শীতুল আস্তে আস্তে হাঁটা ধরলো। হাঁটার সময় আনমনে কি ভাবছিলো তা নিজেও বুঝতে পারছে না।

এদিকে শ্রবণা খামারবাড়ি পর্যন্ত দৌড়ে এসে রিক্সা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় শ্রবণার গালে জল চিকচিক করছিলো। মাঝেমাঝে হাত দিয়ে গাল মুছছে মেয়েটা।

বাসায় ফিরে শীতুল অনেক্ষণ শাওয়ারের নিচে বসে রইলো। বেরিয়ে এসে রুমের লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়লো বিছানায়। অনেক্ষণ ঝিম মেরে শুয়ে থাকতে থাকতে একসময় ঘুমিয়ে পড়লো।

ঘুম ভাংলো রাত দেড়টায়। টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে শ্যামলতার ডায়েরিটা বের করলো শীতুল। কয়েকটা পৃষ্ঠা উল্টিয়ে একটা চিঠি বের করে পড়তে আরম্ভ করলো,

প্রিয় অসুখ,
আচ্ছা, আমার করা পাগলামি গুলো তোমার কেমন লাগবে? এই ধরো, কখনো রিক্সা থেকে নেমে মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে রাস্তায় জ্যাম সৃষ্টির কারণ হলাম। ট্রাফিক পুলিশ এসে প্রশ্ন করলে তোমাকে জাপটে ধরে বলতাম, ‘আমি এই ছেলেটাকে ভালোবাসি আংকেল।’ পুলিশ ভ্যাবাচেকা খেয়ে আমাদের দুজনকে বেঁধে থানায় পাঠিয়ে দিতো। হি হি হি, খুব মজা হতো তাই না? প্রেমের দায়ে জেলে। না থাক, তোমার আবার জেলে যেতে ভয় লাগতো। এরকম পাগলামি করবো না যাও। শুধু ভালো বাসবো, ভালোবাসবো আর ভালোবাসবো। হবে তো? কিরকম করে বাসলে তোমাকে ঘায়েল করা সম্ভব বলো তো? আহা বলো না? চোখে কাজল, কপালে টিপ, লম্বা চুলে কাঠগোলাপ। হবে? আচ্ছা তোমার কাঠগোলাপ ভালো লাগে? আজ আমার চিঠি লেখায় মন নেই। আজকে ভীষণ একা একা লাগছিলো। মাঝেমাঝে নিজেকে এত একা লাগে যেন আমি এই সমাজের বাইরের কেউ। আমার কেন কোনো বন্ধু নেই? আমাকে কেন কেউ ভালোবাসে না? ভালো লাগছে না, কিচ্ছু না।

এখানেই শেষ হয়ে গেছে চিঠিটা। খুব সাধারণ অগোছালো একটা চিঠি। চিঠিটা লেখার সময় শ্যামলতার খুব মন খারাপ ছিলো এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এরকম অগোছালো চিঠি ও খুব কম লিখেছে। পড়তে পড়তে শ্রবণার চেহারাটা ভেসে উঠছিলো। শ্যামলতার চিঠিটা যেন শ্রবণারই হাতে লেখা। কেন এরকম হ্যালুসিনেশন হচ্ছে বুঝতে পারছে না শীতুল। যতবার চোখ বন্ধ করছে ততবারই শ্রবণার মুখ ভেসে উঠছে। মেয়েটা দুঃখী দুঃখী মুখে বসে আছে। শীতুলের ইচ্ছে করছে ওর একাকীত্ব ঘুচিয়ে দিতে কিন্তু পারছে না। এ কেমন যন্ত্রণা!

শীতুল নিজের ওয়ালে ঢুকে চিঠির কমেন্ট গুলো পড়তে শুরু করলো। অনেক শেয়ার হয়েছে কিন্তু কোনো লাভ হয় নি। এখনো ডায়েরির মালিকের কোনো খোঁজ পাওয়া গেলো না। উলটো মানুষের হাসির পাত্র ভালোমতো হওয়া গেলো। একটা বড় নিশ্বাস ফেলে ফোনটা পাশে রেখে দিলো শীতুল।

এমন সময় মনে হলো মেসেঞ্জারে নতুন মেসেজ রিকুয়েষ্ট এসেছে। একবার চেক করে নেয়া যাক। একটা মেয়ে আইডি, নাম Ondrila anita.। মেসেজটা দেখে বড়সড় ধাক্কা খেয়ে গেলো শীতুল। মেয়েটা লিখেছে,

Amr dairy haray gaca. Ami wnk bocor teke tmk neye vabci. Amar dairy te sb kicu like raktam. Ami tmk kub balobasi. Pls tmi amr pn e call daw. Ami tmk kub balobasi. Pls pls pls. Amr nmbr- 01840……

নাম্বার দেখে শীতুলের বুকের ভেতর ঢিপঢিপ শুরু হয়ে গেলো। অবশেষে শ্যামলতাকে পাওয়া গেছে! কিন্তু একটা জিনিস দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেছে। শ্যামলতার বাংলা বানানে কোনো ভুল ছিলো না, হাতের লেখাও অসাধারণ সুন্দর, আর শব্দেও মাধুর্যতা কিংবা পাগলামি ছিলো। এই মেসেজের বানান দেখে ভাষাই বুঝতে কষ্ট হচ্ছে শীতুলের। তবুও উত্তেজিত হয়ে তারাতাড়ি কল দিলো সেই নাম্বারে । ওপাশ থেকে একটা মেয়ে রিসিভ করে বলল, ‘হ্যালো..’

কণ্ঠ শুনে হতাশ হলো শীতুল। শ্যামলতার কণ্ঠ মনে মনে যেমন শুনেছিলো, এটা মোটেও সেরকম নয়। খটকা লাগলো এসে। তবুও কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো, কে বলছেন?
– ‘আপনি কে? এত রাতে মেয়েদেরকে ডিস্টার্ব করে আবার জিজ্ঞেস করছেন কে বলছে?’
– ‘আপনার নাম কি?’
– ‘কুত্তার বাচ্চা আবার নাম জিগাস? পুদনের জন্য কল দিছিস বাইন… শালার ব্যাটা ফোন রাখ।’

শীতুলের ভয়ানক রাগ হলো। নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, ‘আমি একটা প্রশ্ন করেছি। নিজের লিমিট ক্রস করে ফেলবেন না আপনি। আপনার মত বেয়াদব মেয়ে শ্যামলতা কেন, হাজারটা শ্যামলতার গুন নিয়ে জন্মালেও আমি ভালোবাসতাম না। যত্তসব।’
– ‘কিসের শ্যামলতা? কে আপনি?’
– ‘আমি শীতুল। আমাকে এই নাম্বারটা দেয়া হয়েছিলো মেসেঞ্জারে।’
– ‘মেসেঞ্জারে? হারামির পুত মাজরাইতে কল দিয়ে ফালতামো মারোস? জুতাইয়া তোর কথা বলার হাউস মেটামু খাড়া।’

শীতুল প্রচন্ড রাগে ফোন কেটে দিলো। ধেৎ, মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেছে। নিশ্চয় কেউ ইচ্ছেকৃত ভাবে এরকমটা করেছে। বন্ধুদের মধ্যে কেউ তো হবেই। এত বড় ফাজলামো করার সাহস কার হবে? ছিহ, নিজের উপরই রাগ হচ্ছে।

ওই নাম্বার থেকে আবারো কল আসলো। শীতুল রাগ সংবরণ করে ফোন রিসিভ করে বললো, ‘হ্যালো।’
– ‘শীতুল। সরি সরি শীতুল। আসলে আমি বুঝতে পারিনি, হঠাৎ ঘুম ভাঙিয়ে এত রাতে কল তাই ওভার রিয়েক্ট করে ফেলেছি। প্লিজ, ফরগিভ মি।’

শীতুলের ভ্রু কুঁচকালো। একটা মেয়ে কিভাবে এতটা ন্যাকামি মিশিয়ে কথা বলতে পারে এটা জানা ছিলো না শীতুলের। কথায় যে পরিমাণ ন্যাকামি মিশে আছে, তাতে বদহজম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এটা যে শ্যামলতা নয় সেটা পুরোপুরি নিশ্চিত শীতুল।

তবুও জানতে চাইলো, ‘আচ্ছা তোমার নাম কি?’
– ‘অন্দ্রিলা।’
– ‘চিঠিতে কি নাম লিখেছিলে?’
– ‘ইয়ে.. শীতুল তুমি কেমন আছো? আমাকে চেনোনি? আমার কণ্ঠ শুনে বুঝতে পারছো না আমিই তোমার সেই।’
– ‘হুম পেরেছি, ভালোভাবেই পেরেছি। তোমার নামটা শুনি?’
– ‘শীতুল, আমি তোমাকে অন্নেক ভেবেছি। প্রত্যেকদিন তোমাকে নিয়ে ভেবেছি।’
– ‘ওহ আচ্ছা। প্রত্যেকদিন আমাকে নিয়ে ভেবেছেন তাই না? খুব ভালো। তো ডায়েরিটা হারিয়েছিলেন কোথায়?’
– ‘এটা তো ঢাকায় হারিয়েছি।’
– ‘আচ্ছা। ঢাকা থেকে ডায়েরিটা হেঁটে হেঁটে রাঙামাটিতে গিয়েছে তাই না?’
– ‘উমম, একচুয়েলি আমি রাঙামাটির নীলগিরিতে বেড়াতে গিয়েছিলাম কয়েকদিন আগে। তখন হয়তো হারাতে পারে। আমি রাইট বলতে পারছি না। ঢাকায় এসে ব্যাগে দেখি ডায়েরি নেই।’
– ‘তুমি শিওর এটা তোমার লেখা চিঠি?’
– ‘শিওর হবো না? আমি নিজের লেখা চিনবো না? আমিই লিখেছি এটা তোমাকে।’
– ‘ওহ আচ্ছা। তাহলে কাল দেখা করো? দেখা করে আমাকে তোমার করে নাও।’

মেয়েটা খুশিতে লাফাতে শুরু করেছে। শীতুল তারাহুরো করে ফোন কেটে দিলো। এত রাগ হচ্ছে যে সামনে যা দেখছে ভেঙে ফেলতে ইচ্ছে করছে। নীলগিরি নাকি রাঙামাটিতে। এই মেয়েকে থাপ্পড় দিয়ে সব দাঁত ফেলে দিতে ইচ্ছে করছে। দেখা হলে বুঝিয়ে দেবে মিথ্যে নিজেকে শ্যামলতা দাবী করার শাস্তি কত কঠিন হতে পারে। এই অপরাধ কোনোভাবেই ক্ষমা করবে না শীতুল।

আয়াশের নাম্বার বের করে ওকে কল দিয়ে নিজে থেকেই বলতে লাগলো, ‘ঘুমাইছিলি দোস্ত? আমার এত্ত রাগ উঠছে। নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না। জানিস কি হইছে? একটা মেয়ে মেসেজ দিয়ে নিজেকে আমার প্রেমিকা হিসেবে দাবি করছে। কি ফালতু।’

ওপাশ থেকে একটা ঘুম জড়ানো মায়াবী কণ্ঠস্বর শোনা গেলো, ‘আপনি বোধহয় আয়াশকে ফোন করতে গিয়ে ভুলে আমাকে কল দিয়েছেন।’

শীতুল চমকে উঠলো। ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখলো সত্যিই, শ্রবণাকে কল দিয়ে ফেলেছে। এরকম ভুল হওয়ার তো কথা নেই। হয়তো শ্রবণার কথা অবচেতন মনে ঘুরছিলো তাই এমন হয়েছে। শিট!

শ্রবণা একটা জোরে নিশ্বাস ফেলে চুপ করে রইলো। সেই নিশ্বাসের শব্দ ছুড়ির মত বিঁধলো শীতুলের বুকে। কেমন যেন ঘোর লাগতে শুরু করেছে। শীতুল ঘোরের মাঝে বলে ফেললো, ‘তোমার নিশ্বাসের শব্দটা অনেক ধারালো।’

চমকে উঠলো শ্রবণা। কল্পনায় প্রিয় অসুখ এ কথা ওকে বলেছিলো। এই একই কথা শীতুল কিভাবে বলতে পারে! মিল হলে এতটাই হতে হবে যে ডায়ালগ পর্যন্ত শীতুল জানে। অদ্ভুত!

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here