প্রেমময়নেশা 💙 পর্ব ২৮+২৯+৩৯+৩১

#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
পর্ব-২৮
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
আয়ুশ ইশাকে দেখে থেমে গেলো। আদি ও অন্যান্য ফ্রেন্ডসরাও থেমে গেলো। ইশা বলে উঠলো- আয়ুশ তোমার সাথে আলাদা কথা আছে তাই প্লিয।
আদি বলে উঠলো- আয়ু্শ তুই বরং ইশার সাথে যা আমরা আছি এখানে। আয়ু্শও সম্মতি দিলো।আয়ুশ কোট এর কলার ঠিক করতে করতে বলে উঠলো- হ্যা বলো কী বলবে?
ইশা বলে উঠে- তুমি ফোন চেক করেছো? কতবার কল করেছি
আয়শের সোজাসোজি উত্তর-বাস্কেট বল খেলছিলাম।
ইশা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠে-
আয়ুশ কেন করছো আমার সাথে এইরকম। কয়দিন পরে আমাদের বিয়ে।
আয়ুশ পকেটে হাত রেখে বলে উঠে- আমি আবার কি করলাম।
ইশা খানিক্টা অভিমান এর সুরে বলে উঠে- তুমি আমাকে ইগনোর করছো আয়ু্শ।
ইশা আয়ুশকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে-
আগে তুমি এমন ছিলেনা, অনেক ভালোবাসতে আমাকে।
ইশাকে কেন যেনো জড়িয়ে ধরতে কোথাও বাঁধা দিচ্ছে আয়ুশের। মনে হচ্ছে এখানে অন্য কারো থাকার কথা।
আয়ুশঃ আমি নিজেও জানি ইশা। আমার অনেক হিসাব মিলছেনা। কেন হচ্ছে আমার সাথে এইরকম(মনে মনে)
।।।।।।।।
এদিকে,,
আমান একটি ডাইরিতে রিমির একটি ছবি রেখছিলো সেইটা দেখে যাচ্ছে। মোটা ফ্রেমের
আমানঃ ( সেদিন আমি তোমাকে এইভাবেই দেখিছিলাম রিমিপাখি)

।।।।
অতীত,,,
সেদিন রাস্তায় সকলের সামনে রিমি বিয়ের বেনারশি পড়ে রাস্তায় ধপ করে বসে পড়ে,,তার শরীর দুর্বল লাগছে প্রচন্ড। সে আর পারছেনা।
ফারহান সুমু ও রিমির বাবা-মা রিমির দিকে ছুটে যায়।

রিমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো।
সুমুঃ ফারহান তাড়াতাড়ি এম্বুলেন্স ডাকুন।
ফারহান ফোন করে দেয়।

তখনি একটি গাড়ি এসে থামে।
আমান আজ ভেবেছিলো অয়নকে এসে একেবারে চমকে দিবে। তার প্রেক্টিস আজ শেষ হয়ে গিয়েছিলো সে রাতের ফ্লাইট ধরে যত দ্রুত সম্ভব
এসেছিলো অয়নের বিয়ে এসে একেবারে চমকে দিবে বেস্টফ্রেন্ড বলে কথা। কিন্তু মাঝপথে নবুবধুকে এই অবস্হায় দেখে সে তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে আসে।

আমানঃ কি হয়েছে উনার??

সুমুঃ আমার বোন অজ্ঞান হয়ে গিয়ছে

আমামঃ আমি ডক্টর।

রিমির মাঃ তাহলে দেখুন না

ফারহান ও ফারহান এর বাবা গাড়ি আনতে গিয়েছিলো।

আমান ঝুকে রিমির দিকে সাথে সাথে থমকে যায়। কাজল লেপ্টে একেবারে লেপ্টে গিয়েছি মুখের মায়াবী বর্ন একেবারে ফুটেছে। আমানের হার্টব্রিট ফাস্ট হয়ে গিয়েছিলো। তাও আমান নিজেকে সামলিয়ে রিমিকে কোলে তুলে নিজের গাড়িতে নিয়ে যায় সাথে সাথে সুমু ও রিমির মা ও যায়।

হসপিটালে,,
আমান রিমিকে চেকাপ করে যাচ্ছে। সুমু ফারহান ও আশরাফ সাহেবকে ফোন করে এসে পড়তে বলেছে।
তারা মাত্র চলে এসেছে।

রিমির বাবাঃ আমার মেয়ে কোথায়??

সুমুঃ ডক্টর দেখছে।

ফারহানের মনের অবস্হা একেবারে খারাপ নিজেকে কোনোরকম সামলিয়েছে সে।

আমান কেবিন থেকে বের হয়ে আসতে আসতে বলে উঠলো-
উনার আসলে কি হয়েছে?

ফারহানকে দেখে আমান অবাক।

ফারহান ও অবাক!

আমানঃ ফারহান তুই??

ফারহানঃ আমান তুই? দেশে এসেছিস?

(অয়ন ফারহান ও আমান তিনজন এ ছোটবেলা থেকে একই স্কুলে পড়তো। একে অপরের বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো ওরা)

আমানঃ আজকে তো অয়নের বিয়ে তাই ওকে সারপ্রাইজ দিতে এসেছি কিন্তু উনার (রিমিকে উদ্দেশ্য করে)এই অবস্হা কেন উনার হাজবেন্ড কোথায়?

আমানের কথা শুনে রিমির মা জোড়ে কেঁদে দেয়। ফারহানও নিজেকে সামলাতে পারেনা সেও কেঁদে দেয়।

আমানঃ আরে তুই কাঁদছিস কেন??

ফারহানঃ আমাদের জানের জিগার আমাদের দোস্ত আর বেঁচে নেই রে।

আমান যেনো এক মুহুর্তের জন্য থমকে যায়।

ফারহান কাঁদতে কাঁদতে আমানকে সব খুলে বলে।

প্রতিউত্তরে আমান নিশ্চুপ থাকে।

সে ধপ করে চেয়ারে বসে কাঁদতে থাকে। বন্ধুর বিয়ের সারপ্রাইজ দিতে এসে তার মৃত্যুর খবর আমান আশা করেনি।

তখনি কেবিন থেকে জোড়ে ভাজ্ঞচুড় এর শব্দ আসে।

নার্স এসে বলে উঠে-
ডক্টর আমান পেশেন্ট কেমন যেনো করছে
সব কিছু ভেজ্ঞে ফেলছে।

সবাই তাড়াতাড়ি দৌড়ে রিমির কাছে যায়।

আমি সবকিছু ভেজ্ঞে ফেলছি আর বলে উঠছি
আমার সাইকো কোথায়??

আমার হাতের ক্যানেলও আমি জোড়ে টান দিয়ে খুলে ফেলায় আমার হাত দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে সেদিকে আমার খেয়াল নেই।

সবাই এসে আমাকে আটকানোর চেস্টা করছে।
এক পর্যায়ে আমি চিৎকার করে কেঁদে উঠি।

আমান শুধু রিমিকে দেখেই যাচ্ছে। আজ মেয়েটার বিয়ে ছিলো কতই স্বপ্ন ছিলো তার ।
আমান তার বেস্ট ফ্রেন্ড হারিয়ে কতটা কস্ট পাচ্ছে এই মেয়েটা তো নিজের ভালোবাসার মানুষকে হারিয়েছে।।।
আমানের এক অন্যরকম মায়া কাজ করেছিলো সেদিন।

দি যায় মাস যায় বছর যায়। এখন রিমি আমানের হসপিটালের স্টুডেন্ট। আমান রিমির প্রফেসার এই
এই প্রফেসার-স্টুডেন্ট সম্পর্কের থেকেও বড় দিকটি হচ্ছে আমান এখন ভালোবাসে তার রিমিপাখি প্রচন্ড পরিমানে। যে ভালোবাসায় নেই কোনো চাওয়া-পাওয়া আছে শুধুই ভালোবাসা।

।।।।।

আজ টকোপিকে নিয়ে ভালোমার বাড়ি যাবো। ভালোমাকে দেখাতে। টকোপি আমার সাথে একেবারে মিশে রয়েছে। এক দিনেই বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে আমাদের।

আমাকে দেখে দাঁড়োয়ান চাচা বলে উঠলো-
রিমি মা তুমি আইছো?

আমি বলে উঠলাম- হুম চাচা

এই বলে আমি টকোপিকে নিয়ে সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করলাম যতবারই এই বাড়িতে আসি ততবারই উনাকে অনুভব করি
উনার সাথে আমার কত স্মৃতি রয়েছে।

রুশনি তার ফ্রেন্ডসদের সাথে ব্রেকফাস্ট করছিলো রিমিকে দেখে রুশনি বলে উঠে-।তুমি এখানে?

আমি বলে উঠলাম- ভালোমার সাথে দেখা করতে এসেছি।

রুশনি বিরক্তির সুরে বলে উঠে- কলি আপু ঘুমাচ্ছে এখন দেখা হবেনা আর এইভাবে তুমি আমার বাড়িতে আসবেনা

রিমিঃ এইটা ভালোমার বাড়ি।

রুশনিঃ কিন্তু এখন এই বাড়ির কর্তি আমি বুঝেছো?
এই বাড়িতে বেশি আসবেনা

আমি হাত ভাজ করে বলে উঠলাম- অয়নেরও ভালোমার জন্য আমি এই বাড়িতে আসবো।
উনি যদি এই বাড়িতে আসেন আর আমাকে যদি না পায় তখন??

রুশনি হু হা করে হেঁসে উঠলো।
তার বান্ধুবিরাও হেঁসে দিলো।

রুশনিঃ শুনো শুনো বোঁকা মেয়েটার কথা শুনো অয়ন নাকি ফিরবে মরা মানুষ ফিরেছে কখনো?

আমি বলে উঠলাম- আমার অয়ন মারা যায়নি বেঁচে আছে। উনি

রুশনিঃ তুমি নিজেই ওকে মেরেছো বুঝেছো

রিমিঃ মানে?

রুশনিঃ তোমার মতো অলক্ষিকে বিয়ে করতে গিয়েই আমাদের হিরে টুকরা ছেলের এতো বড় এক্সিডেন্ট হলো এখন ও আমাদের মাঝেও নেই।

আমি চিৎকার করে বলে উঠলাম- নাহ উনি বেঁচে আছে।

এই বলো আমি টকোপি কে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে গেলাম।

।।।।।।।।।
আয়ুশ স্মোকিং করে যাচ্ছে একের পর এক।
আদি আয়ুশ এর কাছে এসে বলে উঠে-
ইশা কস্ট পাচ্ছেরে আয়ুশ মেয়েটা তোকে অনেক ভালোবাসে।

আয়ুশ পকেটে হাত রেখে বলে উঠে- আমি নিজেও জানিনা রে। কেমন যেনো আমার সাথে হয়।

আদিঃ ঠিক হয়ে যাবে তুই অনেক বড় ট্রমা থেকে ফিরেছিস তো তাই। বিয়েটা হয়ে গেলেই দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে

আয়ুশঃ আই হোপ সো ইয়ার।

এদিকে,,
আমি দৌড়াতে দৌড়াতে লেকের পাড়ে চলে আসলাম। টকোপি আমাকে আদর করে যাচ্ছে যাতে আমি না কাঁদি। আমি কাঁদতে কাঁদতেই বলে উঠলাম- টকোপি সবাই কেমন যেনো। কেউ বিশ্বাস করেনা রে। আমি জানি আমার সাইকো আমার অয়ন ফিরবে। আমি যতই মানুষের সামনে শক্ত হয়ে থাকিনা কেন দিনশেষে আমিও মানুষ তখন নিজেকে আর সামলাতে পারিনা। মন চায় সবকিছু ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাই। আমি আর পারছিনা রে।। আমি টকোপিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি।
।।।।।।#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-২৯( অনুভুতির ভেজালে)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
টকোপি জড়িয়ে কেঁদেই যাচ্ছি সমানে।তখনি অনুভব করি আমার পাশে কেউ আছে। আমি ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখি আমান স্যার। আমান স্যার এখানে আপনি? আমি প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম। আমান হাতের উপর ভর দিয়ে বসে বলে উঠলো-একটা কথা কি জানো রিমিপাখি? কিছু মানুষের চোখে জল এক্টুও মানায় নাহ। কাঁদলে তাদের নাক একেবারে লাল হয়ে যায় কাজল একেবারে ঘেটে যায়। তখনি খুব ইচ্ছে করে সেই চোখের জল মুছে দিতে।কিন্তু আমরা যা চাই তা তো সবসময় হবেনা তাইনা? আমিও তাও কেঁদেই যাচ্ছি। আমান বলে উঠে- কি হয়েছে রিমিপাখি? কাঁদছো কেন??
আমি কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলাম- কেউ বিশ্বাস করেনা কেন??
উনি বেঁচে আছেন?? আমি জানি উনি ফিরবেন।
তাও কেই বিশ্বাস করেনা। সবাই আমাকে নিয়ে হাঁসাহাঁসি করে।
আমান বলে উঠলো- তুমি অয়নকে ভালোবাসো?
রিমিঃ হুম!
আমানঃ নিজের ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস নেই??

রিমিঃ নিজের থেকেও বেশি। এই আশা নিয়েই তো আমি এতোদিন বেঁচে আছি।

আমান শুধু দেখে যাচ্ছে রিমিকে অয়নের ফিরে আসার প্রতিক্ষায় এখনো হয়তো মানুষটা নিজেকে শক্ত রেখেছে।

আমানঃ তাহলে মানুষের কথার গুরুত্ব দিলে চলবে?অয়ন যদি জানতে৷ পারে তার রিমিপরী কেঁদে যাচ্ছে তখনি কিন্তু নিজের সাইকো রুপ ধারণ করবে । তখনি ভেঁ ভেঁ করে কাঁদলোও কিন্তু লাভ হবেনা

আমি ফিক করে হেঁসে দিলাম

আমানঃ তোহ নিজের চোখের জল মুছো। তোমার মুখে মিস্টি হাঁসি যে বড্ড মানায়।

টকোপি আমার কোল থেকে আমান স্যার এর কোলে চলে গেলেন

আমান টকোপিকে আদর করে যাচ্ছে।

রিমিঃ টকোপির আপনার সাথে এমনভাবে মিশছে যে আপনারা কত দিনের চেনা

আমান বিষম খায়।

রিমিঃ কি হলো??

আমানঃ আসলে অইযে বললাম নাহ বিড়াল আমার পছন্দ তাই৷।

রিমিঃ ওহ আচ্ছা আপনিও কি সবার মতো বিশ্বাস করেন উনি ফিরবেন না??

আমানঃ আমি বিশ্বাস করি রিমিপাখি অয়ন ফিরবে।

রিমিঃ সত্যি???(খশি হয়ে)

আমানঃ তিন সত্যি(মুচকি হেঁসে)

আমানঃ( অন্তুত এই মেয়েটার জন্য হলেও তুই ফিয়ে আয় দোস্ত প্লিয মেয়েটা যে তোকে বড্ড ভালোবাসে তা তুই জানিস?? তোর রিমিপরী তোকে বড্ড ভালোবাসে)

।।।।।।।।
In london,,,,
আয়ুশ নিজের বাইক্টা সাইডে রেখে সানগ্লাস টা খুলে বাড়ির ভিতরে ঢুকে।। মিসেস মল্লিকা নিজের ক্লাইন্ট দের সাথে ফোনে কিছু কথা বলছিলেন
আয়ুশকে দেখে ফোনটা রেখে বলে উঠেন–
আমার আয়ুশ বেটা কাম হিয়ার কুয়িকলি।।

আয়ুশ মল্লিকাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।।

আয়ুশঃ ইউ নো মম আজকে তোমাকে অনেক মিস করেছি

মল্লিকাঃ তাই আমার বাচ্ছাটা আমাকে মিস করেছে।

আয়ুশ মল্লিকার হাত ধরে চুমু খায়।

আয়ুশঃ আয়ু্শ সবসময় তার মাম্মাকে মিস করে

নিদ্র তার অফিসের কোট পড়তে পড়তে বলে উঠে-
আমার হয়েছে এক সমস্যা আমার দুই ছেলেই তার মা কে বেশি ভালোবাসে।

মল্লিকাঃ বুঝেছি হিংসা হচ্ছে??

আয়ুশঃ আয়ুশ নিজের বাপিকেও অনেক ভালোবাসে

এই বলে আয়ুশ নিদ্রকে জড়িয়ে ধরে।

মল্লিকাঃ দেখবো এই ভালোবাসা কতদিন থাকে?
কয়দিন পর তো বিয়ে তখন বউ ই সব হবে।

নিদ্রঃ যেমন এখন আমার কাছে তুমি

মল্লিকা রাগ দেখিয়ে বলে উঠে-
নিদ্র তুমিওনা

আয়ুশ হেঁসে বলে উঠে- আমার কাছে আমার বাপি মাম্মাম সবার আগে

মল্লিকাঃ আমরা জানি তো

নিদ্রঃ কিন্তু ইশাকেও ইম্পোর্টেন্স দিতে হবে

মল্লিকাঃ সেসব বাদ দাও। ইশার বাবা-মা বলেই দিয়েছেন তারা আর রিস্ক নিতে চাইনা এইবার তাড়াতাড়ি বিয়েটা দিয়েই দিবে।

আয়ুশঃ বাট মম আই নিড সাম টাইম নাও।
(আমার কিছু সময় চাই)

নিদ্রঃ ওয়াট আর ইউ সেয়িং আয়ুশ?
(তুমি কি বলছো আয়ুশ?)

মল্লিকাঃ লুক আয়ুশ অলরেডি ২ বছর তুমি টাইম নিয়েছো আর না ইশা মেয়েটাও তোমার জন্য কম সেক্রিফাইজ করেনি। ওকে আর অপেক্ষা করানো ঠিক হবেনা

নিদ্রঃ আমরা ডেট ফিক্সড করছি। আর তোমরা তো একে অপরকে ভালোবাসো সো সমস্যা কি??

আয়ুশঃ বাপি আমার মনের মধ্য দিয়ে যে কি যাচ্ছে তা শুধু আমিই জানি
আমার মনে হচ্ছে যা হচ্ছে তা ঠিক না কিন্তু কেন??(মনে মনে)

।।।।।।
এদিকে,,,
হসপিটালে,,,
আমি আমান স্যার এর সাথে পেশেন্ট দের দেখে যাচ্ছি। আমান স্যার এর পার্সোনাল এসিস্টেন্ট তাই।এতে আমারও পড়তে বেশ সুবিধাই হয়।

আমান রোগিদের কিছু মেডিশিন প্রেস্ক্রাইভড করে যাচ্ছে আর আমিও ভালো করে দেখে নিচ্ছি।

আমান প্রেশক্রিভশন লিখতে লিখতে বলে উঠে-
এখন আপ্নি যেতে পারেন মিস রিমি।

রিমিঃ ওকে স্যার।

আমি আমার এপ্রোটান হাতে নিয়ে দেখি নার্স রা প্রায় গিলে খাচ্ছে আমান স্যারকে আমি মুচকি হাঁসি দিলাম।

বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথেই লিসা আমাকে বলে উঠলো- তোর কি ভাগ্য রে আমান স্যার এর এসিস্টেন্ট তুই

রিমিঃ হুম ভাগ্য একটু ভালোই অনেক কিছু শিখতে পারছি পড়াটা সহজ হবে।

লিসাঃ আরে গাঁধি রেএএ আমি সেইটা বলিনি আমি বলেছি যে আমান স্যার সবার ক্রাশ তার এসিসেন্ট তুই হতে পেরেছিস

রিমিঃ দেখ এইসব কথা আমার একদম পছন্দ না জানিস ( রেগে)

লিসাঃ আম জাস্ট কিডিং উইথ ইউ সরি!!

আমাদের সবাইকে প্রিন্সিপাল স্যার আজ ডেকেছেন।।
আমান স্যার ও রয়েছেন। কেউ কিচ্ছু বুঝতে পারছেনা।।

প্রিন্সিপালঃ সো স্টুডেন্স তোমাদের এখানে যে কারনে ডাকা হয়েছে
তোমরা সবাই জানো কয়েকদিন আগের টেস্ট এর রেজাল্ট চলে এসেছে আমাদের কাছে
এবং ফাইভ পয়েনট এ এসেছে পাঁচজন স্টুডেন্ট।
যারা লন্ডন এ কনফারেন্স এ পার্টিসেপেট করতে পারবে এবং আমান স্যার এর সাথে।

সবাই তো অনেক এক্সাইটেড৷ লন্ডনের কনফারেন্স ওয়াও কিন্তু আমার সেদিকে কোনো ইন্টারেস্ট নেই।

আমার তো উনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

প্রিন্সিপালঃ তো পাঁচজন এর মধ্যে যাচ্ছে
মিশু, সাবিলা, লিনা, টিনা এন্ড রিমি

বাকি চারজন তো খুশিতে একেবারে আত্তহারা
বাকিরা হতাশ

আমানও খুশি তার রিমিপাখির জন্য

হাঁসি নেই আমার মাঝে নাহ আমি লন্ডন যেতে পারবো নাহ কিছুতেই।।

প্রিন্সিপালঃ বাকিদের হতাশ হওয়ার কিছুই নেই ।
আশা করি সবাই নেক্সট টাইম চান্স পাবে।

আমি বলে উঠলাম- সরি স্যার আমি পারবো নাহ।

সবাই অবাক!

প্রিন্সিপালঃ এইসব কি বলছো রিমি? তোমার মতো ব্রিলিয়ান্ট একজন স্টুডেন্ট এইরকম সুবুর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিৎ নাহ।

রিমিঃ সরি বাট আমি পারবো নাহ।

।।।।।।
আমান ঃ স্যার আমার মনে হয় মিস রিমিকে একটু সময় দেওয়ার দরকার।

রিমিঃ বাট( আমি কিছু বলবো তার আগেই প্রিন্সিপাল স্যার বলে উঠেন)

—ওক রিমিকে সময় দিচ্ছি।।

।।।।।।।
রিমির মাঃ মা রে এতো বড় সুযোগ হাতছাড়া করেস না

রিমিঃ মা আমি বললামতো আমি যাবো নাহ মানে যাবো নাহ

টকোপিকে বিস্কুট খাওয়াতে খাওয়াতে বলে উঠলাম আমি।

আশরাফ সাহেবঃ কিন্তু কেন যাইতে চাইছিস না??

রিমিঃ উনি যদি আসেন আর আমাকে না পায় তখন?? নাহ নাহ এতো বড় রিস্ক নেওয়া যাবেনা

আশরাফ সাহেব আশাহত হলেন এই মেয়েকে নিয়ে আর পারা যায়না।

তখনি ফারহান প্রবেশ করতে করতে বলে উঠলো-
কিন্তু শালিকা সাহেবা এমন যদি হয় লন্ডন এ গিয়ে অয়নকে তুমি পেয়ে গেলে তখন??

আমি বিসময় নিয়ে জিজুর দিকে তাকিয়ে আছি

রিমির মাঃ বাবা তুমি এসেছো? সুমু কেমন আছে আমার কাব্য দাদু ভাই( সুমুর ছেলের নাম) কেমন আছে
?

ফারহানঃ ভালো মাহ।

আশরাফ সাহেবঃ এখন ফারহান তুমিও ওকে বুঝাও।।

ফারহানঃ দেখো এমনও তো হতে পারে তোমার সাইকো লন্ডনের কোনো আনাচে কানাচে আছে তখন কী করবে?? তুমি লন্ডনে যেয়ে তোমার সাইকোকে পেয়েও যেতে পারো

আমি বলে উঠলাম- হ্যা তাই তো।।

ফারহানঃ আর এদিকে আমরা তো রইলাম ই অয়ন আসলে আমরা আছি তো তখন তুমি চলে আসবে।

রিমিঃ হুম আমি যাবো লন্ডন

সবাইঃ আলহামুদুল্লিল্লাহ!!

তখনি ফারহান এর ফোনে একটা কল আসে।

ফারহানঃ আমি একটু আসছি

ফারহান কলটি রিসিভ করে বলে উঠে-
আমান রিমি রাজি!!

।।।।।।
এদিকে,,
আয়ুশ কেন যেনো শান্তি পাচ্ছেনা একটা অন্যরকম ফিলিং হচ্ছে যা তার অজানা।।

আমি তোমাকে খুঁজেছি প্রান্তরে প্রান্তরে, 💕
তোমাকে খুজেছি শহরে -নগরে বন্দরে বন্দরে 💕
——- আলমগীর গোলাপ!



।#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৩০+৩১(লন্ডনে প্রবেশ)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
কাল-পরশুর মধ্যেই আমার লন্ডনের ফ্লাইট। সবাই আমার জন্য অনেক খুশি।কিন্তু আমার মধ্যে তেমন কোনো ইন্টারেস্ট নেই।মা ও সুমু আমার সাথে মিলে আমার ব্যাগ গুছাতে সাহয্য করছে। তখনি কলিংবেল বেজে উঠে। মা বলে উঠলো—এখন আবার কে এলো?? সুমু বলে উঠে- আমি দেখি কে এসেছে। সুমু গিয়ে দরজা খুলতে যায়। মা বলে উঠলো- তুই কি এই বিলাইটা কেও অইখানে নিয়ে যাবে।
টকোপির মতো ভদ্র বিড়াল ছানাকে এইরকম বিলাই বলাতে টকোপি বোধহয় মন খারাপ করেছে। আমি টকোপিকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে বলে উঠলাম- মা বিলাই কি ভাষা? ওর নাম টকোপি।
মাঃ বিলাই তো বিলাই
তখনি সানা প্রবেশ করে।
আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে সানা আপুকে জড়িয়ে ধরলাম।
রিমিঃ আমাকে বুঝি তোমার মনে পড়েনা??
সানা আপু??

সানাঃ তোমাকে মনে না পড়লে কাকে পড়বে বলতো??
তুমি তো আমার জুনিয়ার ভাবি।
কথাটা শুনেই আমার মন খারাপ হয়ে গেলো।
সানা রিমির অবস্হা বুঝতে পেরে কানে হাত দিয়ে বলে উঠলো-
সরি।
আমি বলে উঠলাম- কোনো সরি না। আমি তো তোমার জুনিয়ার ভাবিই। তোমার ভাই ঠিক ফিরে আসবে।

তখনি কাব্য কেঁদে উঠলো। সানা বলে উঠলো-
সুমু আপু আর ফারহান ভাইয়ার ছোটু না??

আমি বলে উঠলাম- হুম কাব্য আমাদের সুমু আর ফারহান ভাইয়ার ছেলে।

সানা কাব্যকে নিয়ে আদর করে যাচ্ছে।

সানাঃ হুম শুনেছি খালামনি(মিসেস কলির)কাছ থেকে শুনেছি। আমিও ভেবেছিলাম হসপিটালে যাবো কিন্তু আমার এক্সাম চলছিলো তাই।

সুমুঃ বাহ কাব্য দেখি সানার সাথে একেবারে মিশে গিয়েছে।

আমি বলে উঠলাম- তোমার ছেলে যা সহজে কারো কাছে যায়না।

সানা আপু বলে উঠলো- বাচ্চা সবসময় আমার পছন্দ।।

তখনি ফারহান প্রবেশ করলো।
ফারহান ঃ শালিকা সাহেবা কতদুর।

ফারহানকে দেখে সানার বুকেত ভিতর মচর দিয়ে উঠলো। যতই হোক ফারহানকে ভালোবাসতো সে। কিন্তু বলা হয়নি। থাক না কিছু না বলা কথা। ফারহান সুখে থাকুক তার স্ত্রী ও সন্তান কে নিয়ে।

সানা কে দেখে ফারহান বলে উঠলো-
আরে সানা তুই? কেমন আছিস??

সানা বলে উঠলো- ভালো আছি ফারহান ভাইয়া।
জুনিয়ার ভাবির সাথে দেখা করতে এসেছি। ভাবি তো অই বাড়িতে যাই না।

ফারহানঃ ওহ।

আমি বলে উঠলাম- অনেকে পছন্দ করেনা। তাও ভালোমার জন্য যাই। আজকেও যাবো ভালোমার কাছে। কালকে তো ফ্লাইট। সানা আপু আমি তো কয়েকদিন দেশে থাকবো না তুমি কয়েকটা দিন ভালোমার সাথে থেকো

সানাঃ আচ্ছা।

(আসলে ভালোমাকে একা রেখে যেতে ইচ্ছা করছেনা। সানা আপু থাকলে একটু ভরসা পাবো)

।।।।
আমান বই গুলো গুছিয়ে নিচ্ছে। আমানের বোন ছোয়া রান্না ঘর থেকে এসে বলে উঠে-
ভাইয়া তোমার গুছানো শেষ??

আমানঃ হ্যা রে তেমন একটা নেই।
আমার শুধু তোকে নিয়েই চিন্তা হচ্ছে। তুই কীভাবে থাকবি??

ছোয়াঃ ভাইয়া এর আগেও তো তুমি কতবার গিয়েছো।

আমানঃ কিন্তু তখন তুই হোসটেলে ছিলি। এখন এতো বড় বাড়িতে কীভাবে থাকবি??

ছোয়াঃ আমি পারবো ভাইয়া!

(আমান তাও নিজেকে শান্ত রাখতে পারেনা আদরের ছোট বোন তার বাবা-মা কেউ নেই বেঁচে এই বোন তার সব)

আমানঃ নিজের খেয়াল রাখবি।

ছোয়াঃ তুমি আমাকে নিয়ে চিন্তা করোনা আমি নিজের খেয়াল রাখবো।

।।।।।🌸🌸
ভালোমাকে সুপ খায়িয়ে দিচ্ছি আমি।

আমি বলে উঠলাম- আমি কিন্তু চিন্তায় থাকবো!!
তুমি ঠিক মতো মেডিসিন নিবে।

ভালোমাঃ এইযে তুইও আবারো ডাক্তারি শুরু করে দিলি। এতো চিন্তা করিস কেন?? তুই ভালোমতো লন্ডনে যা এবং ভালোমতো ফিরে আয়।

আমি বলে উঠলাম- নিশ্চিন্ত থাকতে বললে তো আর থাকা যায়না ভালোমা। এই বাড়িতে যে তোমার খেয়াল এক্টুও রাখা হয়না।

ভালোমা আর কিচ্ছু বলল না।

আমি বলে উঠলাম– সানা আপু থাকবে।

ভালোমাঃ চিন্তা করিস না তো। সাবধানে যাহ।

তখনি রুশনি এসে বলে উঠলো-
শুনলাম তুমি নাকি বিদেশে যাচ্ছো??

রিমিঃ হুম

রুশনিঃ সবার সামনে যে অয়নের শোকের নাটক টা করো সবার থেকে সিম্পেথি পেতে এখন সব শেষ??

ভালোমাঃ কি বলতে চাস??( রেগে)

রুশনিঃ বলছি যে অয়নের জন্য এতোই যখন কস্ট তাহলে লন্ডনে যাচ্ছো কেন??।

আমি বলে উঠলাম–
যদি উনাকে সেখানে পেয়ে যাই বলতে পারেন সেই আশায়৷ আর সিমপেথি অন্তত আমাকে পেতে হয়না।

ভালোমা মুচকি হেঁসে দেন।

রুশনি মুখে ভেংচি দিয়ে চলে যায়।
।।।।।।
আমি ভালোমাকে জড়িয়ে ধরি।

।।।।।।।
আমরা বাকি সব স্টুডেন্টসরা চলে এসেছি এয়ারপোর্টে। ফারহান ও সুমু ও এসেছে। কাব্য বাসায় তার দাদুর সাথে।
বাবা আম্মু আমাকে সব বুঝিয়ে দিচ্ছে। সানা ও ভালোমাও এসেছে।

ভালোমাঃ সাবধানে থাকবি কিন্তু!!

আমি বলে উঠলাম–ভালো মা এই শরীর নিয়ে আসতে গেলে কেন??

ভালোমাঃ আমার মেয়ের জন্য এসেছি।

মাঃ আমরা কিন্তু চিন্তায় থাকবো।

বাবাঃ আমাদের ফোন করবি রে মা।

তখনি আমান গাড়িতে নামতে নামতে বের হলো।
আমি ছাড়া বাকি মেয়েরা হা হয়ে রয়েছে।

ভালোমাঃ অইতো আমান চলে এসেছে।

আমানঃ আসসালামুলাইকুম!!

সবাইঃ ওয়াইকুমুসসালাম!

ফারহানঃ আমার বন্ধ্র এসে পড়েছে এখন সমস্যা নেই।।

মাঃ আমান বাবা তোমার ভরসায় কিন্তু মেয়েটাকে ছাড়ছি

ভালোমাঃ রিমির খেয়াল রাখিস বাবা।

আমানঃ আপনারা আমার উপর ভরসা রাখতে পারেন(মুচকি হেঁসে)

বাবাঃ সে তো আমাদের আছেই (নিঃশ্বাস ফেলে)

সুমুঃ এখন কি শুধু্ই কথা বললে হবে??
ফ্লাইট এর টাইম হয়ে যাচ্ছে তো।

সবাইঃ হ্যা!!

।।।।।।
In london,,
আয়ুশ বাস্কেট বলটা নিয়ে সিড়ি থেকে নামতে থাকে।
নিদ্র ও মল্লিকা ব্রেকফাস্ট করছে।

আয়ুশ সবাইকে বলে উঠে–গুড মর্নিং!!

সবাই ঃ গুড মর্নিং!!

তখনি ইশান হাই তুলতে তুলতে নিচে নামে।

নিদ্র বলে উঠে–
আমার ছোট ছেলে ওয়াও!!
সকালে এতো বড় সারপ্রাইজ (মজা করে)

ইশানঃ বাপি তুমিও না!!

নিদ্রঃ তা কি করবো বলো??
তোমাকে তো পাওয়াই যায়না।

মল্লিকাঃ ছেলেটা ব্রেকফাস্ট করছে।এইসব না বললে কি নয়।

নিদ্রঃ ওকে ওকে!!

আয়ুশঃ তা তুই কি সবসময় নাইট ক্লাব নিয়েই থাকবি?? কাল কিন্তু তোদের হসপিটালের
বড় কনফারেন্স

(ইশান একজন নাম মাত্র ডক্টর)

নিদ্রঃ কাকে কি বলছো?
সে কি জানে?? সে একজন ডক্টর।
নাহ সারাদিন নাইট ক্লাব।।

ইশান রাগ দেখিয়ে বলে–
আমার মনে হয় ব্রেকফাস্ট করাই ভুল হয়েছে।

ইশান চলে যায়।

আয়ুশ জানে এইসব এ হবে। তাই সে ব্রেকফাস্ট
করতে থাকে।

।।।
মল্লিকাঃ এইরকম না করলে কি হতো না???

নিদ্র ঃ আয়ুশ বেটা।

আয়ুশঃ হুম বলো বাপি!!

নিদ্রঃ তুমিও কি এইভাবে ঘুড়ে বেড়াবে।
তুমি অন্তত অফিসে জয়েন করো।

মল্লিকাঃ আহা! এখন তো একটু করবেই নাকি।

নিদ্রঃ তুমি চুপ করো। কয়দিন পরে আয়ুশের বিয়ে।
ইশার বাবা-মা নিশ্চই বেকার ছেলের সাথে তাদের মেয়ের বিয়ে দিবেনা

মল্লিকাঃ আমাদের যা আছে তা দিয়ে তার আজীবন বসে খেতে পারবে ডার্লিং!!

আয়ুশঃ সবাই প্লিয শান্ত হও! আমি রাজি ওকে??
বাট কাল বা পরশু!!

এই বলে আয়ুশ বাস্কেট বলটা নিয়ে সিল্কি চুল গুলো
সরিয়ে চলে যায়।

।।।।।

(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
এদিকে।।
আমি সবাইকে বিদায় দিয়ে প্লেনের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। মনটা খারাপ লাগছে। এতোদুর সবাইকে রেখে সত্যি মন মানছেনা। আচ্ছা উনি যদি এসে আমাকে না পায় তখন। সাহস হচ্ছেনা মনে হচ্ছে আমার না যাওয়াই ভালো হবে। এই বলে আমি যেতে নিলে।

আমান খপ করে আমার হাত ধরে ফেলে বলে উঠে-
কোথায় যাচ্ছো???

আমি বলে উঠলাম- আমার মনে হচ্ছে যাওয়া ঠিক হবেনা!!

উনি যদি।

আমানঃ প্লিয রিমিপাখি একটু বুঝো। যদি সত্যি তোমার সাইকো ফিরে সে ঠিক লন্ডনেও পৌছে যাবে।

আমি কিছু না বলে চুপ হয়ে রইলাম। টকোপি আমানের সাথে ঘুড়ঘুড় করছে।
টকোপিও যাবে আমার সাথে।

মন খারাপ করে বসে পড়লাম!! প্লেন চলতে শুরু করলো।

টকোপিকে কাছে ডাকলাম কিন্তু না সে আমান স্যার এর সাথেই থাকবে।
মনে হচ্ছে কত দিনের চেনা তাদের আল্লাহ।

আমানঃ( সত্যি আমার পাখিটাকে বুঝানো অনেক কস্টকর। শেষ পর্যন্ত যেতে রাজি হয়েছে এইটাই অনেক)

।।।।।
আয়ুশ কিছু একটা গভীরভাবে ভেবে চলছে।
আদি এসে বলে উঠে–
কি ভাবছিস রে??

আয়ুশঃ পরশু দিন ম্যাচ!!

আদিঃ হুম জনি কিন্তু সহজে ছেড়ে দিবেনা।

আয়ুশঃ জিতার জন্য বদটা সব করতে পারে।

আদিঃ আমাদের আয়ুশ বাবুকি কম নাকি।

আয়ুশ কিছু একটা ভেবে বাঁকা হাঁসি দেয়।

—আমরা সবাই এয়াপোর্ট এ নেমে পড়লাম।

লিসা বলে উঠলো-
ওয়াও লন্ডন আমার তো বিশ্বাস-ই হচ্ছেনা

আরেকজন বলে উঠলো-
আমারও বিশ্বাস হচ্ছেনা।।

আমানঃ কিন্তু এইটাই সত্যি!!

কিন্তু এদিকে আমার এক অন্যরকম ফিলিং হচ্ছে কিন্তু এমন কেন হচ্ছে আমার সাথে জানিনা আমি।
এই অনুভুতির নাম কি???

আমান রিমিকে এইভাবে দেখে বলে উঠলো-
কি হয়েছে রিমিপাখি?? এনি প্রব্লেম??

আমি বলে উঠলাম- নাথিং এলস!!

বাকি সবাই নিজেদের মতো কথা বলে যাচ্ছে কিন্তু বুকের ভিতর যেন রীতমত ঝড় হচ্ছে।

।।।।।।।
আমরা সবাই হোটেলে পৌছে গিয়েছি।
হসপিটাল থেকেই সব ব্যাব্সহা করা!!
তাই সমস্যা হয়নি।

টকোপিকে অনেক কস্টে আমান স্যার এর কাছে নিয়ে এসেছি!!

কি জানি টকোপির আমান স্যার কে কেন এতো পছন্দ।

অনেক ক্লান্ত তাই আমিও ঘুমের রাজ্যে চলে গেলাম।।

রাতে হঠাৎ অনুভব করি।
আমাকে কেউ গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করে যাচ্ছে। যা এক গভীর স্পর্শ।
।।।।।।







#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here