প্রেমাধিকার পর্ব ৬

#প্রেমাধিকার💝[ The_Egoistic_Love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Mêhèr ]
Part: 06…..

ইশাদের বাড়ি গিয়ে আরিয়ার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কারন ইশাদ মরার মত পরে পরে ঘুমোচ্ছে৷

আরিয়া: এই ছেলের জন্য আমি কিনা চট্রগ্রাম থেকে ঢাকায় ব্যাক করেছি এতটা রিক্স নিয়ে আর এ পরে পরে ঘুমোচ্ছে…. 😡😡 [ আরিয়া গিয়ে এক জগ ঠান্ডা পানি ইশাদের গায়ে ঢেলে দেয়। ঘুমে থাকা অবস্থায় এমন হওয়ার কারনে ও ধরফরিয়ে উঠে। ]

ইশাদ: এটা কি হচ্ছে আরিয়া😡😡

তখনি আরিয়া ইশাদের কলার ধরে ওকে টেনে তোলে…..

ইশাদ: আরে করছ কি???

আরিয়া: আমি তোর জন্য চট্রগ্রাম থেকে ঢাকায় ব্যাক করলাম আর তুই কিনা পরে পরে ঘুমাচ্ছিস….. আর তোর ফোন বন্ধ কেন???

ইশাদ: আরে আরে রেগে যাচ্ছিস কেন??? কাল আমার মোবাইলটা পরে ভেঙে যায়। যার কারনে কল দিতে পারিনি। আর তুমি যে চট্টগ্রাম গিয়েছিলে তাই তো জানতাম না।

আরিয়া: তোর সাথে তো কোনো কথাই বলতে চাই না। [ বলেই বেড়িয়ে আসে ]

ইশাদ: কি হলো এইটা??? মেডাম এত রেগে গেল কেন??? ধুর… আরিয়া শোনো।

ইশাদের কোনো কথাই শুনল না। ও একটা টেক্সি নিয়ে বাসায় চলে এলো। প্রচন্ড রাগ লাগছে। যার জন্য এতটা কষ্ট করে আসল সেকিনা বাসায় পরে পরে ঘুমোচ্ছে…… আরিয়া রেগে ওয়াসরুমে চলে এলো। তারপর গোসল করে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই সারাদিনের ক্লান্তি আর পরিশ্রমের জন্য ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেল।
,
,
,
,
,
,
,
,
অনেক রাতে দিকে আরিয়ার মোবাইলে কল আসে যার কারনে ওর ঘুম ভেঙে যায়। আরিয়া শোয়া অবস্থায় মোবাইল কানে দেয়….

আরিয়া: হ্যালো…..

রাজ: আপনি বাড়ি পৌছেছেন কিনা একটা বার ইনফর্ম করার দরকার ছিল আপনার।

আরিয়া: মি. রাজ আপনি… [ আরিয়া ইশাদের কল ভাবে ]

রাজ: হুমম….

আরিয়া: দেখুন আমি কোনো বাচ্চা নই যে আপনাকে জানাতে হবে। তাছাড়া আপনার কাজের পর আমি কোথায় যাব সেটা আমার ব্যাপার….

রাজ: তা ঠিক….. [ চেয়ারে হেলান দিয়ে ]

আরিয়া: তা এখন ফোন দিলেন। কোনো কাজ ছিল…..

রাজ: হুমম। কাল একটু তাড়াতাড়ি আসতে হবে আপনাকে মিটিং আছে।

আরিয়া: সেটা অন্য কাউকে দিয়ে জানিয়ে দিলেই হত।

রাজ:. সব কাজ সবার দ্বারা হয় না।

আরিয়া: মানে…

রাজ: কিছুনা। রাখছি…. [ বলেই ফোনটা কেটে দেয়। ]

আরিয়া: কেটে দিল। এই লোকটা আসলেই অদ্ভুত….. [ বলে কাথা মুড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ল ]

,
,
,
,
,
,
,
,
,

ওদিকে রাজ…. নিজের ঘরে বসে আরিয়ার কথা ভাবছে।

রাজ: জানিনা আরিয়া কেন তোমার থেকে চেয়েও দুরে থাকতে পারছি না। তুমি যতটা আমার কাছ থেকে সরে যাও আমি ততটাই তোমার প্রতি আরো দুর্বল হয়ে পরছি। তোমাকে চাই আমি। আর দেরি করব না খুব শীঘ্র আমি তোমাকে আমার মনের কথা জানাব

[ বেলকনিতে দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলছে ]

রাজ: আজকের রাতটাকে তোমার মতই লাগছে…. ভালোবাসি তোমায়। খুব ভালোবাসি। কিন্তু সমস্যা একটাই তোমার মত ইগোষ্টিক মেয়ে কিভাবে এটা নেবে সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। তবে যতই যা করো না কেন তোমাকে রাজের খাচায় পুরেই ছাড়ব।

[ অন্য এক ভালোলাগার আভা ফুটে উঠেছে রাজের মুখে। এতদিনের ছন্দহীন জীবনে আজ রাজ ছন্দের সুর মিলাতে পেরেছে। মানুষ যতই কঠোর হৃদয়ের হোক না কেন প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে সুপ্ত অনুভুতি থাকে। আর রাজ ও তেমনি রাজের ও লুকিয়ে রাখা অনুভুতি প্রকাশ পাচ্ছে। ]
,
,
,
,
,
,,
,
,

এভাবেই সাতদিন কেটে যায়। ইশাদ হাজার চেষ্টা করেও আরিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। আরিয়া রাগে ইশাদের সাথে একটাও কথা বলেনি। এমনকি ওর ফোন রিসিভ করেনি।

আরিয়া রাজের সাথে কাজ করলেও রাজ ওকে তেমন কিছু বলেনি। রাজ দূর থেকে আরিয়াকে দেখে নিজেকে শান্ত রেখেছে। ভালোবাসার মানুষটাকে দুর থেকে দেখতে আলাদা এক শান্তি পাচ্ছে রাজ। ওর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ রাজ এভাবেই করছে। ও নিজের মত করে আরিয়াকে জানতে ব্যস্ত। আরিয়ার অজান্তেই আরিয়াকে জানতে চায় ও……..

সারাদিন কাজ শেষে আরিয়া বাড়ি ফিরার সময়……

সাদ: আরিয়া মেম….

আরিয়া: হ্যা সাদ বলো….

সাদ: মেম.…. চট্টগ্রামে আমাদের যে ডিলটা হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়ে গেছে।

আরিয়া: হুমম তা তো আমি জানি বাট তুমি কেন বলছ.।।।

সাদ: আসলে মেম ওই সাকসেসটাকে সেলিব্রেট করতে কাল সন্ধ্যায় স্যার একটা পার্টি থ্রো করেছে। তো অফিসের সবার মত আপনাকেও আসতে হবে।

আরিয়া: এটা কি তোমার স্যারের অর্ডার না রিকোয়েস্ট…

সাদ: মেম আমার রিকোয়েস্ট 🙄🙄🙄 স্যারের কি জানি না…..

আরিয়া: ওকে… আমি আসব। [ বলে বেড়িয়ে গেল ]

সাদ: যাক বাবা বাচা গেল। বুঝলাম না সারাজিবন স্যারের সাথে থেকে কত ভালো ভালো মেয়ে স্যারের জন্য সিলেক্ট করলাম। আর স্যার কিনা আরিয়া মেমের মত একটা রাগী মেয়ের প্রেমে পরল। স্যার এই আরিয়া মেমের সাথে কিভাবে থাকবে ওনাকে দেখলেই তো আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।

পরে সাদ রাজের কাছে যায়। রাজ নিজের কেবিনে বসে কফি খাচ্ছিল…..

সাদ: স্যার আরিয়া মেম কাল আসছেন পার্টিতে।

রাজ: হুমম…..

সাদ: আর কিছু করতে হবে.।।।।

রাজ: নাহহহ….

সাদ দাঁড়িয়ে আছে। ও কিছু একটা বলতে চায় রাজ বুঝতে পেরেছে……

রাজ: কিছু বলতে চাও সাদ….

সাদ: না মানে….

রাজ: বলো….

সাদ: একটা কথা জিজ্ঞেস করব যদি রাগ না করেন।

রাজ ওর কথা শুনে মুচকি হাসে….

রাজ: সাদ তুমি খুব ভালো করেই জানো আমি তোমাকে আমি আমার ছোট ভাইয়ের মত দেখি৷ অনেক ছোট থাকতেই আমাকে দেখে আসছ তুমি…..

সাদ: জি স্যার…

রাজ: বলো কি বলতে চাও.।।।

সাদ: আপনি আরিয়া মেমকে ভালোবাসেন তাই না।

রাজ কিছু বলল না শুধু মুচকি হাসল।

সাদ: আপনি এই পার্টি ওনার জন্য রেখেছেন।

রাজ: তোমার থেকে লুকিয়ে কি সত্যি কোনো লাভ আছে সাদ….

সাদ: স্যার আরিয়া মেমকে আমারো খুব ভালো লাগে শুধু একটা জিনিস ছাড়া। ওনার রাগটা প্রচন্ড বেশি…..

রাজ: জানি তো….

সাদ: তারপরও আপনি ওনাকে কিভাবে??? ওনি তো আপনার কোনো কথাই শুনতে চায় না।

রাজ: তুমি একটা জিনিস খেয়াল করেছ সাদ। আরিয়া প্রচন্ড রাগী ও কথায় কথায় প্রচন্ড রেগে যায়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এই কয়দিনে ও কথায় কথায় রেগেছে ঠিকি কিন্তু আমার উপর রাগ ধরে রাখতে পারেনি। কারনটা হলো আমি ওর রাগের পরিমাপ অনুযায়ী ওকে সামলানোর চেষ্টা করি। বিজনেসম্যান তো তাই ঠান্ডা মাথায় সব কাজ করি তা বিজনেসে হোক আর লাইফে। কারন বিজনেস আর লাইফ দুটোই আমার কাছে এক…..

সাদ: হুমম…. আপনি যদি আরিয়া মেমের রাগ সামলাতে পারেন তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই…. আমি আপনাকে আমার বস না নিজের বড় ভাই হিসেবে মানি…..

কথাটা শুনে রাজ শুধু হাসে……

রাজ: ভালো খারাপ নিয়েই মানুষ সাদ। কেউ কখনো 100% ভালো হয় না। প্রতিটি মানুষের ভিতর ভালো খারাপ দুটোই থাকে….. আর ভালোবাসার মানুষের শুধু ভালোটা না তার মাঝে থাকা খারাপ গুন গুলোকেও আপন করে নিতে হয়……. আর নাহলে সেটা ভালোবাসা নয়…….

সাদ: স্যার আপনার মাঝে কেমন একটা রোমান্টিক রোমিও ভাব পাচ্ছি……

রাজ: সাদ…. 😡😡😡

সাদ: yes sir…. 🙄🙄🙄

রাজ: রোমিওর জন্য জুলিয়েটকে যত তাড়াতাড়ি এনে দেওয়ার ব্যবস্থা করো…..

সাদ: ওকে স্যার…. 🤣🤣🤣🤣

রাজ: আচ্ছা আমি আসছি…… [ বলে চলে যায় ]

সাদ: আসলেই সবার সামনে ওনাকে যতটা কঠোর লাগে ওনার সাথে এভাবে মেশার সুযোগ না পেলে হয়ত জানতেই পারতাম না। এই রাগী মুখের পিছনে এতটা ইমোশন। সত্যি আরিয়া মেম অনেক ভাগ্যবতী হবে যদি সে আপনাকে পায়……..
,
,
,
,
,
,
,
,,
,

পরের দিন সন্ধ্যায়……..

রাজ আরিয়ার জন্য ওয়েট করে আছে। আজ রাজ ব্লাক সুট পরে এসেছে। চুল গুলো স্পাইক করে শার্টের হাতা ফোল্ড করে রেখেছে। হাতে একটা ব্যান্ডের ঘড়ি….. পার্টির সব মেয়েদের চোখ রাজের দিকে। কিন্তু রাজ ওদিকে খেয়াল না দিয়ে ড্রিংকের গ্লাস হাতে নিয়ে সেটা দেখছে আর বার বার গেটের দিকে তাকাচ্ছে। কিন্তু আরিয়ার কোনো দেখাই নেই…..

এদিকে সাদ টেনশনে শেষ কারন ও রাজকে খুব ভালো ভাবে চেনে। আজ যদি আরিয়া না আসে তবে রাজ কি করবে তা সাদ নিজেও জানে না। রাজ তেমন রাগে না আর রাগলে তার ভয়ার্ত রুপটা সাদের অদেখা নয়…..

সাদ: আল্লাহ আরিয়া মেমকে এখানে নিয়ে আসো। আর আমার প্রান বাচাও…..

ও রাজের দিকে তাকায়। তাকিয়ে সাদের গলাটা যেন শুকিয়ে যাচ্ছে। রাজ স্থীর চাওনিতে ড্রিংসের গ্লাসটাকে দেখছে……..

সাদ: আল্লাহ… প্লিজ….

,
,
,
,
ঠিক তখনি সাদ গেটে একটা গাড়ি থামতে দেখে…. গাড়িতে কে আছে সেটা দেখার জন্য যেতেই সাদের চোখে মুখে শান্তি ফিরে আসে…… গাড়ি থেকে আরিয়া নামছে……. আজকে আরিয়া মেরুন কার্লারের একটা গ্রাউন পরে চুলগুলোকে কার্ল করে ছেড়ে এসেছে। তেমন কোন সাজ নেই তবে পার্টির জন্য পারফেক্ট………

সাদ: এত দেরি হলো….

আরিয়া: জ্যামের কারনে…..

সাদ: ওকে চলুন আপনার জন্য স্যার…..

আরিয়া: মানে….

সাদ: না মানে সবাই অপেক্ষা করছে। after all এই প্রজেক্টের অনেক বড় একটা পার্ট আপনি।

আরিয়া: যথেষ্ট হয়েছে…. এবার চলো…. 😡😡 [ ভিতরে ঢুকে গেল ]

সাদ: বাহ বাহ… রাগ যেন নাকের মধ্যে লেগেই থাকে…. আল্লাহ আমার স্যার তো জুলিয়েট বলতে পাগল তার দশা সত্যি সত্যি রোমিওর মত না হয়। মাফ করো কি ভাবছি….. আরে গেল তো।।।

আরিয়া ভিতরে ঢুকে চারপাশটা দেখতে থাকে। এতক্ষন পরে আরিয়াকে দেখে রাজ যেন প্রান ফিরে পায়….. আরিয়ার দিকে তাকিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে রাজ। রাজ আরিয়ার দিকে তাকিয়েই ড্রিংসের গ্লাসে একটা সিপ দেয়….. রাজ এতটুকুই বুঝতে পেরেছে আজ আর রাজের ক্ষমা নেই ও চাইলেও আরিয়ার থেকে দুরে থাকতে পারবে না। কারন আজ আরিয়াকে তার মনের কথা বলবে…..

রাজ: জানি আরিয়া ভালোবাসার কথাটা বলতে অনেক তাড়াহুড়ো করছি কিন্তু আমিত অপারগ তাই চেয়েও পারলাম না। আজ তোমাকে আমার মনের কথা জানাব……. [ বলেই পুরো গ্লাসের ড্রিংস শেষ করে দেয় ],
,
,
,
,
,
,

,
,

,,
,

আরিয়া চারপাশটা দেখে সবাইকে দেখছে। হঠাৎ করেই লাইট অফ হয়ে যায়। আর ও নিজের হাতে টান খায়….. আরিয়া কিছু বুঝে উঠার আগেই কেউ ওকে টেনে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে যায়……..

তখনি ওর উপর লাইট পরে। এখন ও লোকটাকে দেখতে পায়। লোকটা অন্য কেউ নয় রাজ নিজে……

আরিয়া: আপনি……

রাজ আরিয়াকে আর কিছু বলার সুযোগ দেয় না তখনি বেজে ওঠে মিউজিক। আরিয়া নিজেকে রাজের থেকে সরাতে চেয়েও পারল না রাজ ওকে শক্ত করে ধরে নিজের মধ্যে মিশিয়ে নেয়। পুরো পার্টির ফোকাস ওদের দিকে……. আরিয়া এখন চেয়েও কিছু করতে পারছে না। কারন এখন রাজকে কিছু বলা মানেই এখানে একটা সিনক্রিয়েট হবে। যা রাজ আর আরিয়া দুজনের জন্য অসন্মানের……. তবুও আরিয়া আজকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলল…..

আরিয়া: দেখুন মি. রাজ এখানে সবাই আমাদের দেখছে। ছাড়ুন আমাকে। ব্যাপারটা খুব খারাপ হতে পারে……

রাজ: তাতে আমার কিছু যায় আসে না…….

[বলেই আরিয়াকে নাচাতে শুরু করল……..

Music………

Aaj zid kar raha hai dil [ 2 ]
Karna hai bas tujhe hasil
Aaj zid kar raha hai dil
Ho mujhme tu ho bhi ja shamil
Aaj zid kar raha hai dil……….

রাজ আরিয়ার সাথে ডান্স করছে। ডান্স এর মাধ্যমে আরিয়াকে নিজের ফিলিংসের কথা জানান দিচ্ছে রাজ। আরিয়ার সাথে খুব ক্লোজলি ডান্স করছে ও। আরিয়াকে বার বার দুরে সরিয়েও নিজের মাঝে টেনে নিচ্ছে রাজ……..

Kahin khud ko mujhme tu
Chhod ja, chhod ja
Tere sath mujhko tu
Jod ja, jod ja
Yeh jo kanch ke jaisi
Ek deewar hai
Meri baahon mein use
Tod ja, tod ja

Yeh jo ik adhuorapan hai
Ik duosre se bhar de
Jise umar bhar na bhulein
Woh lamhe mil jaayein

Maan le mujhe tere kabil……

[আরিয়ার এমন অবস্তা হয়েছে ও না কিছু বলতে পারছে আর না সহ্য করতে পারছে। শুধু এতটুকু বুঝতে পারছে রাজ এমনি এমনি এমন করছে না অন্য কোনো আলাদা এক্সপেক্টেশন আছে আরিয়ার কাছে। এতদিন ওর মনে যেটা সন্দেহ হিসেবে বাসা বেধেছিল আজ যা সত্যি বলে প্রমান হলো। আর রাজ যে ওর প্রতি কতটা আসক্ত হয়েছে রাজের প্রতিটি নেশাক্ত ছোয়া আরিয়াকে বলে দিচ্ছে…….

Bepanah tujhpe fida hoon
Bepanah tujhe chaahta hoon
Bepanah tujhe maanta hoon
Bepanah, bepanah

Tu nasha tu khumar
Tera junun sar pe sawar
Aaj tu khud ko mere yaar
De pila, de pila

Mujhe sirf teri lagan hai
Use mil ke pura kar de
Meri itni si hai khwaahish
Tera pyar mil jaye

Ban bhi ja tu meri manzil
Aaj zid kar raha hai dil

Ho mujhme tu ho bhi ja shamil
Aaj zid kar raha hai dil x (2)

গান শেষ হতেই রাজ আরিয়ার ঘাড়ে একটা কিস করে। তারপর আরিয়ার দিকে তাকায়। আরিয়ার চোখে পানি টলটল করছে। আর তা যে রাগের কারনে সেটা বুঝতে রাজের বাকি থাকে না।

এটা দেখেই রাজের হাত হালকা হয়ে আসে। এবার রাজের হুশ ফেরে ও চারপাশে তাকায়। সবাই অবাক চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। সেটা অস্বাভাবিক নয় যাকে কোনোদিন কোনো মেয়ের সাথে ভালোভাবে কথা পর্যন্ত বলতে দেখেনি সে আজ এতটা ক্লোজ হয়ে তার স্টাফের সাথে ডান্স করছে।

রাজের এবার ভয় করছে কিন্তু ভয়টা নিজের জন্য নয় বরং আরিয়ার চোখে রাগের পানি দেখে। ও বুঝতেই পেরেছে আরিয়া চোখের পানিতে নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল করতে চাইছে।

রাজ ওকে ছেড়ে দিতেই আরিয়া…………..
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,,

[ বাকিটা পরের পর্বে জানবেন ]

আশা করি আপনাদের বুঝে যাওয়া উচিত আরিয়ার ইগোষ্টিক ভালোবাসা কার সাথে হতে পারে। আর কার #প্রেমাধিকার💝 আরিয়ার জন্য ইগোষ্টিক…….. 😉😉😉

আমি নাই বা বললাম। 😷😷😷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here